ডিভোর্স পর্বঃ ১৪

0
2718

#ডিভোর্স
পর্বঃ ১৪
লেখকঃ আবু সাঈদ
সরকার

স্নেহাঃ একটা কথা
জিজ্ঞেস করবো….

সাঈদঃ হুম বলো….

স্নেহাঃ কাল রাতে যে
মেয়েটার সঙ্গে কথা
বলতেছিলা সে কে
ছিলো….


সাঈদঃ স্নেহা জানলো
কীভাবে তানিশা
এসেছিলো তাহলে
স্নেহা তখন ঘুময় নি
ঘুমানোর ভান
করছিলো…

স্নেহাঃ বলো না…

সাঈদঃ নাহ আর মিথ্যা
কথা বলতে পারবো না
স্নেহার কাছে কারণ
সত্য কখনো চাপা থাকে
না…

প্রথম থেকে শেষ পযন্ত
খুলে বললাম
স্নেহাকে…

স্নেহাঃ আমার সম্পুর্ন
বিশ্বাস ছিলো তোমার
উপর তাই কাল রাতে
কিছু বলি নি কারণ
আমি জানতাম তুমি
কখনো আমাকে মিথ্যা
কথা বলতে পারবে
না….

সাঈদঃ অনেক সময়
পরিস্থিতি মানুষকে
মিথ্যা কথা বলতে বাধ্য
করে দেয়…

সেটার বাস্তব প্রমাণ
আমি পেয়ে গেছি….

স্নেহাঃ তুমি ওর থেকে
দুরে দুরে থেকো কখন
যে ক্ষতি করে বসবে
কে জানে এখন তো
আমার তোমাকে একলা
কোথায় যেতে দিতে ভয়
লাগে….


সাঈদঃ সেটা
স্বাভাবিক প্রত্যকটা
ওয়াইফ এর তার
হাসব্যান্ড এর প্রতি এই
ভয় টাই থাকে কিন্তু ওর
ভয়ে তো আমি চুপ করে
ঘরে বসে থাকতে পারি
না…


স্নেহাঃ অফিসে যাবা
তার পর সোজা বাসায়
চলে আসবা এ ছাড়া
তোমার তো বাইরে
কোন কাজ নেই
তাইনা…

সাঈদঃ মাঝে মধ্যে
থাকে

স্নেহাঃ থাকুক তোমাক
যেতে হবে না এমনিতে
আমাদের পিছনে অনেক
শএু উঠে পড়ে
লেগেছে…..


সাঈদঃ আচ্ছা বিকেল
বেলা তোমাকে নিয়ে
ঘুরতে যাবো রেডি
থাকো…

স্নেহাঃ কেথায় নিবে
যাবা…

সাঈদঃ সারপ্রাইজ
সেটা…

স্নেহাঃ আচ্ছা….


সাঈদঃ আজ মেয়েটার
birthday সেটাও ভুলে
গেছে কিন্তু স্নেহা
ভুলে গেলে কী হবে
আমি তো ভুলি নি….


বিকেল বেলা…


স্নেহাঃ আমি রেডি….

সাঈদঃ আমিও চলো
তাহলে যাওয়া যাক
ড্রাইভার গাড়ি বের
করলো তার আমরা
দুজনে গাড়িতে উঠে
পড়লাম শহরের সব থেকে
বড় শপিং মলে এসে….

স্নেহাঃ এটা ছিলো
তোমার সারপ্রাইজ…

সাঈদঃ কই না তো

স্নেহাঃ তাহলে এখানে
নিয়ে আসলা কেনো…

সাঈদঃ তোমাকে নিয়ে
শপিং এ আসছি অনেক
দিন হলো কিছু নাও নি
তাই…

স্নেহাঃ আমার কিছু
লাগবে অযথা টাকা
গুলো নষ্ট করবা না…

সাঈদঃ আরে বাবা
আমার অনেক টাকা
আছে ওত টাকা দিয়ে
কী হবে আসো তো
ভিতরে…

স্নেহাঃ তুমিও না….


সাঈদঃ তার পর
স্নেহাকে দুটো
লেহেঙ্গা তিনটে শাড়ি
আর কিছু কসমেটিকস
কিনে দিলাম….

