ছদ্মবেশে লুকানো ভালোবাসা পর্ব-০৪

0
1122

#ছদ্মবেশে_লুকানো_ভালোবাসা
#মৌমি_দত্ত
#৪র্থ_পর্ব

– কি হলো ইনায়াত?? হুডি খুলো!! আমি কখনো তোমাকে দেখিনি ইয়ার। লজ্জা না পেয়ে,,হুডিটা খুলো ব্রো।
ইনায়াত কুলকুল করে ঘামতে লাগলো। মাথার হুডিটা আরো আলতো টেনে ধরাতে তার মুখের অংশটা আরো অন্ধকার হয়ে এলো। হাতের কাছে থাকা পানির গ্লাসটা এক নিঃশ্বাসে শেষ করে দিলো সে। আফিম ভয় পেয়ে গেলো ইনায়াতের এমন অস্থিরতা দেখে।
– হেই!! কুল ডাউন। লাগবে না হুডি খোলা। এতো অস্থির হওয়ার কি আছে??
এই যাত্রায়ও আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেলো ইনায়াত।
.
.
৪ দিন পর অফিস এসে অনেকটা ফাইল জমা দেখলো ইনায়াত আফিমের টেবিলে। সবগুলো নিয়ে আফিমের কেবিনের সোফায় বসলো। এক এক করে সব দেখতে লাগলো। আবার ঘড়ির দিকেও খেয়াল রাখছে ক্রমশ। আফিম এখন একটা মিটিং এটেন্ড করছে। আফিম ঠিক ১২ টায় মিটিং থেকে বের হবে। আর মিটিং থেকে বের হয়েই আফিম সবার প্রথমে এক কাপ রঙ খাবে,,, কোন চিনি ছাড়া। যেটা বানিয়ে দেয় ইনায়াত নিজেই। এই রঙ চায়ের অভ্যেস নতুন আফিমের কাছে। ইনায়াত অনেক ভালো চা বানায় বিভিন্ন জিনিস যেমন,, এলাচ,,তেজপাতা,, চাপাতা,, আদা,, লেবু,, চিনি দিয়ে। এই চাটা অসাধারণ লাগে আফিমের।
ঠিক ১২ টা বাজতেই ইনায়াত দেখলো আর শুধু ২ টা ফাইল বাকি। চেক করে রাখা ফাইলগুলো টেবিলে সাজিয়ে রেখে চলে গেলো কেবিনের কোণায় রাখা ইলেক্ট্রিক চুলোর কাছে। চা বানানোর জন্য পানি ফুটতে দিয়ে ওখানে দাঁড়িয়েই হাতের ফাইল চেক করতে লাগলো। চা বানাতে বানাতে একটা ফাইল চেক করা শেষ হয়ে গেলো তার। তখনই রুমের দরজা খুলে বিরক্তি নিয়ে প্রবেশ করলো আফিম। ইনায়াত দ্রুত এক কাপ চা ঢেলে নিয়ে আসলো আফিমের টেবিলের কাছে। আফিম ততোক্ষনে গায়ের কোট খুলে মাটিতে ছুড়ে মেরেছে। টাইটা গিয়ে জায়গা করেছে টেবিলের কলমদানীতে। আর শার্টের সবগুলো বোতাম খুলে বসে আছে চেয়ারে মাথা হেলিয়ে দিয়ে। আফিম বিরক্তি নিয়েই চায়ের কাপ তুলে নিলো। রুমের এসি বাড়িয়ে দিলো এক হাতে। তারপর চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে ফুঁ দিয়ে চায়ে একটা চুমুক দিলো। মুহুর্তেই কপালের ভাঁজ কিঞ্চিত কমে আসলো আফিমের। ভ্রু কুঁচকে থাকা অবস্থায় ঠোঁটের এক কোনা বেঁকিয়ে মৃদু হাসলো আফিম। তা দেখে ইনায়াতও মুচকি হাসলো। তবে মাস্কের জন্য তা চোখে পড়লো না আফিমের। ইনায়াত মাটি থেকে কোট তুলে সোফায় রাখলো ভাঁজ করে। কলমদানী থেকে টাই নিয়ে কোটের উপরেই রাখলো। বাকি থাকা একটি মাত্র ফাইল সোফায় বসে চোখ বুলাতে লাগলো।
চায়ের কাপ শেষ করতে করতে মাথার বিরক্তির রেখা একদম ভ্যানিস হয়ে গেলো আফিমের। চাটা খেলেই নিজেকে কেমন তরতাজা অনুভব করে সে। মনটা ফুরফুরে লাগে। হাতের শেষ ফাইলটা শেষ করে টেবিলে এনে গুছিয়ে রাখলো ইনায়াত।
– স্যার!! একটু আগে মিটিংয়ে কোন প্রব্লেম হয়েছে কি??
