তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম পর্ব-০২

0
1027

#তোর_প্রেমেতে_অন্ধ_হলাম
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ০২

আসলে ব্যাস্ততার ভেতরেই কেটেছে অর্নীলের জীবন। আর সত্য বলতে এই সব মেয়ে দের থেকে দূরে দূরে থাকা হয়েছে তার। রাগ যে অর্নীলের অনেকটাই বেশি তা কিন্তু না। সহজে রাগ উঠে না তবে যখন রাগ উঠে তখন সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পরে। আজ যখন নিজের ওপর এত্তো পানি পরেছিলো তখন অর্নীলের মাথায় ধুপ করে আগুন ধরে গিয়েছিলো। কিন্তু যেই না সে সিয়ার দিকে তাকায় তখন ফট করে এক নিমিষেই সব রাগ পানি। সিয়ার ওইভাবে ড্যাবড্যাব করে তার দিকে তাকিয়ে থাকা, ভয়ার্ত ফেইস, সব যেন অর্নীলের মনে কিছুটা আচড় কেটেছে। যাই হোক অর্নীল এগুলোই ভাবছে আর ড্রাইভ করে যাচ্ছে। একটা সময় সে নিজের বাসায় এসে পরে। বাসায় আসতেই দুই একজন অর্নীলের সামনে পরে এরা সবাই বাসায় কাজ করে। অর্নীল সব এভোয়েড করে সোজা নিজের রুমের দিকে যেতে ধরলেই এক ভারি কন্ঠে থেমে যায়……

সাগর;; অর্নীল!!

অর্নীল কিছুটা বিরক্ত হয়েই থেমে যায়।

সাগর;; আজ নাকি তুমি অফিসে যাও নি তোমার এসিস্ট্যান্ট বললো।

অর্নীল;; ওটা আমার অফিস, আমি বুঝবো। তুমি তোমার পলিটিক্স নিয়েই থাকো।

সাগর;; আজ একটা মিটিং ছিলো তুমি তাতে যাও নি।

অর্নীল;; বোর হয়ে গিয়েছিলাম আমি। একটা কলেজে ইনভিটেশন ছিলো তাই সেখানে চলে গিয়েছি।

সাগর;; পরে গেলেও পারতে।

অর্নীল;; স্টপ বাবা,, এতো কৈফিয়ত আমি কেনো তোমায় দিবো। ভালো হবে তুমি যদি আমার ব্যাপারে নাক না গলাও তো।

সাগর;; অর্নীল তু……….

সাগর চৌধুরীর আর কিছু বলার আগেই অর্নীল চলে যায় নিজের রুমে। রুমে যেতেই নিজের মায়ের ছবি টা আগে চোখের সামনে আসে। আসলে অর্নীলের মায়ের মৃত্যু হয়েছে একমাত্র তার বাবার জন্যই। কোন না কোন ভাবে অর্নীলের বাবাই তার মার মৃত্যুর কারণ। অর্নীল সেদিকে এক নজর তাকিয়ে নিজের কাজ করতে থাকে।


অন্যদিকে সিয়াও নিজের বাসায় এসে পরেছে। তবে বেশ রাগি রাগি ভাব। বাড়ি এসেই নিজের ব্যাগ টা সোফায় ছুড়ে ফেলে। তা দেখে শিউলি খাতুন অর্থাৎ সিয়ার নানি ভ্রু কুচকে তার দিকে তাকায়।

শিউলি;; কিরে কি হয়েছে তোর? এভাবে রেগে আছিস কেনো? কলেজে কিছু হয়েছে কি?

সিয়া;; না।

শিউলি;; না না কিছু তো হয়েছে! কি হয়েছে?

সিয়া;; এই বুড়ি তুমি তোমার কাজ করো তো। বেশি কথা বলো না।

শিউলি;; দেখ দেখ মেয়ের কেমন বুলি ফুটেছে।

সিয়া;; ধুর, নানি মা কোথায়?

দোলা;; আছি (রান্নাঘর থেকে বের হয়ে হাত মুছতে মুছতে)

শিউলি;; দেখ তোর মেয়ে রেগে আছে।

দোলা;; হ্যাঁ রে কি হয়েছে?

