#তুমি_যে_আমার🥀
#Writer_Nondini_Nila
#part_46
বর্ষা তুর্যকে ঘৃণা করলেও এখন যে সেই ঘৃণার মাত্রা ছাড়িয়ে সেই মানুষটাকে ভালোবেসে ফেলেছে সেটা খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছে। আর এই মানুষটিকে ছাড়া থাকা এখন ওর পক্ষে একদমই অসম্ভব। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তূর্য যখন এখন আর ওর পরিবারের সাথে খারাপ কিছু করে না তাহলে সে সেটা চেষ্টা করবে এই মানুষটাকে নিজের করে ভালোবেসে ভালো পথে রাখার। তার সাথে একটা সংসার তৈরি করার। তূর্য ও হয়তো ওকে ভালোবেহে ফেলেছে। সে যদি ভালো হয়ে তার ভুলগুলো শুধরে নিতে চাই তাহলে তো তাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। আপন করে নেওয়া যায়। সব কিছু ভুলতে পারলেও বর্ষা সেই রাতের কথা বলতে পারেনা। তূর্য বলে ও নাকি এখনো ভার্জিন সাথে কিছুই হয়নি। তাহলে কি সেই রাতে আমাদের মধ্যে কিছু হয়েছিল না। কিন্তু আমি কেন কিছু মনে করতে পারছিনা। তূর্য সেই রাতে কিছু করেছে কি না করেনি তা আমি জানিনা কিন্তু যদি করেও থাকে তাহলে এখন সেই মানুষটা আমার স্বামী। সেই সব ভুলে তাকে আপন করার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে আমাকে জানতে হবে আমার ওপর আমার বাপির ও্উপর তূর্য এর কি জন্য এত রাগ ছিল? কিসের প্রতিশোধ তিনি নিতে চেয়েছিল ? যে করে হোক আমাকে তূর্য এর কাছ থেকে সবকিছু জানতে হবে। আমি না চাইলে বাকিটা জীবন আমাকে তার সাথে কাটাতে হবে। তাকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা না করলে আমি বেঁচে থাকতে পারবো না। এইভাবে বাঁচা যায় না। বর্ষা নিজেকে অনেক কিছু বুঝালো।
এদিকে তূর্য ও সব প্ল্যান করে ফেলেছে। বর্ষাকে সবকিছু খোলস করে বলে দেবে তারপর নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেবে। নিজের মনের কথা বর্ষা কে জানিয়ে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ তৈরি করবে। ভালোবাসায় ভরপুর একটা ছোট্ট সংসার সৃষ্টি করবো। তূর্য এর চোখেমুখে খুশি উপচে পড়ছে শাওন পাশে বসে নিজের ব্রোয়ের দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। ব্রো কে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসে শাওন। সব সময় ব্রো কে কষ্ট পেতে দেখেছে। কিন্তু বর্ষা ভাবির জন্য তার মুখে হাসি ফুটেছে। দেখে তার খুব ভালো লাগছে।
ব্রো সব কিছু জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব ভালো করেছ। ব্রোয়ের সাথে ভাবির সম্পর্ক ভালো হলে তিনি আমাকে ও আর ঘৃণা করবে না। এখন তো ভাবির সামনে যেতেই আমার লজ্জা করে কেমন করে তাকায় থাকে।
বর্ষা আর তূর্য দুজনেই মনে মনে এসব ভাবছে। আপন করে নেওয়ার চেষ্টায় মেতে আছে। দুজনেরই ইচ্ছা পূরণ হলে তাদের জীবনে নেমে আসবে অফুরন্ত সুখ আর ভালবাসা।
কিন্তু এত সহজেই কি ওদেরকে সুখী হতে দেবে? শকুনের নজর অলরেডি পড়ে গেছে সেটা যে ওদের দুজনের অজানা। তুর্য আর বর্ষা ভাবতে পারছেন ওদের সামনে কত বড় ঝড় আসতে চলেছে। কালবৈশাখী ঝড়। সেই ঝড়ে দুজনকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে। ভুল বুঝাবুঝি সব শেষ করে ভালোবাসার সংসার আর স্থাপন করা হবে না তূর্য এর। ও হয়তো কিছু বলার সুযোগ পাই পাবে না। এতগুলো বছর পর শাওন তার ব্রো এর মুখের হাসি ধরে রাখতে পারবে না। সেটা কি সে জানে?
