তবুও ভালোবাসি পর্ব-০২

0
587

#তবুও ভালোবাসি
#পর্ব_০২
#রেজওয়ানা_রমা

– এখনও কি তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ডের কথা ভাবছো?

– না

-তাহলে

-তাহলে আবার কি

-তাহলে কি ভাবছো?আমার কথা?নাকি আবারও কি করে আমার বুকে ঘুমাবে সেই প্লান করছো

– আরে আমি কখন আপনার বুকে ঘুমাইলাম।

-কেন তোমার মনে নেই কাল রাতের কথা?

– ওটা ইচ্ছা করে করি নাই।ঘুমের মধ্যে কখন এমন টা হয়েছিল আমি বুঝতে পারি নি আগেই বলেছি সেটা আমি।তাহলে একই কথা কেন বলছেন?

রিয়ান আর কোন কথা বলে না।দুজনই চুপ থাকে। কিছুক্ষন পর তারা গন্তব্যে পৌঁছে যায়।গাড়ি থেকে নেমে সকল নিয়ম কানুন মেনে দুজন কে রুমে রেখে এসেছে মেহুলের ছোট বান্ধবী আর মেহুলের ছোট ভাই মেঘ।
মেহুল বেলকানি তে চলে যায় তার গাছ গুলো কে দেখতে। আর রিয়ান বিছানার ওপর হেলান দিয়ে বসে বসে ফোনে কাজ করছে।কাজ শেষ করে বেলকানি তে যায় রিয়ান।বেলকানি তে গিয়ে দেখে মেহুল আকাশের দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখের জল ফেলছে।রিয়ানের উপস্থিত মেহুল বুঝতে পারে নি।রিয়ান মেহুলের কান্না সহ্য করতে পারে না।মেহুল কে কাদতে দেখে রিয়ান মেহুলের কাছে গিয়ে বলে,

– আর কত একজন ভুল মানুষের জন্য কাদবে মেহু?

রিয়ানের কথা শুনে রিয়ানের দিকে তাকায় মেহুল। মেহুলের চোখ দুটি ফুলে আছে।হয়তো অনেকক্ষন কান্না করেছে। রিয়ান আবারও বলে উঠে

– অনেক তো করেছো তার জন্য।অনেক কিছু মেনে নিয়েছো তাও কি সে তোমার ভালোবাসার মূল্য দিয়েছে মেহু? তাহলে কেন তার জন্য চোখের পানি ফেলছো? কেন কষ্ট পাচ্ছো মেহু?একজন ভুল মানুষের জন্য চোখের পানি ফেলা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় মেহু।

এবার আর মেহুল নিজেকে সামলাতে না পেরে রিয়ান রে জড়িয়ে ধরে জোরে কেদে দেয়।রিয়ানও মেহুল কে বুকের মাঝে ভালোবাসার পরশে আবৃত করে নেয় মেহুল বাচ্চাদের মত জোরে জোরে কাদতে থাকে।রিয়ান মেহুল কে সামলানোর চেষ্টায় ব্যর্থ।রিয়ান মেহুল কে অনেক বুঝানোর পর মেহুল এখন একটু স্বাভাবিক হয়েছে মেহুল ফ্রেস হয়ে বিছানার ওপর বসে আছে।আর রিয়ান বেলকানিতে বসেবসে ফোনে মেহুলের ছবি দেখছে।এর মধ্যেই রুমে প্রবেশ করে মেঘ।মেঘ এসে বলে,
– আপু চলো আম্মু খেতে ডাকছে।দুলাভাই কই?
– তুই যা আমরা আসছি
মেঘ চলে যায়।মেহুল বিছানা থেকে নেমে বেলকানিতে যায় রিয়ান কে ডাকতে।গিয়ে দেখে রিয়ান তার ছবু দেখছে ফোনে।মেহুল দেখেই থমকে যায়।মেহুল রিয়ানের ধ্যান ভেঙে বলে উঠে,
-আম্মু খেতে ডাকছে চলুন।
মেহুলের কথায় রিয়ানের হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। রিয়ান উঠে ফোন নিয়ে নেয়। মেহুল তখন গম্ভীর স্বরে বলে,
-আপনাকে একটা কথা বলত চাই
মেহুলের কথা শুনে রিয়ান ভয় পায়। মেহুল আবার কিছু দেখে নেয় নি তো! ভয়ে ভয়ে বলে?
-হুম ব-বলো
-আপনি আমাকে মেহু বলে ডাকবেন না।
-কেন
-আমি চাই না তাই। এই নাম টা আমার কাছে অভিশাপ্ত। এই নামে শুধু ঈশান ডাকত। তাই চাই না আর কেউ এই নামে ডাকুক।
-ওকে। তাহলে কি বলে ডাকব?
-আমার নাম মেহুল ইসলাম নীরা।
-নীড়
-এ‍্যা
– নীড় বলে ডাকব😁
– ইচ্ছা
-ওকে
মেহুল ফোনের স্কিনের দিকে খেয়ালও করে নি। দুইজন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে রিয়ান দেখে,
#চলবে,