দুই_পৃথিবী পর্ব-০৩

0
1106

#দুই_পৃথিবী
#লেখিকা-রিতু

#পর্ব-৩
এক ঘন্টার উপরে হলো একটা রেস্টুরেন্ট এ বসে অপেক্ষা করছে আফসান স্নেহার জন্য।অবশেষে এক ঘন্টা পঁচিশ মিনিট অপেক্ষার পর আফসান দেখা পেল এক নীল পরীর।নীল শাড়িতে সে হেটে হেটে আফসান এর দিকেই এগিয়ে আসছে।হ্যা,এটাই স্নেহা।নীল শাড়িতে ঠিক তাকে স্বর্গের অপসরীদের মতো লাগছে।পিঠময় তার চুল ছড়ানো,তাদের মাঝখানে গোল একটা মুখ।সেই মুখ এতই সুন্দর যে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা সম্ভব নাহ।অসম্ভব সুন্দর সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের খুব একটা নেই।কোন সুন্দর জিনিশের দিকে মানুষ বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারেন না।যেহেতু আফসান ও রক্তে মাংসে গরা একজন মানুষ তাই তার ও এই কঠিন সত্য ভাঙানোর ক্ষমতা নেই।স্নেহার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে আফসান হালকা হেসে বললো
-হাই প্রিটি লেডি
স্নেহা চুল গুলো সামনে নিয়ে চেয়ারে বসতে বসতে বললো
-হায়।
-তো ভাল আছেন?
মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে স্নেহা বললো
-জ্বি।আপনি?
আফসান তার হাত টা বুকের বাম পাশে নিয়ে দুষ্ট একটা হাসি দিয়ে বললো
-আয়ে হায়!!মারডালা।
স্নেহা ভ্রু কিছুটা কুঁচকিয়ে বললো
-মানে?
-আপনার হাসি।
-তোহ?
-আপনার মতো এমন একজন সুন্দরি আমার সামনে বসে হাসছেন।এতে আমার দিলে চোট লাগাটা কি বেমানান?
-পটাতে চাচ্ছেন?
-যদি বলি হ্যা!
-তাহলে বলবো এটা বেমানান।
আফসান চেয়ার টা সামনের দিকে টেনে এগিয়ে এনে বসলো।তারপর মেনুকার্ড হাতে নিয়ে বললো
-কি অর্ডার করবো?
-আপনার ইচ্ছে।
আফসান ওয়েটার কে ডেকে অর্ডার করলো।এরপর হালকা কেশে স্নেহার দিকে ঝুকে এসে বললো
-প্রথম দেখায় ভালো লাগা।তারপর কিছুদিন আরাল থেকে তাকে দেখা,তারপর বাসায় সামনাসামনি বসে কথা বলা এবং তারপর রেস্টুরেন্ট এ সেই মেয়ে টাকে প্রেম নিবেদন করা।।ব্যাপারটার মাঝে বেমানান দিক কোনটা?
স্নেহা প্রসঙ্গ পালটানোর জন্য বললো
-দেখা করতে বলার কারণ টা কি জানতে পারি?
-অবশ্যয়।এই যে মাত্র বললাম প্রেম নিবেদন করার জন্য ডেকেছি..
বলতে বলতেই ওয়েটার এসে খাবার দিয়ে গেল।ওয়েটার যাবার পর আফসান বললো
-আমি যদি ভুল না করি আপনি এখন আমাকে একটা স্যাচরা ছেলে ভাবছেন।অ্যাম আই রাইট?
স্নেহা সহজ গলায় বললো
-ভাবার কি অসংখ্য কারণ নেই?
