তবুও ভালোবাসি পর্ব-০৫

0
360

#তবুও ভালোবাসি
#পর্ব_০৫
#রেজওয়ানা_রমা

মেহুল বলে,
-নিজেকে সামলে রাখুন।
-সামলাবো কেন? আমি আমার স্ত্রীর কাছে যখন ইচ্ছা আসতেই পারি।
-না পারেন না
-কেন পারি না
– আমার সময় লাগবে তাই পারেন না
– ওকে
-কিন্তু একটা কিস তো পেতে পারি
-কিহহহ!
-হুম পারিই তো
-দেখুন বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে। নিজের লিমিটের মধ্যেই থাকুন।

এতক্ষনে রিয়ান মেহুল কে ছেড়ে দেয়েই হন হন করে বেরিয়ে যায়। মেহুল রিয়ানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

এদিকে আলিশা, মেঘ, সায়েফ, সাফা, সারা,তাহিয়া সবাই নিচে বসে ঘুরতে যাওয়ার প্লান করছে। আলিশা বলে,

– আচ্ছা কোথায় যাওয়া যায় বলো তো!

তাহিয়া: আপু চলো আমরা কক্সবাজার যাই।

সাফা: হ্যাঁ হ্যাঁ চলো চলো।

সারা: আমি কখনও কক্সবাজার যাই নি চলো না যাই।

সায়েফ: সমুদ্র নয়। পাহাড় দেখবো।

তাহিয়া: আপনি একাই যান ভাইয়া। আমরা সবাই কক্সবাজার যাবো

তাহিয়ার কথা শুনে সবাই হেসে দেয়।সায়েফ বলে,
-একা কেন যাবো। তোমাকেও সাথে নিবো
– আমাকে! আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না বাবা!
-কেন? আমি কি তোমাকে রেখে আসবো নাকি। আরে ফেরার সময় তোমাকে সাথে নিয়েই আসবো। প্যারা নাই চিল।
– হুরু মিয়া। আমি সমুদ্র দেখবো
-না পাহাড়
– সমুদ্র
-পাহাড়

এর মধ্যেই নিচে আসে মেহুল। মেহুল কে দেখে আলিশা বলে,
– কি রে তুই একা! দুলাভাই কই?
-জানি না
-জানি না মানে
-জানি না মানে জানি না

সারা মেহুলের হাত ধরে সোফায় বসিয়ে বলে,
– আপু আমরা ঘুরতে যাওয়ার প্লান করছি এসো।
-তা কোথায় যাচ্ছো তোমরা?
তাহিয়া আর সায়েফ এক সাথে বলে,
-পাহাড়
– সমুদ্র
মেহুল একবার সায়েফের দিকে তাকায় একবার মেহুলের দিকে তাকিলে হেসে দেয়।
আলিশা তখন এসে বলে,
– আরে এই দুইটা সেই তখন থেকে পাহাড় সমুদ্র পাহাড় সমুদ্র করেই চলেছে।
– আপু বলো না আমরা পাহাড় দেখতে যাবো (সায়েফ)
– না আপু আমরা কক্সবাজার যাবো
– আচ্ছা সবাই চুপ কর তোরা।

সবাই চুপ করে। তার পর সবাই মিলে ঠিক করে যে তারা সমুদ্র দেখতে যাবে। বিকাল গড়িয়ে রাত হয় তবুও রিয়ান এখনো বাড়ি ফেরে নি। ফোনও ধরছে না। মেহুলের এবার একটু চিন্তা হয়। রাত ৮ টা বাজে রিয়ান এখনও বাড়ি ফেরে নি। মেহুল বসে বসে ভাবছে কোথায় যেতে পারে এর মধ্যেই এক জোড়া হাত মেহুলের কোমর জড়িয়ে নেয়। মেহুলের বুঝতে বাকি রইলো না কার হাত। মেহুল পিছনে তাকিয়ে দেখে…….

#চলবে….