তোর রঙে রাঙাবো পর্ব-১৪

0
1964

#তোর_রঙে_রাঙাবো
#Part_14
#Writer_NOVA

শপিং করতে করতে বিকেল গড়িয়ে এসেছে। তারপরেও শপিং শেষ হয়নি।বিয়ের শপিং বলে কথা।ভাইয়ুর মনটা ভীষণ খারাপ।কিরকম মনমরা হয়ে আছে।তখন শরীফ ভাইয়ার সাথে তার কি হয়েছে কে জানে?বাইরে থেকে এসার পর থেকে পুরো চুপচাপ হয়ে গেছে। আমি জুয়েলারি কিনতে গিয়ে মনে হলো তীব্রকে দেখলাম।কিন্তু দোকান থেকে বের হয়ে আর কাউকে দেখলাম না।এদিক সেদিক খুঁজেও পাইনি।ভাবী আমার হাতে একগাদা ড্রেস ধরিয়ে দিয়ে বললো।

পুষ্পঃ তাহা, যাও তো জলদী করে গিয়ে এগুলো একটা একটা করে চেঞ্জ করে আসো তো।আমি দেখবো তোমাকে কোনটায় মানায়?এতক্ষণ যাবত তো আমার শপিং করলে।তোমার জন্য কিছুই নেও নি।

আমিঃ আরে ভাবী আমার এখন কিছুই লাগবে না। বাসায় তিনটা নতুন ড্রেস আছে।সেগুলো দিয়ে বিয়েতে চলে যাবে।তাছাড়া বিয়ের আগে ভাইয়ু আমাকে কিনে দিবে।আজকে শুধু তোমাদের শপিং করতে এসেছি আমরা। তোমাকে আমায় নিয়ে ভাবতে হবে না। তুমি চলো বিয়ের জুতো চয়েজ করবে।

পুষ্পঃ ভাবীর কথা শুনবে না তো।এগুলো তোমার ভাইয়ু নয় আমি কিনে দিয়েছি।তাই তোমাকে পড়ে দেখতে হবে ঠিক আছে কিনা।

আমিঃ সেকি!!!! তুমি এমনটা করতে গেলে কেন?এই পাগলামির কি দরকার ছিলো?তুমি তো জানো আমার এমনি ড্রেসের প্রতি ইন্টারেস্ট নেই। তুমি এতগুলো কেন কিনতে গেলে?আমি ভেবেছিলাম তোমার জন্য নিচ্ছো।তাই আমিও ভালো মনে তোমাকে চয়েজ করে দিলাম।যদি জানতাম এগুলো আমার জন্য। তাহলে মোটেও এতগুলে ড্রেস চুজ করতাম না।তুমি কাজটা ঠিক করলে না।

পুষ্পঃ হয়েছে আমার আদুরিনি, ননদীনি।এবার জলদী করে এগুলো চেঞ্জিং রুম থেকে এক এক করে পাল্টিয়ে আসো তো।আমি দেখবো তোমাকে কেমন লাগে?জলদী যাও।তুমি এগুলো পড়তে থাকো।আমি ও তোমার ভাইয়া ততক্ষণে জুতা পছন্দ করে ফেলি।তোমার সাথে রনি ভাই থাকবে। ভয় পেয়ো না।

আমিঃ আচ্ছা যাও।আমি একা থাকলে ভালো হবে।কাউকে লাগবে না।

পুষ্পঃ তোমার ভাই যদি জানতে পারে তোমাকে আমি একা ছেড়েছি তাহলে আমাকে ইঁদুর ছেঁচা মারবে।তোমার ভাইয়ের মার খাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই।

আমিঃ মিথ্যে কথা।আমার ভাইয়ু তোমাকে মোটেও মারবে না।কারণ ভাইয়ু তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসে।তোমাকে ছাড়া ভাইয়ু অসম্পূর্ণ।

পুষ্পঃ হয়েছে, হয়েছে। আর ভাইয়ের গুনগান গাইতে হবে না।জলদী করো।রনি ভাইয়া তোমার সাথে আছে।

রনিঃ আপনি চিন্তা করেন না ভাবী।আমি থাকতে বোনের কোন বিপদ হবে না।আর যদি কোন বিপদ হয় তাহলে বুঝবেন আমি সাথে ছিলাম না ।

ভাবী আমাকে ঠেলে ধাক্কায়ে চেঞ্জিং রুমের দিকে পাঠিয়ে দিলো।আমাকে পাহারার জন্য রনি ভাইয়াকে রেখে দিলো।আর ভাইয়ু ও ভাবী জুতা পছন্দ করতে গেলো।

