প্রীতিলতা আসবে বলে ৪ পর্ব-১৩ এবং শেষ পর্ব

0
2071

প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা :আফরিন ইসলাম
শেষ পার্ট

প্রিয় সূর্য সেন
পত্রের শুরুটা কিভাবে করবো জানি না ৷ সবার মতো আমি হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারবো না ৷তবুও কেন যেন মনে হলো তোমার জন্য এই বার্তা পত্র লিখতে ৷যখন এই পত্র তুমি পড়বে তখন আমি কোথায় থাকবো জানি না ৷ তবুও তোমায় পত্র লিখলাম ৷আজ আর আপনি করে তোমায় ডাকবো না ৷নিজের পরিচয় লুকাতে মনে থাকা আবেগ গুলোও লুকাবো না ৷কেন যেন আজ আবেগ গুলো লুকাতে ইচ্ছে করছে না ৷ জীবনের পথে দৌড়াতে দৌড়াতে আজ ক্লান্ত আমি ৷কেন যেন মনে হচ্ছে এবার আমার থামা উচিত ৷কিন্তু জীবন আমায় থামতে দিতে নারাজ ৷কেন যেন মনে হচ্ছে তোমায় নিয়ে আজ অজানার পথে পারি দিতে ৷কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হলো বামন হয়ে চাদেঁ হাত বাড়াতে নেই ৷আর সেখানে তো আমি সূর্যের দিকে হাত বাড়িয়েছি ৷ হাত তো ঝলসে যাবেই ৷তোমায় ছোট বেলা থেকে সূর্য সেন বলে ডাকতাম ৷তুমি বিরক্ত হতে ৷আমি তোমার বিরক্তমাখা মুখ দেখে আনন্দ পেতাম ৷কিন্তু কেন যে তোমায় এই নামে ডাকতাম তা আমি জানি না ৷কিন্তু যখন বুঝতে পারলাম ৷তখন আমাদের অনেক তফাৎ ৷যখন আমি আমার জীবনে তোমার অস্তিত্ব অনুভব করলাম ৷তখন আমি খুনিতে পরিনত হয়ে গেছি ৷ সূর্য দুনিয়াকে আলো দেয় ৷সূর্য ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার ৷পৃথিবীর অস্তিত্ব থাকবে না সূর্য ছাড়া ৷তাহলে সূর্য সেন ছাড়া প্রীতিলতা থাকবে কিভাবে ৷তোমাকে এক নজর দেখার জন্য ৷তোমাকে কাছে থেকে ছুয়ে দেওয়ার জন্য আমার ভেতরটা যখন পুড়তো ৷তখন নিজেকে পাগল মনে হতো আমার ৷ তাই ঢাকা এসেই আগে তোমার কাছে ছুটে যাই ৷যখন তুমি ঘুমিয়ে থাকতে তখন আমি তোমায় দেখতাম গভির ভাবে ৷ আচ্ছা নির্ঝর খুনিদের কি ভালোবাসতে নেই ৷তাদের কি মন থাকতে নেই ৷ তুমি কি আমার হৃদয়ের আর্তনাদ শুনতে পাও ৷ আজ তোমাকে একটা প্রশ্ন করতে বড্ড ইচ্ছে করছে ৷ তবে সেটা মনে মনে ৷ আমায় কেন ভালোবাসলে না ৷তুমি আমার কেন হলে না ৷ আমি চেয়ে ছিলাম তোমাকে নিজের মনের কথা বলতে ৷ কিন্তু আমার আগেই অন্য কেউ তোমাকে তার মনের কথা বলে দিল ৷তুমি গ্রহন করে নিলে তাকে ৷ ঐ সময় আমার মনে হয়ে ছিল কেউ আমার বুকে কয়েক হাজার তীর নিক্ষেপ করেছে ৷আমি স্বাভাবিক থেকে ছিলাম তবুও ৷আমি নিজেকে বুঝিয়ে ছিলাম অনেক ভাবে ৷বারবার নিজের মনকে বুঝিয়েছি যে তুমি ভালো থাকবে ৷ তুমি আমার কাছে নও ৷তুমি অন্য কারো হয়ে ভালো থাকবে ৷আমি চাই তুমি ভালো থাকো ৷ তাই তোমার হাতটা আমি ছেড়ে দিয়ে ছিলাম ৷তোমার আংটি বদলের কিছু সময় আগেও আমি ঠিক ছিলাম ৷আমি নিজেকে শক্ত করে নিয়ে ছিলাম ৷কিন্তু সবাই যখন তোমার আর সাবরিনার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছিলো ৷তখন আমার ভেতরে একটা চাঁপা কষ্টের সৃষ্টি হতে থাকে ৷কেন যেন মানতে পারছিলাম না আমি ৷যখন তোমার আর সাবরিনার আংটি বদল হয়ে যাচ্ছিলো ৷তখন আমি সহ্য করতে পারছিলাম না ৷তুমি নামক সূর্যটা আমার আর নেই ৷এটা আমি মানতে পারছিলাম না ৷আমার বুকের ভেতরটা বড্ড ফাকাঁ লাগছিল ৷ আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিল তখন ৷আমি তোমাদের আর দেখতে পারছিলাম না ৷তাই দৌড়ে বেড়িয়ে যাই ৷ ঐ রাতে আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না কোনো মতে ৷তাই ভোর রাতে চলে যাই সাবরিনাদের বাড়ীতে ৷উদ্দেশ্য ছিল সাবরিনাকে শেষ করার ৷ আমি ওকে তোমার পাশে মানতে পারছিলাম না ৷তাই ওকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চেয়ে ছিলাম ৷ সাবরিনা ওর ঘরে যখন তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখতে দেখতে ঘুমাচ্ছিলো ৷তখন আমি ওকে মারতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হাজির ৷কিন্তু ওকে খুন করার ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগে আমার নিজেকে জানোয়ার মনে হচ্ছিলো ৷ওর মুখের দিকে তাকালাম আমি ৷ওর মুখে নিজের মতো কোনো হিংস্রতা খুজে পাই নি ৷ কেন যেন মনে হচ্ছিলো আমি নরখাদক হয়ে গেছি ৷যার সাথে সত্যি তুমি থাকতে পারবে না ৷নিজেকে গুটিয়ে নিলাম ঐ রাতে আমি ৷সিদ্ধান্ত নিলাম পুলিশের কাছে ধরা দেব ৷আর তাই করলাম ৷

