ডাক্তার মিস পর্ব-২৫+২৬

0
604

#ডাক্তার_মিস
পর্বঃ২৫

সকালের মিষ্টি রোদ মুখে পড়তেই ঘুম ভাংলো বুশরার। চোখ মেলেই মনে পড়লো নতুন একটা ঘরে আছে ও। আর এখন থেকে এই ঘরটা ওর ও।

পাশ ফিরে দেখলো রায়হান বিছানায় নেই। লোকটা কত সকালে ওঠে কে জানে।

চোখ কচলে বালিশের পাশ থেকে ফোনটা হাতে নিল বুশরা। সময় দেখে আবার রেখে দিল। তখনই ফোন করলো রুকু।

“উঠেছিস?”

“হুম। দুইঘর পরে বসে ফোন করছিস কেন? ঘরে আয়।”

“হুট করে নতুন বউয়ের ঘরে যাওয়া যায়?”

“ফাজিল। ঘরে আয়।”

“আসি।”

রুকু এলো সাথে একটা ট্রলি নিয়ে। ওখানে সব শাড়িটাড়ি আছে। একটা লাল টুকটুকে শাড়ি বের করে বিছানার উপর রাখলো।

বাকিগুলো আলমারিতে উঠিয়ে রাখতে রাখতে বুশরা বললো,

“সাথী, রুবি ওরা কই?”

“ঘুমাচ্ছে এখনো।”

গোসল করে চুলটা শুকিয়ে নে। নাশতা করেই বেরিয়ে যাবো আমরা। সাজগোজ পার্লারে হবে। রিসিপশনের শাড়িটা আমি আলাদা করে ব্যাগে নিয়ে নিছি।”

বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাইই আমন্ত্রিত ছিল। তাই বৌভাতের অনুষ্ঠানটা মোহনগঞ্জের একটা কম্যুনিটি সেন্টারে হবে।

কাছের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ছাড়াও রাজনৈতিক ও প্রশাশনিক বিভিন্ন মানুষজনও থাকবেন আজকের অনুষ্ঠানে। তাদের সুবিধার্থেই ওখানে আয়োজন করা।

সকাল থেকে রায়হানের দেখা পায়নি বুশরা। খুব ব্যস্ত সে। জামাকাপড় বদলাতে যখন ঘরে এসেছিল, বুশরা তখন নিচতলায়, শিউলি বেগমের ঘরে। ওদের দেখা হলো গাড়িতে।

বুশরা, রুকু আর ওদের বান্ধবীরা পার্লারে যাবে তাই আগে আগে বেরিয়েছে। রায়হানেরও কাজ আছে ভেন্যু তে। তাই ড্রাইভিং সিটটা ওর দখলে। আর পাশের সিটে চাচাতো ভাই রিফাত। ওদেরকে পার্লারে নামিয়ে দিয়ে কম্যুনিটি সেন্টারে চলে যায় রায়হান আর রিফাত।

সবার সাজগোজ শেষ হতে দেরি হবে তাই বুশরার হয়ে গেলে রিফাত এসে ভাবীকে নিয়ে যায়। অন্যরা আসবে আস্তে ধীরে।

রায়হান কথা বলছিল আগত মেহমানদের সাথে। রিফাতের ফোন পেয়ে এগিয়ে গিয়ে সদ্যবিবাহিত বউকে সাথে করে স্টেজ পর্যন্ত নিয়ে নিয়ে আসলো সে। দুজনকে একসাথে দেখতে বেশ লাগছিল। বর কণের সাথে ছবি তোলার জন্য আগ্রহী সবাই। ফাঁকে ফাঁকে চলতে লাগলো পরিচয় পর্ব।

অনেকক্ষন একভাবে বসে থাকতে থাকতে কোমর ব্যাথা হয়ে গেছে বুশরার। একটু নড়াচড়া না করলেই নয়। সেরকম সুযোগ পাচ্ছেনা।

এদিকে কাধের কাছে একটা সেফটিপিন খুলে গেছে মনেহয়। খোঁচা লাগছে নড়াচড়া করলে। রুকুকেও দেখা যাচ্ছেনা আসেপাশে। এখনো কি আসে নি? অধৈর্য লাগলো বুশরার।

স্টেজ কয়েক মুহুর্তের জন্য ফাঁকা হতেই বাধ্য হয়ে রায়হানকে আস্তে করে জিজ্ঞাসা করলো,”লেডিস ওয়াশরুমটা কোনদিকে?”

