বাঁধনহীন সেই বাধন অকারণ পর্ব-০৪

0
348

#বাঁধনহীন_সেই_বাধন_অকারণ|৪|
#শার্লিন_হাসান

শহরের অলি-গলি হাটলো দু’জন। আলিশা ফুসকার দোকানে বসে ফুসকা খেলো।
দু’জনে হাত ধরে হাঁটতে, হাঁটতে সময়টা পার করলো।

আলিশাকে বিদায় দিয়ে রুদ্র রিকশা ধরলো। তার ফ্লাটে যাবে।
মিনিট দশেকের মাঝে এসে পৌঁছালো ছয়তলা বিল্ডিংয়ের সামনে। ভাড়া মিটিয়ে দো’তালায় গেলো রুদ্র। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো। ফ্রিজ থেকে পানির বোতল নামিয়ে সোফায় বসে পড়লো। টিভি ছেড়ে দিয়ে আয়েশ করে পানি পান করলো। তখন আবার আলিশার মেসেজ এসেছে,
‘বাসায় পৌঁছেছ?’

রুদ্র ছোট্ট করে লিখলো,
‘হুম!তুমি?’

আলিশার উত্তর ‘হ্যাঁ’ আসতে রুদ্র সীন করে আর মেসেজ দেয়নি।
ফ্রেশ হয়ে কফি বানালো। কফির মগ নিয়ে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো রুদ্র।

সময়টা ভালো কাটছে তার। আলিশার কথা ভাবতে ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটলো।
ডুব দিলো তাঁদের পুরনো দিনে।

আলিশা তাদের ভার্সিটিতে আসার কয়েক দিন পর হঠাৎ রুদ্রর সাথে দেখা হয়। যদিও তাদের তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা হতো। নিয়মিত হলে ও তবে খুব অল্প। মেয়েটা আগ বাড়িয়ে কথা বলতো। সেখান থেকে তাঁদের দেখা,সাক্ষাৎ, কথাবার্তা আরো প্রগাঢ় হতে থাকলো। যদিও রুদ্রর অতীত! রুদ্রর কিছু কথা আলিশার অজানা। রুদ্র কখনো বলেনি। আলিশা ও জানতে চায়নি। অতীত নিয়ে মন খারাপ হলে ও নির্দিষ্ট কাউকে পায়নি রুদ্র সব শেয়ার করার জন্য। আলিশার কাছে এসব বলতে দ্বিধাবোধ করতো রুদ্র।

রাখির কল আসতে রুদ্র রিসিভ করলো। রুদ্র ‘হ্যালো’ বলতে অপর পাশ থেকে রাখি বললো,

‘খেয়েছো?’

‘হুম! তুমি?’

‘না খাইনি! মেঘের সাথে গল্প করছি একটু পর খাবো।’

‘ওহ্! বাঁচাল মেয়েটার পড়াশোনা নেই?’

‘গল্প করছি তো! আর এতো পড়াশোনা করে কে কী করেছে?’

‘অনেকে অনেক কিছু করেছে। তবে ওই মেয়েটা কিছুই করতে পারবে না।’

‘আচ্ছা ছাড়ো সেসব কথা। আলিশার সাথে কথা হয়েছে?’

‘হুম! সন্ধ্যায় দেখা হয়েছে।’

‘বিয়েটা করে নেও। একা,একা তুমি পারবে সব সামলাতে?’

