তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-১৮+১৯

0
2570

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১৮
… বেলা সকালে উষ্ণ ভেজা স্পর্শে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পিট পিট করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে তার ওপর ঝুঁকে আছে পাগলটা । বেলা তাকাতে টুকুস করে বেলার ঠোঁটে একটা চুমু খেয়ে নেয়। বেলা ভ্রু কুঁচকে তাকাতে বলে ওঠে।
.
–“গুড মর্নিং বেবি । বলে বেলার সামনে ধরে এক গুচ্ছ ফুল। লাল হলুদ এর ডালিয়া তুলে নিয়ে ছোট্ট বুকে মত বানানো।
.
. বেলা অবাক হয়ে যায়। সকাল সকাল এই মিনসেটার হলো টা কি। হটাৎ এত পিরিত দেখায় কেনো। এগুলোই ভাবছে সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে। ঠোঁটে থাকা মুচকি হাসি টা অনেকটাই সতেজ আর প্রাণবন্ত লাগছে বেলার কাছে। বেলা কোনো কথা না বলে পাশ ফিরে উঠে যেতে নেয়। বেলা কে উঠে যেতে দেখে সাঁঝ এর মুখের হাসিটা মিলিয়ে যায়। হটাৎ বেলা যেতে গিয়েও পিছন ফিরে সাঁঝ এর হাতে থাকা ছোট্ট ফুলের বুকে টা নিয়ে নেয়। আর সাথে ছেলের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বেলা কোনো কথা না বলেই ওয়াশরুমে চলে যায়।
.
.বেলা ওয়াশরুমে থেকে বেরিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল মুছছে। এদিকে যে দরজায় দাঁড়ানো কারোর বেলার এই রূপ দেখে পাগল প্রায় হওয়ার অবস্থা। তার মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে বেলার এই রূপ দেখে। আজ প্রথম নয়। এই রূপে বেলা কে যতবারই দেখে তখনই আরো বেশি বেশি বেলার নেশায় আসক্ত হয়। দম আটকে আসে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মাথার ভেজা চুল থেকে টপ টপ করে পানি ঝরছে। কপাল থেকে গড়িয়ে পড়ছে যেটা গাল বেয়ে গলা হয়ে নেমে গেছে আরো গভীরে। এতে যে কতটা মাতাল করে দেয় সেটা হয়তো জানে না। তার এই রূপ দেখে তার ইচ্ছে করে তার বেলার মাঝে ডুব দিতে। চুলের পানির জন্য হোয়াইট শিফন ট্রান্সপারেন্ট আনারকলি স্যুট এর পিঠের দিকে পুরোটাই ভিজে গেছে। এখন বেলার পরনের ড্রেস ও দৃশ্যমান হচ্ছে। সাঁঝ গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসে বেলার দিকে। পিছন থেকে বেলার চুলে মুখ ডুবিয়ে দেয়। হাতে থাকা চায়ের কাপ টা এগিয়ে দেয় বেলার দিকে।
.
. বেলা হঠাৎ করে সামনে চায়ের কাপ আর ঘাড়ে কারোর উষ্ণ নিশ্বাস এর আভাস পেয়ে আয়নাতে তাকাতে দেখে সাঁঝ তার চুলে মুখ ডুবিয়ে রেখেই চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়েছে। বেলা চা দেখে অবাক হয়ে গেছে।
.
–“মশালা চা । বেলা বিস্ময় নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” হ্যাঁ ।তোমার জন্য আমি বানিয়েছি। টেস্ট করে দেখো। সাঁঝ
.
–“আপনি কি করে জানলেন? বেলা প্রশ্ন করে।
.
–” আমি অনেক কিছুই জানি। সেটা এখন তোমার না জানলে ও চলবে। টেস্ট করে বল কেমন হয়েছে। সাঁঝ উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে দেয় চা এর কাপ বেলার দিকে।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সাঁঝ এর থেকে কাপ নিয়ে নেয়। একবার কাপ আর একবার সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে চুমুক দেয়। আর এদিকে সাঁঝ বিছানা থেকে টাওয়েল নিয়ে বেলার চুল মুছে দিতে থাকে। বেলা কোনো কথা না বলে চায়ে চুমুক দিতে থাকে। আর আয়ানাতে দেখতে থাকে সে ঘোর লাগা ভাবে তার চুল মুছিয়ে দিচ্ছে। সাঁঝ বেলার চুল মুছে দিয়ে ঘাড়ে নিজের ঠোঁট ছুয়ে দেয়।
.
