#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ১
কবুল বলার ঠিক আগ মুহূর্তে মিম সবার সামনে এসে নিলয় এর হাতে একটা রক্ত মাঘা চিঠি দিয়ে বলল
-congratulation যা চেয়েছিলেন তাই হয়েছে,, congratulation মেয়েটা আপনাকে ভালোবেসে এখন মৃত্যু সজ্জায়,,congratulation আপনি আজ সফল হয়েছেন,,, congratulationওই মেয়েটা আর আপনাকে বিরক্তি করবে না,,,,and thanks u
বলে মিম সেখান থেকে চলে গেলো,,,নিলয় এটা মোটেও ভাবেনি এমন কিছু হবে,,,সবাই অবাক হয়ে নিলয় এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে,,,,
তাই নিলয় চিঠিটা পকেটে রেখে বলল,,ও আমার ফ্রেন্ড আমার সাথে মজা করলো,,,কাজি মশাই বিয়ে পরান,,,,
হাসপাতালে বেডে নিস্তেজ হয়ে পরে আছে পরী মিম তার পাশে বসে চোখের জল ফেলছে,,
মিম পরী কে বলতে লাগলো -এই বেইমানটার জন্য নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলি,,,তোর কেও নেই কে বলছে আমি আছি তো তই ছাড়া কেমনে থাকবো আমি বল,,,,
পরী আর মিম একটা অনাথআলয় বড় হয়েছে দুজনে এখন একি বাড়িতে আর একি অফিসেই কাজ করে নিলয় ও এই অফিসে কাজ করে,,,
পরী আর নিলয় এর পরিচয় এই অফিসেই,,,, এখানেই শুরু হয় দুজনের পথ চলা,,,,
নিলয় বাসর ঘর এর ডুকতেই রুবি তার কাছে এসে বলল-চিঠি টা দেও,,,
রুবি নিলয় এর সদ্য বিয়ে করা বউ,,,, নিলয় কিছু না বলে চিঠি টা বের করে রুবির হাতে দিয়ে বারান্দায় চলে গেলো,,,
রুবি চিঠি খুলে পরতে লাগলো,,,
চিঠি
নিলয়
তোমাকে খুব ভালোবেসে ছিলাম কেন আমার মন ভাঙলে,,,, আমার ভালোবাসায় তো কনো কমতি ছিলো না,,,
আমার সবটুকু দিয়ে তো তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলো,,,,
আচ্ছা রুবি কি আমার চেয়ে বেশি তোমাকে ভালোবাসতে পারবে,,,, হয়তো নাইলে তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে না,,,,
থাক আমি আর কথা বাড়াতে চাইবো না,,, তোমারদের দাম্পত্যজীবন যেনো সুখের হয় দোয়া করি,,,,
চলে যাবো আমি বহু দূর যেখানে তুমি কী কেও আমাক খুজে পাবে না।
পরী….
চিঠি পরে রুবি নিলয় এর পাশে এসে দাড়ালো,,,,আর নিলয় বলল-আমি এটা ঠিক করলাম না,,,
রুবি-ভুল ও তো করোনি,,,,
নিলয়-আমি ভুল করেছি পরী কে ঠোকিয়ে,,
রুবি-তুমি কী বলতে চাইচো আমাদের সম্পর্ক টা ভুল
নিলয়-আমি তা বলি নি রুবি,,,
রুবি-সেদিন যা হয়েছিলো আমাদের দুজনের মতে হয়েছি ভুলে যেও না
নিলয় আর কিছু বলল না তাদেখে রুবি বলল-কল একবার আমরা দুজনে গিয়ে পরী এর সাথে দেখা করে আসবো
নিলয়-হুম ঠিক আছে,,,
পরেরদিন সকালে মিম বাড়ি থেকে ফ্রেস হয়ে হাসপাতাল এ এসে দেখে পরী এখনো ঘুমাচ্ছে ডাক্তার ঘুমের ওষুধ দিয়েছে তাই এখনো ঘুমাচ্ছে,,,,
মিম অফিসে কল দিয়ে বলে দিয়েছ ও আর পরী আজ আসতে পারবে না,,,, একটা প্রব্লেম হয়েছে ত
তাই,,
ছুটি নেবার পর মিম ডাক্তার এর সাথে কথা বলতে যায়,,,
মিম-ডা. পরীকে কবে বাড়ি নিতে পারবো,,,
ডাক্তার – উনার জ্ঞান ফিরলে বিকালেই নিয়ে যেতে পারেন. আর হ্যা হাত এর বেন্ডিজ এ পানি লাগলে চেঞ্জ করে দিবে আর ওষুধ গুলো টাইমলি দিবেন,,,,
মিম-ঠিক আছে ডা.
