না_চাইলেও_তুমি_আমার পর্ব-০৮

0
2899

#না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ০৮
জাহান আরা

বিয়ে বাড়ির সব আনন্দ নিমিষেই বিষাদে রূপান্তরিত হলো।হাসিখুশি মেয়েটির হঠাৎ করেই কি হয়ে গেলো কেউ বুঝতে পারছে না।
মারিয়া ফুপিয়ে কাঁদছে সিমি কে জড়িয়ে ধরে।চন্দ্রর এরকম হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না কেউ।

চন্দ্রকে হাসপাতালে নেওয়ার আধা ঘন্টা পরে জ্ঞান ফিরে আসে চন্দ্রর।নিজেকে হাসপাতালে দেখে চন্দ্র নিজেই অবাক হয়ে যায়।কি হয়েছে তার ভাবতে থাকে।তারপর মনে পড়ে যায় সব।
সব নষ্টের মূল নিষাদ!

চন্দ্র বিছানায় উঠে বসতেই অক্সিজেন মাস্ক খুলে নার্স গিয়ে বাহিরে খবর দেয় সবাইকে।নিশান,আমির,রাত্রি কেবিনে ঢুকে।
চন্দ্র কে কেমন যেনো ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে।ডাক্তার বলেছে,”অতিরিক্ত মেন্টাল স্ট্রেসের কারণে চন্দ্র সেন্সলেস হয়ে গেছে।দুশ্চিন্তা যাতে না করে,ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে হবে,প্রতিদিন ডিম-দুধ খেতে হবে।”

আমির চন্দ্রর পাশে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে বসে।চন্দ্র আরো আতংকিত হয়ে পড়ে।ভাইয়া এখন একগাদা প্রশ্ন করবে চন্দ্র জানে,বাবা-ভাইয়াকে ভীষণ ভয় করে চন্দ্রর।

আমিরের মুখে আজ কাঠিন্য নেই,শান্ত মুখ।চন্দ্রর ডান হাত নিজের দুই হাতের মুঠোয় নিয়ে মৃদুস্বরে ডাকে,”চন্দ্র”

খানিকটা কেঁপে উঠে চন্দ্র আবার,ভাইয়ার এরকম শান্ত কণ্ঠস্বর চন্দ্র কখনো শুনে নি।
ভয়ার্ত স্বরে জবাব দেয়,”হু”

চন্দ্রর মুখের দিকে তাকায় আমির,কেমন ভীত, রক্তশূণ্য চেহারা।এরকম ভীত কেনো চন্দ্র?
কাকে ভয় পাচ্ছে সে?
কিছুই বুঝতে পারছে না আমির।

“কি হয়েছে তোর বুড়ি,কি নিয়ে এতো ভাবিস বল তো?
লেখাপড়া নিয়ে?এখন থেকে সারাদিন পড়তে হবে না।
প্রতি পরীক্ষায় প্রথম হতে হবে না এখন থেকে তোকে আর যা,লেখাপড়ার প্রেশার আর দিবে না কেউ তোকে,দুশ্চিন্তা করবি না আর কিন্তু এখন থেকে তুই।”

একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে চন্দ্র,মনে মনে বলে,”ভাইয়া,তুমি জানো না আমি কতো বড় হয়ে গেছি,আমি কি নিয়ে চিন্তা করি তা যদি তুমি ঘুণাক্ষরেও টের পাও,এখানেই আমাকে পুঁতে দিবে।লেখাপড়া নিয়ে আমি মোটেও দুশ্চিন্তা করি নি কখনো,সারাদিন পড়ার মধ্যে ডুবে থেকে আমি তো তোমাদের সবার থেকে আলাদা থাকতে চাইতাম।তোমাদের কে আমার ভীষণ ভয় করে ভাইয়া।তোমরা কেউ কখনো আমার সাথে সহজভাবে কথা বলো নি,তোমরা শাসন করে গেছো সবসময় কিন্তু সোহাগ করতে জানো নি,আমার অনেক কষ্ট হয় ভাইয়া।
আমি মনে হয় নিষাদ কে ভালোবেসে ফেলতে যাচ্ছিলাম।তোমার বোন আরেকটা ভুল করে ফেলতে যাচ্ছিলো ভাইয়া।হয়তো করে ফেলেছে ও ভুল,সেই ভুল কিভাবে শুধরাবো আমি জানি না”

