#নীলাঞ্জনা
#পর্ব_১৬
#লেখনীতে_শুভ্রতা(প্রাণ)
নীল নভর বিয়ের পরে কয়েকদিন কেটে গেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হলেও কিছু একটা যেন অস্বাভাবিক রয়েই গেছে। তাঁদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠলেও কিছুটা সংকোচ এখনো আছে। কারণটা হয়তো নীলাঞ্জনার জড়তা। নভও সময় দিয়েছে তাকে সবটা মেনে নিজেকে সামলে নেওয়ার জন্য। তার জন্য নভর প্রতি একরাশ ভালোলাগার সৃষ্টি হয়েছে নীলের মনে। আসলেই খুব ভালো ছেলেটা। চাইলেই পারতো জোর সবকিছু চাপিয়ে দিতে কিন্তু তা করেনি। উল্টে সময় দিয়েছে।
বিয়ের ঝামেলা শেষে সবাই যার যার কর্মক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভ্রর সাথে জয়েন করেছে নীলও। জয়েন হয়ে কিছু ছোটোখাটো কেস সামলাতেই তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নারী ও শিশু পাচারকারি এক চক্রকে ধরার। নীলও বিনা বাক্যে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে। নভও রওনক সাহেবের সাথে কাজ করে চলেছে। পিয়াল আর আমেরিকা ফিরবে না বলে এখানেই লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করেছে। ছেলে ফিরবে না দেখে পলাশ চৌধুরীও বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপত্তি করেননি নয়না আকশারও। নয়ন, নিহা স্কুল যাওয়া শুরু করেছে। গতানুগতিক চলে যাচ্ছে সবার জীবন।
সবার জীবন আগের মতো পরিবর্তন এসেছে নীল-নভ আর নিহা-অভ্রর জীবনে। নীলের জীবনে পরিবর্তন আসার কারণ, প্রথমত তার জীবনে নভ এসেছে আর দ্বিতীয়ত সে ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি জয়েন করেছে। অপরদিকে নিহা অভ্রর কাহিনী হচ্ছে, বিয়ের দিন অভ্রকে দেখেই ক্রাশ খেয়ে উল্টে গেছে নিহা। অভ্রর কাছে তা বললে অভ্র সরাসরি না করে তো দিয়েছেই একই সাথে নিহাকে বাচ্চা উপাধি দিতেও ভোলেনি। এই নিয়ে নিহার যত রাগ। সে মোটেও বাচ্চা নয়। ক্লাস নাইনে পড়ে সে। সবকিছুই বোঝে। অভ্র তাকে বাচ্চা বলে কোন সাহসে? সুতরাং নিহা এখন অভ্রকে পটানোর মিশনে আছে। অভ্রকে ছাড়া দ্বিতীয় কাউকে নাকি সে বিয়ে করবে না। আহা কি প্রেম! দিন রাত জ্বালিয়ে মারে বেচারা অভ্রকে। আমাদের অভ্রদা আপাতত মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল এর কেস নিতেও এত ভয় পান না, যতটা ভয় পান নিহাকে।
এইতো সেদিন নভ, নীল বাড়ি ফেরার সময় অভ্রকে সাথে নিয়ে এসেছিলো। আর পিয়াল তো এখন বেশিরভাগ সময় এখানে থাকে। অভ্রকে বসিয়ে রেখে নীল -নভ গিয়েছিলো ফ্রেশ হতে। সুযোগ পেয়ে নিহা এসে চিপকে বসে অভ্রর সাথে। তা দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকায় অভ্র।
“আরে ওভাবে কি দেখছেন? দেখবেনই যখন একটু সুন্দর করে দেখুন। ট্রাস্ট মি আমি কিচ্ছু মনে করবো না।”
বিরক্ত হয় অভ্র কিন্তু কিছু বলে না। ফোন স্ক্রল করতে থাকে। ইগনোর করায় রেগে যায় নিহা। ফোন কেড়ে নেয় অভ্রর হাত থেকে।
“এত সুন্দর একটা মেয়ে পাশে বসে থাকতে আপনি ফোন স্ক্রল করছেন? আপনার কাজ দেখে তো লজ্জাও লজ্জা পাবে?”
দাঁতে দাঁত চেপে অভ্র বলে
“আমার ফোন দাও স্টুপিড।”
নিহা দাঁত বের করে হেসে বলে
“আপনার লজ্জা লাগছে না নিজের বউকে স্টুপিড বলতে?”
“তোমার মনে হয় তোমার মতো একটা স্টুপিডকে অভ্র আকশার বিয়ে করে নিজের বউ বানাবে?”
ভাব নিয়ে নিহা বলে
“কোনো সন্দেহ?”