– হুম। প্রজেক্টের সাইট দেখাতে নিয়ে যেতে হবে ওদের। ল্যাপটপে দেখে নাকি ডিল ফাইনাল করবে না ওরা।
– ডিলটা তো অনেক দরকার স্যার। অনেক লাভজনক।
– হুম। তাই আগামী কাল তুমি আর আমি যাবো।
– ওকে স্যার!! আপনি আমাকে টাইম বলে দিন। আমি নোট করে নিচ্ছি।
– কালকে আমরা ১০ টায় বের হবো। কয়েকটা দিন থাকতে হবে আমাদের ওখানে। হোটেল বুক করে নাও। আর ৩ দিন পরের রিটার্ন টিকেট বুক করো। ওকে??
– ওকে স্যার!! হয়ে যাবে।
– আর হ্যাঁ,,, মা আর বাবা ফিরছে কালকে। তাই সার্ভেন্টদের বলে দিও।
– ওকে স্যার!!
– আর হ্যাঁ!! রাতের জন্য তানিয়াকে বুক করো।
এতোক্ষন সব ঠিক চললেও এখন নাক মুখ কুঁচকে এলো ইনায়াতের। বুক কিসের জন্য কর‍্যে বলেছে তা ভালোই জানা তার।
– কিন্তু স্যার!! মিস তানিয়া তো,,
আফিম ইনায়াতের কথার মাঝেই বললো,,
– ইউ ইডিয়ট!! আমার জন্য না। তোমার জন্য বুক করো ভালো অংকের টাকা দিয়ে। রাতটা এঞ্জয় করার পাশাপাশি ডিলও সাইন করিয়ে নিও। আমি চাই ও যেন আমার মডেল হিসেবে সাইন করে। একবার সাইনটা করলেই ওকে আমি বুঝিয়ে দেবো আফিম আহসান কি জিনিস!!
ইনায়াত নাক মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে রইলো। কিছুক্ষন চুপ থেকে ও বললো,,
– স্যার!! আমার জন্য কিভাবে?? আপনি অন্য কোন আইডিয়া বলুন না।
আফিম ভ্রু কুঁচকে তাকালো ইনায়াতের দিকে।
– এই!! তোমার মেয়ে ভালো লাগে না??
– স্যার!! আমার মেয়ে ভালো লাগবে কেন??
ইনায়াতের কথা শুনে তড়াক করে লাফিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো আফিম।
– হোয়াট!! আর ইউ গে?? এতোদিন বলোনি কেন তুমি গে??
এমন কথা শুনে যেন ইনায়াতও চমকে তাকালো আফিমের দিকে।
– না না স্যার!!! ছি!! আমি গে টে না।
– তাহলে সমস্যা কি??
আফিম চেয়ারে বসতে বসতে বললো। ইনায়াত কি বলবে ভাবতে লাগলো। হঠাৎ মাথায় যা এলো তাই বলে ফেললো,,
– স্যার!! পার্টসে প্রব্লেম চলছে।
আফিম পানির গ্লাস নিয়ে পানি খাচ্ছিলো। ইনায়াতের কথা শুনে ফুউউ করে সব পানি ফেলে দিলো।
– হোয়াট!!
