বিরহের নাম তুমি পর্ব-০১

0
1102

#বিরহের_নাম_তুমি
#সূচনা_পর্ব
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া

১.
ভূমিকার শ্বাশুরী রেশমা বেগম একটা নাইট ক্রিম বিছানার ওপর ছুঁড়ে ফেলে বললেন,’এই নাও ক্রিম। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে দিবা। তাইলে যদি একটু ফরসা হও।’

অপমানে, লজ্জায় মূর্ছা যাচ্ছে ভূমিকা। শ্বাশুরীর এমন অপমানসুলভ কথা সে সহ্য করতে পারে না। উপরন্তু মুখে মুখে কোনো তর্কও সে করে না কখনও। আজও একটা টু শব্দ পর্যন্ত করেনি। অপরাধীর মতো মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটা জিনিস সে ভেবে পায় না। কালো হওয়া কি অপরাধ? কালোরা কি মানুষ হয় না কখনও? হয়তো না! যদি হতোই তবে কেন এত অবমাননা? কেন এত ভেদাভেদ? আধুনিক যুগে এসেও মানুষের রুচি, ব্যক্তিত্ব বদলায়নি। তাঁরা এখনও গায়ের রং-কেই সকল কিছুর ঊর্ধ্বে বিবেচনা করে। ভূমিকা শীতল কণ্ঠে বলল,’আমি কোনো ক্রিম ব্যবহার করতে পারব না মা।’
রেশমা বেগম এমনিতেই ভূমিকাকে সহ্য করতে পারেন না। তারমধ্যে তাঁরই কথার অবাধ্য হওয়ায় তিনি রাগ সংবরণ করে রাখতে পারলেন না। তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে বললেন,’পারবি না মানে? ক্যান পারবি না? টাকা খরচ করে কিনে আনছি কি ফালাই দেওয়ার জন্য? যেই না রূপের ছিড়ি! তোরে আমার পোলার পাশে মানায়? আয়নায় তুই মুখ দেখোস? কী দেইখা আমার পোলা তোরে বিয়ে করতে রাজি হইছিল আল্লাহ্ ভালো জানে। জাদুটোনা করস তোরা? তোদের গোষ্ঠীই তো ভালো না। তুই ভালো হবি কেমনে?’
‘আপনার যা বলার আমায় বলেন। আমার বাবা-মা তুলে কিছু বলবেন না দয়া করে।’
‘আমার এত সময়ও নাই ফালতু বকবক করার। তোরে দেখতেই তো আমার ঘেন্না লাগে। টাকা খরচ করে ক্রিম কিনে আনছি। টাকা নষ্ট যেন না হয় বলে দিলাম!’

শ্বাশুরী ঘর থেকে চলে যেতেই চোখ ফেঁটে কান্না আসে ভূমিকার। বিয়ের শুরু থেকেই রেশমা বেগমের থেকে ভালো ব্যবহার সে পায়নি। সারা দিন-রাত গায়ের রং নিয়ে, কাজ নিয়ে কথা শোনাবে। ভূমিকার সাথে রাসেলের বিয়েটা পারিবারিকভাবেই হয়েছিল। শ্বাশুরী রাজি ছিলেন না। শ্বশুর আর রাসেলের জন্যই তাকেও এই বিয়েতে রাজি হতে হয়। জন্ম, মৃত্যু এবং বিয়ে আল্লাহ্’র হাতে বলেই হয়তো এই বিয়েটা হয়েছে। রাসেল নিজেও যে খুব সুন্দর তা নয়। সে নিজেও কালো। তবে এটা নিয়ে রেশমা বেগমের কোনো মাথা-ব্যথা নেই। বোধ করি এটা তার দৃষ্টিতেও পড়ে না। তার খুব শখ ছিল ছেলের জন্য সুন্দর বউ আনবে। রাসেল কালো হলেও চেহারার ফেস কাটিং সুন্দর। যেকোনো সুন্দর মেয়েই তাকে পছন্দ করবে। তবুও যে সে কেন ভূমিকাকে পছন্দ করে বিয়ে করেছে তা ভূমিকার বোধগম্য হয় না। তিন মাস, এক সপ্তাহ্ হয়েছে বিয়ের। এক সপ্তাহ্ হবে রাসেল কাজের জন্য বিদেশ চলে গেছে। হ্যাঁ, রাসেল প্রবাসী। এই তিনটা মাস একসাথে থেকেছে, খেয়েছে। শ্বাশুরী বকাঝকা করলেও সেগুলো মনে থাকত না। রাতে যখন কাজকর্ম সেরে রাসেলের বুকে মাথা রেখে শুয়ে থাকত তখন সারাদিনের ক্লান্তি, শ্বাশুরীর খারাপ ব্যবহার সবই সে ভুলে যেত। কিন্তু রাসেল চলে যাওয়ার পরই যেন ঘোর অভিশাপ তার জীবনে নেমে আসে।

