#তোকে_ছাড়া_আমি_শূন্য
সূচনা পর্ব
Faria Siddique
১.
রুদ্র অফিসে ডুকতেই অফিসের সব স্টাফদের মুখে ভয়ের ছাপ দেখা গেল।
সবাই একসাথে দাড়িয়ে রুদ্রকে সালাম দিল।
অফিসে এসেই রুদ্র সোজা তার কেবিনে চলে গেল।রুদ্রের পিছন পিছন তার পিএ রাজ তার কেবিনে গেল।
রুদ্রঃরাজ আজকের মিটিং এর সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে??(গম্ভীর ভাবে)
রাজঃজ্বি স্যার।
রুদ্রঃওকে।মনে রেখ এই ডিলটা আমাদের জন্য খুব বেশি জরুরি না হলেও কমও না।
কারন এই ডিলটা যদি ফাইনাল হয় তাহলে আমরা বাংলাদেশসহ ১০ টা দেশের শীর্ষে চলে যাব।(বাকা হেসে)
রাজঃজ্বি স্যার।আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো….
রুদ্রঃউহুম রাজ চেষ্টা না আমার ডিলটা ফাইনাল হওয়া চাই মানে চাই।আর তুমি তো জানো আমি যেটা চাই সেটা আমার করেই ছাড়ি।(রাগিভাবে)
রাজঃজ্বি স্যার।
রুদ্রঃnow go…
রাজ কেবিন থেকে চলে গেল।
আসুন এবার রুদ্র সাহেবের সম্পর্কে কিছু জানা যাক।
(রুদ্র খান।বাংলাদেশের টপ বিজনেসম্যান। যার ক্ষমতা আর খ্যাতি বাইরের দেশেও সবার শীর্ষে।
রুদ্র বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে।একটা বোন আছে তার।দেখতে খুবই সুন্দর। উচ্চতা ৬” ৩,ফর্সা,সিক্সপ্যাক বডি,হ্যান্ডসাম।
কিন্তু প্রচুর রাগি,বদমেজাজী আর জেদি।যেই জিনিসের ওপর একবার চোখ যায় তা নিজের করেই ছাড়ে।
তার বাবাও বিজনেসম্যান ছিল।এখন রুদ্রই তাদের বিজনেস সামলায়।)
রুদ্র মিটিং শেষ করে তার কেবিনে যায়।গিয়ে দেখে তার মোবাইলে অনেকগুলা কল এসেছে।রুদ্র মুচকি হেসে কল ব্যাক করল।
রুদ্র কল করতেই ওইপাশ থেকে কেউ একজন রেগে কথা হ্যালো বলল।
রুদ্রঃমা আমি মিটিং এ ছিলাম।তাই তোমার কল ধরতে পারি নি।সরি মা।
রুদ্রের মাঃহয়েছে হয়েছে।এখন তারাতারি বাসায় আয়।
রুদ্রঃহুম।
এই বলে রুদ্র কল রেখে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল।
রুদ্র বাসায় ডুকতেই দেখে রুশা(রুদ্রের বোন)সোফায় বসে বসে টিভি দেখছে।
রুদ্র গিয়ে পাশে বসে তার মাথায় একটা বারি দিয়ে বলল
রুদ্রঃসারাদিন শুধু টিভি দেখা।পড়ালেখা নাই।যা গিয়ে পড়তে বস।
রুশা রাগী চোখে রুদ্রের দিকে তাকালো
রুশাঃমা মা দেখো না ভাইয়া কি করছে।(চিল্লিয়ে)
রুদ্রের মাঃঠিক কথাই তো বলেছে।
রুশাঃমা তুমিও।যাও আমি বাবার কাছেই বিচার দিব।
রুদ্রের বাবা তখনি এসে সোফায় বসল
রুদ্রের বাবাঃকার নামে বিচার দিবি?
রুশা কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুদ্র বলল
রুদ্রঃবাদ দাও বাবা।আর আজকের ডিলটা ফাইনাল হয়ে গেছে।
রুদ্রের বাবাঃবাহ এ তো দারুন খবর।আমি জানতাম তুই পারবি।i am proud of you.
