চাদর জড়ানো চিরকুট পর্ব-০৮

0
215

#চাদর_জড়ানো_চিরকুট।
#পর্বঃ- ০৮

নাইলনের শক্তি রশি দিয়ে লতার হাত বাঁধা তাই হাতের বেশ খানিকটা কেটে গেছে। ছোটার জন্য হাত নাড়াচাড়া করার কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। রবিউল লতার হাতের বাঁধন খুলে দিকে তাকে একটা চেয়ারে বসালো।

লতা মুহূর্তের মধ্যে রবিউলের পায়ের কাছে গিয়ে বললো,

– শুধু দশ কোটি নয়, আপনি চাইলে আমি আমার সকল সম্পত্তি আপনার নামে লিখে দেবো। তবুও আপনি আমার বাচ্চাটা নষ্ট করবেন না, এটাই আমার প্রথম সন্তান। আমার স্বামী মারা গেছে, এ জীবনে তো আর বিয়ে করা হবে না। এই সন্তানকে নিয়ে নাহয় সারাজীবন বাঁচবো।

রবিউল শান্ত কণ্ঠে বললো,
– সব সম্পত্তি আমাকে লিখে দিবেন, আর আপনি কীভাবে বাঁচবেন? সরাসরি বাদশা থেকে ফকির হয়ে যাবেন ন?

– যে পড়াশোনা করেছি তাতে জীবন চালানোর মতো কিছু একটা করতে পারবো। আপনি আমার সন্তানের জীবন ভিক্ষা দেন, আমি আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য আপনাকে ক্ষমা করে দেবো।

– হাহাহা হাহাহা।

রবিউলের হাসি সম্পুর্ণ রুমের মধ্যে প্রতিধ্বনি তুলছে। এখানে চারটা লাশ পরে আছে, আরেকটা মানুষ আছে জীবন্ত লাশ। পাশের ঘরে পরে আছে লতার বাবার সেই বন্ধু। অথচ রবিউলের মুখে কি বিশ্রী হাসি।

– হাসছেন কেন?

– আপনি এমন পরিস্থিতিতেও আমাকে ক্ষমার কথা বলছেন তাই হাসছি আমি।

লতা কিছু বললো না। সম্পুর্ণ জীবনটা এখন তার কাছে বৃথা মনে হচ্ছে, ধনসম্পদ টাকাপয়সা আজ যেন সবকিছু তুচ্ছ। এতো টাকার মালিক তবুও আজ সে একটা খুনির পা ধরে নিজের আর তার অনাগত সন্তানের প্রাণ ভিক্ষা চায়।
জীবন সত্যি সত্যি অদ্ভুত, বড্ড বেশি অদ্ভুত।

রবিউল বললো,
– বাচ্চার কথা বাদে যেকোন অনুরোধ করেন দেখি রাখতে পারি কিনা। ক্ষুধা লেগেছে?

লতা অসহায় হয়ে পেটে হাত দিয়ে তাকিয়ে রইল।

★★★

স্টেশনে এসে সাজু সেই ফুটেজের মধ্যে চারজন ব্যক্তি দেখতে পেয়েছে ঠিকই কিন্তু তারা কেউই রবিউল নয়। রামিশা যখন রবিউলকে একবার নাম ধরে ডাক দিলো তখন সে এক পলকের জন্য পিছন থেকে দেখেছে। তাই সাজু ভাই নিজে পুরো ফুটেজ দেখতে লাগলো। অবশেষে রবিউলকে সনাক্ত করতে পেরেছে কিন্তু রবিউল মাস্ক পরা ছিল। এভাবে দেখেও রামিশা তাকে কীভাবে চিনতে পারলো, অদ্ভুত।

কিন্তু ওই চারজনকে রবিউলের বক্তব্য অনুযায়ী লতার বাবার লোক হিসেবে ধরা হোক। তারপর সেই ফুটেজ থেকে ছবি নিয়ে পাঠানো হলো থানায় যেন পরিচয় পাওয়া যায় কিনা তার চেষ্টা।

সাজু বললো,
– স্যার আমি একটু লতার বাবার সঙ্গে কথা বলে কিছু প্রশ্ন করতে চাই।

– কি প্রশ্ন করবেন?

