#তোর_রঙে_রাঙাবো
#Part_13
#Writer_NOVA
এক ঘন্টা যাবত শপিংমলে চক্কর দিচ্ছি আমরা।ভাইয়ুর বিয়ের শপিং করতে এসেছি। আমি,ভাইয়ু,
পুষ্প ভাবী,ভাইয়ুর বন্ধু শরীফ,রনি।আবির ভাইয়ার কাজ আছে। তাই আসতে পারে নি।আমার এসব বিরক্ত লাগে।ভাইয়ুর বিয়ের শপিং বলে কিছু বলতেও পারছি না। শরীফ ভাইয়ার কান্ড-কারখানা আমার কিছুটা খোটকা লাগছে।কিরকম জানি ছটফট করছে।তাছাড়া ভাইয়ুকে পিনিক মেরে কিসব কথা বলছে।যার আগাগোড়া আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। ভাইয়ু থেকে থেকে চোখ গরম করে তার দিকে তাকাচ্ছে। বিয়ের শাড়ি কিনতে বসে আছি দোকানে।
পুষ্পঃ তাহা চয়েজ করে দেও।আমি কোনটাই চয়েজ করতে পারছি না। এগুলো বেশী গর্জিয়াস হয়ে যাচ্ছে। এত গরমে এগুলো পরে থাকা যাবে না। তুমি প্লিজ একটা পছন্দ করো না।
আমিঃ আমি কেন পছন্দ করবো?বিয়েটা কি আমার?তোমার পছন্দমতো শাড়ি কিনবো বলেই তো তোমাকে নিয়ে এসেছি। নয়তো আমিই পছন্দ করে কিনে নিতাম।এখন কথা না বলে চুপচাপ পছন্দ করো তো ভাবী।তোমার শাড়ির সাথে ম্যাচ করে ভাইয়ুর শেরওয়ানি কিনতে হবে। তোমার শাড়ি পছন্দ না হয় তাহলে আমরা লেহেঙ্গা দেখি।
তাসিনঃ তোমার যেটা পছন্দ সেটাই নেও।আমি আর মেয়েদের সাথে শপিংয়ে আসছি না বাবা।এক ঘন্টা হয়ে গেলো অথচ একটা জিনিসও কিনতে পারলো না। বাকি শপিং গুলো কে করবে শুনি।
পুষ্পঃ একদম কথা বলবে না তুমি। সব দোষ তোমার।তুমিই তো দেরী করে আসলে।আমি বলিনি শপিং করতে গেলে তাড়াতাড়ি যেতে হবে। তুমিই তো কোন রাজকার্য সেরে দেরী করে আসলে।এখন যদি রাত দুটো বাজে তাও পুরো শপিং করেই ফিরবো।নিত্য দিন শপিংয়ের জন্য আসতে পারবো না আমি।
শরীফঃ দোস্ত, হাতে গান থাকলে তো ঠিকই চালাতে পারিস।কিন্তু বউ কিকরে চালাবি?যা ধানী লঙ্কা। তোর অনিশ্চিত জীবনটার সাথে না জড়ালেই পারতি।তুই তো আজ আছিস কাল নেই।
শরীফকে টেনে নিয়ে তাসিন অন্য জায়গায় চলে এলো।কারণ ওদের দিকে অবাক চোখে রাই ও পুষ্প তাকিয়ে ছিলো।যদিও তারা কিছুই বোঝে নি।তারপরেও সেখানে থাকা তাসিনের জন্য নিরাপদ নয়।
তাসিনঃ শরীফ হচ্ছেটা কি?কি যা তা বলছিস?এখানে আমার বোন আর বউ আছে। লিমিট রেখে কথা বলিস।নয়তো আমিও ভুলে যাবো তুই আমার দোস্ত।
শরীফঃ যাক বাবা,বিয়ে না করতেই বউ বানিয়ে ফেললি।আমি তো জানতাম তোর বউ হলো গান দুটো।কারণ সবসময় ঐ দুটো তোর কাছে থাকে।তাই ওদেরী তোর বউ ভেবে নিয়েছি।কিন্তু পুষ্পকে যে তুই এতটা ভালোবেসে ফেলবি তা জানতাম না তো।তা তোর অন্ধকার জগতের কালো ধান্দার সেই মাফিয়া কিং-এর কথা জানে তো।
তাসিনঃ শরীফ, তুই কিন্তু তোর লিমিট ক্রশ করে ফেলছিস।আবারো বলছি চুপ হয়ে যা।আমি রাগলে কিন্তু তোর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।(রেগে)
রনিঃ শরীফ, কি শুরু করেছিস তুই? এখানে এসব কথা কেন উঠছে?তোর ব্যবহার এতো আজব কেন?তুই কি ভুলে গেছিস কোথায় কি বলতে হয়?হঠাৎ এমন ব্যবহার করার কারণ কি?
