প্রেম এসেছিলো নীরবে পর্ব-০৫ + বোনাস পর্ব

0
769

#প্রেম_এসেছিলো_নীরবে (৫)
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
রুম অন্ধকার করে ফেইরি লাইট্সগুলো জ্বালিয়ে নিলো প্রাহি।অবশেষে আজ সারাদিন শেষে তার ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি ফুটলো।প্রাহি নিজ ঘর থেকে দৌড়ে গেলো হেমন্তের ঘরের দিকে।হেমন্ত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল ঠিক করছিলো।প্রাহি গিয়ে তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে প্রায় একপ্রকার লাফাতে লাফাতে বললো,

-” ধন্যবাদ ভাইয়া।অনেক অনেক ধন্যবাদ।”

হেমন্ত হাসলো।পিছনে ফিরে বোনের মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে বলে,

-” আমার পিচ্চিটার মন খারাপ ছিলো সেটা কি আমি সহ্য কর‍তে পারি?তাই তো তার মুখে এই হাসিটুক দেখার জন্যে ছোট্ট একটা উপহার আনলাম।তাতে যে এই পিচ্চিটা এতো খুশি হবে ভাবতেই পারিনি।”

প্রাহি মুচকি হেসে বলে,

-” তুমি আমার বেস্ট ভাই।”

-” আচ্ছা?”

-” হুম।এখন আমি একটু রুমে যাই হুম।আরেকটু ভালোভাবে ফেইরি লাইট্সগুলো দিয়ে সাজিয়ে নেই।”

হেমন্ত হেসে সম্মত্তি দিলো।প্রাহি আবারও দৌড়ে নিজের রুমে গেলো।বাকি ফেইরি লাইট্সগুলো ভালোভাবে বিছানার চারপাশে লাগিয়ে ক্ষান্ত হলো। প্রাহি পিছনে না ফিরিই হালকা একটু পেছাতে লাগলো।কিন্তু হঠাৎ নিজের পিছনে কারো অস্তিত্ব অনুভব করলো।ভয় পেয়ে পেছনে ফিরতে নিলেই কারো গম্ভীর কন্ঠস্বর,

-” ডোন্ট মুভ!”

এই একটা বাক্যে প্রাহি জমে বরফ হয়ে গেলো।এটা তো অর্থের গলার আওয়াজ।কিন্তু অর্থ ওর রুমে কি করছে?কিন্তু এইবার অর্থ যা করলো এতে যেন প্রাহির নিঃশ্বাস আটকে গেলো।অর্থ প্রাহির পিঠের চুলগুলো হালকা হাতে সরিয়ে দিলো।কিন্তু ওর হাত প্রাহির শরীর স্পর্শ করেনি।তারপর প্রাহির কানের কাছে মুখ এগিয়ে নিলো।এতে অর্থের গরম নিঃশ্বাস প্রাহির কাধে আর কানে এসে বারি খাচ্ছে।এতে প্রাহি সারাশরীর ভূমিকম্পের মতো কেপে উঠলো।অর্থ তার শীতল কন্ঠে বলে,

-” সকালের খাবারের জন্যে এই উইল নট থ্যাংক ইউ।বাট ইট ইজ ফোর ইউ।”

সাথে সাথে অর্থ প্রাহির হাতটা ধরলো।এতে প্রাহির কাপা-কাপি আরেক দফা বেড়ে গেলো।অর্থ প্রাহির হাতে চিকন স্বর্নের একটা ব্রেসলেট পড়িয়ে দিলো।তারপর প্রাহির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,

-” ব্রিথ!”

