জৈষ্ঠ্যের প্রেম পর্ব-০৮

0
259

#জৈষ্ঠ্যের_প্রেম (পর্ব-৮)
লেখনীতে– ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

————————
মৌসন্ধ্যা অবাক নয়নে রাস্তাটার দিকে তাকিয়ে রইল। প্রশস্ত, গাছপালায় ঘেরা সুন্দর রাস্তা। প্রাকৃতিক মোহনীয় দৃশ্য আশেপাশে। সচরাচর এমন রাস্তা দিয়ে তাদের ঢাকা শহরে চলাচল করা হয় না। সে আসলে জানতই না যে ঢাকাতেও এখনও এমন সবুজে ঘেরা পথ রয়েছে।

গাড়িতে তাদের দুজনার মধ্যে খুব একটা কথা হয়নি। কয়েকটা গান শুনেই দুজনে কাটিয়ে দিয়েছিল। যদিও মৌসন্ধ্যার কাছে চুপ করে থাকতে ভালো লাগছিল না। তবুও সে কথা বলেনি। কারণটা হলো গ্রীষ্ম নিজেই। মাঝে গ্রীষ্ম তাকে ভার্সিটি, ডিপার্টমেন্ট কি, কোন ইয়ার এসব জিজ্ঞেস করেছিল সে উত্তর দিয়েছে। এর বেশি কিছুই না। তবে গ্রীষ্মের থেকে মৌসন্ধ্যা আরেকটা কথা জানতে পারল। আহরার এবং গ্রীষ্ম স্কুল, কলেজে একই সাথে পড়লেও ভার্সিটিতে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। আহরার ঢাবিতে চান্স পায় আর গ্রীষ্ম তার স্বপ্নের বুয়েটে। ট্রিপল ই নিয়ে সে পড়াশোনা করেছে। মৌসন্ধ্যার কাছে নিজেকে সেই তুলনায় খুব ছোট মনে হলো। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে পড়ছে সে। অবশ্যই সেটাও ভালো। তবুও! কোথাও একটা কিন্তু আর তবুও থেকেই যায়। মানবিকের ছাত্রী হওয়ার কারণে কাজিন গ্রুপে সে অনেক কথা শুনেছে। বিশেষ করে আষাঢ় তাকে খোঁ’চা দিয়ে কথা বলেছিল বেশি।

ক্ষ্যা’পা শরৎ বলেছিল আরেকটু মন দিয়ে পড়লে ঢাবিতে হয়ে যেত। সে এটাও বলেছে পড়ালেখা ছেড়ে সারাক্ষণ নাঁচন কুদন করলে এমনই হবে। মৌসন্ধ্যা সেই দিন গুলো মনে করলেই হতাশ হয়ে যায়। সেই সময় গুলো তার জীবনের কঠিন সময় ছিল। ঢাকা কোচিং করেও ঢাবিতে কেন হলো না এই নিয়ে ফুফু এবং চাচারাও কম কথা শোনায়নি। সবার কুপরামর্শে মৌসন্ধ্যার বাবা তো তার বিয়েই দিয়ে দিচ্ছিল জোর করে। মৌসন্ধ্যার হঠাৎ জাবিতে চান্স পাওয়াটাই তাকে বাঁ’চিয়ে দিয়েছে। মৌসন্ধ্যার মা শেষমেষ মেয়েকে সকলের বি’রু’দ্ধে গিয়ে পড়তে পাঠান। দুই মাস পর বাবাও তার ভুল বুঝতে পারেন। মেয়ের কাছে কথাও দিলেন যে ভবিষ্যৎে আর কখনো তিনি এই রকম কিছু করবেন না। এবং জীবন সঙ্গী নির্বাচনে মৌসন্ধ্যাকে তিনি পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন। তারপরেও মৌসন্ধ্যা ওইসব প্রেম ভালোবাসার পথে হাঁটেনি। পড়ালেখায় তার মনযোগ স্থীর রেখেছিল। তবে আহরারকে দেখে কেন যেন মনের মধ্যে ভালোলাগা কাজ করেছে। সে বুঝতে পারছে এটা হয়তো কোনো ভালোবাসা নয় তবে ভালোলাগাও যে নয় তা কিন্তু না।

গাড়ি থামল যখন মৌসন্ধ্যা দেখল তাদের বিপরীতে আষাঢ়ের গাড়িও এসে পড়েছে। মৌসন্ধ্যা ভ্রু কুঁচকে গ্রীষ্মের দিকে তাকায়। তারা কি এক পথে আসেনি তবে! নয়তো ওরা কেন ওপাশের রাস্তা দিয়ে আসল!

