প্রিয়দর্শিনীর খোঁজে পর্ব-০২

0
462

#প্রিয়দর্শিনীর_খোঁজে❤
|| পর্ব – ২ ||
#লেখনীতে_বিবি_জোহরা_ঊর্মি

মেরুন রঙের সুতি শাড়ি পড়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো তাহনা। রাইশা নিজের রুমের বেড এ বসে ফোন চাপছিল। তাহনাকে বের হতে দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়লো।
তাহনা কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রাইশা তাহনার কাছে এগিয়ে গেল। তাহনাকে পা থেকে মাথা অব্দি এক নজর পর্যবেক্ষণ করে নিল। এতে তাহনা একটু অস্বস্তিতে পড়লো।

রাইশা তাহনা কে বলল,

‘তোমাকে তো খুব সুন্দর লাগছে ভাবি।’

রাইশা জ্বিবে কামড় বসালো। ইস! কি বলে ফেললো সে। তাহনা তো বোকা বনে গেল। ও আবার কবে এই মেয়ের ভাবি হয়ে গেল?

‘সরি। সরি। আসলে, ভাইয়ার সাথে তোমাকে দেখে ভেবেছিলাম ভাইয়া বিয়ে করে ফেলেছে। তাই এখন ভুল করে তোমাকে ভাবি বলে ফেলছি। কিছু মনে করো না প্লিজ।’

তাহনা একটা মুচকি হাসি দিল রাইশার কথায়। তারপর বলল,

‘ঠিকাছে আপি। ভুল হতেই পারে। আমি যেই সাজে এসেছি তাতে তোমার ভাইয়ের বউ বলেই সবাই ধরে নিয়েছিল।’

‘আচ্ছা তোমার নাম কি গো?’

‘তাহনা।’

‘তাহনা? নাকি তানহা?’

‘তাহনা।’

‘এই প্রথম এই নাম শুনলাম। কে রেখেছে নাম টা?’

‘আমার বাবা।’

‘অহ। আচ্ছা চল।’

রাইশা তাহনার হাত ধরে তাকে নিচে নামিয়ে তার মা’র কাছে নিয়ে গেল।
.
রিদের মা খাবার টেবিলে দাঁড়িয়ে সবার জন্য খাবার রেড়ি করছেন। রিদের বাবারও আসার সময় হয়ে গেছে। রিদের মা’র একটু ভয় ভয় লাগছে। মেয়েটিকে দেখে কেমন রিয়েক্ট করবে কে জানে।

‘মা।’

রাইশার ডাকে তার মা পিছন ফিরে তাকালো। রাইশার সাথে তাহনাকে শাড়ি পড়া অবস্থায় দেখে বেশ অবাক হলেন তিনি। রাইশার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,

‘তুই ওকে তোর ড্রেস না দিয়ে শাড়ি কেন দিতে গেলি?’

রাইশা একটু হেসে বলল,

‘আর বলো না মা। আমি ওকে যাই পড়তে দেইনা কেন, ও পড়ে আসলে মনে হয় ওর মতো আরো দুটো ঢুকে যেতে পারবে। হাহাহা। এতো চিকন ও।’

রিদের মা তাহনার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, শাড়ি এলোমেলো ভাবে পড়ে ছে। কুচি ছাড়া পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে কোনো রকম পড়ে এসেছে সে।
রিদের মা হাসতে লাগলেন। হাসতে হাসতে বললেন,

‘তুমি কি পড়েছো? শাড়ি পড়তে পারো না?’

তাহনা নিচু হয়ে জবাব দিল।

‘না আন্টি। কেউ নেই যে আমাকে শাড়ি পড়া শিখিয়ে দিবে।’

রিদের মা’র খারাপ লাগলো। না হাসলেও পারতো। উনি তাহনা কে নিজের সামনে দাড় করিয়ে বললেন,

‘তোমার মা নেই?’

তাহনার চোখে পানি টলমল করছে। কেঁদেই দিবে সে এক্ষুনি।

‘না আন্টি। আমার মা অনেক আগেই মারা গেছেন। আমার বয়স যখন মাত্র দশ বছর তখনই। আমি আমার বাবার কাছেই মানুষ।’

‘অহ। এই কাঁদছো কেন? একদম কান্নাকাটি নয়। আসো আমি তোমাকে সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছি।’

