তোমাতেই আমি মগ্ন পর্ব-০৬

0
334

#তোমাতেই_আমি_মগ্ন 🌸

#পর্ব_০৬ (বোনাস পর্ব)

#লেখক_ঈশান_আহমেদ

অন্নার চোখে পানি চলে আসলো।আবির অন্নার দিকে মুখ মলিন করে তাকিয়ে আছে।আবির অন্নার দিকে একটা টিস্যু এগিয়ে দিয়ে বললো,

অনুলতা কান্না করার কিছু নেই।আমাকে সবটা বলো।(আবির)

অন্না আবিরের থেকে টিস্যুটা নিয়ে চোখ মুছলো।অন্না নিজেকে স্বাভাবিক করে আবিরকে সবটা বললো।আবির চোখ-মুখ লাল করে বসে আছে।দেখে মনে হচ্ছে প্রচন্ড রেগে গেছে।অন্না আড়চোখে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে।সে আবিরের রিয়াকশন বোঝার চেষ্টা করছে।আবির অন্নার দিকে তাকিয়ে বললো,

যে এমনটা করেছে তার নাম কি?(আবির)

অন্না কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

ফাহাদ হোসেন।(অন্না)

তার মানে ওই বিজনেস ম্যান ফাহাদ?(আবির)

হুম।(অন্না)

ওর তো খবর আছে।(আবির)

আবির বসে বসে রাগে ফুসছে।অন্না চুপ হয়ে বসে আছে।সে নিশ্চিত আবির তাকে দূরে সরিয়ে দিবে।আবির অন্নাকে অবাক করে তার এক হাত টেনে ধরলো।

অনুলতা আমি এতোটা অমানুষ না যে এমন একটা বিষয় জানার পরে তোমাকে দূরে সরিয়ে দিবো।আমি তোমাকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।যা এমন ছোট ইস্যুতে উড়ে যাবে নাহ্।(আবির)

অন্না আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে।অন্না নিজেকে শক্ত করে আবিরের হাতটা সরিয়ে দিলো।

এগুলো আবেগ আবির বাবু।আপনি যদি এই বিষয়টা নিয়ে একবার ভালো করে ভাবেন তখন আপনার এই ভালোবাসা আর থাকবে না।(অন্না)

তুমি তো আর নিজের ইচ্ছাতে ধর্ষিত হওনি।ওই লোক জোর করে তোমার সাথে এমনটা করেছে।(আবির)

সবকিছুর পরেও আমি একজন ধর্ষিতা।(অন্না)

আবির চোখ বন্ধ করে বসে আছে।অন্না উঠে হাঁটা শুরু করলো।

কারো হাতের স্পর্শে আবির চোখ খুললো।পিছনে তাকিয়ে দেখে নিশান তার কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আবির উঠে নিশানকে জড়িয়ে ধরলো।

কখন আসলি তুই?(আবির)

আমি অনেক আগেই এসেছি।এতোক্ষণ ধরে পাশের টেবিলে বসে তোদের সব কথা শুনলাম।আবির আর যাই করিস উনাকে না মানে কি জানি নাম ইয়াহ্ অন্নাকে ঠকাস না।এমনিই মেয়েটা অনেক কষ্টে আছে।যদি তোর সত্যটা জানতে পারে তাহলে আরো আপসেট হয়ে পড়বে।(নিশান)

নিশান ওটা জাস্ট একটা এক্সিডেন্ট।আর তুই তো জানিস আমি শুধু অনুলতাকেই ভালোবাসি।(আবির চোখ রাঙিয়ে বলল)

জানি আমি।তবে অন্নাকে তোর সবটা জানানো উচিত।নাহলে তুইও ওর সাথে অন্যায় করবি।(নিশান)

তুই কি এইসব বলতে এখানে এসেছিস?(আবির ধমক দিয়ে বলল)

রিলাক্স ব্রো।তোর যা মনে হয় তাই কর।আমার যেটা মনে হলো সেটা বললাম।বাই দ্যা ওয়ে আঙ্কেল কোথায়?(নিশান)

ডেড মেইবি অন্নার বাবা-মার সাথেই আছে।তবে কোথায় আই ডোন্ট নো।(আবির)

তুই কি রেগে আছিস?(নিশান)

না!আচ্ছা চল।ওয়েট অনুলতা কোথায় গেল তুই দেখেছিস?(আবির)

দেখলাম তো হোটেলের দিকে যেতে?(নিশান)

আচ্ছা চল গিয়ে দেখি হোটেলে ঠিক ভাবে পৌছেছে নাকি!(আবির)

আবির আর নিশান হাঁটছে।

আচ্ছা নিশান তুই কখন দেশে আসলি?(আবির ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো)