শরীফঃ জোকস মারলাম ইয়ার।এতো সিরিয়াসলি নিচ্ছিস কেন? তোরা যদি বলিস তাহলে আমি ভাবীকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে তাসিনের আরেক রূপের কথা বলি।পুষ্পর হবু হাসবেন্ড এতবড় মাফিয়া কিং আর সেই জানবে না এটা কি ঠিক বল? তুই তো ভয়ে ওকে কিছু বলতে পারবি না। তাই তোর কাজটা আমি সহজ করে দেই।
তাসিন এবার ভয়ংকর রেগে গেল।সামনে এগিয়ে এসে শরীফের শার্টের কলার ধরে মুখ বরাবর একটা পাঞ্চ মারলো।কিন্তু শরীফ তাতে একটুও মন খারাপ করলো না।বরং জোরে হাসতে লাগলো।নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।তারপরেও ও হেসেই যাচ্ছে। এতে তাসিন কিছুটা অবাক হলেও রাগটা কমলো না।বরং বেড়েই চললো।পরপর আরো দুইটা ঘুষি বসিয়ে দিলো শরীফের মুখে।তারপরেও শরীফ হাসছি।সিরিয়াস সময়ে এরকম হাসলে যে কারো রাগ বাড়বে।তাসিন এবার রাগটাকে কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারছে না। তৃতীয় ঘুষিটা মারতে নিলে রনি এসে আটকে দিলো।
রনিঃ কি শুরু করেছিস তোরা? থামবি তো।নিজেদের মধ্যে ঝামেলা কেন করছিস?এখানে আমরা শপিং করতে এসেছি। মারামারি নয়।তোদের হঠাৎ কি হলো বল তো?
তাসিনঃ রনি,ওকে আমার সামনের থেকে সরে যেতে বল।নয়তো আমি ওকে মেরেই ফেলবো। ও আমার বন্ধু কিছুতেই হতে পারে না।হঠাৎ করে ওর মধ্যে আমার বিপক্ষে যাওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছি আমি।নইলে এমনটা করতো না। ভেবে দেখ তখন যদি আমি ওকে পুষ্প ও রাইপরীর সামনে থেকে এখানে না আনতাম তাহলে কি হতো বিষয়টা।
তাসিন হাত মুঠ করে রাগ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছে। শরীফ এখনো পাগলের মতো হাসছে। দুই আঙুল দিয়ে নাকের রক্ত মুছে হাসতে হাসতে বললো।
শরীফঃ তুই করতে পারবি তাতে দোষ নেই। কিন্তু আমি বললেই দোষ। আমাকে মেরে কাজটা তুই ঠিক করলি না।এর উশুল তোকে দিতে হবে। কথাটা মনে রাখিস।
তাসিনঃ তুই এখান থেকে না গেলে তোকে জ্যন্ত পুঁতে ফেলবো হারামী।নিজের ভালো চাইলে বিদায় হো।মানে মানে কেটে পর।আমার গান দুটো কিন্তু আমার সাথেই আছে।
শরীফঃ তুই সামান্য কারণ নিয়ে আমার সাথে এমন করলি।যা তোর সাথে আজ থেকে আমার কোন সম্পর্ক নেই। না আমি তোকে চিনি, না তুই আমাকে চিনিস।সব শেষ করে দিলাম আমি।
তাসিনঃ আবে যা যা। তোর মতো বন্ধু আমার লাগবে না। নিজের ভালো চাইলে আমার কাছে ফিরে আসিস না।তাহলে সেই দিন তোর শেষ দিন হবে।
শরীফ রাগে বিরবির করতে করতে চলে গেল। তাসিন তেড়ে ওর পেছনে যেতে নিলে রনি আটকে দেয়।
রনিঃ বাদ দে বড় ভাই। ওর কি জানি হয়েছে? রাগ কমলে ঠিকই চলে আসবে।তুই আর ভেজাল করিস না।ভেতরে চল।ভাবী আর বোন একা রয়েছে। বিয়ের অনেক শপিং করতে হবে।মাথা থেকে সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলে শপিংয়ে মনোযোগ দে।
রনি, তাসিনকে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে গেল।তাসিনের রাগ এখনো কমেনি।তাসিনের মাথায় এটাই ঢুকছে না শরীফের হঠাৎ হলো কি?ও তো কখনো এমন করে না।
🌺🌺🌺
শরীফকে আজ ফর্টুয়েন্টিদের থেকে কম লাগছে না।দুই কানে দুল, গলায় মোটা চেইনে লোকেট ঝুলছে।হাতে কতগুলে ব্রেসলাইট।চুলগুলো এলোমেলো করে রেখেছে। একদম ফালতু লাগছে।