. বেলা এতক্ষণ থেকে ভেবে যাচ্ছিলো হঠাৎ করে এই সাঁঝ এর হল টা কি। কাল রাত থেকেই তাকে দেখে যাচ্ছে কেমন একটা পাগলামি পাগলামি ভাব করছে। একটু বেশি কেয়ার করছে একটু বেশি ভালোবাসা দেখাচ্ছে। কিন্তু কেনো। কেনো আবার ও সে তাকে তার দিকে টানছে। কেনো আবার ও দুর্বল করে দিতে চাইছে তাকে। আবার ও তাকে কষ্ট দিতে চায় নাকি মানুষটা। না আর ভাববে না।
.
. বেলা সাঁঝ এর থেকে সরে ঘুরে দাঁড়িয়ে হাতে কাপ ধরিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায় বেলা। এদিকে সাঁঝ কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে বেলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আর হাতের কাপ এর দিকে তাকাতে মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কাপে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে চা পড়ে আছে। ঠিক যেদিকে দিয়ে বেলা চুমুক দিয়েছিলো সেখানে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করায়।
.
–“চা টা ভালো হয়েছে। থ্যাঙ্কস । বেলা আবার ও ঘুরে এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা রুম থেকে বেরিয়ে গিয়ে পাশে থেকে দেখছিল সাঁঝ কে । তার খাওয়া বাকি চা টা সে খাচ্ছে। এটা দেখেই বেলার মুখে ফুটে ওঠে একটা চমৎকার হাসি। সে ইচ্ছা করে কাপে কিছু টা চা রেখেছিলো। সাঁঝ এর প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। না তার এখন মনটা ফুরফুরে লাগছে। ঠিক তার চুমুক দেয়া জায়গায় সাঁঝ ঠোঁট রেখেছিলো। বেলা মুচকি হাসছে আর কাজ করছে।
.
.
. বেলা কিচেনে ব্রেকফার্স্ট বানাচ্ছে। হটাৎ করে পায়ে শুড়শুড়ি অনুভূতি হয়। তবে অতটা পাত্তা দেয় না। কিন্তু কি জ্বালা এত আরো বাড়ছে বই কমছে না। এবার অনুভব করতে থাকে আসতে আসতে তার আনারকলির লোয়ার পোর্শান তা পায়ের থেকে আসতে আসতে উপরে দিকে উঠে যাচ্ছে। আর তার সাথে এবার স্লাইড হিসাবে অনুভব করছে। পাশে তাকিয়ে দেখে। তার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে সাঁঝ পিলারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার পা দিয়ে তার পা স্লাইড করছে। বেলা একবার রাগী চোখে তাকিয়ে আবার ও নিজের কাজে মন দেয়। বেলা জানে এখুনি কিছু বলতে গেলে হামলে পড়বে আরো বেশি বেশি করে করবে। তাকে বিরক্ত করে যেনো সে বিশাল সুখ পায়। বেলার এই রাগী চাহনি দেখে সাঁঝ বাঁকা হেসে আরো জ্বালাতন করতে লেগে যায়। বেলার পিছন এসে দাঁড়িয়ে বেলার কোমরে দু দিকে দিয়ে শক্ত করে ধরে। কোমরে থেকে ট্রান্সপারেন্ট পার্ট টা থেকে কিছুটা খুলে খালি পেটে নিজের হাত দিয়ে স্লাইড করতে থাকে। এদিকে বেলা হাতের থেকে চামচ টা পড়ে যায়। চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে নেয়। সাঁঝ বেলার কাঁধে নিজের ঠোঁট এর স্পর্শ দিতে থাকে গভীর ভাবে। এদিকে বেলার অবস্থা খুব খারাপ।
.
–“মিষ্টি ভাবি।
.
. বাইরে থেকে সারা গলা পেয়ে বেলা চমকে ওঠে। কিন্তু দেখে ডাকাত ছেলে টা এখনও তার নেশায় ডুবে আছে। বেলা সাঁঝ তার পেটের ওপর ধরে থাকা হাতে একটা রাম চিমটি কাটে। সাঁঝ মৃদু আওয়াজ করে সরে দাঁড়াতে। বেলা নিজের ড্রেস ঠিক করে রাগী চোখ দেখিয়ে বেরিয়ে যায়। এদিকে সাঁঝ বেলার চিমটি দেয়া অংশ মুখে পুরে নেয়। মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বলে ওঠে।
.