সকালে ঢাকায় এসে সোজা সিলেটে।কারণ রাতে তুই তো বললি সোজা সিলেট আসার কথা।আর তুই তো জানিস এই দুনিয়ায় আমার আপন বলতে কেউ নেই।শুধু তোর জন্যই দেশে আসা।(নিশান)

আবির নিশানকে জড়িয়ে ধরলো।

একদম এভাবে বলবি না।তুই আমার বন্ধুর চেয়ে বেশি।তুই আমার ভাই।আর আমরা আছি এতেই হবে আর কাউকে লাগবে না।(আবির)

নিশান মুচকি হাসলো।আবির নিশানকে ছাড়লো।

আচ্ছা ওরা কেমন আছে?(আবির)

ভালো আছে।তবে তোর কথা আমাকে অনেকবার জিগাসা করেছিল।আমি কিছু বলিনি।(নিশান)

আবির আর কিছু না বলে হাঁটা ধরলো।নিশানও আবিরের সাথে তাল মিলিয়ে হাঁটছে।

////

অন্না একটা বেঞ্চে বসে আছে।চারিপাশটা নির্জন তবে পরিবেশটা সুন্দর।অন্য সময় হলে এমন একটা জায়গায় অন্না ভয়েও একা বসতে পারতো না।কিন্তু আস্তে আস্তে তার জীবন থেকে ভালো লাগা,ভয় সব চলে যাচ্ছে।

হঠাৎ করে কয়েকটা ছেলে এসে অন্নার সামনে দাঁড়ালো।অন্না কিছুটা অবাক হলো।অন্না কিছু না বলে উঠে হাঁটা শুরু করলো।কিন্তু ছেলেগুলো অন্নার পিছনে হাঁটছে আর বাজে মন্তব্য করছে।অন্নার প্রচুর রাগ হচ্ছে।শুধু নতুন জায়গা বলে কিছু বলছে না।

হঠাৎ করে একটা ছেলে বললো,

কি গো সুন্দরী এই রাতের বেলা এমন নিরিবিলি পরিবেশে কোন মজনুর জন্য অপেক্ষা করছিলে নাকি?

তারপরে আরেকজন বললো,

সমস্যা নেই মজনু আসেনি তো কি হয়েছে।আমরা মজনুর মজা দিয়ে দিবো।

অন্না আর রাগ সামলাতে না পেরে পিছনে ফিরে দুইটা ছেলের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।অন্য যেই ঘুরে হাঁটতে যাবে তার আগে একটা ছেলে অন্নার হাত ধরলো।

হাতটা ছাড়ুন আমার।(অন্না চোখ রাঙিয়ে বললো)

ছেলেটা বাঁকা হাসি দিয়ে গাল চুলকাচ্ছে।ছেলেটার এমন হাসি দেখে অন্নার ফাহাদের কথা মনে হতেই চোখে জল চলে আসলো।

ছেলেটা কিছু বলতে যাবে এমন সময় হঠাৎ করে ছেলেটার হাতে একটা লাঠি কেউ ছুড়ে মারলো।

অন্নার হাতটা মুক্তি পেল।অন্না তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে পকেটে হাত দিয়ে।ছেলেটা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে মুখটা দেখা যাচ্ছে না।

গুন্ডাগুলো ছেলেটার দিকে এগিয়ে গেলো।ছেলেটা একটা একটা করে গুন্ডাকে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে।অন্না হা হয়ে তাকিয়ে আছে।যেই ফাইট সে সিনেমায় দেখতো তা আজ বাস্তবে দেখছে।অন্না যখন সিনেমায় দেখতো নায়করা নায়িকাদের এমন মারামারি করে গুন্ডাদের হাত থেকে বাঁচায়।তখন অন্নার-ও ইচ্ছা হতো এমন একটা স্বপ্নের নায়ক পাওয়ার।তবে অন্নার সব ইচ্ছা দিনদিন মরে যাচ্ছে।

ছেলেটার হাতে মার খেয়ে গুন্ডাগুলো সব দৌড়ে পালালো।ছেলেটা অন্নার দিকে এগিয়ে আসলো।ছেলেটার গায়ে কালো রঙের একটা জ্যাকেট,গলায় মাফলার ঝুলানো আর মুখে মাস্ক পড়া।ছেলেটার মুখ দেখা একে বারেই অসম্ভব বললে চলে।

রাতের বেলা এমন নিরিবিলি পরিবেশে একা বসে থাকা ঠিক না।বিভিন্ন বিপদ হতে পারে।তার চেয়ে বড়ো কথা এই ঠান্ডার মধ্যে আপনি এমন পাল্টা একটা ওড়না গায়ে প্যাঁচিয়ে ঘুরছেন কিভাবে?(ছেলেটা)

সেটা আপনার না জানলেও চলবে।(অন্না)

আমার জানারও কোন ইন্টারেস্ট নেই।(ছেলেটা)

ছেলেটা পিছনে ঘুরে যেতে যাবে এমন সময় অন্না বললো,

থ্যাংকস।(অন্না)

ছেলেটা পিছনে ঘুরে তাকিয়ে আবার পকেটে হাত ঢুকিয়ে হেঁটে চলে গেল।

!!!!

