#তোমাতেই_সীমাবদ্ধ
#part :12
#Mishmi_muntaha_moon
আজকে আন্টিদের দেশের বাড়ি থেকে চলে যাবো।আমি তারাতারি ব্যাগ পেক করে নিলাম।খুব ভালো লাগছে এইটা ভেবে যে আর এই ইতি আপুকে দেখতে হবে না। কোনো এক কারণে উনাকে আমার ভালো লাগে না।মিথিলা আপু আমাকে এতো খুশি দেখে বলল
–কিরে আসার সময়ও তো এতোটা খুশি হোস নি যখন যাবার সময় হচ্ছিস।
আমি আপুর পেকিং এ সাহায্য করে দিয়ে বললাম
–এভাবেই। নিজের বাড়িতে ফিরতে কার না খুশি লাগে তোরো খুশি হওয়া উচিত।
সব পেকিং শেষ করে বাহিরে গিয়ে দেখি আরিশ ভাইয়া সব ব্যাগ টেগ বাসে উঠাচ্ছে।আমি হাসি মুখে আরিশ ভাইয়ার সামনে গিয়ে দারালাম।আরিশ ভাইয়া আমাকে এভাবে উনার সামনে দারাতে দেখে ভ্রু কুচকে বলল
–হোয়াট?কি বলবি তারাতারি বল।
আরিশ ভাইয়ার কথায় মুখ কুচকে বললাম।
–কিচ্ছু বলব না।আপনি যেহেতু সবার ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন তাহলে এই নেন আমার ব্যাগও রেখে দিন গিয়ে।
বলে ব্যাগ গুলো আরিশ ভাইয়ার সামনে ধরি।আরিশ ভাইয়া সাইড কেটে যেতে যেতে বলল।
–তোর কি আমাকে ব্যাগ উঠানোর লোক মনে হচ্ছে?মাথা খারাপ করিস না সর।
ভাইয়া চলে যেতেই মুখ ভেংচি কেটে আমার ব্যাগ গিয়ে রাখলাম।কিন্তু
আপুর ব্যাগ যা ভারি উঠাতেই পারছি না।টেনে টুনে একটু নিয়ে হাপিয়ে পরি।আরিশ ভাইয়া বাহিরে যেতে নেয় তখন আমি আবারও জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে বলি
–প্লিজ ভাইয়া একটুতো হেল্প করুন।
আমার কথায় হয়তো আরিশ ভাইয়ার একটু মায়া হলো।আরিশ ভাইয়া কিছু না বলে ব্যাগ নিয়ে
অনায়াসে হেটে চলে গেলো।আরিশ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলা।
“কতটা দুর্বল আমি একটা ব্যাগও উঠাতে পারি না।তাই তো আজ প্রথম না করে দেওয়ার পরও আবার রিকুয়েষ্ট করতে হলো”
বাহিরে গিয়ে ইতি আপুকে ব্যাগ ট্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ছোট খাটো শক খাই।আরিশ ভাইয়াও হয়তো অবাক হয়েছে।আরিশ ভাইয়া ভ্রু কুচকে ইতি আপুকে উদ্দেশ্য করে বলে
–তুইও কি যাচ্ছিস নাকি আমাদের সাথে।
আরিশ ভাইয়ার কথা শুনে ইতি আপু মৃদু কন্ঠে বলল
–হুম আন্টি বলল আমাকে সাথে যেতে তাই না করতে পারলাম না।
আরিশ ভাইয়াবার কথা বারালো না।বাসে উঠে পরলো।ইতি আপুও উঠলো।তারপর আমি উঠলাম।ইতি আপু উঠেই সোজা আরিশ ভাইয়ার পাশে বসে পরলো।আরিশ ভাইয়া ইতি আপুর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল।
–তুই এখানে কেন বসলি জিনাতের সাথে গিয়ে বস ও তো একা বসবে।
ইতি আপু কিছু বলতে নিবে তার আগেই আমি বলি
–না কোনো দরকার নেই আমি একা বসতে পারবো।
আরিশ ভাইয়ার দিক থেকে চোখ সরিয়ে একা একটা সিটে বসে পরি সকলেই দুজন করে বসে পরেছে আমার সাথে বসার কেউ নেই তাই একাই বসি।
একটু সামনে যেতেই রাস্তা খারাপ হওয়ায় একটু ঝাকির সৃষ্টি হয়।সামলাতে না পেরে জানালার সাথে বারি খেলাম।উফফ ব্যাথার সাথে অনেক রাগ লাগছে আসার সময়ও ব্যাথা পেলাম এখন আবার যাবার সময়ও। আসার সময় আরিশ ভাইয়া ছিলো বলে কিছুটা সামলিয়েছেন কিন্তু এখন তো একা বসেছি। একা বসেছি এইটা ভেবেও আবার রাগ লাগছে।আরিশ ভাইয়া আমাকে ব্যাথা পেতে দেখে সিট থেকে উঠে আমার কাছে আসে।
–মাথা টাথা ফাটানোর ইচ্ছা হচ্ছে নাকি?