রিদের মা তাহনা কে নিয়ে ওনার রুমে চলে গেলেন। এদিকে রিদ সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে ওদের সব কথা শুনে নেয়। তাহনার মা নেই শুনে কেমন যেন খারাপ লাগলো তার। তাহনার উপর ওর খুব মায়া হচ্ছে। মেয়েটা মা’কে হারিয়েছে। এখন তার ভালোবাসার মানুষটিকেও হারালো সে। ধোকা দিয়েছে সেই মানুষটি তাকে।
.
তাহনা কে সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে ডাইনিংরুমে নিয়ে এলেন রিদের মা। রিদ অলরেডি খাবার খাওয়ার জন্য চেয়ারে বসে পড়েছে। তাহনা কে আর রাইশা কে রিদের মা বসতে বললেন। ওরা বসে পড়ল।

রিদের মুখোমুখি বসেছে তাহনা। তাহনার পাশে রাইশা। রিদের মা তিনজন কে-ই খাবার পরিবেষণ করলেন। খাবার খেতে খেতে রিদ বলল,

‘মা। তুমিও বসে যাও না।’

‘নারে। তোর বাবা আসুক। তারপর খাব। তোরা খেয়ে নে।’

রাইশা মুচকি হেসে রিদ কে বলে,

‘ভাইয়ু। দেখেছ? মা বাবাকে কতটা ভালোবাসে।’

রিদের মা চোখ পাকিয়ে বলেন,

‘ওরে পাকনা মেয়ে আমার। চুপ করেন। জলদি খেয়ে আমায় উদ্ধার করেন।’

‘মা…। ভালো কথা বললাম আর তুমি কেমন করছ।’

‘ভালো না বাসলে কি করে হয় বনু? আমাদের বাবা তো বরাবরই তার ব্যক্তিত্বের জন্য সবার কাছে প্রিয়। আর যে মানুষ টা ছাব্বিশ বছর ধরে তার সাথে থাকছে সে কি করে ভালো না বেসে থাকতে পারে বলতো।’

রিদের কথায় রাইশা মিট মিট করে হাসলো। রিদের মা এবার বেশ লজ্জায় পড়লেন। ছেলে মেয়েরা যে কি শুরু করেছে তাকে নিয়ে। তার লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গি রিদের চোখের স্পষ্ট ধরা পড়ছে।

এদিকে তাহনা ওদের কার্যকলাপ দেখে যাচ্ছে। সে ভাবনায় ডুব দিল। মায়েরা বাবাদের এভাবেই ভালোবাসেন তাইনা? আজ যদি তার মা বেচে থাকতেন তাহলে এভাবেই তার বাবা আসার অপেক্ষায় থাকতেন।

রিদ তার মা’কে আবারও জিজ্ঞেস করল,

‘মা, বাবা কখন আসবে? আজ ছুটির দিনেও অফিসে যেতে হলো?’

রিদের মা একটা তপ্ত শ্বাস ছেড়ে বললেন,

‘আর বলিস না। ফ্যাক্টরি তে আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার। শ্রমিকরা কেউই ছিল না আজ ওখানে। নাহলে যে কি হতো।’

রিদ বেশ অবাক হলো।

‘আগুন লেগেছে? কিভাবে?’

‘বলতে পারবো না। খবর পেয়ে তোর বাবা ওখানে চলে যান। আমাকে বলেন দুপুরে খাবার সময় আসবেন। তোর বাবার অফিসের সব লোক গিয়েছে। শ্রমিকরাও খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছে। একটু আগে ফোন দিয়েছিল। বললেন আসছেন।’

‘অহ। আচ্ছা। বাবা আসলে খেয়ে নিও।’

রিদের মা খেয়াল করলেন তাহনা না খেয়ে প্লেটের মধ্যে হাত দিয়ে রেখেছে। একমনে কি যেন ভাবছে সে। রিদের মা তাহনা কে উদ্দেশ্য করে বললেন,

‘একি, তুমি খাচ্ছো না কেন?’

রিদের মায়ের ডাকে ধ্যান ভাঙে তাহনার। সাথে সাথে রিদ আর রাইশাও তাকালো তাহনার দিকে। রাইশা চট করে বলে ফেলল,

‘তাহনা ভাবি তুমি খাচ্ছো না কেন?’

রাইশার কথায় তাহনার চোখ বেড়িয়ে আসার উপক্রম। তখন না হয় ভুলে ভাবি ডেকেছিল, কিন্তু এখন? এই মেয়ে কি সত্যি ওকে ভাবি ভেবে ফেলেছে নাকি?

রিদের মা আর রিদ দু’জনেই চুপ। রাইশা হয়তো ভুলে বলে ফেলেছে এটাই তাদের ধারণা। আর রাইশা? সে-তো পড়লো মহা ঝামেলায়। তার মুখ থেকে শুধু ভাবি ডাকই বের হচ্ছে আজ। রিদের মা রাইশা কে প্রশ্ন করলেন,

‘কি বললি ওর নাম রাইশা?’