–“তুমি শেষ ঘরওয়ালি তুমি আসতে আসতে আমার নেশায় আসক্ত হচ্ছ। আমার ওপর তোমার আবারো ফিদা হতে বেশি সময় লাগবে না।
.
.
–” মিষ্টি ভাবি তুমি খাচ্ছ না কেনো। কি হয়েছে। সারা বেলার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা এখন এই মুহূর্তে মুখ কাচু মাচু করে বসে আছে। খেতে ও পারছে না। রাগে ফুসছে। এদিকে সাঁঝ বাঁকা হাসি দিচ্ছে। সাঁঝ বেলার কোমরে হয়ে ডান হাত চেপে রেখেছে শক্ত করে। বেলা চাইলে ও ছাড়াতে পারছে না। তাই বেলা অসহায় হয়ে বসে আছে।
.
–“মিষ্টি। কি হল খাও। জাকিয়া বলে ওঠে।
.
–” আরে বাবা আমার হাতে খাবে বললেই হতো। আমি কি না করেছি সাঁঝ বেলার মুখের সামনে খাবার তুলে ধরে বলে ওঠে।
.
. এদিকে বেলা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে সাঁঝ এর থেকে চোখ মুখ রাগে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। সাঁঝ বেলার পেটের সাথে ধরে থাকা হাত টা আরো শক্ত করে ধরে। বেলার হাত নিজের হাতের সাথে ধরে রেখেই বেলার পেটে স্লাইড করে যাচ্ছে আর এতে বেলা কেঁপে উঠছে। সাঁঝ চোখের ইশারায় খেতে বলে না হলে এর থেকে আরো বেশি কিছু করবে। বেলা এবার চারিদিকে তাকিয়ে দেখে দুষ্টু গুলো তাদের দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছে ।বেলা একবার সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে নিয়ে হা করে খেতে থাকে। রাগী চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সাঁঝ এর দিকে। সাঁঝ বেলা কে খাইয়ে দিতে দিতে নিজে ও খায়।
.
–“বেলা চল লেট হয়ে যাচ্ছে। আজ কেউ স্পেশাল আসতে চলেছে ইউনিভার্সিটিতে। বেদ টেবিল ছেড়ে উঠতে উঠতে বলে ওঠে।
.
–” তোমরা একটু ওয়েট করো আমরা এখুনি আসছি। আজ আমি ওকে ড্রপ করে দেবো। সাঁঝ কথা টা বলেই বেলার মুখ নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে কোলে তুলে নেয়। এদিকে ওখানে থাকা সব দুষ্টু গুলো সিটি বাজিয়ে ওঠে। বেলা হতভম্ব হয়ে দেখতে লাগে।
.
–” জিজ । ওয়ান সেকেন্ড। পোজ প্লিজ। রুহি বলে ওঠে।
.
.আর এদিকে সাঁঝ বেলা কে নিজের বুকের সাথে লাগিয়ে নেয় পুরো। আর তারপরে পোজ দেয়।
.
–” ডান। হেসে বলে ওঠে রুহি
.
. সাঁঝ কোনো কথা না বলে বেলা কে নিয়ে রুমে চলে যায়। বেলা কে কোল থেকে নামিয়ে আবারো নিজের কাছে টেনে নিয়ে বেলার ঠোঁটের চারপাশে লিক করতে থাকে। খাওয়ানোর সময়ে ঠোঁটের আসে পাশে লেগে গেছিলো। সেটা নিজের ঠোঁট দ্বারা ক্লিন করিয়ে দেয় সাঁঝ। আর তারপর গভীর ভাবে শুষে নেয় বেলার ঠোঁট। কিছুক্ষণ পর বেলা কে নিয়ে নিচে চলে আসে।
.
. আজ বেলার বাইক সাঁঝ চালাবে আর পিছনে বেলা। সাঁঝ তার অফিস কাজ ছেড়ে এখন বেলা তে ডুবে আছে। তার পাগলির মান ভাঙ্গতে লেগে আছে। বেলা সাঁঝ কে বাইকে চড়ে বসতে দেখে অবাক হয়ে যায়। তার সাথে কি হচ্ছে সে বুঝতে পারছে না। সব তার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সাঁঝ হেলমেট মাথায় দিয়ে বেলা কে এখনও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেলার হাত টেনে নিজের পিছনে বসিয়ে দেয় তার হাত সামনে টেনে এনে তার কোমরে সাইড থেকে ধরিয়ে দেয়। বেলা সরে যেতে নিলে সাঁঝ বাইক স্টার্ট দেয়।
.