নিহার হাত থেকে ছো মেরে ফোন নিতে নিতে অভ্র বলে
“স্বপ্ন দেখা ভালো বাচ্চা।”
বাচ্চা বলায় রেগে যায় নিহা। অভ্রর কলার ধরে বলে
“এই বাচ্চা, স্টুপিডকেই আপনার বিয়ে করতে হবে মিঃ আকশার। ইটস মাই প্রমিস। এবং আমি আমার প্রমিস কখনো ভাঙি না। মাইন্ড ইট!”
কথা গুলো বলে চলে যায় নিহা। অভ্র অবাক হয়ে চেয়ে থাকে তার পথের পানে। লাইক সিরিয়াসলি? ক্লাস নাইন এ পড়া একটা বাচ্চা মেয়ে কিনা ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর অভ্র আকশারকে হুমকি দিয়ে গেলো? আহা কি দিন কাল পড়লো ভাই!
এরকম আরো নানা কার্যকলাপ এর মাধ্যমে অভ্রকে ক্রমাগত জ্বালিয়ে চলেছে নিহা।
যার যার প্রফেশনাল লাইফ নিয়ে সে সে মহা ব্যাস্ত। অভ্র, নীল নিজেদের ইনভেস্টিগেশন নিয়ে, নভ ব্যবসা নিয়ে। নীল অনেকটা চিন্তিত হয়ে আছে তার উপর দায়িত্ব দেওয়া নতুন কেসটা নিয়ে। বেশ কিছু দিন পরপরই হয় বাচ্চা নয় কোনো মেয়ে নিখোঁজ হচ্ছে। এরপরে আর কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না তাঁদের। এই কেসটার সমাধান করতে পারলেই প্রমোশন হবে তার। কিন্তু কিছুতেই যেন কুল কিনারা পাচ্ছে না সে। কোনো একটা ক্লু ছাড়া কীভাবে কি করবে?
কেস নিয়ে যত ইনফরমেশন আছে সব একে একে ফাইলে গুছিয়ে নিচ্ছিলো নীল। নভ বেডের অন্য পাশে বসে ল্যাপটপ এ নিজের কাজ করে চলেছে। এক নজর সেদিকে চেয়ে আবার নিজের কাজে মনোযোগ দেয় নীল। এমন সময় তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কিছু ছবি, কিছু ভিডিও সহ একটা টেক্সট আসে অচেনা নাম্বার থেকে। অচেনা নাম্বার থেকে আসায় অবাক হয় নীল। সচরাচর এরকম হয় না। অফিসের কেউ হতে পারে ভেবে ওপেন করতেই মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে তার। এগুলো কি দেখছে সে? এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে!
পর দিন সকালে ব্রেকফাস্ট শেষ করে সবাই বেরিয়ে গেছিলো যার যার কাজে। নয়ন, নিহা স্কুলে আর নভ, নীল অফিসে। অফিসে পৌঁছে নীল ফাইল দেখছিলো এমন সময় একজন এসে বলে এরশাদ স্যার নাকি তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। এরকম সময়ে ডাকার কারণ খুঁজে পায় না নীল। তবু উপরস্থ কর্মকর্তা ডেকেছে, যেতে তো হবেই। উঠে যায় এরশাদ স্যারের কেবিনের দিকে। স্যারের অনুমতি নিয়ে প্রবেশের পর সেখানে অভ্রকে দেখে একটু অবাক হয় নীল। তার কেসের সাথে তো অভ্রর কানেক্শন নেই। তাহলে তাকে ডাকা হলো কেনো?
“স্যার আমাকে ডেকেছিলেন?”
নীলাঞ্জনার প্রশ্নে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলেন মিঃ এরশাদ।
“অ্যাকচুয়ালি নীলাঞ্জনা আমি চাইছিলাম মেয়ে আর বাচ্চাদের নিয়ে যে কেসটা আছে সেটাতে তোমাকে একা না রাখতে। এমনিতেই তুমি কাজে নতুন তারউপর ওরা অনেক ডেঞ্জারাস। তুমি বুঝতে পারছো আমি কি বলতে চাইছি?”
সম্মতি দেয় নীলাঞ্জনা। চুপচাপ একপাশে বসে আছে অভ্র। তার এমন চুপ থাকার কারণ বুঝতে পারে না নীল।
এরশাদ সাহেব আবার বলে ওঠেন।
“তোমার সাথে এখন থেকে এই কেসটায় অভ্র এবং আরো একজন অফিসার থাকবেন যার পরিচয় আপাতত তোমার কাছে গোপন রাখা হবে। তার সাথে যোগাযোগ করতে হলে বা তার থেকে কিছু জানতে হলে অভ্রকে বলবে। অভ্রর সাথে তার কন্টাক্ট আছে।”
“ইয়েস স্যার।”
নীলাঞ্জনার সায় পেয়ে এবার এরশাদ সাহেব অভ্রর দিকে নজর দেন।
“কি ব্যাপার অভ্র সাহেব? চুপচাপ কেনো তুমি?”