স্নেহাঃ এত গুলো শপিং
এর কী দরকার ছিলো

সাঈদঃ ছিলো বলেই
তো নিয়ে দিয়েছি
নাকি….

স্নেহাঃ তোমার মাথায়
কখন যে কীসের ভুত ভর
করে সেটা আল্লাহই
জানে…


সাঈদঃ তার পর বাসায়
আসতে আসতে রাত হয়ে
গেছে…..

নীল রং এর শাড়িটার
সাথে মেচিং করে চুরি
লিপস্টিক দিবা
কেমন…

স্নেহাঃ এখনি সাজতে
যাবো কেনো আবার
কোথাও যাচ্ছি নাকি…

সাঈদঃ হুম সারপ্রাইজ
টা তো এখনো দেওয়াই
হয় নি…

স্নেহাঃ তুমি যে কী
করতেছো আমি কিছুই
বুঝতে পারি না…

সাঈদঃ সময় হলে বুঝতে
পারবা এখন কথা না
বাড়িয়ে রেডি হয়ে
আসো তো….


স্নেহাঃ কী করবো ওর
কথা তো আর ফেলে
দেওয়ার যাবে রুমে
এসে শাড়িটা পড়ার সময়
বিপদ বাধলো ব্লাউজ
টা তে…

ব্লাউজের বোতাম গুলো
পিছনে আর সে গুলো
আমি লাগাতে
পারছিলাম না তাই কো
উপায় না পেয়ে ওনাকে
ডাকতে হলো


সাঈদঃ নিচে বসে
ছিলাম তখনি স্নেহার
ডাক শুনতে পেয়ে উপরে
আসতেই দেখি
মেয়েটা…

স্নেহাঃ বোতাম গুলো
একটু লাগিয়ে দাও তো
আমি পারছি না….

সাঈদঃ আচ্ছা…
তার পর ব্লাউজের
বোতাম গুলো লাগিয়ে
দিতেই…

স্নেহাঃ এখন তাহলে
শাড়িটাও পড়িয়ে দাও

সাঈদঃ আমি তো শাড়ি
পড়াতে যানি না…

স্নেহাঃ কেনো পারো
না…

সাঈদঃ আমি কী মেয়ে
নাকি….

স্নেহাঃ তাই বলে
শিখবে না আচ্ছা আমি
যেভাবে যেভাবে
শাড়িটা পড়তেছি সেটা
ভালো ভাবে দেখবা
পরে কিন্তু তোমাকেই
আমাকে শাড়ি পড়াতে
হবে…

সাঈদঃ


স্নেহাঃ শাড়িটা পড়ে
মেচিং চুরি সাথে
হালকা লিপস্টিক পড়ে
নিলাম আয়নায়
নিজেকে দেখে
নিজেকে চিনতে
পারছি না…


সাঈদঃ স্নেহাকে যে
তখন কতটা সুন্দর
লাগছিলো বলে বুঝাতে
পারবো না…

মনে হচ্ছিলো তার
সৌন্দর্যের মাঝে ডুবে
যাই মনে হচ্ছিলো
আস্তো একটা পরী
আমার সামনে দাড়িয়ে
আছে…


স্নেহাঃ কী দেখছো
এভাবে…

সাঈদঃ তোমাকে…

স্নেহাঃ আগে মনে হয়
আমাকে দেখো নি….

সাঈদঃ আগে যাকে
দেখছিলাম তার থেকেও
আজ বেশি সুন্দর লাগছে
তোমায়….

স্নেহাঃ যাহ্হ

সাঈদঃ কেউ লজ্জা
পেলে যে তার গাল
গুলো লাল হয়ে যায়
সেটা আজ স্নেহাকে
দেখে বুঝতে
পারলাম….


এক কথায় কী বলবো
অসম্ভব সুন্দর লাগছে…


[ বিঃ দ্রঃ ভাই এটা
তোদের ভাবি হয় এমন
ভাবে তাকায় থাকিস
না নজর লেগে যাবে
]


স্নেহাঃ এভাবেই কী
তাকায় থাকবা নাকি…

সাঈদঃ একটু বসো তো
মন ভরে দেখে নি তার
পর যাচ্ছি…

যতবার দেখছি ততই
কলিজটা ঠান্ডা হয়ে
যাচ্ছে….