অনেকক্ষণ ধরে পুষ্প খেয়াল করছে তাসিন কি জানি ভাবছে?আর মন খারাপ করে আছে।জিজ্ঞেস করবে কি না তা নিয়ে দোটানায় পরে গেল।তারপর ভাবতে ভাবতে জিজ্ঞেস করেই ফেললো।

পুষ্পঃ কি হয়েছে তোমার? অনেক সময় ধরে দেখছি তোমার মুড অফ।কোন সিরিয়াস সমস্যা হয়েছে কি?শপিংয়ে আসারপর তো ভালোই ছিলে।হঠাৎ কি হলো?আর শরীফ ভাইয়াকে আশেপাশে দেখছি না যে।তোমাদের মধ্যে কি কোন ভেজাল হয়েছে কি?কিছু বলছো না কেন?আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি।

তাসিনঃ ওহ্ তুমি কিছু বলছিলে।(আনমনা ভেঙে)

পুষ্পঃ আল্লাহ এতক্ষণ আমি কার সাথে কথা বললাম তাহলে।কতগুলো কথা জিজ্ঞেস করেছি তোমায়।আর তোমার এখন হুশ এলো।তুমি কি মহাকাশ পাড়ি দিতে গিয়েছিলে।আমার কথা শুনে মনে হলো আকাশ থেকে পরলে।

তাসিনঃ চলো ঐদিকে ঐ দোকানটাই যাই।ঐখানে ভালো ব্রান্ডের জুতা পাওয়া যায়।বিয়ের জুতাগুলোও খুব সুন্দর। তোমার পছন্দ হবে।

পুষ্পঃ হুম চলো।

তাসিনঃ রাইপরী কোথায়?ওকে যে দেখছি না।
(এদিক সেদিক খুঁজে)

পুষ্পঃ তাহা চেঞ্জিং রুমে।আমি অনেকগুলো ড্রেস কিনে দিয়েছি।সেগুলো ফিটিং হয়েছে কি না তা দেখতে পাঠিয়েছি।

তাসিনঃ তুমি ওকে একা কেন পাঠিয়েছো?তুমি জানো না আমি ওকে একা কোথাও ছাড়ি না।এমনি আবার ভেজালের পর ভেজাল বেড়েই চলছে।(ব্যস্ত হয়ে)

পুষ্পঃ তুমি শান্ত হও।তাহার সাথে রনি ভাই আছে।সো,নো টেনশন।রনি ভাই দেখে রাখবে।তুমি এখন ভেতরের দিকে চলো।

রনির কথা শুনে তাসিন চুপ হয়ে গেল।এমনি নতুন ঝামেলা হাজির।তারপর আবার রাইয়ের জন্য এক্সট্রা ভয় কাজ করে।যদি কেউ ওর বোনের কোন ক্ষতি করে বসে।তাহলে ওকে কেউ পুরো প্যারালাইজড করে দিলো। এমনি মনটা আজ কু ডাকছে। নতুন কোন বিপদের ইঙ্গিত সে পাচ্ছে। তাসিনের মনটা আজ বড় আনচান করছে। কে জানে কি হতে চললো?

🌺🌺🌺

রনির একটা কল আসতে রনি চেঞ্জিং রুমের সামনে থেকে সরে গেল।কথা বলতে বলতে অন্য দিকে চলে গেল।পুরোনো এক বন্ধু কল করেছে।তার সাথে কথা বলতে বলতে রাইয়ের কথা পুরো ভুলেই গেলো।আর অন্য দিকে শরীফের লোকেরা চলে এসেছে।তারা পুরো শপিংমল তন্নতন্ন করে রাইকে খুঁজতে লাগলো।

হালকা বেগুনি রঙের একটা গাউন পরে বাইরে বের হলাম।আয়নার সামনে এসে একটা সেম রঙের হেজাব বাঁধতে লাগলাম। জামাটা আমার কাছে কিছুটা চুলকাচ্ছে। অনেকটা সিল্ক জামদানী টাইপের।আমার অনেকটা অস্বস্তি লাগছে। হঠাৎ ভালো করে আয়নার কোণার দিকে চোখ যেতেই আমি আবাক হয়ে গেলাম।

