বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত
লেখকঃ আবু সাঈদ সরকার
পর্বঃ 13
সাঈদঃ পৃথিবীতে সবাই স্বার্থপর সবাই নিজের স্বার্থ নিয়েই ভাবে at last আদ্রিতাও এমন করতে পারবে সেটা কল্পনাও কোন দিন ভাবি নি…
।
।
আদ্রিতাঃ সেই সকাল বেলা বেড়িয়েছে দিন গরিয়ে রাত হয়ে গেলো এখনো ফিরছেন না কেনো ওনি কিছু হয়ে যাই নি তো ওনার ( এবারে খুব টেনশন হতে শুরু করলো)
।
।
সাঈদঃ সারাটা দিন কীভাবে যে কেটে গেলো বুঝতেই পারি নি বাড়িতে ফিরতে মন চাইছিলোই না তবুও যেতে হলো..
।
বাসায় গিয়ে…
।
আদ্রিতাঃ এই আপনি সারাটা দিন কোথায় ছিলেন হুম এত ফোন করলাম আপনি ফোনটা রিসিভ করছিলেন না কেনো ( জরিয়ে ধরে )
।
।
সাঈদঃ ধুর এই সব ন্যাকামি আর ভালোই লাগে না যত সব ( ব্যস্ত ছিলাম তাই এবারে ছাড়ো আমার প্রচুর ঘুম পেয়েছে)
বলেই বিছানায় এসে শুয়ে পড়লাম..
।
।
আদ্রিতাঃ ওনি এমন করছেন কেনো সারা দিন মনে কিছুই খায় নি এখনো খান নি তাই আমিও আর খেলাম ওনার পিছে পিছে রুমে গিয়ে ওনার পাশে শুয়ে পড়লাম তার পর আস্তে করে জরিয়ে ধরলাম..
।
সাঈদঃ ধুর বাবা ছাড়া তো ভালো লাগছে..
।
আদ্রিতাঃ আপনি এমন করতেছেন কেনো..
।
সাঈদঃ কী করলাম হুম তুমি যা করেছো তা তো ভাবাই যায় না যত সব বলেই রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লাম..
।
আদ্রিতাঃ আচ্ছা আমি কী এমন করলাম যে ওনি রাগ করে চলে গেলেন
।
।
সে রাতে তিনি আর ঘরে আসেন নি আর আমারো সাহস হয় নি ওনার কাছে যাওয়ার এভাবে প্রায় একটা দিন কেটে গেলো হঠাৎ আমার ফোনে একটা অচেনা৷ নাম্বার থেকে কল আসলো..
।
।
আদ্রিতাঃ হ্যালো কে বলছেন..
।
লোকটাঃ আমি কে সেটা না জানলেও হবে নিজের স্বামীকে বাচাতে চাইলে এখনি পাচ লাখ টাকা নিয়ে নদীর পাশের জঙ্গল টায় চলে আসুন
।
আদ্রিতাঃ লোকটা কথাটা বলেই ফোনটা কেটে দিলো আমার ওনার জন্য খুব চিন্তা হতে লাগলো ওনাকে বাচানোর জন্য আলমারিতে ৭ লাখ টাকা ছিলো সেখান থেকে পাচ লাখ টাকা নিয়ে নদীর ধারের জঙ্গল টার উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লাম..
।
।
অন্য দিকে..
।
লোকটাঃ হ্যালো স্যার..
।
সাঈদঃ জ্বী কে..
।
লোকটাঃ স্যার আমি সেই যাকে আপনার স্থী প্রোপার্টির কাগজ বানাতে দিচ্ছে স্যার আপনার বউকে কী আপনি পাচ লাখ টাকা দিচ্ছেন..
।
সাঈদঃ না তো কেনো..
।
লোকটাঃ এই কাজের জন্য পাচ লাখ টাকা লাগবে আর আজকেই টাকা জমা দেওয়া লাস্ট দিন এই কিছু খন আগে আপনার বউ কল দিচ্ছিলো ওনি টাকা নিয়ে আসতেছেন..
।
।
স্যার আপনার ভালোর জন্য বলতেছি ওত গুলো টাকা দিবেন না…
।
।
সাঈদঃ লোকটা কথা বলেই ফোনটা কেটে গেলো..
।
সাঈদঃ কথাটা যদি সত্যি হয় তাহলে আমাকে এখনি বাড়িতে যেতে হবে..
।
তাড়াতাড়ি বাড়িতে এসে যা দেখলাম তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে কাল রাতে আলমারিতে সাত লাখ টাকা রেখেছিলাম এমন দু লাখ আছে পাচ লাখ কোথায় আদ্রিতাও বাসায় নেই তার মানে এসব সব সত্যি..
