ডিভোর্স পর্ব :- ১৮

0
1405

গল্প :- ডিভোর্স
পর্ব :- ১৮
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার


কোনো উপায় না পেয়ে বাবাকে ফোন করলাম…

বাবা ফোনটা ধরতেই যা বললেন তা শুনে নিজের উপর ঘৃণা আসতেছে…

স্নেহার বাবাঃ বার বার ফোন করে বিরক্ত কেনো করছিস হ্যা কে তোর বাবা স্নেহা নামে আমার কোনো মেয়ে ছিলো সেটা আমি অনেক আগেই ভুলে গেছি…

স্নেহাঃ কিছু না বলেই ফোনটা কেটে দিলাম সত্যি তো বিপদে মধ্যে রয়েছে আমার হাসব্যান্ড ওদের এতে কী…


মাথা কিছু কাজ করছে না ১৫ কোটি টাকা আমি কোথা থেকে জোগার করবো নিজের কিডনি দুটো বিক্রি করলেও ওত গুলো টাকা হবে না তাহলে এখন আমি কী করবো…

আচ্ছা ওনার গাড়িটা বিক্রি করলে ১০ কোটির মতো পাওয়া যাবে সেটাই না হয় দিয়ে দিবো দৌড়ে নিচে আসতেই দেখলাম গাড়িটাও উধাও এসব হচ্ছে টা কী…


গাড়িটা কোথায় গেলো…


মাথাটা কিছু কাজ করছে কী করি করি তখনি মনে পড়লো ওনি আমার নামে যে রেস্টুরেন্ট টা কিনেছিলেন সেটা যদি বিপদের সময় কাজে না লাগে তাহলে কখন কাজে লাগবে…

অটোতে করে যে যাবো তার মতো টাকা নাই বার বার কল দিচ্ছি কিন্তু কেউ রিসিভ করছে না…

এখন কী করবো আমি ১৫ কোটি টাকা কোথায় পাবো…

যে নাম্বার টা থেকে টাকার জন্য বার বার ফোন করছিলো ওই নাম্বার টাতে আবার কল দিলাম কিন্তু ফোনটা বন্ধ বলতেছে সকাল পেরিয়ে রাত হয়ে আসতেছে কিন্তু এখনো এক টা টাকাও জোগার করতে পারছি না ..


সাঈদঃ কাল থেকে আজ রাত পযন্ত না খেয়ে আছি শুধু তিন বেলা পানি এসে খাইয়ে দিয়ে গেছিলো তারা কে সেটা দেখতে পাই নি তবে আরেক বার দেখলে ঠিকি চিনতে পারবো তিন বেলা যে মেয়েটা পানি খাইয়ে দিতে আসছিলো তার হাতের টেটু টা দেখে মনে হচ্ছে এর আগে এই টেটু টা কোথায় জানি দেখছি কিন্তু খিদায় কিছু মনে আসছে না…

এখান থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় ও পাচ্ছি না হাত পা সব গুলো বাধা ধিরে ধিরে দম বন্ধ হয়ে আসতেছে এই খানে ঠিক তখনি…



১৫ কোটি টাকা যদি তোর বউ আজ রাতের মধ্যে না দিতে পারে তাহলে কাল সূর্যের আলো আর দেখতে পাবি না….


সাঈদঃ ও ওত গুলো টাকা কোথায় পাবে আমাকে ছেড়ে দাও আমি ১৫ কোটির দিগুন দিবো…


হা হা হা আমরা এতোই বকা নাকি যে তোর কথায় বিশ্বাস করে তোকে ছেড়ে দিবো আর হ্যা ১৫ কোটি টাকা দিলে যে তুই বেচে যাবি তা কিন্তু না আমরা টাকাও নিবো আর তোকে মেরে ফেলবো তার আগে কী করবো জানিস….


সাঈদঃ কীহ কথাটা বলতে না বলতেই হঠাৎ কে জানি পিছন থেকে মাথায় একটা ভারি জিনিস দিয়ে বারি মারলো…


সাথে সাথে জ্ঞান হারালাম…


সালা বড় বকর বকর করছিলো ওর বউকে ফোন কর টাকা নিয়ে আসছে কী না নাহলে এই মালটাকে এখানেই শেষ করে দেয়…


দ্বারা আগে বস কে বলি…

হ্যালো বস এই মালটাকে কী করবো…

ওর বউ টাকা দিচ্ছে…

না তবে দিবে মনে হয়…

টাকা গুলো নিয়ে ওর বউ এর সাথে রোমাঞ্চ কর সালার বউটা হেব্বি সুন্দরী…

এর পর দুটাকে মেরে মাটিতে পুতে দিয়ে আসবি আমার সামনে….