-হাহা।বলেছিলাম না।btw আমি আপনাকে আজ ডেকেছি একটা জিনিশ দেবার জন্য।প্রেম নিবেদন এর জন্য নয়।
আফিসান পাশ থেকেই একটা কাগজ বের করে স্নেহার সামনে রেখে বললো
-খুলুন।
স্নেহা কাগজ টা হাতে নিল।গোল করে মোড়ানো একটি কাগজ।কাগজ টা খুলতেই স্নেহার মুখ আনন্দে ঝিলিক দিয়ে উঠলো,তার সাথে একটি ধ্বনি বের হয়ে এল।
-ওয়াও।
কাল যখন রোদে রোদে ঘুরে ফিরে স্নেহা দুপুরের দিকে উপস্থিত হয়েছিল আফসান এর বাসায়।তখন স্নেহা ছিল খুব ক্লান্ত।তার চেহারায় ও ফুটে ওঠেছিল এই ভাবটা।আর আজ সেই ক্লান্ত চেহারার স্নেহাকে ফুটিয়ে তুলেছে আফসান তার কাগজে।অফহোয়াট রঙের কামিজ পড়া একটি মেয়ে বসে আছে বনের মাঝে।থিম টা দেখে খানিক টা মনে হচ্ছে সেই মেয়েটি পথ ভূলে বনের মাঝে ঢুকে পড়েছে।আর সঠিক পথ খুঁজতে খুঁজতে সে ক্লান্ত।একটি গাছের ছায়ায় বসে সে স্বস্তির কিছু নিশ্বাস ফেলছে।
-রাতে যখন আপনি জানতে চাইলেন কি আঁকছি,তখন এটা নিয়েই বসে ছিলাম।বসে বসে আপনার ক্লান্ত চেহারা টা মনে করার চেষ্টা করছিলাম।ঠিক তখনই এল আপনার ম্যসেজ।যেটাকে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি বলে।
বলেই প্রাণ খুলে হাসতে লাগলো আফসান।স্নেহা আফসান এর হাসির শব্দ শুনে ছবি টি থেকে দৃষ্টি ফেরালো আফসান এর দিকে।তারপর হালকা হেসে মিষ্টি গলায় বললো
-একেবারেই আমাকে দিয়ে দিচ্ছেন?
-কেন সন্দেহ আছে নাকি?
-উহু।কিন্তু একটা জিনিশ হয়ত আপনি ভূলে গিয়েছিলেন।
আফসান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো
-কোন টা?
-চুল।কাল যখন আপনার বাসায় ছিলাম তখন চুলটা বাধা ছিল।সব চুল একসাথে করে পাফ করে রেখেছিলাম।কিন্তু আপনার আঁকান ছবিটায় কিন্তু চুল টা খোলা।
-ইচ্ছে করেই দিয়েছি।আপনাকে খোলা চুলেই মানায়।আপনার ঠোঁটের নিচের তিল টা তো আপনার চুল এর ছোঁয়া চায়।আর বেধে রাখলে তিল টা আপনার চুলের ছোঁয়া টা কে মিস করে।
-অদ্ভুত কথা বলতে কি খুব ভালো লাগে!
এর মাঝেই একটা মেয়ে এসে সালাম দিল আফসান কে।
-ওয়ালাইকুম সালাম।
-স্যার,আপনি এখানে?
-কেন!এখানে আশা নিষেধ নাকি আমার?
মেয়েটা থতমত খেয়ে বললো
-না সেটা না।
মেয়েটার কথা শুনে বোঝা গেল সে আফসানের ছাত্রি।মেয়েটা দেখতে সুন্দর।উচা লম্বা হালকা পাতলা গড়নের এক মেয়ে।মেয়ে টি এবার স্নেহার দিকে তাকিয়ে বললো
-স্যার এটা কে?
-সেটা দিয়ে তুমি কি করবা!যাও এখন।
মেয়েটা এমন একটা লুক দিয়ে বের হয়ে গেল যেন সে এখনি স্নেহাকে খেয়ে ফেলবে।হাড্ডি গুড্ডি সহ।কোন রকমের ছাড় দেবে না।আচ্ছা মেয়েটা বসে বসে হাড্ডি খাচ্ছে ভাবতে কেমন লাগবে!ভেবে দেখা যাক।চোখ বন্ধ করে স্নেহা ভাবতে শুরু করতেই সে খিলখিল করে হেসে উঠলো।মনে মনে বলতে লাগলো ‘হায় হায় কি বিশ্রি অবস্থা’!
