#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২০
… বেলা রাগে অভিমানে হাজার ও অভিযোগ নিয়ে নিজের জিনিস গোছাতে থাকে। থাকবে না সে এখানে। থাকবে না ওই মানুষের সাথে। সে মেয়েদের দেখে বেড়ায় খালি। হাজার ও গালি দিচ্ছে বেলা সাঁঝকে। তাকে নাকি ভালোবাসে কচু ভালোবাসে। তাকে ভালোবাসে একদম ভালোবাসে না। বলেই বিছানায় বসে পড়ে বেলা। চোখ দিয়ে পানি ঝরছে।
.
. হঠাৎ করে অনুভব করে তাকে পিছন থেকে কাছে টানছে। বেলা জানে এই মানুষটা কে। নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়। ধাক্কা মেরে নিজের থেকে সরিয়ে দেয় সাঁঝকে। দেখে তার দিকে অসহায় মুখ নিয়ে তাকিয়ে আছে সাঁঝ। দু হাত উচু করে ধরে নিজের কান ধরে মানুষটা। সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফেরায় বেলা। চোখ দিয়ে তার পানি পড়ছে। বেলা কে অন্য দিকে ঘুরতে দেখেই সাঁঝ উঠে বেলার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে। বেলার কোলের ওপর নিজের থুতনি রেখে মুখ উচু করে চেয়ে আছে বেলার দিকে। দু হাত চোখের নিচে পেতে রেখেছে। যাতে চোখের পানি নিচে পড়ে তার হাতে পড়ে।
.
–“বেলা । স্নিগ্ধ মৃদু গলায় ডেকে ওঠে সাঁঝ।
.
. বেলা তবুও কোনো কথা বলছে না চুপ করে আছে। ঠোঁট দুটো তিরতির করে কাঁপছে।
.
–” কথা বলবে না আমার সাথে সোনা। দেখো আমার ভুল হয়ে গেছে। বলেই আবার ও কান ধরতে নেয় সাঁঝ।
.
. বেলা সাঁঝ এর কান ধরার আগেই দুম দাম করে কিল বসায় সাঁঝ কে। নিজেকে আর চেপে রাখতে পারে না বেলা। কাঁদতে কাঁদতে মারতে থাকে সাঁঝ কে। আর সাঁঝ মুখে হাসি নিয়ে সহ্য করে যাচ্ছে।
.
–“তোর সাথে আমার কোনো কথা নেই। থাকবো না আমি। অসভ্য জানোয়ার শুধু মেয়ে লোক দেখে বেড়ানো। তোর এত ঠাটবাট কোথায় গেছিলো শুনি। শুধু আমার বেলায় তোর কথা ফোটে আমার বেলায় যতো জোর জুলুম। তখন তোর কি হয়ে গেছিল। যখন ও কাপড় খুলছিল। কেনো বাধা দিস নি ওকে। নাকি দেখতে ভালো লাগছিল। তোর গায়ের ওপর উঠে পড়েছিলো। কেনো সরিয়ে দিস নি মজা লাগছিল। হ্যাঁ মজা তো লাগার কথা। ঘরের বউ তো শুধু সাজিয়ে রাখার জন্য। কুত্তা লোক একটা। আমি চলে যাব। থাকবো না তোর সাথে। তুই আমাকে একটুও ভালোবাসিস না। ভেবেছিলাম তুই আমায় ভালোবাসিস কিন্তু না আমি ভুল। আমি তো বাজারে মেয়ে। তুই তো বলেছিলি। বেলা সাঁঝ কে মারতে মারতে বলে ওঠে।
.
. এদিকে বেলার শেষের কথা গুলো বুকে বিধছে ছুরির মত। তার বেলার এই চোখের পানি সহ্য হচ্ছে না। তার জন্য মেয়েটা কষ্ট পেয়েছে।
.
–“তুই জানিস না। তোকে অন্য কারোর সাথে দেখলে আমার জ্বলে। আমি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাই। আমার বুকে রক্তক্ষরন শুরু হয়। তোকে আমি অন্য কারোর সাথে মানতে পারি না। কষ্ট হয় আমার। তাহলে কেনো। আমাকে কষ্ট দিতে কী খুব ভালো লাগে। হ্যাঁ খুব ভালো লাগে আমাকে কাঁদাতে। আর থাকবো না। চলে যাব আমি। থাক তুই তোর সখীদের নিয়ে। আমার তো কোনো দরকার নেই। তাইতো সেইদিন আমার দেয়া ফুলের বুকে টা পা দিয়ে পিষে দিতে ও বাধে নি। বেলা কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে।
.
. সাঁঝ বেলার কথা গুলো শুনে বেলা কে তুলে নিজের সাথে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে নেয়। এদিকে বেলা সাঁঝ এর বুকে মাথা রেখে পিঠে কিল ঘুষি মারছে সাঁঝ কে। সাঁঝ কোনো কথা না বলে বেলা কে শান্ত করার চেষ্টা করছে। মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে। তাকে এবার সব কষ্ট ভুলিয়ে দিতে হবে। তার মনে থেকে সমস্ত অভিমান দূর করে দেবে।
.
