প্রণয়প্রেমিকের নেশাক্ত প্রণয়োণী পর্ব-০৭

0
288

#প্রণয়প্রেমিকের নেশাক্ত প্রণয়োণী
#লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)
#পর্ব_০৭

‘মিসেস আনজুমা ফাওয়াজ আপনার সন্তানকে একটু বুঝ দিবেন প্লিজ! সে কেনো বিলাসিতা ছেড়ে মরণের পথ বেছে নিচ্ছে হুম। তার কি ইচ্ছে করে না ঈদ উপলক্ষে বাবা-মা,ভাইবোনের সঙ্গে খুশিতে মেতে থাকার। শুধু যে ইলেকশনের কারণে আমি আপনার ছেলেকে মার’তে পারছি না। যেহেতু জনগণের পক্ষ নিয়ে জিততে হবে আমাকে। সেহেতু ভেজালমিশ্রিত খাদ্য খেয়ে হলেও তারা আমাকে ভোট দেবে। তবে চিন্তে নেই ঈদের পর আপনার ছেলেকে পিষ করে মে’রে নদীতে ফেলে দেব।’

নিবার্চনের লিস্টে থাকা প্রথম যাচাইকৃত মন্ত্রী মোকলেস মাহতাব। তার কথা আনজুমা শুনেও প্রতিক্রিয়া করল না। নিশ্চুপে ফলমূলের পলিথিন আঁকড়ে ধরে পাশ কাটিয়ে প্রস্থান করে। মোকলেস সাহেব সামান্য এক বয়স্ক নারীর উপেক্ষা পেয়ে ভীষণ অপমানিত বোধ করে। লেখিকা_তামান্না(আল রাইয়ান)তার এসিস্ট্যান্ট রহিম এসে বলে,

‘স্যার আপনার ভাষণের সময় হয়ে গিয়েছে চলুন!’

মোকলেস সাহেব অগ্নিকোণে আনজুমার প্রস্থান করা দেখতে থেকে মঞ্চে উঠল। আড়চোখে এক ব্যক্তি তিক্ষ্ণ দৃষ্টিগোচরে চেয়ে গেল। তবে অগোচরে বাঁকা হাসি দেয় আনজুমার উপেক্ষীয় দিক দেখে।
__

আজীব ক্লাস শেষে ভার্সিটির পেছনে ঝেউলা বাগানের মধ্যে এক খড়ের চড়ে বসে আছে। সেখানে সব স্টুডেন্ট’স যার যার মত বসে আড্ডা দিচ্ছে। কথা বলা,হর্নের শব্দে যেন আজীব বিরক্তিসূচক ভ্রু কুঁচকে চর্তুপাশ্ব পরিলক্ষ্য করে। নয়েজিং এর ফলে সে উঠে লাইব্রেরির দিকে পা বাড়ায়। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে না ঢুকতে কোনো এক নরম দেহের অধিকারীনির সঙ্গে জোরালো টক্কর খেয়ে পড়ল। মেয়েটি আহাম্মকের মত চেয়ে রইল। আজীব পড়ে যাওয়ায় কোমরে হাত রেখে ‘উফ ভাঙ্গল বুঝি’ কথা আওড়ে থুতনী উঠিয়ে দেখে সে পড়েছে মেঝেতে। বরঞ্চ যার সঙ্গে টক্কর খেল সে সহিসালামতে দাঁড়িয়ে আছে। তাজ্জব হলো সে ছেলে হিসেবে সে নরম নয় ও বডিমার্শাল থাকার পরও কেমনে পড়ল! নির্বোধ দৃষ্টিতে চেয়ে আজীব তার চোখ পিটপিটে বলে,

‘তুমি পড়লে না!’