তাদের সুখ শান্তি কেড়ে নেওয়ার জন্য যে একজন মোক্ষম প্ল্যান করে ফেলেছে। তুর্যকে ধ্বংস করতে পারলেই যার শান্তি। আরিয়ান তূর্য আর বর্ষার একটা ছবির দিকে তাকিয়ে ছক কষছে। আর মুখে ভয়ঙ্কর শয়তানি হাসি। হাসি দেখলে বর্ষায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলত কোন মানুষের হাসি এতো ভয়ঙ্কর হতে পারে। আরিয়ান বর্ষার ছবির দিকে তাকিয়ে বলল,
‘খুব শীঘ্রই আপনার সাথে দেখা হচ্ছে মিসেস তূর্য। আমার ভালোবাসা কেড়ে নিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করে ওই বাস্টার্ড কে আমি সুখে শান্তিতে সংসার করতে দেব এটাতো হতেই পারে না। তূর্য তোর মুখটা আমাকে দেখিয়ে তুই যে কি বড় ভুল করেছিস তা তুই হাড়ে হাড়ে টের পাবি।’
বলেই শয়তানের মতো হাসতে লাগলো। আরিয়ানের হাসির শব্দে বিল্ডিং কেঁপে উঠল। আরিয়ান তুর্য উরফে আদিলের বায়ো-ডাটা সম্পর্কে সব জেনে নিয়েছি। কিভাবে বর্ষার সাথে অন্যায় করেছে আবার কিভাবে উপরে উপরে ভালো সেজে ওকে বিয়ে করেছে বর্ষা যে ওকে দুই চোখে দেখতে পারেনা সেটা আরিয়ান জেনে নিয়েছে। আর সব জানার পরে ওদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ আর হাতের নাগালে চলে এসেছে। তূর্য কে শেষ করার অস্ত্র হিসেবে সবচেয়ে আপন মানুষ টাকেও ব্যবহার করবে। হা হা হা তখন তূর্য ওর হাতে কিভাবে অস্ত্র তুলে নিজেকে রক্ষা করবে?
বর্ষা নিজেকে প্রস্তুত করেছিলো আজ তূর্য এর সাথে ভাল করে কথা বলবে। কিন্তু তার আগে বাপি এসে হাজির হলো। আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখানে আসার পর যে কয়বার গেছি বাড়িতে থাকা হয়নি বেশিদিন। আম্মু নাকি আমার জন্য অস্থির হয়ে গেছে। আবার সকাল থেকে নাকি জ্বর এসেছে। নিয়ে যাওয়ার জন্য বাপি পাঠিয়ে দিয়েছে। বর্ষা তূর্য কে জানানোর জন্য কল করলাম কিন্তু ফোন বন্ধ পেলো। তাই জানাতে পারলাম না শ্বশুরের ঘরে একবার উঁকি দিয়ে শান্তাকে বলে বেরিয়ে গেলাম।
তূর্য রাতে যেতে পারে সে আশায় বসে রইলাম এই বাসায় এসে। আগে যতবার কলেজ থেকে আমিএ বাসায় এসেছে সেই দিনটা তূর্য এসে পড়েছে রাতে।তাই এবারও আসবে সেটাই ওর বিশ্বাস।
ব্যালকনিতে বসে গেটের দিকে তাকিয়ে আছি।এই বুঝি তূর্যের গাড়ি এল ঘুম পাচ্ছে আমি গালে হাত দিয়ে বসে আছি।
এদিকে তূর্য বাসায় আসার পথে একটা কল পেল কল রিসিভ করে কথা শেষ করে শাওনের দিকে তাকিয়ে বলল ,
‘আজ রাতে কানাডা যাওয়ার কোন টিকেট ম্যানেজ কর আমার ইমিডিয়েটলি সেখানে যেতে হবে।’
‘হোয়াট কিন্তু কি দরকারে ব্রো? তুমি তো আজকে ভাবির সাথে সবকিছু শেয়ার করতে চেয়েছিলে!’