আমিঃ আমার মনে হলো আমি তীব্রকে দেখলাম।ধূর,আমার মাথাটা বোধহয় গেছে। সব জায়গায় তীব্রকে দেখি।এই ছেলেটা কি শেষ পর্যন্ত আমার মাথা খেলো নাকি।জেগে জেগেও ওকে স্বপ্ন দেখি।রাই তোর মাথা সত্যি সত্যি গেছে। নয়তো তুই কল্পনায় ঐ তীব্রকে নিজের সামনে দেখতে পেতি না।তুই নিজের চোখে ভুল দেখছিস।তীব্র কোথা থেকে আসবে?তোর কোথাও ভুল হচ্ছে। (বিরবির করে)

নিজের মনে বিরবির করে কথাগুলো বলে আবারো আয়নার দিকে তাকালাম।এবারো আমি তীব্রকে দেখতে পেলাম।দুই হাত গুঁজে কিছুটা বাঁকা হয়ে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে আছে।আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।গায়ে আকাশি কালার টি-শার্ট, তার ওপরে আবার সেই রঙের শার্ট।শার্টের বোতামগুলো খোলা।এক কানে কালো টপ।কালো প্যান্ট। চুলগুলো এলোমেলো। এ আমি তীব্রর কোন রূপ দেখছি??বোকা ছেলেটা এতো স্টাইলিস কি করে হলো?ওর চোখে তো সেই গোল গো চশমাটাও নেই। আমি ভাবলাম ভুল দেখছি।তাই আমি আয়নাটা ভালো মতো মুছে নিলাম।না, ভুল নেই। পেছনে তাকিয়ে দেখলাম তীব্র সেভাবেই দাঁড়িয়ে আছে। এবার সে গুটি গুটি পায়ে আমার দিকে এগিয়ে এলো।

তীব্রঃ তুমি ভুল দেখছো না।আমি সত্যি এখানে আছি।মনে হচ্ছে আমায় খুব মিস করছিলে।

আমিঃ আপনি এখানে কি করছেন?আর আমি আপনাকে কেন মিস করবো?কে হোন আপনি আমার?(অবাক হয়ে)

তীব্রঃ আচ্ছা আমি তোমার কেউ হই না।কিন্তু তুমি এতো কাঁপছো কেন?তোমার হাত-পা থরথর করে কাঁপছে কেন?তুমি এতো নার্ভাস হচ্ছো কেন?
(কপাল কুঁচকে)

তীব্রর কথায় আমি নিজের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমি তো সত্যিই কাঁপছি। খুব অস্বস্তি লাগছে।এতক্ষণ তো ঠিকই ছিলাম। হঠাৎ কি হলো?তীব্র আরেকটু এগিয়ে আসলো।আমি পেছাতে গিয়ে টের পেলাম দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে।তীব্র ওর ডান হাতটা আমার বাম পাশের কাঁধের দিকের দেয়ালের মধ্যে লাগলো।আমার দিকে ঝুঁকে রয়েছে। তীব্র ও আমার মুখের মাঝখানে কয়েক ইঞ্চির দুরত্ব। তার গরম নিশ্বাস আমার মুখে পরছে।আমি চোখ বন্ধ করে দুই হাতে জামা খামচে ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম।হৃৎপিণ্ডটা সমান তালে ঢিপঢিপ করছে। আশেপাশে কোন মানুষ নেই। তাতে ভয়টা আরো জড়ালো হলো।

তীব্রঃ কি মিস?এতো ভয় পাচ্ছেন কেন?আমি কি বাঘ নাকি ভাল্লুক? আপনাকে কি খেয়ে ফেলবো নাকি।

কথাটা বলে হুট করে আমাকে টেনে নিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।চোখ বন্ধ থাকায় বিষয়টা বুঝতে কিছু সময় লাগলো।
আমি পুরো বরফ হয়ে গেছি।হৃৎপিণ্ডটা মনে হয় বাস্ট হয়ে যাবে।কারণ আগের থেকে দ্বিগুণ হারে উঠানামা করছে।মনে হচ্ছে শরীরের সব শক্তি কেউ শুষে নিয়েছে।নিজেকে শক্তিহীন মনে হচ্ছে। আমি যে তীব্রকে ধাক্কা দিবো। সেই শক্তিটুকুও পাচ্ছি না।

তীব্রঃ তোমাকে আমি এত দিন ঠিক কতটা মিস করেছি তা বলতে পারবো না। আমার দিনগুলো কাটতেই চাইনি।

হঠাৎ আমাকে ছেড়ে দিয়ে চুটকি বাজালো।তার চুটকির আওয়াজে পুরো রুমের আলো নিভে গেল।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম।ছেলেটাক কি আমাকে মেরে ফলার ধান্দা করছে নাকি।আমি দরদর করে ঘামতে লাগলাম ভয়ে।আবার একটা চুটকির শব্দে আলো জ্বলে উঠলো। আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে তীব্র। হাতে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা ফুল।আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