“বলতে পারছি না। আমি খোঁজ নিয়ে আসি।”

রায়হান ফিরে এলো কিছুক্ষণ পরেই।

“আসুন”

“কোনদিকে? আমি একা যেতে পারবো।”

রায়হান কান দিলো না ওর কথায়। সাথে করে নিয়ে গেল লেডিস ওয়াশরুমের কর্নারটায়। করিডোর ধরে এগিয়ে গেলেও ওয়াশরুম।

বাইরে দাঁড়িয়ে রায়হান বলল, “আমি আসেপাশেই আছি।”

ওয়াশরুমের বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে সেফটিপিন ঠিক করার চেষ্টা করছে বুশরা। তবে আনাড়ি হাতে কিছুতেই এত ভারি শাড়ি আটকাতে পারছে না। পাশের বেসিনের আয়নায় মেকআপ ঠিক করছিল আমন্ত্রিত কোন রমনী। বয়সবকপ্ত হবে? পঁচিশ থেকে বড়জোর ত্রিশ। আগুনসুন্দরী বললেও কম বলা হবে। তবে খুব মিশুক। এগিয়ে আসলো নতুন বধুর ত্রাণকর্তা হয়ে।

“সেফটিপিন নিয়ে বিপদে পড়েছেন?”

অসহায় আর বিব্রতভাবে হাসলো বুশরা।

“আমি হেল্প করি?”

না করার কোন উপায় নেই। ওদিকে রায়হান অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে বাইরে। শাড়ি ঠিক করে দিতে দিতে নিজের পরিচয় দিয়ে বলল,

“আমি কাশফিয়া চৌধুরী।”

“আমি বুশরা। আপনাকে তো দেখলাম না ভেতরে।”

“আমি এসেছি একটু আগে। স্টেজের দিকে যাওয়া হয়নি। যাইহোক আপনাকে কি কেউ বলছে যে খুব মিষ্টি দেখাচ্ছে? এত সুন্দর ন্যাচারাল লুকের বউ আমি অনেকদিন দেখিনি।”

লাজুক হাসলো বুশরা। গল্প করতে করতে বেরিয়ে এল দুজনে। করিডোরের শেষ মাথায় দাঁড়ানো রায়হান। কথা বলছে একজন অতিথির সাথে। কাছাকাছি এসে থমকে দাঁড়ালো কাশফিয়া।

রায়হানও কি কিছুটা থমকালো? কি জানি। মুহুর্ত থেমে প্রশ্ন করলো,

“কেমন আছো?” তারপর বুশরার দিকে ফিরে বললো, “বুশরা, এ হলো কথা। আর কথা, ও আমার স্ত্রী বুশরা।”

বুশরা প্রচন্ড অবাক হলো। একটু আগে না নাম বললো কাশফিয়া? ডাকনামটা কিভাবে লুকিয়ে গেল অবলীলায়? ইচ্ছা করে সাহায্যের নাটকটা করলো? এত প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে বেশি অবাক হলো এটা ভেবে যে কথার সাথে রায়হানের যোগাযোগ ছিল এটা একবারও বলেনি রায়হান। বিয়েতে দাওয়াত করেছে এটা অন্তত বলতে পারতো। জানানোর প্রয়োজন যদি মনেই না করবে তাহলে পরিচয় করিয়ে দিল কেন? অভিমানে চোখে জল আসলো বুশরার।

ইতোমধ্যে কাশফিয়া ওরফে কথা উত্তর দিল, “ভালো আছি। তুমি?”

রায়হানের পাশে দাঁড়ানো পুরুষটি এবার বললেন, “চেয়ারম্যান সাহেবকে চেন তুমি? উনার কথা এত গল্প করেছি, বলোনি তো।”

চলবে??????

#ডাক্তার_মিস
পর্ব ২৬

চলুন ফিরে যাওয়া যাক আজ থেকে পাঁচ ছয় বছর আগে।

রায়হান আর কথা আবেগে ভেসে বিয়ে করলেও আর পাঁচটা প্রেমিক প্রমিকার মতই দিন কাটাচ্ছিল, যে যার হলে।

রাতভর ফোনালাপ, কালে ভদ্রে অভিমানমাখা চিঠি, ক্লাস শেষে ক্লান্ত বিকেলে এখানে ঘুরে বেড়ানো।

দৈবাৎ একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে ক্লান্তি, শ্রান্তি, দুশ্চিন্তাদের ছুটি দেওয়া বা হাতে হাত রেখে উদ্দেশ্যহীন ভাবে বহুদূর হেটে চলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল দাম্পত্য সম্পর্ক।