গ্রীষ্ম একটু অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। সে আসলে চাইছিল মৌসন্ধ্যাকে নিয়ে তার যাত্রাটা দীর্ঘ হোক। কারণ ওই রাস্তা দিয়ে গেলে বেশি পথে পাড়ি দেওয়া লাগেনা। সে ভেবেছিল আষাঢ়রা আরো আগেই পৌঁছে যাবে। মৌসন্ধ্যাও টের পাবেনা। থাক! সমস্যা নেই। এখনও সামাল দেওয়া যাবে।
-‘আসলে ওই রোডটাতে প্রচুর জ্যাম পড়ে। ভ্যাপসা গরমে সেই দিকটা দিয়ে আসা আমার উচিত মনে হয়নি। তাই এই সুন্দর রাস্তাটা ধরতে হলো।’
-‘ওহ আচ্ছা।’

মৌসন্ধ্যা আর কোনো প্রশ্ন করল না দেখে গ্রীষ্ম খুশি হলো। এদিকে আষাঢ় সহ বাকি সবাই অবাক নয়নে গ্রীষ্মের গাড়ির দিকেই তাকিয়ে আছে। এই রাস্তা দিয়ে গ্রীষ্ম মৌসন্ধ্যাকে নিয়ে কেন এলো?

১৮.
ভেতরে ঢুকে পার্কিংয়ে একে একে গাড়ি গুলো রেখে সবাই একপাশে এসে দাঁড়ায়। শ্রাবণ বলল,
-‘গ্রীষ্ম ভাই, তুমি ওইদিকে আবার কোন দিক থেকে আসলে!’
-‘ওই রোডেও আসা যায়। আমি প্রায় সময় ওইটা ইউজ করি।’

আষাঢ় ফট করে বলে উঠল,
-‘কিন্তু ওইটা তো বেশি বড় আর প্যাচানো রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই তো সহজ আর সময়ও কম লাগে।’
গ্রীষ্ম আষাঢ়ের দিকে তাকিয়ে ভরাট গলায় বলল,
-‘এই দিকের রাস্তাটা ছোট হলেও জ্যাম থাকে সবসময়। যার ফলে দেরি হয়ে যায়।’
শ্রাবণ বলল,
-‘তা ঠিক বলেছ ভাই! আমরা তোমাদের আগে বের হয়েছি তার উপর রাস্তা হলো অল্প কিন্তু দ্যাখো! আমরা একই সময়ে আসলাম। যা জ্যাম ছিল! আমার ক্ষুধা আরেকটু বেশি বেড়ে গিয়েছে।’
শেষের কথাটা শুনে গ্রীষ্ম মৃদু হাসে। শ্রাবণ মুকিতকে বলল,
-‘ভাই মুকিত! চল আমরা গিয়ে খেয়ে আসি। এদের তো কোনো হেলদোল দেখছি না।’
-‘হ্যাঁ ভাই চল চল! আমরা খেয়ে আসি। রোস্ট আজকে দুই তিনটা না খেয়ে উঠব না। কালকে দুলাভাইয়ের ভাই ব্রাদার গুলো যেমন গান্ডেপিন্ডে গিলছিল আমরা তার থেকেও বেশি গিলব।’

বর্ষা আর মৌসন্ধ্যা এই কথাগুলো শুনে হা হা করে হেসে উঠল। আষাঢ় রা’গটা নিজ বোনের উপরেই ঝারে। ধ’ম’কে বলল,
-‘হা হা হি হি করছিস কেন এত? মনে বেশি সুখ!’

বর্ষা থম মে’রে চুপ হয়ে গেল। মৌসন্ধ্যাও তাই করে। শ্রাবণ, মুকিত ততক্ষণে সাবাবকে দেখে চলে গেছে সামনের দিকে। মৌসন্ধ্যা বর্ষাকে ফিসফিস করে বলল,
-‘এই চল! আমরাও যাই। আমার না এভাবে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছেনা।’
বর্ষা মৌসন্ধ্যার দিকে ভালো করে তাকিয়ে ‘হ্যাঁ চল’ বলতে গিয়েও থেমে গেল। মৌসন্ধ্যার খোপায় বেলী ফুল। কখন লাগালো? পেয়েছে-ই বা কোথায়? সে বিস্মিত স্বরেই বলল,
-‘এই তোর খোপায় ফুল এলো কীভাবে!’
মৌসন্ধ্যা আকস্মিক এমন প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেল। কী জবাব দিবে! গ্রীষ্ম এনে দিয়েছে? ইশ! তার তো এই কথা বলতে ল’জ্জা লাগছে। তারওপর কথাটা শুনে আষাঢ় যেভাবে তার দিকে তাকালো সে তো অ’স্ব’স্তিতেও পড়ে গেল। আড়চোখে গ্রীষ্মের দিকে তাকাতেই দেখল সে একমনে ফোনে কারো সাথে চ্যাট করতে ব্যস্ত। আশ্চর্য! এখানে শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থেকে সময় ন’ষ্ট করার মানে কী! বর্ষা আবারও প্রশ্ন করতেই মৌসন্ধ্যা ইশারাতে গ্রীষ্মকে দেখায়। বর্ষা তাজ্জব হয়ে ভাইয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকে। আষাঢ় গ্রীষ্মের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইল। আর গ্রীষ্ম তাদের কাউকে কোনোরকম পাত্তাই দিচ্ছেনা। নিজের মতো ফোনে ব্যস্ত। আষাঢ় বর্ষাকে বলল,
-‘তুই এখানে কেন দাঁড়িয়ে আছিস? ভেতরে যা।’
-‘এই তো যাচ্ছি।’
মৌসন্ধ্যার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতেই আষাঢ় বলল,
-‘ও’কে নিচ্ছিস কেন? তোকে যেতে বলেছি তুই যা।’
-‘আজব! আমি ওর সাথেই তো যাব।’
-‘না যাবিনা। আমার কাজ আছে মৌয়ের সাথে। তুই সামনে হাঁট।’