মেয়েটি ইতস্ততঃ হয়ে পড়ল। ঠোঁট কামড়ে পায়ের কদম ফেলে আজীবের সামনে হাত এগোয়। করুণ গলায় শুধায়।

‘তোমার মুগ্ধতায় এতটা কয়ে ছিলাম যে ধাক্কা মেরে কোমর শেষ করে দিলাম।’
‘ভারী ডেঞ্জারাস মহিলা তুমি। এক ছেলেকে ফেলছ তা আবার স্বীকার করতেও তোমার অনুতপ্ততা আসছে না।’
‘ও মিস্টার ইচ্ছেকৃত নয় অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটেছে। ফলে সহায়তার হাত কিন্তু অপেক্ষা করছে।’

আজীব চোখ ঘুরিয়ে ভাবসূচক গলায় বলে,

‘নো নিড আই উইল হ্যান্ডেল মাই সেল্ফ।’

নিজের মত দাঁড়িয়ে জামার মধ্যে এঁটে যাওয়া ময়লাগুলো ঝেড়ে নিল আজীব। মেয়েটিকে উপেক্ষা করে পাশ কাটিয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ে। মেয়েটি সূচালো দৃষ্টিতে চেয়ে বাঁকা হেসে বলে,

‘আজুবাবু দূরে আর কই যাবা! বইয়ের পাতায় যতই ডুবো পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় খালি আমাকে দেখার জন্য তৈরি হয়ে নাও। এই ফারিনের নজর গিয়ে আঁটকিয়েছে আপনার উপর। সহজে তো ছাড়পাত্রী আমি নয়। সেই কলেজ লাইফে আপনার প্রেমে পড়ে ছিলাম। রিজেক্ট নামক বাঁশ খেতে খেতে অন্য মেয়েরেও আপনার দিকে নজর দিতে দেয়না। যাক অবশেষে আপনাকে পাওয়ার লোভে একসপ্তাহর মধ্যে চলেই এলাম। আজকে নিজের শ্বশুরবাড়ি দেখতে যাবো।’

ঢেং ঢেং করে কোমর দুলিয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ল ফারিন। প্রেমিকের পাশে অন্য মেয়েকে চোখ দিয়ে গিলে খেতে দেখে অসহনীয় শ্বাস ফেলল সে। দিগিদ্বিক বিবেচনাহীন এগিয়ে গিয়ে মেয়েটার সামনে আজীবের গালে চড়াও করে চুম্বন দেয়। বিশেষণের মায়াবতীর ন্যায় কারো চুমু খেয়ে যেন ফিট খেল আজীব। ভয়াবহ নজরে তাকায় সে। ধাক্কা লাগা সেই মেয়েটির সাহস দেখে অবাক হলো চরম!
বিরক্তের কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে।

‘হাউ ডেয়ার ইউ টু কিস মি!’

কথাটি খুব উচ্চস্বরে হওয়ায় ড্যাব ড্যাব করে তাকায় লাইব্রেরিয়ানর্স! ব্যাপারটায় হকচকিয়ে উঠে আজীব। সে ভাবেনি তার কণ্ঠস্বর এতটা তিক্ষ্ণ ও ফাঁটাবাঁশ হবে যার ফলে সকলের কর্ণগোচর হবে। ফারিন লজ্জা পেল ভীষণ। তবুও আত্মস্বার্থ হয়ে সে আজীবের গলা জড়িয়ে ধরে বলে,

‘হবু বরকে কিস করাই যায় মিস্টার কুমির।’

‘কুমির’ শব্দটা শুনে থমকে গেল আজীব। এই কুমির ডাকটা তাকে শুধু এক ব্যক্তিই ডাকার সাহস রাখতো। যাকে সে প্রথমে বিরক্তির তালিকায় ফেললেও পরের বার থেকে পছন্দের সর্বোচ্চ চওড়ায় মনের অজান্তে স্থান দিয়ে বসেছে। অবাক সহিত গলায় বলে,

‘ফারু!’