– তার যেই বন্ধু লতা চৌধুরীকে হাসপাতালে নিতে এসেছিল তার বাসা কোথায়। আপাতত তার খোঁজ বের করতে হবে আমাদের।

– ঠিক আছে আমি ব্যবস্থা করছি।

দশ মিনিটের মধ্যে লতার বাবা মিঃ চৌধুরীর কাছে কল দিলেন এসআই নিজাম। লতার বাবা রিসিভ করে বললেন,

– হ্যালো কে?

– আমি চট্টগ্রাম থেকে এসআই নিজাম বলছি।

লতার বাবা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন,
– আমার লতা মার কোনো খোঁজ পেয়েছেন?

– না এখনো পাইনি, আপনার সঙ্গে একজন কথা বলতে চায়। তার নাম সাজু।

– কি নাম বললেন?

– সাজু সাহেব, সাজু ভাই।

– এই নামটা বিকেলে লতা বলেছিল আমাকে। সে নাকি হাসপাতালে গিয়েছিল। আমার এখন খুব আফসোস হচ্ছে কারণ আপনাদের কাছে থাকলে সে বিপদে পড়তো না।

সাজু তখন মোবাইল নিজের হাতে নিয়ে সালাম দিল,
– আঙ্কেল আসসালামু আলাইকুম।

– ওয়া আলাইকুম আসসালাম। কে আপনি?

– আমিই সাজু, আঙ্কেল আপনি আপনার যে বন্ধুর মাধ্যমে লতা চৌধুরীকে নিতে চেয়েছিলেন সেই বন্ধুর ঠিকানা আমাকে দিতে হবে। আমরা তার বাসায় গিয়ে একটু খোঁজ নিতে চাই।

– সেও তো বাসায় নেই, ওদের দুজনের কারো খোঁজ পাচ্ছি না।

– তবুও আমাদের দেখতে হবে, কারণ এছাড়া আর কিছু করার নেই। রবিউল এতকিছু করেছে আমরা মোটামুটি জানি। কিন্তু তার নাগাল পেতে হলে আমাদের টেকনিকালি আগাতে হবে।

– ঠিক আছে আমি ঠিকানা দিচ্ছি। আপনারা যে ভাবেই হোক আমার মেয়েকে উদ্ধার করুন। যত টাকা দরকার আমি দেবো, তবুও আমি আমার মেয়েকে চাই।

– আমরা চেষ্টা করছি।

ফজরের আজান দিচ্ছে চারিদিকে। ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। একটা মসজিদের পাশে পুলিশের গাড়ি দাড় করার অনুরোধ করলো সাজু ভাই। এখনো হালকা অন্ধকার, মসজিদে ফজরের নামাজ শুরু হয়নি। সাজু ভাই অজু করে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে প্রবেশ করলেন।

নামাজ পড়ে বের হয়ে তারা আবার রওনা দিল। তাদের গন্তব্য এখন লতার বাবার সেই বন্ধুর বাসা কোথায় সেখানে গিয়ে খোঁজ নেওয়া।
বিভিন্ন থানায় চারজনের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নাম পরিচয় বের করার জন্য। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কেবল সকাল হলো, এসব করতে তারা সময় ব্যয় করবেই।

ঠিক সেই মুহূর্তে সাজুর মোবাইলে কল এলো। মোবাইল বের করে দেখা গেল কল দিয়েছে ঢাকা থেকে হাসপাতালের সেই পরিচালক সাবরিনা আফরোজ। সাজু রিসিভ করার আগে চিন্তা করতে লাগলো এতো সকাল বেলা এই মেয়ে কল দিয়ে কি বলতে চায়?