জেলখানায় যখন তোমার চোখে নিজের জন্য ঘৃনা দেখে ছিলাম ৷তখন কেন জানি না একটু শান্তি পেয়ে ছিলাম ৷কারন তখন আমি এটা নিশ্চিত ছিলাম যে আমাকে ছাড়া তুমি ভালো থাকবে ৷প্রীতিলতা নামক শৈশবকে তুমি ভুলে যাবে ৷তুমি ভুলে যাবে আমাদের শৈশব সংসারকে ৷তুমি ভুলে যাবে শৈশবের সেই দিন গুলি ৷যেখানে ভালোবাসা দিয়ে কানায় কানায় পূর্ন ৷ তুমি ভুলে যাবে শৈশবের সেই বউ প্রীতিলতাকে ৷ যতক্ষন কারো নয়নে ভালোবাসার মানুষটি সজাগ ৷ততক্ষন ভালোবাসা জীবিত ৷আমি তোমার চোখে আমার ধ্বংস দেখে ছিলাম ৷তাই হয়তো আমি তোমার নই ৷ আমি সেই দিনের পর রোজ খোদার কাছে একটা জিনিস চেয়েছি ৷আর তা হলো আমার মৃত্যু ৷কারন তুমি আমাকে ছাড়া বাচঁবে এই ধরনীতে ৷কিন্তু তোমায় ছাড়া আমি বাচঁবো না ৷আর না পারবো তোমায় অন্য কারো হতে দেখতে ৷ আমার কেন যেন মনে হয় ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষকে দূরে যেতে হয় ৷তবেই তার প্রতি ভালোবাসার পরিমাপ বোঝা যায় ৷মানুষটা দূরে না গেলে ভালোবাসার পরিমাপ অনুভব করা যায় না ৷তাই তোমায় দূরে সরিয়ে দিলাম ৷আর ভালোবাসার পরিমান কতটুকু পেলাম জানো ৷ তোমায় আমি মৃত্যুর সময়ও ভালোবাসি ৷ জীবনের অন্তিম সময় দাড়িয়ে আমি তোমায় ভালোবাসি ৷ মৃত্যুর পর ভালোবাসতে পারবো কি না জানি না ৷কেননা তখন আর কোনো কিছুই আমার হাতে থাকবে না ৷আর আমার মৃত্যুর পর তুমিও আমাকে ভালোবাসতে পারবে না ৷এখন বলতে পারো মৃত মানুষকে কি ভালোবাসা যায় না ৷উত্তর হলো না যায় না ৷ভালোবাসতে একটা শরীর লাগে ৷ তবে কি শারীরিক চাহিদার ভেতরেই ভালোবাসা সীমাবদ্ধ ৷শারীরিক চাহিদায় ভালোবাসা সীমাবদ্ধ নেই ৷তবে মানব শরীরে ভালোবাসা সীমাবদ্ধ ৷যেই শরীরটা দেখিয়ে চিৎকার করে বলা যায় আমি ওকে ভালোবাসি ৷যেই শরীরটা অসুস্থ হলে রাত জেগে সেবা করা যায় ৷ যেই শরীরটার ঠোটঁ নামক ছোট স্থানে হাসির কারন হওয়া যায় ৷যা শরীর ছাড়া সম্ভব না ৷ তাই আমার মৃত্যুর পর তুমিও আমায় পাবে না ৷

