চাদর জড়ানো চিরকুট পর্ব-০৪

0
221

#চাদর_জড়ানো_চিরকুট।
#পর্বঃ- ০৪

লতা বিরক্ত হয়ে বললো,
– আমি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী নাকি, যে আমাকে মারার জন্য তিন কোটি টাকা চুক্তি হবে।

– আপনি কি ভুলে গেছেন যে আপনার বাবা সব সম্পত্তি আপনাকে লিখে দিয়ে গেছে। আপনাকে যদি এখন পথ থেকে সরানো যায় তাহলে সকল সম্পত্তি তার নিজের হবে। তাই বিশাল সম্পত্তির জন্য সামান্য তিন কোটি টাকা খরচ করা কোনো ব্যাপার নয় ম্যাডাম।

– আমি আপনার একটা কথাও বিশ্বাস করি না। নিজেকে বাঁচানোর জন্য যা মুখে আসছে আপনি তাই বলে যাচ্ছেন।

লতা প্রথমে তুই তুই করে কথা বললেও এখন সে আপনিতে নেমে এসেছে। রাগে কষ্টে শুরুতে তুই তুই করে কথা বলেছে কিন্তু এখন কোনো সঠিক কোনটা ভুল সেটা বিচার করতে পারছে না।

রবিউল বললো,
– যাইহোক, আপনাকে আবারও বলছি আপনি যদি বাঁচতে চান তাহলে নিরাপদে থাকুন।

– সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। আপনি আইনের কাছে ধরা দেন, নাহলে আমি আপনাকে যেভাবেই হোক খুঁজে বের করবো। আমার স্বামীর মৃত্যুর প্রতিশোধ আমি নেবো-ই নেবো।

– আমাকে ধরার কথা স্বপ্নেও ভাববেন না ম্যাডাম। আমি কে সেটা আপনি সাজু ভাইকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিয়েন। আমি আপনাকে যা যা বলছি সেসব সাজু ভাইকে বলবেন। তাহলে তিনি অন্তত আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।

রবিউল কল কেটে দিল। লতা এতক্ষণ যা কিছু বলেছে সবকিছুই তার ফোনে রেকর্ড হয়েছে। সে আবারও দুহাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে কান্না করতে লাগলো। বিড়বিড় করে বললো,
” ফিরোজ আমাকে ক্ষমা করে দিও। ”

★★

রবিউলের কথা অনুযায়ী সাজু ভাই আর রামিশা সেই রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু রবিউলকে কল দিতে পারছে না। রবিউল তখন থেকে লতার সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত আছে তাই সাজু বারবার নাম্বার ব্যস্ত পাচ্ছে।

– কি হয়েছে সাজু ভাই? কাকে কল দিচ্ছেন?

– রবিউলকে কল দিলাম, নাম্বার ব্যস্ত। আমার মনে হয় ব্লক লিস্টে ফেলে রেখেছে।

– দেখি আমার কাছে নাম্বার দেন তো, আমার ফোন থেকে যায় নাকি।

রামিশার নাম্বার দিয়ে যখন কল দিল ততক্ষণে রবিউল লতার সঙ্গে কথা শেষ করে কল কেটে সিম বন্ধ করে দিয়েছে।

– সাজু ভাই নাম্বার তো বন্ধ পাচ্ছি।

– তাহলে আমি ব্যস্ত পাচ্ছি কেন?

সাজু আবার কল দিল এবং সেও নাম্বার বন্ধ পেল৷ তখন সাজু বুঝতে পারলো এতক্ষণ কারো সঙ্গে কথা বলে এইমাত্র নাম্বার বন্ধ করা হয়েছে।

পেটের মধ্যে ক্ষুধাও লেগেছে বেশ। কথা ছিল ট্রেন থেকে নেমে রামিশা আর সাজু ভাই একসঙ্গে লাঞ্চ করবে। সেজন্যই রামিশা বাসা থেকে বের হবার সময় না খেয়ে বের হয়েছে। সাজু ভাবলো এসেছি যেহেতু তখন লাঞ্চ করে তারপর আবার নাহয় হাসপাতালে যাবো। এসআই নিজাম উদ্দিন নিজে সেখানে ডিউটি করছেন, চিন্তার কিছু নাই।

রেস্টুরেন্টে বসে সাজু ভাই ঢাকায় তার ডিবিতে জব করে সেই বড়ভাই লিয়াকত হাসানকে কল দিল। প্রথমে পুরো ঘটনা সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ননা করলো তারপর বললো,

– রবিউলের ওই নাম্বারটা আপনাকে দিচ্ছি। তাকে লোকেশন ট্র্যাক করা যাবে না কারণ এই নাম্বার আর চালু হবে না। আপনি ১০ মিনিটের মধ্যে আজকের দিনের কললিস্ট বের করুন।

– ডিবি অফিস হাসান বললো, শুধু আজকের?