‘ সেটা পরেও করা যাবে। কিন্তু জসিম খান কে আগে ধরতে হবে।’
‘ জসিম খান তিনি তো কক্সবাজারে আছেন তার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে।
‘ ছিলো কিন্তু গার্লফ্রেন্ড কে খুন করে কানাডা পালিয়েছে।’
‘ ও মাই গড!’
তূর্য বাসায় এসে জানতে পারলো বর্ষা কে ওর বাবা নিয়ে গেছে শুনেই নিশ্চিন্ত হলো। ও না আসা পর্যন্ত ওখানেই থাকা সেভ। বর্ষাকে কল করলো গাড়িতে বসে। বিদেশে যাওয়ার কথাটা বললো না কিন্তু নিজের খেয়াল রাখতে বলে রেখে দিলো।
ফোন রেখে স্ক্রিনে বর্ষার একটা ছবির দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেললো।
শাওনকে এদিকের খেয়াল রাখতে বললো।
বর্ষা ফোনের দিকে থ মেরে তাকিয়ে আছে। ফোন দিয়ে শুধু একটা কথাই বলেছে তূর্য,
‘ বর্ষা মনি নিজের খেয়াল রাখবা। আমি খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে ফিরে আসব। আমি না আসা পর্যন্ত ওই বাসায় থাকো। ওকে টেক কেয়ার। আল্লাহ হাফেজ।’
বর্ষা কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই কল কেটে দিলো। একথা বললো কেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসব
তাহলে কোথায় আছেন উনি? আমিতো গাড়ির শব্দ পেলাম তার মানে উনি গাড়িতেই আছেন। এই কথার মানে বোঝা যাচ্ছে আজকে উনি আসবে না কোথায় যাবেন? পরদিন তিশারা আমাদের বাসায় এল জানতে পেরেছি আমি বাসায় এসেছি। জোর করেই কলেজে নিয়ে আসলো।
বর্ষা কলেজ আসার পর থেকে লক্ষ্য করলো কেউ একজন ওকে ছায়ার মতো ফলো করে যাচ্ছে। ঘটনাটা বুঝতে পেরেছে বাসায় আসার পর থেকে। রিক্সা করে বাসায় আসার সময়ও দেখেছে বর্ষা। দেখেছে ওদের গাড়ির পেছনে একটা কালো মাইক্রো গাড়ি আসছে এতটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু এই রাতের বেলাও যখন দেখলো সেই গাড়িটা বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে তখন ভয় পেয়ে গেলো। এইটা তো সেই গাড়ি এই গাড়িটা এইখানে দাঁড়িয়ে আছে কেন?