. বাকি গুলো আজ মজা পেয়ে গেছে। তারা শুধু বেলার হ্যাবলা মুখ দেখে মজা পাচ্ছে আর সাথে সাঁঝ এর রোমান্স দেখে। বেলা কে নিয়ে এত পজেসিভনেশ দেখে তারাও খুব খুশি হয়েছে।

——————-

সবাই এখন ইউনিভার্সিটি প্রিন্সিপাল রুমে দাঁড়িয়ে আছে বেলা বেদ ওম রুহি নিশান। সামনে তাদের প্রিন্সিপাল স্যার আছেন। সাথে আছে মিস্টার রবি।
.
–“আর এম মিউজিক গ্রুপ থেকে একটা লাইভ রেকর্ড এর কনট্রাক এসেছে। আমাদের ইউনিভার্সিটি বেস্ট ব্র্যান্ড হিসাবে তারা প্রথমে তোমাদের লাইভ পারফরম্যান্স দেখবে। তাই তোমাদের দুদিন এর মধ্যে সং রেডি করতে হবে। এটা আমাদের ইউনিভার্সিটি এর বেস্ট চান্স এর ব্যাপার। এবং সেখানে আর এম নিজে তোমাদের পারফরম্যান্স দেখবে। যদি তোমরা সিলেক্ট হতে পারো তাহলে তোমাদের নিয়ে তিনি কন্ট্রাক্টড সাইন করবেন তোমাদের রেকর্ড এর। প্রিন্সিপাল স্যার বলে ওঠে। তাদের দিকে তাকিয়ে।
.
. এদিকে বেদ নিশান তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। তারা ভাবতেই পারছেনা তাদের সাথে সং রেকর্ড এর কন্ট্রাক্টড সাইন করবে আর এম গ্রুপ। এটা তাদের জন্য অনেক বড় খুশির খবর। বেলা চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছে কথা গুলো তার মাথায় ঢুকলেও সেটা মাথায় গিয়ে পৌঁছুতে পারেনি। তার মাথায় এখনও সাঁঝ এর কান্ড কারখানা গুলো চলছে হঠাৎ করেই এরকম তিনশো ষাট ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল ঘুরে গেলো কি করে। এত পুরো তার মত পাগলামি চিহ্ন মনে হচ্ছে। একসময় সে নিজে যেমন পাগল হয়েছিলো। এখন কি তাহলে সাঁঝ সত্যি সত্যি তার প্রতি আসক্তি হয়েছে তাঁকে কি তাহলে সত্যি ভালোবাসে। এখন শুধু এই কথা গুলো বেলার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

—————-

–“স্যার আপনি যে নিউজ গুলো চেয়েছিলেন তার সব রিপোর্ট চলে এসেছে। আকাশ বলে ওঠে।
.
–” ওহ গুড আকাশ । সাঁঝ ল্যাপটপ থেকে মুখ তুলে বলে ওঠে।
.
–“আচ্ছা তাহলে ওই রিপোর্ট গুলো তিনটে পার্টে ডিভাইড করো। প্রথম টা এখনই পাবলিশ করো আর বাকি দুটো রেখে দাও। ওটা হবে পরের বোমহাস্ত্র। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
–“ওকে স্যার। বলেই আকাশ বেরিয়ে যায়।
.
. সো কাউন্ট ডাউন ইস বিগিন অ্যান্ড লেটস হ্যাভ সাম ফান বেবি। সাঁঝ বাঁকা হেসে বলে ওঠে।
.
. তারপরেই মুহূর্তে সাঁঝ চোখ মুখ পরিবর্তন করে ফেলে আসতে চোখ মুখ লাল হিংস্র ভয়ঙ্কর রূপ নিতে থাকে। দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে
.
–” আর মাত্র কিছু ঘন্টা তারপরেই বুঝতে পারবে সাঁঝ রওশন কি জিনিষ। আগুনে হাত বাড়ালে হাত তো পুড়বে। আর এই সাঁঝ রওশন পুরোটাই আগুন। সেখানে আসতে গেলে তো পুরো ঝলসে যাবে। সবে তো শুরু ধীরে ধীরে দেখতে থাক এর পর আর কি কি হয়। ঠিক যতো টা আঘাত করেছ আমার এই বুকে আমার জান এর ওপর তার থেকে শত গুণ বেশি আঘাত হানব আমি। তিলে তিলে শেষ করব প্রত্যেকটা অপমান কষ্টের শোধ আমি নেবো। হিংস্র ভাবে ঘর কাঁপিয়ে হেসে ওঠে সাঁঝ।
.
.
