প্রেমদণ্ড পর্ব-০১

0
184

#প্রেমদণ্ড (০১) 💚
লেখায়~সুমাইয়া ইসলাম জান্নাতি

“অনুজা! শেষবারের মত বলছি কবুল বল। আর রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন কর। নাহলে আমি কিন্তু থাপড়িয়ে গা’ল লাল করে দিবে। অসভ‍্য মেয়ে!”

ষোড়শী অনুজা মায়ের অগ্নিঝরা ক্রোধান্বিত কন্ঠেও মুখফুটে না কবুল বলল। আর না রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করল। অনুজার নির্লিপ্ত ভাব দেখে আইরিন রহমান হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন। পূর্বের ন‍্যায় গমগমে কন্ঠে বললেন, “অনুজা কবুল বল বলছি। তোকে কিন্তু আমি মে’রেই ফেলব। পরিবারের মানসম্মান নিয়ে টানা হেচড়া করে শান্তি পাসনি? এখন আবার নতুন নাটক শুরু করেছিস!”
অনুজা এবার ড্রয়িং রুমে বসা বাকি প্রাণিগুলোর দিকে তাকি কান্নাভেজা কন্ঠে বলে উঠল, “আপনারা কেন বুঝতে পারছেন না? আমার সাথে ইজহান ভাইয়ের কোনরূপ প্রেমের সম্পর্ক নেই। তাহলে আমি কেন মিথ্যা দায়ে এ বিয়ে করতে যাব?”

প্রশ্নের তীরটা এবার ড্রয়ির রুমের এক কোণায় অবলার মত বসে থাকা ইজহানের দিকে ছুড়ে মা’রা হল। কিছুক্ষণ আগেই সে তার বাবার হাতে শক্ত দুখানা চড় খে’য়ে আপাতত থম মে’রে বসে আছে। ইজহান নড়েচড়ে উঠল। কিছুপ্রেমদণ্ড বলার জন্য মুখ খুলতেই পাশ থেকে ইজহানের আব্বা রমিজ উদ্দিন গম্ভীর গলাই বলতে শুরু করলেন, “ওর কাছে কিছু শুনতে হবে না। চুলগুলো এমনি পাকেনি। আমাদের কি চোখ নেই? তোমাদের বয়স কম মানছি। কিন্তু পরিবারের কাছে সম্পর্কের কথা বললে তোমাদের মে’রে ফেলতাম? কোন সাহসে পালাতে গিয়েছিলে বল? আর একটি কথাও হবে না। কোন শোনাশুনির প্রয়োজন নেই। এখনই এই মুহূর্তে বিয়ে হবে। এটাই ফাইনাল কথা!”

ইজহানের মা মিনমিনিয়ে কিছু বলতে নিলে রমিজ উদ্দিন বাজখাঁই কন্ঠে বলে উঠলেন, “আহ!থামো তুমি । একটি কথাও বলবেনা। ছেলে মানুষ করতে পারোনি আবার কথা বলছ!”

“আব্বা, আপনি আম্মাকে এভাবে অপমান করতে পারেন না। দোষ না করেও দোষী সাব‍্যস্ত করছেন। মেনে নিতে বাধ‍্য হচ্ছি। কিন্তু আম্মার অপমান আমি এক বিন্দুও মানতে রাজী নই।” ইজহানের দৃঢ় কন্ঠস্বর। অবস্থা বেগতিক দেখে ইজহানের মা ফাতিমা বেগম ছেলের হাত চেপে ধরলেন। ইশারায় বোঝালেন চুপ থাকতে।

এরপর একপ্রকার সিনেম‍াটিকভাবে ইজহান-অনুজার বিয়েটা হয়ে গেল। দুই পরিবার নিজেদের সম্মান বাঁচাতে বিয়েটা তো দিয়ে দিল কিন্তু অল্প বয়সী ছেলেমেয়ে দুটোর মনের অবস্থা কিছু আন্দাজ করতে পেরেছিল তারা?

নিরাবতা ভেঙে এক এক করে ড্রয়িং রুম ছাড়তে লাগল সবাই। অনুজা নিরব, নিথর হয়ে বসে রইল। বয়সটা তার কম হলেও স্বপ্ন তার আকাশ ছোঁয়া। ছোট্ট মনে কতশত স্বপ্নেরা দানা বাধে। অনুজা নিজের সাথে হওয়া অন‍্যায় ও স্বপ্নগুলোর অপমৃত‍্যু চোখের সামনে দেখতে পারছিল। ঢুকরে কেঁদে উঠল সে। এমন সময় হাতে টা’ন পড়ল। হাত টানের উৎস খুজতে গিয়ে আবিষ্কার করল ইজহানের রাগে লালিমায় ছেয়ে যাওয়া পুরুষালি মুখখানা। অনুজা কিছু বলার আগেই ইজহান বলল, “চল এখন। আমার বিয়ে করা বউ এ বাড়িতে কেন থাকবে?”