বর্ষা উঁকিঝুঁকি মেরে ভয় পেয়ে বারান্দার দরজা আটকে রুমে চলে এলো।
রুমে আসতে ওর ফোনে আননোন নাম্বার থেকে কল এলো। বর্ষা কখনো আননোন নাম্বার থেকে কল রিসিভ করেনা। আজও করল না। পরপর কয়েকবার কল এলো। রিসিভ করলো না তখন ওপাশ থেকে একটা মেসেজ এলো মেসেজ দেখে বর্ষার হাত থেকে ভয়ে ফোন বিছানায় পড়ে গেল। এবার কল আসতেই কাঁপা কাঁপা হাতে কল রিসিভ করল। আধা ঘন্টার মত কথা বলা হলো ফোনে। বর্ষা খালি একবার হ্যালো বলে ছিল। আর কোন কথা বলিনি। বাকি আধাঘন্টা অপরিচিত কণ্ঠস্বর থেকে কিছু কথা ভেসে এলো তিনি এক নাগাড়ে অনেক কথা বলল। তার কথা শুনার সময় বর্ষার চোখ দিয়ে গলগলিয়ে পানি পারছিলো।
লোকটার কথা শেষ হতেই বর্ষার চিৎকার করে বলল,’ আমি আপনার কোন কথা বিশ্বাস করিনা।’
তখন লোকটা হাসতে হাসতে বললো, ‘ আমি জানতাম এতো সহজে আমার কথা আপনি বিশ্বাস করবেন না! ওকে প্রমাণ কাল হবে।
বলেই ফোন কেটে দিলো। বর্ষা ফোন ফেলে কাঁদতে লাগলো।
পরদিন বর্ষা বাপি মাম্মা কে চোখ চোখে রাখছে একটু চোখের আড়াল হলেই ছটফট করে উঠে এই বুঝি কিছু হয়ে গেলো। রাতে ভালো ঘুম হয়নি বিধায় বিকেলে ঘুমিয়ে পরেছিলো বর্ষা।এটাই ওর কাল হয়ে দাঁড়ায়। ঘুম ভাঙ্গে মায়ের চিৎকারে। বর্ষা দৌড়ে বাইরে এসে দেখে বাপির মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়ে সোফায় বসে আছে। ছোট একটা এক্সিডেন্ট করেছে বাবা। এই কাজ কে করেছে বুঝতে আর বাকি রইল না বর্ষার। ছুটে এসে সেই নাম্বারে কল করল বর্ষা।
‘কী মিসেস তূর্য দেখা করবেন না আমার সাথে?’
‘করবো।’
‘ ওকে গুড গার্ল বাই!!!’
পরদিন ফোনের লোকটার সাথে বর্ষা দেখা করলো। কোথায় দেখা করবে সেটা মেসেজে জানিয়ে ছিলো।
ভয়ার্ত চোখে এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে কফিশপে এসে বসে বর্ষা। অজানা ভয়ে বুক ধুকপুক করছে।
‘ হাই মিসেস তূর্য!’
কারো কন্ঠ শুনে দাঁড়িয়ে পরলো বর্ষা। ওর সামনে একটা উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের লোক দাঁড়িয়ে আছে। যার মুখে শয়তানি হাসি। লোকটা হাত বাড়িয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। ও ঢোক গিলে সালাম দিলো। আরিয়ান তা দেখে হো হো করে হেসে উঠলো। আর চেয়ার টেনে বসে পরলো। আর বর্ষাকে ইশারায় বসতে বললো। বর্ষা ঘোমটা আরো টেনে জড়োসরো হয়ে বসলো। আরিয়ান বর্ষার দিকে তাকিয়ে আছে। ওর চাহনী দেখে বর্ষা গা গুলিয়ে আসছে। লোকটার চাহনী ভালো না। খুব খারাপ। শরীরের এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। কেমন বিচ্ছিরি নজরে। সামনে বসে থাকতেও পারছে না বর্ষা। কিন্তু উপায় ও নাই। বর্ষা ওরনা টেনে টুনে নিচ্ছে আবার কোন দিকে কিছু বেরিয়ে আছে কিনা ভেবে।
আরিয়ান তা দেখে বললো, ‘ গায়ের রং ফর্সা না হলেও তূর্য এর বউ দেখছি ভালোই হট, সেক্সি!’
বর্ষা রাগী চোখে আরিয়ান এর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ আপনি যা বলতে ডেকেছেন তাই বলুন।’
বর্ষা পার্স টা আগলে রাখছে খুব করে কারণ পার্সে ও চাকু আর মরিচ গুঁড়া নিয়ে আসছে। নিজেকে প্রোটেক্ট করতে।
আরিয়ান বর্ষার দিকে নিজের ফোন এগিয়ে দিলো। বর্ষা বললো,
‘ ফোন দিচ্ছেন কেন?’