মাথা তুলে তাকায় অভ্র।
“আসলে স্যার নীলাঞ্জনার জন্য কেসটা একটু বেশি রিস্কি হয়ে যায় না?”
অভ্রর কথা শুনে হালকা হাসেন এরশাদ সাহেব।
“বোনের জন্য অনেক ভালোবাসা দেখছি।”
মুচকি হাসে অভ্র।
“বোঝেনই তো স্যার। সবার অনেক আদরের। তাছাড়া বয়স, অভিজ্ঞতা দুইটাই কম। ওকে ছাড়াই তো আমরা সামলাতে পারতাম স্যার।”
একটু গম্ভীর হয়ে বসেন এরশাদ সাহেব।
“আমি জানি তোমরা দুইজনই পারতে কিন্তু নীলাঞ্জনার মধ্যে আমি যে তেজ দেখেছি তা দমিয়ে রাখতে চাইছি না। ওকে সাথে নিয়েই কাজ করো। কিছুই খারাপ হবে না। এটা আমার বিশ্বাস। কি নীলাঞ্জনা! রাখবে তো আমার বিশ্বাস?”
একটু নার্ভাস হলেও নিজেকে সামলে নেয় নীল।
“আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট স্যার।”
“দ্যাটস লাইক অ্যা ব্রেভ গার্ল।”
অতঃপর নীলাঞ্জনাকে চলে যেতে বলেন তিনি। নীল যাওয়ার পর অভ্রকে চিন্তিত দেখে বলেন
“টেনশন নিও না ইয়াংম্যান। তোমরা থাকতে নীলাঞ্জনার সাথে খারাপ কিছু হবে না। ট্রাস্ট মি।”
হাসার চেষ্টা করে অভ্র।
“রাইট স্যার। আমি ওদের কিচ্ছু হতে দেবো না।”
অভ্রও বের হয়ে যায় এরশাদ সাহেবের কেবিন থেকে। কোনো একটা বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে ভাবতে নিজের জন্য বরাদ্দ রুমে গিয়ে চেয়ারে শরীর এলিয়ে দিতেই বিকট শব্দে ফোন বেজে ওঠে। রিসিভ করলে ওপাশ থেকে জানায় আজ রাতেই নাকি তাঁদের টার্গেট করা গ্যাং এর দুইটা ট্রাক হাইওয়ে দিয়ে যাবে। খবরটা নীলাঞ্জনাকে এবং সেই সিক্রেট অফিসারকে জানিয়ে দেয় অভ্র। সেই সাথে বাকিদেরও তৈরী থাকতে বলে দেয় যাতে পরে সমস্যা না হয় অ্যাকশন নিতে।
দিন শেষ হয়ে রাত ঘনিয়ে আসছে। অভ্র আজও নীলাঞ্জনার সাথে নভদের বাড়িতেই এসেছে। এখান থেকে নীলকে নিয়ে একবারে বেরিয়ে যাবে। নভও বাড়িতে ফিরেছে। একসাথে সবাই রাতের খাবার শেষ করে যার যার রুমে ঘুমাতে চলে গেছে। অভ্র আছে গেস্ট রুমে। নীলাঞ্জনা, নভ, অভ্র তিনজনেই চিন্তিত হয়ে আছে। নীলাঞ্জনার প্রথম এত বড় মিশন সে চিন্তা আর অভ্রর নীলাঞ্জনাকে রক্ষা করার চিন্তা তবে নভ যে কি নিয়ে চিন্তিত তা ঠিক বলা যাচ্ছে না।
অভ্র গেস্ট রুমে বসে বসে ভাবছে কি হবে আজ? এমন নয় যে সে এরকম মিশনে আগে কখনো যায়নি। গেছে এবং সফলও হয়েছে কিন্তু নীল! সে তো নতুন। অভ্র কি পারবে তাকে রক্ষা করে মিশনে সফলতা আনতে। যদিও তার সাথে একজন রয়েছে তবু ভয় থেকে যাচ্ছে অভ্রর মনে। চিন্তায় ডুবে ছিলো অভ্র এমন সময় রুমে আসে নিহা।
“কি মিঃ অভ্র আকশার! আপনার রসগোল্লার মতো গাল দুটো এমন ফুলে আছে কেনো? নিশ্চয়ই আমাকে ছাড়া আর কোনো মেয়েকে বউ হিসেবে পাবেন না এই নিয়েই টেনশন হচ্ছে? আরেহ চিন্তার কিছু নেই, আমি আপনাকে অনেএএএক ভালোবাসবো। প্রমিস!”
