ভালোবাসার অধিকার পর্ব-১৫

0
547

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা-পূজা
পর্ব- ১৫


সকালে,
দ্বীপ আর ঈশান ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে একেবারে রেডি হয়ে নিচে গেলো। দিয়া ও রেডি হয়ে নিচে এসেছে।
সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে আছে।
দ্বীপের বাবা: বেস্ট অফ লাক।
দ্বীপ: থ্যাংকস ড্যাড।
ঈশান: চল। হয়ে গেছে।
দ্বীপ: হুম। আসি। বাই মম ড্যাড।
দ্বীপের মা: বাই।
দ্বীপ: আজ ফিরতে রাত হবে।
দ্বীপের মা: একটু জলদি আসিস।
দ্বীপ: হুম।
দ্বীপ আর ঈশান চলে গেলো অফিসে।
দিয়া: আমি ও আসি।
দ্বীপের বাবা: আমি তকে ড্রপ করে দেবো।
দিয়া: ওকে। চলো।
দিয়া ওর বাবার সাথে ভার্সিটিতে চলে গেলো। গিয়ে দেখে অনু আগেই চলে এসেছে।
দিয়া: আজ এতো তারাতারি।
অনু: তকে অনেক কিছু বলার আছে।
দিয়া: বল।
অনু দ্বীপের ব্যাপারটা সব খুলে বললো।
দিয়া: এজন্য ভাইয়া কাল এতো আপসেট ছিলো। তুই এটা ঠিক করিস নি। বলে দিলেই পারতি। নেহার জন্য….
অনু: আজ বলে দেবো।
দিয়া: আজ তো ভাইয়া অফিসে আছে। রাতের আগে তো ভাইয়াকে পাবি না।
অনু: ওর অফিসে চলে যাই।
দিয়া: পাগল হয়ে গেছিস। আজ অফিসে কতো কাজ থাকবে। আমাদের আজ দেখলে আরো অনেক রেগে যাবে।
অনু: এখন কিভাবে কথা বলবো ওর সাথে।
দিয়া: আজ চলে আয় আমার বাসায়। রাতে তো কথা বলতে পারবি।
অনু: মাকে ফোন দিয়ে জানাতে হবে।
দিয়া: জানিয়ে দিস। এখন চল ক্লাসে।
অনু: হুম।