আরিশ ভাইয়ার কথাটা শেষ করে আমার মাথায় মৃদু হাত বুলিয়ে দিলো।তারপর আমার পাশেই বসলো।আমি মাথাটা একটু নিচু করে ইতি আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি উনি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে জানালায় মুখ ফিরিয়ে নিলো।আহ কেনো জানি অনেক শান্তি লাগছে।আমিও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সিটে গা এলিয়ে বাতাস উপভোগ করতে লাগলাম।
–
কিছুক্ষন আগেই বাসায় ফিরলাম।আন্টিরা উনাদের বাসায় চলে গেছে।আমি ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় গেলাম।মাথায় চিন্তার গভীর ভাজ ফুটে উঠেছে।
আমি তারাতারি রুমে গিয়ে মোবাইল নিয়ে আরিশ ভাইয়ার নাম্বার ডায়াল করলাম।কেটে গেলো রিসিভ হচ্ছে না।আমি আবারও দিলাম আজ ভেবে নিয়েছি যতক্ষন না কল রিসিভ হচ্ছে ততক্ষন দিতেই থাকবো।৪র্থ বার কল লাগাতেই কল রিসিভ হলো।
–বল কি বলবি?
ভাইয়ার কথায় কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম
–আজ পরাতে আসবেন না?
–কেনো এতো পরালেখার চিন্তা কখন থেকে এসে পরলো তোর মাথায়?
–আজব তো কিছুদিন পরেই তো আমাদের এক্সাম। তাহলে পরাতে একটু মনোযোগ তো দিতেই হবে।
–না আজ পরাবো না।
কিছু বলার আর সুযোগ দিলো না। সোজা কল কাট।আবার কল আসতেই তারাহুরো করে ফোন তুলতেই তুবার নাম ভেসে উঠলো। সব উচ্ছাস হাওয়া হয়ে গেলো।
–হ্যা বল।
–আমি তোদের বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছি তুই ফটাফট আয়।
–হোয়াট আমাদের,,,
এই মেয়েটাও আমাকে কথা শেষ করতে
দিলোনা উফ আজকের দিনটাই হয়তো খারাপ কেউ কথা শুনছে না নিজের কথা আমার উপর ছুড়ে দৌড়
নিচে গিয়ে দেখি তুবা কাধে কলেজের ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আমি মুখ ফুলিয়ে ওর সামনে গিয়ে দারাই।
–সরি রে তোর মুখের উপর কল কেটে দেওয়ার জন্য
না হলে তুই কখনো আসতি না।
তুবার কথায় চোখ ফিরিয়ে বললাম।
–ইটস ওকে।এখন বল কেনো ডেকেছিলি?