–“থাকবো না আমি তোমার সাথে অসভ্য লোক একটা। বেলা সাঁঝ এর বুকে মাথা রেখেই বলে ওঠে।
.
–” তাই নাকি তা যাও কে আটকে রেখেছে তোমাকে। সাঁঝ কথাটি বলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে বেলা কে।
.
–“যাবো তো চলে যাব আমি। থাকবো না তোমার সাথে। বেলা বলে ওঠে।
.
–” তাহলে আর কি আমি ও তাহলে ওই মেয়ে গুলো…
.
. সাঁঝ কে আর কোনো কথা বলতে দেয় না বেলা বাঘিনীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁঝ এর ওপর। গলায় আচড়ে নেয় বেলা। মুখ উচু করে সাঁঝ এর ঠোঁটের ওপর হামলে পড়ে। রাগে অভিমানে কামড় দিতে থাকে। সাঁঝ কোনো কথা না বেলা কে শক্ত করে ধরে থাকে। সহ্য করে সব কষ্ট। বেলা কে উচু করে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে রাখে সাঁঝ। যাতে মেয়েটা নিজের রাগ তার ওপর কমাতে পারে। এক হাত সাঁঝ এর গলায় চেপে রেখে আর এক হাত দিয়ে মাথার চুল গুলো ছিড়তে থাকে। আর ঠোঁটে বসায় একের পর এক কামড়। বেলার কামড়ে সাঁঝ এর ঠোঁট রক্তাক্ত হয়ে যায়। তবুও সাঁঝ চোখ চিকচিক করছে তাকে তার বেলা নিজে থেকে স্পর্শ করছে। হ্যাঁ সে তো এটাই চেয়েছিলো যাতে রেগে গিয়ে মেয়েটা তার ওপর রাগ দেখায়। রাগে হলেও সে তো নিজের ইচ্ছায় তার ঠোঁট স্পর্শ করেছে। হোক না সেটা কামড়।
.
. বেলা নিজের রাগ শান্ত হলে সাঁঝ এর থেকে সরে আসতে নিলেই এবার সাঁঝ তাকে চেপে ধরে নিজের সাথে। তাকে কোলে উঠিয়ে নেয়। বেলা সাঁঝ এর কোমরে দু দিকে পা দিয়ে জড়িয়ে নেয়। হাত দুটো মাথায় জড়িয়ে নেয়। সাঁঝ এবার শুষে নিতে থাকে বেলার রসালো ঠোঁট। মিশে যেতে থাকে বেলার কোমল রসালো মিষ্টি ঠোঁটের গভীর থেকে গভীরে। এতক্ষণ পাওয়া বেলার মিষ্টি যন্ত্রণা তাকে আরো মাতাল করে তুলেছে। আরো কঠিন থেকে কঠিন ভাবে বেলার নেশায় ডুবে যাচ্ছে। এই নেশা থেকে সে বেরোনোর উপায় পাচ্ছে না। বেলার থেকে সরে যেতে চেয়েও পারছেনা। মেয়েটা তাকে ভীষণ ভাবে আসক্ত করে ফেলেছে। অতিরিক্ত নেশায় ডুবে গেছে বেলার মাঝে। বেলা ও সমান তালে আজ সাঁঝ এর সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। আজ সে ও ডুবে যাচ্ছে সাঁঝ এর মাঝে। সাঁঝ বেলা কে তার কোলে থাকা অবস্থায় নিয়ে দেয়ালে সাথে চেপে রেখে। মেতে থাকে বেলার মিষ্টি ঠোঁটে। আর এক হাত দিয়ে বেলার পরনে শার্ট এর বোতাম খুলতে থাকে। কাঁধ থেকে নামিয়ে দেয় বেলার শার্ট। বেলা সাঁঝ এর স্পর্শে কেঁপে ওঠে। আরো শক্ত করে সে সাঁঝ জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে। সাঁঝ এর পিঠে গলায় বেলার নখের আচড় কেটে যায়। এই মিষ্টি যন্ত্রণা ও যেনো সাঁঝ আজ গভীর ভাবে উপভোগ করছে। দুজনের দম আটকে আসতেই সাঁঝ বেলার ঠোঁট ছেড়ে গলায় মুখ ডোবায় সাঁঝ। ঘাড়ে গলায় পাগলের মত লিক করতে থাকে সাঁঝ। এদিকে বেলার দম বন্ধ হওয়ার জোগাড়। নিশ্বাস নিতে পারছে না। সাঁঝ এর স্পর্শ সে কেঁপে কেঁপে উঠছে। আজ সে সাঁঝ কে বাঁধা দিচ্ছে না। সেও মনে প্রাণে আজকে সাঁঝ কে চাইছে। হ্যাঁ সে আর দূরে থাকতে পারছে না সাঁঝ এর থেকে। সে আবারও ভালোবাসতে শুরু করেছে তার জিন্দেগিকে। সে আবারও পাগল হয়ে যাচ্ছে সাঁঝ এর মাঝে। সাঁঝ বেলার গলায় থেকে বুকের কাছে মুখ নিয়ে এসে থেমে গেছে সাঁঝ। তার মুখের পড়ে দু ফোটা চোখের জল। সাঁঝ নিজের মাথা বেলার গলায় ডুবিয়ে রাখে। বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে সাঁঝ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ এর চেষ্টা করছে। সে নিজেকে আটকে রাখতে পারছে না। কিন্তু তাকে আটকাতে হবে নিজেকে এই মুহূর্তে। সে এই ভাবে বেলা কে নিজের করতে চায় না। বেলা ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আজ সে ও সাঁঝ এর ভালোবাসায় ভেসে যাচ্ছিলো। সে ডুব দিয়েছিল সাঁঝ এর ভালোবাসায়। বেলা সাঁঝ কে জড়িয়ে রেখেছে ।সাঁঝ মাথা উঠিয়ে দেখে বেলা চোখ বন্ধ করে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে। সাঁঝ বেলার কপালে একটা গভীর চুমু দিয়ে নিজের সাথে নিয়ে বারান্দায় চলে যায়। দোলনায় বসে বেলা কে নিয়ে। যে এখন তার বুকের ওপর গুটি শুটি মেরে পড়ে আছে। তার কাপড় এখনও আউলে আছে। সাঁঝ মুচকি হেসে বেলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। বেলা কোনো কথা বলে না। চুপ করে পড়ে আছে সাঁঝ এর বুকে।
.