আফসান আর স্নেহা রেস্টুরেন্ট থেকে বের হলো রাত ৮ টার দিক।তারা পাশাপাশি হাটতে লাগলো রাস্তার ফুটফাত ধরে।শহর টা একদম নির্জন না।কিন্তু আজ কেন যেন স্নেহার মনে হচ্ছে ঢাকার চেয়ে ও নির্জন শহর আর একটি ও নেই।কেন লাগছে এমন?আফসান সাথে আছে বলে?খুব ইচ্ছে করছে আফসান এর হাতের আঙুল গুলোর মাঝে নিজের আঙুল গুলো গুজতে।মনে হচ্ছে আফসান এর আঙুল গুলো এক অজানা আকর্ষণে তার আঙুল কে টানছে।সে কি বলবে আফসান কে ‘তোমার হাত ধরতে পারি?’ নাকি কিছু না বলেই ধরবে!ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ আফসান এর হাত এসে লাগলো স্নেহার হাতের সাথে।১ সেকেন্ড এর জন্য!!হ্যা পাশাপাশি হাটতে হাটতে হঠাৎ ছোঁয়া লাগা যাকে বলে।কিন্তু অই ১ সেকেন্ড এই স্নেহার দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল।মনে হচ্ছিল হার্টবিট মিস করে ফেলছিল স্নেহা।

রাতে বাবার সাথে আর খেতে হলো না স্নেহার।বাবা ডাকতে এলে সে বললো ‘খাব না।ক্ষুধা নেই একদম।বাবা তুমি খেয়ে নাও’।আনিস সাহেব ও আর জোড় করলো নাহ।মেয়ের যে জোড়াজুড়ি পছন্দ নয় এটা ভালোভাবেই জানে সে।সে একা একা খেয়েই ঘুমাতে গেল।ইদানীং ঘুমে সমস্যা হচ্ছে তার।কবে কি হবে আল্লাহ তায়ালা জানেন!তবে তার মনে হচ্ছে সে আর বেশি দিন এই দুনিয়াতে থাকতে পারবে নাহ।সব মানুষ নাকি মারা যাবার আগেই বুঝতে পারে।সে ও কি সেটাই পাচ্ছে!কিন্তু এখন সে যদি মারা যায় তার মেয়েটাকে দেখবে কে!একা হয়ে যাবে মেয়েটা।আবার একাও বলা চলে না।ওর বড় খালা মিতুনুর রহমান ওকে অনেক স্নেহ করে।এইতো সেদিনই বলল
-আনিস,কিছু ভাবছো মেয়েকে নিয়ে?
-কিসের কথা বলছেন আপা?
-মেয়ে বড় হচ্ছে।বিয়ে শাদি দিবে না!নাকি সারাজীবন আইবুড়ো করেই রাখবে!
-সেটা কেন রাখবো!ভাল ছেলে..
তাকে থামিয়ে মিতানুর বললো
-মা ছাড়া মেয়ে।মায়ের আদর কখনো পায় নি।আমি চাচ্ছি ওকে মায়ের আদর ঠিকঠাক ভাবে দিতে।
-সেটা তো আপনি দেনই।আপনি না থাকলে যে কি হতো!