সাঈদঃ এখনো তাহলে
যাওয়া যাক…

স্নেহাঃ কোথায় যাবো
সেটা তো বলো.

সাঈদঃ একটু পরেই
বুঝতে পারবা…..


গাড়িতে বসার পর…

স্নেহাঃ শুনো না…

সাঈদঃ হুম বলো…

স্নেহাঃ আমার না
ঠান্ডা লাগতেছে
কেনো বুঝতে পারছি
না…

সাঈদঃ ড্রাইভার এসি
টা বন্ধ করে দাও তো…

ড্রাইভারঃ স্যার এসি
টা তো বন্ধই আছে …

সাঈদঃ ও তাহলে চলো
তোমাকে যেখানে
যেতে বলছিলাম…

ড্রাইভারঃ জ্বী স্যার..


সাঈদঃ আসলে আমি
আজ সকালেই জানতে
পারলাম ওর আজ
birthday তাই কমেন্টি
সেন্টার এর ছাদে সুন্দর
করে সাজাতে বলেছি
আর একটা বড় কেক
নিয়ে যেতে বলেছি আর
আমরা সেখানেই
যাচ্ছি…


সাঈদঃ ও কিছু না
আবহাওয়া পরিবর্তন
হচ্ছে তো তাই এমন
হচ্ছে…

স্নেহাঃ ও কিন্তু আমার
ঠান্ডা লাগতেছে
তোমাকে লাগতেছে না
কেনো…

সাঈদঃ জানি না আমার
কাছে এসো…

স্নেহাঃ হুম আসলাম…

সাঈদঃ শক্ত করে
জরিয়ে ধরে…

এখন ঠান্ডা লাগতেছে


স্নেহাঃ নাহ ভালোই
লাগতেছে….


সাঈদঃ হুম



কিছু খন পর কমেন্টি
সেন্টার এর পৌছে
গেলাম…


স্নেহাঃ এটা কোথায়
আসলাম এর আগে এত
সুন্দর জায়গায় আসি
নি…

সাঈদঃ ভিতের আসো
তাহলেই বুঝতে পারবা…

ভিতরে যেতেই…

সমস্ত লাইট গুলো নিভে
গেলো…

আর বোকা মেয়েটা ভয়
পেয়ে আমাকে শক্ত
করে জরিয়ে ধরলো


তখন হঠাৎ এক সুরে
happy birthday dear
sanaha…
.

সাঈদঃ হ্যাপি বার্থ ডে
স্নেহা…

স্নেহাঃ আমি তো
ভুলেই গেছিলাম আজ
আমার বার্থ ডে..

সাঈদঃ আমি কিন্তু ভুলি
নি…

স্নেহাঃ আমি সত্যি
কতটা খুশি হইছি
তোমাকে বলে বুঝাতে
পারবো না এর আগে
কখনো এতটা খুশি হয় নি
বলতে বলতে কেদে
ফেললো….


সাঈদঃ ধুর বোকা
এভাবে সবার সামনে
কান্না করলে কী
ভাববে ওরা….

চোখের পানি গুলো মুছে
দিয়ে তার পর এক সাথে
কেক কেটে স্নেহা
প্রথমে আমাকে কেক
খাওয়ালো তার পর আমি
ওকে খাইয়ে দিলাম….

সেখানে কিছু সময়
কাটানোর পর…

সেখান কার বিল
পরিশোধ করে বাসায়
চলে আসলাম বাসায়
আসতে রাত প্রায় ১ টা
বেজে গেছে….


স্নেহাঃ রাস্তায়
ঘুমিয়ে পড়েছে
মেয়েটার শরীরটা একটু
বেশিই গরম করতেছিলো
মনে হয় রাতে জ্বর
আসবে বাসায় এসে
একটা কোম্বল ঢাকা
দিলাম তার পর আমি
কাপড় গুলো চেনজ করে
রুমে এসে লাইট টা অফ
করে যেই শুতে যাবো
ঠিক তখনি একটা ভয়ানক
আওয়াজে শরীরটা
কেপে উঠলো…


চলবে..