সিয়া;; কিছু না গো। বলছি তো কিছুই হয় নি।

দোলা;; আচ্ছা শোন একটা খুশির খবর আছে।

সিয়া;; কি কি?

দোলা;; খুশিতে আবার অজ্ঞান হয়ে যাস না।

সিয়া;; আরে না বলো।

দোলা;; তোর বোন আদিবার বিয়ে ঠিক।

সিয়া এক লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। আসলে এই আদিবা হচ্ছে সিয়ার চাচাতো বোন। সিয়ার দাদাবাড়িতে এই দুইমাত্র ব্যাক্তির সাথেই সিয়ার ভালো সম্পর্ক এক হচ্ছে সিয়ার চাচা আর চাচার মেয়ে আদিবা। সিয়ার চাচার অনেক বড়ো ব্যাবসা আছে আর সেই সুবাধে বড় বড় পেশাজীবি দের সাথে উনারও উঠা-বসা আছে। আদিবা অবশ্য দিয়ার থেকে ৩ বছরের বড় তবুও তুই-তুকারি আর অনেক ভালো সম্পর্ক। আর আদিবার বিয়ে ঠিক জেনে সিয়ার তো মাথা নষ্ট। খুশির চোটে সিয়া পুরো বাড়ি একটা রাউন্ড দিয়ে এসে আবার ধপ করে সোফাতে বসে পরে।

দোলা;; হয়েছে তোর? এবার শুনবি?

সিয়া;; হ্যাঁ হ্যাঁ বলো।

দোলা;; তোর বোনের বিয়ে ঠিক। পরশু দিন বিয়ে আর আগামীকাল গায়ে হলুদ। কিন্তু আজ রাতেই আমাদের রওনা দিতে হবে বুঝলি।

সিয়া;; আরে থামো আমি পাগল হয়ে যাবো তো।

দোলা;; হুম শোন ওখানে গিয়ে কোন রকম কোন বাদরামি করবি না। বড়দের কথা শুনবি। ভালো ভাবে চলবি।

সিয়া;; মা, আমি বাচ্চা না যে এতো কানপড়া দিচ্ছো।

দোলা;; শোন এখন তোকে একটু বাইরে যেতে হবে। এখন বলতে বিকেলের দিকে।

সিয়া;; কেনো?

দোলা;; আরে আমি মিষ্টি অর্ডার দিয়েছি। সেগুলো বিকেলের মধ্যে হয়ে যাবে তো সেগুলো তুই গিয়ে নিয়ে আসবি বুঝেছিস। আর আমি এইদিক টা সামলাই,, তুই স্কুটি নিয়ে যাস।

সিয়া;; ওহহ আচ্ছা।

দোলা;; এবার যা ব্যাগ প্যাক করে নে,, যা যা লাগবে সেগুলো বের করে রাখ। পরে সময় পাবি না।

সিয়া;; আচ্ছা।

সিয়া নিজের রুমে এসে পরে। এসেই একটা ঘুড়ান্টি দিয়ে বিছানাতে শুয়ে পরে। খুশি খুশি লাগছে অনেক। সিয়া তার চোখ গুলো বন্ধ করে নেয়। তবে চোখ বন্ধ করতেই সিয়ার সামনে অর্নীলের সেই পানিভেজা মুখ টা সামনে চকচক করে ভেসে ওঠে। আর সিয়া ফট করে চোখ মেলে তাকায়।

সিয়া;; আজকে কি বাচা যে বেচেছি আল্লাহ।

তখনই সিয়ার ফোন বেজে ওঠে। তাকিয়ে দেখে আদিবা।

সিয়া;; হেই বউ কেমন আছো?

আদিবা;; বউ হই নি এখনো।

সিয়া;; হ্যাঁ হ্যাঁ হতে আর কতোক্ষণ।

আদিবা;; আরে বল তুই কেমন আছিস, কি করিস আর কখন আসছিস?

সিয়া;; রাতে রওনা দিবো আর কয়েক ঘন্টায় পৌঁছে যাবো। আচ্ছা আমার কথা ছাড় আগে বল তোর হবু জামাই কেমন, কি করে, কোথায় থাকে, নাম কি??