-আরে গাধা!তোমার মেয়েকে আমি মুহিবের বউ করে একেবারে আমার ঘরে আনতে চাই।তারপর দেখাব মায়ের আদর কি জিনিশ!দূরে থাকি,কাছে কাছে থাকতে তো পারি না।
বলেই চোখ মুছলো মিতানুর।
-অহ হ্যা তাই তো।আচ্ছা আমি স্নেহার সাথে কথা বলবো।
আনিস মিতানুর রহমান এর ছোট বোনের জামাই হলেও সে সবসময় তাকে নিজের ভাই য়ের চোখেই দেখেছে।বোন যখন আনিস কে রেখে চলে গিয়েছিল তখন তাকানো যেত না আনিসের দিকে।তখনই মিতানুর ঠিক করে সারাজীবন ছোট ভাইয়ের মতোই আনিসকে দেখবে সে।অপরদিকে আনিস ও মিতানুর কে বড় বোনের চোখের দেখে।তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে সে।তাই তো তার মেয়ে স্নেহা কে মুহিবের হাতে তুলে দিতে তার সামান্য তম কষ্ট ও হবে নাহ।আর মুহিব ও খুব ভাল ছেলে।বাড়িতে এলেই ফুপাজি ফুপাজি করে ডেকে তাকে মাথায় তোলে।আনিস বার বার মুহিব কে বলেছে
-আরে ব্যাটা।আমি তোমার ফুপাজি নাহ।
-না হলে নাই।কিন্তু আমি আপনাকে ফুপাজি বলেই ডাকবো।ফুপাজি,স্নেহা কি বাড়িতে আছে!!
আনিস সাহেব এগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লো।তার ঘুম ভাঙল মাঝরাতে।ঘুম ভেঙেই প্রথমে তার মনে হলো ‘আচ্ছা স্নেহা মুহিব কে পছন্দ করে তোহ!’

রাত ৩ টা।মুহিব এখনো পড়ছে।হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠলো।মুহিব বিরক্ত চোখে ফোন এর দিকে তাকিয়ে বললো ‘সাধেই কি ফোন কিনতে চাইছিলাম নাহ!!রাত বিরতে পড়ার সময় যন্ত্রনা।স্নেহার জন্যই ফোন টা কেনা।না হইলে এই হালারে পকেটে নিয়ে ঘুরবে কেডা!’
টেবিল থেকে উঠে বিছানায় বসে ফোন টা রিসিভ করলো মুহিব।
-কি রে মাম্মা?
-কিসের জন্য ফোন দিছস বল?
-পড়ার সময় নষ্ট করা জন্য।
বলেই গাধার মতো হা হা করে হাসতে শুরু করলো রাকিন।রাকিন মুহবের জিগরি দোস্ত।আত্মার আত্মা যাকে বলে।কিন্তু মাঝে মাঝে মাঝরাতের দিকে ফোন দিয়ে বরই যন্ত্রণা করে সে মুহিব কে।
মুহিব রাকিনের হাসি শুনে কঠিন স্বরে বললো
-শালা মানুষ হইলি নাহ।আর যদি রাতে ফোন দেস তোর বাপের নাম ভুলাই দিব।
-মাম্মা এত রাগ কেন!তোমার দরকারেই ফোন দিছিলাম।
মুহিব ভ্রু কুঁচকে বললো
-কি?
-তোমার খাঁচার পাখি তো এখন অন্য এক খাঁচায়।তোর খাঁচার দরজা খুললো কেমনে রে?তালা ফালা লাগাইস না?
-ভনিতা করিস না।
-আরে মাম্মা ভাবি তো আজ নতুন ভাইয়ের সাথে রিক্সায় যাইতেছিল।মাম্মা তুই যদি আজ ভাবিরে দেখতি পুরাই পাগল হইয়া যাইতি।কি একটা সাজ দিছিল রে!
-স্নেহার কথা বলছিস?
-তোর কি হাজারডা বৌ আছে নাকি!
-বা*।
-মাম্মা আজ ভাবিরে দেইখা মমোতাজের গান মনে পড়তেছে।
বলেই গান গাইতে শুরু করলো রাকিন
-‘মাইয়া তো নয় একখান আগুনের ই গোলারে’ওহো
-মাল খাইয়া টাল হইয়া গেছিস নাকি!কি বলতোছোস মাথা ঠিক আছে?