অনুজাকে একপ্রকার টে’নে দাড় করালো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইজহান অনুজার হাত ধরে চলতে শুরু করল।

আইরিন রহমান বাধ সাধলেন। বললেন, “তুমি নিজেই তো থাকো বাপের আশ্রয়ে। ওকে নিয়ে খাওয়াবে, পড়াবে কী? বিয়ে হয়েছে তাতে কী! অনুজা আমাদের সাথে থাকুক। তুমি নিজের পায়ে দাড়াও তারপর ওকে নিয়ে যেও। আমরা আটকাতে আসব না।”

ইজহান প্রতিত্তোরে বলল, “মাফ করবেন আন্টি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির জন্য যেভাবে আমাদের কুরবানি করলেন তাতে একথা আপনাদের মুখে মানায় না। ওকে চালানোর মত টাকা আমি ঠিকই উপার্জন করে ফেলব ইনশাআল্লাহ। অনুজা আর এক মুহুর্তের জন‍্যও এ বাড়িতে থাকবেনা। চল অনু!”

গটগট করে অনুজাকে নিয়ে বেড়িয়ে গেল ইজহান। রমিজ উদ্দিন অনুজার মায়ের উদ্দেশ্যে বললেন, “ভাবিসাহেবা! আপনি কিছু চিন্তা করবেন না। আমাকে আল্লাহ কম দেননি। অনুজার কোন সমস্যা হবে না। তবে আমরা চলি। ঝামেলা তো মিটমাট হলো। এই চলো সবাই!”

আইরিন রহমান নিরব হয়ে দাড়িয়ে রইলেন। একা হাতে মানুষ করা আদরের মেয়েটি কেমন মুহুর্তের মধ্যেই পর হয়ে গেল। রমিজ উদ্দিন তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে গেলেন। বাকি থাকল আইরিন রহমানের ছোট ভাই, ভাইয়ের বউ আর বড় ননাস। সবাই আইরিন রহমানকে শান্তনার বানী শুনিয়ে নিজেদের গন্তব্যে বেড়িয়ে পড়লেন। কাজ ফেলে হঠাৎ জরুরি ফোনকলে তারা ছুটে এসেছেন। বসার সময়টুকু আর দেরি করলেন না। এক এক করে সবাই বেড়িয়ে পড়লেন।

আইরিন রহমান ধপ করে সোফায় বসে পড়লেন। চিবুক গড়িয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। বারংবার মনের মধ্যে খচখচ করছে রাগের বশে ভুল করে ফেললেন নাকি!
_____________________________

নিকশ কালো আধারিতে নগরী ঢেকে রয়েছে। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে বেশ রাত হয়েছে। ইজহান অনুজাকে নিয়ে পাঁচতলার নির্দিষ্ট ফ্লাটে এসে থামল। কলিং বেল বাজাতেই ওপাশ থেকে দরজা খুলে দেওেয়া হল। বাসায় ঢুকে কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা অনুজাকে নিয়ে নিজের রুমে চলে গেল। বাসায় শুধুমাত্র হেল্পিং হ‍্যান্ড জামিলার মা ছিলেন। ইজহানের অপ্রত্যাশিত কর্মকাণ্ডে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল। এক এক করে রমিজ উদ্দিন, স্ত্রী ফাতিমা বেগমও চলে এলেন। জামিলার মা একপ্রকার ঘোরের মধ্যেই শুধালেন, “আফাগো ইজহান আব্বায় এই রাত বিরাতে অনুজা মামনিরে নিয়া আসছে কেন? কেমন গটগট করে যুবতী মাইয়াডারে নিয়া রুমের মধ্যে ঢুকল। কিছু কি হইছে আফা?”

