ব্ল্যাকমেইলার চাচাতো বোন যখন বউ পর্ব-০২

গল্প: ব্ল্যাকমেইলার চাচাতো বোন যখন বউ
লেখক:ইমরান (পিচ্চি)
পর্ব:02

( ১ম পর্বের পর থেকে শুরু)

মা: বাহ তোদের দুজনকে অনেক সুন্দর লাগছে..
আমরা মুচকিন হাসিম দিয়ে চলে আসলাম।তারপর একটা রিকশা নিয়ে চলে এলাম পার্কে,তখন নিধি বলে ঊঠল..

নিধি:আচ্ছা ইমরান চাচাতো ভাইয়ের সাথে চাচাতো বোনদের বিয়ে হয় জানিস তো..?

আমিঃ তা তো হয় ..

নিধি: আচ্ছা তো বল প্রেম হয় না ..?

আমি: বিয়ে হলে প্রেম হবে না কেন ..?

নিধি:আমার এক ক্লাসমেট তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করে এবং তাদের এ খবর পরিবার জেনে ফেলছে তখন কি করছে জানস..?

আমি:না তো তুই বল…

নিধি:গাধা তাদের বিয়ে ঠিক করে ফেলছে…

আমি:ওহহহ.আর একটা কথা আপনাদের বলি আমাদের মাঝে কখনো ঝগড়া হয় না।

কারন আমি হয়তো ব্ল্যাকমেইল করি না হলে কান্না করে জিতে নেই।ঝগড়া তো কখনোই হয় না কারন তাকে হারাতেই আমার ভালো লাগে।আমি আর নিধি ঘাসের উপর বসছি তখন নিধি আমার কোলে ওর মাথা রেখে বলতাছে…..

নিধি:ইমরান আমার শরীর টা না কেমন করতাছে একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দে…

আমি:কিহ তোর শরীর খারাপ চল বাসায় চল তাড়াতাড়ি।

নিধি: না যাবো না একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দে তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে…

আমি ভয়ে ভয়ে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম আর নিধি চোখ বুজে রইলো তখন মার কি যে ভালো লাগা কাজ করছিল তা বলে বুঝাতে পারবো না..কিছুক্ষন পর নিধি বলে উঠল..

নিধি: ইমরান‌ তুই সিগারেট খাইছ না..

আমি:কেন খেলে সমস্যা কি..?(বাস্তবে সিগারেট কি আমি ছুয়েই দেখি না)

নিধি: অনেক সমস্যা তুই খাবি না…

আমি: আচ্ছা যা খাবো নাহ..( বলে তো দিলাম ভয়ে জানি না কথাটা কতটুকু রাখতে পারবো)

নিধি: সত্যি তুই খাবি না..( খুশি হয়ে বললো)
আমি: হুম..।

নিধি: তুই অনেক‌ ভালো..(শুয়া থেকে উঠে জরিয়ে ধরে বললো)

আমি তখন নিধির দিকে তাকিয়ে দেখি সে আস্তে আস্তে মুখটা উপরে উঠাচ্ছে আর আমার উপর গরম নিঃশ্বাস পড়ছে।

আমিও কেমন জানি হয়ে গেলাম আমি মুখটা এগিয়ে‌ নিয়ে গেলাম তখনি আমার মাথায় আসলো নিধি আমার চাচাতো বোন।

আমি সরে গেলাম নিধির কাছ থেকে আর সে পড়ে গেলো ঘাসের উপর…

আমি: নিধি তুই এগুলা কি শুরু করছিস…?
নিধি:আমি তো কিছুই করতে পারলাম না তার গেই তুই সরে গেলি..

আমি: রাখ তোর ন্যাকামো চাচা চাচি জানলে কি হবে একবার ভেবে দেখেছিস..?