.
.💝💝💝
.
. চলবে….

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_১৯
… ড্রইং রুমে বসে আছে বেলা সারা জাকিয়া ওম বেদ নিশান রুহি। তাদের মনোযোগ সামনে চলতে থাকা টিভি এর দিকে। যেখানে আপাতত সাঁঝ কে নিয়ে নিউজ চলছে। বেলা পুরো হতবাক আর বিস্ময় নিয়ে বসে আছে। আর বাকি গুলো একে অপরের মুখের দিকে চাইছে আর টিভি এর দিকে দেখছে। আর কমেন্ট পাস করছে।
.
.নিউজে এই মুহূর্তে সাঁঝ কে একটা বড় সড় খবর হচ্ছে। যেটা সত্যি এর সাথে রিপোর্টাররা বাড়িয়ে চাড়িয়ে মশলা মাখিয়ে রসালো খবর বানিয়েছে। সাঁঝ এর পপুলারিটির ফায়দা উঠিয়ে নিজেদের চ্যানেল এর নাম কামিয়ে নিচ্ছে। আজকের প্রতি টা নিউজ চ্যানেল শুধু সাঁঝ এর খবর দেখাচ্ছে।
.
–“সাঁঝ রওশন । দ্য লিডার অফ ব্যাঙ্গালোর গভর্নমেন্ট। অ্যান্ড বস অফ দ্য এস.আর ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রি। যিনি সব সময়ে নিজের ব্যক্তিত্ব ও নিজের সাথে কোনো স্ক্যান্ডেল এর চিহ্ন মাত্র পছন্দ করেন না। বা বলা ভালো তার নামের সাথে কোনো স্ক্যান্ডেল নেই। তিনি সব সময়ে মেয়েদের থেকে দূরে থাকেন। তার বটম লাইন এর বাইরে রাখেন সব সময়ে। কিন্তু সেটা যখন কেউ ক্রস করে ফেলে তার নাম এবং তাকে পুরো উইথ আউট সার্ফেক্সাল দিয়ে ওয়াশ করে দেন। তার সাথে কেউ ছেড়ছাড় করলে তাদের রেহাই দেয় না। এরকম খবর আমরা অনেক শুনেছি। তিনি হট চকোলেট। হ্যান্ডসাম ড্যাসিং চার্মিং কিলার বয় হলেও নিজের সাথে কোনো মেয়ের নাম জুড়তে দেয় নি। তার মানে এটা নয় যে তিনি গে। অনেক মেয়েই তাদের শরীর ও রূপ দেখিয়ে সাঁঝ কে তাদের দিকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন তাদের নিজেদের করতে চেয়েছেন। কিন্তু ফল তার উল্টো হয়েছে এবং তা খুবই ভয়ংকর। আর আবারো খবর উঠে আসছে কোনো মেয়ে তার সাথে একই কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
.
–“তানভী আহুজা । এই মেয়ে আগেও সাঁঝ রওশন কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু তাকে সরাসরি রিজেক্ট করে দেন। কিন্ত এবার তাকে দেখা যায় সাঁঝ রওশন এর সাথে। তিনি আহুজা গ্রুপ এর ডিরেক্টর হিসাবে সাঁঝ রওশন এর সাথে মিটিং এর কৌশল করে তার দিকে সাঁঝ রওশন কে টানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এর ফলাফল হল ভয়ঙ্কর। বর্তমানে তানভী আহুজা এখন মানসিক রোগী। মেন্টাল অ্যাসাইলামে আছে। সাঁঝ রওশন তীক্ষ্ণ ইগনোর এর প্রভাবে আর নিজের রূপ যৌবনের এর ওপর সাঁঝ রওশন এর এড়িয়ে যাওয়া তে অপমানিত হোন। আর তারপরেই তানভী তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
.
–“আবার ও তিনি দেখিয়ে দিলেন তার বটম লাইন ক্রস করলে কি হয়। তার ইগনোরেন্স ও তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি যথেষ্ট কাউকে নিমেষে শূন্যে ছুড়ে ফেলা। আবার ও এই খবর এর মাধ্যমে তিনি সবাই কে সাবধান করে দিলেন। তার কাছে আসার পরিণাম কি হতে পারে।
.