–তোর মুড অফ মনে হচ্ছে চল কোথা থেকে ঘুরে আসি।মুড ঠিক হয়ে যাবে।
তুবার কথায় রাজি হলাম।
ফুচকা স্টলের বিছিয়া রাখা চেয়ারে বসে আছি।আজ যা যা খাবো সব তুবার পক্ষ থেকে ট্রিট।
ফুচকা অর্ডার দিয়ে তুবার সাথে কথা বলতে লাগলাম।ওর সাথে আমি সব শেয়ার করি শুধু এই আরিশ ভাইয়ার কথাটা এখনো শেয়ার করা হয় নি।
–শুন তোকে একটা ভিতরের কথা বলার ছিলো।
তুবা সাইডের এক জোরা কাপল থেকে চোখ সরিয়ে আমার দিকে তাকালো
–ভিতরে কথা!তারাতারি বল।
–আমার আন্টির ছেলে আছে না?
–আরে সোজাসাপ্টা বল খালাতো ভাই।
তুবার কথা শুনে বোকা হেসে বললাম।
–হ্যা ঠিক আমার খালাতো ভাই মানে আরিশ ভাইয়া উনার ডায়েরি পরেছি আমি উনাদের দেশের বাড়ি যাবার দিন।
— তারপর?
–তোকে বলেছিলাম না উনি কাউকে ভালোবাসে হয়তো?
–হুম?
–সেই মেয়েটা আমি!
–কিহ!উনি কি তোকে বলেছে।
–আরে নাহ উনার সিক্রেট ডায়েরি আমার হাতে এসেছে।তাই জানতে পারলাম।
–ওহ।তাহলে নাহিদ ভাইয়া?
তুবার কথায় কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম
–নাহিদ ভাইয়ার জন্য এখন কোনো ফিলিংস নেই আর থাকারও কথা না।উনি এখন আমার বড় আপুর ফিয়ন্সি।তাছাড়া উনাকে আমি একসময় পছন্দ করতাম ভালোও বাসতাম না।কিন্তু যদি কথা এফুতো তাহলে হয়তো ভালোবেসে ফেলতাম।
আম্মুর কল আসায় ব্যাঘাত ঘটালো। রিসিভ করতেই এক ধমক।
–না বলে কোথায় চলে গিয়েছিস।দুই মিনিটে বাড়ি ফির।
আবারও কাট।আমি তারাতারি করে ফুচকাওয়ালা কে ফুচকা পেক করে দিতে বললাম।
–কি হলো পেক করতে বললি কেনো?
–এখন বাসায় যেতে হবে যদি দেরি হয় আম্মু আমায় ঘরেই ঢুকতে দিবে না।
ফুচকা নিয়ে রিকশায় উঠে পরলাম।
কিছুক্ষন বকাঝকার পর রুমে এসে বসলাম।সাথে সাথেই মিথিলা আপু হামলে পড়লো আমার নিরীহ ফুচকার উপর। আর এই মারামারির মধ্যেই শেষ হলো ফুচকা।
–আপু তুই আমারবসব ফচকা খেয়ে ফেললি।জীবনে প্রথমবার তুবা ট্রিট দিয়েছিলো সেইটাও তোর ভাগ্যে লিখা ছিলো।মানতে পারছি না।
আপু পানি খেয়ে বলল।
–উফ এত্তো ঝাল কেনো।আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।আর আমি কোথায় খেলাম হাফ তুই হাফ আমি।
–হাফ না পুরোটা আমার ছিলো।আর তোর জেনে রাখা উচিত ছিলো যে আমি ফুচকা অলওয়েজ ঝাল দিয়ে খাই।
–আরিশ ভাইয়া,,,
আপুর কথায় চোখ বড় বড় করে পিছে ঘুরে তাকাই।কেউ নেই দেখে সামনের বালিশ ছুড়ে মারি
–মিথ্যা বললি কেনো।কোথায় আরিশ ভাই?