বালিশের ওপর মাথা পেতে যখন অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছিল ভূমিকা, ঠিক তখনই রাসেলের ফোন আসে। দু’হাতে চোখের পানি মুছে, কণ্ঠ যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে ভূমিকা ফোন রিসিভ করে। ওপাশ থেকে রাসেল কর্কশকণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,’মায়ের সাথে কী নিয়ে ঝগড়া করেছ?’
ভূমিকা বোকা বনে যায়। বিস্ময়ে থ মেরে বসে থাকে। ঝগড়া কখন করল সে? সে কিছু বলার পূর্বেই রাসেল বলল,’আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি।’
‘কে বলল ঝগড়া করেছি? কোনো ঝগড়া তো হয়নি।’
‘আমার কাছে একদম মিথ্যা বলবে না ভূমি। মা তো এমনি এমনিই আর বানিয়ে বলেনি। তুমি মায়ের মুখে মুখে তর্ক করোনি?’
‘না। মা যখন নাইট ক্রিম এনে দিয়েছে, আমি শুধু বলেছি আমি ক্রিম ব্যবহার করব না।’
‘তো মা খারাপ কী বলেছে? ভালোবেসেই তো এনে দিয়েছে। ব্যবহার করতে সমস্যা কোথায় তোমার? তা না করে, তুমি আবার মায়ের সাথেই তর্ক করো।’
‘আমি কেন নাইট ক্রিম ব্যবহার করব? আল্লাহ্ আমায় যতটুকু দিয়েছে আমি তাতেই সন্তুষ্ট।’
‘তোমার সমস্যা কী ভূমি? মায়ের অবাধ্য হও, আবার এখন আমার কথারও অবাধ্য হচ্ছো।’
ভূমি নিরব হয়ে থাকে। ওপাশ থেকে রাসেল বলে,’এভাবে আসলে সংসার করা যায় না ভূমি। সংসার করতে হলে সেরকম মন-মানসিকতা তৈরি করে নাও।’
এরপর রাসেল নিজেই ফোন কেটে দেয়। ভূমিকা ভাবতে থাকে তার প্রিয় মানুষটির কঠিন কঠিন কথা নিয়ে।
____________
২.
রৌদ্রত্তাপে মাথার মগজ গলে যাওয়ার উপক্রম। ঘামে শরীর চিড়চিড় করছে। আধ ঘণ্টা যাবৎ ফাঁকা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে সূচনা। একটাও খালি বাস পায়নি। যেই কয়টা বাস এসেছিল তা অলরেডি যাত্রীতে ভর্তি ছিল। দাঁড়ানোর মতোও পর্যন্ত জায়গা নেই। এদিকে ক্লাস শুরু হতে আর মাত্র ২০ মিনিট বাকি আছে। কলেজে পৌঁছাতেই লাগবে ১০ মিনিটের বেশি। বিরক্তের পাশাপাশি তার খারাপও লাগছিল। এভাবে একের পর এক আরও বাস অতিক্রম করে চলে যায়। পরবর্তীতে সে ঠিক করে ভিড় থাকলেও এবার যেই বাসটি আসবে সেটাতেই সে উঠবে। এবারের বাসটিও লোকে গিজগিজ করছে। তবে আগের বাসগুলোর তুলনায় এটায় যাত্রী কিছুটা কম-ই। আর কোনো কিছুই না ভেবে সে বাসে উঠে পড়ে। হেল্পার যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলে,’ভেতরে যান। ভেতরে জায়গা আছে। যান, যান ভেতরে যান।’
সূচনা মাঝখান বরাবর একটা সিট ধরে দাঁড়ায়। সে বাসে ওঠার পর আরও যাত্রী উঠেছে। এখন আর বাসে পা রাখার মতোও জায়গা নেই। তাই যাত্রী নেওয়ারও আর উপায় নেই। চলন্ত বাসে কিছু সংখ্যক পুরুষ হেলেদুলে গায়ের ওপর পড়ার চেষ্টা করছে। স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যেচে ধাক্কা খাচ্ছে এরা। বিরক্তিতে নাক-মুখ কুঁচকে আরও জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সূচনা। এক হাতে হিজাব টেনে ঠিক করে নেয়। বিষয়টা পাশ থেকেই খেয়াল করছিল জয়। সে এবার ঐ লোকগুলোর উদ্দেশ্যে বলল,’রাস্তায় কোনো ভাঙাচূড়া নেই তারপরও আপনারা একেকজন হেলেদুলে একদম গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছেন। সকালে বাড়ি থেকে খেয়ে আসেননি?’
লোকগুলো থতমত খেয়ে তাকিয়ে থাকে। কিছুই বলে না। বাসের কয়েকজন মহিলা তখন জয়কে সাপোর্ট দিয়ে বলে,’এদের কাজই হচ্ছে মেয়েদের বাসে, রাস্তায় হেনস্তা করা। একটারও শিক্ষা নাই।’

