#ধুসর_আকাশ
#৮ম_পর্ব_শেষ_পর্ব
#স্নিগ্ধতা_প্রিয়তা
সাফিকার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে৷ কয়েকমাস পর ও ওর নিজের গ্রামে ফিরবে৷ তমালের অফিসে কিছুদিনের ছুটি হয়েছে পূজার৷ আর এই ছুটিটাকেই ও কাজে লাগাতে চায়। সাফিকা কাল থেকে ব্যাগ গোছানো শুরু করেছে৷ আজ সকাল থেকে বারবার শুধু ঘড়ি দেখছে যে, কখন বের হবে!
তমালের মায়ের মনটা কিছুটা খারাপ! উনি ভেবেছিলেন যে তমাল হয়তো সাফিকাকে মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু এখন দু’জনকে একসাথে দেখে কিছুটা মন খারাপ হলেও নিজের ছেলের হাসিমুখ দেখে সব ভুলে গেছেন। উনিতো এটাই চেয়েছিলেন যে তমাল খুশি থাকুক। সাফিকার সাথেই যদি তমাল খুশি থাকে তাতে ক্ষতি কি!
সাফিকা ভেবেছিলো যে, তমালের মা গোমড়ামুখে ওদের বিদায় দিবে৷ কিন্তু বের হওয়ার একটু আগে তমালের মা সাফিকাকে ডেকে পাঠালো। তারপর সাফিকার হাত দু’টি ধরে বলতে লাগলো,
–“সাফিকা তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস! নিজের চাচি হয়েও তোকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু তুই আমার কত খেয়াল রেখেছিস৷ আমার পরিবারের জন্য তোর মতো মেয়েই ঠিক! আমার সংসার, পরিবার সব কি সুন্দর করে গুছিয়ে ফেলেছিস এই কয়দিনে। আমি আসলে তমালের বিষন্নতাকে মেনে নিতে পারছিলাম না। আমি ওর জন্যই তোকে দেখতে পারতাম না৷ আমি বুঝতে পারিনি যে, একটা ভালো বউ হলে ভালবাসা দিয়ে সে সবকিছু জয় করে নিতে পারে! এখন আমার তুষারের জন্য এমন লক্ষী একটা মেয়ে পেলেই হবে! ”
এটুকু বলতেই উনি কান্না করে দিলেন। সাফিকা ওর শাশুড়ীর হাতে হাত রেখে বলতে লাগলো,
–“চাচি আপনার জায়গায় অন্যকেউ হলেও হয়তো একি কাজ করতো৷ সব মায়েরাই চায় যে, তাদের সন্তান সুখে থাকুক! আপনিও তাই চেয়েছিলেন৷ এতে দোষের কিছু নেই! আর আমি কষ্ট পেয়েছি ঠিক, তবে আপনিতো আমার উপর কোনো অত্যচার করেননি! আর এইকয়দিনের জমিয়ে রাখা কথাগুলো না হয় আমরা সারাজীবন ধরে চালিয়ে যাবো! ”
–“এখনো চাচি! মা বলবি না? আমারতো এখন দুইটা মেয়ে! তরী আর তুই!… আর এই গয়নাগুলো রাখ। এগুলো তমালের বউয়ের জন্য গড়িয়ে রেখেছিলাম। এতদিন দেইনি, তবে আজ সময় এসেছে এগুলো তার প্রকৃত হকদারের কাছে পৌঁছানোর! ”
সাফিকা ওর শাশুড়ীর হাত থেকে গয়নাগুলো নিতে-নিতে বলল,
–“এগুলোর কি দরকার ছিলো! আপনাদের ভালেবাসাই আমার কাছে যথেষ্ট। একটা মেয়ের কাছে তার পরিবারের ভালবাসার চাইতে বড় আর কি হতে পারে! মা!”
সাফিকার মুখে মা ডাক শুনেই উনি সাফিকাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন। তারপর বলেন,
–“আমার ছেলেটাকে ওখানে দেখেশুনে রাখিস মা! মায়ের মন বুঝিস-ইতো! ”
–“আপনারাও চলেন? অনেকদিন যান না৷ ভালো লাগবে সবাই একসাথে গেলে। ”
তমালের মা মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললেন,
–“বিয়ের পর তমাল প্রথম শশুরবাড়ি যাচ্ছে! সেখানে আমরা সবাই কি করে যাই! এইবার তোরা ঘুরে আয়, এরপর আমরা সবাই একসাথে যাবো!”