রুদ্রের মাঃহয়েছে এবার ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।
রুদ্রঃহুম।
রুদ্র ফ্রেশ হতে চলে গেলো।
২.
একটা কবরের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
নীল শাড়ী খোপায় গাজরা আর হাত ভর্তি চুরি পরে দাঁড়িয়ে আছি আর চোখের পানি ফেলছি।
কবরটা আমার আপুর।আপু বেচে থাকতে আমি আর আমার আপু এই দিনে নীল শাড়ী পরে সাজতাম।আপু নেই আজ তিনবছর হল।
এই তিনবছর আমি এই দিনে নীল শাড়ী পরে এখানে আসি।আজ আমার আপুর জন্মদিন।আমি সারাবছর সবার সামনে হাসিখুশি,চঞ্চল একটা মেয়ে হলেও ভিতর থেকে ভেঙে যাওয়া একজন।
আমি আর কিছুক্ষন থেকে বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসলাম।এসে আমি ফ্রেশ হয়েই আপুর বড় একটা ছবি নিয়ে বারান্দায় চলে গেলাম।
আসুন আমার পরিচয়টা দিয়ে নেই।
(আমি ফারিয়া সিদ্দিকী সৃষ্টি।আমার পরিবার বলতে আমার দুই ভাই,বাবা আর আমি।
আমার একটা বোন ছিল।কিন্তু তিনবছর আগে সে মারা গেছে।তারপরই আমার দুইভাই আর বাবা আমাকে নিয়ে লন্ডনে চলে যায়।
আমার ভাইয়ারা লন্ডনে নামকরা বিজনেসম্যান।আর আমার বাবা লন্ডনের নামকরা ডাক্তার।
আমি ওখানেই পড়াশুনা করতাম।
কিন্তু আমি ঠিক করেছি আমি এখান থেকে ভার্সিটি কম্পলিট করবো।
তাই আমি এখানে এসে ১ বছর আগে একটা নামকরা ভার্সিটিতে ভর্তি হই।আমার ভাইয়ারা আর বাবা কিছুতেই আমাকে আসতে দিতে চায় নি।
আমার বাবা আর ভাইয়াদের জান আমি।আমি ওদেরকে অনেক কস্টে রাজি করিয়েছি।তাও দিত না যদি না আমি তাদের সব শর্ত মেনে না নিতাম।
যাই হোক আমি দেখতে খুব বেশী সুন্দরী না হলেও কমও না।
আমার উচ্চতা ৫” ৬।দেখতে একদম সাদা।আমি খুবই জেদি আর প্রতিবাদী,রাগিও বটে।ওজনও বেশি না। ৫০ কেজি।
বাবার আর ভাইয়াদের শর্ত অনুযায়ী
এখানে আসার আগে ভাইয়ারা আমার জন্য একটা বাড়ি কিনে দিয়েছে।
সেই বাড়িতে আমি একাই থাকি।আর বাড়ির চারপাশে বডিগার্ড।সার্ভেন্টেরও অভাব নেই বাড়িতে।)
আমি আমার আপুর ছবিটা নিয়ে বারান্দায় বসে বসে কান্না করছিলাম।ঠিক তখনি আমার দরজার বারি পরে।
আমি গিয়ে দরজা খুলে দেখি একজন সার্ভেন্ট খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
সার্ভেন্টঃম্যাম আপনার খাবার..
আমিঃআমি খাব না।
সার্ভেন্টঃম্যাম প্লিজ খাবারটা খেয়ে নিন।আপনি যদি না খান তাহলে আমার চাকরি থাকবে না।
আমিঃরেখে যাও।
খাবার দিয়ে সে চলে গেলো।
আমি গিয়ে বিছানায় বসতেই দাভাই(বড়ভাইয়া)কল দিল।
আমি মুচকি হেসে কলটা ধরলাম।
দাভাইঃআমার টুকু কেমন আছে??
আমিঃভালো আছি দাভাই।তুমি কেমন আছ?
দাভাইঃআমিও ভালো আছি।
আমিঃবাবা আর ভাইয়া(ছোটভাইয়া) কই?