. টিভিতে এইরকম নিউজ দেখে সবাই হতবাক ও তেমন খুশি হয়েছে। এতক্ষণ বসে বসে জাকিয়া আর রুহি মুখ দিয়ে ঝড়ের বেগে অমৃত বান ছুড়ছিলো। আর বাকি গুলো বসে বসে ওদের কান্ড গুলো দেখে হাঁস ছিল। কিন্তু বেলা একদিকে গোম হয়ে বসে আছে। তার মুখে ফুটে আছে রাগের ছাপ। হাত মুখ শক্ত করে বসে আছে। বাকিরা হাসা হাসি করছিলো কিন্তু তাদের বেলার দিকে চোখ পড়তে সবাই অবাক হয়ে যায়। তারা বেলার দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে দেখে বেলা টিভি এর দিকে চেয়ে। যেখানে একসাথে সাঁঝ ও তানভীর ছবি দেখানো হচ্ছে। এবার তারা বুঝতে পারে বোম ব্ল্যাস্ট হতে চলেছে যে কোনও মুহূর্তে।
.
–“ওয়াও জিজ । কি দিলো। উফ। রুহি বেলার দিকে কোনা চোখে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
–” দেখতে হবে না কার ভাই। সারা ভ্রু উচু করে বলে ওঠে।
.
–“আমাদের ভাই হল একদম চকলেট বয়। তাকে ধরা এত সহজ নয়। জাকিয়া বলে ওঠে।
.
–” শালা লুচু মেয়ে তোর চোখ দুটো তুলে আমি মার্বেল খেলব। তোর এত বড় সাহস তুই আমার জিন্দেগির দিকে হাত বাড়াস। কু নজর দিস আমার বরের দিকে। শাকচুন্নী বেহায়া মেয়ে। শরীর দেখিয়ে আমার বর কে পেতে চাস। তোর শরীরে আমি আগুন ধরিয়ে দেবো। শালা কুত্তি মেয়ে। তোকে মেরে ফেলা উচিত ছিল। তুই পাগল হয়ে বেঁচে গেছিস আমার হাতে থেকে নাহলে তোকে আমি কি করতাম আমি নিজেও জানি না। বেলা রাগে কোলে থাকা কুশন টা কে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দেয়। বেলা ফোন তুলে কানে ধরে।
.
–“আকাশ ওই দিনের পুরো ফুটেজ আমার চাই আর সেটা এখুনি। বেলা রাগী ভাবে বলে ওঠে
.
–” ইয়েস ম্যাম । কিন্তু..
.
–“কোনো কিন্তু নয়। আমি যেটা বলেছি সেটা করবে। আর তোমার স্যার এর চিন্তা করো না। ওটা আমি বুঝে নেবো। বেলা মৃদু চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–” ওকে ম্যাম ।
.
. এদিকে বাকি সবাই এতক্ষণ ধরে চুপচাপ বসে বসে বেলার কান্ড কারখানা দেখে যাচ্ছে। বেলার পাগলামি হ্যাঁ বেলার পাগলামি তারা অনেক দিন পর আবার দেখছে। তার সাঁঝ কে নিয়ে পাগলামি করছে। এটা দেখেই বেদ ওম নিশান রুহি যেমন অবাক হয়েছে আবার তেমন খুশি ও হয়েছে। তাদের মুখে হাল্কা হাসির রেস দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সারা আর জাকিয়া অবাক হয়ে বেলা কে দেখে যাচ্ছে ।শান্ত মেয়েটা হঠাৎ এমন উড়ালচন্ডির রূপ ধরতে পারে আর মুখ দিয়ে যে এতক্ষণ শান্তির বাণী বের করছিলো। তারা দেখেই শক খেয়েছে।
.
. বেলার এদিকে কোনো হেলদোল নেই সে রাগে ফুসছে। ফোনের আওয়াজ হতে ফোন হাতে তুলে নেয়। আর তার সাথে চোখ মুখের অবস্থা ও পাল্টাতে থাকে। আগের দিনের সেই তানভী আর সাঁঝ এর ভিডিও দেখছে বেলা। তানভী প্রতিটা পদক্ষেপ দেখছে আর সাঁঝ এর নিঃপ্রান হয়ে বসে থাকা দেখছে। ফোন টা ছুড়ে মেঝেতে ফেলে দেয় রাগে। পাশে টেবিলের ওপর থাকা ফ্লাওয়ার ভাস টা ও মাটিতে ফেলে দেয়।
.