– আপাতত শুধু আজকের। সে আমাকে কল দিয়ে আর কার সঙ্গে কথা বলেছে সেটা জানতে হবে।

খাবার শেষ করে ” এক কাপ ঠান্ডা কফি ” নিয়ে বসে আছে সাজু ভাই। তার সামনেই বসে আছে রামিশা। সাজু ভাই অপেক্ষা করছে ডিবি হাসানের কল কখন আসবে তাই।

কফি প্রায় শেষ তখনই হাসান সাহেব কল দিল। সাজু রিসিভ করতেই তিনি বললেন,

– তোমার সঙ্গে কথা বলার পরে সে আরেকটা নাম্বারে কল করেছে। আমি সেই মেয়ের সঙ্গে কথা বললাম এইমাত্র।

– আপনি নাম্বার বের করে কলও করেছেন?

– হ্যাঁ করেছি। মেয়েটার নাম নাকি লতা। আমার মুখে রবিউলের নাম শুনে সে অবাক হবার ভান করলো। পরে অবশ্য স্বীকার করেছে রবিউল তাকে কল দিয়েছিল।

– তাহলে তো আমি এখনই লতার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারবো লতাকে সে কি বলেছে। কিন্তু সে লতাকে কল দেবে এটা তো অবিশ্বাস্য কারণ তার স্বামীকে খুন করেছে রবিউল।

– আচ্ছা লতা মেয়েটার সঙ্গে তো হাসপাতালে গিয়ে দেখা করতে পারবে। কিন্তু লতাকে আর তোমাকে কল দেবার আধা ঘণ্টা আগে রবিউল আরেকটা নাম্বারে কল করেছে।

– সেখানে কল দিয়েছেন?

– হ্যাঁ, ওটাও একটা হাসপাতাল। যে নাম্বারে কল দিয়েছে তিনি নাকি সেই হাসপাতালের পরিচালক।

– আপনি আমাকে সেই নাম্বারটা পাঠিয়ে দেন।

★★★

রবিউল আর লতার সমস্ত কথা লতার মোবাইল থেকেই শুনলেন সাজু ভাই। কল রেকর্ড করায় ভালোই সুবিধা হলো তাই সবগুলো কথা সাজু মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারলো।

সাজু বললো,
– আপনার আসল বাবা সত্যি সত্যি কি মারা গেছে?

– হ্যাঁ, কিন্তু বাবার এই খালাতো ভাই আমাকে অনেক আদর করেন। আমার কোনদিনই মনে হয় নাই যে তিনি আমার আসল বাবা নন। তাছাড়া আমাদের সম্পত্তির সবকিছু তো তিনিই এতদিন দেখাশোনা করেছেন। দিনের পর দিন সেই সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে শুধু তার জন্য।

– কিন্তু রবিউলের এরকম কথা বলার কারণ কি সেটাই বুঝতে পারছি না।

– আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি।

– কি?

– আমাকে কিডন্যাপ করে বাবার কাছে বিশাল মুক্তিপণ দাবি করবে। আমাদের এতবড় সম্পত্তি তাই বিশাল অঙ্কের টাকা পাবার প্রত্যাশা।

– কিন্তু তাই বলে ফিরোজ সাহেবকে খুন করার কারণ কি? এটার তো একটা ব্যখ্যা দাঁড় করাতে হবে তাই না?

– ওই লোকটা নিজেই তো বলেছে সতেরো দিন সে আমাদের দুজনকে নজরে রেখেছে। তাই ভালো করে জানতো আমার স্বামী স্টেশনে নেমে আমার সঙ্গে দেখা করবে। তাই ফিরোজ যেন ঝামেলা করতে না পারে সেজন্য ওকে ট্রেনের মধ্যে…

কথাটা শেষ করতে পারেনি লতা। তার আগেই হু হু করে কাঁদতে লাগলো। তারপর কান্না জড়িত কণ্ঠে বললো,

– ওকে আমি কোনদিনই ছাড়বো না।

– আমার মনে আরেকটা প্রশ্ন আছে।

কান্না বন্ধ করে ভেজা চোখে সাজুর দিকে তাকিয়ে লতা বললো,
– কি প্রশ্ন?

– আপনার স্বামী ঢাকা থেকে একই ট্রেনে চট্টগ্রাম এলো কিন্তু আপনাকে জানালো না৷ এরকম করার কারণ কি ছিল?

