ছদ্মবেশে লুকানো ভালোবাসা পর্ব-০৩

0
1030

#ছদ্মবেশে_লুকানো_ভালোবাসা
#মৌমি_দত্ত
#৩য়_পর্ব

বিরক্তি নিয়ে মিটিং রুম থেকে বের হয়ে এলো আফিম। ইনায়াতের অভাব সে বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে। একটাদিনও পার হয়নি ইনায়াতের ছুটি নেওয়াতে। অথচ আফিমের মনে হচ্ছে কতোদিন হয়ে গেছে। অফিসের সব কাজ ইনায়াত দেখে নিতো। এখন আফিমকে দেখতে হচ্ছে। ফাইলস আর কাগজি কাজসব শুধু সাইন করবার জন্য আফিমের কাছে আসতো,, বাদবাকি চেকিং ইনায়াত করতো। কিন্তু এখন আফিমের টেবিল জুড়ে শুধু ফাইল জমছে। আফিমের কফি,, ল্যাপটপের ফাইলগুলো,,, পুরো রুম,,, টাইমের মধ্যে লাঞ্চ সব কিছু ইনায়াত ৩ টা সপ্তাহ এমন ভাবে গুছিয়ে খেয়াল রেখেছে যে,, অফিসটাই এখন ইনায়াতের বলেই মনে হচ্ছে আফিমের। এতো প্রেশারে সে বিরক্ত। নিজের কেবিনে ঢুকে সফট মিউজিক ছেড়ে দিলো মৃদু আওয়াজে। আফিমের কেবিনেও গেস্টদের কথা ভেবে একটা মিনিবার রাখা হয়েছে। যদিও এখানকার বেশির ভাগ মদের বোতল আগে আফিমই শেষ করতো আর মাতাল হয়ে পড়ে থাকয়ো কেবিনের কোনায়। কিন্তু গত ৩ সপ্তাহে ইনায়াত বাসায় ছাড়া তাকে আর কোথাও মদ খেয়ে মাতলামি করতে দেয়নি। যার ফলে আফিমের সম্পর্কে বদনামিগুলো অনেকাংশে কমে এসেছে। বিজনেসে তার ভালো এফেক্ট দেখা দিয়েছে।
– ইশশ!! ছেলেটার কেন যে গার্লফ্রেন্ড জুটলো!! আমার পুরা লাইফ শিডিউল নড়বড়ে হয়ে গেছে।
মাথা চেপে ধরে নিজেকেই নিজে শুনিয়ে বললো কথাগুলো চেয়ারে বসে আফিম। চোখ খুলে একবার মিনিবারের দিকে তাকালো। তারপর ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে একটা গ্লাস নিয়ে মদের বোতল খুলতে লাগলো। তখনই মোবাইল রিং হলো। বুঝতে বাকি নেই কলটা ইনায়াতের। মদের বোতলটা আবারও সেখানটায় রেখে টেবিলের উপর থাকা জুসের ঢাকনা দিয়ে রাখা গ্লাসটা তুলে নিলো। সিসি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে গ্লাস উঁচু করে ধরে বললো,,
– দেখো!! খাচ্ছি জুস। মদ খাচ্ছি না। শান্তি!!
নাক মুখ কুঁচকে আপেলের জুসটা খেয়ে নিলো আফিম। এরপর গায়ের কোর্ট খুলে চেয়ারে রেখে শার্টের হাতা ফোল্ড করে ফাইল নিয়ে বসলো। একের পর এক চেক করতে থাকলো।
প্রায় দুপুর একটার দিকে মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠলো আফিমের। আফিম কাজে এতোটাই ডুবে গেছিলো যে সে প্রথমবার কল খেয়ালই করেনি। দ্বিতীয়বারের কলে সে বিরক্ত হয়ে ” চ ” জাতীয় আওয়াজ করে তাকালো মোবাইলের দিকে। রিং হতে হতে কেটে গেলো। তখনই দরজায় কেও টোকা দিলো।
– কাম ইন!!