★★★

লতা এখন খাচ্ছে, হাতের ব্যথায় হাত নাড়াতে পারছে না লতা। রবিউল একটা চামচ দিয়ে তার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। লতা প্রথমে খেতে চায়নি কিন্তু রবিউলের ধমকের কারণে না খেয়ে উপায় নেই তার।

– রবিউল বললো, ভয় নেই এর মধ্যে বিষ দেইনি। আপনাকে এতো সহজে মারবো না নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনি। কারণ আপনি মরলে তো সব সম্পত্তি আপনার ওই বাবার হয়ে যাবে৷

আরো একবার অবাক হয়ে গেল লতা চৌধুরী, এভাবে আদর করে খাওয়ানোর কারণ কি?
ধনসম্পত্তির লোভ, নাকি ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি যেমন মৃত্যুর আগে পেট ভরে খেতে পারে তেমন কিছু। খেতে খেতে লতা বললো,

– আপনি এতটা খারাপ আমি আগে জানতাম না।

– এখন তো জানলেন, কি করবেন?

– আপনি এতগুলো টাকা দিয়ে কি করবেন? আপনার সেই বোন তো মারা গেছে তাই না? তবু কিসের দরকার এতো টাকা।

– আমি দেশ ছেড়ে চলে যাবো, বেশ কিছু টাকা নিয়ে এই দেশ ত্যাগ করবো। একটা আমার শত্রুর কোনো অভাব নেই, বাঁচতে হলে বাকি দিনগুলো বিদেশে থাকতে হবে।

– সাজু ভাইকে যে মেইল করেছেন সেখানে তো বললেন যে দাদাজান নামের একজন আপনাকে মারার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে।

– হ্যাঁ, একটা সময় আমি তার হয়ে কাজ করতাম। এখন সে আমার শত্রু আমিও তার শত্রু।

– আমার স্বামীকে কীভাবে খুন করেছেন?

– খুব সহজ পদ্ধতি।

– কিরকম?

লতার চোখে টলমল করছে পানি। কিন্তু স্বামীর বিষয় প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে। এখনো তার যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ফিরোজ আর পৃথিবীতে নেই। মানুষটা এতদিন দুরে ছিল কিন্তু ফিরে আসবে সেই ভরসা ছিল। কিন্তু এখন তো সেই আশা নেই।

– আপনার স্বামীর সিটের কাছে গিয়ে প্রথমে একটু দাঁড়িয়ে রইলাম। ছোট্ট একটা অজ্ঞান করার স্প্রে হাতে নিয়ে কৌশলে সেটা ফিরোজ সাহেবের সিটে হাতে দিয়ে আস্তে আস্তে তার নিশ্বাসে ওঠানামার সামনে ছাড়তে লাগলাম। একটু পরে সে ঘুমের মতো অজ্ঞান হয়ে গেল। তারপর আমি আমার পকেট থেকে সিরিঞ্জ ভর্তি কেমিক্যাল বিষ বের করে সেটা ঘাড়ের কাছ থেকে শরীরে দিয়ে দিলাম। ব্যাস, কাজ শেষ। ঘুমের মধ্যেই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেল ফিরোজ সাহেব।

লতা খাবার চিবানো বন্ধ করে রবিউলের দিকে তাকিয়ে রইল। একটা মানুষকে খুন করার ঘটনা কতো স্বাভাবিক ভাবে বর্ননা করছে রবিউল। যারা খুনখারাবি করে তারা এতটা কঠিন হৃদয়ের মানুষ হয় কীভাবে?

– আপনি বলেছিলেন আপনার বাচ্চাকে বাঁচাতে আপনি সবকিছু করতে পারবেন তাই না?

– হ্যাঁ, যা বলবেন তাই করবো?

– বিয়ে করতে পারবেন আমাকে?

– কিহহ?

– সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে আমাকে বিয়ে করে বিদেশে চলে যেতে পারবেন?

– তারচেয়ে বরং আমাকেও মেরে ফেলুন।

– তাহলে তো পুরো পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যাবে। আচ্ছা বাদ দেন, ফাজলামো করলাম। আপনার সন্তানকে বাঁচাতে হলে আপনার সমানে একটাই রাস্তা খোলা আছে।

– কি পথ?