আর এক সেকেন্ড দারালো না অর্থ।দ্রুত পায়ে সেই স্থান ত্যাগ করলো।এইদিকে প্রাহি যে নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলো প্রায় তা অর্থ ওকে নিঃশ্বাস না নিতে বললে ও তো নির্ঘাত মারা যেতো।লোকটা আর একটু হলে ওর জান কবজ করে নিয়ে যেতো।প্রাহি কাঁপতে কাঁপতে বিছানায় গিয়ে ধপাস করে সুয়ে পড়লো।কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছে না প্রাহি।ও তো চাইছিলো অর্থ শুধু তার খাবারের প্রসংশা করুক।কিন্তু সে যে এমন ভয়ানক একটা কাজ করবে জানা ছিলো না প্রাহির।
…..
শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে অর্থ।ঝর্নার পানিগুলো তার শরীর বেয়ে বেয়ে পরছে।একটু আগে নিজের করা পাগলামিগুলো ভাবছে সে।এমনটা কিভাবে করলো ও?ও তো এমন ছিলো না।তাহলে কালের থেকে ওর কি হলো।মেয়েটা তো একটু খাবারই রান্না করেছে ওর জন্যে।একটা থ্যাংক্স বললেই তো হতো।বাট এতোকিছু করার কি হলো?কেন সেই ব্রেসলেটটা কিনতে গেলো সে।কেন সকালের অফিসে যাওয়ার আগে প্রাহির মলিন মুখটা দেখে ওর সারাটা দিন বিষাদময় কেটেছে।কেন ওই মেয়েটার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটানোর জন্যে ওর জন্যে উপহার কিনে আনলো।জানা নেই কিছু অর্থের।শুধু এটুকু জানে সারাটাদিন পর মেয়েটার হাসি মুখটা দেখে ওর ভীষন ভালো লাগছে, ভীষন।সাওয়ার নেওয়া শেষে অর্থ বেরিয়ে আসলো।নিচ থেকে রায়হানা বেগম ডাকছেন সবাইকে খাবারের জন্যে।অর্থ নিজের পোষাক পড়ে নিচে চলে গেলো ডায়নিং এ।অর্থ গিয়ে নিজের চেয়ার টেনে বসে পড়লো।পুরো টেবিলে চোখ বুলিয়ে দেখলো সবাই এসেছে শুধু প্রাহি বাদে।অর্থের ভ্রু-কুচকে এলো।এই মেয়ে খেতে আসলো না কেন? হেমন্ত হালকা রাগি কন্ঠে হিয়া উদ্দেশ্য করে বললো,

-” ডিনারে সবাই আসেনি কেন হিয়া?”

হিয়া আমতা আমতা করে বললো,

-” ভা..ভাইয়া প্রাহির নাকি খেতে ইচ্ছে করছে না।”

অর্থ রাগি চোখে তাকিয়ে বললো,

-” ওর রুমে যা এন্ড টেল হার দ্যাট এক্ষুনি নিচে নামতে। এতো রঙ ঢঙ এই বাড়িতে চলবে না।”

হিয়াজ সিকদার বললেন,

-” অর্থ এটা কেমন ধরনের কথা?”

অর্থ এক চামচ বিরিয়ানি মুখে দিয়ে বললো,

-” নাথিং বাবা।”

হিয়া ভয়ে ভয়ে প্রাহির রুমের দিকে দৌড় দিলো।গিয়ে দেখলো প্রাহি উপুর হয়ে বালিশে মুখ গুজে সুয়ে আছে।হিয়া জলদি করে ডাকলো,

-” এই প্রাহি, প্রাহি। উঠ জলদি উঠ।”

প্রাহি হিয়ার এমন কন্ঠস্বর শুনে ধরফরিয়ে উঠে বসলো।বললো,

-” কি হয়েছে আপু?তুমি এমন করছো কেন?”

হিয়া হাপাতে হাপাতে বলে,

-” জলদি নিচে চল।যমরাজ ক্ষেপেছে।তুই এখন নিচে না গেলে টর্নেডো আসবে।”

প্রাহি বুজতে না পেরে বললো,

-” মানে কি বলছো আপু তুমি?”

হিয়া প্রাহির হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলে,

-” মানে বুজা লাগবে না।তুই এখন নিচে চল।”

হিয়া প্রাহিকে নিয়ে ডায়নিং টেবিলে এসে বসিয়ে দিলো।প্রাহি আড়চোখে অর্থের দিকে তাকিয়ে দেখলো অর্থ তার দিকেই রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।প্রাহি ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে নিলো।সবাই এবার খেতে শুরু করলো।প্রাহি কোনরকম খেয়ে আর খেতে পারছে না আর অর্থের ভয়ে উঠতেও পারছে না।প্লেটে খাবার নাড়াচাড়া করছে শুধু।আসলে ওর একদম খিদে নেই।খাবে কিভাবে? সন্ধ্যায় কতোগুলো ফুচকা খেলো হেমন্ত নিয়ে এসেছিলো ওর জন্যে।এইবার কি করবে প্রাহি।অর্থ খাওয়ার মাজে বার বার তাকাচ্ছে প্রাহির দিকে।প্রাহিকে অনেক্ষন যাবত খেতে না দেখে রাগে ফুসছে সে।এইবার না পেরে টেবিলে জোড়ে বারি দিয়ে রাগি কন্ঠে বলে,

-” এই মেয়ে এই,হুয়াট্স ইউর প্রোবলেম?খাচ্ছো না কেন তুমি হ্যা?”

প্রাহি এইবার এমন ভয় পেলো যে সাথে সাথে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো।কাঁদতে কাঁদতেই বলে,

-” আ..আমি আর খে..খেতে পারছি না।”

অর্থ চিৎকার করে বলে,

-” কেন খাবে না?হ্যা?কি সমস্যা?”