সাফিকা ভীষণ খুশি যে, ওর চাচি আবার ওকে আগের মতো ভালবাসা শুরু করে দিয়েছে। তরী এতক্ষণ দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সবটা শুনছিলো। এবার এসে নিজের মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো,
–“আমার মা দেখছি বৌমাকে পেয়ে নিজের মেয়েকেই এবার ভুলে যাবে! সাফিকা আপু! সরি ভাবি! তুমিতো দেখছি যাদু জানো! কয়দিনেই আমাদের পরিবারের রঙ পাল্টিয়ে দিয়েছো! ”
তমালের মা নিজের মেয়ের নাক ধরে বলতে লাগলেন,
–“ওর থেকে তোর শিখতে হবে কি করে সংসার করতে হয়!”
তরী নিজের নাক থেকে মায়ের হাত সরিয়ে দিয়ে বলল,
–“মা তোমার এই বাচ্চা মেয়েটাকে আগে বড় হতে দাও! তারপর না হয় সংসার করা শিখিয়ো!”
–“আর কত বড় হতে চাস! তুষারের জন্য একটা টুকটুকে বউ এনেই তোর বিদায়ের ব্যবস্থা করবো! তাহলেই আমি নিশ্চিত! ”
তারপর তরী সাফিকাকে উদ্দেশ্যে করে বলল,
–“ভাইয়া তোমাকে ডাকছে, কি যেন খুঁজে পাচ্ছেনা!”
তারপর সাফিকা ওখান থেকে চলে গেলো।
সবার থেকে বিদায় নিয়ে সাফিকা আর তমাল বের হয়ে গেলো। পুরো ট্রেনে সাফিকা তমালের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়েছে। তমাল এই কয়দিনে সাফিকাকে সত্যিই অনেক ভালবেসে ফেলেছে। আসলে সাফিকার মতো মেয়েকে ভাল না বেসে কোথায় যাবে!
স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই সাফিকার ঘুম ভেঙে গেলো। স্টেশন থেকে নেমে ওরা একটা রিকশা নিলো৷ তারপর সাফিকাদের বাড়ির সামনে গিয়েই দেখতে পেলো যে, সানিয়া গেটের বাইরে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে। সাফিকাকে দেখেই ছুটে এলো৷ সাফিকাও রিকশা থেকে নেমেই সানিয়াকে জড়িয়ে ধরলো৷ তমাল রিকশা ভাড়া দেওয়া বাদ দিয়ে নিরব দর্শকের মতো দুই বোনকে দেখতে লাগলো ।
সানিয়া ওর মাকে জোরে-জোরে ডাকতে লাগলো। ওর ডাক শুনে শুধু ওর মা নয়, আশেপাশের অনেকেই জমা হলো৷ এতদিন পর সাফিকাকে দেখে সবাই অনেক খুশি। তমালকে যেন কারো চোখেই পড়ছে না। তমাল রিকশা ভাড়া মিটিয়ে ব্যাগগুলো নিতে যাবে তখন সাফিকার বাবা এসে একটা ছেলেকে ইশারা করতেই ব্যাগ নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেলো৷
সাফিকার বাবা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–“এই যে আমার সাফিকার বর! তোমরাতো পাগল হয়ে গিয়েছিলে ওকে দেখার জন্য! এইবার দেখো! ”
সাফিকার বাবার কথা শুনে সানিয়া আর সাফিকাসহ সবাই ওইদিকে তাকালো৷ সাফিকার পাশের বাড়ির এক চাচি বলে উঠলো,
–“এতো আমাদের-ই ছেলে! একে আর নতুন করে দেখার কি আছে!”
তারপর আস্তে-আস্তে সাফিকাদের বাড়ির সামনে থেকে ভীড় কমতে লাগলো। সাফিকা অনেকদিন পর নিজের রুম পেয়ে ভীষণ খুশি!ফ্রেস হয়েই বিছানায় শুয়ে পড়লো৷
তমাল ফ্রেস হয়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখে যে সাফিকা শুয়ে আছে। তমাল বিছানায় বসে বলল,
–“নিজের বাড়ি এসে আমাকে দেখছি ভুলেই গেছো! আমার কথা কি মনে আছে! ”
তমালের কথা শুনে সাফিকা বিছানা থেকে উঠে পড়ল। এতক্ষণ তমালের কথা ওর আসলেই মনে ছিলো না। এবার তমালের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“আপনাকে কি করে ভুলতে পারি বলুন! এরকম জলজ্যান্ত একজন মানুষ সামনে থাকতে তাকে ভুলে যাবো!”
তমাল সাফিকার দিকে এগিয়ে যেতে-যেতে বলল,
–“আমারতো তাই মনে হচ্ছে! ”
–“আপনার মনে হলেই হলো! আমাদের গ্রামে এসেছেন। আজ আমি আপনাকে সারাগ্রাম ঘুরে দেখাবো! ”
–“আজকেই! তুমি ক্লান্ত হয়ে যাওনি?আর এমনভাবে বলছো যেন এই গ্রামে আমি প্রথম আসলাম!”
