নাম না জানা পাখি পর্ব-১৩

0
511

#নাম_না_জানা_পাখি
#নূর_নাফিসা_খুশি
#পর্ব_১৩

খুশি একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছে কারো জন্য ওয়েট করছে। তখনি একটা ছেলে এসে খুশিকে বলে,,

“হাই আমি কি বসতে পারি এখানে।

ছেলেটার কথায় খুশি ব্রু কুচকে তাকায় তার দিকে, খুশি কিছু বলতে নিবে তার আগেই ছেলেটা বসে।

” অনন্ত! আমি আমি অনন্ত যার সঙ্গে তোমার দেখা করার কথা ছিলো।

খুশি এবার ছেলেটাকে ভালো করে দেখে নিলো, বেশ সুন্দর ভদ্র। খুশি বসতে বলে অনন্তকে, অনন্ত বসেই বলে।

“কি খাবে?

” কফি।

“শুধু কফি আমার তো অনেক খুদা লাগছে, অফিস থেকে সোজা এখানে এসেছি।

” আমার খুদা নেই আপনি খেয়ে নিন।

“আমি একা একা খাবো কেমন দেখায় না? থাক আমি না হয় বাসায় গিয়েই খেয়ে নিবো।

” আচ্ছা আমার জন্য একটা মিনি বার্গার আর আপনার যা পছন্দ তাই অর্ডার দিন।

অনন্ত আর কথা বারালো না, তার জন্য বিরিয়ানি আর খুশির জন্য বার্গার অর্ডার দিলো। অনন্ত বলে,,

“তো কি ভাবলে? তোমার এই বিয়েতে কোনো আপত্তি নেই তো?

খুশি কিছু বলে না চুপ করে থাকে। অনন্ত আবার বলে।

” আমি তোমাকে অনেক আগেই দেখেছি, কিছু একটা কাজে তোমার কলেজে গেছিলাম তখন তোমায় দেখি। আমার তখন দেখেই তোমাকে ভালো লাগে খবর নিয়ে তোমার ঠিকানা বের করি তোমার পাসের বাসার যে ভাইয়া টা আছে ওই ভাইয়া আমার অফিসেই কাজ করে। তাকে দিয়েই বিয়ের সমন্ধ পাঠিয়েছি। তোমার যদি এই বিয়েতে আপত্তি থাকে তো এই কথা এখানেই শেষ করবো।

“না আমার কোনো আপত্তি নেই, আমি রাজি।

খুশির উত্তরে অনন্তর মুখে হাসি ফুটে উঠে,, সেদিন মাহিরের ফ্লাট থেকে বের হয়ে ব্রিজের ওপর চলে যায় সেখানে অনেকখন ধরে কান্না করে। মাহির খুশিকে কিছু একটা কারণে দেখতে পারে না ঠিক কিন্তু ভালো ঠিকিই বাসে এই ভেবে এসেছিলো খুশি। মাহির কখনো এমন নিচ কাজ করবে এটাও মানতো খুশি কিন্তু তার ধারণা যে এতো ভুল হবে শপ্নেও ভাবেনি খুশি। সেদিন অনেক কান্না করার পর ভেবে নেই মাহিরের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক রাখবে না। তার আম্মুর পছন্দের ছেলে কেই বিয়ে করবে খুশি। মাহিরের সঙ্গে এই বিয়ে মানে না খুশি মানার কোনো উপায় রাখেনি মাহির। ও যদি এমন নিচ কাজ করতে পারে বিবাহিত হওয়ার শর্তেও খুশি কেনো পারবে না বিয়ে করতে।খুশি সেদিন বাড়ি ফিরেই তার আম্মুকে বলে বিয়েতে রাজি সে,, তার পরের দিন ই দেখতে এসেছিলো অনন্তর পরিবার। খুশিকে পছন্দ করে আংটি পরিয়ে দিয়ে যায়,, অনন্ত সেদিন আসতে পারে নি তাই আজ দেখা করলো রেস্টুরেন্টে।

অনন্ত খুশির খাওয়া শেষ এর মধ্যে অনন্ত অনেক কথা বলে ফেলেছে খুশি শুধু হু হ্যাঁ তে উত্তর দিয়েছে। খুশি বুঝতে পারে অনন্ত অনেক মিশুক একটা ছেলে অনেক কথা বলতে পারে। কথা খাওয়া শেষ করে অনন্ত খুশির নাম্বার টা নেয়। তারপর খুশি কে বলে।

” চলো তোমায় দিয়ে আসি।

“আমি একা যেতে পারবো, আপনার না অফিস টাইম এখন আপনি অফিসে চলে যান আমার আরও কিছু কাজ আছে তারপরে বাসায় যাবো।