দাভাইঃবাবার নাকি একটা সার্জারি আছে আর তোর ভাইয়া একটা মিটিং গেছে।
আমিঃও আচ্ছা।
দাভাইঃখাওয়াদাওয়া হইছে???
আমিঃইয়ে মানে এখনি খাব।
দাভাইঃতারাতারি খা।আমার একটু অফিসে যাব।বাই টুকু
আমিঃবাই দাভাই।
আমি খেয়ে আপুর ছবিটা বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।আপু স্মৃতিগুলা মনে পরতেই আমার চোখ থেকে পানি পরতে লাগলো।
আমি জানি আজকে আমার বাবা আর ভাইয়ারাও আপুর জন্য কান্না করবে।আজকে আমাদের চারজনেরই চোখের পানি পরবে আমার আপুর জন্য।
আমরা দুইবোন বাবা আর ভাইয়াদের চোখের মনি ছিলাম।আমাদের মা মারা গেছে ছোটবেলায়।আমাদের দুইবোনকে খুবই আদর করতো
কিন্তু তিনবছর আগে আপু ক্যান্সারে মারা যায়।বাবা শত চেষ্টা করেও বাচাতে পারেনি আপুকে।
এরপর থেকে আমরা চারজনেই ভিতরে অনেক কস্ট পেলেও তা বাইরে প্রকাশ করি না।বাইরে থেকে আমরা হাসিখুশি।
চলবে………
#তোকে_ছাড়া_আমি_শম
পর্ব:০২
#Faria_Siddique
আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি রাত হয়ে গেছে।আমার মনটা কেমন জানি খারাপ লাগছে।তাই ভাবলাম বাইরে থেকে একটু হেটে আসি।কিন্তু একা একা আমাকে যেতে দিবে না।তাই আমার বাসার দারোয়ানের পিচ্ছি ছেলেকে নিয়ে বের হলাম।
গায়ের উপর একটা চাদর নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।পিচ্ছিকে নিয়ে বাইরে হাটতে লাগলাম।পিচ্ছি তো সেই খুশি।আমিও মুচকি হেসে তার হাত ধরে হাটতে লাগলাম।
আমরা হাটতে হাটতে একটা টং দোকানের সামনে চলে আসলাম।আমি আর পিচ্ছি গিয়ে দোকানে বসে চা খেতে বসলাম।
আমিঃকিরে পিচ্ছি চা খেতে কেমন?
পিচ্ছিঃএকদম সেই আপু।
আমি মুচকি হাসলাম।তারপর আবার চা খেতে লাগলাম।
খাওয়া শেষে আমি আর পিচ্ছি হাটতে লাগলাম।আমি খেয়াল করলাম পিচ্ছি একটু পর পর আমার দিকে তাকাচ্ছে।
আমিঃকিরে পিচ্ছি এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন???
পিচ্ছিঃআপু আমি ভাবতাছি আপনি যদি আমার থেকে ছোট হতেন তাহলে আমি আপনাকে বিয়ে করতাম।
আমি ওর কথা শুনে হাসবো না কাদবো কিছুই বুঝতে পারছি না।আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
আমিঃতবে রে….
এই বলেই আমি দৌড়াতে লাগলাম ওকে।
কিন্তু হঠাৎ করে একটা গাড়ি আমার সামনে এসে পরে।আমি ধাক্কা খেয়ে পরে যাই।তারপর আর আমার কিছু মনে নেই।
চোখ খুলে আমি নিজেকে হসপিটালে আবিষ্কার করি।পিচ্ছি আমার পাশে বসে কাদছে।আমি ওর গাল ছুয়ে দিলাম।
আমিঃকাদছিস কেন?আমার কিছুই হয় নি..
পিচ্ছি কেদেই যাচ্ছে।আমি উঠে বসে ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম আমার হাতে আর মাথায় একটু ব্যাথা পেয়েছি।
আমিঃআমাকে এখানে কে আনলো?
তখনি দরজার কাছ থেকে কেউ বলে উঠল
-আমি এনেছি(রাগিভাবে)
আমি তাকিয়ে দেখি একটা লোক দাড়িয়ে আছে।দেখতে খুবই সুন্দর। কিন্তু তাতে আমার কি??