ডাক্তার -আর ওনাকে দেখে রাখবেন এবার ভাগ্য ভালো ছিলো হাতের রগ কাটে নি নাইলে,, বুঝতেই পারছেন,,,
মিম-জি ডা.আমি ওকে দেখে শুনে রাখবো,,,,,
ডাক্তার চলে গেলো মিম চোখ মুছে পরী এর কেবিন এ গেলো আর কেবিনে নিলয় আর রুবি কে দেখে মিম এর মাথায় রক্ত উঠে গেলো,,,,
মিম-তোমাদের সাহস হয় কীভাবে এখানে আসার,,,,বেরিয়ে যাও বলছি,,,,
নিলয়-মিম আমার কথা…..
মিম নিলয় কে কিছু বলতে না দিয়ে বলে-আমি চলে যেতে বলেছি,,,এখনি।
রুবি-মিম নিলয় এর কথা টা একবার শোনো
মিম-ওহ সার্ট আপ,,,, তোমারদের কথা শোনার আমার কোনো ইচ্ছে নেই,,,বেরিয়ে যাও এখনী,,,তোমাদের মতো বেইমান দের চেহারা ও দেখতে চাইনা
নিলয়-মিম
মিম-মিম হয়াট সে মিম কি বলো,,,
রুবি-মিম আমরা শুধু পরী এর সাথে দেখা করতে এসেছিল,,,,
পিছন থেকে পরী বলল-কেনো এসেছো এখানে আর কী বলার আছে তোমাদের,,,
পরী-গলা শুনে নিলয় রুবি পিছনে ঘুরে দেখে পরী উঠে বসার চেষ্টা করছে নিলয় এগিয়ে এলে পরী মিম কে ডাকে তাকে বসাতে বলে,,,,
নিলয়-আমি ভাবতে পারিনি তুমি…..
পরী- হেসে উঠলো আর বলল-ওমা তাই নাকী
নিলয়-পরী আমি….
পরী-তুমি কী জানতে না আনি তেমাকে কী পরিমান ভালোবাসি,,,হু,,,আমারই ভুল একজন সঠিক মানুষকে ভালোবাসতে পারিনি,,,
রুবি-পরী আমাদের কথাটা বুঝার চেষ্টা কর প্লিজ,, আমরা কেনো এমনটা করেছি একবার শোন,,,,,
পরী- তোমরা প্লিজ এখান থেকে চলে যাও,,,তোমরা তোমাদের লাইফ নিয়ে হেপি থাকো আর আমাকেও একা থাকতে দেও,,,,
মিম-শুনেছো তো পরী কী বলেছে,,,, আবার চলে যাও এখান থেকে,,,,,
নিলয়-পরী প্লিজ একবার…
পরী নিলয় কে থামিয়ে দিয়ে বলে-তুমি নিশ্চোই চাও না আমি আবার কোনো ভুল না করি,,,,,
এই কথা শুনে মিম খুব রেগে যায়,,,,নিলয় সামনে তাই কিছু বলে না,,,,,
নিলয়-থাক তোমাকে কিছু করতে হবে না আমি চলে যাচ্ছি,,,,চলো রুবি,,,
রুবি-কিন্তু নিলয়…
নিলয়-চলো,,,,
নিলয় রুবির হাত ধরে চলে গেলো,,,, নিলয় চলে যেতেই মিম পরী এর কাছে এসে কষিয়ে একটা চড় লাগিয়ে দিলো,,,,,
মিম-ওই বেইমান এর জন্য নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলো,,,একবার আমার কথা ভাবলি না,,,,,তুই ছাড়া কে আছে আমার বলতো,,,,