–“দেখো দুষ্টু মেয়ে কেমন আচড় দিয়েছ আমায় বিড়াল বাচ্চার মত। সাঁঝ এর মুখে চোখে দুষ্টু হাসি।
.
. বেলা কোনো কথা বলে না। তার মুখ লাল হয়ে উঠছে। তার একটু আগের পাগলামি গুলো মনে পড়ে। সে আজ কি পাগলামি টা না করেছে। মনে পড়তে আরো লজ্জায় গুটিয়ে যায় সাঁঝ এর বুকে। আবারও সাঁঝ এর বুকে কামড় বসিয়ে দেয় বেলা।
.
–“দেখো মেয়ে আবার ও আমাকে কামড় দেয়। আচ্ছা আজ কি আমাকে শুধু কামড় দেয়ার ইচ্ছে হচ্ছে না কি। হুম? ফাজিল হেসে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
–” বিশ্বাস করো সোনা। আমি আজ পর্যন্ত কোনও মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকায় নি। কোনো মেয়ের শরীর বল আর সৌন্দর্য বল কোনো কিছুই আমাকে আকর্ষণ করতে পারিনি। এই আটাশ বছর জীবনে আমি অনেক বার এইরকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু নিজেকে কখনো বয়ে যেতে দেয় নি। নিজের কাছে অটল ছিলাম। তাদের কে ওই রকম নগ্ন অবস্থায় দেখে ও আমার মধ্যে কোনো প্রকার বিকার হয় নি। সাঁঝ দূরের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলার দিকে তাকিয়ে দেখে মেয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। হাসে সাঁঝ। বেলার মাথায় গভীর এক চুমু খায় সাঁঝ।
.
–“এক মাত্র তুমি ছাড়া আমি কারোর দিকে চোখ তুলে তাকায় নি। এক মাত্র তোমাকে দেখলে আমার শরীরে আগুন ধরে যেতো। তোমাকে দেখলে আমার শরীরে শিহরন বয়ে যায়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা। মন চায় সব কিছু ছেড়ে তোমার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ি। করে নেই সাঁঝের বেলা। ডুবে যেতে ইচ্ছে করে তোমার ওই গভীর কালো চোখের মাঝে। যে চোখ এর দিকে তাকালে আমি হারিয়ে যাই গভীর গহ্বরে। মন চায় হারিয়ে যায় তোমার ওই কোমল মিষ্টি রসালো ঠোঁটের মাঝে। পান করতে ইচ্ছে করে তোমার ঠোঁটের ওই অমৃত সুধা রস। তোমাকে ছাড়া আর কাউকে দেখলে আমার মনে এমন ইচ্ছে জাগে না। শরীর আসল নয় মনটাই আসল। মনে না ধারণ করে শরীরে ধারণ করলে সেখানে ভালোবাসা টা থাকে কোথায়। সেখানে তো হয়ে যায় পুরো কামনা বাসনা পূরণের একটা মেশিন বা বলতে পারো শরীররি খেলা।। এটা ঠিক যে মনের সাথে সাথে শরীর ও প্রয়োজন। কিন্তু সেটাই থাকে অনেক অনেক ভালোবাসা আবেগ অনুভূতি। কিন্তু মন ছাড়া পুরোটাই শরীর হয়ে যায়। আর আমি যে তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি সারাজীবন অপেক্ষা করতে পারি। তোমার শরীর টা বড় নয় আমার কাছে তোমার মন টাই আসল। তোমার মন পেলে আমার কিছু চাইনা। তোমাকে চাই তোমার ভালোবাসা চাই। সাঁঝ আবেগে বলে ওঠে তার গলা বুঝে আসে।
.