জামিলার মা কাজেমর্কে নিপূণা হলেও বদ অভ‍্যাস হচ্ছে ঘন কথা বলেন। একই সাথে অনেকগুলো প্রশ্নবাক‍্য ছুড়ে দেন। ফাতিমা বেগম দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। পাশ থেকে রমিজ উদ্দিন গম্ভীর কন্ঠে বললেন, “ওদের বিয়ে দেওেয়া হয়েছে। অনুজা ইজহানের বিয়ে করা বউ।”

“ও আল্লাহ! তাই নাকি?” জামিলার মা মৃদু আর্তনাদ করে উঠলেন।

“ফাতিমা, আমার জন্য কড়া লিকার দিয়ে এক কাপ চা করে নিয়ে এস তো। রাতের খাবার রেডি কর। তোমার গুণধর ছেলে আবার কি করছে আল্লাহ জানেন। ছেলেপেলে জন্ম দিয়েও শান্তি নেই।” রমিজ উদ্দিন স্ত্রীর প্রতি হুকুম তামিল করে নিজেদের বেডরুমের দিকে এগোলেন। বিধ্বস্ত লাগছে তাকে।

রমিজ উদ্দিনের প্রস্থানের সাথে সাথে জামিলার মা ফের প্রশ্ন করলেন, “আফা কোন সমস্যা হইছে নাকি? ভাইজানরে কেমন বেজার লাগতেছে।”

“প্রখর জ্ঞানসম্পন্ন লোকটা মাঝেমধ্যে এমন বোকার মত কাজ কিভাবে করে আমি বুঝিনা। এত বছরেও মানুষটাকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারলাম না।” ফাতিমা বেগম দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। স্বামীর জেদের বশে নেওয়া সিদ্ধান্তে তিনি মোটেও খুশি নন। দুটো অল্প বয়সী ছেলেমেয়ের জীবনে যে ঝড় তারা তুললেন এক ক্ষতিপূরণ কোথায়?

“জামিলার মা! তোমার ভাইজানের জন্য চা বসাও। একটু পায়েস করতে পারবে? সাথে একটু গোশত ভুনা। রাতে হালকা খাবার খাই। কিন্তু মেয়েটা সবে আমার বাড়িতে বড় হয়ে এসেছে মাছের ঝোল দিয়ে তো আর ভাত দিতে পারি না। আমি ওদিকটায় যায়।”

জামিলার মা প্রতিত্তোরে বললেন, “আইচ্ছা আফা। একটু সময় লাগব।”

“আচ্ছা। তাড়াতাড়ি করিও।”

“অনুজা?” ফাতিমা বেগমের কন্ঠস্বরে নড়েচড়ে উঠল অনুজা। খাটের এক কোণায় পা গুটিয়ে বসে ছিল।

ফাতিমা বেগম নিজেই এগিয়ে গেলেন। অনুজার পাশে বসলেন। চারপাশে চোখ বুলিয়ে শুধালেন, “ইজহানকে দেখতে পারছি না যে! কোথায় ও?”

অনুজা নিজের ভাবনার জগতে এতটাই মগ্ন ছিল যে ইজহান নামক প্রাণিটার কথা খানিক সময়ের জন্য মস্তিষ্ক থেকে দুর করে ফেলেছিল। তাকে রুমে রেখে মানুষটা কোথায় গিয়েছে অনুজার জানা নেই। আন্দাজে বলল, “ওয়াশরুমে বোধহয়।”

অনুজার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন ফাতিমা বেগম। মমতা নিয়ে বললেন, “শোন মা, আর কেউ না জানুক আমি তো জানি আমার ছেলের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই। অন্তত প্রেমের তো নয় ই। এমন কিছু হলে সে নিশ্চয়ই আমাকে অথবা তার বোনকে জানাতো। কিন্তু ওর বাবার মাঝেমধ্যে হুটহাট নেওয়া সিদ্ধান্তে বড় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় আমাকে। বহু বছরের সংসার আমার। মানুষটার কথার ওপর কখনও কথা বলিনি। কিন্তু আমার ছেলের জীবন নিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন স্বপ্নেও ভাবিনি মা। তোমাকে আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু এমন হুটহাট নেওয়া সিদ্ধান্তে আমি মোটেও খুশি নই। কি থেকে কি হয়ে গেল। তবে যা হওয়ার তাতো হয়েছেই। বদলানো তো যাবে না। তুমি খুব ছোট। তবুও বলতে বাধ‍্য হচ্ছি একটু একটু করে মন থেকে মানতে শিখ। একদিন সব জটিলতা সরল হয়ে ধরা দিবে। আমাকে ভয় পেয়েও না। আমার থেকে সবরকম সাহায্য তুমি পাবে। বুঝলে?”

অনুজা মাথা নাড়াল। কতটা সময় পরে মমতা নিয়ে তার সাথে কেউ কথা বলল। অশ্রু গড়িয়ে পড়ল কয়েক ফোঁটা।

ফাতিমা বেগম অনুজার মনের অবস্থা বুঝতে পারলেন। বললেন, “মায়ের ওপর রাগ করিও না মা। তোমার বাবা গত হওয়ার পর থেকে একা হাতে সামলাচ্ছে। মেয়ে মানুষ। তিনি অপ্রত্যাশিত ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। তোমার মা কেমন তুমি তো জানো। তাই না?”