” ওহ তাহলে চলে যেও তুমি গিয়ে আমাকে ফোন দিবে।

“ঠিক আছে।

অনন্ত চলে যায়, খুশি এখন একটু ভালো করে নিঃশ্বাস নেয় এতো খন খুব অস্বস্তি লাগছিলো খুশির। খুশি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতে যাবে তখনি খুশির চোখ পরে একটা টেবিলের দিকে। অধরা বসে আছে, কিন্তু কার সঙ্গে ছেলের মুখটা দেখতে পাচ্ছে না খুশি। কিন্তু ছেলেটার ব্যাক সাইড দেখে পুরো রোদের মতো লাগে। খুশি অধরার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়া, খুশি ঠিক ভেবেছিলো এটা রোদ। অধরা খুশিকে দেখে চমকে উঠে আর রোদ ও খুশি বলে।

” আরে বাহ টম এন্ড জেরি দেখি এক টেবিলে বসে আছে ডেট ও করছে ঝগড়া ছারায়।

খুশির কথায় দুই জনেই লজ্জা পায় রোদ বলে।

“খুশি আমি তোকে বলতে চাইছিলাম ব্যাপার টা।

” হু হু বুঝলাম তো কবে থেকে চলছে তোমাদের কাহিনি?

“এই বেশি দিন না কিছুদিন থেকে।(রোদ)

অধরার খুম টা লাল হয়ে গেছে লজ্জায় প্রেম করতে এসে বেস্টির কাছে এমনে ধরা খাবে ভাবেও নি বেচারি। খুশি বলে।

” আমার একটা মাত্র বেস্টি খেয়াল রাখবি রোদ যাতে কষ্ট না পায়, আর অন্ধেরি(অধরা) তুই ও আমার এই ফ্রেন্ড কে দেখে রাখবি। ওকে?

অধরা রোদ এক সঙ্গে ওকে বলে। খুশি হেসে দেয়, অধরা রোদ দুই জনে খুশিকে বসতে বলে কিন্তু খুশি বসলো না তাদের সময় একা ছারায় ভালো হুদাই কাবাব মে হাড্ডি কিউ হগি খুশি। খুশি চলে যায় রেস্টুরেন্ট থেকে।

খুশি আনমনে রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে লাগে, খুশিই বুঝতে পারছে কিছু কি করছে বা যা করছে তা কি ঠিক নাকি ভুল। খুশি তো চেয়ে ছিলো মাহিরের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে কিন্তু মাহির এমন বের হবে খুশি তো ভাবতেই পারেনি। যে ছেলে অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে রাত কাটাতে পারে সে ছেলের সঙ্গে খুশি কখনোই থাকবে না।। মাহির যদি আসেও তার অধিকার নিয়ে খুশি বলবে সে ডিভোর্স নিবে।

এতো কিছু ভাবতে ভাবতে খুশি কখন যে রাস্তার মিডিলে চলে এসেছে খেয়ালই নেই তার। একটা গাড়ি খুব জরে এসে খুশির কাছে ব্রেক করে আর একটু হলেই খুশি কে উরিয়ে দিতো। তবুও একটু ধাক্কা লেগে খুশি রাস্তায় পরে যায় এখন খুশির ধ্যান আসে সে কথায় আছে ভালো করে দেখে। নিজের বোকামির জন্য নিজেই বিরক্ত হয় খুশি। খুশি জামা ঝেরে উঠে দাঁড়ায় গাড়ির লোকটা কে সরি বলতে যাওয়ার জন্য সেদিকে ঘুরে দাঁড়াতেই আবার ধাক্কা খায় খুশি। খুশি এবার প্রচুর বিরক্ত হয় বুঝলো না আজ তার ধাক্কা দিবষ নাকি।

খুশি লোক টার দিকে তাকিয়ে দেখে ক্যাপ আর মাক্স পরা একজন, চোখ দুইটা ভালো করে দেখার পর খুশি বুঝতে পারে এটা মাহির। খুশির বিরক্তির মাত্রা আরও বেরে গেলো, খুশি ভেবেছিলো সরি বলবে কারণ ভুল টা তার। কিন্তু এখন মটেও সরি বলবে না খুশি কখনোই না।

“কেমন আছো বউ।

মাহিরের এমন কথা শুনে খুশির গা পিত্তি জ্বলে উঠে। খুশি পাস কাটিয়ে চলে যেতে নেই, মাহির খুশির হাত ধরে বলে।

” আমার খুদা লাগছে।

“তো আমি কি করবো খেয়ে নিন গিয়ে আপনার কি খাবারের কম পরেছে নাকি?(রেগে বলে খুশি)