‘পারবো। দেখা যাবে সময় হলে। এখন ও অনেক পথ বাকী।’

তখন মেঘের আম্মু আফরোজা ইসলাম রাখিকে ডাকতে লাগলেন ডিনার করতে৷ রাখি রুদ্রকে বায় বলে চলে আসলো। তার কিছুক্ষণ আগে মেঘ এসেছে।
মেয়েটা আজকাল চুপচাপ থাকে।
রাখির মনে হলো কিছু নিয়ে শকড মেঘ। তবে বুঝতে পারছে না সে। সবার সাথে খাবার খেয়ে চুপচাপ রুমে চলে এসেছে রাখি।

********

ফেবু স্ক্রোল করছে মেঘ। উদ্দেশ্যে রুদ্রর আইডি খোঁজা। মেহরাবের আইডি থেকে রুদ্রর আইডি নিয়ে রিকুয়েষ্ট সাথে মেসেজ দিলো রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করতে। রিপ্লাই পাবে কী না সন্দেহ।
ভাগ্যিস আইডিটা নিজের নামে খুলেনি মেঘ। নাহলে মেহরাব তার এই আইডিটা ও বন্ধ করে দিতো।
তার কিছুক্ষণের মাঝে রুদ্রর রিপ্লাই আসলো। রুদ্র তার পরিচয় জানতে চেয়েছে। বলেনি মেঘ! এই নিয়ে তাঁদের এক দফা কথা-কাটাকাটি সাথে ঝগড়া ও হয়েছে।রুদ্রকে দেখে যতটা ভোলা ভালা স্বল্পভাষী মনে হয় আসলে সে ও কথা কম বলে না। মেঘ একটা বললে সে পাঁচটা বলে। মেঘের মনে হচ্ছে লোকটা নিউরনে,নিউরনে গেঁথে গেছে তাকে অপমান করার সূত্রটা। দু’জন,দু’জনকে কিছুক্ষণ কথা শোনালো। অত:পর রুদ্র তাকে ‘ফা’ল’তু’ বলে ডিরেক্ট ব্ল’ক মেরে দিয়েছে।

ফোন রেখে মেঘ বুঝলো রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করতে বলায় ভাব বেড়ে গেছে। চুপচাপ রুমে এসে ফোনটা চার্জে বসালো। খাটের উপর হেলান দিয়ে বসলো।
খুব শক খেয়েছে মেঘ। অপ্রত্যাশিত কিছু হয়েছে। বারবার সব মিথ্যে মনে হচ্ছে।
‘উফফ প্রথম প্রেম এসেছে আমার। কিশোরি মনের সুপ্ত কোঠরে তাকে নিয়ে অনুভূতি জমা হয়েছে। আজকে সবই ফ্যাকাসে লাগছে। প্রথম প্রেমটা বোধহয় ভুল সময় হয়। আর প্রথম প্রেমের অনুভূতি ভুল মানুষের প্রতি আসে।’

তখন তার ফোনটা চিৎকার করে উঠলো। প্রচন্ড বিরক্ত হলো মেঘ! আননোন নাম্বার হওয়ায় কল রিসিভ করলো না। পরপর তিন-চার বার কল বেজে কেটে গেলো। তার হেল দোল নেই। সোফার উপর বসে এক ধ্যাণে তাকিয়ে আছে।

‘না পাওয়া জিনিসের প্রতি একটু বেশী ঝোঁক চলে এসেছে। তাকে নিয়ে এতটা কল্পনা করা ঠিক হয়নি আমার।’

নিজেকে স্বান্তনা দিয়ে চুপচাপ শুয়ে পড়লো মেঘ।

*****

পরের দিন সকালে যথারিতি আগের রুটিনে ফিরেছে মেঘ। সকাল,সকাল ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করে নিলো। সকালের শীতল বাতাস উপভোগ করার জন্য ছাঁদের দিকে পা বাড়ালো সে। হাতে তার চায়ের মগ! চুপচাপ রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে আর গাছের পাতা দেখছে। যা নড়ছে!