প্রাহি এইবার জোড়েসোড়েই কেঁদে উঠলো।অর্থ ধমকে উঠে,

-” স্টপ ক্রায়িং ইউ স্টুপিট।”

রায়হানা বেগম এইবার চেচিয়ে উঠলেন,

-” কি হচ্ছে কি অর্থ এইভাবে চিৎকার চেচামেচি করে মেয়েটাকে ভয় দেখাচ্ছিস কেন?দেখছিস না খেতে পারছে না।তাহলে এইভাবে ধমকানোর মানে কি হ্যা?”

নুরুল আমিন ও অসন্তুষ্ট নাতির এমন কাজে।তিনি বলেন,

-” দাদু ভাই বাচ্চা মেয়ে ও।এইভাবে ধমকাচ্ছো কেন ওকে?না খেতে পারলে খাবে না।এইভাবে ওকে ভয় দেখাচ্ছো কেন?”

হিয়াজ সিকদার বললো,

-” প্রাহি মা যাও তুমি তোমার রুমে চলে যাও।আর খাওয়া লাগবে না।একটু পর আমি রায়হানা কে দিয়ে তোমার জন্যে দুধ পাঠিয়ে দিবো।সেটা কিন্তু অবশ্যই খাবে।নাহলে তোমার বড়বাবা কিন্তু রাগ করবে।”

প্রাহি বাচ্চাদের মতো দুহাতে চোখের জল মুছে নিয়ে ঘাড় কাত করে সম্মতি জানালো।একপলক অর্থের দিকে তাকিয়ে তারপর দৌড়ে চলে গেলো।হিয়া আর হেমন্ত ভয়ে চুপসে আছে অর্থের এমন রাগ দেখে।তাই তারা ভয়ে ভয়ে জলদি জলদি খেতে লাগলো।অর্থ রাগে ফোসফোস করছে।সাহস কতো বড় মেয়েটার সবাই বললো আর ওমনি চলে গেলো।অর্থের কথার কোন দাম নেই।এর শাস্তি পেতে হবে ওকে।অর্থ ওকে খেতে বলেছে ও পুরোটা খাবার খেয়ে তারপর যাবে।কিন্তু মেয়েটা খেলো না।এটুকু পিচ্চি একটা মেয়ে।শরীরে মনে হয় এক কেজি গোস্তও হবে না।এমন চিকন শরীর নিয়ে চলবে কিভাবে ও?অর্থ সবার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে নিজেও খাবার টেবিল হতে হনহন করে নিজের রুমে চলে গেলো।এদিকে সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো।

#চলবে,,,

#প্রেম_এসেছিলো_নীরবে(বোনাস পার্ট)
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
গভীর রাত, আনুমানি ১২ টা বাজে।টেবিল লাইট জ্বালিয়ে বই পড়ছিলো ইশি।হঠাৎ ওর ফোনে কল আসলো।ইশা নাম্বারটা দেখে ভ্রু কুচকালো। এটা আজ নতুন না প্রায় নয়-দশদিন যাবত ওর ফোনে এই নাম্বার থেকে কল আসছে।ও ফোন রিসিভ করলে লোকটা কিসব আবোলতাবোল বকে।এতো করে ও জিজ্ঞেস করে যে আপনি কে?কিন্তু লোকটা তার পরিচয়ই দেয় না।বিরক্তি নিয়ে ফোনটা রিসিভ করলো ইশি।ফোন রিসিভ না করলে লোকটা অনাবরত কল করতেই থাকে তাহলে।ইশি ফোন দিয়ে আস্তে করে বলে,

-” আস..আসসালামু আলাইকুম।”

ফোনের অপাশের ব্যাক্তি নরম সুরে বললো,

-“ওয়া আলাইকুমুস সালাম।কেমন আছো?”

ইশি শুকনো ঢোক গিললো।মেয়েটা প্রচন্ড ভীতু।কাপা কন্ঠে ইশি বলে,

-” ভা..ভালো।”

-” আমি কেমন আছেন জিজ্ঞেস করবে না?”

ইশির চোখে পানি চলে এসেছে।এই লোকটাকে ও অনেক ভয় পায়।অজানা কারনেই ভয় পায়।ধরা গলায় বললো,

-” আপ..আপনি কেমন আ..আছেন?”

ওপাশের ব্যাক্তিটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।ইশি যে আর একটু হলেই কেঁদে দিবে। তা সে ভালো করেই জানে।সে বললো,

-” তোমার সাথে কথা বলার সময় ভালো ছিলাম।কিন্তু এইযে তুমি কান্না করছো এটার জন্যে এখন আমি ভালো নেই।”

ইশি কান থেকে ফোন সরিয়ে অবাক হয়ে কিছুক্ষনের ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলো।এই লোকটা কিভাবে বুজলো যে ও কান্না করছে?ইশি আবারও ফোনটা কানে লাগিয়ে বললো,

-” আ..আমি কান্না ক..করছি না তো!”

-” আমি সেটা তোমার থেকেও ভালো জানি। বাদ দেও এখন এতো রাত অব্দি আর পড়া লাগবে না।বই খাতা গুছিয়ে সুন্দর মতো বিছানার পাশে রাখা দুধ টুকু খেয়ে ঘুমিয়ে পরো।”

সাথে সাথে ফোনটা কেটে দিলো।ইশিও একটা লম্বা শ্বাস টেনে নিলো। এতোক্ষন যেন শ্বাস্টা গলায় এসে আটকে ছিলো।ইশি আর পড়লো না।লোকটার কথা মতো চুপচাপ দুধটুকু খেয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
..
সুয়ে সুয়ে নিজের ফোনে ইশির পিক দেখছে হেমন্ত।এতোক্ষন ইশির সাথে হেমন্তই কথা বলছিলো।মেয়েটা এতোটা নরম মনের কেন ভেবে পায়না হেমন্ত।তাইতো প্রোপোজ করতে ভয় পায় সে।যদি ইশি আর কোনদিন ওর সামনে না আসে?তাহলে কিভাবে থাকবে ও?নাহ! কোনদিন পারবে না এইভাবে থাকতে হেমন্ত।শুধু পরিক্ষাটা শেষ হওয়ার আশায় আছে হেমন্ত।ইশির পরিক্ষা শেষ হলেই ইশির বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাবে সে।আপাততো বাগদান করে রাখবে।পরে অর্থের বিয়ে হলেই ও বিয়ে করে নিবে ইশিকে।ভাবনা শেষে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো হেমন্ত।তারপর ঘুমোতে চলে গেলো।
——
ব্যালকনির ইজি চেয়ারে বসে কফি পান করছে অর্থ।আজ হেমন্তের সাথে কথা হয়েছে ওর।প্রাহির মা, বাবা’র কেসটা রি-ওপেন করার কথা বলছে ছেলেটা।তবে এটা তো একটা এক্সিডেন্ট সেটা পুলিশরা বলেছিলো।তাহলে কি সেই কেস আবারও রিওপেন করবে পুলিশ?কাল একবার হেমন্তকে নিয়ে যাবে সে পুলিশ স্টেশন।দেখা যাক কি করা যায়।আর প্রাহির সেফটির জন্যেও নতুন গার্ড্স রাখতে হবে।প্রাহিকে এখানকার নতুন স্কুলে ভর্তি করিয়ে এসেছে আজ অর্থ।হিয়াজ সিকদারই তাকে এই কথা বলেছে।নিউ টেন এ পড়ে এইবার প্রাহি।তাই গাজিপুর থেকে পুরোপুরিভাবে ট্রান্সফার করে ওকে এখানকার একটা ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়ে এসেছে।পরশুদিন থেকে ক্লাস করতে যাবে সে।
কফি শেষে অর্থ দুহাতে মাথা চেপে ধরলো।এই পিচ্চি মেয়েটাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অর্থ পাগল হয়ে যাচ্ছো।তাও যেন ভাবনার শেষ নেই।তবুও অর্থের প্রাহিকে ভাবতে ভালোলাগে।হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করে সে।এটা কেমন অনুভূতি?মাত্র দুটো দিনে একি করলো মেয়েটা তার সাথে?চোখ বন্ধ করলেই মেয়েটার স্নিগ্ধ মুখশ্রীটা ভেসে উঠে।কাজ করতে পারে না সে ঠিকঠাক। ঘুম আসে না তার এই মেয়েটার জন্যে।মেয়েটা কাছে না থাকলে একটা গুমোট অনুভূতি তাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে রাখে।কেন এমন হচ্ছে?নাহ, অর্থ কাল ওর বেষ্টফ্রেন্ডের সাথেও একবার দেখা করবে।ছেলেটার কাছে অর্থের সমস্ত অস্থিরতার কারন খুজে পায় সে।অর্থের সব রকম খারাপ পরিস্থিতিতে ওর এই বন্ধুটাই ওর সঙ্গ দেয়।তাই তো চোখ বুজে নিজের কলিজার বোনটাকে এমন একজন বন্ধুর কাছে সপে দিয়েছে সে।হিয়াকে ওর সাথে বিয়ে দিলে অর্থের কোন চিন্তাই থাকবে না।কারন ও জানে হিয়াকে ঠিক ওর মতো করেই সেই ছেলেটা আগলে রাখবে।
অর্থ আকাশের দিকে তাকালো।অর্ধচন্দ্র উঠেছে আজ।সুন্দর লাগছে দেখতে।অসংখ্য তারার মেলা আকাশে।অর্থ পন করে নিলো আজ চন্দ্রবিলাশ করেই একটা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দিবে সে।

#চলবে,,,,,

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।