বিরক্তি নিয়ে বললো আফিম। রুমের ভেতর ঢুকলো দীপ। তার হাতে লাঞ্চ বক্স। আফিম দীপকে এখানে দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেললো। পরক্ষনেই লাঞ্চবক্স দেখে মৃদু হাসলো। ইনায়াত ছেলেটা আসলেই অসাধারণ ব্যাপারটা আবারও উপলব্ধি করলো। মোবাইল জোড় শব্দে আবারও বেজে উঠলো। আফিম হাত বাড়িয়ে মোবাইল নিলো। ইনায়াতের নাম জ্বলজ্বল করছে স্ক্রিনে। আফিম মৃদু হেসে কল রিসিভ করলো।
– হ্যালো!!
– আপনার খাবার চলে এসছে স্যার!! খেয়ে নিন।
– হুম। অফিসে না এসেও জ্বালাতে ভুলছো না ভাই!! আমার জীবনটা তুমি কখন ছাড়বে ইনায়াত??
– স্যার!! যেদিন লাবিবা ম্যাম আপনাকে বিয়ে দিয়ে আমাকে মুক্তি দেবে।
– হেই!! ভালো কথা মনে পড়েছে। তোমার কোন বোনটোন আছে। বা কাজিন,, যে তোমার স্বভাবের।
– কেন স্যার??
– না মানে বিয়েটা সেড়ে নিতাম। অন্তত পক্ষে কয়েকদিন অফিস আসা লাগতো না।
– সরি স্যার!! আমি আমার ব্যবসায়ী বড়লোক বাবার অনেক আদরের একটামাত্র রাজকন্যা। নো বোন ,, নো কাজিন আর আনফরচ্যুনেটলি নো ফ্রেন্ড।
ইনায়াতের কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেলো আফিমের।
– বড়লোক?? ব্যবসায়ী?? রাজকন্যা?? মানে কি এসবের??
– স,,স্যার,, আম,,আমার সি,,সিগ্ন্যাল,, পা,,না
অপরপাশ থেকে ফোনটা কেটে গেলো চট করে। আফিম ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো মোবাইলের দিকে। ইনায়াতের কথাগুলোর মানে বুঝলো না সে কিছুই। অবশ্য ইনায়াত মানে ছাড়া এমন হাজারটা কথা হুটহাট প্রায়ই বলে ফেলে। এসবই ভাবছিলো আফিম। তখনই দীপ ডাক দিলো।
– স্যার খাবার রেডি। খেয়ে নিন।
– হাহ!! হুম। খেয়ে নিচ্ছি।
মাথার সব চিন্তা ঝেড়ে খেতে বসলো আফিম। চামচটা তুলে সিসি ক্যামেরায় দেখালো যে সে খাওয়া স্টার্ট করছে।
.
.
আজকে সারাটাদিন পেট ব্যাথায় পুরো খাট গড়াগড়ি করে কাটিয়েছে ইনায়াত। আবার পাশাপাশি খেয়ালও রেখেছে আফিমের দিকে। আফিমের জন্য তার বিশেষ কোন মাথাব্যাথা নেই। আফিমকে নিয়ে সে সবসময় ব্যস্ত থাকে লাবিবার জন্য। খুব ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে ইনায়াত। ইরশাদ সবসময় তাকে ভালোবাসা ও স্নেহে মুড়ে রাখলেও কোন দিক দিয়ে ঠিকই একটা মায়ের কমতি সে অনুভব করেছে সারাটা জীবন। যদিও কাওকে বুঝতে দেয়নি সে বিষয়টি। আফিমকে বাঁচানোর পর যখন লাবিবার সাথে দেখা হলো তখন যেন বুঝলো সে কমতিটা খুব করে। অফিসের কাজে প্রায়ই তাকে যেতে হয়েছে আফিমের বাসায়। তখন সে আফিমকে নিয়ে অতো বেশি নাক গলাতো না। এমনিই বস আর পিএর সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু লাবিবার সাথে দেখা হতে থাকায় লাবিবার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ে ইনায়াত। লাবিবারও স্নেহ মায়া মমতা তৈরি হলো ইনায়াতের প্রতি। দিন যেতে লাগলো ইনায়াত লাবিবার মনের কথা জানতে পারলো। লাবিবার মনে সারাদিন আফিমকে নিয়ে কষ্ট সহ্য হলো না ইনায়াতের। তাই তো সে আফিমের ব্যাপারে এখন এতোটা মাথা ঘামায়। আফিমকে কোনভাবে যদি সে ঠিক করতে পারে তাহলে লাবিবা খুশী হবে।
– ভাগ্যিস জলদি ফোনটা কেটে দিয়েছি। চাঁদ,, তোকে আরো সতর্ক হতে হবে। আরো সতর্ক হতেই হবে।
নিজেকে নিজে কথাটা বললো ইনায়াত। কোন ধরনের ভুল সে করতে ইচ্ছুক না।
.