লোকটা আমার কাছে এসে আমার দিকে ঝুকে বলল
লোকঃবাচ্চাদের মত রাস্তায় দৌড়ানোর যখন এতই শখ তাহলে মরার প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা উচিত আর রাস্তায় বের হয়ার সময় জামাকাপড়ের দিকে নজর রাখা উচিত।
আমি উনার কথা শুনে নিজের দিকে তাকাই।তারপর আশেপাশে আমার চাদর খুজতে থাকি।
লোকঃএখন চাদর খুজে আর কি হবে যা দেখার তো দেখেই নিয়েছি।( বাকা হেসে)
আমি এবার রেগে গেলাম
আমিঃআপনি তো ভারী অসভ্য লোক।
লোকটা কিছু না বলে তার ব্লেজারটা খুলে আমার গায়ে দিয়ে বলল।
লোকঃআমি যা দেখার দেখে নিয়েছি আর কেউ যাতে না দেখে তার ব্যবস্থাই করে দিলাম।
এই বলেই লোকটা চলে গেল।আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
লোকটা যাওয়ার পরেই ডাক্তার ডুুকলো।
ডাক্তারঃএখন কেমন আছেন?
আমিঃহুম ভালো।ডাক্তার বিল কত এসেছে?
ডাক্তারঃবিল নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না।আপনার বিল পে হয়ে গেছে।
আমিঃকে করেছে??(অবাক হয়ে)
ডাক্তারঃরুদ্র খান
আমিঃএকটু আগে যে লোকটা আসলো উনি??
ডাক্তারঃহুম।(অবাক হয়ে)আপনি রুদ্র খানকে চিনেন না??(অবাক হয়ে)
আমিঃনা।কে উনি?
ডাক্তারঃউনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজনেসম্যান।
আমিঃও আচ্ছা।তা উনি কি আমাকে ফকির মনে করেছে যে আমার বিল উনি দিয়ে গেল?(রেগে)
ডাক্তারঃদেখুন আমি কিছু জানি না।
এই বলেই ডাক্তার চলে গেল।
আমিও বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরলাম। হসপিটাল থেকে বেরিয়ে দেখি একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।গাড়ি থেকে একটা লোক বেরিয়ে এসে আমাকে আর পিচ্ছিকে গাড়িতে উঠতে বলল।
আমি এবার রেগে গেলাম।তারপর লোকটা কে বললাম
আমিঃকে বলেছে আপনাকে??
লোকঃম্যাম রুদ্র স্যার বলেছে।প্লিজ ম্যাম উঠে……..
লোকটা আর কিছু বলার আগেই আমার গাড়ি এসে আমার সামনে দাঁড়ালো।
আমিঃআপনাদের স্যারকে গিয়ে বলুন ফারিয়া সিদ্দিকী কারোর দয়ার পাত্রী নয়।
এই বলেই আমি লোকটার হাতে ১০০০ টাকার একটা বান্ডেল ধরিয়ে দিয়ে মুচকি হেসে পিচ্ছিকে নিয়ে গাড়িতে উঠে চলে গেলাম।
রুদ্র গাড়িতেই ছিল।আমার কথাগুলা শুনে রাগে ওর মুখ লাল হয়ে গেল।
রুদ্রঃতোমার খুব সাহস তাই না?দেখি তোমার এই সাহস কয়দিন থাকে?আমাকে রিজেক্ট করার সাহস তুমি দেখিয়েছ।তার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।(চোখ মুখ লাল করে)
৪.
আমি ঘরে এসে বসে আছি।সবাই অনেক প্রশ্ন করেছে কিন্তু আমি কাউকে কিছু না বলে ঘরে এসে দরজা লক করে দিলাম।
রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে।
আমিঃএই লোক নিজেকে কি মনে করে?শালা উগান্ডার কাইল্লা বিলাই,কুত্তা,কত্ত বড় সাহস আমারে আসছে দয়া দেখাইতে!!!