রাইশা টুপ করে একটা ঢোক গিলে বলল,

‘ওর নাম তাহনা মা।’

‘মাশ-আল্লাহ। দারুণ নাম তো।’

রিদ কিছু বলল না। চুপচাপ খেতে লাগলো।

‘তাহনা? তোমার কি বাড়ির কথা মনে পড়ছে? খাচ্ছো না কেন?’

তাহনা আস্তে করে বলল,

‘এইতো আন্টি খাচ্ছি।’

চুপচাপ তিনজনই খাওয়া শেষ করলো। রিদ সোফায় বসে টিভি দেখছে। রাইশা তাহনার সাথে কথা বলছে। এমন সময় কলিংবেলের শব্দ শুনতে পেল সবাই। রিদের মা গিয়ে দরজা খুলে দিলেন।

একটা মধ্য বয়সী লোক ভিতরে ঢুকলেন। ঢুকতে ঢুকতে বললেন,

‘সব মিটমাট হলো অবশেষে। ভাগ্যিস, তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ফ্রেশ হয়ে আসছি। খাবার দাও।’

লোকটা রিদের বাবা। যেতে যেতে ওনার চোখ পড়লো সোফায় বসে থাকা তার মেয়ের পাশে আরেকটা মেয়েকে। তাকে দেখা মাত্রই দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি।

তাহনা রিদের বাবা কে দেখে ভয় পেয়ে গেল। এনাকে তো তাহনা জানে। তার বাবার অফিসের বস উনি। বার কয়েক তাদের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তাহনার হাতে বানানো চা ও খেয়েছিলেন। তাহলে তাহনা এখন ওনার বাড়িতেই আছে? সর্বনাশ! উনি যদি বাবা কে বলে দেন তার কথা?

রিদের বাবা তাহনার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন,

‘তাহনা মা তুমি? তোমার না আজ বিয়ে? তাহলে তুমি এ বাসায়?’

তাহনা একটা ঢোক গিলে রাইশার পিছনে লুকিয়ে পড়ল। রিদের বাবা এবার আরো বেশিই অবাক হলেন। তিনি রিদ কে বললেন,

‘রিদ? তুই বিয়ে বাড়িতে যাসনি? তাহনা এখানে কিভাবে?’

রিদ কিছু বলার আগেই তার বাবা ফোন হাতে নিয়ে বললেন,

‘আমি একটু আসছি দাড়াও।’

রিদের বাবা বেড়িয়ে পড়লেন কাউকে কল দিতে দিতে। এদিকে রিদ আর রিদের মা একে অপরের দিকে তাকালো।

‘এইবার কি হবে রিদ? তাহনা’ই যে সেই মেয়ে হবে তাতো জানতাম না।’

‘কেন এতো ভয় পাচ্ছো তুমি মা? কিচ্ছু হবে না। ভরসা রাখো আমার উপর।’
.
বেশ কিছুক্ষণ পর রিদের বাবা এলেন বাইরে থেকে। সবাই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। কিন্তু পিছনে আরেক জন কে দেখে তাহনা রীতিমতো কাঁপা শুরু করলো। তাহনার বাবা এসেছেন।

তাহনার বাবা নিজের মেয়েকে এই বাড়িতে দেখে বিশ্মিত হলেন। বিয়ের সাজ এখন আর নেই তার গায়ে। মেরুন শাড়ি জড়ানো তার গায়ে। মাথায় ঘোমটা দেওয়া।

উনি আর এক মুহুর্ত দেরি করলেন না। সোজা তাহনার সামনে এসে দাঁড়ালেন। তাহনা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,

‘বাবা।’

ঠাস করে একটা থাপ্পড় পড়লো তার গালে। থাপ্পড় টা তাহনার বাবা’ই তাকে দিয়েছেন। উনি বেশ রেগে আছেন। রাগ ফুসতে ফুসতে বললেন,

‘ছিঃ..তুই এটা করতে পারলি? লজ্জা করলো না তোর? আমার মান সম্মানের কথা ভাবলি না একবারও? বিয়ে থেকে পালিয়ে এলি? আর তুই এ বাড়িতে কি করছিস? বল কি করছিস?’

তাহনা এক হাত চড় খাওয়া গালে রেখে হুঁহুঁ করে কেঁদে উঠল,

‘একদম কাঁদবিনা। আমার ভাবতেও লজ্জা লাগছে যে তুই এমন টা করতে পারিস। তুই কার সাথে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলি? কোথায় সেই কুলাঙ্গার? বল কোথায়?’