জয় সূচনার পেছনে এসে কিছুটা দূরত্ব রেখে দাঁড়ায়। দু’হাত দু’পাশের সিটের ওপর রেখে বেড়ি দিয়ে রাখে সূচনাকে। জয়ের বামহাতে একগুচ্ছ সূর্যমুখী ফুল। সূচনা একবার ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে পেছনে ঘাড় ঘুরিয়ে জয়ের দিকে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকায়। জয়ের দৃষ্টি তখন সামনের ভিড়ের দিকে।

বাস কলেজের সামনে আসতেই ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে সূচনা বাস থেকে নেমে যায়। দশ মিনিট লেট হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। ক্লাসরুমের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ম্যামের দৃষ্টি পড়ে দরজার দিকে। সূচনার উদ্দেশ্যে তিনি কাঠখোট্টাস্বরে বলেন,’কয়টা বাজে এখন? এটা ক্লাসে আসার সময়?’
সূচনা নিশ্চুপ। ম্যাম ফের বললেন,’প্রথমদিনই এই অবস্থা! আরও দিন তো পড়েই রয়েছে। মানুষ তো কলেজের প্রথমদিনটা অন্তত নির্দিষ্ট সময়ের আগে আসে! প্রত্যেক ব্যাচেই এমন কয়েকটা লেট লতিফ থাকবেই।’

সূচনা এবারও কিছু বলল না। ক্লাসের উপস্থিত সকলের দৃষ্টি এখন দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা সূচনার দিকে। ম্যাম কঠিন স্বরে বললেন,’আমার ক্লাসে এরপর যেন আর লেট করে আসতে না দেখি। ভেতরে আসো।’
সূচনা চুপচাপ ভেতরে গিয়ে শেষের বেঞ্চে বসে পড়ে। গরমে ক্লান্ত লাগছিল কিছুটা তাই ব্যাগের ওপর মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে। ক্লাসে উপস্থিত ম্যাম ইংরেজির শিক্ষক। কলেজের মধ্যে সবচেয়ে রাগী ম্যাম তিনিই। সূচনা আসার পূর্বেই সকল টিচাররা এসে পরিচিত হয়ে গেছেন। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘তো আমার পরিচয় তো তোমরা এর মাঝেই পেয়ে গেছ। আজ যেহেতু আমাদের প্রথম ক্লাস, সেহেতু পরিচয় পর্বটা সেরে নিই। তোমরা আমার পরিচয় জানলেও আমি তো তোমাদের পরিচয় জানি না। তাহলে তুমি, তোমার থেকেই শুরু করো।’ সামনের বেঞ্চের একটা মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বললেন ম্যাম।
মেয়েদের সবার পরিচয় পর্ব শেষ হলে সূচনার পালা আসে। ম্যাম কাছে আসায় আরও বেশি নার্ভাস হয়ে পড়ে সে। একটা খাতা ম্যামের দিকে এগিয়ে দিলে ম্যাম বলে,’খাতা দিয়ে আমি কী করব? পরিচয় পর্ব তো লিখতে বলিনি। বলতে বলেছি। বলো সবাই শুনবে।’ কথাগুলো বলতে বলতে তিনি খাতাটি হাতে তুলে নিলেন। সেখানে সুহস্তবর্ণে লেখা,’আসসালামু আলাইকুম ম্যাম। প্রথমেই আমি দুঃখিত প্রথমদিন কলেজে দেরি করে আসার জন্য। ঢাকা-শহরের রাস্তার সাথে, মানুষজনের সাথে আমি একদমই অভ্যস্ত নই। এরপর থেকে চেষ্টা করব সঠিক সময়েই উপস্থিত হওয়ার।
আমি বাকি সবার মতো নিজের পরিচয় মুখে বলতে পারব না কারণ আমার সমস্যাটি হলো, আমি কথা বলতে পারি না। আমি বোবা!’