পরিবারের নিকটতম মানুষদের লুকিয়ে সংসার পাতার কোন পরিকল্পনা ছিল না ওদের। কথা ছিল পড়ালেখা শেষে যার যার পরিবারে সম্পর্কের কথা জানাবে, তারপর সবার উপস্থিতিতে ধুমধাম করে নতুন জীবনের শুভসূচনা করবে।

তো এমনই এক ক্লান্ত বিকেলে প্রিয়তমার কোলে মাথা রেখে নিজের জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বয়ান করছিল রায়হান। সমস্যার শুরুটা হয় সেখানেই।

আজন্ম শহরে বড় হওয়া কথা অবাক হয় এটা শুনে যে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাট গুছিয়ে একটা ছেলে ফিরে যেতে চায় প্রত্যন্ত এক গ্রামে, যেখানে কিনা সাপ্লাই পানি, গ্যাস, ইলেক্টিসিটির মত সামান্যতম নাগরিক সুবিধাগুলো অপ্রতুল।

রায়হান গ্রামের ছেলে এটা জানতো কথা, তবে ভেবেছিল মফস্বল এলাকাগুলোকেও তো ঢাকার তুলনায় গ্রামই বলা হয়। আর বছরে কয়বারই বা যাওয়া হবে সেখানে। তাই কখনো মাথা ঘামায় নি। আজ রায়হানের কথা শুনে ভুল ভাংলো কথার।

– তুমি বলতে চাচ্ছো সেমিস্টার ফাইনাল দিয়ে তুমি গ্রামে চলে যাবা? একবারে?

– হ্যাঁ।

– আর আমাদের কি হবে?

– আমি একটু গুছিয়ে নিয়ে তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো।

– আমার বাবা মা তাদের একমাত্র মেয়েকে ঢাকা ছেড়ে ওই ধ্যাড়ধ্যাড়ে গোবিন্দপুরে পাঠাবে?

কথার শব্দচয়ন দেখে অবাক হয় রায়হান।

– এভাবে বলছো কেন কথা? মানুষ গ্রামে থাকে না? সবাই যদি নিজেদের কথা ভেবে শহরমুখী হই তাহলে গ্রামের উন্নয়ন হবে কি করে?

– তুমি গ্রামের উন্নয়নের কথা চিন্তা করছো। আমাদের কথা চিন্তা করছো না। গ্রামে গিয়ে তুমি করবে কি? নাকি বাপের টাকায় বউকে খাওয়াবা।

– যেটা এখানে করি। রাজনীতি। আমি যে রাজনীতির সাথে ইনভলভড, এটা নিয়েই থাকতে চাই তা তো আমি লুকাইনি কথা। সামনের চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য প্রিপারেশন নিবো।

অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে কথা।

– ছাত্ররাজনীতি করতে তো আমি কখনো বাধা দেইনি তোমায়। তাই বলে…

– তাই বলে কি?

– কিছুনা। বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমার অবস্থাটাও বোঝ একটু।

– আমার পরিবার থেকে প্রস্তাব পাঠাবো তো লক্ষীটি।

– কি দেখে তোমার হাতে আমাকে তুলে দেবে আব্বু? আর আমি কিভাবেই বা গ্রামের পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিব? আমার হায়ার স্টাডি? ক্যারিয়ার? তোমার সাথে পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন? সব ছেড়ে দিয়ে গ্রামে বসে কাঠের চুলায় রান্না ঠেলবো?

নিজেকে খুব ছোট লাগে রায়হানের। মরিয়া হয়ে বলে,

– কি দেখে বিয়ে করেছিলে?

এ প্রশ্নের কোন উত্তর হয়না। গত এক বছরে কখনো এই প্রশ্নটা আসেনি ওদের মধ্যে। দুজনেই নিশ্চিন্ত ছিল যে কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে এই বিয়েটাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করবে ওরা। কথা মাথা নিচু করে রইলো। ওর নিরবতা বড্ড বুকে বাজলো রায়হানের।

– রূপকথা… আমার দিকে তাকাও।

জল টলমলে চোখে রায়হানের দিকে তাকালো রূপকথা। ও হ্যাঁ রূপকথা নামটা রায়হানের দেওয়া। ওর পিতৃপ্রদত্ত নাম কাশফিয়া চৌধুরী কথা। রায়হানের কাছে রূপকথার রাজকন্যা। প্রিয়তমার দ্বিধাবিভক্ত চেহারা দেখে মরমে মরে গেল রায়হান।

– তুমি কি বাই এনি চান্স আমাকে বিয়ে করে পস্তাচ্ছো? তুমি একবার বললে আমি কিন্তু আর কখনো তোমার পিছুটান হবো না।

– আমি কি এরকম কিছু বলেছি?