. বেলা এক দৃষ্টিতে দেখছে মানুষটা কে। মানুষটা তাকে কতটা ভালোবাসে। নিখাদ প্রেম যেখানে কোনো রকম খাদ নেই একে বারে নিসকাম প্রেম। তাকে ভালোবেসে এত দিন ধরে তার থেকে দূরে থেকেছে। এখনও এতদিন তাকে কাছে পেয়েও তাকে নিজের করে নেয়নি। মানুষটা তার মনে জায়গা পেতে চেয়েছে। শুধু শরীরে নয়। বেলা জেনে গেছে সাঁঝ তাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে।
.
. আজ দুপুরে ইউনিভার্সিটি থেকে বাড়ি ফিরে দেখে লন্ড্রি থেকে জামা কাপড় এসেছে। সেগুলো সব কাবার্ডে তুলে রাখ ছিল হঠাৎ চোখ পড়ে সাঁঝ এর ওয়ার্ড্রব এর দিকে সেখানে লক করা আছে। বেলার চোখে এতদিন পড়িনি কারণ সে এদিকে সেইরকম একটা গুরুত্ব দেয় না। দেখে এটা পাসওয়ার্ড লক। কি হতে পারে ভেবে ট্রাই করতে থাকে হঠাৎ কি ভেবে সাঁঝের বেলা মারতে লক খুলে যায়। বেলা পুরো অবাক হয়ে যায় এটা ভেবে। লক খুলতে ভিতরে দেখে একটা ফটো অ্যালবাম। আর তার সাথে একটা ফাইল। যেখানে ভর্তি তার দেয়া চিরকুট গুলো। আর রয়েছে তার কিছু জিনিস। যে গুলো ও হারিয়ে ফেলেছিল। অ্যালবাম খুলতে বেলার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। সেই প্রথম দেখার থেকে তার ছবি রয়েছে এমনকি এমন অনেক ছবি যে গুলো তার অজান্তেই তোলা হয়েছে। ছবির সাথে সাথে তারিক ও কোথায় সেগুলো লেখা। বেলা একের পর এক দেখছে আর অবাক হচ্ছে। তার চোখের কোণে পানি জমা হচ্ছে। হাতে পড়ে একটা ফটো ফ্রেম যেখানে ওদের দুজনের ছবি রয়েছে। যেখানে বেলা ফুচকা নিয়ে সাঁঝ এর মুখের সামনে ধরে আছে। আর সাঁঝ তার দিকে চেয়ে মুচকি হাসছে। এমন অনেক ছবি আছে দুজনের ওই অ্যালবাম টা তে যেগুলো সব ওর অজান্তেই। আর সব থেকে অবাক হলো তার সাথে সাঁঝ এর প্রথম দিন দূর থেকে তোলা ছবি টা দেখে যেটা ও প্রথম দিন তুলেছিল।
.
. বেলা এইসব দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলো। সাঁঝ যে তাকে পাগলের মত ভালোবাসে অথচ সে জানতেই পারিনি। তার মত সাঁঝ ও সেই প্রথম থেকে ভালোবাসে। কিন্তু সে জানে না। সে এতদিন সাঁঝ এর ওপর রাগ অভিমান নিয়ে ছিল। ঘৃণা টা ঠিক কোনো দিনও আসেনি সাঁঝ এর প্রতি। যা ছিল সব রাগের বহিঃপ্রকাশ। সাঁঝ এর সামনে শুধু বলেছে ও তাকে ঘৃণা করে। বুকে রক্তপাত করে বলেছে কথা গুলো অভিমানে। আজ বুঝতে পারছে সে কত টা ভুল করেছে।
.
. বুঝতে পারে এর মধ্যে কোনো ঝামেলা আছে। কিছু তো অবশ্যই হয়েছে সেটা সে ঠিক জেনে ছাড়বে। কিন্তু এবার আর সে নিজেকে আর তার জিন্দেগিকে কষ্ট দেবে না।
.
–“এই কোথায় হারিয়ে গেলে সোনা। সাঁঝ এর ধাক্কায় সম্ভিৎ ফিরে পায়। দেখে মানুষটা তার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে মুখে উৎকন্ঠা। বেলা কোনো কথা না বলে সাঁঝ এর গালে হাত রাখে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মানুষটার দিকে। এই মানুষটা তাকে কতটা ভালোবাসে।
.
–“বাহ একটু আগে গালি দিলে আমাকে তুইতুকারি ও করলে আর এখন সোহাগ করা হচ্ছে। সাঁঝ এর মুখে ফিচেল হাসি।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে সাঁঝ এর মুখে ঠোঁটে হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। সে জানে সে কি পাগলামি না করেছে।
.
–” এমন করোনা সোনা। আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারবোনা। ঝাঁপিয়ে পড়ব তোমার মাঝে। আবেগে চোখ বন্ধ করে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
. বেলা দুষ্টু হেসে সাঁঝ এর যন্ত্রণা আরো বাড়িয়ে তোলে। নিজের এক হাত মুখে এর এক হাত বুকে গলায় স্লাইড করতে থাকে বেলা। সাঁঝ নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না। বুঝতে পারছে পাগলি টা তার সাথে দুষ্টুমি শুরু করেছে। তবে রে মেয়ে।দুষ্টুমি হচ্ছে আমার সাথে দেখাচ্ছি মজা দাঁড়াও। সাঁঝ এর মুখে ও দুষ্টুমি ভরা। সাঁঝ এবার বেলা কে চেপে ধরতে গেলে বেলা টুপ করে উঠে পালায়। এগিয়ে গিয়ে খোলা আকাশের তোলা রেলিং ঘেঁষে দাঁড়ায়। হাত দুটো দুদিকে ছাড়িয়ে দেয়। জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে। সাঁঝ বসে বসে মেয়ের কীর্তি দেখতে থাকে।
.