বলে মিম কাঁদতে লাগলো তাদেখে পরী ও কেঁদে দিলো,,,,
পরী-আমাকে ক্ষমা করে দে আমি নিজের কষ্টের কথা ভাবছিলাম শুধু,,,তোর কথা মাথায়ই ছিলো না,,,,
তারপর মিম পরীর চোখ মুছে বলে-তোর জন্য রাজকুমার আসবে দেখে নিস,,,,আর তোর রাজকুমার কে দেখে আমি ক্রাশ খাইলে আমি তারে নিয়ে বাইগা যামু বলে দিলাম,,,,,
মিম এর কথা শুনে পরী হেসে দিলো,,,,আর বলল-আচ্ছা ঠিক আছে,,,,
৬মাস পার হয়ে গেছে পরী আগের অফিসে কাজ ছেড়ে দিয়ে। পরী সাভাবিক হয়ে গেছে অনেকটা,,,,,,,,
হঠাৎ কোথা থেকে মিম দৌরে এসে পরী কে জরিয়ে দরে বলল-দস্ত আমি আবার ওর ওপর নতুন করে ক্রাশ খাইছি,,,,
পরী-এ আবার নতুন কী কথা বাট কর ওপরে আবার খেলি,,,
মিম-নতুন কথা আছে ছেলেটা আমাকে প্রপোজ করছে সবার সামনে,,,,
পরী কফি খাচ্ছিলো কফি পরীর মাতায় উঠে গেলো,,,,
মিম তারাতারি পিঠে হাত দিয়ে বলল -জানু তোর কী হলো,,,,
পরী-তোর মতো পাগল কে কোনো গাধা ছাড়া আর কেও প্রপোজ করতেই পারে না,,,,,
মিম একটু রেগে বলল – কী তুই কী বলল
পরী-তুই যা শুনেছিস তাই বলেছি,,,,
মিম-তুই এই ভাবে বলতে পারলি
পরী-আচ্ছা সরি সরি,,, এবার বল ছেলেটা কে,,,
মিম-তুই চিনিস ছেলেটাকে😁😁,,,,
পরী-আমি কোনো গাধাকে তো চিনি না,,
মিম-পরী…..
পরী-ওকে ওকে আর বলবো না এবার বল ছেলেটা কে,,,,
মিম-আয়ান স্যার 🙈
পরী-ওহ আয়ান স্যার……. কী আয়ান স্যার তোর কী মাথা খারাপ বস এর ছোটো ছেলে,,,,
মিম-হুম পিজল পরী আমিও আয়ান কে খুব ভালোবাসি আমি ওর প্রপোজাল গ্রহন করলেই ও ওর বড় ভাইকে জানিয়ে দেবে তাইলে নাকী,,,,,
পরী-তাইলে তো হয়েই গেছে যা গ্রহন করে নে,,,,
মিম-তুই বলছি,,,তাইলে আজ সন্ধ্যায় বলে দিবো,,,
বলে মিম চলে গেলো,,,পরীর নিলয় ওকে প্রপোজ করেছিল তা মনে পরে গেলে চোখ থেকে পানি পরতেই পরীর চোখ মুছে নিলো,,,,
চলবে।
#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ২
মিম-তুই বলছি,,,তাইলে আজ সন্ধ্যায় বলে দিবো,,,
বলে মিম চলে গেলো,,,পরীর নিলয় ওকে প্রপোজ করেছিল তা মনে পরে গেলে চোখ থেকে পানি পরতেই পরীর চোখ মুছে নিলো,,,,
.
.
.
.
.
.
.
