তুই আমার পর্ব-১৯

0
2602

#তুই__আমার
#লেখাঃ সাফিয়া_জান্নাত_মুন
#পর্ব ১৯

————-
মেঘা আয়েশা বেগমের সাথে কথা শেষ করে নিজের রুমের দিকে গেলো।
বড্ড ক্লান্ত লাগছে তার তাই শাওয়ার নেওয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলো।
হঠাৎ করে,,,
মেঘা পিছুই ঘুরে দেখলো কাব্য দরজা ধরে অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।

মেঘা হাসার চেষ্টা করলো আর ঠায়ে চুপ করে দারিয়ে থেকে ভাবতে লাগলো,,
আগের কিছুই মনে নেই হুউ এটা ঠিক মনে আছে এইটা ওনার রুম ঔটা ওনার গাড়ি। কবির ভাইয়া কবির ভাই হয় আয়েশা খালামনি সব সব মনে আছে এই প্রিয়তা টাকে মনে আছে মাঝখান থেকে কি মনে নেই শুধু এই আমি মনে নেই। এতো ভালোবাসলে যা হয় এখন তাই হয়েছে।

এই মেয়ে তুমি আমার রুমে আমার ওয়াশরুমে কি করছো?? ভ্রু কুচক্রে জিজ্ঞেস করলো কাব্য

আসলে কি বলুন তো আমি আসলে

আসল আর নকল জানার একটু ইচ্ছা আমার নেই শুধু এটা বলো তুমি এইখানে কি করছো??

আসলে ভুল করে ঢুকে পরেছি।

আচ্ছা এই কথাটা বলতে তোমার এতক্ষন সময় লাগে??

না মানে।

এই দেখো এইসব না মানে ব্যা ব্যা আমার সামনে বলতে আসবে না। আমার সাথে কথা বললে একদম পরিষ্কার করে কথা বলবা that’s clear

জ্বী।

এখন এখান থেকে বের হবে নাকি আমার সাথে গোসল করার ইচ্ছা আছে তোমার, ভ্রু কুচক্রে বললো কাব্য,,

মেঘা লজ্জায় বের হয়ে যেতে লাগলো। মেঘা পা পিছলে পড়তে কাব্য মেঘার কোমড় ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো। কাব্য এক ধ্যনে মেঘার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,
ravish একটা কাজ ও ঠিক করে করতে পারো না।
তোমাকে এখান থেকে যেতে বলা আমার ভুল হয়েছে তুমি এখানে থাকো আমি যাচ্ছি
বলে কাব্য রাগে চলে গেলো।

মেঘা শাওয়ার নিয়ে বের হতে ডাক্তার শেখ এর ফোন মেঘা অনেক ভয়ে ফোন টা রিসিভ করলো,
হ্যালো ডাক্তার বলুন

মিসেস চৌধুরী আমরা মিস্টার কাব্য চৌধুরী সব রির্পোট চেক করলাম যা বুঝলাম তাতে মনে হয় আগের কিছুই ওনার মনে নাও আসতে পারে দেখুন কাব্য এখন মাঝ বরাবর আছে তার জীবনের কিছুই সময় সে ভুলে গেছে তাই এখন সেই সময় গুলো মনে না আসার সম্ভাবনা বেশি। আপনি নিজের মনকে তৈরি করুন সব কিছুই তো আর আমাদের হাতে নেই।

ফোন টা রেখে, মেঘা অনমনা বেলকানিতে গিয়ে দারালো। কিছুই সময়, ভেবে হাসলো মেঘা, এই কিছুই সময় টা যে কত গুরুত্ববহন করব তার জীবনে সেটা কে বুঝবে? যখন সে কাব্যকে ভালোবাসতে শুরু করেছে বুঝতে শুরু করেছে তখন কাব্যকে দূরে নিয়ে গেলো তার নিয়তি। কেনো নিয়ে গেলো যখন দিবে না তখন কেনো নিয়ে গেলো। আমি কিভাবে নিজেকে বুঝাবো? আচ্ছা কাব্যর অনুভূতি গুলো কি চেজ্জন হয়ে যাবে? আমার প্রতি কি কোনো অনুভূতি কাজ করবে না ওর??
মেঘা ফ্লোরে হাটু গেরে বসে মুখ চেপে কান্না করছে
নিজের কাধে কারো হাতের স্পর্ষ পেয়ে ঘুরে তাকাতে দেখলো কাব্য তার পিছে দারিয়ে আছে মেঘা উঠে দারালো।
মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে চোখ থেকে টুপটাপ পানি পড়ছে।

কাব্য অনেকক্ষন ধরে দারিয়ে থেকে বললো,,
এভাবে কান্না করছো কেনো??

না কিছুই না।

তোমার মন খারাপ।

মেঘা মাথা নেড়ে হ্যা সূচক উওর দিলো হুম।

ঠিক আছে আজ বিকালে আমি এক যায়গায় যাবো তুমি যাবা আমার সাথে?

মেঘা হা করে কাব্যর দিকে তাকালো।

কিহলো তুমি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?? হ্যা কি না?