– আপনি আমার সঙ্গে ঢাকা যাবেন, তারপর আমি সেখানে গিয়ে তিনজনকে মারবো। আর তার ফাঁকে ফাঁকে আপনার সম্পত্তির সব কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবো। মারার কাজ শেষ হলে আপনার সব টাকাপয়সা লিখে নিয়ে আমি আপনাকে মুক্তি দিয়ে দেবো। আর ততদিন আপনাকে আমার হাতে বন্দী থাকতে হবে।

লতা কিছু বললো না। চুপচাপ রবিউলের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে রইল। রবিউল বললো,

– আপনাকে নিয়ে আমি ঢাকা ঢাকা যাবো, কিন্তু পথে কেউ যেন বুঝতে না পারে আপনাকে আমি জোর করে নিয়ে যাচ্ছি। স্বাভাবিক মানুষের মতো বাসে করে আমার সঙ্গে যেতে হবে।

– ঠিক আছে যাবো।

– এখন আমি আপনার বাবার কাছে কল দেবো। তাকে বলবেন আপনাকে খোঁজাখুঁজি করার যেন চেষ্টা করে না। সব পুলিশের কাছে বলতে বলেন যে আপনাকে পাওয়া গেছে আপনি আপনার বাবার কাছে আছেন।

– আমার বাবা কোনদিন মিথ্যা বলে না।

– আপনারা বাঁচাতে হলে এখন বলতে হবে।

রবিউল আরেকটা সিম লাগিয়ে নিলো। তারপর লতাকে বললো তার বাবার নাম্বারে কল দিতে। লতা নাম্বার বলার পরে রবিউল কল দিলাে।

– হ্যালো কে, পুলিশ নাকি গোয়েন্দা?

– পুলিশ বা গোয়েন্দা কেউ নয়, পুলিশ গোয়েন্দা মিলে যাকে খুঁজছে আমি সেই রবিউল।

– তুমি? আমার মেয়ে কোথায়?

– আমার কাছেই আছে, চট্টগ্রামে কল দিয়ে সব পুলিশের কাছে বলবেন যে আপনার মেয়ে সুস্থ আছে। সে এখন আপনার হেফাজতে আছে।

– কয়েক ঘন্টার মধ্যে তোমাকে খুঁজে বের করা হবে, জাস্ট কয়েক ঘন্টার ব্যবধান।

– ঠিক আছে তাই হোক। আপনাকে একটা কথা বলতে কল দিলাম। আপনার ব্যবসায়িক বন্ধু যাকে আমরা দাদাজান বলে ডাকি তার সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই। যেভাবে হোক আপনি সেই ব্যবস্থা করবেন। নাহলে আপনার অফিসের সামনে নর্দমায় লতার গলাকাটা শরীর পাবেন।

রবিউল কল কেটে দিল। আরেকটা নাম্বারে কল দিয়ে শুধু বললো,

– আপনাকে যেভাবে কাগজপত্র তৈরি করতে বলেছি সেভাবেই করুন। আমি আজকে দুপুরের মধ্যে ঢাকা আসতেছি।

মোবাইল কল কেটে দিয়ে লতার দিকে তাকিয়ে সে বললো,
– আপনি যাবার জন্য প্রস্তুত? ওয়াশরুমে যেতে হলে এখনই চলে যান।

– পাশের রুমের আঙ্কেল? তারপর এই লাশ?

– সকাল দশটার মধ্যে পুলিশ, সাজু ভাই এরা সবাই এখানে চলে আসতে পারবে। তবে আমরা ততক্ষণে কুমিল্লা পার হয়ে যাবো৷

– আমার সন্তানকে ক্ষতি করবেন না তো?

– কথামতো কাজ করলে কিছু করবো না। আর হা, আরেকটা কথা বলতে চাই।

– বলেন।

– তিথি বিথির কারণে আমি ফিরোজকে হত্যা করিনি, তাকে হত্যার কারণ আরেকটা ছিল।

– তাহলে সাজু ভাইকে যে বললেন?