তাহনা ধমক খেয়ে শিউরে উঠে। রিদের মা এসে তাহনা কে বুকে জড়িয়ে নেন। এদিকে রিদ হা করে তাহনার বাবার কার্যকলাপ দেখছে সব।

রিদের বাবা এগিয়ে এসে তাহনার বাবাকে বলেন,

‘তুমি এসব কি করছো এহসান? আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে ওকে থাপ্পড় মারছো তুমি? তোমাকে কি আমি এর জন্যই ডেকেছি?’

তাহনার বাবা জবাব দেন।

‘কি করবো বলুন? আমার মেয়েটা এভাবে আমার মান সম্মান ডুবাবে আমি ভাবতেও পারেনি। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ও হয়তো এখন বিয়ে করতে চায়নি তাই পালিয়েছে, কিন্তু শেষে ওর এক বান্ধবী বলল, ও ওর বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পালিয়ে গেছে। আর সেটা শোনার পর আমি নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারিনি। আমার বোনেরা তো যা তা বলেই চলেছে আমাকে।’

রিদের বাবা সব শোনার পর তাহনার দিকে তাকিয়ে বললেন,

‘এসব তোমার বাবাকে আগেই তোমার জানানো উচিৎ ছিল মা। তোমার বাবা তোমাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন।’

তাহনার বাবা বেশ চড়া গলায় বললেন

‘ওর কিছু বলার মুখ আছে নাকি? আজ যদি তুই আমার নিজের মেয়ে হতিস, তাহলে এসব করারা আগে একবার অন্তত আমার কথা ভাবতিস তুই। কিন্তু তুই তো আমার মেয়ে না। তোকে তো আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তুই তো আমাদের আশ্রিতা।’

“আশ্রিতা” কথাটা শুনে তাহনার হৃদয় কেঁপে উঠলো। উপস্থিত সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তাহনার বাবার দিকে। এসব কি বলছেন উনি? রিদের বাবা বললেন,

‘এহসান? তাহনা তোমার নিজের মেয়ে না?’

‘নাহ্। আমরা নিঃসন্তান ছিলাম। তাহনা কে আমরা একটা পার্কে দেখেছিলাম। কেউ ওকে ফেলে রেখে গিয়েছিল। আমার স্ত্রীর খুব ইচ্ছে হলো ওই মেয়েটা কে নিয়ে যাওয়ার। তাকে নিজের মেয়ের মতো মানুষ করবে। তাই ওকে আমাদের সাথে নিয়ে আসি। নিজের মেয়ের মতোই বড় করি। তিন মাসের বাচ্ছা ছিল ও।’

তাহনা মূর্তির মত স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ও একটা আশ্রিতা? ওর নিজের কোনো পরিচয় নেই?

‘ওই কুলাঙ্গার টা কোথায়? যে তোকে নিয়ে পালাতে চেয়েছিল? কোথায় ও? আমি ওকে আজ মেরেই ফেলবো।’

তাহনা দৌড়ে বাইরে বেড়িয়ে গেল কাঁদতে কাঁদতে। রিদ আর চুপ করে থাকতে পারলো না।

‘আংকেল। ঠিক করলেন না আপনি এটা। এমনতেই ও একটা ধাক্কা খেয়েছে। তারউপর আপনার বলা কথাগুলো ওর কোথায় গিয়ে লেগেছে জানেন? একদিনে পর পর দুটো ধাক্কা, ও কিভাবে মেনে নিবে? আর আপনাকেও বলি, এইটুকুনি একটা মেয়েকে আপনি বিয়ের আসরে বসিয়ে দিলেন?’

রিদ দ্রুত বেড়িয়ে পড়লো। ওকে যে তাহনা কে থামাতে হবে।

এদিকে তাহনার বাবা রিদের মাকে জিজ্ঞেস করলেন,

‘দুটো ধাক্কা খেয়েছে মানে? কি বলছে রিদ বাবা এসব?’

রিদের মা বললেন,

‘তাহনা যাকে ভালোবাসতো, সে তাহনা কে ঠকিয়েছে। সে আসেনি তাহনা কে নিতে। সে বলে দিয়েছে ও তাহনা কে ভালোবাসে না। অন্য কাউকে ভালোবাসে। তাহনার সাথে যা ছিল সব বাজি ধরেই করেছে সে। রাস্তার মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজছিল তাহনা। রিদ ওকে এখানে নিয়ে আসে।’

সব শুনে তাহনার বাবার মাথায় বাজ পড়লো। তার মেয়ের সাথে এসব কি হয়ে গেল? রাগের মাথায় কত কিছুই না বলে দিলেন উনি। বিয়ের আগে ওর মতামত জানার কি প্রয়োজন ছিল না তার? তাহনার বাবা ধপ করে বসে পড়লেন সোফায়।

চলবে….

(শব্দ সংখ্যা – ১৬৮২)