ক্লাস শেষে,
দিয়া: তরা একটু ওয়েট কর আমি আসছি।
তিথি: কোথায় যাবি।
দিয়া: এসে বলছি।
সিমি: ওকে।
দিয়া গেলো প্রহরের অফিসের সামনে। ভেতরে যেথে অনেক ভয় করছে। সাহস নিয়ে ভেতরে ডুকেই পরলো।
প্রহর: উয়াট?
দিয়া: আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো।
প্রহর: তোমার কোনো কথা শুনতেই আমার ইচ্ছে করছে না। চলে যাও এখান থেকে।
দিয়া: ঈশান আমাকে ভালোবাসে না। সব মিথ্যে।
প্রহর: আই নো।
দিয়া: কিভাবে?
প্রহর: ঈশান বলেছে।
দিয়া: বাট আমি ঈশানকে সত্যি ভালোবাসি।
প্রহর অবাক হয়ে দিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
দিয়া আর কিছু না বলে প্রহরের কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে। অনু তিথি ওদের কাছে যায়।
মায়রা: কোথায় গিয়েছিলি।
দিয়া: একটু সামনে। চল।
অনু: হুম।
দিয়া: অনু তুই আন্টিকে ফোন দিয়ে বলেছিস।
অনু: না। তর বাসায় গিয়ে ফোন দেবো। এখন তো ১টা বাজে আরো অনেক টাইম আছে।
দিয়া: ওকে চল।
তিথি সিমি মায়রা ওরা ওদের বাসায় চলে গেলো। অনু আর দিয়া গেলো দিয়ার বাসায়। বাসায় ডুকতেই দিয়ার মা এসে অনুকে জরিয়ে ধরলেন।
দিয়ার মা: কেমন আছিস?
অনু: ভালো। তুমি?
দিয়ার মা: ভালোই।
অনু: আজ কিন্তু তোমাদের বাসায় থাকতে এসেছি।
দিয়ার মা: এই বাসা তো তরই। যখন ইচ্ছা চলে আসবি থাকবি। এটা আবার বলা লাগে।
দিয়া: মা খুব খিদে পেয়েছে।
দিয়ার মা: তরা ফ্রেস হয়ে আয়। আমি খাবার বারছি।
উপর থেকে নেহা সব দেখছে। অনুকে দেখে রাগে ওর গা জ্বলে যাচ্ছে। আর এসব দেখতে না পেরে নেহা ওর রুমে চলে গেলো।
দিয়া আর অনু ফ্রেস হয়ে লাঞ্চ করে নিলো।
তারপর ওরা রূমে চলে গেলো। অনু শুধু দ্বীপের আসার ওয়েট করছে।
নেহা অনুকে একা ডেকে পাটিয়েছে ওর রুমে। কি একটা কথা বলবে। অনু যাবে কিনা তাই ভাবছে। শেষে চলেই গেলো।
অনু: কেনো ডেকেছো।
নেহা: আমার কাছ থেকে আমার দ্বীপকে কেনো আলাদা করছো।
অনু: ইউ আর রং। দ্বীপ একদমই তোমার নয়। আর আলাদা কখন করলাম। দ্বীপ তোমার সাথে ছিলোই বা কবে।
নেহা: দ্বীপ শুধুই আমার।
অনু: দ্বীপ যদি এটা নিজের মুখে বলে তো আমি দ্বীপের কাছে আর কখনো আসবো না।
নেহা: তুমি একটু বেশি করে ফেলছো না। দ্বীপের লাইফ থেকে চলে যাও। তুমি তো দুদিন হলো এসেছো। দ্বীপের লাইফে আমি ছোট বেলা থেকে আছি।
অনু: মোটেও আমি বেশি করছি না। তোমার সাথে আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না। যা বলার আমি দ্বীপকে বলবো। দ্বীপ যদি আমাকে ওর লাইফ থেকে চলে যেথে বলে তাহলেই আমি চলে যাবো।
অনু আর কিছু না বলে দিয়ার রুমে চলে এলো। কিছুই ভালো লাগছে। কখন দ্বীপকে দেখবে দ্বীপের সাথে কথা বলবে সেই ওয়েট করছে। দিয়া পরছে।
দিয়া: সামনে এক্সাম এসব চিন্তা বাদ দিয়ে পড়। রাতে তো ভাইয়ার সাথে দেখা হবেই।
অনু: হুম।

রাত ১০টা।
দ্বীপ আর ঈশান এই মাত্র বাসায় এসেছে। দ্বীপ আর ঈশান রুমে ডুকবে তখনি দিয়া ঈশানকে আটকিয়ে দেয়।
দিয়া: ঈশান দারাও।
ঈশান: কি?
দিয়া: এদিকে আসো। ভাইয়া তুই যা।
দ্বীপ: হুম।
দ্বীপ যেথেই দিয়া অনুর কথাটা ঈশানকে সব বললো।
ঈশান: ওহ। ওকে, আমি একটু পরেই রুমে যাচ্ছি।
দিয়া: তুমি আমার রুমে ফ্রেস হতে পারো।
ঈশান: না। থাক।
দিয়া আর কিছু বললো না রুমে চলে গেলো।