– চারদিন আগে আমি ওর সঙ্গে কথা বলে কেঁদে কেঁদে বলেছিলাম ” আমি তো সন্তানের মা হতে চলেছি, আমার কথা না ভেবে যেন সন্তানের জন্য হলেও সম্পর্কটা রাখে। ”

– তারপর সে কি বললো?

– পরদিন আমাকে কল দিয়ে সে মাফ চাইলো। আর বললো যে, আমরা দুজন তাহলে নতুন করে চট্টগ্রাম থেকে শুরু করবো সবকিছু। তুমি চট্টগ্রাম আসো, আমরা কক্সবাজারে কিছুদিন ঘুরবো তারপর ঢাকায় ফিরে অফিসে যোগ দেবো।

– ওহ্, তারমানে চট্টগ্রামে আপনাদের দেখা করার ফাইনাল সিদ্ধান্ত ছিল?

– হ্যাঁ ছিল কিন্তু আমার কেন যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না তার কথা। তবুও আমি তার ভরসায় একা একা চলে এসেছি। আমার বিশ্বাস ছিল যে তার সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বললে সে ফেলতে পারবে না।

– আপনার মা কোথায়?

– এগারো বছর আগে মারা গেছে।

– স্যরি আমি জানতাম না।

– বাবার উপর কীভাবে সন্দেহ করবো বলেন? ছ’মাস আগে বাবার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর গিয়ে মাস খানিক ধরে সে চিকিৎসা এসেছে। গলায় অপারেশন হয়েছে, ডাক্তার তাকে কথা বলতে সম্পুর্ন নিষেধ করেছে। কিন্তু তবুও বাবা আমার সঙ্গে কথা না বলে থাকতে পারে না। দিনের মধ্যে অন্তত একবার ” লতা মা ” বলে ডাকে।

– তিনি কি ধুমপান করেন?

– হ্যাঁ, শুধু সিগারেটের অভ্যাস আছে। অপারেশন করে আসার পরে বাবা বেশ শুকিয়ে গেছে, সেই আগের বাবা আর নেই। একপ্রকার মৃত্যুর মুখে চলে গেছেন তিনি তবুও কখনো বলেনি আমাকে যে তার কষ্ট হচ্ছে।

– আপনার আসল বাবার মৃত্যুর পরে যখন তার সঙ্গে আপনার মায়ের বিয়ে হয়েছে তখন সেখানে আর সন্তান হয়নি?

– না। আজকাল বাবাকে বেশ অসুস্থ মনে হয় তবুও তিনি অফিস বন্ধ দেন না। আমি যদি তাকে বাসায় থাকতে বলি তাহলে বাবা বলেন যে, তিনি না থাকলে আমার সম্পত্তি সব নাকি মানুষে দখল করে নেবে। বাবা কখনো ওই সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করেন নাই।

লতার মোবাইল বেজে উঠলো। স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে ঢাকা থেকে তার বাবা কল করেছে। সাজুর দিকে তাকিয়ে বললো,

– বাবা কল করেছে, আমি একটু বাবার সঙ্গে কথা বলতে চাই।

– বলেন।

– আমি একা একা কথা বলতে চাই।

– ঠিক আছে বলেন।

সাজু আর রামিশা দুজনেই বাহিরে বেরিয়ে গেল। সাজুর মাথায় নতুন করে মেলা মেলা প্রশ্ন এসে জমা হয়ে গেছে। তাছাড়া তাদের সামনে বসে কথা বলতে কিসের সমস্যা সেটাই তো বুঝতে পারছেন না সাজু সাহেব।

★★

লতা কল রিসিভ করলো। তার বাবা আস্তে আস্তে আহত গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,

– তুমি কি একটু সুস্থ আছো লতা মা?

– হ্যাঁ বাবা।

– আমার এক বন্ধুকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি তিনি এখনই তোমার কাছে যাবে। তুমি তার সঙ্গে চলে আসবে হাসপাতাল থেকে।

– বাবা এখানে তো পুলিশ আছে, সমস্যা নেই।

– সমস্যা আছে মা, ভুলে যেও না তোমাকে কিন্তু পুলিশের গাড়ির মধ্যে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা।

– হ্যাঁ ঠিক বলছো বাবা বাবা ফিরোজকে খুন করেছে রবিউল নামের একটা খুনি। ওকে তুমি কিছুতেই ছাড়বে না কিন্তু।

– তুমি কীভাবে জানলে? পুলিশ বের করেছে?