আজকে বাচঁবো কিনা জানি না ৷ তবে বাচাঁর স্বাধ আর জাগে না ৷বাচাঁর দুয়ার বন্ধ হয়ে গেছে চারিদিকে ৷ আমি তোমায় মুক্তি দিলাম সূর্য সেন ৷ তবে মনে রেখ যেই মানুষটা বিচ্ছেদের পরেও তোমার কথা ভেবে কাদেঁ ৷যেই মানুষটা বিচ্ছেদের পরেও তোমার অপছন্দের কাজ গুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে ৷যে মানুষটা বিচ্ছেদের পরেও একাকী সময়ে তোমার কথা ভেবে হাসেঁ ৷তাকে আর যাই হোক হারিয়ে ফেলো না ৷ আমি সেই দিন হারিয়ে যাবো ৷যেই দিন তোমার স্বপ্নে আমার অস্তিত্ব হবে বিলিন ৷তার আগে আমার মুক্তি নেই ৷

ইতি
তোমার না হওয়া মিষ্টি বউ ৷

নির্ঝর চোখের পানি মুছে নিল ৷কত শত বার যে চিঠিটা পড়েছে তার ঠিক নেই ৷ বুক পকেটে একটা স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে চিঠিটা ৷গভীর রাতের অদূরে তাকিয়ে নির্ঝরের মনে পরে গেল অতিতের কথা ৷