আরিয়ান বললো, ‘ দেখো।’
বর্ষা কাঁপা হাতে ফোনটা নিলো ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে কিছু বাজে নগ্ন ছবি। তূর্য ও পরিচিত মেয়ে। যাদের সাথে খুব ক্লোজ হয়ে ছবি তুলেছে। পোশাক নাই বলতে গেলে এমন একটা ছবি দেখতেই বর্ষা ঠাস করে আছড়ে ফেললো ফোন। আরিয়ান বর্ষার মুখের দিকে শয়তানি হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে।
‘ এসব কি তূর্য এটা হতেই পারে না। এসব ইডিট করা ছবি। আমাকে বোকা পেয়েছেন তাই না!’ রেগে চিৎকার করে ফেললাম বর্ষা।
আরিয়ান বললো,
‘ ওরে বাবা এতো ভালোবাসা কিন্তু আমি তো জানতাম তুমি ওকে ঘৃণা করো। আর তূর্য যা করেছে তোমার সাথে তাতে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন তো অন্য কিছু মনে হচ্ছে।’
‘ আপনি এতো কিছু জানলেন কি করে?’
‘ সেসব না জানলেও চলবে কিন্তু আমার কাছে আরো বড় প্রমাণ আছে বলেই আরেকটা ফোন বের করলো। এবার ফোনে ভিডিও দিয়েছে
‘ আবার কি আমি এসব বিশ্বাস করিনা চলে যান।’
জোর করেই দেখালো ভিডিও দেখে বর্ষা স্তব্ধ হয়ে গেলো। ছবি না হয় ইডিট করা যায়। কিন্তু এই ভিডিও এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তূর্য একটা মেয়ের সাথে আছে। তূর্য কে মাতাল লাগছে কিন্তু মেয়েটাকে আমার চেনা চেনা লাগছে কেন। মেয়েটা তূর্য কে পেছনে থেকে জাপটে ধরে আছে। মেয়েটা এবার সামনে চলে এলো তূর্য এর কোর্ট খুলে শার্টের বোতাম খুলতে লাগলো। এবার আমি মেয়েটার মুখ স্পষ্ট দেখলাম এটা তো জেসি। শার্ট খুলে ফেলে দিলো তারপর তূর্য কে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে নিজে ও ঝাঁপিয়ে পরলো ওর উপর এটুকু দেখেই বর্ষা চোখ বন্ধ করে ফেললো আর বলল,
‘ সরান এটা। আমি আর দেখতে চাই না।’ বর্ষার বন্ধ চোখের কোনে বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। তূর্য কে ভালোবাসে ফেলেছে ও এখন তাকে অন্য নারীর সাথে এতোটা অঙ্গরঙ্গ ভালো ও সহ্য করতে পারছে না। তার মানে জেসির সাথে উনার সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু আমাকে বলেনি। বলেছে ওনাকে নাকি জেসি ডিসটার্ব করে। কি মিথ্যুক! আমি জানতাম তূর্য খারাপ খুব খারাপ! খারাপ না হলে কি আমার সাথে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইতো। সব জেনেও আমি এই মানুষটার উপর দূর্বল হয়ে গেলাম। আবার তাকে মেনে নিতেও চাইলাম। ছিঃ এতো ভালোবাসার লোভী কেন আমি। এমন মানুষের সাথে থাকা সম্ভব না।
নিজের কাজ হয়ে গেছে বুঝতে পেরে আরিয়ানের আনন্দ দেখে। বর্ষা এলোমেলো পা ফেলে বাসায় চলে এলো।
বর্ষার বডি গার্ড যাকে তূর্য হায়ার করেছিলো সে সব দেখেছে তাই সে তূর্য কে সব বলার জন্য ফোন করলো তূর্য কে কিন্তু রিসিভ হওয়ার আগেই একটা গুলি এসে তার বুক বরাবর লাগলো আর লোকটা সেখানেই প্রাণ হারালো।
নিদ্রা আর অভ্র হানিমুনে গেছে মালদ্বীপ। ওদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে গেছে। দুজন দুজনকে মেনে নিজেদের ভালোবাসার ডুবে আছে।
#চলবে…..