চন্দ্রকে চুপ হয়ে থাকতে দেখে আমির আবার জিজ্ঞেস করে,”কি রে,কথা বল।”

“হ্যাঁ ভাইয়া,আর দুশ্চিন্তা করবো না।”

আমিরের সাথে কথা বলতে গিয়ে এতোক্ষণ রাত্রি আর নিশান কে খেয়াল করে নি চন্দ্র। তাকিয়ে দেখে দুজন দাঁড়িয়ে আছে নিশানের মুখে হলুদ মাখা,রাত্রি হলুদের সাজে দাঁড়িয়ে।
চন্দ্রর হঠাৎ করেই ভীষণ লজ্জা লাগে।
নিজেকে নিজে বলে,”ছিঃ আমার জন্য আপার গায়ে হলুদ বন্ধ হয়ে গেলো,আপার কতো শখ ছিলো,সবাই কতো আগ্রহ নিয়ে সেজেছে, সব আমার জন্য শেষ হয়ে যাবে না-কি!”

মানতে পারছে না এটা চন্দ্র।

লাফ দিয়ে উঠে চন্দ্র বিছানা থেকে নামে।হাতে লাগানো স্যালাইন এতোক্ষণ দেখে নি চন্দ্র,বিছানা থেকে নামতেই হাতে সুইয়ের খোঁচা লাগে।

তাকিয়ে দেখে হাতে স্যালাইন দেওয়া।

সাহস করে আমিরের সামনে স্যালাইন খুলে ফেলে চন্দ্র,তারপর বলে,”আপার হলুদ হবে কখন ভাইয়া?”

“আমার হলুদ অনুষ্ঠান লাগবে না বোন,তুই সুস্থ হয়ে নে আগে,চুলায় যাক হলুদ”

“না না আপা,আমি মানবো না,আমি কতো আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছিলাম তোর গায়ে হলুদ হবে,আমি নাচবো,গাইবো,হলুদ শাড়ি পরবো।
ভাইয়া প্লিজ চলো বাসায়,বাকি স্যালাইন ঘুমানোর সময় দিবো।প্লিজ,এরকম একটা আনন্দ অনুষ্ঠান নষ্ট হোক আমি চাই না”

অন্যসময় হলে আমির ধমকে উঠতো চন্দ্রকে,কিন্তু আজকে মেনে নিলো।

চন্দ্র বাসায় ফিরতে সবাই হৈচৈ শুরু করে দিলো,চন্দ্র মন থেকে কোনো আগ্রহ পাচ্ছে না কিছু করার কিন্তু বুঝতে পারছে তার উপর এখন সব নির্ভর করছে,চন্দ্র যদি চুপ হয়ে যায় তবে হলুদ হবে না এখন আর,অনিচ্ছাসত্ত্বেও চন্দ্র নিজেও হৈচৈ শুরু করে দিলো।

চন্দ্র একটা চেয়ারে বসে চারদিক দেখছে,মুখে রেডিমেড হাসি ধরে রেখেছে।
রাত্রি কে স্টেজে নেওয়া হয়েছে,ফটোগ্রাফার ফটো তুলছে,বক্সে গান বাজছে।কি আনন্দময় পরিবেশ!মামী,চাচী,ফুফু,খালা সবাই বসে বসে পান খাচ্ছে আর গল্প করছে।
কল্পনায় চন্দ্র হঠাৎ মা’কে দেখতে পায়।
হলুদ শাড়ি পরনে মা ও বসে আছে ওনাদের মাঝখানে।হাতে পানের ডিবে।মা’য়ের মুখ হাসিহাসি,ইশারায় রাত্রি কে দেখিয়ে কি যেনো বলছে মা।