শুনে ফারিনের অন্তরে প্রশান্তির জোয়ার উঠল। তার অর্থ হলো আজীব ভুলেনি আজও তাকে মনে রেখেছে। আজীব মিটমিটিয়ে হেসে বলে,

‘কলেজের সময়কালীন এত প্রপোজ রিজেক্ট করার পরও দেখি তোর সুবুদ্ধি হয়নি। তো আজ কি বুঝে হবু বর বলছিস হুম! নিশ্চয় প্রাঙ্ক করছিস। যাই হোক আমি আজও তোকে রিজেক্ট করলাম কোমল গলায় ফুহ্।’

ফারিনের মুখের উপর ঠোঁটের ফুহ্ দিয়ে আজীব বই গুছিয়ে বেরিয়ে যায়। অথচ ফারিন তার যাওয়ার পানে অসহায় নয়নে চেয়ে রইল। ভাবে খুব বেশি কি ক্ষতি হবে আমায় ভালোবাসলে! কেনো বুঝেন না আপনার প্রতি আমার অনুভূতিগুলো সত্য ও স্বচ্ছ। কথাগুলো মুখে প্রকাশ করা হলো না তার। নিশ্চুপে মনের গহীনে চেপে রেখে প্রস্থান করে। কারণ অনেকে মিটমিটিয়ে হাসছে তার উপর। আজীবের বলা কথাগুলো তাকে তাদের কাছে তাচ্ছিল্যের সমানে ফেলেছে। বাসায় এসে ফারিন রাগে গজগজ করছে। আজীবের মুগ্ধতার নেশায় সে পাগলপ্রায়। ছোট থেকে দাদির আশ্রয়ে বড় হলো। বাবা-মা রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়ে ছিল। সেই থেকে দাদির পরম স্নেহ-মমতায় সে বড় হয়। আজীব ও সে বর্তমানে একই বর্ষে আছে। তবে ডিপার্টমেন্ট ভিন্ন একে অপরের। আজীব সাইন্স ও ফারিন বিজনেন্স গ্রুপ। পড়াশুনার ফাঁকে প্রিয়তমের স্মৃতিচারণ করতে ভুলে না। কলেজে সে আর আজীব একসঙ্গে ছিল। পড়াশুনার কাতিরে দুজনের মাঝে বেশ ভালো বন্ডিংও তৈরি হয়ে ছিল। পরন্তু ভালো থেকে ভালোবাসার বন্ডিংটা ফারিনের মনে একতরফা স্বরুপ জাগ্রত হয়ে যায়। সে প্রতিবার কাজ,চালচলনের দ্বারা আজীবকে বুঝিয়ে দিতো মনের কথা। কিন্তু আজীবের পক্ষ থেকে ফলাফল শূন্য! বিধেয় একদিন পুরু কলেজের সামনে মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে মনের কথা ছাড়লে সেদিন আজীব সরাসরি নাকচ করে। তারপরে সে আর আজীবের সঙ্গে থাকেনি। অভিমানে সরে গেল। কলেজ পরিবর্তন করল, বাসাবাড়ি পরিবর্তন করে কলেজ পাশ করলেই ইংল্যাণ্ডে পাড়ি জমায়। তবে উৎকট ব্যাপার হলো এত সুদর্শন পুরুষ থাকার সত্ত্বেও ফারিনের মনে অন্য কোনো ছেলে স্থান নিতে পারল না। সে আজও আজীবকেই তার মনে স্থান দিয়ে রেখেছে। বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ গুজে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। দাদি আড়াল থেকে নাতনীর কষ্ট দেখে অসহায়বোধ করে। পরক্ষণে তিনি কিছু একটা ভেবে রুমে প্রবেশ করে। দাদিকে দেখে ফারিন চুপসে যায়। তবে দাদির আশ্বস্তভরা নেত্রপল্লব দেখে মন হালকা হলো তার। দাদি ফারিনকে আগলে বলে,

‘খুকি কষ্ট পাইস নেহ্। শুন তোকে বুদ্ধি দেয় দেখবি আজীব তোর প্রেমে হাবুডুবু খাবে। এমন কাহিনী অনেক সফল হয়ছে।’

‘কেমনে দাদি!’
‘শুন তুই অন্য পোলার লগে পিরিত কর। আজীবকে দেখিয়ে হেসে টেসে গায়ে ঢলে পড়ার মত ধেই ধেই করিস। দেখবি কাজটা কাজে লাগবে। আর পোলা কে হবে জানিস!’