একে তো মিশন নিয়ে টেনশন তারউপর এই মেয়ের বাঁদরামি নিজের রাগকে আর সামলাতে পারে না অভ্র।
“খুব শখ তোমার না আমার বউ হওয়ার? এই মেয়ে এই কি যোগ্যতা আছে তোমার আকশার বাড়ির বউ হওয়ার হ্যাঁ? আমি সুন্দর দেখে আমার পিছনে লেগে আছো নাকি আমাদের প্রতিপত্তি দেখে? অসভ্য, লোভী মেয়ে একটা!”
কথা গুলো বলে নিহাকে আরো যা নয় তাই বলে টেনে রুম থেকে বের করে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়। নিহার চোখ ছলছল করে ওঠে। সে তো শুধু মজা করেই বলেছিলো কথা গুলো। তাই বলে এভাবে বলবে তাকে? সে লোভী মেয়ে? প্রতিপত্তির জন্য অভ্রকে ভালোবাসে? কাঁদতে কাঁদতে নিজের রুমে চলে যায় নিহা। সিদ্ধান্ত নেয় আর কখনো অভ্রর সামনে দাঁড়াবে না সে। নিহাকে তাড়িয়ে দেওয়ার সময় তার চোখের পানি নজরে এসেছে অভ্রর কিন্তু রাগের মাথায় অত কিছু খেয়াল করা হয়ে ওঠেনি। সে বোধহয় একটু বেশিই বলে ফেলেছে। বাচ্চা মেয়েটা, কষ্ট পেয়েছে হয়তো খুব। একবার ভাবে গিয়ে সরি বলে আসবে কিন্তু পরোক্ষণেই খেয়াল হয় তাঁদের মিশনের টাইম হয়ে এসেছে। যাক এসে তারপর সরি বলে দেবে।
নীলকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে অভ্র। তাঁদের কিছুক্ষণ পর নভও কোথাও একটা বের হয়। যথাস্থানে গিয়ে অভ্র, নীল টিম নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে ট্রাক কখন আসবে তার জন্য। এক সময় তাঁদের চোখে ট্রাকের আলো এসে লাগে। ট্রাক থামায় অভ্র। পুলিশ ফোর্স সাথে থাকায় সমস্যা হয়নি। ট্রাক চেক করলে তাতে মেয়ে বা কোনো বাচ্চা না পেয়ে হতাশ হয় সবাই। ট্রাকের ড্রাইভার জানায় এগুলো তাঁদের তাড়াতাড়ি সাপ্লাই করতে হবে। দরকারি প্রোডাক্ট। একটু সন্দেহ হয় অভ্রর। একটা বস্তা খুলে দেখতে চাইলে ড্রাইভার বেশি করে তাড়া দিতে থাকে। তাতে সন্দেহ আরো জোরদার হয়। এক সময় দেখতে পায় এই ট্রাক ভর্তি জিনিসের সাথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ড্রাগস্!
সবাই মিলে ড্রাইভারকে আটক করলেও তার সাথে থাকা হেলপার মিসিং হয়ে যায়। অভ্র আর নীল ড্রাইভারকে ফোর্স দিয়ে থানায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজেরা সেই হেলপারের খোঁজ করতে থাকে। খুঁজতে খুঁজতে দুইজন দুইদিকে চলে যায়। এমন সময় নীলের কানে আসে গুলির শব্দ। শব্দ অনুসরণ করে সেদিকে এগিয়ে গেলে যা দেখতে পায় তাতে তার সারা শরীর শিউরে ওঠে।
অভ্রর দিকে বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে আছে নভ। তার মানে নীলের কাছে আসা ভিডিও, ছবি, টেক্সট সব সত্যি ছিলো! নভ জড়িত এগুলোর সাথে? অভ্র দুই হাত উপরে তুলে দাঁড়িয়ে আছে। তা দেখে দিকবিদিক শুন্য হয়ে কিছু না ভেবেই নভর উপর গুলি চালিয়ে দেয় নীল। সেই সাথে শুনতে পায় আরো একটা গুলির শব্দ। চেয়ে দেখে অভ্র পড়ে গেছে মাটিতে। তার পেছন থেকে একটা লোক দ্রুত ট্রাকে উঠে ট্রাক নিয়ে চলে গেলো। দিশেহারা হয়ে অভ্রর দিকে ছুটে যায় নীল। বুকে গুলি লেগেছে তার। কল করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকে সেই সাথে অফিসেও সব জানায়। হঠাৎ মনে পড়ে নভর কথা। তাকেও তো নীল গুলি করেছে!
যেখানে নভ ছিলো সেখানে গিয়ে তাকে না পেয়ে আশেপাশে খুঁজতে থাকে নীল। তার মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স এসে পড়ায় অভ্রকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায়। নীল ভাবতে থাকে হয়তো নভর সাথে যারা জড়িত তারাই হয়তো নিয়ে গেছে নভকে যখন নীল অভ্রকে নিয়ে ব্যাস্ত ছিলো তখন।
চলবে…?