–“নিজের বাড়িতে আসতে কেউ ক্লান্ত হয়! আমারতো এখনি ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে! যাবেন?নিজের গ্রাম হলেও আপনি এখনো এর কিছুই চিনেন বলে মনে হয়না!”
–“তা অবশ্য ঠিক! আর এখন যাবে? মাত্র আসলাম!”
তমাল একথা বলতেই সানিয়া ওদের রুমে ঢুকে পড়লো৷ সাফিকা আর তমাল পাশাপাশি শুয়ে আছে দেখে সানিয়া মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বলল,
–“সরি, আমি নক না করেই রুমে ঢুকে পড়েছি! আসলে মা ডাকছে খাওয়ার জন্য।”
তমাল আর সাফিকা উঠে বসলো। তারপর তমাল বলল,
–“মুখ ঘুরাতে হবে না৷ ভেতরে আসো। বসো।”
সানিয়া চলে যেতে-যেতে বলল,
–“এখন বসব না। তাড়াতাড়ি আসুন। ক্ষুধা লাগেনি আপনাদের?”
খাওয়া-দাওয়ার পর সাফিকা সানিয়ার সাথে গ্রাম দেখতে বেড়িয়ে পড়লো। তমাল অনেক ক্লান্ত ছিল তাই শুয়ে পড়লো।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে তবুও সাফিকাদের ফেরার নাম নেই! তাই তমাল ওদের খুঁজতে বেরিয়ে পড়লো।
কিন্তু ও গ্রামের তেমন কিছু চিনে না! কোথায় বা ওদের খুঁজবে!
সানিয়া আর সাফিকা বাড়ি ফিরে আসলেও যে ওদের খুঁজতে বেড়িয়েছে সেই তমালের আর খোঁজ নেই। ফোনটাও রেখে গিয়েছে৷
সন্ধ্যা কেটে রাত হয়ে যাচ্ছে তবুও তমালের ফেরার নাম নেই! সাফিকা ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলো। এদিকে তমালের মা ফোন দিচ্ছে বারবার। সাফিকা কি বলবে বুঝতে পারছে না। সবাই খুব চিন্তা করছে৷ সাফিকার বাবা লোক পাঠিয়েছে তমালকে খোঁজার জন্য। নিজেও খুঁজতে বেড়িয়েছে।
রাত কিছুটা গভীর হয়ে গেছে৷ সাফিকার কান্নাগুলোকে চেপে রেখে তমালের ফেরার অপেক্ষায় আছে৷ এমন সময় সাফিকার বাবা তমালকে নিয়ে আসলো। তমালের মাথায় কেউ একজন লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে পেছন থেকে। সেই একজন আর কেউ নয়! চেয়ারম্যানের ছেলে রিমন! তারমানে ও বিদেশে যায়নি, সবাইকে মিথ্যে বলেছিলো যেন সাফিকা গ্রামে আসে৷ তমালকে আরো মারতো, কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেখানে সাফিকার এক চাচা সেখানে পৌঁছে যায় আর তাকে দেখে রিমনরা চলে যায়। কারণ ওর চাচার সাথে আরো কিছু লোকজন ছিলো৷ উনারা একটা কাজ থেকে ফিরছিলেন। তারপর উনারাই তমালকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলো৷ তমালের ব্যান্ডেজ করা শেষ হলেই উনারা সাফিকার বাবাকে খবর দেয়। আর বাড়ি নিয়ে আসে তারপর।
তমালের মাথায় ব্যান্ডেজ দেখেই সাফিকা ছুটে যায় ওর কাছে।তারপর কান্না করতে-করতে বলে,
–“আপনি একা কেন বের হয়েছিলেন? কালকেই আমরা ফিরে যাবো! আর আপনাকে এখানে আসতে দিবো না।”
তমাল রুমে গিয়ে সাফিকাকে শান্ত করে বলল,
–“আরে কিছুই হয়নি। আমি ঠিক আছি এখন। তুমি চিন্তা করবে বলে তোমাকে জানাতে বারণ করেছিলাম। হাসপাতালে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করতে! আর ওই রিমনের ভয়ে তোমাকে ফিরে যেতে হবেনা! আমি পুলিশে খবর দিয়েছি৷ ওরা ওর ব্যবস্থা করবে৷ আমরা যে কয়দিন আছি ও আর আমাদের বিরক্ত করতে পারবে না। আর বাসায় একথা জানানোর প্রয়োজন নেই। মা অযথা চিন্তা করবে!”