–“হারামি কুত্তা কামিনা শালা লুচু ছেলে এই সব দেখতে খুব মজা লাগে হ্যাঁ। মেয়েদের দেখতে ভালো লাগে। তাই তো চুপ করে বসে ছিল। লাগবেই তো মজা। সামনে অত সুন্দর একটা মেয়ে তার সামনে তার ড্রেস খুলছে মজা তো লাগবেই। থাকুক মজা নিয়ে। আমি আর থাকবো না এখানে। এখুনি চলে যাব। অসভ্য জানোয়ার মেয়েদের দেখে বেড়ায় ভেবেছিলাম আমাকে ভালোবাসে কিন্তু না মেয়েদের শরীর দেখে বেড়াচ্ছে। সব মিথ্যে সব নাটক। কিছু বলতে পারিনি যখন ড্রেস খুলছিলো। বলবে কেনো মজা লাগছিল তো। থাক তুই। তোর সাথে আমি আর থাকবো না। চলে যাব এখান থেকে। বেলা রাগে চিৎকার করতে করতে বলে দমদম করে উপরে চলে যায়।
.
. আর এদিকে চুপচাপ বসে আছে বাকিরা। সব কিছু তাদের মাথার ওপর দিয়ে গেছে। তারা বুঝতে পারছে না হঠাৎ করে কি হল। মনে হচ্ছে তাদের ওপর দিয়ে একসাথে টর্নেডো আয়লা আর তার বোন লায়লা আম্ফান ঘূর্নী সব কিছু এক সাথে বয়ে গেছে। তাদের সামনে বেলার ফোন পড়ে আছে মেঝেতে। কুশন ফ্লাওয়ার ভাস সব পুরো কুচি হয়ে পড়ে আছে মেঝেতে। সব কয়জন একে অপরের মুখ দেখে চলেছে। তারা এতক্ষণ এর কান্ড কিছুই বুঝতে পারিনি সব তাদের মাথার ওপর দিয়ে চলে গেছে হঠাৎ করে বেলার এই রাগের মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝছে না। তারা একসাথে রিভার্স করে কিছুক্ষণ পিছনে ফিরে যায়। আর তারপরেই সব কিছু একদম জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় পানির মত। সব কোটা এক সাথে হাসিতে ফেটে পড়ে। বেলার সাঁঝ কে দেয়া গাল গুলো মনে করতে চিৎকার করে হাসতে লেগে যাচ্ছে।
.
–“আজ তো ভাই শেষ। ভাই এর বউ ক্ষেপেছে। সারা কোনো মতে হাসি আটকে বলে ওঠে।
.
–” হ্যাঁ আমার ও তাই মনে হচ্ছে আজকে জিজ কপালে খুব দুঃখ আছে। রুহি বলে ওঠে।
.
–“আমাদের বেলা ক্ষেপেছে মানেই আজকে ঝড় বইবে এই বাড়িতে। বেদ বলে ওঠে।
.
–” চলো আমরা কেটে পড়ি আজকে। নাহলে আজকে জিজ এর করুন অবস্থা দেখতে হবে আমাদের। নিশান বলে ওঠে।
.
. তারপর আবারো হেসে ওঠে সব কোটা। তারা আজকে বিশাল মজা পেয়ে গেছে। তাদের বেলা আবারো আগের মত পাগলামি করছে মানে খুব কষ্ট আছে। সেই সব ভাবতে ভাবতে সব কয়জন পাগল এর মত হাসছে।

————–

এদিকে সাঁঝ গাড়িতে বসে বসে ল্যাপটপে এতক্ষণ এর কান্ড দেখ ছিল। বেলা আকাশ কে ফোন করতে সেটা আকাশ সাঁঝ কে ফোন করে বলে দেয়। আর তারপরেই বাড়ির ফুটেজ দেখতে থাকে সাঁঝ ল্যাপটপ নিয়ে। এতক্ষণ বেলার পাগলামি গুলো দেখে তার ও হাসি পাচ্ছে আবার ভয় ও পাচ্ছে তার পাগলি ক্ষেপেছে মানে তার অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। তবে তার অনেক আনন্দ ও হচ্ছে বেলার বলা কথা গুলো শুনে আর তার আগের পাগলামি দেখে। মনে হচ্ছে সে তার আগের সেই বেলা কে ফিরে পেয়েছে। আর তাকে দেয়া কাঁচা গাল গুলো শুনে হো হো হো করে হাসতে থাকে। জানে তার পাগলি টা এই গুলো দেখে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আরো কিছুটা অভিমান জমা হয়েছে তার রাগ অভিমান এর ঝুলিতে। তাকে তার পাগলি কে মানাতে হবে। সাঁঝ এগুলো দেখছে আর ভাবছে।
.