আদিবা;; আরে আস্তে আস্তে।

সিয়া;; আর ধুরু, দাড়া আসছি তারপর তোর ক্লাস নিবো।

আদিবা;; হুম….

দোলা;; সিয়ায়ায়ায়ায়া…

সিয়া;; এই রে আম্মুর ডাক পরেছে রে। আচ্ছা শোন আমি পরে কথা বলছি কেমন।

আদিবা;; আচ্ছা।


এদিকে অর্নীল প্রতিদিন কার মতো নিয়ম করে করিডরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিয়ার খেয়েই চলেছে। অফিসে যায় নি আজ নয়তো কাজে ব্যাস্ত থাকতো। এখন তেমন কোন কাজ নেই তাই এখানে। বাতাস বয়ে চলেছে অনেক জোরে।

রামু;; অর্নীল বাবা, অর্নীল বাবা!

অর্নীল;; হ্যাঁ চাচা আসো ভেতরে।

রামু;; আচ্ছা শুনো বাবা তোমাকে বড় সাহেব ডাকতাছে।

অর্নীল;; বাবা ডাকছে!?

রামু;; হ

অর্নীল;; রামু চাচা আমার জেকেট টা একটু দিবে।

রামু;; হ হ দিতাছি। এই লও

অর্নীল জেকেট টা টি-শার্টের ওপরেই জড়িয়ে নেয়।

রামু;; কিন্তু নিচে যাওয়ার লেইজ্ঞা জেকেট পরলা কেন?

অর্নীল;; নিচে না বাইরে যাচ্ছি।

রামু;; মানে?

অর্নীল;; আমি বাইরে যাচ্ছি। মানে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছি। ওই মানুষের কথা শোনার বা ওনার সাথে কথা বলার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই আমার।

রামু;; আরে…

অর্নীল;; বায় রামু চাচা।

এই বলেই অর্নীল গাড়ির চাবি টা হাতে নিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে পরে। গাড়িতে উঠে দ্রুত গতিতে চলে যায়। রামুও এদিকে নিচে নেমে আসে।

সাগর;; রামু অর্নীল কোথায়?

রামু;; আসলে অর্নীল বাবা তো বাইরে…

সাগর;; আমার কথা না শুনেই বাইরে চলে গিয়েছে কি তাই তো!!

রামু;; জ জ্বি।

সাগর;; আহহ,, এইটা আমার ছেলে। এমন ছেলে কই পাবো আর। পুরানা স্বভাব ওর। এমনই করে। রামু যাও তো ঠান্ডা কিছু খাওয়াও আমাকে। আমি পাগল হয়ে যাবো।

রামু চলে গেলো। আর অর্নীল তো চোখে গ্লাস পরে কানে এয়ার পড লাগিয়ে গান শুনছে আর‍ যাচ্ছে।


সিয়া;; আম্মু ডাকলে?