.
. 🎶 দিল তু হি বাতা কাহা থা ছুপা
কিউ আজ শুনি তেরি ধাড়কান পেহলি বার 🎶
.
. বেলা পিছনে ঘুরে দাঁড়ায়। দেখে সাঁঝ উঠে এক পা এক পা করে তার দিকে এগিয়ে আসছে । বেলা ও সাঁঝ এর দিকে এগিয়ে আসে। সাঁঝ এর চারপাশে ঘুরতে থাকে। সাঁঝ এর গলায় জড়িয়ে ধরে। সাঁঝ এর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার ও গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 দিল তু হি বাতা কাহা থা ছুপা
কিউ আজ শুনি তেরি ধাড়কান পেহলি বার 🎶
.
. সাঁঝ বেলার মাথার পিছনে ধরে নিজের মুখের সামনে নিয়ে আসে। এক হাতে কোমরে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। বেলার সাথে নিজের গলা মেলায়।
.
. 🎶 হা দিল নে মেরে শুন লি তেরে
দিল কি পূকা~র 🎶
.
. বেলা সাঁঝ এর থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। সাঁঝ বেলার কোমরে হাত রেখে নিজের কোলে তুলে নেয়। বেলা সাঁঝ এর কোমরে দু দিকে পা দিয়ে জড়িয়ে পিছনে হেলে যায়।
.
. 🎶🎶 দিল তু হি বাতা কাহা থা ছুপা
কিউ আজ শুনি তেরি ধাড়কান পেহলি বার 🎶
.
. সাঁঝ বেলার দিকে হেলে গিয়ে বেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 হা দিল নে মেরে শুন লি তেরে
দিল কি পূকা~র 🎶
.
. বেলা সাঁঝ একে অপরের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নেশা ভরা চোখে। বেলার এক হাত সাঁঝ ঘাড়ে আর এক হাত বুকে। আর সাঁঝ এর এক হাত বেলার কোমরে আর এক হাত বেলার চোখে। তারা ঘুরতে ঘুরতে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। বেলা কে ঘুরিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বেলার ঘাড়ে মুখ রেখে নিজের সাথে করে নিয়ে দুলতে থাকে সাঁঝ।
.
. 🎶দুনিয়া ঝুঠি লাগতি হে 🎶
.
. বেলা কে ঘুরিয়ে দেয়। দুজন হাতে হাত রেখে একে অপরের বিপরীত ঘুরতে থাকে। সাঁঝ গেয়ে ওঠে
.
.🎶দুনিয়া ঝুঠি লাগতি হে
স্বপ্না সাচ্চা লাগতি হে 🎶
.
. সাঁঝ বেলার হাতে টান মেরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। বেলা সাঁঝ এর মুখে হাত দিয়ে স্লাইড করে। সাঁঝ এর বুকে হালকা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। পিছনে মুড়ে গিয়েও সামনে তাকিয়ে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶ছুপ কে তেরে বাহমে
সব কুছ আচ্ছা লাগতা হে 🎶
.
. সাঁঝ বেলার দিকে এগোতে এগোতে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 এ এইসি হাওয়া
এইসি ল্যাহের
জিসমে সারে বেহ
জাতে হে ইহান 🎶
.
. বেলা সাঁঝ এর থেকে দূরে সরে যেতে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 ব্যাহে গেয়ি মে কেহ গেয়ি মে
জো ভি মুঝে ক্যাহেনা থা 🎶
.
. 🎶 ব্যাহে গেয়ি মে কেহ গেয়ি মে
জো ভি মুঝে ক্যাহেনা থা 🎶
.
. বেলা কে ধরে ফেলে দুজন দু দিকে ঘুরতে থাকে বেলার মুখে দুষ্টু হাসি। সাঁঝ বেলা কে নিজের বুকের ওপর এনে ফেলে।
.
. 🎶🎶 হা দিল নে মেরে শুন লি তেরে
দিল কি পূকা~র 🎶
.
. বেলা সাঁঝ এর মুখের ওপর নিজের হাত বুলিয়ে নিজের মাথা সাঁঝ এর মাথার ঠেকিয়ে দেয়। সাঁঝ বেলার কোমরে হাত দিয়ে জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।
.
. 🎶 🎶 দিল তু হি বাতা কাহা থা ছুপা
কিউ আজ শুনি তেরি ধাড়কান পেহলি বার 🎶
.