।
।
না এভাবে চলতে পারে না এটার আজকেই কিছু একটা করতে হবে বলেই বেড়িয়ে পড়লাম..
।
।
অপর দিকে..
।
তামান্নাঃ এবার জমবে আসল খেলা সাপ মরলো লাঠিও ভাঙ্গলো না যখন সাঈদ নিজের চোখে নিজের প্রাণ প্রিয় বউকে অন্যর হাতে টাকা তুলে দিতে দেখবে তখন সব কিছু বিশ্বাস করে ফেলবে আর ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে হা হা হা..
।
সুখে সংসার ভেঙ্গে ছাড় খাড় হয়ে যাবে বাহ তামান্না বাহ তোর বুদ্ধির জনাব নেই..
।
।
।
আদ্রিতাঃ ওনাকে কী লোক গুলো কিন্ডন্যাপ করে নিয়েছেন টাকার জন্য না আর ভাবতেই পারছি না ওনার সাথে কার এত শএুতা..
।
।
সাঈদঃ রাস্তায় আদ্রিতাকে একটা অটোরিকশায় যেতে দেখে তার পিছু নিলাম,…
।
সাঈদঃ আদ্রিতা নদীর ধারে কীসের জন্য আসলো…
।
আদ্রিতাঃ এখানে তো চলে আসলাম কিন্তু কাউকে দেখতে পাচ্ছি না কেনো…
তখনি সামনে একজন লোক মুখটা রুমাল মুখে দিয়ে আমার সামনে এসে টাকা গুলো নিয়ে চলে গেলো…
।
।
সাঈদঃ এই লোকটা কে দেখা দেখা মনে হচ্ছে তার মানে সত্যি আদ্রিতার আমার প্রোপার্টির জন্য এতটা নিচে নামতে পারলো…
।
সেখান থেকে চলে আসতেছিলাম তখনি একটা আওয়াজ ভেসে আসলো যা আমাকে পুরোই অবাক করে দিয়েছিলো..
।
।
আদ্রিতাঃ আমার স্বামী কোথায় আমি তো আপনাদের টাকাটা দিয়ে দিলাম ওনাকে ছেড়ে দিন…
।
।
লোকটাঃ তোর স্বামী বাসায় পৌঁছে গেছে এত খনে আর এই কথা যদি নিজের স্বামীকে বলেছিস তার তোর স্বামীকে আমি নিজের হাতে মেরে ফেলবো..
।
।
সাঈদঃ কী শুনলাম আমি এটা তার মানে আদ্রিতা আমার প্রোপার্টির জন্য আমার জীবন বাচাতে টাকা গুলো দিয়েছে না এই লোকটা কে সেটা জানতেই হবে আদ্রিতা সেখান থেকে যাওয়ার পর..
।
।
লোকটাঃ ম্যাডাম কাজ শেষ কিন্তু সাঈদ কে তো কোথায় দেখলাম না
।
তামান্নাঃ কী আসে নি ও ধুর সব প্লেনটা নষ্ট হয়ে গেলো তুই টাকা গুলো নিয়ে আমার কাছে আয় …
।
।
সাঈদঃ দ্বারা তোকে দেখাচ্ছি মজা..
।
পিছন থেকে গিয়ে ধাক্কা মেরে মানুষটাক ফেলে দিলাম মুখের রুমলটা সরিয়ে নিতেই আরেক বার অবাক হয়ে গেলাম এই তো সেই লোকটাই..
।
সাঈদঃ কে তুই বল বলতেই দিলাম একটা মুখে ঘুষি..
।
বলবি নাকি আরো মার খাবি তার পর ইচ্ছে মতো রাম ধলাই দিয়ে..
।
লোকটাঃ বলছি সব বলছি..
এগুলো সব তামান্না ম্যাডামের কাজ ওনিই আমাকে এসব করতে বলছে..
।
।
সাঈদঃ কেনো এতে তার কী লাভ..
।
।
ল
লোকটাঃ আপনার সুখের সংসারটা ভেঙ্গে যায় যাতে তার জন্য বিশ্বাস করুন এতে আমার কোনো হাত নেই আমি টাকার জন্য এসব করেছি…
।
।
সাঈদঃ তোকে তো আমি আবারো বেধুম মার দিয়ে আধ মর করে ছেড়ে দিলাম..
।
।
সাঈদঃ ছিঃ আমি আদ্রিতাকে কীভাবে ভুল বুঝতে পারলাম আর মনটা আগে থেকে বলছিলো আদ্রিতা এমন করতে পারেই না..
।
।
অনেক হয়েছে তামান্না এবার তুই বুঝবি কত ধানের কত চাল..
।
অনেক ক্ষমা করেছি আর না এবার তোকে শাস্তি পেতেই হবে..
।
চলবে