#প্রতিশোধ
#শিখা
#পর্ব_৯
আমরা শুভর বাসায় পৌঁছে যাই, ছোট্ট একটা বাসা, তারপরও অনেক সুন্দর পাহাড়ের উপর বাসা গুলো, একটু বেশি সুন্দর হয়..
শুভ: তুমি বাসা দেখো আমি একটু বাহির থেকে আসছি কিছু কেনাকাটা করে আসি…
আমি বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম, বাড়ি ঘুরে দেখছিলাম হঠাৎ একটা রুম চোখে পড়লো, সব রুমের দরজা খোলা ছিল কিন্তু এই রুমের দরজাটা বন্ধ ছিল ভিতর থেকে কোন আওয়াজ আসছে আমি দরজার সামনে গেলাম…
দরজায় কান পেতে শুনি ভিতরে কোন আওয়াজ আসছে কিনা, দরজায় তালা মারা অথচ ভিতর থেকে আওয়াজ আসছিলো, আমি আশেপাশে তাকালাম কোন চাবি আছে কিনা? আমি দরজায় আবার কান পেতে শোনার চেষ্টা করলাম..
শুভ: তুমি দরজার পাশে কি করছো? এদিকে আসো?
আমি: ভিতর থেকে আওয়াজ আসছে..
অনেকদিন ধরে এই রুমটা বন্ধ তার জন্য হয়তো ইদুর হয়েছে ..
আমরা সকাল সাতটার দিকে এখানে এসে পৌঁছেছিলাম, তার জন্য দুজনেই ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দেই। ঘুম থেকে উঠেই আমরা ঘুরতে বের হলাম…
আমরা একটা শপের ভিতরে গেলাম, যেখানে কাঠের অনেক জিনিস রাখা ছিল। প্রতিটা জিনিস অনেক সুন্দর ছিলো, আমি শুব কে বললাম কিছু কিনে দিতে…
শুভ:তোমার যেটা ভালো লাগে তুমি সেটা না,
শুভর কল আসাতে শুভ বাহিরে চলে গেল! আমি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম তখনই দোকান মালিক আমার কাছে আসে..
দোকানদারঃ আপনি কি নতুন বিয়ে করেছেন?
আমি: চার মাস হল
দোকানদার: সাবধানে থাইকেন
শুভ আমাদের কাছে আসে, দোকানদার কিছু না বলে চলে যায়। এমন লাগছে দোকানদার খুব ভয় পেয়ে আছে
শুভঃ তোমার কিছু পছন্দ হয়েছে? নাকি আরো কিছু বাকি আছে..
আমি: না প্রায় হয়ে গেছে
শুভঃ তাহলে চলো আমি তোমাকে বাসায় রেখে যাবো। আমার একটু কাজ আছে যেতে হবে..
আমি: এখানেও কাজ? আমরা তো ঘুরতে এসেছিলাম তাই না?
শুভ :দেখো আমার তো কাজ করতে হবে তাই না?কাজ না করলে তো চলবে না, ডেড কল করে বলল যেহেতু আসছি একটু কাজটা করেই যাই..
শুভ আমাকে বাসায় রেখে চলে গেল আমি বাসায় একা ছিলাম। নতুন জায়গায় সবকিছু নতুন ছিল, হঠাৎ আমি আবার আওয়াজ শুনতে শুরু করলাম। আমি আবার সেই দরজাটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, খুব ভয় করেছিলো..
আশেপাশের কোন চাবিও ছিল না, তাই খুঁজে একটা লোহার রডের মত লাঠি খুঁজে পেলাম, সেটা দিয়ে অনেকক্ষণ বাড়ি দেওয়ার পর ভাঙতে পারলাম
তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম রুমটাও যথেষ্ট পরিষ্কার। কোন প্রকার ময়লা নেই, এমন লাগছে এখানে মানুষ ছিল
আমি ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখছিলাম খুব ভয়ও করছিল আমার, রুমের ভিতরে কিছুই ছিল না অথচ আমি বাহির থেকে ঠিকই আওয়াজ পাচ্ছিলাম..
শুভ হতুমি এ রুমে কি করছো? তোমাকে আমি বলেছিলাম এই রুমে না আসতে
হঠাৎ করে শুভর আওয়াজ শুনে আমি কেপে উঠলাম, আমার ভয় পাওয়া দেখে শুভ আমার কাছে এসে, আমার হাত ধরে আমাকে রুম থেকে বের করে..
শুভ এই রুমটাতে আমরা কেউ কখনো আসি না, এটা আমার মার রুম সবাইকে এটার ভিতরে যেতে নিষেধ করছে..
আমি: অথচ রুমটা কত পরিষ্কার এমন লাগছিল বেটার ভিতরে কোন মানুষ থাকে…
অপরদিকে
শুভর মা একটা ক্যাফেতে বসেছিল আর তার সামনে বসে ছিল আধবয়সী একটা পুরুষ..
শাশুড়িঃ ইদানিং অনেক কষ্ট করে বাসা থেকে বের হতে হতো, আমার বউটা প্রতিদিন জিজ্ঞেস করতো কোথায় যান? সাথে জানি নিয়ে আসি এটা ওটা?
খালেক সাহেব: বাসা থেকে ওইভাবে আর কয়দিন লুকাতে পারবা,?
শাশুড়ি: হ্যাঁ তার জন্যই তো ছেলেকে দিয়ে পাঠালাম কয়দিন ঘুরে আসুক, যাতে প্রতিদিন বের হতে সমস্যা না হয়, ঐদিন তো আমাকে বলতেছে আমি যেন আমার বান্ধবীর বাসায় ওকে নিয়ে যাই, ওর একা নাকি বাসায় থাকতে ভালো লাগে না।
খালেক সাহেবঃ হ্যাঁ যদি জানতে পারতো, তুমি আসলে বান্ধবীর বাসায় না, অন্য কারো কাছে আসো তাহলে তো খুব খারাপ হয়ে যেত..
শাশুড়ি মা: মেয়েটা অনেক প্রশ্ন করে? কোথায় যাই কেন যাই? কেউ ক্যান বাসায় আসে না? আমি কেন কাউকে কোথাও নিয়ে বাসায় আসি না? এটা ওটা মাঝে মাঝে তো মনে হয়, একদম বাকিদের মতো কেউ শেষ করে ফেলী..
খালেক সাহেব: এমন কিছু করবো না, তুমি নিজে শেষ হয়ে যাবে তুমি তো যানোই..
শাশুড়ি মা: হ্যাঁ তাও ঠিক তার জন্যই তো চুপ আছি আচ্ছা থাকো তুমি কালকে আবার আসবো..
চলবে।