ম্যাম লেখাগুলো জোরে জোরেই পড়ছিলেন; যার দরুণ বাকি সবাইও সূচনার সম্পর্কে জানতে পারে। অনেকেই জানতে পেরে আহত হয়। সহমর্মিতা প্রকাশ করে। একজন আরেকজনের কাছে আফসোসের সহিত ফিসফিস করে বলে,’ইশ রে! মেয়েটা কত্ত সুন্দর! কিন্তু দেখ, কথা বলতে পারে না। ভাবতেই কেমন লাগে তাই না?’
ম্যামের মন যেন এখন অনেকটাই গলে গিয়েছে। তাকে কিছুটা অনুতপ্তও দেখাচ্ছে। তিনি সূচনার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,’বসো তুমি।’

প্রথমদিন তিনটা ক্লাস হয়। পরের দুটো ক্লাসেই কথা বলতে না পারার জন্য স্যারদের দৃষ্টিতে পড়তে হয় সূচনাকে। তবে এবার তাঁর সহপাঠীরাই স্যারদের তার সমস্যার কথা জানিয়ে দিয়েছে। সূচনার পড়াশোনার প্রতি অদম্য আগ্রহ, ইচ্ছে, কৌতুহল দেখে স্যাররাও ভীষণ প্রসংশা করেন।

ক্লাস ছুটির পর কলেজের বাইরে এসে জারিফকে দেখতে পায়। জারিফ সূচনার বড়ো চাচার বড়ো ছেলে। ঢাকায় সে বড়ো চাচার বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করছে। তবে জারিফকে ভীষণ বিরক্ত দেখাচ্ছিল। সে সূচনাকে দেখতে পেয়ে বলল,’পায়ে কি জোর নাই তোর? মুখের সাথে পা-ও গেছে নাকি?’
সূচনা নিষ্পলকভাবে শুধু তাকিয়েই রইল। কেননা তার কথা বলার ক্ষমতা নেই। আর থাকলেও সে এখন মুখের ওপর জারিফকে কিছুই বলতে পারত না। যাদের বাড়ি থাকছে, খাচ্ছে, পড়ছে তাদের সাথে তর্ক করা অন্যায়। জারিফ বিরক্তের সঙ্গে নিজে নিজেই বিড়বিড় করছে,’এই বালডারে নিয়া হইছে আমার যন্ত্রণা! কলেজে দিয়া আসো, নিয়া যাও। বিরক্তিকর!’
সূচনাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে জারিফ ধমক দিয়ে বলে,’তাকিয়ে আছিস কেন এভাবে? হেলমেট মাথায় পর আর বাইকে উঠ।’
সূচনা হেলমেট পরতে গিয়ে ভুলবশত হাত থেকে ফেলে দেয়। কংক্রিটের রাস্তায় পড়ে হেলমেটটা ভেঙে যায়। রাগে ক্ষুব্ধ হয়ে জারিফ বলে,’বুবির বাচ্চা কী করলি এইটা? বাসা থেকে যে এতগুলা খেয়ে আসিস সেগুলো যায় কই? শরীরে শক্তি নাই তোর?’
অপমানের অগ্নিতে দগ্ধ হয়ে সূচনা আশেপাশে তাকায়। কত ছাত্র-ছাত্রী যাওয়া আসা করছে। কেউ কেউ বাঁকা চোখেও তাকাচ্ছে। মাথা নত করে কয়েক ফোঁটা অশ্রু বিসর্জন দেয় সে। জারিফ আরও বেশি ক্ষেপে গিয়ে বলে,’কথায় কথায় একদম কাঁদবি না বুবি। একটা থাপ্পড় দেবো কান্না সব বন্ধ হয়ে যাবে। তুই কান্না থামাবি নাকি বাড়ি গিয়ে আমি মাকে বিচার দেবো? প্রতিবন্ধীর বাচ্চা তোরে চুপ করতে বলছি না?’
ধমক খেয়ে কান্না কমার বদলে আরও বেড়ে যাচ্ছিল সূচনার। জারিফ চোয়াল শক্ত করে বলল,’আজ যদি মাকে বিচার না দিয়েছি তারপর বলিস! পড়াশোনা করবি না? একদম সোজা বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে।’
সূচনার কান্না থামেনি। ভয়ে ভয়ে সে কান্না থামানোর চেষ্টা করে বাইকে উঠে বসে। বাড়িতে গেলে আজ কী হবে তার জানা নেই। তবে সে, গ্রামে ফিরে যেতে চায় না!

চলবে?

মুন্নি আক্তার প্রিয়া