দোলা;; শপ থেকে ফোন এসেছিলো মিষ্টি রেডি, তুই জলদি আনতে যা।

সিয়া;; হ্যাঁ যাচ্ছি।

দোলা;; টেবিলের ওপর স্কুটির চাবি রাখা দেখ।

সিয়া এক হাতে চাবি আরেক হাতে হ্যালমেট টা নিয়ে বের হয়ে পরে। সিয়া কপাল কুচকে স্কুটি চালাচ্ছে। একে তো তীব্র রোদ তার ওপর এই জ্যাম। সব মিলে খারাপ দশা। প্রায় আধা ঘন্টা এই কড়া রোদ আর জ্যামের মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে সিয়া আবার স্কুটি স্টার্ট দেয়। যেতে যেতেই হঠাৎ সিয়ার স্কুটির সামনে একটা ছোট বাচ্চা এসে পরে। সিয়া দ্রুত স্কুটি থামানোর চেষ্টা করে ততক্ষণে বাচ্চাটা সরে যায়। আর দূর্ভাগ্যবশত সিয়ার স্কুটি টা একটা গাড়ির সাথে বেশ ধাক্কা খায়। এতে সে সোজা স্কুটি থেকে নিচে পরে যায়। আর যেই গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছিলো সেই গাড়ির সামনের এক লাইট ভেঙে যায়। তবে গাড়িটা আর কারো না বরং স্বয়ং অর্নীলের। অর্নীল তো রাগে আগুন হয়ে গিয়েছে এভাবে ধাক্কা লাগাতে। সে গাড়ি থেকে দ্রুত নেমে পরে। সিয়াও কোন রকমে উঠে নিজের কাপড় ঝাড়ছে। আচ্ছা মতো ধুলাই দিবে এটা সিয়াও ভেবেছিলো। কিন্তু সামনে তাকাতেই বোকা বনে যায়। তাকিয়ে দেখে অর্নীল। ব্যাস সিয়ার রাগ হাওয়া। অর্নীল দেখে সিয়ার চুল গুলো মুখের ওপরে পরে আছে, এলোমেলো চুল, হাতে হ্যালমেট টা, মিষ্টি কালারের জামায় কিছুটা ধুলো লেগেছে। সিয়া কে দেখে অর্নীলেরও যেনো রাগ হাওয়া হয়ে গেলো। সিয়া কিছু না বলেই চলে যেতে ধরলে অর্নীল বলে ওঠে….

অর্নীল;; আব… টিয়া নাকি দিয়া!

সিয়া;; ইট”স সিয়া।

অর্নীল;; ওই হলো একই। তো যখন স্কুটি চালাতে জানো না তখন চালাও কেনো?

সিয়া;; নিজেও তো গাড়ি চালাতে জানে না আবার আমাকে বলে (ফিসফিস কিরে)

অর্নীল;; কিছু বললে?

সিয়া;; না।

সিয়া আস্তে করে স্কুটি টা তুলতে থাকে। তখন অর্নীল গিয়ে সিয়াকে সরিয়ে দিয়ে নিজে স্কুটি টা তুলে দেয়।

অর্নীল;; ব্যাথা পেয়েছো?

সিয়া;; না।

অর্নীল;; কোথায় যাচ্ছো?

সিয়া;; সুইট”স অর্ডার দিয়েছিলো আম্মু সেগুলোই আনতে যাচ্ছি।

অর্নীল;; আমি হেল্প করবো বা চলো তোমায় ড্রপ করে দেই।

সিয়া;; এমনেই একে দেখলে আমার কেমন যেনো ভয় ভয় লাগে এখন কিনা এর সাথে যাবো আমি। না রে বাবা লাগবে না আমার (মনে মনে)

অর্নীল;; সিয়া!!

সিয়া;; আব.. না না লাগবে না আমি একাই যেতে পারবো। আমি যাই।

অর্নীল;; তু….

অর্নীলের কিছু বলার আগেই সিয়া স্কুটি নিয়ে চলে যায়। আজ একদিনেই আবার এই লোকটার সাথে দেখা হলো সিয়ার। সিয়ার কাছে ব্যাপার টা কেমন অদ্ভুত লাগলেও অর্নীলের কাছে বেশ ভালোই লাগছে। সিয়া সোজা শপে চলে যায় তারপর মিষ্টি নিয়ে আবার নিজের বাড়ি। তারপর সবাই রেডি হয়ে সিয়ার চাচার বাসায় যাওবার জন্য রওনা দেয়।

আর অর্নীল বিকেল থেকে শুরু করে সারা বেলা গাড়ি নিয়ে ঘুড়েছে আর এখন একটা বারে বসে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।

রাকিব;; ভাই জানিস গার্লফ্রেন্ডের যে আর এত্তো প্যারা।

জুনায়েদ;; প্রচুর, বেবি ঘুড়তে যাই, বেবি শপিং এ যাই, বেবি তোমার বাবা-মার সাথে কবে দেখা করাবে এটা ওটা আরো কতো কি।

অর্নীল;; তো প্রেম করতে বলে কে তোদের।

রাকিব;; আরে কে জানতো যে এমন কিছু হবে।

অর্নীল;; হুম এখন ঠ্যালা সামলা।

জুনায়েদ;; তোর কি খবর তাই বল। কোন মেয়ে পছন্দ হলো?!