ইনায়াত নিজের উপরেই নিজে রেগে গেলো। আর কোন কথা পেলো না সে?? এখন আর কি করার?? ইনায়াত তাই বাধ্য হয়েই বললো,,
– হ্যাঁ স্যার!! পার্টসে প্রব্লেম চলছে।
আফিম হালকা খুক খুক কেশে গলা পরিষ্কার করলো। এদিক ওদিক তাকালো অস্থির ভাবে। টেবিলে হাত টাওয়ারের মতো উঁচু করে তার উপর মুখের ভর দিয়ে গম্ভীর দৃষ্টিতে বললো
– গার্লফ্রেন্ড জানে??
– ওরও পার্টসে সমস্যা স্যার।
তাড়াহুড়ায় মাথায় যা এলো এবারও তাই বলে ফেললো ইনায়াত দ্রুত। ইনায়াতের কথা শুনে হাতের ব্যালেন্স হারিয়ে ধুপ করে পড়তে পড়তেও পড়লো না আফিম। নিজেকে সামলে নিলো কোনভাবে। ইনায়াত আর কিছু না বলে লজ্জায় মাথা নিচু করে বের হয়ে এলো কেবিন থেকে।
– স্টুপিড নাকি ইডিয়ট তুই?? এই উত্তর কে দেয় নিজেকে বাঁচাতে??
কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে বসলো ইনায়াত। আর কেবিনের ভেতর বসে থাকা আফিম কিছুক্ষন কেবিনের দরজার দিকে তাকিয়ে বললো,,,
– স্টুপিড নাকি ইডিয়ট তুই আফিম?? এই প্রশ্নগুলো কে করে কৌতুহলী হয়ে??
দুই প্রান্তের দুইটি মানুষের বুলি তো একই হলো। এখন সামনে কি হবে??
.
.
রানা অনেক কষ্টে লুকিয়ে একটা বডিগার্ডের ফোন চুরি করে নিলো। বডিগার্ডটা ওয়াসরুমে যাওয়ার আগে ফোন টিপছিলো। তাড়াহুড়ায় মোবাইলটা ওয়াসরুমের বাইরে থাকা ছোট টেবিলের উপর রেখে চলে গেলো ওয়াসরুমের ভেতর। রানা সেই ফোনটাই নিয়ে নিয়েছে। নাম্বার মুখস্ত রাখার অসাধারণ এক প্রতিভা আছে রানার ছোট থেকেই। এস.এ’র খাস মানুষ আর রাইট হ্যান্ড কালামকে কল লাগালো রানা দ্রুত নাম্বার তুলে।
এস.এ,, আন্ডারওয়ার্ল্ডের বাদশাহ যে বিদেশবিভুঁইয়ে নিজের ত্রাস ছড়িয়ে দিয়েছে সবার মাঝে। চরিত্রহীন,, নেশাখোড় সে। তবে ন্যায়ের জন্য কাজ কর‍তে গিয়ে তার পা পিছায় না। এস.এ’কে নেহায়েত খাস মানুষরা ছাড়া আর কারোর দেখার সুযোগ হয়নি। খাস মানুষ না হলেও একটা বিজনেসের ঝামেলার জন্য এস.এ’কে দেখবার সুযোগ ইরশাদের হয়েছিলো। আর রানা সবসময় ইরশাদের সাথে থাকে বলে তারও হয়েছিলো।
দুইবার রিং হতেই ফোন রিসিভ হলো কামালের। ফোন রিসিভ করেই কামালের প্রশ্ন,,,
– হ্যালো?? কে??
– কামাল বলছেন কি??
রানার আওয়াজ চিনতে পারলো না কামাল। চেনার মতো কোন ব্যাপারও নেই। তাই হয়তো কিছু সেকেন্ড সময় নিলো রানার প্রশ্নের উত্তর জানাতে।
– হ্যাঁ কামাল বলছি। আপনি কে??