.
তাহজিব নিজের রুমে বসে আছে। চোখের নিচে কালি,, দৃষ্টি নিবদ্ধ ইনায়াতের বিশাল ছবিটায়।
– চাঁদ!! ফিরে আসো প্লিজ। একটা খোঁজ দাও নিজের। আমি ভালোবাসি তোমাকে। অনেক ভালোবাসি। কেন আমার থেকে শুধু পালাও তুমি চাঁদ?? কেন?? আমার হয়ে যাও না প্লিজ। হয়ে যাও না আমার রাণী।
চোখটা বন্ধ করে বসে থাকা ইজি চেয়ারটায় দুলতে লাগলো তাহজিব খান।
.
.
– রানা!! এস.এ কে খবর দিতে হবে মনে হচ্ছে।
ইরশাদ সাহেবের কথা শুনে চমকে উঠলো জানলার ধারে বসে থাকা রানা।
– কি বলছেন আপনি স্যার?? এস.এ?? ও তো ভয়ানক অনেক। ওকে কেন খবর দেবেন??
– ইনায়াতকে বাঁচাতে এস.এ কে খবর দিতেই হবে।
– স্যার!! আপনি ইনায়াত মামনিকে নিয়ে যাই সিদ্ধান্ত নিবেন ভালোই নিবেন জানি আমি। কিন্তু এস.এ?? সে তো খুবই বাজে একটা মানুষ। কোনভাবে যদি ইনায়াত মামনি তার নজরে পড়ে। তাহলে তো কেলেংকারী,,,,
ইরশাদ থামিয়ে দিলো রানাকে।
– রানা!! তাহজিবকে ওর লেভেলের উঁচুতে থাকা কাওকে দিয়ে মাত দিতে হবে। ইনায়াতকে এস.এ’র চোখে পড়তে দিলাম না। ও তো আর এখানে নেই। কিন্তু তাহজিব যদি খুঁজে পায় একবার আমার মেয়েকে। তাহলে যে,,
আর বলতে পারলেন না তিনি। রানা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,,
– ঠিক আছে। আমি কোনভাবে কল করবার ব্যবস্থা করছি।
– হুম। করো। জলদি করো।
.
.