আমি মনে মনে রুদ্রকে এসব গালি দিচ্ছি আর রাগে ফুসছি।ঠিক এমন সময় বাবার কল এল।
আমি হাসিমুখে কল ধরলাম।
আমিঃহ্যালো বাবা
বাবাঃহ্যালো প্রিন্সেস।কেমন আছে আমার প্রিন্সেস?
আমিঃতোমার প্রিন্সেস খুব ভালো আছে।আর তুমি?
বাবাঃআমিও ভালো আছি।
আমিঃদাভাই আর ভাইয়া কই?
বাবাঃওরা অফিসে।তা তোমার খাওয়াদাওয়া হইছে?
আমিঃহুম বাবা হইছে।
বাবাঃআচ্ছা মামুনি রাখি।বাবার একটা সার্জারি আছে।
আমিঃওকে বাই।
বাবাঃবাই।
বাবা কল রেখে দিল।কিন্তু আমার মন খারাপ হয়ে গেলো। আজকে সবাই কল দিয়ে আমার সাথে ভালো করে কথা বলছে না।
আমি এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরেছি।
অন্যদিকে
রুদ্র নিজের রুমের সবকিছু ভেঙে ফেলেছে।তাতেও যেন তার রাগ কমছে না।
রুদ্রঃসাহস কতো বড় আমার সাহায্য নিতে চায় না।যেই আমি সকল মেয়ের ক্রাশ সেই আমাকে এই মেয়ে পাত্তাই দিল না।তোমাকে তো এর দাম দিতেই হবে সুন্দরী।(রাগে লাল হয়ে)
রুদ্রের রুমে ভাংচুরের আওয়াজ শুনে রুদ্রের মা দৌড়ে এলো।এসেই রুদ্রের রুমের দরজা ধাক্কাতে লাগলো।
রুদ্রের মাঃ রুদ্র কি হয়েছে তোর??
রুদ্রঃকিছু না মা।তুমি যাও(চিল্লিয়ে)
রুদ্রের মা আর কিছু বলল না কারন তিনি জানে এখন রুদ্র রেগে আছে।আর রুদ্রের রাগ উঠলে কি করে তা সে নিজেও জানে না।
রুদ্র বারান্দায় গিয়ে রাজকে কল দিল।
রুদ্রঃরাজ আমি তোমাকে একটা মেয়ের ছবি পাঠাচ্ছি ওই মেয়ের সম্পুর্ণ তথ্য আমার চাই ১০ মিনিট এর মধ্যে।আর শুনো মেয়েটার পিছনে লোক লাগাও।২৪ ঘন্টা সে কি করে আমাকে জানাও।
রাজঃজ্বি স্যার…(অবাক হয়ে)
রুদ্র কল রেখে দিতেই রাজ বলে উঠল
রাজঃস্যারের আজকে কি হইলো?একটা মেয়ের জন্য এতো কিছু?যাক আমার কি আমার কাজ আমি করি।
এই বলেই রুদ্র আমার সম্পর্কে সবকিছু বের করা শুরু করলো।১০ মিনিট এর মধ্যে
আমার সব তথ্য বের করে রুদ্রকে কল দিল।
রুদ্রঃহুম রাজ বল
রাজঃস্যার ফারিয়া সিদ্দিকী সৃষ্টি ওর নাম।এখানে থাকে না।একবছর হল লন্ডন থেকে এখানে এসেছে।আর এখানে এসে একটা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।আর সবচেয়ে অবাকের ব্যাপার হচ্ছে ফারিয়া লন্ডনের বিখ্যাত বিজনেসম্যান ফারহান সিদ্দিকী আর ফারদিন সিদ্দিকীর একমাত্র আদরের বোন।আর লন্ডনের বিখ্যাত ডাক্তার নুরে আলম সিদ্দিকীর মেয়ে।
রুদ্রঃকি বললা!!!!!!ও ফারদিনের বোন(অবাক হয়ে)
রাজঃহুম স্যার..কেন কি হয়েছে?
রুদ্রঃকিছু হয় নি কিন্তু এবার হবে।(বাকা হেসে)
এই বলেই রুদ্র কল রেখে দিল।
চলবে……….