রাতে মিম এসে বলল সব ভালো মিটে গেছে ও আমাকে বিয়ে করতে চায়,,,তাই ও ওর পরিবার এর কাছে এ মাস এই কথা বলবে বলছে,,,,
পরী-তাহলে তো বেশ তারাতারিই তো সব ঠিক হয়ে গেলো,,,,
মিম-আমার তো ভাবলেই মনে হয় আমি সপ্ন দেখছিলা কী সুন্দর সপ্ন,,,
পরী-কফি খাবি,,,
মিম-আজ আর কিছু খাবো না সপ্নেই থাকবো,,,,
বলে উঠে নাচতে নাচতে রুমে চলে গেলো,,,পরী রান্নাঘর এ গিয়ে কফি বানিয়ে বারান্দায় চলে গেলো,,,,
পরী নিলয় এর সাথে কাটানো মূহুত গুলো ভাবছে হঠাৎ মিম পরীকে পিছন থেকে জরিয়ে ধোরে বলল-সরি পরী আমি ভুলে গিয়েছিলাম,,,
পরী-it’s ok mim,,,
মিম-no it’s not ok না বুঝে হলেও আমি তোকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,,ওই নিলয় এর কথা মনে করিয়ে দিয়েছি,,,,
পরী-ছাড়তো ওতো আমায় শুধু ব্যাবহার করছে স্যফল হবার জন্য,,,,আর সে তা হয়েছে,,,,
মিম পরীকে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলে-তুই পারতি ওকে জেলে দিত বাট তুই তা করলি না কেনো,,,,
পরী-চোখের জল এর কাছে হেড়ে গিয়েছিলাম সেদিন ছাড়তো কী সব পুরানো কথা নিয়ে পরেছিস,,, তা আয়ন স্যার এর রিয়েক্ট কেমন ছিলো,,,,তুই যখন হ্যা বললি,,,,
শুরু হলো দুই বান্ধবীর গল্প রাত কাভার পরের দিন সকালে দুজনে রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলো মিম গেলো তার আগের অফিসে আর পরী গেলো তার নতুন অফিসে ৩মাস হলো জয়েন করেছে,,,,
আজ প্রথম পরীর লেট হয়ে গেলো অফিসে আসতে আর আজই MD sir ৪মাস পর আমেরিকা থেকে ফিরছে একটা ইন্টারনেসনাল ডিল করে ফিরছেন,,,,
সে তার বসকে এখনো দেখেনি বাট যা শুনেছে তাতে বেশ বুঝেছে উনি লেট করা একদম লাইক করেন না,,,,পরি একটা ফুলের দোকান গিয়েই মনের মতো ফুল পেয়ে গেলো,,,,,
পরী ৭টা টাটকা লালাগোলাপ নিয়ে বেরিয়ে এলো,,,পরী আফিস ডুকে বুঝলো চারদিক চুপচাপ মানে MD sir চলে এসেছে,,,হঠাৎ পরীর ফোন বেজে ওঠে,,,,
অফিস ম্যানেজার স্যার কল করছে,,, পরী কল রিসিভ করবে তখনি ম্যানেজার স্যার সামনে পরলো,,,,
পরী-স্যার আমাকে কল করছেন এনি প্রবলেন,,,,
ম্যানেজার-এইতো পরী রোজ তো টাইমি আসো আজই তোমার লেইট করতে হলো,,,,,,,,
পরী-সরি স্যার আজ ঘুম থেকে উঠতে লেইট হয়ে গিয়েছিলো,,,,
ম্যানেজার-এখন যাও স্যার এর বকা শুনে আসো তুমি তো তার নিউ PA
পরী-জী স্যার,,,
পরী ভয়ে ভয়ে MD এর রুমে গেলো,,,,,
পরী-May I came in,,,
-yes come,,,
MD স্যার কিছু ফাইল দেখছিলেন একটা ফাইল দেখতে দেখতে বললেন,,,
-কয় মিনিট লেট করলেন,,,
পরী-আসলে স্যার ১৫মিনিট বাট এই তিন মাসে এই প্রথম আমার লেট হয়েছে এর আগে একবার ও হয়নি,,,আপনি ম্যানেজার স্যার কে জিজ্ঞাস করতে পারেন,,,,
-oh just shut up,,,,
MD ফাইলটা টেবিলে খুব জোরে রাখলেন,,,,পরী তা দেখে চোখ নামিয়ে নিলো ভয়ে,,,,