“আমার স্বয়নে স্বপনে শুধু আপনি। আপনার চেহারা,কথা বলা সব আমার নিউরনে,নিউরনে গেঁথে গেছে। কী করে নিস্তার পাই বলুন তো? আপনি জানেন আপনার বলা একটা বাক্য আমার হৃৎস্পন্দন শীতল রাখার ক্ষমতা রাখে। দূর থেকে বসে আপনাকে দেখতে ভালো লাগে। এই দুই মাস আপনি আমার অভ্যসে পরিণত হয়ে গেলেন। দূর থেকে আপনাকে ফলো করা! লুকিয়ে আপনাকে দেখা। আপনাকে দেখার জন্য মন ব্যকুল হওয়া। আপনার সাথে কথা বলার জন্য ছটফট করা। বুঝেন কিছু? না বুঝেন না। আপনি জানেন না আপনাকে কীভাবে আমি এতো ভালোবেসে ফেললাম। শুধু চোখের দেখায় ও বুঝি ভালবাসা হয়? আপনাকে না দেখলে বুঝতাম না। ইশশ এতো আবেগী কেন আমি? ভালোবাসি ছায়ামানব জারিফ আনান চৌধুরী রুদ্র।

‘অন্য কাউকে ভালবাসেন আপনি। তাতে কী আমার বেহায়া অনুভূতি আপনাকে এক তরফা ভালবাসতে সাহায্য করছে। তাই মনে হয় আপনার প্রতি আমার ভালবাসাটা এক তরফা সৃষ্টি হয়ে গেলো।’

চা শেষ করে নিচের দিকে পা বাড়ালো মেঘ৷ রাখি তার নাস্তা রেডি করছে। মেঘ রেডি হয়ে নাস্তা খেতে বসে গেলো। দু’টো রুটি কোন রকম খেয়ে বায় বলে চলে আসলো। আধাঘন্টা হাঁটলে কলেজ। আর তাদের প্রাইবেট ব্যাচ কলেজের পেছন দিকে একটা ভবন আছে। যেটাতে ছাত্রদের ফ্রি তে থাকার ব্যবস্থা আছে বিশেষ করে যাদের বাবা-মা নেই! বাড়ী দূরে। সেখানেই প্রাইবেট পড়ায় তাদের বায়োলজি টিচার।
সাধারণ দিনের মতো আজকের দিনটাও। তবে সবকিছুতে কেমন অনীহা চলে এসেছে তার।

*****

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলো আলিশা। নাস্তা খেয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা দিলো সে।
বাইরে এসে রিকশা ধরলো। ভার্সিটির সামনে এসে ভাড়া মিটিয়ে ভেতরের দিকে অগ্রসর হলো। তার এক ফ্রেন্ড সুমাইয়া তার জন্য ওয়েট করে বসে আছে।
দু’জনে টুকটাক কথা বলে মাঠের শেষপ্রান্তে শান দিয়ে বাঁধাই করা গোলাকৃত বসার জায়গায় গেলো। সেখানে রুদ্রকে নিয়ে সুমাইয়ার সাথে কথা বলছে। কথা বলার এক পর্যায়ে সুমাইয়া বললো,

“ভার্সিটিতে সবার ক্রাশ বয় আয়মান আরহাম চৌধুরী বিডিতে এসেছে। উফফ কত দিন পর ক্রাশকে দেখবো।”

“আয়মান কবে আসলো মালদ্বীপ থেকে?”

“গতকাল এসেছে। ট্যুরে গিয়েছে! চল,চল গেটের দিকে যাই! কখন আমার ক্রাশ বয় কার নিয়ে গেট দিয়ে ঢুকবে।”

সুমাইয়ার কথা হাসলো আলিশা। সুমাইয়া তার হাত টেনে গেটের দিকে নিয়ে গেলো। নির্দিষ্ট সময় পর আয়মানের কার গেট দিয়ে প্রবেশ করলো। আলিশা হাসি মুখে তাকিয়ে আছে কারের দিকে। কারে বসে আলিশার দিকে নজর গেছে আয়মানের। সে ও মুচকি হাসলো।

