#তবুও ভালোবাসি
#পর্ব_০৪
#রেজওয়ানা_রমা
-খালামনি তোমাদের ডাকছে। আর তোমরা এখানে আড্ডা দিচ্ছি?
– আরে সাফা এসো এসো
– দুলাভাই চলেন খালামনি সবাই কে নিচে ডাকছে।
– হুম চল সাফা
-চলো আপু
সাফা আর আলিশা আগেই চলে গেলো। রিয়ান আর মেহুল ওদের পিছু পিছু গেলো।
সকালের নাস্তা শেষ করে সাফা খাওয়ার টেবিলেই বলল যে,
– আজকে আমরা সবাই ঘুরতে যাবো।
– কোথায় যেতে যাও সাফা?
-দুলাভাই নিয়ে যাবেন?
-হুম যাবো।আমার এক মাত্র শালি আবদার করেছে আর আমি পূরন করবো না তা কি হয়?
-হুররেএএএ
– আস্তে সাফা!
– আপু বকা দাও কেন
-ও তো এমনই
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ড্রয়িং রুমে বসে আছে।মেহুল রুমে চলে আসে। মেহুলের চলে আসায় রিয়ানও রুমে আসে। মেহুল রুমে এসে কান্না করতে থাকে।রিয়ান মেহুল কে পিছন থেকে দেখেই বুঝতে পারে মেহুল কাদছে।রিয়ানের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মেহুল উঠে চলে যেতে গেলে রিয়ান হাত ধরে কাছে টেনে নিয়ে বলে,
– তুমি কি ভেবেছো তুমি আমার কাছ থেকে চোখের পানি লুকাতে পারবে?
-না মানে,
-না মানে কি হুম!
-না কিছু না
-নীড়
-হুম
-একটা কথা বলি?
-জি বলেন
– আগে তুমি করে বলো
-(নিশ্চুপ)
-কি হলো বলো
– ছাড়ুন আমায়
বলেই মেহুল হাত ছাড়িয়ে চলে যেতে গেলে রিয়ান আবারও হাত ধরে বুকে টেনে নেয়। মেহুলের কোমর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,
-কোথায় পাচ্ছো আমার কাছ থেকে?
– অনেক দূরে,,
-যেতে দেবো না।তোমাকে আমার কাছে যত্ন করে তুলে রাখবো।
এ বলে রিয়ান মেহুলের ঠোটের দিকে এগিয়ে আসতেই মেহুল হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যেতেই রিয়ান শাড়ির আচল টেনে ধরে বলে,
– ভালোবাসি নীড়
মেহুল পিছনে ধুরে তাকিয়ে বলে,
-কাকে?
-তোমাকে
– আমাকে কি?
-তোমাকে ভালোবাসি
-বিয়েই হলো দুদিন এর মধ্যেই আপনি আমায় ভালোবেসে ফেলছেন।আপনারা ছেলেরা খুব সহজেই ভালোবাসেন আবার সহজেই ভুলে যান তাই না?
-সব ছেলে এক না।তুমি এক জন কে দেখে সবাই কে বিচার করতে পারো না।
-এক জন কোথায় যে দুই জন কে দেখলাম দুই জনই একই।আপনি দুই দিনে আমাকে ভালোবেসে ফেললেন।আর ঈশান দুই দিনে আমাকে ভুলে গেছে।
-দুই দিনে ভালোবাসি নি নীর।
-তাহলে! দুই ঘন্টায়?নাকি দুই মিনিট?
-গত সাড়ে তিন বছর ধরে তোমায় ভালোবেসে এসেছি।কখনও ভাবি নি তোমায় নিজের করে পাবো।তোমাকে একটা দেখার জন্য ছুটে আসতাম।তোমার ওই চোখ ওই মুখ ওই ঠোট সব কিছু আমাকে আকৃষ্ট করেছে।দুই দিনে ভালোবাসা যায় কি না জানি না তবে তোমায় দেখে খুব কাছের কেউ বলেই মনে হয়েছিলো।
কথাগুলো বলতে বলতে এগিয়ে আসে রিয়ান…..
#চলবে