-এই রেদওয়ান আহামেদ রেদ সব সহ্য করতে পারে বাট মিথ্যে একদম না,,,, তুমি ১৫মিনিট না তুমি ১৭ মিনিট লেট করছো তারওপর বড় বড় কথা বলছো,,,,লেট করা মানুষ আমার একদম পছন্দ না,,,আার তুমি ২টা কাজ এক সাথে করছো,,,,,
রেদ এর রাগ দেখে পরী ভয়ে শুধু একটা কথাই বের হলো-সরি স্যার এই ভুল আর হবে না,,,,
রেদ-প্রথম বার তাই মাফ করলাম জাস্ট লাস্ট টাইম এই ভুল যেনো আর না হয়,,,,,
পরী মাথা নিচু করেই মাথা নারিয়ে ঠিক আছে বলল,,,রেদ ৫টা ফাইল দিয়ে বলল আজকের মধ্যে কম্পিলিট করে জামা দিবে,,,,,
পরী ফাইল গুলো নিয়ে নিজের কেবিনে চলে এলো,,,পরীর চোখ দিয়ে চপ চপ করে পানি পরছে এতোক্ষন মাথা নিচু করে পরী কাদছিলো তা রেদ যেনো না দেখে তাই মাথা নিচু করে রেখেছে,,,,
রেদ উঠে নিজে রুমে জানালার সামনে দাড়িয়ে কফি খাচ্ছে,,, আর বাহিরের শহর দেখছে কফি শেষ হতেই রেদ কফির মগ টা রাখার জন্য টেবিলের কাছে যায়,,,,,
কফির মগটা রাখতেই রেদ এর চোখে পরলো টেবিলে একটা ফাইল এর ওপর ৭টা লালগোলাপ,,,,ফুল গুলো হাতে তুলে নেয়,,,,
রেদ-এই ফুলগুলো এখানে কে রাখলো,,,,
রেদ ফুলগুলো ফেলতে গিয়েও ফেলল না,,,নিজের কোট এ পকেটে রেখে দিলো,,,,
পরী কাজ করছে তখনি হঠাৎ মিম এর কল,,,,পরী কল রিসিভ করে বলে,,,,,
পরী-হ্যা বল,,,,
মিম-পরী তুই এখনো কাজ করছিস এটা না লাঞ্চ্য টাইম,,,
পরী ঘড়িতে দেখে ২:৪৫ বাজে-আরে করে নিবো চিন্তা করিা না বাট তুই কী করে বুঝলি আমি কাজ করছি,,,,
মিম-তোকে সেই ছোট থেকে চিনি বোজ কল দিলে তুই কেন্টিন এ থাকলে অনেকের কথা বালার শব্দ থাকতো বাট আজ তা নেই মানে তুই এখনো কাজ করছিস,,,
পরী-বাহ তুইতো বেশ বুদ্ধিমতী,,,আচ্ছা এখন রাখ তিতা নিম পাতা অনেক কাজ দিছে,,,,
মিম-তিতা নিম পাতাটা আবার কে,,,
পরী-বাড়ি এসে বলবো,,,,
মিম-ওকে বায়
পরী-বায়।
পরী ফোন রাখতেই মিলি আর শিলা কেবিনে দরজায় দাড়িয়ে বলে-সব বুঝলাম বাট এই তিতা নিম পাতাটা কে রে,,,
পরী মিলি আর শিলাকে দেখে বলে ভেতরে আসতে,,,,
মিলি-মিম এর সাথে কথা বলছিলি বুঝলাম,,,
শিলা-বাট এই নিম পাতা আবার কে????
পরী-আরে কেও না তা তোরা এখানে,,,,
শিলা-লাঞ্চ্য টাইম হয়ে গেছিলো তুই আসছিলি না তাই আমি আর মিলি আসলাম তোর খবর নিতে,,,
পরী-তোরা খেয়ে নে আমার অনেক কাজ বাকি,,,
মিনি-পরে করিস এখন চলতো,,,,
বলে পরীকে যোর করে নিয়ে গেলো কেন্টিনে পরী তারাতারী খাওয়া কম্পিলিট করে নিজের কেবিনে চলে এলো,,,
পরী ফাইল গোলা কম্পিলিট করছে আর রেদ কে বকছে,,,,
পরী-খারুস নিম পাতা এতো কাজ কেও একদিনে শেষ করতে পারে,,,তিতা করলা আমার জিবন টাই বেদনা করে দিলো,,,,
পরী কাজ কম্পিলিট করতে করতে রাত ৮টা বেজে যায়,,,আফিস টাইম ৭টায় শেষ হয় সব স্টাফ রা চলে গেছে পরী ফাইল গুলো রেদ এর কেবিনে রেখতে যায়,,,,
পরী ২/৩ বার নক কর বাট কোনো সারা নেই তখন পরী কেবিনে ডুকে দেখে কেও নেই তাই পরী ফাইল গুলো টেবিলে সাজিয়ে রেখে রেদ কে বকতে বকতে বেড়িয়ে যায় কেবিন থেকে,,,,,