ফ্লাশব্যাক

সেইদিন সেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ভেতর থেকে কোনো মতে শান্ত আর জবা ফিরে আসে ৷কিন্তু আগুনে ঘেরা সেই মৃত্যুপরীতে রেখে আসে প্রীতিলতার লাশ ৷শান্ত প্রীতির শরীরটা নিয়ে আসছিল ৷কিন্তু ততক্ষনে আগুনের উত্তাপ বেড়ে যায় ৷কিছুটা পথ আসতেই শান্ত দেখতে পায় প্রীতির শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে ৷ শরীরটা সাদা হয়ে গেছে ৷ধারালো অস্ত্রের আঘাত গুলো রক্তাক্ত হয়ে আছে ৷প্রীতির কোনো সাড়া শব্দ নেই ৷ শান্ত সেই দিন প্রীতিকে নামিয়ে চিৎকার করে ডাকে ৷কিন্তু সাড়া দেয় নি প্রীতিলতা ৷তখন সে চির নিদ্রায় গিয়েছে ৷ শেষে উপায় না পেয়ে নিজ স্ত্রীকে নিয়ে অতিকষ্টে বেড়িয়ে আসে সেই অগ্নিকুন্ড থেকে ৷ সারা দেশে কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রীতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরে ৷ প্রীতীকে মৃত্যুর অভিশাপ দেওয়া আবেশ পাগলের মতো ছুটে আসে ঐখানে ৷কিন্তু ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গেছে ৷ সবাই প্রিয়জনদের কাছে ফিরে আসতে পেরে ছিল ৷শুধু প্রীতিলতাই ফিরতে পারে নি ৷ ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা কয়েক ঘন্টা কঠোর পরিশ্রমের পর আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন ৷কিন্তু ততক্ষনে ভেতরে সব ছাই হয়ে যায় ৷শান্ত ফায়ার সার্ভিসের লোকদের নিয়ে আগে প্রীতিলতাকে খুজতে যায় ৷ প্রীতিকে যেখানে রেখে যায় ৷সেখানে যেয়ে কান্না ভেঙ্গে পরে সে ৷প্রীতিলতার অর্ধপোড়া লাশটা দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে নি ৷ মুখ হাত পা চেনা যাচ্ছে না ৷পুড়ে একেবারে অর্ধেক হয়ে গেছে লাশটা ৷প্রীতিলতা ভেবেছিল তার মৃত্যুতে কেউ কাদঁবে না ৷কিন্তু তাকে মিথ্যা প্রমান করে দিয়ে হাজারো মানুষ তার পরিনতি দেখে কেদেঁছিল ৷কারো জীবনের অসমাপ্ত অধ্যায় কতটা ভয়াবহ তা প্রীতিকে দেখেই সবাই আন্দাজ করে ছিল ৷বোনের ভয়াবহ এই পরিনতি সহ্য করতে পারে নি আবেশ ৷বোনের অর্ধপোড়া লাশ দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ৷কিন্তু জ্ঞান আসার পর সে আর কথা বলতে পারে নি ৷বাক শক্তি হারিয়ে ফেলে নিজের ৷ অন্যদিকে শেষ পর্যন্ত সাবরিনার সাথে নির্ঝরে বিয়েটা আর হয় নি ৷ নির্ঝরের কাছে তার না হওয়া মিষ্টি বউটা আছে ৷ দেড় বছর হয়ে গেছে সে আজ নীল আকাশের তারা ৷ কিছুদিন আগেই একটা মেয়ে দত্তক নিয়েছে সে ৷নাম রেখেছে প্রীতিলতা ৷ প্রীতি জন্য দান করতে গিয়ে ছিল এতিমখানায়৷ মাদারের কোলে একটা বাচ্চা দেখে হঠাৎ করেই থমকে যায় নির্ঝর ৷ বাচ্চার গলায় রুপার চেইনের সাথে একটা আংটি ৷ যেটা দেখে চোখে পানি চলে আসে তার ৷এক প্রকার উদ্ভিগ্ন