–আরে সত্যি বলছি।
আপুর কথা উপেক্ষা করে বাহিরে গেলাম।
টিভি দেখার মাঝে বেল বেজে ওঠায় বিরক্ত নিয়ে দরজা খুলি আরিশ ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।হাতে থাকা ফুচকার ব্যাগ আমার হাতে দিয়ে সাইড কেটে ভিতরে গেলো।
এখন বুঝলাম আপু সত্যি বলছিলো।আরিশ ভাইয়া হয়তো ফুচকার জন্য আমাদের ফাইট করতে দেখেছে।আমি গোমড়া মুখ করে ভিতরে গেলাম।আপু ফুচকা দেখে আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ফুচকা বানিয়ে খেতে লাগলো।
আমি আরিশ ভাইয়ার দিকে তাকালামা উনি রিমোট দিয়ে চ্যানেল বদলাচ্ছে।কফি কালারের শার্ট পরেছে।ফর্সা চেহারায় ফুটেছে কালারটা খুব।আরিশ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার মাঝেই হঠাৎ উনি ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচায়।সাথে সাথে আমি চোখ ফিরিয়ে নেই।
–
পরের দিন বিকেলে।
আন্টিদের বাড়িতে যাচ্ছি।আপু একটা কাজে বাহিরে গিয়েছে তাই আমি আন্টিদের বাসায় যাচ্ছি।আন্টিদের বাড়ির মেইন গেট দিয়ে ঢুকতে নিবো তখনই আরিশ ভাইয়া আর ইতি আপুকে চোখে পরে।ইতি আপু আমাকে দেখে হেসে বলে
–আরে জিনাত।
আমি একবার ইতি আপু আর আরিশ ভাইয়াকে দেখে ভ্রু কুচকে বললাম
–আপনারা কোথায় যাচ্ছেন।
–আমার কিছু জিনিস কেনার ছিলো তাই কিনতে যাচ্ছি।
ইতি আপুর কথায় মুচকি হেসে বললাম
–আমিও আপনাদের সাথে যাবো।
আরিশ ভাইয়া আমার কথা শুনে অবাক হয়ে বলল।
–তুই কেনো যাবি?
–আমিও কিছু কিনতাম আরকি।
ভাইয়া সন্দিহান দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে হাটতে লাগলো সাথে।আমি আর ইতি আপুও।ভাইয়া আগে আগে হাটছে আর আমি ইতি আপু পিছে।ইতি কিছুটা দ্রুত পা ফেলে আরিশ ভাইয়ার পাশাপাশি হাটতে লাগলো।আমি কিছুক্ষন ছোট ছোট চোখ করে উনাদের পর্যবেক্ষন করতে লাগলাম।ইতি আপু হাটতে হাটতে একদম আরিশ ভাইয়ার সাথে ঘেঁষে হাটছে।আমি ছুটে যেতে নিয়ে উষ্টা খেয়ে আরিশ ভাইয়ার পিঠের সাথে ধাক্কা খেলাম।আরিশ ভাইয়া থেমে গিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল।
–উষ্টার সাথে হয়তো কোনো গভীর সম্পর্ক আছে তোর।
আরিশ ভাইয়ার কথা মাথা চুলকে হাসলাম তারপর ভাইয়ার হাত চেপে ধরে হাটা শুরু করলাম।
–আমি তো অনেক দুর্বল আবার যদি পরে টরে যাই।তাই আগে থেকেই আপনার হাত ধরে নিলাম।
–
আরিশ ভাইয়াদের ছাদে দারিয়ে আছি।একটু পরেই বাসায় যাবো।কারো আসার আওয়াজে পিছে ফিরে তাকালাম।আরিশ ভাইয়া আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে রেলিঙের উপর দুই হাত রেখে আমায় ঘিরে দারালো।এভাবে হুট করে সামনে আসাতে ভয় পেয়ে যাই।
–কি করছেন আরিশ ভাইয়া?
–কি হয়েছে তোর ইদানীং তোর চালচলনে অনেক পরিবর্তন দেখছি।
আরিশ ভাইয়ার কথায় মুচকি হাসলাম তারপর বললাম।
–আপনার অপ্রকাশ্য কথা, অনুভূতি আমার কাছে প্রকাশ হয়ে গেছে।
আমার কথা শুনে আরিশ ভাইয়া কিছুটা দূরে গিয়ে দারালো।
–কিসের কথা বলছিস?