বর্ষা কিছু বলতে যাবে কিন্তু ভাইয়ের রা’গী মুখশ্রী দেখে আর কিছু বলার সা’হ’স পেল না। দেখা গেল কোথা না শোনার জন্য গালে ঠা’স করে একটা চ’ড় মে’রে দিবে। কেননা সে আগেও এমন করেছে। এমন পাব্লিক প্লেসেও করেছে। আজ সে চাইছেনা তেমন ল’জ্জাজনক মুহূর্তেই সাক্ষী হতে। সে চলে গেল পেছন থেকে মৌসন্ধ্যা চেঁচিয়ে বলল,
-‘ও বললেই তোকে যেতে হবে! দাঁড়া আমি আসছি। আজকেও আমাকে ছেড়ে যাবি তুই! শ’য়’তা’ন মেয়ে!’

শাড়ির কুচি সামলে মৌসন্ধ্যা পা বাড়াতেই আষাঢ় তার হাতটা ধরে ফেলল। মৌসন্ধ্যা চকিতে তার দিকে তাকালো আরো একবার পেছনে থাকা গ্রীষ্মের দিকে তাকালো। না গ্রীষ্ম এখন এখানে নেই। সে ফোনে কথা বলতে বলতে পেছনে গেইটের দিকে গেছে। মৌসন্ধ্যা শক্ত গলায় আষাঢ়কে বলল,
-‘হাত ছাড়ো। কথায় কথায় হাত ধরা অ’ভদ্রের কাজ।’
-‘একটা থা’প্প’ড় দিব, বে’য়া’দ’ব। বেশি বেড়ে গেছিস?’
-‘তুমি হাত ছাড়ো! আমার কিন্তু ভালো লাগছেনা।’
-‘গ্রীষ্ম ভাই ফুল দিলে তো ভালো লাগে।’

মৌসন্ধ্যা ঘৃ’ণা ভরা দৃষ্টিতে আষাঢ়ের দিকে তাকালো। নেহাৎ মামাতো ভাই। বয়সে বড় এবং সে সম্মান করে। নয়তো তার হাত চলত আষাঢ়ের উপর। আষাঢ়ের এই অধিকারবোধ তার সবচেয়ে বেশি অপছন্দ।
-‘আষাঢ় ভাইয়া হাত ছাড়ো, আবারও বলছি।’
-‘ছাড়ার দরকার নেই। চল! আমার সাথেই যাবি তুই।’