– না বাবা। [ লতা তখন সংক্ষিপ্ত আকারে ট্রেনের মধ্যে সেই পরিচয় থেকে শুরু করে একটু আগে সাজুর সঙ্গে বলা সবকিছু তার বাবাকে বললো। ]

– বলো কি মা? আমার তো মনে হচ্ছে ওই সাজু ছেলেটাও হয়তো জড়িত আছে। মা তুমি এক কাজ করো, পুলিশ গোয়েন্দা কাউকে বিশ্বাসের দরকার নেই। তোমার আঙ্কেলের সঙ্গে তুমি চলে আসো তিনি তোমাকে গোপনীয় ভাবে গাড়িতে করে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। আর বেশি বিপদ হলে চট্টগ্রামেই কোন সেভ হাউজে তোমাকে রাখা হবে।

– ঠিক আছে বাবা।

– তুমি কল রাখো, তোমার আঙ্কেল মনে হয় এসে গেছে এতক্ষণে।

– বাবা কিরোজের লাশ এখনো মর্গে আছে।

– আমি সেখানেও লোক পাঠিয়ে দিয়েছি। লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হলে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে তারা নিয়ে আসবে।

লতা কল কেটে দিল। তারপর হাতের ব্যথা নিয়ে সেভাবেই বের হয়ে এলো। বারান্দায় সাজু ভাই ও এসআই নিজাম দাঁড়িয়ে আছে। লতাকে দেখে সাজু এগিয়ে এলো,

– কিছু লাগবে আপনার?

– না, আমার বাবার বন্ধু আসছেন আমি তার সঙ্গে চলে যাবো এখন।

– কিন্তু এই অবস্থায়?

– হ্যাঁ, চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।

– আপনার সঙ্গে তো আমাদের অনেক যোগাযোগ করতে হবে। আমার নাম্বার তো আপনার ডিবি অফিসার বের করেছে। তাছাড়া কার্ড দিচ্ছি, যদি দরকার হয় যোগাযোগ করবেন। তবে আমি আমার স্বামীর খুনের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেবো না।

– আমিও চাই ফিরোজ সাহেবকে কেন খুন করা হয়েছে সেটা বের করতে। আর কে করেছে সেটা তো আমরা জানি মোটামুটি।

– যা যা করা দরকার সবকিছু আমিই করবো। ঢাকায় গিয়ে আমি দেশের নামকরা গোয়েন্দাদের নিয়োগ করবো। সব ধরনের চেষ্টা আমি করবো। আশা করি আপনার আপনার মতো লাইসেন্স ছাড়া গোয়েন্দার দরকার হবে না।

শেষ কথাটায় অপমান মিশ্রিত ছিল। সাজু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রামিশা তার হাতটা চেপে ধরলো। সেই চাপের অর্থ হচ্ছে তাকে যেতে দেন, শুধু শুধু নিজের সম্মান নষ্ট করবেন না।

★★★

বাবার পাঠানো সেই আঙ্কেলের সঙ্গে গাড়িতে উঠে বসলো লতা। লোকটার হাসিখুশি মুখ দেখে বেশ বিরক্ত হয়েছে লতা। একটু আগে যার স্বামী খুন হয়েছে তার সামনে হাসার মতো রসিকতা করার কারণ কি?

চারিদিকে মাগরিবের আজান দিচ্ছে। কিছুটা দুরে গিয়েই গাড়ি থেমে গেল। হুড়মুড় করে চারজন ঢুকে গেল গাড়ির মধ্যে। ড্রাইভারকে জোর করে বের করে একজন বসলো ড্রাইভার সিটে। দুজন ঢুকলো লতা আর সেই আঙ্কেলের কাছে পিছনে। আরেকজন ড্রাইভারের পাশে। তাদের দুজনের হাতে পিস্তল।

– আঙ্কেল বললো, তোমরা কারা?

– একদম চুপ।
এটা বলেই একটা স্প্রে বের করে লোকটার নাকের সামনে ধরলো। এতো দ্রুত অজ্ঞান করার মতো স্প্রে এই প্রথম দেখলো লতা চৌধুরী।

চারজনের মধ্যে মিজান ছিল। সে বললো,
– ফিরোজকে বিয়ে করে বছর পেরোনোর আগেই পেটে বাচ্চা নিয়েছিস তাই না? দুদিন পরে বাচ্চা হবে, সেই বাচ্চা হবে সম্পত্তির মালিক। আর আমার বস এতদিন ধরে যে সম্পত্তি পাহারা দিয়ে রাখছে তার কোনো মূল্য নেই?

লতা অবাক হয়ে বললো,
– কে আপনার বস?

– মিজান বললো, কেন? আপনার বাবা।

#চলবে…

লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব।