দুই দুয়ারী পর্ব-০৩

0
136

দুই দুয়ারী

পর্ব ৩

হাতের ভাত মুখের কাছে নিয়ে ভিতরে ঢুকাতে পারলাম না, মেয়েটার মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। এবার আর স্মৃতি আমাকে প্রতারণা করতে পারেনি , অনেকটা এইরকম একটা খাবার আমি গতকাল খেয়েছি জালাল মিয়ার ভাতের হোটেলে, এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

মেয়েটি আমার প্রতিক্রিয়া খেয়াল করেনি, কিছুটা অন্যমনস্ক সে এখন, ” জানেন, এই মাছ আমাদের পুকুরের। পুকুরে কিছু মাছ আব্বা চাষ করে আর আমি আর আম্মা কিছু গাছ লাগাইসি। আব্বার খুব পছন্দ এই রান্নাটা। আর দেখেন আজকে উনারে কত কষ্ট দিলাম।”

আমি হেসে বললাম, ” ভালো করেছেন পালিয়ে গেছেন, এটা কি বিয়ে করার বয়স? জানেন আঠারো বছরের আগে বিয়ে দিলে আপনার আব্বাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে?”

সে অবাক হয়ে তাকালো। বলতে নেই, তার অবাক চোখগুলি অনেকটা সমুদ্রের মত মনে হল আমার কাছে। জানিনা চোখ কিকরে সমুদ্রের মত হয়, কিন্তু হঠাৎ এই উদাহরণ টাই মাথায় এল যে! হয়তো সমুদ্র অনেক গভীর তাই, কিংবা সমুদ্রে অনেক ঢেউ, তাই।

” আপনি কিছুই জানেন না। আমাদের এখানে পনের বছরেও কত বিয়ে হয়! আমারো হয়ে যেত, যুদ্ধের জন্য হয়নাই। তাইতো ম্যাট্রিক পাস করতে পারলাম। জানেন ইমাম সাহেব কি বলে? গতবছর গাধা গরুতে পরীক্ষা দিলেও পাস করত। হিহিহি ”

” কিসের যুদ্ধ? ”

” আপনি কোন দুনিয়ায় আসেন? নেশা করসেন নাকি? শুনছি আমি, ঢাকায় মানুষ নেশা করে।”

আহারে। এই অসহায় ভালো মানুষগুলিকে কে ঢাকা সম্পর্কে সব মিথ্যে গল্প শুনিয়েছে, কে জানে। আর কিসের যুদ্ধ? রাশিয়া ইউক্রেইন? সেতো কিছুদিন আগের কথা? কোন যুদ্ধের কারণে বিয়ে হয়নি ওর?

” আচ্ছা ঢাকায় সব খারাপ বুঝলাম, এই ঈদের দিনটা? এত নীরব কেন আপনাদের এখানে?”

” ঈদ ” আকাশ থেকে পরলো যেন সে, ” কিসের ঈদ? ঈদ তো দেরি আসে!”

আমি অবাক হবার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছি তখন। আর তাছাড়া অবাক হবার অবস্থাও ছিলোনা আমার, মেয়েটির বিস্মিত চেহারা দেখে বোকার মত তাকিয়ে আছি শুধু।

আমার সবচেয়ে ফাজিল বন্ধু বিপু, সে বলে, যখন বুঝবি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছেনা, মনে মনে শাহীন ম্যামকে ভাববি, দেখবি সব ঠিক। শাহীন ম্যাম আমাদের সবচেয়ে অপ্রিয়, সবচেয়ে বিরক্তি উদ্রেক করা শিক্ষিকা, তার কথা ভাবলে শরীরের “প্রেম” পালিয়ে যাবে নিশ্চিত, এটা তার যুক্তি। আমি মনে মনে কয়েকবার বললাম, শাহীন ম্যাম.. শাহীন ম্যাম….

কিন্তু ঠাট্টার সময় এটা নয়, আমি হুট্ করে আপনি থেকে তুমিতে নেমে বললাম, ” তুমিই কিছু জানোনা। তোমার বাবা বলছিলো তুমি পড়াশোনা করতে চাও? আমার সাথে ঢাকায় চলো, কেউ সেখানে তোমাকে বিয়ের কথা বলবেনা “।

সে একটুখানি হিহি করে হেসে গম্ভীর হয়ে গেল, ” মজা করেন আমার সাথে? আমি কিন্তু ম্যাট্রিক পাস করসি। ইমাম সাহেব কষ্ট করে খবরের কাগজ জোগাড় করে দেন, রোজ পড়ি। বোকা ভাবতেসেন নাকি? ঈদের কথা কি বললেন আবার বলেন? ”

” ও আচ্ছা। আজ ঈদ। তুমি জানোনা? ”

” আজকে ঈদ ” এবারে সে হাসি থামাতেই পারছেনা, ” জ্বালাইল্যায় ঠিক বলসে। আপনি পাগল ”

আমার জানা ছিলোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে ঈদ হতে পারে, হলেও বড়জোড় এক দুই দিনের পার্থক্য হয়, আমি মরিয়া হয়ে বললাম, ” তুমি কি জানো আজকে কত তারিখ? ”

” কার্তিকের বারো”

” উফ। কার্তিক অগ্রাহায়ন বুঝিনা আমি। ইংরেজি তারিখ জানো? ”

” ভুইলে গেছি। পত্রিকা দেখে বলতে পারবো। কেন বলেন তো? ”

খাবার নামিয়ে রেখে হাত ধুয়ে ফেললাম। একটা উদ্ভট, অদ্ভুত জায়গায় তারচেয়ে বেশি অদ্ভুত এক মেয়ের সাথে রাতের অন্ধকারে বসে আলাপ করছি। আমার মাথা হয় খারাপ হয়ে গেছে, অথবা আমি স্বপ্ন দেখছি। বড় একটা স্বপ্ন, ভাঙছেই না।

” তুমি যাও এখন। আমি একটু ঘুমাবো ” বললাম।

ভেবেছিলাম ঘুম আসবেনা, কিন্তু বিছানায় কিছুক্ষন একাত ওকাত করে ঠিকই ঘুমিয়ে পরলাম।

***

“ছোটভাইয়ের মনে হয় নামাজ কালামে মন নাই ” ইমাম সাহেব হাসিমুখে বললেন, ” ভোরে এত ডাকলাম, উঠলানা ”

একটু পরে উনি আমাকে চায়ের দোকানে নিয়ে গেলেন। ওনার ঘরে সকালের নাস্তার ব্যবস্থা নেই, জালাল মিলিদের বাড়িতে খেয়ে স্কুলে গেছে। চায়ের দোকানে বিস্কিট আর চায়ের কথা বলে আমরা বসলাম। রেডিওতে পুরোনো দিনের একটা বাংলা গান বাজছে, আঃ! কতদিন পরে এরকম রেডিও শুনলাম।

” রংবাজ ছবির গান” দোকানি পান খাওয়া লাল দাঁত বের করে বললো, ” রাজ্জাক মিয়া নাকি ফাটায় দিসে একদম ”

আবার রংবাজ! কি এমন বিখ্যাত সিনেমা যার এখনো নাম শুনিনি আমি? রাজ্জাক মিয়াটাই বা কে? নায়ক রাজ রাজ্জাক বলে একজনের নাম আমি জানি, উনি সম্প্রতি পরলোক গমন করেছেন।

আমার কাছে আর জামা কাপড় নেই, গতকালের বাসি কাপড়ে খুব অসস্তি হচ্ছে, বললাম, ” ইমাম সাহেব, নজরুল সাহেবের বাসাটা?..

” আমাদের চেয়ারম্যানের ছেলের কথা বলেন? দোকানি হুট্ করে বলে উঠল।

” চেয়ারম্যানের ছেলে….. ” বলতে বলতে দোকানের বেড়ার দেয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ পড়তেই থমকে গেলাম। ১০ নভেম্বর ১৯৭৩।

” এতো পুরোনো দিনের ক্যালেন্ডার কোথায় পেলেন? ” অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম।

দোকানি আমার দিকে না তাকিয়ে ইমাম সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললো, ” ভাই কি বলে?”

” ঢাকার মানুষ তো ” ইমাম সাহেব হাসছেন, ” আমাদের কিছুই তার ভালো লাগেনা ”

ঠিক তখন আমার মনে অসম্ভব একটা সম্ভাবনা উঁকি দিয়ে গেলো। আমি সায়েন্স ফিকশনের গল্প বই আর সিনেমা ভেজে খাওয়া মানুষ, তবু সম্ভাবনাটা আমাকে ভেতর থেকে, পা থেকে মাথা পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিল। আমি কি কোনোভাবে, প্রকৃতির সব নিয়মের বাইরে, পঞ্চাশ বছর আগে পৌঁছে গিয়েছি?

এরকম উদ্ভট সম্ভাবনা মাথায় আসতেও যথেষ্ট উর্বর মস্তিস্ক থাকতে হয়, আমার নিজেকেই নিজের মানসিক ভরসাম্যহীন বলে ভ্রম হতে লাগলো। সত্যি? আমি কি পাগল? জীবন কি একটা রহস্য কাহিনী? কিন্তু কালকে থেকে যা ঘটছে, তার ব্যাখ্যাই বা দেই কিভাবে?

আমি মিনমিন করে বললাম, ” চেয়ারম্যান… এই অঞ্চলের চেয়ারম্যান… ” আবার মনে মনে ভাবছি, নাকি জমিদার বলবো? পঞ্চাশ বছর আগে কি জমিদার ছিল? ভেবে আবার হাসি পাচ্ছে, আমি কি সত্যি ধরে নিচ্ছি আমি পঞ্চাশ বছর আগের চিত্রাপুরে হাজির হয়েছি? ” তার কাছে নিয়ে যেতে পারেন আমাকে? ”

একটা গরুর গাড়ির ব্যবস্থা করা হলো। মেঠো পথে গাড়ির দুলুনিতে আমার ঘুম পেয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু আমি চোখ খোলা রাখলাম। আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কয়েকবার নিজেকেই বললাম সেটা। আমি এখুনি বাড়ি পৌঁছে যাবো, দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরবো, আর ঢাকায় না পৌঁছানো পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হবোনা। কক্ষনো না।

***

বাড়িটা আর দোতলা নেই। হ্যাঁ, সত্যিই। মফস্বলে বিশাল দোতলা বাড়ি নিয়ে আমার বেশ গর্ব ছিল, আমার এবং আমার দুই চাচাতো ভাইয়ের। এখন যে বাড়িটা দেখতে পাচ্ছি, সেও সাধারণ গ্রামের বাড়ির চেয়ে বেশ বড় হবে বলেই আমার বিশ্বাস, কিন্তু এটা কিছুতেই আমার পরিচিত সেই বাড়ি নয়।

বাড়ির বাইরে অনেক লোকের ভিড়, মাটির উপর সারি বেঁধে তারা বসেছে। পাশেই বড় পাতিলে কিছু একটা রান্না হয়েছে, দুজন লোক সেই খাবার বসে থাকা লোকদের পাতে তুলে দিচ্ছে।

” চেয়ারম্যান সাহেব খুব ভালো লোক, এই কয়েকদিন আগে ভোটে জিতে চেয়ারম্যান হলেন। ভোটের আগে বলছিলেন, যার ঘরে খাবার নাই, সকালে উঠে চলে আসবা।” ইমাম সাহেব বললেন আমাকে, ” দেখো ভাই, কেমন কথা রাখসেন ”

” কিন্তু ছেলেটা অন্যরকম ভাইজান ” আমাদের গাড়িওয়ালা বেজার মুখে বলল, ” বাপের নাম ভাইঙ্গা যা খুশি করতেসে ”

আমার এতদিকে মন নেই, নিজের মনেই বিড়বিড় করছি শুধু, যা ভাবছি তা যেন কল্পনাই হয়, আমি পাগল হয়ে পাবনায় যেতে রাজি আছি, সময় পরিভ্রমণ করে পঞ্চাশ বছর আগে যেতে রাজি নই একদম ।

ইমাম সাহেবকে দেখে পাঞ্জাবির উপর মাফলার পরা এক মধ্যবয়স্ক লোক এগিয়ে এলেন, উনাকে বুকে জড়িয়ে বললেন, ” কি সৌভাগ্য বলেন তো। আজকে ইমাম সাহেব আসছেন আমার ঘরে। এতবার বলি ছেলেটারে নিয়ে আসেন খেয়ে যান, আসেন না ”

লোকটা ভীষণ লম্বা, চেহারায় এক ধরণের ভালো মানুষি দ্যুতি ছড়ানো। দুর থেকেও আমি পানের গন্ধ পেলাম, একটা মন কেমন করা গন্ধ। হঠাৎ আমার তাকে খুব আপন মনে হলো।

ইমাম সাহেব লজ্জিত হয়ে বললেন, ” আসব। আজকে আপনার কাছে আসছি এই ছোট ভাইরে নিয়া। ঢাকা থেকে আসছে কিন্তু পথ হারায় ফেলছে…

ভদ্রলোক স্নেহাদ্র দৃষ্টিতে দেখলেন আমাকে, ” ভালোই তো হইছে, দুইদিন বেড়ায় যাও এইখানে। ভালো জায়গা”

” না না, ঢাকায় যাওয়ার জন্য আসিনি । ঢাকায় তো যাবোই, আগে আমার বাড়িটা খুঁজতে হবে তো, আম্মা আব্বা আছে, সবাই আছে…

উনি চোখ ছোট করে তাকালেন, ” আসলেই পথ হারাইছে তাইলে। চিন্তার কি? ছোট জায়গা। আমি লোক দিয়ে দেই সাথে, খুঁইজা পাওয়া অসুবিধা হবেনা ”

লোকটা যেহেতু প্রভাবশীল, আমি ভাবলাম তিনি হয়তো আমার দাদার নাম শুনে থাকবেন। তাই বললাম, ” আপনি নজরুল সাহেবের নাম শুনেছেন? উনি আমার….