দেখতে দেখতে কেটে গেলো ৪ দিন,,
ইনায়াতের ছুটি শেষে আজকে অফিসে যাবে। এই কয়েকদিনে সে অফিসে না আসলেও আফিমের পিছু ছাড়েনি। দীপকে দিয়ে খাওয়ার হাজির করিয়েছে ফোনে বলেই,, মদ খাওয়া থেকে আটকেছে অফিসে,, সকালে সকালে কল দিয়ে দিয়ে বিরক্ত করেছে আফিমকে ঘুম থেকে উঠাবার জন্য।
ইনায়াত গাড়ি ছুটিয়ে চলে এলো আহসান মঞ্জিল। দীপ ইনায়াতকে দেখেই মাথা নুইয়ে সম্মান দেখিয়ে নিজের কাজে মন দিলো। ইনায়াত সোজা চলে গেলো আফিমের রুমের উদ্দেশ্যে। গলা খাকাড়ি দিয়ে একবার নিজের গলার আওয়াজ মোটা করে ” হ্যালো হ্যালো ” সহ আরো কিছু কথা বলে দেখে নিলো ছেলেদের মতো শুনাচ্ছে কিনা। এরপর নিজের মাস্ক,, হুডি আর উইগ ঠিক আছে কিনা খেয়াল করে রুমের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো। আফিম অগোছালো হয়ে ঘুমাচ্ছে।
– স্যার!!!!! ও স্যাররররর!! স্যার উঠুনননন!! স্যার!!! উঠুন।
– থ্যাংক গড। এট লাস্ট আমি তোমার গলার আওয়াজ পাচ্ছি সকাল সকাল।
আজকে কোন কাহিনী করা ছাড়াই উঠে পড়লো এক লাফে আফিম। অবাক হলো ইনায়াত। আফিমের কপালে হাত ছুঁইয়ে দেখে নিলো জ্বর এসেছে কিনা।
– জ্বর তো আসেনি। তাহলে আজকে এই একটু ডাকে লাফিয়ে উঠে পড়লেন যে স্যার!!
– আই মিসড ইউ ইয়ার!! তুমি যেভাবে বুকের পাটা দেখিয়ে আমাকে বিরক্ত করো। ওইরকম সাহস সবাই দেখায় না। তুমি এই কয়দিন আমাকে বিরক্ত করোনি বলেই যেন আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম। ফাইনালি আমার অফিসে কাজ কম করলেও চলবে,,, খাবারের জন্য দীপ অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকবে না পলকহীন,,, এন্ড আমি মন ভরে মদ খেতে পারবো।
আফিমের কথাগুলো যেন মাথার উপর দিয়ে গেলো ইনায়াতের। আফিম আর কোন কথা না বাড়িয়ে টাওয়েল নিজে নিজেই ঢুকে গেলো ওয়াসরুমে। ইনায়াত কিছুক্ষন হা হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থেকে আফিমের বিছানা গুছিয়ে রাখায় মন দিলো। দীপকে কল দিয়ে ব্রেকফাস্ট টেবিলে রেডি করতে বলে দিলো।
আফিম ওয়াসরুম থেকে বের হলো টাওয়েল পড়ে। তা দেখে ইনায়াত মাথা নিচু করে ফেললো। আফিম মৃদু হাসলো।
– ব্রো!! তোমার গফ ছাড়া কাওকে দেখবে না ভেবেছো ওকে মানলাম। বাট আমি ছেলে। সো ব্যাপার না।
ইনায়াত নাক মুখ শিটকালো। তখনই আফিম আবার বলে উঠলো।
– তো!! গার্লফ্রেন্ড কেমন?? হট এন্ড সেক্সি?? নাকি সহজ সরল কিউট টাইপ??
– ইয়াক!!
ইনায়াত সহ্য করতে না পেরে বলে ফেললো। ইয়াক শুনে আফিম অবাক। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছিলো আফিম। হা হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো ইনায়াতের দিকে।
– হেই!! তোমার গার্লফ্রেন্ডকে কি বোনের মতো ট্রিট করো নাকি??
বলেই আফিম হো হো করে হেসে ফেললো।
.
.