তড়িৎ উত্তর দিল কথা। ভালবাসার কমতি ওর মধ্যেও নেই। তবে বাস্তবতার কাছে অসহায় বোধ করছে।

– সব কিছু বলে দিতে হয়না, কাশফিয়া।

– তুমি কি কিছুতেই তোমার সিদ্ধান্ত বদল করবে না?

– আমি কি আমার গ্রাম নিয়ে স্বপ্নের কথা তোমাকে অনেকবার বলিনি? আজ তুমি বলছো সব স্বপ্ন ছেড়ে দিতে?

– নিজের বিয়ে করা বউকে ছেড়ে দেওয়া তুলনামূলক সহজ মনে হচ্ছে তোমার কাছে। বাহ…

– আমি তোমাকে কখন ছেড়ে দিতে চাইলাম? আরে ছেড়ে তো দিতে চাচ্ছো তুমিই..

এই অমীমাংসিত ঝগড়াঝাটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলো। দিন, সপ্তাহ, মাস পেরিয়ে ছোট্ট ক্ষতটা বিশালাকৃতি ধারন করল। দুজনেই হয়ত দুজনের যায়গায় ঠিক। সম্পর্কের তিক্ততার মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ইতি ঘটলো। চোখের আড়াল হতেই সম্পর্কে ধীরে ধীরে সৃষ্টি হলো যোজন যোজন দূরত্ব। নিজের ইচ্ছা, আকাংখা, স্বপ্ন, জীবন দৃষ্টি পরিবর্তন করতে নারাজ দুজনেই।

পড়াশুনা শেষ হওয়ায় কথার বাসা থেকে বিয়ের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। একের পর এক বায়োডাটা প্রত্যাখ্যান করতে থাকে কথা। মনের মধ্যে ক্ষীণ আশা, রায়হান মত বদলাবে। সব ঠিক হয়ে যাবে দুজনের মধ্যে।

একদিন কথা বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখে মাথায় পাশে ওর মা বসে আছে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। মাকে দেখে আলুথালু বেশে অপ্রস্তুত বোধ করে কথা। বহু বছর বোর্ডিং স্কুল আর হলে থাকায় মায়ের সাথে সেভাবে সখ্যতা গড়ে ওঠেনি ওর। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে বাড়িতে আসার পর থেকে ও মায়ের অদৃশ্য মায়া টের পায় প্রায়ই। মধ্যরাতে আধো ঘুম আধো জাগরণে মাঝে মাঝেই খেয়াল করে, মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ওর মমতাময়ী মা। কপালে চুমু এঁকে দিচ্ছে চুপিসারে। কিন্তু সকাল হতেই সব আগের মত, নিস্তরঙ্গ। মায়ের এই মেকি নির্লিপ্ততায় মাঝে মাঝে রাগ হয় ওর। তাই আজকের আদরটা উপভোগ করে চোখ বুজে।

মেয়েকে আদর করে মিসেস রোকসানা বললেন,

– মামনি বাসায় তোমার মাহমুদা আন্টিরা আসবে। এসব কাপড়চোপড় পালটে একটু পরিপাটি হও।

মাহমুদা আন্টির নাম শুনে খুশি হলো কথা। ওর মায়ের এ বান্ধবীটি ওকে খুব আদর করেন। ওর মা যতটা অন্তর্মুখী, মাহমুদা আন্টি ঠিক ততটাই মিশুক। একসাথে ঘুরাঘুরি করতে বের হলে পুরো সময় সবাইকে মাতিয়ে রাখে মিসেস মাহমুদা।

– আমরা কি আজ কোথাও যাবো মা? ভারী কিছু পরব? নাকি সিম্পল?

– তুমি কম্ফোর্টেবল এমন কিছু পরো, যাস্ট এই আলুথালু অবস্থাটা নেওয়া যাচ্ছে না। হালকা একটু মেকআপ নিতে পারো যদি ইচ্ছা হয়। ইচ্ছা না হলে থাক, বাসায়ই তো।

মায়ের নির্লিপ্ত কথাবার্তায় কথা ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করতে পারে নি, কি হতে যাচ্ছে সেদিন।

চলবে।