আমি ঘুরে আকাশের দিকে চোখ রেখে বললাম
–আপনার সিক্রেট ডায়েরির কথা বলছি।
পিছন থেকে কোনো শব্দ না আসায় ফিরে তাকাই সাথে সাথে আরিশ ভাইয়া হাত চেপে ধরে কাছে টেনে নেয়।আর এক হাত দিয়ে আমার গাল চেপে ধরে বলে
–আমার জিনিস ধরার সাহস কথা থেকে পেলি তুই?
আরিশ ভাইয়ার রক্তলাল চোখ দেখে ভয় পেয়ে যাই।আমি ভাবলাম উনি হয়তো আমাকে উনার অপ্রকাশ্য কথা বলবে কিন্তু তার বদলে উনি আমার উপর রাগ দেখাচ্ছে।আমি গাল থেকে আরিশ ভাইয়ার হাত সরানোর চেষ্টা করে বললাম
–ব্যাথা লাগছে। ছারুন।আর কি হয়েছে ডায়েরি দেখে ফেলেছি তো?
আরিশ ভাইয়া কপাট রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।আর আমি অবাক হয়ে দারিয়ে আছি। শুধু শুধু রাগ দেখিয়ে চলে গেলো।
–
আমাদের বাসায় আসলাম।আন্টিদের বাড়িতে যতক্ষন ছিলাম উনি ইগনোর করলো আমায়।
উনি যেহেতু আমাকে ইগনোর করছে তাহলে আমি
সেধে কেনো বেহায়ার মতো যাবো কথা বলতে ।আমিও ভেবে নিয়েছি কোনো কথা বলবো না আরিশ ভাইয়ার সাথে।
ঝুম বৃষ্টি নামতেই ছাদে যেতে লাগলাম।আম্মুর বকা খাওয়ার পরও ছাদে গেলাম।অনেক জোরে বৃষ্টি পরছে।আমার ঠান্ডার প্রব্লেম আছে তবুও ভিতরের রাগ ঠান্ডা করার জন্য ঠান্ডা পানিতে নেমে পরলাম।
দীর্ঘ সময় ভেজার পর অনেক ঠান্ডা লাগতে শুরু করলো ঠান্ডার প্রকোপে নিচে বসে পরলাম।আরও দীর্ঘ সময় ভিজে নিচে গেলাম।আম্মু আমার অবস্থা দেখে আবার বকাঝকা শুরু করলো।আপু আমাকে সেখান থেকে রুমে নিয়ে গেলো।ড্রেস চেঞ্জ করে এক ঘুম দিলাম।
মাঝ রাতে প্রচন্ড শীতে কম্পন উঠে গেলো।আপু আমার অবস্থা দেখে তারাতারি করে আম্মু আব্বুকে ডাক দিলো।জলপট্টি দেওয়ার পর আর ঔষধ খাওয়ার পর জর কিছুটা কমলো।
সকালে কপালে কারো ছোয়ায় চোখ মেলে তাকাই।
আরিশ ভাইয়া খাটের পাশেই একটা টুল এ বসে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আরিশ ভাইয়াকে দেখে আমি প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলাম।
–এক দিনে জ্বর বাধিয়ে নিলি?
— আপনি এখানে এসেছেন কেনো।চলে যান।
আরিশ ভাইয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
–এতো রাগ কোথা থেকে আসে?
— আপনার জন্যই সব হয়েছে।আমি এখন আপনার সাথে কোনো কথা বলবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরিশ ভাইয়া মৃদু কন্ঠে বলল
–সরি।
আরিশ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি গম্ভীর হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি কিছুক্ষন গম্ভীর হয়ে হেসে দিলাম।
–ইটস ওকে।
আমার কথা শুনেও আরিশ ভাইয়ার গম্ভীর্য গেলো
না।উঠে আমার কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো।
চলবে,,,,