তীব্রঃ তোমাকে আমি ভালো করে দেখেছিলাম সেদিন কলেজে।যদিন তুমি সবার সামনে ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলে। সোহানকে তখন জ্যন্ত পুঁতে ফেলতে ইচ্ছে হয়েছিলো।কিন্তু কোন সিনক্রিয়েট করিনি।যদি তোমার কোন ক্ষতি হয়।তার পরেরদিন অনেক খুঁজেও ওকে পাইনি।তারপর তো খবর পেলাম ওর মৃত্যু হয়ে গেছে। আমি সেদিন খুব খুশি ছিলাম।নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছো, আমি তোমাকে তুমি করে কেন বলছি?আমি তোমাকে এখন থেকে তুমি করেই বলবো।আমি পারবো না আর আপনি বলতে।আপনি বলতে অনেক কষ্ট হয়।পর পর মনে হয় তোমাকে।তোমার সাথে বৃষ্টির দিনে চা খাওয়ার স্মৃতিটা আজও ভুলতে পারি না।মনে পরলেও ভালো লাগা কাজ করে।আমি এতো পেঁচাতে পারি না।তাই সরাসরি বলে দিচ্ছি। আই লাভ ইউ।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।কতটুকু ভালোবাসি তা জানি না। তবে জানি তোমাকে ছাড়া আমি নিঃস্ব। এই কয়েক দিনে তুমি আমার মনের অনেকটা অংশ নয় পুরোটা জুড়ে রয়েছো।আমি চাইছি নিজেকে তোর_রঙে_রাঙাবো।কারণ তোমাকে ছাড়া আমার সবকিছু অচল।তুমি কি আমার হবে?আমার মিসেস ইমতিয়াজ আহমাদ হবে?সত্যি বলছি আমার সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে আগলে রাখবো।কোন কষ্ট দিবো না তোমার প্রিয় ফুল রজনীগন্ধা দিয়ে প্রপোজ করছি।প্লিজ ফিরিয়ে দিও না আমায়।।তোর_রঙে_রাঙাবো নিজেকে।তুই কি দিবি তা হতে?আমার বাকি জীবনটাকে আমি তোর_রঙে_রাঙাবো।প্লিজ মানা করিস না।

তীব্রর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।বলে কি ছেলেটা?ওর কি মরার ভয় নেই নাকি?আমার ভাইয়ু জানতে পারলে এখুনি ওকে মেরে ফেলবে।একবার একটা ছেলে আমাকে ফুল দিয়ে প্রপোজ করেছিলো বলে ছেলেটাকে ইচ্ছে মতো ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হসপিটালে ভর্তি করে রেখেছিলো।অবশ্য ছেলেটা ভালো ছিলো না। আমি কোন কথা না বলে দৌড়ে বাইরে চলে এলাম।একবারের জন্যও পেছন ঘুরে তাকালাম না।তাকালে হয়তো ওর অসহায় মুখটা দেখতে পারতাম।যা আমি সহ্য করতে পারতাম না।বের হতেই একটা ছেলের সাথে ধাক্কা খেলাম।ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বললো।

—- ঐ তোরা কে কোথায় আছিস রে?আমি সেই মেয়েটাকে পেয়ে গেছি।এই যে তাসিনের বোন।

ছেলেটার কথা শুনে আশেপাশে থেকে ১০/১২ জন ছেলে দৌড়ে সেখানে চলে এলো।আমি অবাক চোখে তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। ওরা আমাকে ঘেরা দিয়ে ফেললো।একজন এসে আমার হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো।আমি হাত ছুটানোর জন্য মোচড়াতে লাগলাম।কিন্তু কাজ হলো না। তাই ছেলেটার হাতে জোরে একটা কামড় বসিয়ে দিলাম।কামড়ে তার হাতের বাঁধন আলগা হতেই আমি দৌড় দিলাম।ছেলেগুলোও আমার পেছন দৌড়াতে লাগলো।হঠাৎ সামনে একজনকে দেখতে পেলাম।তার সাথে ধাক্কা খেতেই আমি তাকে জড়িয়ে ধরে সাহায্য চইলাম।সে আমাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলো। আমি তাকিয়ে দেখলাম সেটা তীব্র। তারপর আবার ভয়ে ভয়ে পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ছেলেগুলো আমাদের সামনে এসে পড়েছে। তীব্রও আমার সাথে ঐ ছেলেদের দিকে তাকিয়ে রইলো।

#চলবে