” তোমার হাতের রান্না খাবো চলো আমার সঙ্গে রান্না করে খাওয়াবে।

“আহা শখ কতো, আমি কি আপনার বউ লাগি যে রান্না করে খাওয়াবো।

খুশির কথায় মাহির খুশির দিকে ব্রু কুচকে তাকায়, খুশি বুঝতে পারে সে কি বলেছে। কখনো কখনো এতো বোকার মতো কথা কি করে বলতে পারে খুশি। সে তো মাহিরের ই বউ বিয়ে মানুক আর নাই মানুক বউ তো হয় ই। খুশি কথা পালটিয়ে বলে,,

” আপনার জরিনা খালা কে বলুন রান্না করে খাওয়াবে।

“জরিনা খালা কে?(মাহির অবাক হয়ে)

” জারা কে বলুন জারা ওরফে জরিনা খালা।

খুশির কথায় মাহির হেসে দেয় বাট সেই হাসি খুশি দেখলো না মাহির মাস্ক পরে থাকায়। মাহির বলে,,

“তুমি কি জেলাস?

” শালা বজ্জাত হনুমান, লেজকাটা সাদা বিলাই তুই একটা মেয়ের সঙ্গে শুবি রাত কাটাবে বউ থাকতে আর আমাকে এসে বলবি আমি জেলাস কি না। (খুশি মনে মনে বলে)

মাহির খুশির রাগি দৃষ্টি দেখে বুঝতে পারে খুশি তার ৩৬ টা বাজাচ্ছে মনে মনে। মাহির খুশির হাত ধরে বলে,,

“চলো আমার সঙ্গে।

খুশি ঝারি দিয়ে হাত ছারিয়ে বলে।

” যাবো না আমি আপনার সাথে।

“আমি কি তোমার কাছে পারমিশন চেয়েছি? আমি নিয়ে যাচ্ছি তোমাকে আর তোমাকে আমার সঙ্গে যেতেই হবে ইচ্ছে থাক বা না থাক।

কথা গুলো বলেই গাড়িতে বসিয়ে দেয় খুশিকে, খুশি এতো ছুটাছুটি করেও পারলো না গাড়ি থেকে বের হতে। বাদ্ধ হয়েই মাহিরের সঙ্গে মাহিরের ফ্লাটে যায় খুশি।

” যাও গিয়ে রান্না করো, আমি গোসল করে আসি।

এটা বলেই মাহির ফ্লাটের মেইন দরজায় তালা লাগিয়ে দিলো যাতে পালাতে না পারে খুশি। খুশি বাদ্ধ হয়েই রান্না ঘরে গেলো রান্না করতে। খুশি রান্না করছে আর বকবক।

“নবাবের হুকুম রান্না করো খুদা লাগছে। আহা কাজের বুয়া পায়ছে আমারে যখন খুশি রান্না খাবে আমার হাতের। আমার হাতের রান্না খাওয়ার এতোই শখ তো আকাম কুকাম করলি কেনো? দাড়া ব্যাটা তোকে আজ এমন রান্না খাওয়াবো জীবনেও ভুলবি না আর আমার হাতের রান্না ও খেতে চায়বি না। শালা সাদা বিলাই।

খুশি রান্না করে রেখে মাহির কে ডাকতে যায় তার রুমে। মাহির গোসল করে বের হয়ে টি শার্ট বের করছিলো। খুশি ভিতরে গিয়ে চোখ পরতেই আবার ফিরিয়ে নেয় পিছনে ফিরে বলে।।

” ছিহ ছিহ ছিহ একটা মেয়ের সামনে কেউ বিনা কাপরে থাকে ছিহ লজ্জার মাথা খেয়েছে। ওহহো আমি তো ভুলেই গেছিলাম সেলিব্রিটি দের তো লজ্জায় থাকে না তারা হাজার মেয়ের কাছে যেতে পারে। তাই বলে কি আপনি আমার সামনে আসবেন এমন হয়ে আমাজে কি ওই ন্যাকা মেয়ে পেয়েছে।(খুশি নিজের মতো বলে দিলো)

মাহির খুশির কাছে এসে ব্রু কুচকে বলে।

“ওহ হ্যালো এটা আমার রুম আর তুমি আমার রুমে এসেছো আমি তোমার কাছে যায়নি।

খুশি রুম টা দেখে মনে মনে বলে।

” ওমা তাই তো দূর আমিও না কি করি। (মনে মনে)

“ওহ সরি আমি চলে যাচ্ছি আপনি আশুন খাবার রেডি।

এই বলে খুশি চলে যেতে নেয় তার আগেই মাহিরের দুটি হাত খুশিকে ধরে ফেলে। মাহির খুশিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে গলায় মুখ ঢুবায় খুশি কেপে উঠে। মাহির নেশা লাগানো কন্ঠে বলে।

” আমি তোমার হাজবেন্ড হয়, আমার থেকে দূরে কেনো যেতে চাও? আর আমি তোমার সামনে বস্ত্রহিন হয়ে আসলে এতে ছি এর কি আছে।

“ছারুন আমাকে।

” ছারবো না কি করবে?

