তবুও ভালোবাসি পর্ব-০১

0
900

#তবুও ভালোবাসি
#পর্ব_০১
#রেজওয়ানা_রমা

মেহুল বাসর ঘরে বধূ বেশে বসে আছে আর ভাবছে,,,
আজ সব ঠিক থাকলে হয়ত গল্প টা অন্য রকম হতো। আজ যদি সব ঠিক থাকতো তাহলে এখন ঈশানের জন্য এখন অপেক্ষা করতাম। কেন করলে এমন টা আমার সাথে? কেন? কেন?
আমার তো তোমার সাথে থাকার ইচ্ছা ছিল। আজ থেকে তো আমারদের নতুন জীবন শুরু হতো। আমাদের একটা সংসার হতো।
বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে মেহুল। এরই মধ্যে রুমে প্রবেশ করে মি. রিয়ান। রিয়ানের আসার শব্দ পেয়ে মেহুল তারাতারি চোখ মুখে স্বাভাবিক হয়। রিয়ান মেহুলের সামনে এসে বলে,

– এখনও এত ভারি লেহেঙ্গা পরে আছো! যাও গিয়ে কমফরটেবল কিছু পরো।

মেহুল কোন কথা না বলে মাথা নাড়িয়ে চলে যায়। মেহুল ওয়াসরুমে গিয়ে আয়না তে নিজেকে দেখে আর ভাবে আজকের এই সাজ তো অন্য কারো জন্য হওয়ার কথা ছিল। সব কেমন জানি চোখের পলকে এলোমেলো হয়ে গেল। মেহুল ফ্রেস হয়ে বের হয়। ওয়াসরুম থেকে বের হয়েই দেখে রিয়ান বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। মেহুল আর রিয়ান কে না ডেকে রিয়ানের পাশেই শুয়ে পড়ে।

সকালে মেহুল চোখ খুলে নিজেকে রিয়ানের বুকে আবিষ্কার করে। রিয়ান ঘুমিয়ে আছে। মেহুল অপলক তাকিয়ে থাকে রিয়ানের দিকে। মেহুলের এলোমেলো চুল রিয়ানের মুখে এসে পড়ছে। জানালা দিয়ে সূর্যের হালকা আলো এসে পড়ছে দুজনের মুখে। রিয়ান চোখ খুলতেই বুকের ওপর মেহুল কে দেখে বেশ অবাক হয়। কারন মেহুল নিজেই বিয়ের আগে বলেছিল তাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর কোন সম্পর্ক থাকবে না। বিয়ে টা শুধু পরিবারের জন্য করবে। মেহুল মাথা টা নিচু করে করে বলে,

– সরি! আসলে আমি বুঝতে পারি নি কখন আমি আপনা..র বুব বুকের ওপর…..
কথা শেষ করার আগেই রিয়ান বলে

– সত্যিই কি ভুল করে নাকিইইইইইইইই অন্য কিছু…

বলেই রিয়ান হাসতে থাকে।মেহুল রিয়ানের দিকে বালিস ছুড়ে দিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়।মেহুল ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে ফোন টা হাতে নেয় আর তখনই রুমে আসে রিফা আর তার কাজিনরা।এসে মেহুল কে বলে,

– আরে ভাবি তুমি এখন বসে আছো! পার্লারের লোকে এসেছে।চল চল তারাতারি চল ভাবি।

-হুম চল

মেহুলকে নিয়ে চলে পাশের রুমে।আজকে মেহুল আর রিয়ানের রিসিপশন।মেহুল কে রেডি করে নিচে নিয়ে আসে রিফা।মেহুল কে দেখে রিয়ান অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। রিয়ানের তাকিয়ে থাকাতে মেহুল বেশ লজ্জা পায়।একেএকে সকল আত্মীয় স্বজন আসে।রিসিপশনের সকল নিয়ম শেষ করে রিয়ান আর মেহুল এখন মেহুলদের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলো। গাড়ি যেতেযেতে রিয়ান মেহুলের একটু কাছে গিয়ে বলে,

চলবে,,