দ্বীপ রুমে ডুকে দেখে অনু বসে আছে বিছানায়।
দ্বীপ: তুমি?
অনু: আমার ফোন ধরছিলে না কেনো?
দ্বীপ: তুমি এখানে কেনো?
অনু: তো এখানে কে থাকবে।
দ্বীপ: কেউ না। তুমি এখানে কেনো এসেছো তা বলো।
অনু: তোমার সাথে কথা বলতে।
দ্বীপ: কথা বলা হয়েছে। এবার বের হউ।
অনু এসে দ্বীপকে জরিয়ে ধরলো। হঠাৎ জরিয়ে ধরায় দ্বীপ কিছুই বুঝতে পারলো না।
অনু: সরি।
দ্বীপ: কেনো। আর আমায় ছারো।
অনু: আই লাভ ইউ।
দ্বীপ: উয়াট?
অনু দ্বীপের বুক থেকে মাথাটা তুললো।
অনু: বলেছি আই লাভ ইউ।
দ্বীপ: তুমি তো কালই বললে। এটা আমার ভুল ধারনা।
অনু: মিথ্যে বলেছি।
দ্বীপ: কেনো?
অনু: আমি ভেবেছিলাম নেহার সাথে আমি অন্যায় করবো। পরে মা আমায় বুঝিয়ে বলেন।
দ্বীপ: মানে।
অনু: মা সব জানেন।
দ্বীপ: কি?
অনু: আমি তোমায় ভালোবাসি। তুমি ও আমায় ভালোবাসো।
দ্বীপ: এটা আমি তোমায় বলেছি।
অনু: মানে?
দ্বীপ: আমি কি তোমায় বলেছি। আমি তোমায় ভালোবাসি।
অনু: বলো নি। কিন্তু বুঝিয়ে তো দিয়েছো।
দ্বীপ: ভুল বুঝেছো।
অনু: কি?
দ্বীপ: তুমি রুম থেকে বের হউ।
অনু: দ্বীপ?
দ্বীপ: কি বলছি শুনতে পাও নি। যাও।
অনু: তুমি মজা করছো আমার সাথে।
দ্বীপ: আমাকে দেখে কি তা মনে হয়।
অনু: তাহলে কাল ওগুলো বলেছিলে কেনো?
দ্বীপ: আমার ইচ্ছে হয়েছিলো তাই।
অনু: দ্বীপ প্লিজ মজা করো না। একবার বলো তুমি ও ভালোবাসো।
দ্বীপ: ভালো বাসি না আমি। বুঝেছো। চলে যাও এখান থেকে।
দ্বীপ চলে যায় ওয়াশরুমে। অনু কিছুক্ষণ দ্বীপের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর রুম থেকে বের হয়ে যায়। বেরিয়ে দেখে নেহা মুচকি মুচকি হাসছে। নেহার দিকে না তাকিয়ে দিয়ার রুমে যাবে তখনি নেহা বলে,”এবার তো দ্বীপের লাইফ থেকে চলে যাবে।”
অনু নেহাকে কিছু বললো না রুমে গিয়ে বালিশে মুখ গুজে কান্না শুরু করে দিলো
দিয়া: কি হয়েছে তর। কাদছিস কেনো? ভাইয়া তকে কিছু বলেছে।
অনু কিছু না বলে চুপচাপ কেদেই যাচ্ছে।
দিয়া: আরে বাবা বলবি তো কি হয়েছে। না বললে বুজবো কি করে।
অনু: দ্বীপ আমায় ভালোবাসে না।
দিয়া: মানে।
অনু: মানে বুঝতে পারছিস না। ভালোবাসে না আমায়।
দিয়া: কিইই? তুই এখানে থাক। আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলে আসছি।

