প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো পর্ব-১২

0
7612

#প্রেয়ন_পৃথুর_প্রেমসুতো💖
#পর্ব_১২
#Lamiya_Rahman_Meghla

ঘুমন্ত পৃথুলাকে মায়াবি চাদরে আকরে ধরে ঘুমিয়ে যায় প্রেয়ন।
দুনিয়ার সব কিছুই ভুলে যায় যখন সে পৃথুলারা সাথে থাকে।



–বাবা নীল পাপ কারোর বাপ চিনে না বাবা জীবনে অনেক কিছু করেছিস এবার থাম।
–হুহ বাবা তাহলে একটা শিশুকে অধিকার থেকে ছিন্ন করা মহা পাপ।
–আমি কখনো তেকে বুঝতে দেয় নি তুই আমার ছেলে না।
–আমিও কাউকে বুঝতে দেয় নি সব কিছুর পেছনে কার হাত।
–যাকে কেউ দেখে না তাকে মহান আল্লাহ তায়লা দেখে।
–বাবা গেম মাত্র শুরু ভিলেন না হয় কিছু এপিসোড পরে ডিসাইড করো।
–নীল তুই নীল চৌধুরী বাবা।
–না বাবা আমার আসল পরিচয় হয়তো নীল
–স্যার ম্যামের কোচিং শেষ।
–আচ্ছা।
আমাকে আসতে হবে বাবা।
–বাবা মেয়েটা বাচ্চা আমার শিক্ষা তোকে কখনো কোন মেয়ের সাথে খেলতে শেখায় নি।
–বাবা ওকে ভালোবাসি।
–ভালোবাসলে ভালো কিন্তু পাপ কুড়াস না বাবা।
–পাপ নিয়ে ভেবো না আমি যদি পাপা করি তবে ওরা মহা পাপ করেছে।
নীল কথাটা বলেই চলে আসে।
–আল্লাহ আমার নীলকে তুমি সু পথ দেখাও একটা রাস্তা দেখাও যার দ্বারা ওকে আমি সু পথে ফিরিয়ে আনতে পারি।


–দোস্ত জলদি একটা রিকশা দেখে চলে যেতে হবে বাসায় নাহলে আবার ওই নীল চলে আসবে (রাইমা)
–হুম তুই ঠিক বলেছিস আমার কেমন এখন ভয় ভয় হচ্ছে।
রাইমা আফিয়া রিকশায় উঠতে যাবে তখন।
–রাইমা আমি আাছি তো কেন এতো তাড়া তোমার (নীল)
–দোস্ত। (চেপে)
–কি করবি উপায় নেই। (আফিয়া)
ওরা নীলের সঙ্গে বাসায় চলে আসে।



–পৃথু এই পৃথু।
–হুম।
–উঠ আর কতো ঘুমোবি।
–কেন জানি না প্রচুর ঘুম পাচ্ছে আমার ।
–আমাকে ঘুমোতে গিয়ে নিজে ঘুম দিলি।
–হুম।
–পৃথু উঠ এবার।
–হু (ঘুমের ঘোরে)
–পৃথু
–উঠছি।
এবার ভালো করে চোখ মেলে উঠার চেষ্টা করলাম।
কোন মতে উঠে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এলাম।
এসে দেখি প্রেয়ন রেডি হচ্ছে।
এই দুপুর সময় কই যাবেন উনি।
–এই দুপুর বেলায় কই যাবেন?
–একটু কাজ আছে রাতে ফিরতে লেট হবে খেয়ে নিও।
–আচ্ছা।
উনি চলে যাবে ঠিক তখন,
–প্রেয়ন।
–হুম কিছু লাগবে।
–না একটা গজরা নিয়ে আসবেন বেলি ফুলের।
–বেলি ফুলের গজরা।
–হুম।
–হুম আনবো।
–ধন্যবাদ।
–আগে এনে দি তার পর ধন্যবাদ দিস।
–হুম (মুচকি হেঁসে)
উনি চলে গেল।
আমি বসার ফোন দিয়ে রাইমাকে ফোন দিলাম,
–আসসালামু আলাইকুম।
–ওলাইকুমাসলাম রাইমা বাবু কেমন আছিস?
–আপু আলহামদুলিল্লাহ তুই কেমন আছিস?
–এই তো ভালো।
–ভাইয়া ফুপি ফুপা?
–আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো বাবার কি অবস্থা।
–আগের মতোই।
–উন্নত হচ্ছে না।
–নারে জানি না কি হচ্ছে আল্লাহ কপালে কি লিখছে।
–কিরে পিচ্চি কোন সমস্যা?
–না সমস্যা হবে কেন
–তোর কন্ঠ কেমন ভারি ভারি শোনাচ্ছে।
–নারে আপু ঠান্ডা লাগছে তাই হয় তো।
(তুই সব বুঝিস আপু তুই আমার দুনিয়া তুই ভালো থাকলেই হবে মনে, মনে)
–পিচ্চি।
–হ্যাঁ আপু।
–ভালোবাসি সেনা তোকে অনেক কিছু লুকাস না কখনো।
–হুম আপু আমিও।
–আচ্ছা রাখি।
–আল্লাহ হাফেজ।
–আল্লাহ হাফেজ।

ফোনটা কেটে দিলাম।
–রাইমার সাথে কথা বললি ভাই জান কেমন আছে?
–আগের মতোই মা।
–কাল যাবো তোর বাবাকে নিয়ে দেখতে ভাইয়াজান কে।
–আচ্ছা।


–কি হচ্ছে আমার সাথে এগুলা আমি কি করবো। এই নীল নামটাকে জীবন থেকে কি করে সরাবো।


দিন গড়িয়ে রাত হলো।
রাতের খাবার খেয়ে মা বাবা শুয়ে পরেছেন।
কিন্তু আমি অপেক্ষা করছি ওনার।
ভালো লাগছে না কেন জানি না আজ কিছু।
অস্থির বোধ হচ্ছে।
সব ভাবতে ভাবতে হটাৎ কলিং বেল এর শব্দ পেলাম,
দৌড়ে দরজা খুলে দিতে দেখি প্রেয়ন।
ওনাকে ঘরে আসতে দিলাম।
উনি হাত মুখ ধুয়ে আমার সাথে করে খেয়ে নিলো।
লোকটাকে আজ বেশ ভালে লাগছে।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল বাঁধছিলাম তখনি হটাৎ,

চলবে,