শরীফ শপিংমল থেকে বের হওয়ার আগে একটা সিগারেট ধরালো।তারপর পকেট থেকে মোবাইল বের করে কাউকে কল করলো।বাঁকা হেসে তাকে বললো।
শরীফঃ কাজ হয়ে গেছে। আমি নিজে ইচ্ছে করে তাসিনের সাথে ঝামেলা করেছি।ওর সাথে আমার মারামারিও হয়েছে। অন্তত পক্ষে কিছুদিন আমার সাথে কোন যোগাযোগ করবে না।এই সুযোগে আমাদের কাজটাও করে ফেলবো।আর হ্যাঁ,আমি এখন বের হচ্ছি।তুমি তোমার লোক পাঠাও।তারা যেনো পুষ্প কিংবা রাই-য়ের মধ্যে একজনকে তুলে নিয়ে যায়।তাহলে কাজটা করতে আরো সুবিধা হবে।আমি থাকলে বিষয়টা অন্য দিকে মোড় নিতো।
—- গুড।আমি জানতাম তুমি কাজটা করতে পারবে।তাইতো তোমাকে চয়েজ করেছি আমরা।তোমার কাজে আমি অনেক খুশি।তোমার কাজেও আমি হেল্প করবো।নিজের মানুষ ছাড়াতো তাসিনকে বশ অন্য কেউ করতে পারবে না। তাই তোমাকে হাতিয়ে নেওয়া।তুমি আজ থেকে আমার বন্ধু। তোমার সাহায্য আমার অনেক বড় উপকার করলো।কিছু সময়ের মধ্যে আমার লোক পৌঁছে যাবে।আমি চাইছি তাসিনের বোনকে তুলে আনতে।আসলে ওর বোন তো ওর কলিজার টুকরো। আর কলিজার টুকরো ব্যাথা পেলে তো ভাইয়ের জানেও ব্যাথা লাগবে তাই।
শরীফঃ যা করার দ্রুত করো।নইলে ধরা পরে যেতে পারো।তাসিন খুব সুতীক্ষ্ম ধাঁচের মানুষ। মাফিয়া কিং বলে কথা।সবকিছু নিয়ে মাথা খাটায়।একবার যদি টের পায় পুরো প্ল্যানে আমরা দুজন।তাহলে সবকিছু ধ্বংস করে দেবে।
—- তুমি চিন্তা করো না।ও যদি মাফিয়া কিং হয়। আমিও সেই মাফিয়া জগতের বাদশাহ্।আর বাদশাহর আন্ডারে কয়েক ডজন কিং কাজ করে।কিং দের কিন্তু বাদশাহর কথা মতোই কাজ করতে হয়।কিন্তু আমার কথা তো তাসিন মানেনি।তাই আমাকে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হলো।বাদশাহ কে হারানোর মতো শক্তি কিং-এর হাতে নেই।তাই নিশ্চিতে থাকো।
শরীফঃ যা করার ভালো মতো করো।আমি শুধু চাই আমার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ। আমার বাবা লতিফ সাহেবকে ও আমার চোখের সামনে মেরে ফেলেছে। আমি আটকাতে পারিনি।সেদিন পণ করেছিলাম তাসিনের মৃত্যুর কারণ আমি হবো।আমার বাবা ওর পায়ে ধরে নিজের জীবন ভিক্ষা চেয়েছিলো। কিন্তু ও তা দেইনি।তেমনি আমার পায়ে পরে তাসিন ওর বোনের জীবন ভিক্ষা চাইবে।কিন্তু আমি তা দিবো না।ও আমাকে বহু আগের থেকে নিজের জানের দোস্ত ভাবে।কিন্তু আমার বহু আগের থেকে শখ ওর মাফিয়া কিং-এর পদটা।তাই আমি ওর বন্ধু হয়ে ওর সাথে মিশে যাই।আর আমার বাবাকে ওর ডেরায় পাঠাই।বাবা দুইবার সঠিকভাবে এতিমখানার টাকা সরাতে পারে।কিন্তু তৃতীয়বার ধরা খেয়ে খুব বাজেভাবে নিজের জীবন দেয়।বাবা ওর ডেরার সব খবর আমায় দিতো।আমি খুব শীঘ্রই ওর থেকে সব কেড়ে নিতাম।কিন্তু ও আমার বাবাকে মেরে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। আমি ওকে ছারবো না। তাসিনকে আমার হাতেই মরতে হবে।
—- গুড, ভেরী গুড।তোমার মধ্যে প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে।আর আমার মধ্যেও।তাছাড়া আমাদের দুজনের শত্রু একজনি। সে হলো তাসিন।তাই তো দুজনে হাত মিলিয়েছি।এবার ওর পতন হবেই।শত্রুর শত্রু তো বন্ধুই হবে।খুব জলদী পুরো মাফিয়া জগত আমাদের হবে।আমাদের অপেক্ষার পালা শেষ হতে চললো।তারপর আমরা রাজত্ব করবো।