আলিশা সুমাইয়া তাদের ডিপার্টমেন্টের দিকে হাঁটা ধরলো। তাদের পেছনে আয়মান প্রবেশ করছে। সুমাইয়ার সাথে কথা বলতে,বলতে সিঁড়ি পার হচ্ছে আলিশা। তখন তাঁদের পাশ কাটিয়ে আয়মান গেলো। কিছুটা থেমে আলিশা ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটালো। সুমাইয়া বুঝতে পারছে না আলিশার এতো হাসির কারণ। তখন তাকে ধাক্কা দিয়ে বললো,

“এতো হাসছিস কেন? আয়মানকে আজকে ভালো লাগেনি? দেখ তুই রুদ্র ভাইকে নিয়ে থাক আমার ক্রাশের দিকে নজর দিবি না।”

“রুদ্র ভাই!” কথাটা বলে তাচ্ছিল্য হাসলো আলিশা। সুমাইয়ার বেশ খটকা লাগছে। আলিশার ভেতরটা পড়া হয়নি। যতটুকু জানে রুদ্রকে সে অনেক ভালবাসে। কিন্তু এখন কয়েকদিন অন্যরকম লাগে আলিশাকে। মনে হয় তাঁদের সম্পর্কে অনীহা চলে এসেছে। কিন্তু আলিশার থেকে রুদ্রর কথা শোনলে মনে হয় সব ঠিকঠাক।
সুমাইয়া আর কথা বাড়ালো না। এটা নিয়ে প্রিতীর সাথে কথা বলবে সে। প্রিতী আসতে কয়েকদিন লেট আছে।
দু’জনে ক্লাসে ঢুকে গেলো।

******

পরপর তিনটা ক্লাস শেষ হয়েছে মেঘের লাস্ট ক্লাস রুদ্রর। তার মাঝে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। সে ক্লাস শুরুর আগে রুদ্রকে একনজর দেখেছিলো। বেশী দেখতে ও পারে না হৃদ তাকে পচায়।
রুদ্র ক্লাসে প্রবেশ করতে মেয়েরা অনেকে “হাই স্যার!”
“কেমন আছেন?”
এসব প্রশ্ন করেছে। রুদ্র উত্তর দিয়েছে। তবে তার মুখে গম্ভীরতা সুস্পষ্ট।

চুপচাপ ক্লাস করাচ্ছে রুদ্র। কিন্তু মেয়ে বেশীরভাগ মেয়েরা তার দিকে তাকিয়ে আছে। আশেপাশে তাকাতে মেজাজ হারালো মেঘ। মেয়ে গুলো কীভাব তাকিয়ে থাকে মনে হয় বাপ-ভাই নেই। পরক্ষণে নিজের দিকে তাকালো। সে নিজে ও তো রুদ্রকে দেখার জন্য অপেক্ষা করে। অস্থিরতা অনুভব করে। সময়ের সাথে দিনদিন তা প্রগাঢ় হচ্ছে।

গালে হাত দিয়ে বসে,বসে ভাবছে মেঘ! ঠিক তখনি রুদ্র তার সামনে আসলো। মুখের সামনে তুড়ি বাজালো। মেঘের ধ্যান ভাংঙলো। রুদ্র দিকে তাকাতে সে প্রশ্ন করলো,

“সংকেত আর প্রতীক কিসের?”

মেঘ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। জীবনে এতো কিছু পড়েছে কীনা সন্দেহ। পড়ালেখায় একদম ঢেড়শ টেনেটুনে পাশ। ঠিকঠাক ক্লাসে ও নিয়মিত না এই দুইমাস ঠিকঠাক আসছে সে।
তখন একজন মেয়ে বললো,
“আমি পারবো স্যার।”
তখন রুদ্র বললো,
“তাহলে বলুন দেখি?”

তখন মেয়েটা বললো,
” সংকেত হচ্ছে অনুর আর
প্রতীক হচ্ছে পরমানুর।”

“গুড! সীট ডাউন।”

তখন মেঘকে চুপ থাকতে দেখে রুদ্র বললো,

“মনে হয় লোক দেখানোর জন্য পড়াশোনা করেন। আদৌ বই খুলেছেন তো?”