চন্দ্র মুগ্ধ হয়ে দেখছে মা’কে।হঠাৎ মায়ের চোখ পড়লো চন্দ্রর উপর,চন্দ্রকে এরকম মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইশারায় কাছে ডাকলেন।
চন্দ্র বুঝতে পারছে সবটা তার কল্পনা,কিন্তু কল্পনা এতোটাই জীবন্ত যে চন্দ্র সত্যি সত্যি উঠে গেলো।

মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে ডাকলো কোমল,আদুরে গলায় “মা”

মুহূর্তেই মামী,চাচী,খালা,ফুফু সবার মুখে অন্ধকার নেমে এলো।চন্দ্র কেমন ঘোরের মধ্যে চলে গেছে।অপ্রকৃতস্থর মতো মা’কে ডেকে চলেছে।
বড় খালা চন্দ্রকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে। চন্দ্রর ঘোর কেটে যায়।
সবাই কাঁদছে হঠাৎ করেই।

“আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা ছিলো আমার বোনের,আমার সেই বোন আজ অন্ধকার কবরে শুয়ে আছে।আল্লাহ,আমার বোনকে তুমি জান্নাতবাসী করিও”

বড় খালার এসব আবেগময় কথা শুনে চন্দ্রর বুকের ভিতর জ্বালাপোড়া শুরু হয়,রাত্রি স্টেজ থেকে দেখছে না কিছু,চন্দ্র চোখ মুছে নিয়ে জোর করে মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে।

খালা কে জড়িয়ে ধরে বলে,”আরে খালা,কি করছো তোমরা,কান্নাকাটির কি আছে,আমার মা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলো তাই আল্লাহ মা’কে নিয়ে গেছে তার কাছে,আজকের এই দিনে কান্নাকাটি করো না।আপা দেখলে আজ আর হলুদ করতে হবে না।আপা কান্নাকাটি করবে।

সিঁড়িতে অনেকের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়।নিশানদের বাড়ি থেকে হলুদ দিতে মেহমান এসেছে।১৫ জনের মধ্যে ১০ জনই ছেলে।বাকী ৫জন মেয়ে।

সিমি,ইতু,লিপি,মারিয়ার পাশে এসে দাঁড়ায় চন্দ্র।সবার মধ্যে চন্দ্র কে বেমানান লাগছে।সবাই কতো সুন্দর সেজেগুজে,চন্দ্র কোনো সাজগোজ ছাড়া।

“চন্দ্র,দেখ তো রাত্রিপুর শ্বশুর বাড়ি থেকে আসা কোন মাল টাকে ভালো লাগে?”

চন্দ্র বিরক্ত হয়ে তাকায় সিমির দিকে।

“আরে বিরক্ত হচ্ছিস ক্যান,এই খানের একটার সাথে সেটিং করে নিবো,কেমন হবে বল তো?
ওই সাদা পাঞ্জাবী পরা মালটা কেমন হবে বল তো?আমার খুব ভালো লেগেছে”

“এসব কেমন কথাবার্তা তোর সিমি,মাল মাল করছিস কেনো?” চন্দ্র জিজ্ঞেস করে।

“শালী,ছেলেরা যখন আমাদের মাল বলে তখন?
এজন্য ওরা ও মাল আমার কাছে,এখন ঝটপট বল কোন মাল কে পটাবো,পছন্দ করে দে না তোরা একটু”

“ওই যে দূরে নীল পাঞ্জাবী পরা একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে,দেখছিস সিমি?”

“হ্যাঁ,হ্যাঁ,ওই মাল টা ও জোস কিন্তু,ওটাকে পটাবো?”