দিয়া দ্বীপের রুমে গিয়ে দেখে দ্বীপ বিছানায় বসে আছে মাথায় হাত দিয়ে ঈশান ওয়াশরুমে।
দিয়া: ভাইয়া তুই অনুকে কি বলেছিস। শুধু কাদছে।
দ্বীপ: যা সত্যি তাই বলেছি। কাদছে তো আমি কি করবো।
দিয়া: তর চোখে আমি অনুর জন্য ভালোবাসা দেখেছি। এখন তুই অস্বিকার করছিস কেনো।
দ্বীপ: ভুল দেখেছিস।
দিয়া: ওহ। তাহলে অনুর পিছনে এতোদিন ঘুরছিলি কেনো।
দ্বীপ: উয়াট? আমি কেনো ওর পিছনে ঘুরতে যাবো। ফ্রেন্ড মনে করে শুধু একটু মিশেছি।
দিয়া: তুই কি পাগল হয়ে গেছিস। কি বলছিস এসব।
দ্বীপ: যা বলছি ঠিকই বলছি।
দিয়া: তুই শুধু ওকে ফ্রেন্ড ভেবেছিস।
দ্বীপ: হুম।
দিয়া: তুই জানিস ছোট বেলায় অনুর অনেক বড় একটা এক্সিডেন্ট হয়েছিলো। যার কারনে মাথায় অনেক ব্যাথা পায়। এইজন্য অনু কোনো ধরনের স্ট্রেস সহ্য করতে পারে না। ডক্টর বলেছে এরকম চলতে থাকলে একদিন পাগল ও হয়ে যেথে পারে।
দ্বীপ: কিইইইইই?
দিয়া: অনুর সাথে তুই এসব না করলে ও পারতি। অনুর মা বাবা এসব জানতে পারলে তকে একদমি ছেড়ে দেবে না। একমাত্র মেয়ে ওদের কতো ভালোবাসে জানিস। অনুর জন্য সব কিছু করতে পারে।
দ্বীপ: আমাকে একটা হেল্প করবি।
দিয়া: কি?
দ্বীপ: এটা কাউকে বলিস না। এমনকি অনুকে ও না।
দিয়া: ওকে। বল কি?
দ্বীপ:(_____)
দিয়া: ওকে। বাট একটু তারাতারি করিস প্লিজ।
দ্বীপ: হুম চিন্তা করিস না।

দিয়া চলে এলো রুমে। অনু কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গেছে। দিয়া গিয়ে অনুর পাশে বসলো। কিছুক্ষণ পর দিয়ার মা রুমে আসেন।
দ্বীপের মা: অনু ডিনার করবে না।
দিয়া: ও তো ঘুমিয়ে গেলো।
দ্বীপের মা: না খেয়ে ঘুমালে তো শরির খারাপ করবে।
দিয়া: চলো। আমি খেয়ে এসে ওর জন্য খাবার নিয়ে আসবো। পরে তুলে খাইয়ে দেবো।
দ্বীপের মা: ওকে চল।
দিয়া ওর মার সাথে নিচে চলে গেলো। ঈশান দ্বীপ নেহা ওর বাবা সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে আছেন। নেহা দ্বীপের পাশে বসেছে।
দ্বীপের বাবা: অনু কোথায়?
দিয়া: ও ঘুমিয়ে গেছে। ওর জন্য খাবার নিয়ে রুমে যাবো।
নেহা বিরবির করে বললো,”ডং”
দ্বীপের বাবা: ওকে।
ওরা চুপচাপ খেয়ে যে যার রুমে চলে গেলো। দিয়া খাবার নিয়ে গেলো অনুর জন্য।
দিয়া: অনু এই অনু উঠ। খেয়ে আবার ঘুমিয়ে যাস।
অনু উঠছে না দেখে দিয়া অনুর মুখে পানি দিয়ে দিলো। অনু চোখ খুললো।
দিয়া: খেয়ে আবার ঘুমাবি।
অনু: খিদে নেই।
দিয়া: চুপচাপ খা বলছি। হা কর আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
অনু দিয়ার হাতে খেয়ে নিলো আর কিছু বললো না। খেয়ে ওরা ঘুমিয়ে পরলো।