বলেই ফোন টা কেটে দিল মুহিব।রাকিনের কথা শুনে মনে হচ্ছিল তার মাথা আজ ঠিক নেই।ঠিকই ড্রিংকস করছে।
তাই ওর কথায় মন না দিয়ে আবার বই খুললো মুহিব।কিন্তু পড়ার মুড টা সে পাচ্ছে নাহ।বার বার স্নেহার কথা মনে হচ্ছে।কিছু না ভেবেই ফোন হাতে নিয়ে স্নেহা কে কল করলো মুহিব।

স্নেহা ঘুমিয়ে পড়েছিল ১১ টার দিকেই।হঠাৎ ২ টোর দিক ঘুম ভাঙতেই সে ভাবলো ফেসবুকে আফসান আছে কি না দেখে আসি।
আফসান অনলাইনেই ছিল।স্নেহা কে অনলাইনে দেখা মাত্রই ম্যাসেজ করলো
Afsaan Abir-ঘুমের রানি এত রাতে ফেসবুকে!?
স্নেহা ফোন রেখে আবার ঘুমোবে ঠিক এই সময় আফসানের ম্যাসেজ দেখে তার চোখ থেকে ঘুম উড়ে গেল।সে রিপ্লাই করলো
Sneha Sarkar-থাকতে নিষেধ আছে নাকি??
Afsaan Abir-নাহ।?ঘুমুচ্ছিলেন এতোক্ষন নাকি পড়ছিলেন?
Sneha Sarkar-এত রাত জেগে পড়া আর আমি!!ইম্পসিবল?
Afsaan Abir-তাহলে ঘুমুচ্ছিলেম?
Sneha Sarkar-জ্বি।?
Afsaan Abir-আপনাকে একটা গান শুনাই??
Sneha Sarkar-গান!?গান জানেন আপনি!?
Afsaan Abir-জ্বি না।ফোনের প্লে লিস্ট থেকে শুনাবো?।
Sneha Sarkar-হুহ?।আমার ফোনেও গান আছে।ওকে!?
Afsaan abir-প্লিজ শুনেন না।প্লিজ? না করবেন না।?
Sneha Sarkar-ok?
Afsaan Abir-নাম্বার টা দিন?
Sneha Sarkar-কিসের??
Afsaan Abir-অবশ্যয় আপনার জুতার না।আপনার সেল ফোনের।?
স্নেহা রিপ্লাই করতে যাবে ঠিক এই সময় এল মুহিবের ফোন।স্নেহা কেটে দিয়ে টাইপিং করতে লাগলো।আবারো এল ফোন।বিরক্তের সাথে ফোন টা রিসিভ করে স্নেহা বললো
-হইছে কি মুহিব ভাই?
-তুই এত রাতে জেগে আছিস?আমি তো ভেবেছিলাম ঘুমিয়েছিস।
-না জেগে নাই।এখনো ঘুমন্ত।দেখছো নাহ!ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কথা বলছি তোমার সাথে।
-ঠাট্টা করবি নাহ।আমার একদম পছন্দ নাহ।
-কি পছন্দ আপনার শুনি?
কথা ঘুরিয়ে মুহিব বললো
-কাল একবার দেখা করবি?
-উম্ম,,করতে পারি।কিন্তু শর্ত প্রযোজ্য।
-কি সেটা?
-কাল তুমি আমার হাত ধরবে।আমরা হাত ধরে আমরা অনেক দূর একসাথে হেটে যাব।বলো রাজি?
মুহিব কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে বললো
-আচ্ছা।
-আর তারপর হেটে যখন আমি ক্লান্ত হয়ে পড়বো তখন তুমি আমায় পাজকোলে নিবে।কিন্তু খবরদার একদম চুমু খাবার চেষ্টা করবা না তুমি।মনে থাকবে?
মুহিব অবাক হয়ে স্নেহার কথা শুনছে।স্নেহা এসব কি বলছে!পাগল হলো নাকি মেয়েটা!নাকি স্নেহা ও আজ রাকিনের মতো মাল খেয়ে টাল হয়ে গেছে।
ফোনের ওপাশ থেকে খিলখিল করে হেসে গড়িয়ে পড়ছে স্নেহা।কি মধুরই না লাগছে শুনতে তার হাসির শব্দ!!কিন্তু ফেসবুকে স্নেহার নাম্বার চেয়ে যে একজন অপেক্ষা করছে সেটা কি স্নেহার মনে আছে!!
(চলবে)