হ্যা হ্যা।

ওকে এখন প্লিজ আমার রুম টা ছেরে দিন আমায় একটু একা ছাড়ুন।

মেঘা আর কথা না বারিয়ে চলে গেলো।
!
!
!
!
মিশুকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে এই দুপুরের দিকে।
নতুন বেবিদের জন্য সব ব্যবস্থা মেঘা আর আয়েশা বেগম আগে থেকে করে রেখেছিলো।
নতুন বেবিকে নিয়ে এতক্ষন ব্যস্ত ছিলো মেঘা। বেবিকে ঘুম পারিয়ে নিচে নামলো।

কাব্য এসে বললো হেই চলো।

কাব্যর কথায় আয়েশা বেগম অবাক হয়ে বললো, মেঘা কে কোথায় নিয়ে যাবি??

আরে খালামনি আমি একটু বের হবো তাই ভাবছি এই মেয়ে টাকেও নিয়ে যাই। আমার কাছে এতো টাইম নেই আমি যাই খালামনি

মেঘা কাব্যর পিছুই পিছুই চললো,,
!
!
!
!
কাব্য মেঘাকে নাইট ক্লাবে নিয়ে আসলো।

মেঘার নাইট ক্লাবে ঢুকে গা গুলিয়ে আসছে। কি বিশ্রি ডান্স করছে ছেলেমেয়ে সবাই আবার সবার হাতে মদের গ্লাস উফফ এ কোথায় আসলাম আমি।

কাব্য মেঘা কে নিয়ে এক যায়গায় বসলো।
মেঘার দিকে তাকিয়ে বললো,
হেই ভটকা or ভিস্কি কোনটা নিবা??

না না না আমি শুধু সোডা পানি নিবো।

what? না তোমায় ড্রিংক নিতে হবে।

না আমি এইসব খাই না প্লিজ।

ওকে তুমি তাহলে বিল টা পেমেন্ট করবা।

কিন্তু আমি তো টাকা আনিনি?

সেটা তোমার ব্যাপার ড্রিংক or পেমেন্ট

এখানে আমি
কিছুই বলতে যাবে তখন দুইটা মেয়ে এসে কাব্যর পাশে বসলো। কাব্য ও মজা করে সেই গল্প জুরে দিলো মেয়ে গুলোর সাথে। মেঘার মেজাজ এখন খারপ হচ্ছে। হুট করে একটা ছেলে এসে কাব্যর সাথে হাত মিলালো তারপর মেঘার পাশে বসে কাব্যর সাথে কথা বলতে লাগলো,ছেলেটি বরাবর মেঘার গা ঘেসে বসতে লাগলো মনে হয় সে পারলে মেঘার কোলে চরে বসে যাবে। মেঘা ধীরে ধীরে সরে যেতে লাগলো লোকটি কম্রগত মেঘার কাছে আসতে লাগলো। কাব্য একবার দেখে হাত দিয়ে ইশারা করলো লোকটি দূরে সরে আসলো। কাব্য বললো তোমরা এখন যাও। সবাই চলে গেলো
তো বলো কোনটা করবা তুমি??

মেঘা রাগ করে উঠে দারালো ওয়েটার বলে ডাকলো
একজন চিকনা করে ছেলে এসে বললো,
বলুন ম্যাম

যান ভিস্কি নিয়ে আসুন।

ওয়েটার দৌরে গিয়ে ভিস্কি নিয়ে আসলো দূরত্ব গতিতে কাজ করছে মনে হয় সে রোবট। মেঘা নিজের গ্লাসে ভিস্কি ঢাললো আর কাব্য গ্লাসে ঢাললো
নিজের গ্লাস টা কম্পলিড করে ফেললো এক নিশ্বাসে।
কাব্যর দিকে তাকিয়ে বললো আপনি খাচ্ছেন না কেনো খান।

কাব্য বাধ্য হয়ে খেয়ে নিলো।

মেঘা আবার এক গ্লাস ঢাললো নিজে ফিনিশ করলো আর কাব্য আর এক গ্লাস খেয়ে সেন্সলেস এর মতো অবস্থা করতে লাগলো,
মেঘা কাব্যর দিকে তাকিয়ে বললো,,
উঠুন দূর্বল ড্রিংকার বিল পেমেন্ট করুন।
!
!
!
কাব্য এর হাত ঘারে নিয়ে মেঘা টলমলো করে হেটে কাব্য কে নিয়ে বাসায় আসলো।
রুমে এসে কাব্যকে বিছানায় শুয়ে দিতে মেঘার উপর কাব্য পড়লো,
মেঘার কে আরো কাছে টেনে নিয়ে কাব্য মেঘার ঘারে মুখ ঢুবালো। আস্তে আস্তে মেঘার ঠোঁটে ঠোট ডুবিয়ে দিলো।
এক নেশায় মেতে উঠলো। সেই নেশা প্রেমের নেশা।
আজ কাব্যর ছোঁয়া মেঘা পূরণতা পেলো। স্বামী স্ত্রী এর মধ্য এক বৈধ সম্পর্কে আবদ্ধ হলো দুইজনে।

চলবে____________