–“এই জন্য আমি তোমাকে বলতে চাইনি। আমি জানি এইসব দেখলে তুমি কষ্ট পাবে। তুমি আমাকে এখনও ভালোবাসো শুধু সেটা তোমার রাগ আর অভিমান এর নিচে চাপা পড়ে আছে। আর আজ ও পরিষ্কার হয়ে গেলো তুমি আমাকে এখনও পাগল এর মত ভালোবাসো। তবে তোমার মুখে তুই তুকারি আর কাঁচা গাল গুলো সেই ছিল। আমি ভাবতেও পারিনি আমার পাগলিটা রাখলে এমন বন্য হয়ে যায়। আমার সাথে কাউকে সহ্য করতে পারবে না আবার নাকি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আজ আমিও দেখি তুমি কেমন করে আমায় ছেড়ে চলে যাও। সাঁঝ মুখে হাসি নিয়ে বলে ওঠে।

—————-

–“তোমার এত বড় সাহস হলো কি করে দিশা তুমি জানতে আমি বেলা কে ভালোবাসি তার পর ও ওকে মারতে তুমি লোক পাঠিয়ে ছিলে। রনি রাগে চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–” হ্যাঁ পাঠিয়ে ছিলাম। বেশ করেছি। তুমিও তো তানভী কে সাঁঝ এর কাছে পাঠিয়ে ছিলে। কেনো? তুমিও তো জানতে আমি সাঁঝ কে ভালোবাসি তাহলে কেনো পাঠিয়ে ছিলে? বল আমাকে। দিশা ও চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
–” আমি পাঠিয়ে ছিলাম যাতে সাঁঝ এর সাথে তানভী কে দেখে বেলা সাঁঝ কে ছেড়ে চলে যায়। বুঝতে পেরেছ। রনি দিশার চুল এর মুঠি ধরে কাছে টেনে এনে বলে ওঠে।
.
–” কিন্তু তুমি কি করলে বেলা কে মেরে ফেলতে পাঠালে। আর যদি কিছু সেকেন্ড দেরি হতো তাহলে সেখানে বেলা শেষ হয়ে যেত যদি সেই মুহূর্তে সাঁঝ না আসত। রনি দাঁতে দাঁত চেপে বলে ওঠে।
.
–“আমি কি করে জানবো। তুমি তানভী কে কি জন্য পাঠিয়ে ছিলে। আমাকে কি বলে ছিলে। তাই আমি রাগে বেলা কে মারতে পাঠিয়ে ছিলাম। দিশা নিজের চুল ছাড়াতে নিয়ে বলে ওঠে।
.
–” তুমি আমার সব প্ল্যান ফেল করিয়ে দিয়েছ। সাঁঝ এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে তোমাকে। তোমার লোক গুলো কে ও ধরে ফেলেছে। শুধু তোমাকে চিনতে ওর বাকি আছে। তাই সাবধানে আবার ও প্ল্যান সাজাতে হবে।
.
–” তুমি এখন যাও। আর সাঁঝ এর সাথে একটু বেশি ক্লোজ হওয়ার চেষ্টা করো যাতে বেলা সরে আসে সাঁঝ এর লাইফ থেকে। রনি বলে ওঠে দিশা কে।
.
–“এই অপমান এর বদলা আমি নেবো। সাঁঝ কে তো আমি আমার করে নেবো আর তার সাথে ওই বেলা কে ও আমি শেষ করব । কিছুতেই আমি ওকে বাঁচতে দেবো না। ওর জন্য আমার ভাই কে আজও পেলাম না। ওকে তো আমি নিজের হাতে মারব। দিশা মনে মনে বলে ওঠে। দিশা আর কোনো কথা বলে না রুম ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
.
–” সাঁঝ কে পাওয়া তোমার হবে না। শুধু একবার তুমি আমার কাজ টা করে দাও তারপর দেখ আমি কি করি। আমার বেলা কে মারতে চাওয়ার জন্য তোমাকে ও আমি শেষ করে ফেলব। বেলা শুধু আমার আর কারো না। তোমাকে আমি এখনও এই জন্য বাঁচিয়ে রেখেছি শুধু বেলা কে নিজের করে পাওয়ার জন্য। বলেই রনি হেসে ওঠে।
.
. দুজন দুজনের মনের মধ্যে প্ল্যান করে রেখেছে। আর মুখে রেখেছে মধুর হাসি। দুজন দুজনের প্ল্যান কষে যাচ্ছে। কিভাবে তারা তাদের কাজ হাসিল করবে আর তারপরে মেরে ফেলবে। দুজন দুজন কে ব্যবহার করছে নিজেদের কাজ মেটানোর জন্য।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন । সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