. দুজন দুজন কে জড়িয়ে আছে। আজ তাদের মধ্যে সব দুরন্ত দূর হয়ে গেছে। আজ সাঁঝ তার পাগলি তার বেলা কে ফিরে পেয়েছে। এত দিনের তার কষ্ট সার্থক হয়েছে। তার বেলা কে এবার আর কষ্ট পেতে দেবে না। সব কিছু থেকেই বাঁচিয়ে রাখবে। দুজন দুজন কে জড়িয়ে খোলা আকাশের তোলায় দাঁড়িয়ে নিজেদের এতদিনের দুরত্ব মেটাতে থাকে।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে…..
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন । সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন।
#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_২১
…সকালে হালকা মিষ্টি রৌদ্রের আলোয় আর কানে আসা রিন রিন শব্দ। মুখে হালকা পানির ছিটে। ঘুমের মধ্যে অনুভব করে সাঁঝ। পিট পিট করে চোখ খুলতে। দেখতে পায় এক স্বর্গীয় দৃশ্য। তার পূজারিনী তার পাগলি সামনে দাঁড়িয়ে আয়নার সামনে। মাথার থেকে টুপ টুপ করে পানি পড়ছে। তার ফলে পরনের সাদা টপ টা পিঠের দিকে অর্ধেক ভিজে গেছে। লাইট ব্লু প্রিন্ট্রেড লং স্কার্ট। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে । সাঁঝ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার বেলার দিকে। আজ প্রথম সে এই ভাবে দেখছে বেলা এতটা হাসি খুশি এতটা স্নিগ্ধ। আগে দেখা যায়নি। সাঁঝ বোঝে এর কারণ। তাকে ফিরে পেয়েছে সেই জন্য মেয়ের মুখে হাসি ফুটেছে। কাল তার পাগলির মন পেয়েছে আবারো ফিরে সব রাগ অভিমান মিটিয়ে। এবার খুব তাড়াতাড়ি নিজের করে নেবে একে বারে সাঁঝ এর বেলা। মুচকি হাসি ফুটে ওঠে সাঁঝ মুখে এইসব ভাবতে।
.
. আসতে আসতে উঠে আসে গুটি গুটি পায়ে। পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে বেলা কে সাঁঝ। বেলার ভিজে চুলে মুখ ডুবিয়ে দেয়। এ যেনো এক স্বর্গ সুখ। বেলা কেঁপে ওঠে সাঁঝ এর স্পর্শে। আয়নাতে একবার তাকিয়ে দেখে সাঁঝ তাকে জড়িয়ে তার মাঝে ডুব দিয়েছে। সাঁঝ এর উষ্ণ স্পর্শ তার চুল ভেদ করে ঘাড়ে এসে পড়ছে। আর এতে বেলার দম আটকে আসছে। চুল সরিয়ে ঘাড়ে গলায় চুমু বসাতে থাকে সাঁঝ। বেলা চোখ বন্ধ করে সাঁঝ এর মাথা আকড়ে ধরে। বড় বড় শ্বাস নিতে থাকে। সাঁঝ সকাল সকাল তার মায়াবী কে এই ভেবে দেখে নেশায় ডুবে গেছে।
.
–“উ..ম..ম কি করছো ছাড়ো। বেলা অনেক কষ্টে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ বেলা কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। বেলা একটু নড়েচড়ে ওঠে। তারপর সঙ্গ দেয় সাঁঝ কে। বেলার কোমর চেপে টেনে নেয় নিজের কাছে। কিছুক্ষণ পর ঠোঁট ছেড়ে কপালে ঠোঁট ছুয়ে রাখে সাঁঝ। বেলা একদম গুটিয়ে আছে সাঁঝ এর গায়ের ওপর। বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে বেলা।
.
–“গুড মর্নিং জান । সাঁঝ বলে ওঠে।
.
–” এটা কি ছিল হ্যাঁ। চোখ মটকে তাকায় সাঁঝ এর দিকে ।
.
–“চুমু বেবি পাতি বাংলায় বলে শুদ্ধ ভাবে হল চুম্বন আর ইংলিশে হলো কিস। আমার গুড মর্নিং কিস বেবি । প্রতিদিন সকালে এটা আমার চাই। বুঝলে। সাঁঝ বেলার নাকে হালকা কামড় দিয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা কোনো কথা বলে না। তার মুখ লাল হয়ে গেছে। নাকে হাত বুলাচ্ছে। চোখ নিচু করে আছে। সাঁঝ তার পাগলির এর লজ্জা মাখা মুখ দেখছে। আরো বেশি করে নেশায় ডুবে যাচ্ছে সাঁঝ। আবারও কাছে আসতে নিলেই বেলা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় সাঁঝ কে। তারপরেই মুচকি হাসি দিয়ে ছুটে বেরিয়ে যায় রুম থেকে। এদিকে সাঁঝ বেলার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে ওঠে।
————–
–“আরে ইয়ার লেট হয়ে গেলো অনেক। জ্যামিং শুরু হবে কখন। এখন কিছু রেডি হয়নি কাল আমাদের সং প্রেজেন্ট করতে হবে। বেদ বিরক্তিকর ভাবে বলে ওঠে।
.
–” একদম ঠিক রুহি তোর জন্য লেট হয়ে গেলো। ওম বলে ওঠে।
.