– আমি ইরশাদ মির্জার পিএ রানা খন্দকার বলছি।
কিছু সেকেন্ড চুপ থেকে আবারও রানা মুখ খুললো।
– কি চায়??
– সাহায্য চাই। এস.এ’র সাহায্য দরকার খুব।
– আর সাহায্য কেন চায়??
– ওহ শিট!! ওরা আসছে। আপনি একটু তাহজিব খানের বাড়িতে ঢুকে কোনমতে আমার সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করুন। সবটাই লুকিয়ে করবেন কিন্তু। প্লিজ,, সাহায্য দরকার খুব করে।
কারোর পায়ের আওয়াজ পেয়ে উপরের কথাগুলো এক শ্বাসে বলেই ফোন কেটে দিলো রানা। কললিস্ট থেকে নাম্বার ডিলিট করে মোবাইলটা একই জায়গায় রেখে কয়েক পা এগিয়ে হাঁটা দিলো। একটু যেতে না যেতেই মুখোমুখি হলো তাহজিব আর কিছু গার্ডের। গার্ডদের সাথে কথা বলতে বলত্র এদিকটায় আসছিলো তাহজিব। রানাকে এখানে দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো।
– তুই এখানে?? কি করছিস??
রানা নিজেকে একদম শান্ত দেখানোর চেষ্টা করলো। যদিও মনের মধ্যে ভয়ে তার ঝড় তুফান চলছে। অবশ্য শান্ত দেখাবার নাটকটা সফলও হলো তার।
– আপনার কাছে যাচ্ছিলাম। মামনির খোঁজ পেলেন কিছু?? এমন দেশের পরিস্থিতি আর মেয়েটা কোথায় না কোথায় আছে!! ভালো আছে তো মামনি??
রানা সুযোগ বুঝে ঠিক তাহজিবের দূর্বল জায়ায় আঘাত হানলো। আঘাতটা কাজেও দিলো। মুখ শুকিয়ে গেলো তাহজিবের। মাথা বাচ্চাদের মতো দুইদিকে নাড়িয়ে নাবোধক উত্তর জানালো সে। যার অর্থ খোঁজ পায়নি কোন।
– আমার চাঁদকে ভালো রাখবে আল্লাহ। আমার মোনাজাতের দাম দেবে আল্লাহ আশা রাখি।
এতোটুকু বলেই শুকনো মুখেই চলে গেলো তাহজিব সামনের দিকে। গার্ডসরাও পিছু পিছু চলে গেলো তার। রানা তাহজিব যাওয়ার আগে তার কথাগুলো শোনার পাশাপাশি চোখের কোণে চিকচিক করতে থাকা জল আর চোখের নিচে পড়ে যাওয়া কালি খুব ভালো করেই দেখেছে। তাহজিব জায়গাটা ছেড়ে চলে যেতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো রানা মাথা নিচু করে। যে দীর্ঘশ্বাসের মাঝে লুকিয়ে ছিলো অসহায়ত্ব,, ক্লান্তি,, তাহজিবের প্রতি মায়া,, আর মালিকের প্রতি বিশ্বস্ত হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। তবে একটা জিনিস রানা মনে প্রানে বিশ্বাস করে। তাহজিব খান অনেক খারাপ তা ঠিক। কিন্তু সে যে ইনায়াতকে ভালোবাসে না তা বিশ্বাসযোগ্য না। কেননা এই ছেলেটা সারা দিন রাত শুধু ” চাঁদ ” নাম জপে বেড়ায়। মোনাজাতে কান্না করে আল্লাহর কাছে। খেতে বসলেই আনমনা হয়ে ভাবে চাঁদ কি খাচ্ছে। এসব কিছু রানা নিজের চোখে দেখে। চাঁদের জন্য কাঁদতে পারে যে ছেলে,, সে ছেলে আর যাই হোক। ” ভালোবাসে না ” এমন মিথ্যে অপবাদ নেওয়ার মতো মানুষ না তাহজিব। হয়তো ইনায়াতকে পেলে সে সব খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো হয়ে যাবে। কে জানে!!