নিধি:কি আর হবে বিয়ে দিবে..
আমি: পাগলামো বন্ধ কর বাড়ি যাবো চল।

নিধি:আচ্ছা চল তবে এটা আমি রাতেই আদায় করে নিবো।আর তুই হলুদ পানজাবি পড়বি নাহ.

আমি:কেন এটা আবার কি দোষ করেছে.?

নিধি:এটা পড়কে তোকে খুব বাজে দেখায়..
আমি:তাহলে‌‌‌ তোর সমস্যা কি..!

নিধি: সমস্যা আছে বলেই তো বললাম..(হুহ বলে মুখ ভেংচি কাটলাম লুচুটার দিকে কতগুলো মেয়ে চেয়ে রইছে তার কোনো খবর নেই । বাড়ি যেয়ে নেই‌ একবার তোর পানজাবি আর কোথাও খুজে পাবি না মনে মনে বললো)

আমি: কি এমন ফুচুর ফুচুর করছ..?
নিধি: বাড়ি আসার পর সে তার রুমে গেছে আর আমি আমার রুমে..

রাতে পড়তাছি নিধি এসে আমার পাশে বসলো বই নিয়ে আমি তো ভাবছি সে পড়তে আইছে তাই আর কিছু বললাম না। কিন্ত হঠাৎ করে নিধি উঠে দরজা লাগিয়ে আমার কাছে আসতাছে.।
আমি: কিরে তুই দরজা কেনো‌ লাগাইছস..?
নিধি: পার্কে যেইটা করতে পারি নাই এখন সেটা করবো..
আমি: কি..কি…কি..করবি..?
নিধি:এইযে কি স করবো..

আমিঃ না এটা হয় না তুই‌ আমার বোন হোস..
নিধি:হুম চাচাতো বোন হই..
আমি: না এ হয় না.‌..

নিধি:বেশি কথা বললে আমি চিৎকার করে বলবো তুই আমাকে আটকিয়ে রেপ করতে আসছিস..

আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না কারন আমি বললেই সবাই বিশ্বাস জরবে তখন ওর কি হবে..আমি আস্তে আস্তে ওর কাছে এসে হাত দুইটা ওর পিঠে ঠেকিয়ে আস্তে করে আমার ঠোট ও তার ঠোট এক করে দিলাম।কতক্ষন ছিলাম জানি না আমি এরপর নিধিকে ছেড়ে দিতেই নিধি বলতে লাগলো..

নিধিঃএই তুই সিগারেট খাইছিস..?

আমি:ইয়ে মানে না খাইনা। ( আল্লাহ এবারের মতো বাচাইয়া নেও মনে মনে বললাম)

নিধিঃকিহ তাইলে সিগারেটের গন্ধ কেন তোর ঠোটে..!?

আমি:আরে কতদিন দরে সিগারেট খাইতাছি একদিনে কি গন্ধ চলে যাবে নাকি..?

নিধিঃওই আমারে বেকুব পাইছস…

আমিঃহুম….বলেই মুখে হাত দিয়ে ফেলছি একি বলে ফেললাম..

নিধি:এই তোর কাছে আর কোনো সিগারেট আছে..

আমিঃহুম আছে….ধুর আবার কি বলে ফেললাম..

নিধিঃ সিগারেট নিয়া ছাদে আয় তাড়াতাড়ি…দে আমার হাতে সিগারেট র লাইটার দে..

আমিঃওমা নিধি সিগারেট জ্বালিয়ে টানছে আমি তো অবাকের শেষ সীমানায়..

সিগারেটের ধোয়া নিধির চোখে যাওয়ার ফলে চোখ লাল হয়ে গেছে আর কান্না কান্না ভাব চলে আসছে..আরো‌ অবাক করে দিয়ে আমার হাতে মোবাইল দিয়ে বলতাছে..

নিধি:ধর কয়টা ছবি তোল আমার..
আমিঃ কেন!

নিধি: এই যে প্রথম সিগারেট খাইছি এইটা ক্যামেরা বন্ধি করতে হবে নাহ..