সাফিকা তমালের মাথাটা ঘুরেফিরে দেখছিলো। তমাল একটানে সাফিকাকে নিজের বুকে টেনে নিয়ে বলল,
–“তুমি পাশে থাকলে এসব ছোট-খাটো আঘাতে আমার কিছুই হবেনা। তুমিতো আছোই সেবা করার জন্য! বউয়ের সেবা পেলেই আমি সুস্থ হয়ে যাবো!”
সাফিকা তমালকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
–“আর কখনো এমনটা করবেন না। নিজের খেয়াল রাখতে পারেন না! আপনার কিছু হয়ে গেলে আমার কি হবে? মাকে কি জবাব দিতাম?”
–“আচ্ছা এখনতো আমি ঠিক আছি নাকি! এইবার কান্না থামাও! আর একটু হাসো!”
–“এই অবস্থায় কেউ হাসতে পারে?”
–“তুমি হাসো!”
তারপর সাফিকা ওর মনে থাকা সব শঙ্কাগুলো তমালকে জানায়। তমালকে না পাওয়ায় ও কিসের-কিসের ভয় পাচ্ছিলো! সেগুলো শুনে তমাল হাসতে থাকে!
পরদিন দুপুরের মধ্যেই তমালের মা-বাবা, তরী, তুষার সবাই এসে হাজির হয়৷ তমালের মা তমালকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে৷ তমাল মানা করলেও সাফিকার বাবা ওর বাবাকে সবটা জানিয়ে দিয়েছে।
সাফিকা ভয়ে ছিলো যে, তমালের মা হয়তো ওকে আবার কথা শুনাবে! কিন্তু তার কিছুই হলো না। বরং তিনি সাফিকাকে জানালো যে, এখানে আর ওকে আসতে দিবে না। আবার যদি কোনো বিপদ হয়! সাফিকা বা তমাল কাউকেই আর এখানে বেশি আসতে দিবে না! সাফিকার পরিবার-ই ওখানে গিয়ে ওদেরকে দেখে আসবে! এক জায়গায় দেখা হলেই চলবে!
তমাল সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করলো যে, রিমন আর ওদের বিরক্ত করবে না! কিন্তু ওর কথা কেউ মানতে নারাজ! তমালের মা পরদিন-ই ওদের সবাইকে নিয়ে ফিরে গেলো। সাফিকা তমালের কথা চিন্তা করে আর থাকতে চাইলো না৷ ও চায়না যে, ওর জন্য তমালের আর কোনো ক্ষতি হোক৷ সাফিকা আজও মনে করে যে, রিমন-ই খোঁজ নিয়ে ওর বিয়ে ভেঙেছিলো! তমালও হয়তো সত্যিটা কখনো ওকে জানাবে না! আসলে সব সত্যি সবাই না জানলেও হয়তো চলে! কিছু সত্য না জানাই ভালো!
তিন বছর পর,
আজ তুষারের বিয়ে। পারিবারিকভাবেই ওর বিয়েটা হচ্ছে। সাফিকা ওর দেড় বছরের বাচ্চাটাকে তমালের মায়ের কাছে দিয়ে বলল,
–“মা, আপনার নাতনীর দায়িত্ব কিছুক্ষণের জন্য আপনাকেই দিয়ে দিলাম! আমি কিন্তু তুষার ভাইয়ার বিয়েতে বরযাত্রী যাবো!”
তমালের মা নিজের নাতনীকে কোলে নিতে-নিতে বললেন,
–“আমার নাতনীতো আমার কাছেই থাকে সারাদিন! আজ আবার নতুন কি! তুমি কিছু সময় কেন! পুরো দিন থাকলেও আমার নাতনী তোমাকে খুঁজবে না! এখনকার বাচ্চাদের কি আর মা লাগে নাকি! চিন্তা করো না!”
কিন্তু তখনি তমাল এসে নিজের মেয়েটাকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে সাফিকার কোলে দিয়ে বলল,
–“মেয়ে রেখে গিয়ে সবাইকে এটা বোঝাতে চাও নাকি যে তুমি এখনো সিঙ্গেল! আমার মেয়েটাকে কোল থেকে একটুও নামাবে না! মেয়ে না থাকলে তোমাকে দেখে বোঝার উপায় আছে যে, তুমি বিবাহিত! আবার তোমার একটা মেয়েও আছে!”
বলেই তমাল সাফিকাকে টেনে নিয়ে গেলো। সাফিকা করুণ চোখে ওর শাশুড়ীর দিকে তাকাতেই ওর শাশুড়ী মিটিমিটি হাসতে লাগলো। ওদের যাওয়া দেখতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো যে, তুষারের বউটাও যেন সাফিকার মতই হয়! উনার পরিবারের সুখগুলো যেন সারাজীবন এভাবেই বজায় থাকে!
সমাপ্ত…..
(পুরো গল্পটা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।ধন্যবাদ।)