অনুজা ধরা গলাই বলল, “আম্মুর কি আমাকে বোঝা উচিত ছিল না? লোকের কথায় কেন কান দিলেন। এমনটা না করলেও পারতেন আম্মু। আমাকে সব থেকে বেশি বোঝা মানুষটা আজ আমাকে সবচেয়ে অবিশ্বাস করলেন। এটা কি ঠিক হল?”

ফাতিমা বেগম জবাব দিতে পারলেন না। অনুজার মনের অবস্থা তিনি বুঝছেন। কে কতটা সঠিক সেটাও তিনি জানেন। তবুও কাউকে দোষারোপ করতেও পারছেন। শুধু অনুজার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।

ইজহান ওয়াশরুম থেকে বেড়তেই ফাতিমা বেগম বললেন, “হাতমুখ মুছে খেতে চল। রাত তো অনেক হলো। খাওয়া দাওয়া করতে হবে তো।”

“তোমার কি মনে হয় আমার ভাত খাওয়ার মত মুড আছে?”

“ওয়াশরুম যাওয়ার মুড থাকলে খাওয়ার মুডও নিশ্চয়ই থাকবে। আমি কোন কথা শুনব না। বাপের কথা শুনতে পারলে আর আমার কথা শুনবে না?”

ইজহানের বুক চি’রে দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এল। মুখে বলল না।

ফাতিমা বেগম রাতে নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিলেন অনুজাকে। যত্ন করে নিজের একটা শাড়িও পড়িয়ে দিলেন। অনুজা কেমন কলের পুতুলের মত অনুসরণ করছে ফাতিমা বেগমকে। সাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধি তার সাময়িক সময়ের জন্য শীত কালিন ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছে। কি করবে, কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছেনা।

শোবার সময় ফাতিমা বেগম ইজহানকে ইতস্তত করে বললেন, “বলছি, অনুজাকে আমার কাছে রেখে দিই? হঠাৎ করে বিয়ে হয়েছে। ছোট মানুষ। ঝামেলার দরকার নেই। তুই বরং হাত পা ছড়িয়ে আরাম করে ঘুমা। অনুজা আমার কাছে ঘুমাবে।”

ইজহান অনুজার দিকে এক পলক তাকিয়ে বলে উঠল, “তা কেন আম্মা? বিয়ে দেওয়ার সময় মনে পড়েনি ও ছোট। বাইশের যুবক আমি। বউ নিয়ে দিব‍্যি ঘুমাতে পারব কোন সমস্যা হবে না। তুমি ঘুমাতে যাও।”

ছেলের লাগামছাড়া কথায় ফাতিমা বেগম লজ্জা পেলেন। তবুও শেষবারের মত নিরুপায় হয়ে বললেন, “মেয়েটা ছোট বাবা।”

“তখন মনে ছিল না? বিয়ে যখন হয়েছে বউ নিয়ে কি করব না করব সবটাই আমার বিবেচনা। তোমার ঘুমানো উচিত। গুড নাইট আম্মা।” ইজহান তার কথার সমাপ্তি ঘটিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। শাড়ি পরিহিতা অনুজার দিকে তাকিয়ে বলল, “সালাম কর। বাসর ঘরে বরকে সালাম করতে হয় জানিস না?”

অনুজা চুপচাপ দাড়িয়ে রইল। ইজহান ফের বলল, “আচ্ছা যা সালাম করতে হবে না। চল এবার।”

অনুজা বিস্ময় নিয়ে শুধাল,
“কোথায় যাব?

ইজহানের জবাবে বলল, “কোথায় আবার বাসর করতে হবে না? বাইশে বিয়ে করেছি। তেইশে বাবা হব। তবেই না জীবন ফুটফুটে সুন্দর হবে?”

অনুজা বড় বড় চোখে ইজহানের দিকে তাকিয়ে আছে। তার চিনতে কষ্ট হচ্ছে এই কী তার চেনা ইজহান ভাই?

অনুজা উপায়ন্তর না দেখে শব্দ করে কেঁদে উঠল। অনুজার হেঁচকি তুলে কান্নার শব্দে যেকোন সময় ফাতিমা বেগম চলে আসতে পারেন। ইজহানের এ মুহুর্তে নিজের মাথায় নিজেরই বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে মন চাচ্ছে।
মেয়ে মানুষ এমন হয় কেন?

ইনশাআল্লাহ চলবে…