আমি: আমার তো সাদা মনে কাদা নায় কয়েকটা ছবি তোললাম আরকি..

.নিধি মোবাইলটা হাতে নিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরে কিস করা শুরু করছে।আমি তো পাথরের মতো থ হয়ে গেলাম..নিধি আমাকে যখন তখন চুম্মা খাচ্ছে কেন…?

নিধি: সেই সময়ের কিস টা মন মতো হলো না কারন তোর সিগারেটের ঠোট আর আমার লিপিস্টিকের ঠোট কিন্ত এখন দুজনের টা সিগারেটের ঠোট একদম পারফেক্ট কিস..

আমি: আমি আজকে চাচি গিয়ে বলবো তকে বিয়ে দিয়ে দিতে..

নিধিঃবলিস সমস্যা নাই কারব বিয়ে তো তোে সাথেই হবে..

আমিঃমানে কি বলিস এগুলা..?

নিধি:হুম বলবো আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি..

আমি:কিহ! কবে আমি তোকে ভালোবাসি বললাম..

নিধি:বলিস নাই কিন্ত এখন বলবি.

আমিঃকিহ! ইম্পসিবল..

নিধি:এই নিধি চাইলে সবই পসিবল..

আমিঃকিভাবে..তখন নিধি কিছুক্ষন আগে যেই ‌ছবিগুলা তোললাম সেগুলা দেখিয়ে বলতাছে….

নিধিঃ তুই এ ছবিটার মর্ম বুঝিস

আমিঃ নাহ তুই বল..

নিধি:মনে কর আমি তোর বাবাকে গিয়ে বললাম বড় আব্বু তোমার ছেলে আমাকে জোড় করে

সিগারেট খেতে বাধ্য করেছে এবং ছবি তুলেছে আর বলে এ‌ ছবি নাকি ফেসবুকে আপলোড দিবে সামান্য কিছু‌ লাইক কমেন্টের জন্য…

আমাকে সিগারেট খেতে বাধ্য করেছে বড় আব্বুকে যদি এ কথা বলি তাহলে তোর কি অবস্তা হবে ভেবে দেখেছিস কি একবার..

এ কথা শুনে আমার গলা শুকিয়ে‌ গেছে।যদি একথা বলে তাহলে মসলা বাটার মতো সবাই আমাকে বেটে ফেলবে তখন আমি বললাম

আমিঃতুই এই কথা বলবি আব্বুকে ..?

নিধিঃযদি তুই আমাকে এখন প্রপোজ না করিস তাহলে বলে দিব.‌.

আমিঃ না না করবো করবো তোকে এখনি‌ করবো
নিধিঃহুম কর ।

আমি:আই লাভ ইউ‌ নিধি..??

নিধি: আই লাভ ইউ টু বাবু??

এ‌কথা বলে নিধি ছাদ থেকে চলে গেলো। আর আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে মুচকি হাসছি হয়তো মিও নিধিকে ভালোবাসি অনেক আগে থেকে যা কখনো বলে হয়ে ওঠে নি..

সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি তো অবাক কারন নিধি আজকে আমার কাছে সে নাই ঘড়িতে চেয়ে দেখি 10 টা বেজে গেছে।

কেউ আমাকে ডাকলো না আশ্চয!ফ্রেশ হয়ে আম্মুর কাছে গেলাম‌ কিন্ত একটা ব্যাপার লক্ষ করলাম বাড়িটা কেমন যানি নিস্তব। আম্মু খাবার দাও

আম্মু:তোর জ খাবার বন্ধ..

আমিঃকিন্ত কেন..?

আম্মু: কারন তোর জন্য নিধি তার নানুর বাসায় চলে গেছে..

আমি:কিন্ত কেন গেল..?

আম্মু:তুই বলে নিধির সাথে রাগারাগি করছিস তাই চলে গেছে তুই যদি বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারিস তাহলে খাবার পাবি তার আগে না..
চলবে……………