“বই খুলিনি তবে বইয়ের ঘ্রাণ নিয়েছি।”

“ইশ কীভাবে গর্বের সহিত বলছেন। এভাবে কিছু হবে না। রাত-দিন এক করে পড়াশোনা করতে হবে। একটা ভালে রেজাল্ট করুন না? ভালো ভার্সিটিতে এডমিশন নিন! লাইফটাকে অন্যভাবে চিন্তা করুন।”

“ভালো ভার্সিটিতে এডমিশন নিলে কী আপনার মতো বফ পাওয়া যাবে স্যার?”

মেঘের কথায় অনেকে হেঁসে দিলো। রুদ্র গম্ভীর মুখে উত্তর দিলো,
“এই কথাটা বলে বেয়াদবি করার জন্য পুরো ক্লাস দাঁড়িয়ে থাকবেন।”
রুদ্র মেঘের সামনে থেকে চলে গেলো। তার কথায় রাগ স্পষ্ট ছিলো। মেঘ দাঁড়িয়ে আছে। পাক্কা বিশ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর রুদ্র চলে গেছে।

*****

চিপস খাচ্ছে আর চুপচাপ হাঁটছে মেঘ। তার সাথে হৃদ এবং লিমা ও তার সাথে চিপস খাচ্ছে আর বকবক করছে। তখন হৃদ বললো,

“স্যারের মতো বফ পেতে হবে এমন কোন কথা আছে মেঘ? আমার মতো হলে হয় না?”

তখন মেঘ বললো,
“তোর মতো পটল দিয়ে আমি কী করবো? পটল পারলে একটা গাজর পটা! কাজে দিবে। মেঘের জন্য রুদ্র পারফেক্ট।”

“খাটো বলে অপমান করোস।”
” দূরে গিয়ে মর হা*লা।”

তখন তার কথার জাববে লিমা বললো,
“আরেক বেডির জামাইকে নিজের বলে দাবি করছিস। লজ্জা করে না তোর?”

“আমার লজ্জা কমই বোন। শুধু রুদ্রর গফ আছে নাহলে কবেই বিয়ের প্রস্তাব পাঠাইতাম।”

“সেজন্য আরেক বেডির জামাই। একবারে ঠিক হয়েছে। তোর মতো বাঙ্গির ছিলকার সাথে এমনই হওয়া দরকার।”

হৃদের কথার জবাবে মেঘ বললো,
“পটলের বাচ্চা পটল সেজন্য তোর ভাগ্য ভাঙ্গির ছিলকা তো দূরে থাক বাঙ্গির কষ ও নাই।”

“বাঙ্গি আমার অপছন্দ কষ,ছিলকা এসব দূরের ব্যপার আমার পছন্দ তরমুজ।”

“তাহলে আশি কেজি ওজনের গফ খুঁজ।”

তাঁদের কথার মাঝে মেঘ তাদের বিদায় দিয়ে বাড়ীতে ঢুকে গেলো।

বাড়ীতে এসে চুপচাপ শাওয়ার নিয়ে বেলকনিতে গেলো। এই ভাবনা কবে শেষ হবে সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে মেঘ। আর অনুভূতি সাজাতে চায় না। রুদ্র অন্য কাউকে ভালবাসে ভাবলে ভীষণ কষ্ট হয়। বুকের বা পাশে লাগে। রুদ্র তার জীবনে কেউ না অথচ তার জন্যই মনটা ছটফট করে।
“আপনি আমার দূরে থাকা ভীষণ কাছের মানুষ রুদ্র স্যার। ভাবতে পারিনি এভাবে আমার অনুভূতি আপনাকে ঘিরে ক্লান্ত হয়ে আপনাতে নেতিয়ে পড়বে। এই আপনাতে নেতিয়ে পড়া ক্লান্ত অনুভূতিকে জাগিয়ে ক্লান্ত সরিয়ে আমার কাছে রেখে দিবো কবে? কীভাবে?”

#চলবে