ভ্রু কুঁচকে ফারিন বলে,’কে’। দাদি শয়তানি হেসে বলে,

‘তোর আহিফা বান্ধবীর ছোট ভাই নাঈম আছে না হের লগে।’
‘কি!’
বলে চিৎকার দিয়ে উঠে ফারিন। নাঈমের সঙ্গে পূর্ব পরিচিত সে। নাঈম যথেষ্ঠ সচেতনবাদী ও সততাময় ব্যক্তি। আহিফার সঙ্গে ইংল্যাণ্ডে ভাব জমায় কথার ছলে তার পরিবার সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। দেশে এসে প্রথমবার আহিফার বাসা অব্দিও গেল। দুজনের মাঝে বন্ধুসুলভ ভাব হওয়ায় ‘তুই-তোকারি’ মুখের মধ্যে লাগামহীন। সেখানে নাঈমের বয়স বিশ বছর চলছে। ছেলেটা সবেই মেডিক্যাল ভার্সিটি ভর্তির লক্ষ্যে এডমিশন টেস্ট দেওয়ার জন্য কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। নিজ চক্ষে সে আহিফার সঙ্গে নাঈমের কোচিং সেন্টারেও গিয়ে ছিল। সেই নাঈমের সঙ্গে প্রেমের সমালাপ করার অর্থ হলো বিনা অনুমতিতে বালিতে গড়াগড়ি খাওয়া। দাদির কথায় সরাসরি নাবোধক উত্তর ক্ষেপন করে ফারিন। তবুও দাদী নাছোড়বান্দা। তিনি ফারিনের ফোন নিয়ে
আহিফাকে ঘটনা খুলে বলে। আহিফা ফারিনের থেকে জেনে ছিল তার জীবন বাবা-মা-হীন হলেও পরম স্নেহময়ী দাদী আছে। যিনি আগলে রেখেছে এত বছর। দাদীর স্বেচ্ছায় অনুরোধ ব্যক্ত করে আহিফার কাছে। সেও একপায়ে রাজি হয়ে গেল। কেননা সে মনে মনে আন্দাজ করে ছিল বটে। তার পড়ুয়া বিদ্যাসাগর দেবরকে পটানো কোনো যৌগিক ব্যাপার নয়।

____

আশফি বিল্ডিংয়ের সাত তলায় দাঁড়িয়ে লিফ্টের কার্যক্রম লক্ষ করছে। তার কলিগ রোদ্দুর এককোণায় দাঁড়িয়ে বিষন্নতার নয়নে চেয়ে ঢোক গিলছে। তার বস বলেছে আশফি এলে যেন সত্য কথা ব্যক্ত করে দেয়। কিন্তু পুরু একসপ্তাহ হয়ে গেল আশফি এসেছে। অথচ তার মুখ থেকে মন্ত্রীদলের অসৎ কারবারের কথা এখন অব্দি বের হয়নি। রোদ্দুর মাথা ঝেড়ে দুকদম এগোয় পুনরায় পিছিয়ে গেল। আপনমনে বিড়বিড়ে বলে,

‘না রোদ্দুর তুই ভয় পেলে আশফির অজয় ও মন্ত্রীর জয় হবে। ইউ ক্যান বি সে ট্রু!’

ভাবনায় এক কথা বলে সে পা ফেলে নিকটস্থ হলো আশফির। তবে মুখ তার থরথরে ঘামছে। যে ভাবনা এঁটে সে নিজেকে ধাতস্থ করে ছিল। ক্ষণিকের মাঝেই তা উবে গেল। আশফি সবটা খেয়াল করেছে লিফ্টের থাইগ্লাস দিয়ে। কপাল চুলকে সে হুট করে রোদ্দুর মুখোমুখি হয়ে যায়। বেচারা ভেবাচ্যাকা খেয়ে যায়। চোখজোড়া চুলকে হেহে করে বৃথা হাসি দেয়। বরঞ্চ আশফি গম্ভীর থমথমে দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। রোদ্দুর ঠোঁট নেড়ে হতাশার শ্বাস ফেলে বলে,

‘মন্ত্রীর দলবল এসে ধমকে গেছে, এই বিল্ডিংকে সে জু’য়া খেলার ক্লাব বানাতে চাইছে।’
‘আর!’
‘আর সে তোর আম্মুকেও হু’ম’কি দিছে!’