কথা শেষ করার আগেই ঠা ঠা শব্দে হাসতে লাগলেন উনি, ” নজরুলের কাছে আসছো?আমার ছেলেই তো! ঢাকার বন্ধু? আগে বলবানা? ডাকতেসি দাঁড়াও। ”

আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই কেউ একজন ভিতরে গিয়ে উনার ছেলেকে ডেকে এনেছেন।

বয়স কত হবে তার? চব্বিশ খুব বেশি হলে পচিশ? অথচ কি স্পষ্টভাবেই না আমি তাকে চিনতে পারলাম! আমার মাথা ঘুরে উঠল, আমি মাটিতে বসে পড়লাম।

” আমার কাছে আসছেন?” সে বলল, মাটিতে বসা আমার দিকে ঝুঁকে পড়ে তাকাচ্ছে তারপর, ” কি ব্যাপারে বলেন তো? ”

আমার উত্তর দেবার অবস্থা নেই, আমার পচাত্তর বয়স্ক দাদা আমার সামনে দিব্বি পচিশ বছরের জোয়ান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এটা মেনে নেবার মত মানসিকতা আমার হচ্ছেনা। আমি চোখ মুখ উল্টে বমি করতে শুরু করলাম।

নজরুল নামের লোকটি তড়াক করে পিছিয়ে গেলেও তার বাবা এগিয়ে এসে প্রায় বসে পরলেন আমার পাশে, ” কি হইসে তোমার? এই কেউ পানি আনো…

বাকিটা আমি শুনলাম না। উঠে দাঁড়িয়েছি এখন। যেভাবে হোক আমাকে এখন সেই অচিন বৃক্ষের কাছে পৌছতে হবে। ওই গাছের ভেতর হয়তো কোন অদৃশ্য দরজা আছে, যা গতকাল সকালে কোন এক অজানা কারণে খুলে গিয়ে আমাকে এখানে এনে ফেলেছে, আমি এখানকার কেউ না। ফিরতে হবে। আমাকে ফিরতে হবে।

দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলিকে অবাক করে দিয়ে আমি ছুটতে শুরু করলাম। কোথায় সেই হতচ্ছাড়া গাছ? এতকিছুর মধ্যেও একবার মিলির কথাও ভাবলাম। সত্যি ওকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলে খারাপ হতোনা। ভাবতে ভাবতেও আমি ছুটছি, দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটছি।

কতখন দৌড়েছি জানিনা, স্কুল ঘরটার সামনে এসে থামলাম। মাঠে খেলতে থাকা দুই একটা ছেলে ঘুরে ঘুরে দেখছে আমাকে, আমি ওদের উপেক্ষা করে গাছটার নিচে, খুঁজে খুঁজে গতকালের জায়গাটা বের করে সেখানে দাঁড়ালাম। বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করলাম তারপর। উফ। স্বপ্ন হোক সত্যি হোক, এর থেকে মুক্তি চাই আমি।

***

অনেকখন অপেক্ষা করে আমি চোখ খুললাম। কিছুই পরিবর্তন হয়নি। স্কুলের হাফ প্যান্ট পরা দুটি ছেলে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। নিজের অজান্তেই আমার মুখ দিয়ে চিৎকার বের হলো.. না। না।

ওরা ভয় পেয়ে দূরে সরে গেল, কিন্তু চলে গেলোনা। এই বয়সটা বড় নিষ্ঠুর, হয়তো আমিও এমনি ছিলাম, কারণে অকারণে মানুষের অপারগতায় হাসতাম। ছেলেগুলি হাসছে, গাছের উপর হাত রেখে আমার এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অথবা আনমনে চিৎকার করে ওঠাটা ওদের হাসির উদ্রেক করেছে।

হাসির দৃশ্য দেখে আমার কান্না পেয়ে গেল। আমারো তোমাদের মত ঘর আছে, বাবা মা বন্ধুরা আছে, শুধু এখানে নেই। আমি ফেরত যেতে চাই। অথবা স্বপ্ন হলে স্বপ্নটা ভাঙতে চাই। আমি গাছটার উপর থেকে হাত সরাইনি, ফিসফিস করে বললাম, প্লিজ। দয়া করো আমাকে। প্লিজ।

চলবে