হেঁচকা টান দিয়ে মৌসন্ধ্যাকে নিয়ে যেতেই মৌসন্ধ্যার ডান হাতটা গ্রীষ্ম ধরে ফেলল। এইরকম একটা অবস্থায় মৌসন্ধ্যা আশ্চর্যের সর্বোচ্চ সীমানায় উঠে গেল। এটা কি হচ্ছে? সে কি রাবার! দুজন দুইদিক থেকে টানবে আর টানবে কিন্তু কিছু হবেনা। আরে সে একটা মানুষ। তারওপর যুবতী মেয়ে, জায়গাটা একটা বড় পরিসরের অনুষ্ঠানের। চারিদিকে নানান পরিচিত অপরিচিত লোকজন। ছিঃ ছিঃ কি এক পরিস্থিতি!
গ্রীষ্ম বেশ তে’জী গলায় বলল,
-‘আষাঢ়! ওর হাত ছাড়। এভাবে টানা টানি করছিস কেন? তুই কি ছোট বাচ্চা!’
-‘তুমিও তো ওর হাত ধরে রেখেছ। তুমিও বাচ্চা!’
-‘তুই এভাবে জোর জবরদস্তিতে ওকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিস বলেই হাতটা ধরেছি। ওর হাত ছেড়ে দে। এসব তোকে শোভা পায়না।’
কথাটা বলতেই আষাঢ় বি’র’ক্ত হয়ে মৌসন্ধ্যার হাত ছেড়ে দিল। এপাশ থেকে গ্রীষ্মও হাতের বাঁধন ছাড়িয়ে নিল। আষাঢ় বলল,
-‘হাত ছেড়ে দিয়েছি। তবুও তুই এখন আমার সাথেই যাবি।’
-‘কেন?’
-‘বলছি তাই।’
-‘না যাব না।’
আষাঢ় গ্রীষ্মকে চোখ দিয়ে ইশারায় দেখিয়ে বলল,
-‘তাহলে গ্রীষ্ম ভাইয়ের সাথে যাবি?’
মৌসন্ধ্যা গ্রীষ্মের দিকে তাকালো। তার দৃষ্টিও মৌসন্ধ্যার দিকেই। সে এবার সামনে তাকালো। তখনিই তার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটল।
-‘তোমাদের কারো সাথেই যাচ্ছিনা।’
-‘তো কার সাথে যাবি? একা একা! যা তবে, কোনদিক থেকে কোনদিকে চলে যাবি টেরও পাবিনা।’
বলেই আষাঢ় একটু হাসল। গ্রীষ্ম আষাঢ়কে দেখছে। ছেলেটার হাবভাব তার কাছে অন্যরকম ঠেকছে।
হঠাৎ করেই মৌসন্ধ্যা ‘শরৎ ভাইয়া!’ বলে চিৎকার করে উঠল। গ্রীষ্ম, আষাঢ় দুজনেই মৌসন্ধ্যার দৃষ্টি লক্ষ্য করে সামনে তাকায়। দেখতে পায় সামনেই শরৎ হেঁটে যাচ্ছিল। মৌসন্ধ্যার ডাক শুনে পেছন ফিরল। আর এক ভ্রু উঁচু করে ইশারাতেই জানতে চাইল ‘কী’! মৌসন্ধ্যা ততক্ষণে ছুট লাগায়। শরৎ এর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
-‘আমার আম্মুকে দেখেছ? আমাকে একটু আম্মুদের কাছে নিয়ে চলো না!’
শরৎ মৃদু হাসে। মৌসন্ধ্যার কথাটা শুনে তার মনে হলো ছোট বাচ্চা আবদার করছে। সে বলল,
-‘আয়!’

সামনেই দরজা দিয়ে ঢুকতে বেশ ভীড় দেখা গেল। ভীড়ের মধ্যে মৌসন্ধ্যার ভ’য় হলো। সে শরৎ এর পেটের কাছ দিয়ে শার্টটা হাত দিয়ে আকড়ে ধরল।
দূর থেকে সেই দৃশ্য আষাঢ় কিংবা গ্রীষ্ম কারোর দৃষ্টি এড়ায় না। আষাঢ়ের ভেতরে ক্রো’ধ থাকলেও গ্রীষ্মের মনে প্রশ্ন। মৌসন্ধ্যা কি এতটা ভরসা তাকে করতে পারে যতটা শরৎকে করছে!

১৯.
মায়ের কাছে গিয়ে বর্ষারও দেখা পেয়ে গেল। প্রথমে কিছুক্ষণ মান অভিমান করে পরবর্তীতে আবার দুজন একসাথে এদিক ওদিক ঘুরে সারাটা সময় পার করে দিল। ফাঁকে একবার আহরারের সাথে দেখা হলো। বেশকিছুক্ষণ তারা সবাই কথা বলল। আহরার বর্ষা ও মৌসন্ধ্যা দুজনেরই ফেইসবুক আইডি নেয়। যদিও ফেইসবুকে অ্যাড হওয়ার প্রস্তাবটা বর্ষাই দিয়েছিল।

রাতে তাদের সাথে জুন এবং তার স্বামীও এলো। সবাই বেশ হৈ হুল্লোড় করল। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে মৌসন্ধ্যা আর বর্ষাকে এপ্রিল ছুটে এসে খবর দিল,
-‘জানো মৌপু! তোমাকে আবির ভাইয়ার খালাতো ভাইয়ের জন্য পছন্দ হয়েছে। বিয়ের কথা চলছে। আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। আহা! পরপর দুই দুইটা বিয়ে। আবারও নতুন জামা পাবো। উফ, কি মজা!’

কথাটা শুনে মৌসন্ধ্যা ঘামতে থাকল। বর্ষা হু হা করে হাসতে লাগল। যেন খুব হাসির সংবাদ!

#চলবে।