সকালে,
অনু ঘুম থেকে উঠার আগেই দ্বীপ আর ঈশান অফিসে চলে গেলো।
দিয়া অনুকে ঘুম থেকে তুলে নিচে নিয়ে আসলো। কাল রাত থেকে অনু চুপচাপ হয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠে ও বেশি কথা বলে নি।
নিচে এসে ব্রেকফাস্ট করে ভার্সিটিতে চলে যায় ওরা।
দিয়া: এতো চুপচাপ হয়ে আছিস কেনো। তকে চুপচাপ মানায় না।
অনু: ভালো লাগছে না।
দিয়া: প্লিজ ভাইয়ার কথা ভুলে যা। ওকে মাথা থেকে বাদ দিয়ে দে। এসব নিয়ে আর ভাবিস না।
অনু: ভাবছি না।
ওরা ক্লাসে ডুকতেই তিথি সিমি মায়রাকে পেলো। ওদের পাশের সিটেই ওরা বসলো।
তিথি: অনুর মন খারাপ নাকি। কি হয়েছে?
দিয়া: ক্লাস শেষে বলবো।
তিথি: ওকে।

ক্লাস শেষে,
অনু: বাই গাইজ।
দিয়া: এখনি চলে যাবি।
অনু: হুম ভালো লাগছে না।
সিমি: কি হয়েছে তর।
অনু: কিছু না। আমি আসি। বাই।
অনু গাড়িতে উঠে চলে গেলো।
মায়রা: দিয়া তুই বল ওর কি হয়েছে।
দিয়া: আসলে(____)
সিমি: কিইই?
দিয়া: ভাইয়া অনুর সাথে একদম এটা ঠিক করে নি। এখন অনুকেই বা আমি কি বলবো।
মায়রা: অনুর মুখটা একদিনেই একদম শুকিয়ে গেছে।
দিয়া: হুম। ভালোবেসে ও না পাওয়ার কষ্টটাই আলাদা।
তিথি: সামনের সপ্তাহ থেকে এক্সাম। আর তো ভার্সিটিতে আসা হবে না। অনু একা আরো ভেঙ্গে পরবে।
দিয়া: আমি আন্টিকে সব বুঝিয়ে বলবো। উনি দেখে রাখবে।
তিথি: ওকে বলিস। এবার চল বাসায়।
সবাই: হুম।

সবাই চলে গেলো বাসায়। অনু রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বসে আছে। কিছুই বুঝতে পারছে না। কোনটা সত্যি। কোনটা মিথ্যে। দ্বীপ পরশু যা করলো এটা সত্যি না কাল যা বললো এটা। অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনুর মা দরজা ধাক্কাচ্ছেন। অনু গিয়ে দরজা খুলে দিলো।
অনুর মা: কি হয়েছে। এতো চুপচাপ হয়ে গেলি কেনো।
অনু: কিছু না। সামনের সপ্তাহ থেকে এক্সাম তো তাই।
অনুর মা: দ্বীপের সাথে কথা হয়েছে।
অনু: হুম।
অনুর মা: সব ঠিক আছে তো।
অনু: হুম।
অনুর মা: ওকে তুই ফ্রেস হয়ে বস। আমি খাবার নিয়ে আসছি।
অনু: খিদে নেই।
অনুর মা: তা আমি জানি।
অনুর মা চলে গেলেন নিচে। অনু ফ্রেস হয়ে বিছানায় এসে বসলো।
অনু: (দ্বীপ সত্যিই কি তুমি আমায় ভালোবাসো না। তাহলে আমাকে ভালোবাসতে বাধ্য করলে কেনো। এমনটা তুমি না করলে ও পারতে। এবার আমি তোমাকে ছাড়া থাকবো কিভাবে😭)

অনুর মা খাবার এনে অনুকে খাইয়ে দিলেন নিজের হাতে। খাইয়ে উনি চলে গেলেন। অনু দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরলো। চোখ থেকে পানি পরছে। একসময় ঘুমিয়ে পরলো।

চলবে?🙄🙄