রানার মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে তাহজিবের জন্য। মাঝে মাঝে মনে হয় ছেলেটার বুকে ইনায়াতকে তুলে দিয়ে বলতে,,, ” যাও বাবা!! সুখে থাকো দুজন “। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব না। কারণ সে ইনায়াতের বাবা নয়। আর সে যে তার মালিকের বিশ্বস্ত। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে রুমে এসে খাটের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলো এই অসময়ী বিকেলে শুয়ে আছে ইরশাদ সাহেব। যে লোক কাজ ছাড়া কিছু বুঝতো না। সে এখন ক্লান্ত হয়ে বিছানায় দিন কাটায়। ভাগ্যের কি নির্মম উপহাস!! জানলার ধারে গিয়ে এসবই ভাবতে লাগলো রানা।
.
.
তাহজিব বাগানে বসে আছে। রানার একটু আগের বলা কথাটা তার বুকের মাঝে হাহাকার বাড়িয়ে দিলো দ্বিগুন। আসলেই তো!! ” মেয়েটা ভালো আছে তো,, কি খাচ্ছে,, কোথায় থাকছে,, সুস্থ ও নিরাপদ আছে তো?? ” এসব প্রশ্ন যে কিলবিল করে মনের ভেতর তাহজিবের। বুক ফেঁটে যায় তার। রাতের বেলা ঘুম হতে চায় না দুঃস্বপ্নের জন্য। মনে হয় মেয়েটা হয়তো ভালো নেই,, বিপদে আছে। হয়তো আসলেই মেয়েটা পালিয়েছে ঠিকই। কিন্তু ফিরে আসতে চেয়েও পারছে না।
এসব কথা মাথায় আঘাত করলেই ভেঙ্গে পড়ে তাহজিব। বারবার মনে হয়,, একটু এই প্রাণ টা শেষ হয়ে যাক। এতোদিন একজন নামকরা মাফিয়া হিসেবে খুব ভালোই গর্ব করতো তাহজিব। কিন্তু এখন ঘেন্না হয় তার নিজেকে দেখলে। সে মাফিয়া বলেই তো ইনায়াত তাকে ভয় পেয়ে পালিয়েছে। এমন মাফিয়া হয়েও তো সে ইনায়াতকে খুঁজে পাচ্ছে না,, নিজের করতে পারছে না। এমন মাফিয়া হয়ে কি লাভ আর?
এইসব কথা সুর্যাস্ত দেখতে দেখতে ভাবছে তাহজিব মন দিয়ে।
– কোথায় আছো চাঁদ আমার?? আমার রাণী?? তুমি ফিরে এসো একবার। অনেক ভালোবেসে বুকে আগলে রাখবো তোমায়। ভালোবাসি চাঁদ। এই পৃথিবীতে তুমিই একমাত্র মানুষ বা তুমিই একমাত্র জিনিস যা আমার ভালোবাসা পেয়েছে,, মনের দখল পেয়েছে।
বিড়বিড় করে কথাগুলো বলেই চোখ বন্ধ করে নিলো তাহজিব। চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়লো এক ফোঁটা নোনা জল। যেখানেই সে কোন কিছু সুন্দর দেখে,, সেখানেই সে তার চাঁদের ছোঁয়া পায়। মনে হয় এই সুন্দর জিনিসটাই তার চাঁদ।

তাহজিবের পাগলামী,,, এস.এ নামক চরিত্রের আগমন,,, আফিমের অগোছালো জীবন,,,আর ইনায়াতের একাকীত্বতা আর ক্লান্তি,,, সব মিলিয়ে গল্প কোনদিকে মোড় নেবে??

চলবে,,