অর্নীল;; ঠিক পছন্দ কিনা জানি না তবে হ্যাঁ একটা মেয়ে কে বারবার নিজের সামনে পাই। এটা ভালোলাগা নাকি ভালোবাসা বুঝি না। Actually i just love this confusion….

জুনায়েদ;; হুম হুম বুঝেছি ভাই প্রেমে পরেছিস।

অর্নীল;; ধুর তেমন কিছুই না।

অর্নীল সবার সাথে কথা বলছিলো। তখনই তার বাবার ফোন আসে। অর্নীল কিছুটা বিরক্ত হলেও ফোন রিসিভ করে।

অর্নীল;; হ্যালো…

সাগর;; আমার গুনধর পুত্র আপনার কাছে যদি একটু সময় হয় তাহলে কি এখন বাড়ি আসবেন? কিছু দরকারি কথা আছে আপনার সাথে। দুপুরে তো না শুনেই ফাকি দিয়ে চলে গিয়েছেন।

অর্নীল;; আসছি বাবা।

সাগর;; এসো।

অর্নীল ফোন কেটে দেয়। না জানি তার বাবা কি বলবে আবার নাকি কোন কাজ চাপিয়ে দিবে ঘাড়ে। এই ভেবেই অর্নীল বাড়ি যায়। বাড়ি যেতেই দেখে হলরুমে সাগর চৌধুরী বসে আছেন। অর্নীল এসে সোফার ওপরে বসে হাতের ঘড়ি টা খুলতে খুলতে বলে ওঠে…..

অর্নীল;; বলো কি বলবে!

সাগর;; একটা ফাংশন আছে সেখানে যেতে হবে। আসলে আমাদের চিফ গেস্ট হিসেবে ইনভাইট করা হয়েছে। কিন্তু তুমি তো জানোই যে আমার এদিকে কতো শত ভেজাল আছে তাই এইসবের চক্করে আমি যেতে পারবো না। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে কেউই না গেলে ব্যাপার টা তেমন ভালো দেখায় না। তাই বলছি যে তুমি যাও। তোমার অফিসে তো অনেক স্টাফ রা আছে ওরা সব সামলে নিতে পারবে সবকিছু,, তুমি যাও।

অর্নীল;; তুমি তো জানোই যে আমি এইসব টিপিকাল ফাংশন গুলোতে যাই না ভালো লাগে না আমার।

সাগির;; অর্নীল ব্যাটা টিপিকাল নয় ফাংশন, একটা বিয়ে আর বেশ হাই ফাই। তুমি চিন্তা করো না সেখানে কোন সমস্যা হতেই দিবো না আমি তোমার। তুমি যেতে পারো। সেখানে গার্ড র’ থাকবে তোমার সাথে। যাবে?

অর্নীল;; ওকে ফাইন যাবো।

সাগর;; গুড, তো আগামীকালই চলে যাও।

অর্নীল;; আচ্ছা।

সাগর;; আমা…….

অর্নীল;; আচ্ছা শুনো!

সাগর;; বলো।

অর্নীল;; গার্ডদের যেতে হবে না আমার সাথে।

সাগর;; কিন্তু কেনো?

অর্নীল;; বাবা! তোমার ছেলে আমি। রাজনীতি বিদের ছেলে আমি,, তোমার কাছ থেকেই তো শিখা সব। রিভলভার আর বাকি সবকিছুই আছে আর হ্যাঁ নিজের প্রটেকশন আমি নিজেই দিতে পারি।

সাগর;; অর্নীল!!

অর্নীল;; গুড নাইট বাবা।

অর্নীল রুমে গিয়ে তার ব্যাগ টা প্যাক করে নেয়। অর্নীলের বাবার সাথেই কাজ করে হয়তো এমন কারো বিয়ে হবে নিশ্চয়ই। এইসব ভেবেই অর্নীল তার কাজ করতে থাকে। তখনই তার ফোনে ফোন আসে,, আর ওপর পাশ থেকে যা শুনে তাতে অর্নীলের রাগ উঠে পরে।





চলবে~~