স্নেহাঃ দেখতে দেখতে তো রাত হয়ে গেলো এখন কী হবে তাহলে কী আমি ওনাকে বাচাতে পারবো না কথাটা ভাবতেই মাথাটা চক্কর দিচ্ছে কী হবে এখন কে আমাকে এত গুলো টাকা দিবে৷ ..


ঠিক তখনি আরেক টা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো..


স্নেহাঃ হ্যালো….

টাকা নিয়ে শহরে পিছনের জঙ্গলে ১ ঘন্টার মধ্যে চলে আয় ১ ঘন্টা পর আবার কল দিবো বেশি চালাকি করলে নিজের স্বামীর মৃত্যু শরীর দেখতে পাবি…


স্নেহাঃ হ্যালো হ্যালো ফোনটা কেটে দিচ্ছে…



সাঈদঃ যখন জ্ঞান আসলো তখন সামনে দুজন দাড়িয়ে আছে…

তোর বউ এখন আমাদের কাছে বাচাবি না তোর বউকে…

সাঈদঃ স্নেহাকে ছেড়ে দাও না হলে কিন্তু ভালো হবে না…


দেখ বেটার তেজ এখনো কমেনি সালা তো নিজেই বাধা তার উপর বলে ভালো হবে না এখন ওর সঙ্গে আমরা কী করবো জানিস সবাই মিলে রেপ করবো সারা রাত তার পর কোনো পতিতালয় এর বিক্রি করে দিবো…


সাঈদঃ ওকে ছেড়ে দাও তোমরা চাও কী…

তোর প্রাণ আর হ্যা যদি নিজের বউকে বাচাতে চাস তাহলে এই কাগজে সাইন করে দেয়…

সাঈদঃ কীসের কাগজ এটা …


তোর সম্পত্তি তুই নিজ ইচ্ছায় আমাদের দিয়ে দিয়েছিস…

সাঈদঃ এর বদলে তোমারা স্নেহাকে ছেড়ে দিবা তো…


হ্যা সাইন কর ওর হাতে বাধন টা খুলে দেয়…


হাতের বাধন টা খুলে দিতেই….

ছুরিটা ঠিক বুকের মাঝ খানে ডুকিয়ে দিলাম…


( একটু পিছনে থেকে ঘুরে আসি… সকাল বেলা যে মেয়েটা পানি খাওয়াতে আসছিলো তার হাত থেকে ছুরিটা পড়ে গিয়ে আমার চেয়ার এর নিচে এসে ডুকে যায় মেয়েটা সেটা না নিয়েই চলে যায় তার পর এরা যখন আমার হাতের বাধন টা খুলো তখন চেয়ার এর নিচ থেকে ছুরিটা বের করে একজনের বুকের ঠিক মাঝ খানে ডুকিয়ে দিলাম….)


সাঈদঃ ছুরিটা বুকের ভেতর থেকে বেড় করে আরেকজনের পেটের মাঝ খানে ডুকিয়ে দিলাম…

পুরো রুমটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে তারা দুজনে সেখানে মারা যায় ছুরিটা দিয়ে পায়ের বাধন টা খুলে দাড়াতে চেষ্টা করতেছি কিন্তু উঠে দাড়ানোর শক্তি পাচ্ছি না…

পুরো শরীর টা ব্যাথায় বর যন্ত্রণায় ছিড়ে যাচ্ছে কোনো মতো উঠে দাড়িয়ে এখান থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসতেই পিছন থেকে একটা ট্রাক এসে খুব জোরে ধাক্কা মারলো সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে রাস্তার পাশে আমার শরীর টা ছিটকে পড়লো…





স্নেহাঃ দেখতে দেখতে এক ঘন্টা বেজে গেলো কিন্তু এখনো কিছু করতে পারলাম না কী করবো..আমি..


আলমারিতে আমার একটা সোনার হার চুরি দুল কিছু নেই সব গুলো কোথায় যানি হারিয়ে গেছে ঠিক তখনি আরেকটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসলো…

স্নেহাঃ হ্যালো…


টাকা নিয়ে এখনো আসিস নি কেনো…

স্নেহাঃ দেখুন আমি টাকা জোগার করতে পারি নি আপনারা যাই বলবেন আমি তাই করবো তবুও ওনাকে ছেড়ে দিন…


জানি পারবি না তুই তোর স্বামীকে বাচাতে চাস তাই তো তাহলে এক রাত আমাদের সঙ্গে কাটাতে হবে তার বিনিময়ে নিজের স্বামীকে ফিরে পাবি কিন্তু তার আগে তোর স্বামীকে তোকে ডিভোর্স দিতে হবে…


চলবে………..