ব্রেকফাস্ট টেবিলে ব্রেকফাস্ট করছে আফিম আর ইনায়াত বিভিন্ন বিষয়ে ডিসকাস করতে করতে। তখনই কল এলো আফিমের মোবাইলে। আফিম ফোন রিসিভ করলো। আর ইনায়াত খাওয়ায় মন দিলো। না চাইতেও আফিমের সাথে ব্রেকফাস্ট করতে হয় ইনায়াতকে। তখন মাথার উপরের হুডিটক বেশ ভালো করে টেনে তারপরেই মাস্ক খুলে সে। হুডিটা লম্বা করে টেনে দেওয়ার ফলে মুখটা অন্ধকার থাকে তার কিছুটা। মুখের আকার আন্দাজে বুঝা যায়। কিন্তু মুখ দেখা যায় না।
আফিমের ফোনে কল এসছে তার মায়ের। মৃদু হেসে কল রিসিভ করলো সে।
– হ্যালো!! কেমন আছো মা??
– আমি আপাতত ভালো আছি। থাকবো নাই বা কেন?? ইনায়াত আছে তো তোর খেয়াল রাখার জন্য।
– মা!! এই বয়সে ছেলের জন্য বৌ রেখে যায়। মায়েরা বলে ” বাবা আমার বৌমা আছে তো!! চিন্তা কিসের “। আর তুমি বলছো ইনায়াত আছে তো!! আই মিন ও কি বৌ আমার?? বিয়ে করে নিই ওকে??
আফিমের এমন কথা শুনে হিচকি উঠে গেলো ইনায়াতের। আফিম ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলো ইনায়াতের দিকে।
– যাহ পাগল!! শোন!! তোরা ভালো আছিস তো??
– আরেহ মা!! একদম ফিট এন্ড ফাইন। তোমাদের কি খবর??
– আরেহ!! এক জ্বালা তোর বাবাকে নিয়ে। এখানে এসেও তার সব কাজ আমাকে কর‍তে হচ্ছে।
– ওটা বাবার ভালোবাসার স্টাইল।
– যাহ পাকা ছেলে!! বিয়ে করিয়ে দিই?? তারপর বুঝা ভালোবাসার স্টাইল।
– আমি তো বলেছি মা!! একটা এমন মেয়ে খুঁজো যে আমাকে আমার কথা মেনে আগলে রাখবে। আই মিন!! উদাহরন হিসেবে ইনায়াতকে দেখো। আমার খেয়াল রাখে,, আমাকে বাঁচিয়ে রাখে খারাপ মিডিয়া থেকে,,, আমাকে আগলে রাখে। আর মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি আমাকে সব ভয় জয় করে ফেস করে ও। আমাকে বশে আনতে পারে তোমার মতো। এমন মেয়ে খুঁজে দাও। আমি নেচে নেচে যাবো বরযাত্রীর একদম সামনে থেকে।
– পাগল ছেলে আমার!! আচ্ছা শোন!! আমি এখন ফোনটা রাখছি। শান্তিতে যে একটু কথা বলবো তারও জো নেই। তোর বাবা আছে এর সাথে ওর সাথে পরিচয় করানো নিয়ে। নিজের খেয়াল রাখিস বাবা।
– ইনায়াত আছে তো মা!! বাই। নিজের খেয়াল রেখো।
আফিম ফোন রেখে ইনায়াতের দিকে তাকালো। ইনায়াত ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আফিমের দিকে। আফিম নিজের এটিট্যুড নিয়ে বললো,,
– হোয়াট?? সত্যিই তো আর বিয়ে হচ্ছে না আমাদের। আই এম নট গে!!
ইনায়াত থতমত খেয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। তখনই আফিম আবারও বললো,,
– আচ্ছা ইনায়াত!! আমি তোমাকে কখনোই দেখিনি। হুডিটা খুলো না আজকে। লেট মি সি!!
ইনায়াত চমকে তাকালো আফিমের দিকে। আফিম আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে ইনায়াতের মুখ দেখার জন্য। আর ইনায়াত একরাশ ভয় নিয়ে তাকিয়ে আছে আফিমের দিকে। তবে কি আজকে শেষ রক্ষা হবে না ইনায়াতের??

ইনায়াতের সত্যি কি তাহলে শেষমেশ জেনে গেলো আফিম?? তাহজিব আর কি কি পাগলামী করবে ইনায়াতের জন্য??

চলবে,,,