– ইমোশনাল + বিভ্রান্ত করার জন্য।

★★★

সাবরিনার কল রিসিভ করলেও কথা বলতে পারলো না সাজু ভাই। সাবরিনা কিছু না বলে কল কেটে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে।

লতার বাবা যে লোকটাকে গতকাল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন তার পরিবারের কেউ জানে না সে কোথায় গেছে। গতকাল থেকে সে এখনো বাসায় ফেরেনি, মোবাইল বন্ধ। লোকটার মোবাইল নাম্বার নিজের কাছে রাখলেন সাজু ভাই। ডিবি হাসানের কাছ থেকে কল লিস্ট বের করতে হবে। কিন্তু সে অনেক বেলা হয়ে যাবে।

|

মিজানসহ বাকিদের সবার ছবি অনলাইনে প্রচার করা হয়েছে। সকাল আটটার দিকে একটা ছেলে পুলিশের কাছে কল দিয়ে বললো সে নাকি মিজান এর বাসা চিনে৷ সেই ছেলের বলা ঠিকানায় কে আছে সেটা দেখতে যাচ্ছে এসআই নিজাম ও তার দল এবং সাজু ভাই।

সাজু ভাই কিছুক্ষণ আগে রামিশার সঙ্গে কথা বলে নিলেন। রামিশা যখন জানতে পারলো যে সাজু ভাই রাত তিনটা থেকে বাহিরে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন বেশ অবাক হয়ে গেল।
খানিকটা অভিমান নিয়ে বললো,

– সবসময় নিজের কথা না ভেবে অন্য কারো জন্য একটু ভাবতে হয়। কিছু একটা হয়ে গেলে তখন আমিও লতার মতো পাগলি হয়ে যাবো।

– সাজু হাসি মুখে বললো, মৃত্যু যদি কপালে থাকে তাহলে তো সেটা মোছা যাবে না। যেটা আমি নেশা হিসেবে করি সেটা বাদ দেবো কী করে?

– আপনি কোথায়?

– তুমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নাও তারপর বলবো কোথায় আছি।

– সাবধানে থাকবেন কিন্তু।

– আচ্ছা।

রাতে রবিউলের পাঠানো মেইলটা হাসানের কাছে পাঠিয়ে দিল সাজু। নিচে লিখে দিল,
” আপনাকে একটু এই গার্মেন্টস আর কলোনি খুঁজে বের করতে হবে। তাছাড়া গতকাল যে কাজগুলো দিলাম সেগুলো তো আছেই। ”

★★★

একই রুমের মধ্যে চারটা লাশ পরে আছে। সাজু পাশের রুমে গিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখা লতার বাবার বন্ধুকে দেখতে পেল।
মিজানের ঠিকানায় যাবার আগেই তাদের কাছে থানা থেকে খবর দেওয়া হয় খুলশীর এক বাড়িতে নাকি চারটা লাশ পাওয়া গেছে। এসআই নিজাম তাই সরাসরি সেখানে চলে এসেছেন।

ছবি তোলার জন্য পকেট থেকে মোবাইল বের করলেন সাজু ভাই। ৩৪ মিনিট আগে একটা নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে। সেখানে ঢাকার মিরপুরের একটা ঠিকানা লেখা আছে।
সেই ঠিকানার নিচে কিছু লাইন।

” গতকাল রাতে পাওয়া মেইলটা ডিলিট করে দিবেন। ওটা আমার সাজানো একটা গল্প। উপরে যে ঠিকানা দিলাম সেখানে তিথি বিথিকে পাবেন। লতাকে নিয়ে রাজধানীতে রওনা দিলাম। আপনি চাইলে চট্টগ্রামে ভাবির সঙ্গে কিছুদিন ঘোরাঘুরি করতে পারেন। আবার আমার পিছনেও আসতে পারেন। ”

|.|.|

চলবে….

লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম।