ফাগুন ছোঁয়া পর্ব-০৭

0
124

#ফাগুন_ছোঁয়া
#পর্ব_৭
#লেখিকা_সারা মেহেক

সন্ধ্যায় মিমকে হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে গেলো আদ্রিশ। যাবার সময় আদ্রিশ তাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,
” আজকে কি ভালো কিছু সময় কাটাতে পেরেছি আমরা?”

জবাবে মিম কিছু বলেনি। বরং কয়েক সেকেন্ড আদ্রিশের দিকে চেয়ে বলেছিলো,
” আমাকে রেডি হতে হবে আবার। নাহলে সন্ধ্যার ক্লাসে দেরি হয়ে যাবে।”
এই বলেই সে হোস্টেলে চলে যায়। বেচারা আদ্রিশ এই ছোট্ট প্রশ্নের জবাব না পেয়ে হতাশ হলো। গোমড়ামুখে মেসে চলে এলো সে।

রাতে ওয়ার্ড শেষে হোস্টেলে ফিরলো মিম। রুমে এসে খানিক সময় বিশ্রাম নিয়ে নামাজ পড়ে খেয়েদেয়ে নিলো সে। এর কিছুক্ষণের মাঝেই তার মা কল দিলো। দু চারটা কথার পরেই মিমের মা তাকে জিজ্ঞেস করলো,
” আদ্রিশকে ফোন দিয়েছিলি?”

মিম খানিক ক্লান্ত ছিলো। ফলে দ্রুতই ঘুমোতে চেয়েছিলো। এর মাঝে তার মা তাকে আদ্রিশের কথা জিজ্ঞেস করায় কিঞ্চিৎ বিরক্তি প্রকাশ করলো সে। বললো,
” সারাদিন ওর সাথেই ছিলাম আম্মু। এখন বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছে। শুধু শুধু ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করা!”

মেয়ের এহেন অবজ্ঞা অযত্নমূলক কথা শুনে হতবাক হলেন মিমের মা। তিনি বিস্মিত কণ্ঠে বললেন,
” এ কি কথা! মাত্র ১১টা বাজে। এখনই ঘুমিয়ে পড়বে! ফোন দে ওকে।”

” উফ আম্মু, এখন ফোন দিতে মন চাচ্ছে না।”

” কেনো! খোঁজ খবর নিবি না ওর?”

” কি খোঁজা নিবো? সারাদিন ওর সাথে থেকে আবার রাতে খোঁজখবর নেওয়ার এনার্জি নেই আমার। এই যে এসব কারণে বিয়ের মতো সম্পর্ক বিরক্ত লাগে। এতো দায়িত্ব নিয়ে কারোর খোঁজখবর নেওয়া যায় না সবসময়।”

মেয়ের কথায় আরো এক দফা হতবাক হলেন মিমের মা। বললেন,
” এসব কেমন কথা মিম? নতুন নতুন বিয়েতে তো মানুষ শখ করেও একটু খোঁজ নেয়। আমি জানতাম, নতুন নতুন বিয়ে হলে সবাই সারাদিন একে অপরের খোঁজ নিতেই সময় পার করে ফেলে। আর তুই কি না বিরক্ত হচ্ছিস!”

মিমের মেজাজ চটে গেলো। কি কারণে কে জানে কিন্তু মায়ের এসব কথায় ভীষণ বিরক্ত লাগছে তার। মেজাজটা খিটখিটে হয়ে আসছে। সে বললো,
” বিরক্ত হবো না তো কি! এখন আমার শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগছে। ভেবেছিলাম একটু ঘুমাবো। কিন্তু তুমি এখন এসব বলছো কেনো? দুইটা তিনটা পর্যন্ত ক্লাস। তারপর ওর সাথে খাওয়াদাওয়া করে সারা বিকেল ঘুরে বেড়ালাম। তারপর এসেই ওয়ার্ড। এর মাঝে কার শরীরের ক্লান্তি আসবে না তুমিই বলো!”

” সে না হয় বুঝলাম তুই খুব ক্লান্ত। কিন্তু আদ্রিশকে ফোন দিয়ে দু মিনিট কথা বলতি। কখন রুমে পৌঁছালো, রাতে কি খেলো এসব কি একটু জিজ্ঞেস করা উচিত না?”

” দেখো আম্মু, আমার মেজাজ কোনো এক কারণে খিটখিটে হয়ে আছে। ভালো লাগছে না এসব।”

” আচ্ছা, তুই কি হোস্টেলে ফিরার পর একবারোও ফোন দিয়েছিলি ওকে?”

” না। তখন ভুলে গিয়েছিলাম। আর এখন ইচ্ছে করছে না। ”

মিমের মা এবার যারপরনাই হতাশ হলেন। মেয়ের এমন চিন্তাভাবনায় দুশ্চিন্তার ছায়া পড়লো তাঁর মুখখানায়। কয়েক সেকেন্ড বাদে জিজ্ঞেস করলেন,
” তোর শ্বশুর, শাশুড়ী, ননদের সাথে কথা হয়?”

আদ্রিশের ব্যাপার হতে সোজা শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ায় মিমের মেজাজ আরো এক দফা চটে গেলো। খিটখিটে কণ্ঠ নিয়ে বললো
” এখন আবার শ্বশুরবাড়ীর কথায় গেলে কেনো আম্মু!”

” তুই বল আগে। কারোর সাথে কথা হয়?”

মিম এক প্রকার জোরপূর্বক জবাব দিলো,
” একদিন কথা হয়েছিলো। ”

” মাত্র একদিন! ”

” তো রোজ কথা বলা সম্ভব না কি? আর এই দু তিনদিনে কি কথা বলবো আমি?”

মিমের মা এবার দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। যথাসম্ভব কণ্ঠ শান্ত রেখে বললেন,
” শোন মা, কিছু কথা বলবো। মন দিয়ে শুনবি। এগুলো আগেই ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত ছিলো তোকে। রেগে যাবি না। একটু শান্ত হ। আর মেজাজটা ঠাণ্ডা করার চেষ্টা কর।”

মিম কিছু বললো না। প্রথমে মায়ের কথা শুনতে চাইলো না সে। একবার ভেবেই বসলো কল কেটে দিবে সে। কিন্তু পরে মনের তাড়নায় নিজেকে শান্ত করলো সে। খানিক সময়৷ নিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস প্রশ্বাস নিলো সে।
ওদিকে মিমের মা মিনিট খানেক পর বললো,
” এবার একটু শান্ত হয়েছে মনমেজাজ? ”

মিমের মেজাজ পূর্বের তুলনায় একটু শান্ত হলো বোধহয়। ছোট্ট করে সে জবাব দিলো,
” হুম।”

তার মা এবার বলা আরম্ভ করলো,
” শোন মা, তোর এখন বিয়ে হয়েছে। বিয়ে মানেই দায়িত্ব। সে তুই মানিস আর না মানিস। যেহেতু বিয়ে হয়েছে সেহেতু দায়িত্ব তোকে পালন করতেই হবে। এ দায়িত্ব স্বামীর প্রতি আছে, শ্বশুর শাশুড়ীর প্রতি আছে, নিজের সংসারের প্রতি আছে। তুই চাইলেও এগুলো অদেখা করতে পারবি না৷ এখন এই দায়িত্বের মাঝে এটাও পড়ে যে অন্ততঃ রোজ এক মিনিটের জন্য হলেও তাদের খোঁজ নেওয়া। ভালো না লাগলেও খোঁজ নিবি। বেশি না, শুধু কেমন আছেন, কি করেন, কি খাওয়াদাওয়া করলেন, এই তো! এগুলো করলেই এক মিনিট সময় পার হয়ে যাবে দেখিস। তুই এমন খোঁজ নিলে তারা খুব খুশি হবে। তাদের মনে তোর জন্য মায়া ভালোবাসা জন্মাবে। এই মায়া ভালোবাসা তো এমনি জন্মায় না। একপক্ষ থেকে এগিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে তুই না হয় এগিয়ে গেলি।
আর তোকে তো এমন শিক্ষা দেইনি আমি তাই না? তুই যদি মাসে এক বার দুইবার খোঁজ খবর নিস, সেটা খারাপ দেখায়। বেয়ান সাহেব এমনও ভাবতে পারে যে হয়তো তোকে আমি এ শিক্ষা দেইনি। তখন কিন্তু প্রশ্নটা আমার উপরেই উঠবে। এজন্য অন্ততপক্ষে আমার সম্মান রক্ষার্থেই প্রথম প্রথম খোঁজখবর নিস একটু। তারপর দেখবি এমনিই অভ্যাস হয়ে যাবে। আর তোর মন মেজাজ এখন ভালো না বুঝলাম। কিন্তু রোজ তো এমন থাকবে না, তাইনা? যখন ভালো লাগবে তখন খোঁজ নিবি। এতে উনারা খুব খুশি হবে।
আর আদ্রিশের বেলায় আমার কিছু বলার নেই। ওর প্রতি দায়িত্বটা তোর সবার আগে৷ ওর সবকিছুর খেয়াল, খোঁজ, ভালোমন্দ জানার দায়িত্ব তোর। নতুন বিয়ে হলে নিজের থেকেই একটু করে তো ইচ্ছা হয়, ওর সাথে কথা বলি, কি করে শুনি। এভাবে করেই তো দুজনের মাঝে ভালো সম্পর্ক, ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। তোর কি এসব ইচ্ছা হয় না?”

এতক্ষণ মায়ের কথাগুলো ভীষণ মনোযোগ সহকারে শুনছিলো মিম৷ হঠাৎ মাঝে প্রশ্ন করায় সে ছোট্ট করে জবাব দিলো,
” জানি না।”

” জানবি না কেনো?”

” আহহা, জানি না মানে জানি না। আর এসবের অভ্যাসও নেই আমার। এমন রুটিন করে কথা বলা ভালো লাগে না আমার। এসবে অভ্যস্ত না আমি।”

” তো নিজেকে অভ্যস্ত করে নে। অভ্যাস দু দিনে হয় না। একটু একটু করে হয়। আর তুই যে আদ্রিশকে এমন অবহেলা করিস, ও কি জানে?”

” না।”

মিমের মা একপ্রকার আকুল আবেদনের স্বরে বললেন,
” দয়া করে জানতে দিস না মা। বেচারা কষ্ট পাবে খুব। এর চেয়ে বরং নিজেকে একটু বদলানোর চেষ্টা কর। কি, পারবি না?”

মিম নীরব রইলো। তার মা বললো,
” চেষ্টা কর মা। যাই হোক এ বিয়ের সম্পর্ক তো পালন করতেই হবে তাই না? তাহলে এমন অবহেলা করে লাভ কি?”

মিম এবার বুঝলো বোধহয়। মাঝে মাঝে এসব নিয়ে ভীষণ দ্বিধাদ্বন্দে ভুগে সে। এসব সম্পর্কের ব্যাপারে সে একেবারেই কাঁচা। কোন সম্পর্কে নিজ হতে এগিয়ে গেলে তা ভালো হবে তা নিয়ে জ্ঞান খানিক কম আছে তার। এসবের কারণ হয়তো তার আশেপাশের বিষাক্ত পরিবেশ।
বিয়ের পর তার মাঝে এ দ্বিধাদ্বন্দ ভাবটা বৃদ্ধি পেয়েছে খানিক। মাঝে মাঝে আদ্রিশের প্রতি বিরক্তি কাজ করে। আবার মাঝে মাঝে আদ্রিশের প্রতি খানিক ভালোলাগা কাজ করে। মিম ভেবে পায় না যে সে এমন দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে কেনো পড়ে? এটা তার মানসিকতার দোষ নাকি সময়ের দোষ? মাঝে সে ভাবে, হয়তো কিছু সময় অতিবাহিত হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে এসবের প্রতি।

মিম তার মা’কে বললো,
” আচ্ছা আম্মু, তোমার সব কথা শুনলাম। এবার আমি একটু রেস্ট নেই? ভালো লাগছে না তেমন।”

তার মা আর কথা বাড়ালো না। বললো,
” আচ্ছা, তোর যেটা ভালো মনে হয় সেটা কর। আমি যা যা বলেছি তা নিয়ে একটু সময় করে ভাবিস।”

” আচ্ছা আম্মু। রাখছি। আল্লাহ হাফেজ।”

“আল্লাহ হাফেজ।”

মিম ফোন রেখে বারান্দা হতে রুমে চলে এলো। এতক্ষণ যাবত বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো সে। রুমে এসে দেখলো ফারহা তাকে কিছু বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে জানে, তার মায়ের মতোই নীতিবাক্য শোনাবে ফারহা। কিন্তু এ মুহূর্তে তার একটি কথা শোনার ধৈর্য্য বা ইচ্ছে কোনটাই নেই মিমের। তাই ক্লান্তিমাখা কণ্ঠে বললো,
” আজকে আর না ফারহা। আমার ভালো লাগছে না। একটু ঘুমাতে দে। ”

ফারহা দমে গেলো। ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো,
” আচ্ছা, ঘুমা তাহলে।”

মিম আর কথা বাড়ালো না। শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষণের মাঝেই গভীর ঘুমের দেশে তলিয়ে পড়লো সে।

——————-

পরেরদিন ক্লাসের সবার মধ্যে মিম ও আদ্রিশের বিয়ের ব্যাপারে জানাজানি হয়ে গেলো। আদ্রিশ এতে কোনো পরোয়া না করলেও মিম লজ্জায় যেনো মাটির সাথে মিশে যাচ্ছিলো। সকলের প্রশ্ন ছিলো, কিভাবে দুজনের পরিচয় হলো? কিভাবে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা এগোলো? প্রথম প্রথম সে জবাব দিলেও পরে বিরক্ত হয়ে গেলো
তার হয়ে ফারহা ছোট্ট করে কাহিনি বলে দিলো উৎসুক জনতাকে। এতে মিম যেনো হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো।

সময়মতো সকালের ওয়ার্ডে আসলো সবাই। এখনও ক্লাস শুরু হতে আধ ঘণ্টা সময় লাগবে। এজন্য অনেকে বসে গল্প করছে, অনেকে ক্যান্টিনে খেতে গিয়েছে। কিন্তু মিম ব্যস্ত আছে তার মায়ের কথাগুলো ভাবতে। কালকের কথাগুলো সে গুরুত্ব নিয়ে ভাবছে। দিনশেষে সে উপলব্ধি করতে পেরেছে, ভুলটা প্রকৃতপক্ষে তারই ছিলো। আর যাই হোক, সে এখন একটা সম্পর্কে আবদ্ধ। তার দায়িত্ব সে সম্পর্ককে যথাযথ মূল্যয়ন করে পালন করা। অথচ কালকে কি করে বসলো সে!
মিম জানে না, কাল কি কারণে এতো মেজাজ খিটখিটে হয়েছিলো তার। হয়তো দিনভর ক্লান্তির ফলে এমনটা হয়েছিলো। বা হয়তো মুড সুইং এর ফলে এমনটা হয়েছিলো।
আসলে রুমে ঢুকার কয়েক মিনিটের মাঝেই আদ্রিশকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করা দরকার ছিলো যে সে রুমে পৌঁছেছে কি না। আচ্ছা? এ কারণে কি মিম আদ্রিশকে সরি বলবে? বোধহয় হ্যাঁ। সরি বললেই হয়তো সে কিছুটা হালকা অনুভব করতো। কিন্তু আদ্রিশ যদি তাকে হঠাৎ সরি বলার কারণ জিজ্ঞেস করে তখন কি জবাব দিবে সে?
মিম খানিক সময় ভাবলো। কিন্তু যথাযথ উত্তর পেলো না। তাতে কি হয়েছে! কিছু একটা বললেই হয়ে যাবে। কিন্তু এর পূর্বে তাকে সরি বলতে হবে।

আদ্রিশ স্যারদের সাথে রাউন্ডে ব্যস্ত ছিলো। মিম কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টে গিয়ে দেখলো আদ্রিশ শেষের দিকে একটা বেডের কাছে দাঁড়িয়ে আছে। সে অপেক্ষা করলো। স্যাররা চলে যেতেই আদ্রিশের নজর মিমের উপর পড়লো। সে এ মুহূর্তে মিমকে দেখে কিঞ্চিৎ বিস্মিত হলো। এগিয়ে এসে মিমকে জিজ্ঞেস করলো,
” কি ব্যাপার? ক্লাস নেই এখন?”

মিম খানিক অস্থির হয়ে পড়লো। কিভাবে কথা আরম্ভ করবে তা নিয়ে দ্বিধায় পতিত হলো। আদ্রিশ মিমের নীরবতা উপলব্ধি করে জিজ্ঞেস করলো,
” কি ব্যাপার? চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?”

মিম আর ভাবনায় সময় নষ্ট করলো না। একেবারেই বলে দিলো,
” সরি।”

অকস্মাৎ মিমের জবান হতে কোনো কারণ ব্যতিত সরি শুনে ভীষণ অবাক হলো আদ্রিশ। ভ্রুজোড়া কুঞ্চিত করে বিস্মিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
” সরি! কি কারণে সরি?”

মিম এবার অস্থির হয়ে জবাব হাতড়াতে লাগলো।নত দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো মেঝেতে। যেনো মেঝেতেই লিখা আছে তার জবাব। কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে চট করে জবাব দিলো,
” কালকে রাতে ফোন না দেওয়ার জন্য। ”
বলেই সে ঐ স্থান ছেড়ে চলে এলো। পিছে আদ্রিশ পুরোই বেক্কল বনে গেলো। কয়েক মিনিটের মাথায় কি দিয়ে কি হয়ে গেলো তা বুঝে উঠতে সময় লাগলো তার। শেষে নিজেকে প্রশ্ন করলো, ‘ও সরি বললো কেনো? ওর কি কোনো দোষ ছিলো? শুধুমাত্র কাল রাতে ফোন না দেওয়ার জন্য এভাবে সরি বললো! অদ্ভুত!

এদিকে মিম ওয়ার্ডে এসে শান্ত হয়ে বসলো। এক সরি বলতে যে তার জানপ্রাণ ছুটে যাবে কে জানতো! এ নিয়ে নিজেই নিজেকে শুধালো,
” সরি বলতেই এই অবস্থা! কখনো যদি মনের কথা বলতে হয় তবে তো আমি সেখানেই পটল তুলবো। নাহ, আমার দ্বারা এসব হবে না। বরং সবসময় নিজেকে চুপচাপ রেখে পটল তোলার মতো পরিস্থিতি হতে বিরত থাকতে হবে।”
#চলবে
®সারা মেহেক