–” চিল চিল। ঠিক হয়ে যাবে আমাদের বেলা আছে না। নিশান বলে ওঠে।
.
–“বাই দ্য ওয়ে বেদ ওম তাড়া টা কিসের আমাদের প্রোগ্রাম এর জন্য নাকি সারা জাকিয়া বেবি এর জন্য। রুহি টোন কেটে বলে ওঠে।
.
. বেদ হাতে থাকে ক্যান টা ছুড়ে মারে রুহি কে। রুহি বাইক টেনে সরে যায়। তারা পাশাপাশি বাইক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এতক্ষন বেদ আর ওম কে নিয়ে টোন করছিল। ওরা মজা করতে থাকায় সামনে খেয়াল করেনি তাই সাথে সাথে এক ধাক্কা। সামনের চার চাকার সাথে। জোরে ব্রেক কষে দুজনেই। নিশান এর সাথে ধাক্কা লেগেছে। নিশান জোরে ব্রেক করাতে একটু স্লিপ করেছে কিন্তু দাঁড়িয়ে গেছে ব্যালেন্স করে। গাড়ির গতি বেশি না থাকায়। ওরা কোনো হর্ন শোনে নি। সবাই দাঁড়িয়ে গেছে। নিশান হেকে ওঠে । রেগে যায় সবাই খুব।
.
. হটাৎ করে গাড়ির দরজা খুলে যায়। বেরিয়ে আসে প্রথমে পা। নিশান আসতে আসতে পা থেকে চোখ ওপরে দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর তার সাথে সাথে তার মনে গিটার ভায়োলেন বাজা শুরু হয়ে গেছে। নিশান এর কথা আটকে গেছে। চারিদিকে শুধু গিটার আর ভায়োলেন বাজার আওয়াজ পাচ্ছে। হওয়া বয়ে যাচ্ছে। সামনে দাঁড়ানো একটা মেয়ে। যার চুল গুলো হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। শাড়ির আঁচল উড়ছে যার জন্য হওয়াতে সরে গিয়ে হাল্কা ঈষৎ ফোর্সা পেট দেখা যাচ্ছে। নিশান এর সব কিছু পুরোই এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে যেনো সামনে দাঁড়ানো মেয়েটি কে দেখে।
.
. এদিকে সবাই এখন নিশান এর অবস্থা দেখছে একবার আর সামনে দেখছে। একটু দূরে দাঁড়িয়ে রুহি পুরোটা ভিডিও বানাচ্ছে বিনোদন হিসাবে বেলা কে দেখানোর জন্য। নিশান এর অবস্থা পুরো ক্যাবলাকান্ত হয়ে গেছে। মুখ পুরো হা হয়ে আছে। বাইক এ বসে।
.
. মেয়েটা তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে লাল শাড়িতে যেনো আগুন সুন্দরী লাগছে। হাঁটার সাথে সাথে চুল গুলো কিছু এসে মুখে পড়ছে। কোমর দুলছে। নিশান হাত দুটো দু দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে পুরো। তার সাথে যেনো সত্যি সত্যি স্বপ্ন ঘটছে। সে যেনো স্বপ্নের দেশে ভেসে আছে।
.
.🎶 চান্দ মেরা দিল চান্দনি হো তুম
চান্দ সে হে দূর চান্দনি কাহা 🎶
.
. নিশান একটু গেয়ে ওঠে। বাইক থেকে পড়েই যাচ্ছিলো কিন্তু পাশে থাকা বেদ ধরে নেয়। মেয়েটি ওদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
.
–“এই যে ঠিক করে গাড়ি চালাতে জানেন না। রাস্তা জুড়ে যাচ্ছেন যে। আবার চিৎকার করছেন মেয়েটা এসে বলে ওঠে।
.
. এদিকে নিশান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেয়েটার মুখের দিকে চোখ মুখ নাড়িয়ে কথা বলে যাচ্ছে। ঠোঁট দুটো নড়ছে এক দৃষ্টিতে সেই দেখছে নিশান যেনো ঘোরের মাঝে ডুবে আছে সে। এদিকে মেয়েটা তাদের ওপর চিৎকার করছে আসলে তারা মজা করতে টোন কাটতে কাটতে আসছিল অত খেয়াল করেনি তাই ধাক্কা লেগে গেছে। রুহি হয়তো মেয়েটা কে কিছু বলত। কিন্তু নিশান এর অবস্থা দেখে কিছু বলতে পারিনি। শুধু বাকিরা নিশান আর সামনে থাকা মেয়েটা কে দেখে যাচ্ছে। মেয়েটা খানিক টা বকা দিয়ে চলে যায়। আর এদিকে বাকিদের ধাক্কায় নিশান এর ঘোর কেটে যায়। দেখে কেউ নেই সাথে সাথে মুখ কালো করে ফেলে। আর বাকি গুলো মিট মিট করে হাসছে ।
————–
এদিকে বেলা কিচেনে কাজ করছে। আর তাকে জ্বালাতে আছে সাঁঝ। বেলা আসার পর পর চলে এসেছে। সেখান থেকে বেলা কে জ্বালিয়ে যাচ্ছে। বেলা কে শান্তি মত কাজ করতে দিচ্ছে না। রাগী চোখে তাকালে চুমু দিচ্ছে। আর রাগ কোথায় দেখাবে বেলা। সে নিজেই বুঝে উঠতে পারছে না যে এক রাতের মধ্যে আরো এক গাট বেড়ে গেছে রোম্যান্স এর ভূত। হ্যাঁ সেও পাগল ছিল। কিন্তু এখন তো দেখতে পাচ্ছে এ তো তার থেকে ও দু গুণ বেশি পাগল।
.
. তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে রেখেছে। তার পিঠের থেকে চুল সরিয়ে দেয়। টপ এর পিছন চেন থাকায় সুবিধা হয় সাঁঝ এর। চেন নামিয়ে পিঠে চুমু বর্ষণ করছে।টপ কিছুটা তুলে হাত দিয়ে জড়িয়ে রেখেছে পেটে। সাঁঝ এর কাণ্ডে বেলা বেশ ঝামেলা পড়েছে না পারছে সইতে আর না পারছে সরাতে। তার সাথে পাগলামি শুরু করেছে যে। সামনে আগুন থাকায় গলা মুখ বাগে আনতে পারছে না সাঁঝ। তাই শুধু জড়িয়ে রেখেই ঘাড়ে পিঠে কানে চুমু খেয়ে। আর তার এই উষ্ণ আদর তার ভেজা ঠোঁটের স্পর্শে পাগল হয়ে যাচ্ছে বেলা।
.
–“বেলা ।
.
.বাইরে থেকে আওয়াজ পেয়ে বেলা চোখ খোলে। এখনও সাঁঝ তাকে জড়িয়ে রেখেছে। বেলা নিজেকে ছাড়তে চেয়ে ও পারছে না। সাঁঝ কে সরাতে পারছে না। তার মাঝেই ডুবে আছে সাঁঝ।
.
. বেলা কোনো কথা না বলে পিছন থেকেই হাত বাড়িয়ে সাঁঝ এর মুখে আলতো করে স্লাইড করতে থাকে। এর জন্য সাঁঝ বেলা কে ছেড়ে নিজের দিকে ঘোরাতে নিলেই বেলা হাতের বাঁধন আলগা পেয়ে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দেয় সাঁঝ কে ছুটে বেরিয়ে যায় বেলা।
.
–“আরে কোথায় ছিলি ডাকছি কখন থেকে। ওম হেসে হেসে বলে ওঠে।
.
–” কিচেনে ছিলাম বল কি হয়েছে। বেলা নিজেকে ঠিক করে বলে ওঠে।
.
–“আরে তোকে একটা দুর্দান্ত খবর দেয়ার আছে। রুহি উত্তেজিত হয়ে বলে ওঠে।
.
. বাকিরা হেসে ওঠে। আর এদিকে বেলা লক্ষ করে নিশান কেমন একটা চুপ করে আছে। তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি কথা নিশান বলে আর এখন সে কেমন আনমনা হয়ে আছে।
.
–” কি খবর আধিঘরওয়ালি। সাঁঝ এসে বেলার পাশে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বলে ওঠে।
.
. বেলা একবার কোনা চোখে সাঁঝ এর দিকে তাকায়। সাথে সাথে সাঁঝ বেলা কে ঠোঁট পাউট করে চুমু দেখায়। আর বাকি গুলো ও ফিচেল হাসতে থাকে বেলা সাঁঝ কে দেখে ।
.
–“হে গুড মর্নিং এভরিওয়ান। সারা ওদের দিকে আসতে আসতে বলে ওঠে।
.
. এদিকে সারা কে জড়িয়ে ঘুমে টলতে টলতে আসছে জাকিয়া। সিঁড়ি দিয়ে নামছে সারিফ গটগটিয়ে সেদিকে চোখ যায় রুহি সাথে সাথে চোখ টিপে দেয়।
.
–” আরে বললি না তো কি খবর। বেলা বলে ওঠে।
.
–“প্রেমের ঘন্টা বেজে গেছে। রুহি একবার ওর সামনে এসে দাঁড়ানো সারিফ এর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে ।
.
–“অনেক আগেই বেজে গেছে। সারিফ বলে ওঠে।
.
–” মানে? বেলা বলে ওঠে।
.
. আর এদিকে বাকি গুলো মিট মিট করে হাসছে ।বেদ সারা জাকিয়া। সাঁঝ পা দিয়ে সবার চোখের আড়ালে বেলার পায়ে স্লাইড করছে।
.
–“একজন চান্দনির দেখা পেয়েছে বেদ হেসে বলে ওঠে।
.
. ওদের কথা শুনে সারা জাকিয়া সাঁঝ অবাক হয়ে দেখছে। কি বলছে বুঝতে পারছে না।
.
–” মেরি জান বেলা ।
.
. সবাই পিছন ফিরে তাকায়। বেলা তো পিছনে তাকাতে মুখে হাসি ফুটে ওঠে। চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে মুখে হাসি। ছুটে এগিয়ে যায়। এদিকে সবাই অবাক হয়ে দেখছে।
.
–” টুসুন….
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