মায়ের উপর হু’মকি দেওয়ার দুঃসাহস করে বড্ড বড় ভুল যে ঐ মন্ত্রী করেছে। সে এর তিক্ষ্ণ সাজা দেবে। চোখমুখ রক্তিমবর্ণে পরিণত হবার পূর্বেই সে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। নিসাড় কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে।

‘কি বলছে!’
‘সে বলেছে হয় এবারের ঈদে তুই থাকবি না হয় সে মন্ত্রীর আসন পুনরায় গ্রহণ করার পর তোকে খু’ন করার রিস্ক নেবে। কিন্তু এসবে আন্টি নাকি কোনো রিয়েক্ট করেনি। আন্টির মৌনতা দেখে মন্ত্রী ক্ষেপে কুটিল কথা বলে দেয় যে, সে আন্টিকেও ছাড়বে না। যদি তু….।’
‘আমি বিলিংয়ের কাজ তাকে না দেয় তো।’

রোদ্দুর শুনে মাথা নেড়ে সঠিক উত্তর দিয়েছে বোঝাল। আশফি বাঁকা হেসে বলে,

‘তারা নিজেরাও জানেনা আমার জননী কে আর কার স্ত্রী! ইশ! তাদের কপাল পুড়ব। ভাবছিলাম খালি পাঙ্গা আমার সঙ্গে নিল। না এরা জননীর পেছে তিক্ত কথা বলায় না জানে জননীর স্বামীর মধ্যে কিরুপ আগ্নেয় লাভা উত্তপ্ত হচ্ছে।’

তার বন্ধু শুনে প্রশ্নাত্মক দৃষ্টিতে চাই। আশফির কার অর্থ সে বুঝল না। আশফি আনমনে হেসে বলে,

‘ঐ জাস্ট জোকিং। চিন্তে করিস না মন্ত্রী কিছুই করতে পারবে না।’

রোদ্দুর আশফির শান্ত,রিলেক্সিং মুড দেখে থম মেরে যায়। যেহেতু সে স্বেচ্ছায় বলছে কিছু হবে না সেহেতু সব শুদ্ধ রইবে। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে রোদ্দুর আশফিকে বলে,

‘ঈদের আর দুদিন বাকি। ইলেকশনও বসেছে। কি ভাবছিস কমপ্লিট হবে আমাদের প্রজেক্ট!’

‘নট এ টল। ঈদের পরপর সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এন্ড দ্যাটস মাই গ্যারান্টি।’

কথার সমাপ্তি টেনে সে বিদায় নেই। অপরপাশ্বে রোদ্দুরও নিশ্চিত মনে প্রস্থান করে।
আশফি ফামহাউজের সামনে এসে গাড়ি থামায়। তাকে বের হতে দেখে গার্ডস স্ট্রিকলি দাঁড়িয়ে যায়। দরজা প্রতিনিয়ত খোলা হয় তবে কাউকে আজ পর্যন্ত ক্ষতি করা হয়নি। শুধু ক্ষতিকারকদের বিনাশ করেছে। চাবি বের করে দরজার তালা খোলে ফেলল।
ভেতরে ঢুকে তার আসনগ্রহণ করে। সেখানে বসে পায়ের উপর পা তুলে চোখ বুজে নেয়।
মন্ত্রীর খেলার সমাপ্তি টানবে সে আজ রাতে। তাও কেমনে সেটা সে ভেবেই আনমনে হেসে বলে,

‘তোর রগরগের খবর রাখি। কুকীর্তির ছাড়পত্র তৈরি করে রেখেছি। এখন না থাকবে কোনো লাঠি, না থাকবে কোনো বাঁশি। এক তীরে দুই নিশানা ডিসাও।’

চলবে…