“আগে আমার কথা শেষ করতে দে।”

“আচ্ছা বল”

“ওই নীল পাঞ্জাবীর থেকে ২ হাত পিছনে ডেকোরেশন এর যে লোকটা দাঁড়িয়ে আছে না,কাঁচা-পাকা গোফ মুখে,তুই বরং ওই লোকটা কে গিয়ে পটা বোইন।”

চন্দ্রর কথা শুনে লিপি,ইতু,মারিয়া হাহাহা করে হেসে উঠে,এতো জোরে হাসে যে সবার দৃষ্টি ওদের সবার দিকে পড়ে।

অনিক,তুরাগ,রিদয় একপাশে দাঁড়িয়ে আছে,মেয়েলি হাসির শব্দ শুনে ঘুরে তাকায় চন্দ্রদের দিকে।

তুরাগের নজর যায় চন্দ্রর উপর। স্টেজে বসে থাকা রাত্রির দিকে তাকায় তুরাগ,চেহারার মিল থেকেই বুঝতে পারে রাত্রির বোন।
তুরাগ এগিয়ে আসে চন্দ্রদের দিকে।

সাদা পাঞ্জাবী পরা ছেলেটা কে এদিকে আসতে দেখে সিমি বলে উঠে,”ওই রে,আসতেছে আমার ক্রাশ আমার দিকে,কাহিনী তো ঘটে গেছে মাম্মা”

সবাই ঘুরে তাকায় তুরাগের দিকে।

“আমি বাজি ধরতে পারি,যতোই হ্যান্ডসাম হোক,আমার নিষাদের চাইতে বেশী না”

নিষাদের কথা ভাববে না বলে ঠিক করেছে চন্দ্র,তবুও বুকের ভিতর জ্বলুনি শুরু হয়ে যায়,চন্দ্র ভুলে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে।মনে মনে নিজেকে নিজে বলে,”নিষাদ আমার কেউ না,দুঃস্বপ্ন মাত্র,আমি আর ভাববো না তাকে।”

“তুই যে ১২ ভাতারি এতোদিন জানতাম না মারিয়া”

ইতুর ভীষণ রাগ হয় মারিয়ার কথাতে,তাই রাগের বশে বলে ফেলে।মারিয়া মোটেও রাগ হয় না ইতুর কথা তে। নিজের কৃতকর্মের জন্য কথা শুনতেই হবে মারিয়া জানে,তাই এসব গায়ে মাখে না বরং হেসে উঠে।

তুরাগ চন্দ্র দের পাশ কাটিয়ে চলে যায় অন্য পাশে,যাওয়ার সময় ৫ বান্ধবীর দিকেই তাকায়।
সবার মুখে কৃত্রিমতা শুধুমাত্র চন্দ্র ছাড়া।
তুরাগের পছন্দ হয়ে যায় তখনই চন্দ্রকে। ঠিক করে নেয় নিশান ভাইয়ের বিয়ের পরেই বাসায় জানাবে ভাইয়ার শালীর কথা।

সিমি হতাশ হয়ে বসে আছে। চন্দ্রকে ডেকে বলে,”আমার কপালে ওই মাঝবয়েসী গোঁফওয়ালা ছাড়া জামাই জুটবে না রে চন্দ্র,যা বুঝতে পারছি এতোদিনে।”

নিষাদ হোটেলে রুমের বারান্দায় বসে কফি খাচ্ছে আর চন্দ্রর ছবি দেখছে।ঘুম আসছে না নিষাদের,মাথার মধ্যে চন্দ্র ঘুরছে শুধু।চন্দ্রর ছবি বুকে নিয়ে রাতের আকাশের দিকে তাকায় নিষাদ,”আকাশের বুকে এক চন্দ্র,আমার বুকে আরেক চন্দ্র।
কে বেশি সুন্দর?
অবশ্যই আমার চন্দ্র,ওই আকাশের চন্দ্রের গায়েও কলংক আছে,আমার চন্দ্রের নেই”

নিজের কথাতে নিজেই হাসতে থাকে নিষাদ,কি ভাবছে এসব সে।কফির মগ হাতে নিয়েই রুম থেকে বের হয়ে হোটেলের লাউঞ্জে গিয়ে বসে নিষাদ,তখনই চোখে পড়ে একজোড়া কপোত-কপোতী বসে বসে কফি খাচ্ছে।

বুকের ভিতর কেমন যেনো শূন্য শূন্য লাগে নিষাদের,চন্দ্র যদি থাকতো এখন!

হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজের শব্দ আসতেই নিষাদ ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে আসে।

ভাইয়া একটা ছবি পাঠিয়েছে,ছবি ওপেন হতেই নিষাদের বুক কেঁপে উঠে,হাত থেকে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায় কফি মগ।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে চন্দ্র,নাকে অক্সিজেন মাস্ক,হাতে স্যালাইন।

নিষাদ তখনই নিশান কে কল দেয়। ভেবেছিলো নিশানের বিয়ের পর ভাইয়া,ভাবীর সাথে একদিন চন্দ্রদের বাসায় গিয়ে চন্দ্রকে চমকে দিবে নিষাদ,সেজন্য অফিসের কাজে চলে এসেছে চট্টগ্রাম।

আসার আগে নিশান কে বিয়ের কথা সব কিছু বলে এসেছে।সব শুনে নিশান খুশিতে ডগমগিয়ে উঠে,দুই ভাই এক বাড়ির জামাই জেনে দুই ভাই হেসেছে অনেকক্ষণ।নিশানকে প্রমিস করিয়ে নেয় নিষাদ,পারিবারিক ভাবে বিয়ে হওয়ার আগে যেনো কখনো কাউকে না বলে চন্দ্র আর নিষাদের বিয়ের কথা।
দুই ভাই মানিকজোড়ের মতো,একে অন্যের কথা ফেলে না কখনো।
নিষাদের কথামতোই নিশান গতকাল ফুল,চিঠি,পায়েল পাঠিয়েছে চন্দ্রর জন্য।সবকিছু নিষাদ চট্টগ্রাম যাওয়ার আগে নিজ হাতে কিনেছে চন্দ্রর জন্য।

নিশান কল রিসিভ করতেই নিষাদ জিজ্ঞেস করে,”ভাইয়া,চন্দ্রর কি হয়েছে?”

নিশান সব কিছু বলে।সব শুনে নিষাদ ফোন রেখে দেয়। অফিসে কল করে জানায় এক্ষুনি ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে সে।

নিষাদের উদ্বিগ্ন কণ্ঠ শুনে শামসুজ্জামান খাঁন বুঝতে পারে কোনো একটা সমস্যা হয়েছে নিষাদের,তাই কোনোকিছু বলে না নিষাদ কে।
নিষাদ যে তার খুবই প্রিয় আবারও বুঝতে পারে শামসুজ্জামান খাঁন।

বাসে বসে নিষাদ মনে মনে বলে,”দুশ্চিন্তা করো না চন্দ্রাবতী,ফিরে আসছি তোমার কাছে,আগামীকাল ই দেখা হবে আমাদের।খুব শীঘ্রই তোমাকে নিয়ে আসবো আমার কাছে”

মেসেঞ্জারে মেসেজ আসে,নিশাদ চেক করে দেখে তুরাগ একটা মেয়ের ছবি পাঠিয়েছে,পিছন থেকে তোলা কোনো মেয়ের ছবি।
তুরাগ নিষাদের চাচাতো ভাই,দুজনেই সমবয়সী,তুরাগ ২ মাসের বড় মাত্র।

আবার মেসেজ দেয় তুরাগ,”তোর ভাবী পেয়ে গেছি রে নিষাদ,হলুদে আসলি না,মিস করলি,এখানে একটা মেয়ে পছন্দ হয়ে গেছে আমার।কবে আসবি তোকে না দেখিয়ে শান্তি পাবো না।”

“আমি আসতেছি,আগামীকাল বিয়েতে জয়েন করবো”নিষাদ মেসেজ দেয়।

“আয় দোস্ত,মিসেস তুরাগ ‘কে দেখাবো আগামীকাল তোকে”

নিষাদ মনে মনে বলে,ওখানে যে মিসেস নিষাদ ও আছে তুরাগ,তা তো জানিস না তোরা কেউ।

চলবে….???