আবির হোটেলে এসে দেখে অন্না নেই।আবির হোটেলের চারিপাশে খুঁজে অন্নাকে না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যায়।আবির ঘুরতে ঘুরতে একটু সামনে এগিয়ে দেখলো অন্না হেঁটে হেঁটে হোটেলের দিকে আসছে।আবিরের মুখে হাসি ফুটলো।

অন্না সামনে তাকিয়ে দেখে আবির তার দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে।অন্না এসে আবিরের সামনে দাঁড়ালো।

অনুলতা কোথায় গিয়েছিলে তুমি?(আবির)

অন্না কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা এড়িয়ে গেলো।

কোথাও না।আমি একটু ঘুরে দেখছিলাম চারিপাশটা।(অন্না)

আমাকে বললে পারতে!(আবির)

আমি একা একা ঘুরতেই পছন্দ করি।(অন্না)

অন্না হোটেলের ভিতরে চলে গেলো।আবিরও তার পিছু পিছু গেলো।অন্না রুমে গিয়ে দেখে তার মা আর দিশা বসে আছে।

কি রে অন্না কোথায় ছিলি তুই?(অন্নার মা)

আম্মু আমি তো একটু সামনে হাঁটছিলাম।(অন্না)

তোর কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিলো।এমন অপরিচিত জায়গায় একা গিয়ে ঠিক করিসনি।(অন্নার মা)

আম্মু মেয়েদের সতিত্ব টাই তো বড়।আর আমার তো সেটাই……(অন্না)

অন্না এটুকু বলে থেমে গেলো।অন্না নিজেকে সামলে হাসি দিয়ে বলো।

আম্মু একদম চিন্তা করো না।আমার কিছুই হবে না।(অন্না)

অনেমা বেগম অন্নার গালে একটা চুমু দিয়ে ছলছল চোখে রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।

অনু তুই একদম ঠিক করিসনি।তুই তো আমাদের সাথে যেতে পারতি।(দিশা)

হয়েছে এতো বকবক না করে এখন খেতে চল।হোটেলের রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেয়ে আসি চল।(অন্না)



অন্না আর দিশা রুমের বেলকনিতে বসে কফি খাচ্ছে।আর আড্ডা দিচ্ছে।হঠাৎ করে তাদের রুমের দরজায় কেউ কলিংবেল বাজালো।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত ১২:৫০।

এই এতো রাতে কে আসলো?(দিশা)

আমি কিভাবে বলবো?(অন্না)

ভূত-প্রেত নাই তো আবার এই হোটেলে?(দিশা)

চুপ কর তো।পাগলি একটা।(অন্না)

আমি দরজা খুলতে পারবো নাহ্।তুই গিয়ে খোল।(দিশা)

ওকে আমি খুলতেছি।(অন্না)

অন্না উঠে দরজা খুললো।তাকিয়ে দেখে দরজার সামনে কেউ নেই।দিশা তো ভয়ে চুপসে দাঁড়িয়ে আছে।অন্না-ও কিছুটা অবাক হলো।তবে বিষয়টা নিয়ে তেমন মাথা ঘামালো নাহ্।কিন্তু দিশা ভয়ে কাঁপছে।অন্না দরজা লাগিয়ে দিশার কাছে আসলো।

দেখলি এই হোটেলে ভূত আছে।(দিশা কাঁপাকাঁপা গলায় বললো)

আরে গাধি হতে পারে কেউ এসেছিল।দরজা খুলতে লেট হওয়ায় চলে গেছে।(অন্না)

তুই সবটা বুঝতে পারতেছিস।তবে আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এটা বললি।(দিশা)

অন্নার-ও কিছুটা ভয় হচ্ছে।তবে সে যদি দিশার সাথে তাল মেলায়।তাহলে দিশা এখনি পাগলামি করবে।তাই অন্না নিজেকে স্বাভাবিক রেখেছে।

আরে তেমন কিছু না।এখন চল তো অনেক রাত হয়েছে ঘুমাতে হবে।(অন্না)