“প্লিজ ছারুন।

মাহির খুশিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলে, ” না ছারার জন্য ধরিনি” খুশি মাহিরের চোখের দিকে তাকায় এই চোখে খুশি অনেক ভালোবাসা দেখতে পায় কিন্তু মাহিরের খারাপ ব্যাবহারের কথা ভাবতেও পারছে না খুশি। মাহির খুশির গাল ধরে নিজের দিকে আরও এগিয়ে আনে মাহির ও এগিয়ে যেতে লাগে। খুশি বুঝতে পারে মাহির কি করতে চাইছে এখন। খুশি নিজের সব শক্তি দিয়ে জোরে একটা ধাক্কা মারে মাহির কে মাহির একটু দূরে সরে যায়। খুশি রাগ নিয়ে বলে।

“আপনার ওই নোংরা হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করবেন না। আপনার ওই হাতে জারার মতো মেয়ে ধরা দিতে পারে এই খুশি না।

বলেই খুশি চলে যায় বাইরে,, মাহির নিজেকে কন্ট্রোল করে খুশির ওপর রাগ টাও কন্ট্রোল করে কারণ মাহির খুশি কে যা দেখিয়েছে সেটাই ধরে আছে খুশি। খুশির ওপর রাগ দেখায় হবে হুদাই। মাহির টি শার্ট পরে বাইরে বেরিয়ে আসে। টেবিলে সাজানো সাদা ভাত দেশি মুরগি ভুনা, আলু ভর্তা। মাহিরের কাছে মুরগী ভুনা টাই একটু বেশিই কালার ফুল লাগলো বাট কিছু বললো না। খুশি মাহির কে খাবার বেরে দেয় মাহির খেতে শুরু করে। মুরগী ভুনা খাওয়ার পর বুঝতে পারে এতো কালার হওয়ার রহস্য। খুশি অনেক পরিমানে ঝাল দিয়েছে তাতে। তবুও মাহির কিছু বললো না খেয়ে যাচ্ছে। খুশি মাহিরের খাওয়া দেখে মনে মনে ভাবে।

” বুঝলাম না ঝাল কি হয়নি নাকি। এ তো কিছুই বলছে না আমি যে পরিমাণে ঝাল দিয়েছি এতখনে তো লাফালাফি করার কথা। (মনে মনে)

মাহির কিছুই বলছে না মাথা নিচু করে খেয়েই যাচ্ছে খুশি অবাক হচ্ছে খুব অবাক। খুশি আর দেখতে না পেরে মাহির ভাত মুখে নিতে যাচ্ছিলো তখনি খুশি মাহিরের হাত ধরে নিজের মুখে নিয়ে নেয়। সত্যিই ঝাল হয়নি কি দেখার জন্য। এক মুঠো খেয়েই খুশির অবস্থা নাজেহাল। খুশি ভাবতে পারছে না মাহির এতোখন খেলো কি করে এই ভাত। মাহির মেকি হাসি দিয়ে বলে।

“নিজের প্রতি নিজেরই বিশ্বাস নেই। ঝাল দেওয়ার পর আবার চেক করতে হচ্ছে।

মাহিরের কথা শুনে বুঝতে পারে মাহিরের অনেক কষ্ট হচ্ছে কথা বলতে ওনার ও ঝাল লেগেছে কিন্তু কিছু বলেনি। খুশি এবার কান্না করে দেয় কান্না করতে করতেই ঝতপট ফ্রিজ থেকে থান্ডা পানি এনে মাহির কে দেয়। মাহির পানি টা না খেয়ে খুশি খাইয়ে দিয়ে রুমে চলে আসে। খুশি ও মাহিরের পিছন পিছন আসে মাহিরের কষ্ট হচ্ছে খুব বুঝতে পারছে খুশি। খুশি আবার রান্না ঘরে গিয়ে মিস্টি চিনি পানি নিয়ে আসে খেতে বলে কিন্তু জিদ্দি মাহির খাবেই না।

খুশি আর কোনো রাস্তা না পেয়ে মাহিরের কাছে গিয়ে নিজের ঠোট দারা মাহিরের ঝাল মুছে দিতে লাগে। মাহির এমন সময় খুশির ছোওয়া পেয়ে নিজেই মেতে উঠে খুশিকে তার সব ঝাল ঢেলে দেওয়ার জন্য।

চলবে?

(রিচেক করা হয়নি বানান ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। গঠন মূলক মন্তব্য করুন প্লিজ)