গলায় জিঞ্জাসা করে আংটিটা এই বাচ্চার গলায় কেন ৷ কেননা নিজের শেষ চিহ্ন হিসেবে এই আংটিটা শান্তকে দিয়েছিল তার নিষ্ঠুর মানুষটা ৷ প্রীতি শান্তকে বলে ছিল যেন তার সন্তানকে এটা দেয় ৷তাহলে এই বাচ্চার কাছে কেন এই আংটি ৷ নির্ঝর মনে মনে চিন্তা করে একই রকম আংটি অনেকের কাছে থাকতেই পারে ৷কিন্তু তবুও নিজেকে স্থির রাখতে পারে না ৷ কারন বাচ্চাটার নাম প্রীতিলতা ৷একটা সময় খোজ নিয়ে ছোট বাচ্চাটার ব্যাপারে জানতে পেরে শিউরে ওঠে নির্ঝর ৷ কয়েক মাস আগে জবা বাচ্চা জন্ম দেয় ৷ কন্যা সন্তান হওয়ার খুশিতে শান্ত অফিস থেকে কয়েক দিনের ছুটি নেয় ৷ ভালোবেসে মেয়ের নাম দেয় প্রীতিলতা ৷কিন্তু দুই দিন পরেই অফিস থেকে কল আসে ৷তাকে খুব জরুরী যেতে হবে ৷ অসুস্থ স্ত্রীকে রেখে জরুরী কাজে অফিসে আসতে হয় তাকে ৷ স্ত্রী জবার কপালে চুমু দিয়ে বলে ছিল তাড়াতাড়ি ফিরবে কিন্তু কাজ শেষে আর স্ত্রী সন্তানের কাছে ফেরা হয় না তার ৷ বিকেলের দিকে জবার মোবাইলে কল আসে ৷ ওপাশ থেকে একজন জানায় দুপুরের পরে ঘাতকের গুলির আঘাতে শান্তর মৃত্যুর কথা ৷স্বামীর মৃত্যুর খবর কানে আসতেই ঘর থেকে বেড়িয়ে যায় জবা ৷বিধ্বস্ত অবস্থায় এলোমেলো হয়ে যখন থানার দিকে যাচ্ছিলো ৷তখনই পেছন থেকে আসা ট্রাকের আঘাতে পিষে যায় সে ৷ স্বামীর মৃত দেহটা আর ছুয়ে দেখা হয় না তার ৷তাদের মৃত্যুর পর ছোট বাচ্চাটার জায়গা হয় অনাথ আশ্রমে ৷ ছোট প্রীতিলতার কপালে মা বাবার আদর ভালোবাসা স্থায়িত্ব হয় না ৷ যেন প্রীতিলতা নামটাই না পাওয়ার এক সন্ধি ৷যেখানে শুধু শেষ হয় ৷ নির্মম এই পরিনতি জানতে পেরে নির্ঝরের চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরে ৷ এতিমখানায় এসে আগলে নেয় ছোট প্রীতিলতাকে সে ৷ এক প্রীতিলতাকে সে আগলে রাখতে পারে নি ৷ঐ প্রীতিলতা তাকে ফাকিঁ দিয়েছে ৷কিন্তু তার জীবনে আসা এই প্রীতিলতাকে সে আগলে রাখবে সারা জীবন ৷বারান্দায় বসে হাজারো কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একটা কান্নার আওয়াজ পায় নির্ঝর ৷কান্নার আওয়াজটা তার ছোট প্রীতিলতার ৷নির্ঝর দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে ৷তারপর ছোট প্রীতির কাছে চলে যায় ৷

কিছু দীর্ঘ নিঃশ্বাস ভালোবাসার মানুষদের ভালোবাসা কমায় ৷লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করে অনুভূতি গুলোকে ৷যখন একান্ত প্রিয় মানুষ গুলো দূর থেকে বহুদূর ৷তখন একাকিত্বের একমাত্র সঙ্গী দীর্ঘ নিঃশ্বাস ৷ যেখানে না পাওয়ার আরেক নাম দীর্ঘ নিঃশ্বাস ৷

কিছু গল্পে সমাপ্ত লিখতে নেই ৷গল্পটা অসমাপ্তই থাক ৷ সমাপ্ত লিখে কষ্ট দেব না আপনাদের ৷নতুন গল্পে আসছে তাড়াতাড়ি ৷আর আজকে সবাই নিজেদের মনের ভাষা গুলো প্রকাশ করে যাবেন ৷