আমার ঘুম শেষ।(দিশা)

ভালো কথা।তাহলে সারারাত তাকিয়ে বসে থাক।(অন্না)

অন্না গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।দিশা তার বিছানায় না শুয়ে অন্নার বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো।

তুই আমার পাশে শুতে আসলি কেন?(অন্না)

আমার প্রচুর ভয় করতেছে।প্লিজ আমাকে ওই বিছানায় একা শুতে বলিস না।(দিশা)

অন্না দিশার কথায় মিটিমিটি হাসছে।

||🌻||

সকালে ঘুম ভাঙতে আবির দেখলো নিশান রুমে নাই।আবির ফ্রেশ হয়ে এসে রুম থেকে বের হলো।

নিশান রুম থেকে বের হয়ে হাঁটছে।হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগলো।পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

চোখে দেখেন না আপনি?মেয়ে দেখলেই ধাক্কা দিতে হয় নাকি?(দিশা)

এই একদম বাজে কথা বলবেন না।আমি খেয়াল করিনি।(নিশান)

চুপ করুন।আপনি যে ইচ্ছা করে ধাক্কা দিয়েছেন আমি তা ভালো করে জানি।(দিশা)

অন্না তাকিয়ে দেখে নিশান আর দিশা ঝগড়া করছে।অন্না এসে দুজনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়ে।

অন্না তুই মাঝখানে আসলি কেন?(দিশা)

উনি আবির বাবুর বন্ধু নিশান(অন্না)

তো!আবির বাবুর বন্ধু দেখে ছাড় পেয়ে যাবে নাকি?এমনি কালকে রাতের ঘটনা নিয়ে ভেবে মরে যাচ্ছি।তার মধ্যে উনি এসে সকালে ধাক্কা দিচ্ছে।(দিশা)

তিথি আর নিতু এসে হাজির।নিশান কিছু না বলে হেঁটে চলে গেলো।

কালকে রাতে কি হয়েছে রে দিশা?(তিথি)

আর বলিস না।কালকে রাতে কে যেন আমাদের রুমের দরজায় কলিংবেল বাজালো দ্যান যখন দরজা খুললাম তখন দেখি কেউ নেই।(দিশা)

আবির দূরে থেকে দিশার কথা শুনে তাদের দিকে এগিয়ে গেলো।

আসলে কাল রাতে আমিই বেল বাজিয়েছিলাম।কারণ হলো নিশানের হাত কেটে গেছিলাম।যদি কোনো মলম পাওয়া যায় তার জন্য বেল বাজিয়ে ছিলাম।তারপরে দেখলাম দরজা খুলতে লেট হচ্ছে তাই আর ডিস্টার্ব না করে নিচে চলে গেছিলাম হোটেলের।তারপরে ওখান থেকে মলম এনে নিশানের হাতে লাগাই।(আবির)

আমি কত ভয় পেয়েছিলাম জানেন?(দিশা)

সরি।(আবির)

আবির তাদের সামনে থেকে চলে গেলো।

আচ্ছা অন্না তুই জানিস কিভাবে উনি আবির ভাইয়ার বন্ধু?(দিশা)

কারণ উনি অনেক আগে আবির বাবুর সাথে আমাদের বাসায় এসেছিলো।তখন জানতে পেরেছি।(অন্না)

“✨”

তা মিমি বল কালকে আমার সাথে ঘুরে তোর কেমন লাগলো?(ফাহাদ)

তোর সাথে ঘুরে ভালোই লেগেছে।তবে রাতে যখন নেশা গ্রস্ত হয়ে জোর করে আমার কাছে আসলি তখন আর ভালো লাগেনি।(মিমি)

ফাহাদ মাথা নিচু করে বসে আছে।

ফাহাদ মাথা নিচু করে বসে না থেকে নিজেকে পাল্টানোর চেষ্টা কর।মানুষের চরিত্রটা আসল।কিন্তু তোর তো সেটাই নেই।(মিমি)

মিমি চোখের পানি মুছে বিছানার চাদর গাঁয়ে প্যাচিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল।ফাহাদ বিছানার পাশের টেবিলে রাখা পানির গ্লাস ফ্লোরে ছুড়ে মারলো।যা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো।

/\/

আচ্ছা নিশান সাহেব আপনার হাত কাটলো কিভাবে?(দিশা)

আর বলবেন না।কালকে রাতে বিয়ারের বোতল খুলতে গিয়ে হাত কেটে ফেলছি।(নিশান কথাটা বলে জিহ্বায় কামড় দিলো)

দিশা চোখ রাঙিয়ে নিশানের দিকে তাকিয়ে আছে।

#চলবে……………………

[ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]