শরীফঃ তাসিনের এতো ভালো মানুষি আমার ভালো লাগে না। মাফিয়া থাকবে সবসময় পাওয়ার নিয়ে। কিন্তু সেখানে তাসিন থাকে সবসময় গরীব,
অসহায়দের সাহায্য নিয়ে। সে নাকি তাদের জন্য মাফিয়া গিরি করে।ওর কালো ধান্দায় নাকি গরীবদের জন্য।সে একদম মাদার তেরেসার অনুসারী হয়ে গেছে। নিজের জন্য এক টাকাও খরচ করে না।যা টাকা কামায় তা দিয়ে নানা জিনিস কিনে এতিমখানায় দান করে।অনেক দানশীল ব্যাক্তি কিনা।মাফিয়ার নামটা নাকি সে পাল্টে দিবে।এটাকে খারাপের থেকে ভালোয় নিয়ে আসবে।মাঝে মাঝে আমার মনে হয় রবিন হুড মরার আগে তাসিনকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে। যত্তসব আদিখ্যেতা। আমার এসব পছন্দ নয়।আমার পছন্দ শুধু টাকা।টাকার গন্ধে আমি পাগল হয়ে যাই।তাসিনের সাথে কাজ করে আমি কিছুই পাই না।সব গরীবদের বিলিয়ে দেয়।শুধু শুধু নিজের কষ্ট। তাই আমি রাজা হতে চাই। আমার যা খুশি আমি তখন তাই করবো।যা টাকা আত্মসাৎ করবো সব আমার হবে।
—– আমিও তোমার সাথে একমত।কি দরকার এসব করার?ওর জন্য আমরা নিশ্চিন্তে আমাদের ধান্দাও করতে পারছি না।যেখানে ধান্দা করতে যাই সেখানেই ওর জন্য বাঁধা পরে।ওকে আমাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলেই আমরা টাকার মুখ দেখবো।ও বেঁচে থাকলে কখনি আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো না।তাই আমি ওর মৃত্যু কামনা করছি।তুমি তো বন্ধু ফাটিয়ে দিয়েছো।একদম তাসিনের বাবার সাথে যেটা ঘটেছে তা পুনরায় ওর সাথে ঘটতে চলছে। তাসিনের বাবাকে ওর বন্ধু মেরে ফেলেছে। তেমনি তাসিনকে ওর বন্ধু মেরে ফেলবে।
শরীফঃ হুম তেমনটাই হবে।নিজের আপন মানুষই তো জানে দূর্বলতাটা।আমি জানি তাসিনের দূর্বলতা কোথায়।আর তা দিয়েই ওকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিবো।আচ্ছা,রাখছি।পরে কথা হবে।এমনিতে অনেক কথা বলে ফেলেছি।কেউ শুনে ফেললে বিপদ হবে।জানোই তো দেয়ালেরও কান আছে।আরেকটা কথা।আগামীকাল আমি পুষ্পকে সবটা জানিয়ে দিবো।তাই তুমি চেষ্টা করো রাইকে তুলে নিতে।রাই নিজের চোখে তার ভাইয়ের কান্ড দেখবে।নিজের ফেরশতার মতো ভাইকে সে নিশ্চয়ই এই রূপে দেখতে পছন্দ করবে না। পুষ্পকে আমি মার্ডারের ভিডিও দেখিয়ে মানিয়ে নিবো।
—- ওকে বন্ধু।তুমি দেখছি আমার থেকে দুকদম আগে।হবু বউ আর নিজের বোন হলো তাসিনের সব।তাসিন যখন তার প্রিয় মানুষের কাছে সবচেয়ে ঘৃণার পাত্র হয়ে যাবে। তখন ওর মনের অবস্থা কি হবে তা ভেবে আমার ভীষণ খুশি লাগছে। আমি তোমাকে সব আপডেট দিবো।তুমি নতুন ছকের গুটি চালানো শুরু করো।
হাতের সিগারেট শেষ পর্যায়ে।শরীফ কল কেটে এদিক সেদিক তাকালো।কাউকে দেখতে না পেয়ে হাতের সিগারেটের বাকি অংশটুকু নিচে ফেলে পা দিয়ে পিষে আগুন নিভিয়ে দিলো।তারপর স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে খুশি মনে তার কাজে চলে গেল। কিন্তু সত্যিই কিন্তু দেয়ালের কান ছিলো সেখানে। মাথায় হ্যাট পরিহিত একটা ছেলে দেয়ালের আড়ালে দাঁড়িয়ে সবকিছু শুনে নিয়েছে। সব কথা শুনে ছেলেটা বেশ অবাক হয়ে গেলো।
#চলবে