পরী-তিতা নিমপাতা আমাকে এতো কাজ দিয়া নিজে বাড়ি গিয়ে আরাম করছে,,,,
রেদ ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে দেখে টেবিলে সকালের সেই ফাইল ৫টা,,,,রেদ ফাইল গুলো চেক করে দেখে সব ঠিক আছে,,,,কোনো ক্ষুত ধরতে পারলো না,,,,
রেদ ফাইল গুলো রেখে বেড়িয়ে পরলো বাড়ি যাবার জন্য,,,,পরী রিক্সা উঠে বেড়িয়ে পরলো,,,,
পরী ফোন বের করেন মিম কে কল দেয়,,,,
মিম-হ্যা পরী বল,,,,
পরী-কই তুই বাড়ি পৌছে গিয়েছিস কী,,,
মিম-আসলে আমি আয়ান এর সাথে ডিনার এ এসেছি,,,
পরী-ওহও,,,ইনজয় কর,,,বাট তারাতারি ফিরিস,,,
মিম-ঠিক আছে রাখিছি,,,
পরী-হুম রাখ,,
পরী ফোনটা নিজের বেগ এ রাখতেই পেছন থেকে একটা গাড়ি পরীর রিক্সাকে ধাক্কা,,, পরী আর রিক্সাচলক কিছুটা দূরে ছিটকে পরে,,,
মিনিটে ভীর হয়ে যায় গাড়িটা পালিয়ে যায়,,,,পরী বেশি ব্যাথা পায়নি বার রিক্সাচালক এর অবস্তা খারাপ,,,,
পরীর মাথা কেটে রক্ত পরছে সেদিকে তার খেয়াল নেই সে লোক দের বলছে রিক্সা চলক কে তারাতারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে,,,,
একটা লোক নিজের বাইক নিয়ে রিক্সাচালকেএর একজন লোক বসিয়ে চলে যায়,,,যাবার সময় পরী ১০০০ টাকা তাদের কাছে দিয়ে দেয়,,,,
লোক গুলো চলে যেতেই পরী মাথা চেপে মাটিতে বসে পরলো,,,ভীরে কোনো মহিলা ছিলোনা তাই কেও এগিয়ে এলো না,,,
একটা ৯/১০ বছর এর একটা পিচ্ছি পরীকে পানি দিলো,,,,আর কিছু লোক কে বলল দাদা একটা গাড়ি থামিয়ে ওনাকে হাসপাতালে নেওয়া ব্যবস্তা করেন,,,,,
রেদ বাড়ি যাচ্ছিল রাস্তা ভীর দেখে গাড়ি এগোতে পারছে না,,,তাই গাড়ি থেকে নেমে সামনে যায় লোক মুখে শুনছে এক্টছিডেন্ট হয়েছে,,,,
রেদ সামনে গিয়ে দেখলো একটা মেয়ে মাটিতে বসে আছে মাথা দিয়ে রক্ত পরছে চেহারা দেখা যাচ্ছে না,,,,একটা পিচ্ছি সুধু একটা কাগজ দিয়ে বাতাস করছে আর বলছে,,,,
-এতো গুলো মানুষ একটা গাড়ি যোগার করতে পরলো না,,,,কেমন লোক আপনেরা,,,,
রেদ এর বেশ রাগ লাগছে লোক গুলোর ওপর মেয়েটার অবস্তা খারাপ দেখেও চুপচাপ দাড়িয়ে আছে কিছু করছে না,,,,,
পরী হঠাৎ চোখ জোরা বন্ধ হয়ে আসে আর ও মাটিতে পরে যায়,,,,,তাদেখে পিচ্ছি ছেলেটা কেঁদে দেয়,,,,
-আপা কী হইলো আপনা ওই আপা,,,,
মেয়েটা কে এভাবে পরে যাতে দেখে
রেদ আগিয়ে যায় আর পরীকে কোলে তুলে নেয়,,,পিচ্ছিটাকে বলে চল পিচ্ছি তোর দিদির কিচ্ছু হবে না,,,,
রেদ-আর আপনাদের বলছি কিছু করতে না পারলে সরে যাবেন তাহলেই হবে,,,, এতোক্ষন তো দাড়িয়ে থেকে কিছু করতে পারলেন না এবার নিজ নিজ রাস্তা মাপুন,,,,
বলে রেদ পরীকে নিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠলো,,,পিচ্ছি টার কোলে পরীর মাথা রেখে গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলো,,,,
এতো জোরে হর্ন দিলো যে রাস্তার সবাই সরে দাড়ালো আর রেদ কে যাবার রাস্তা ছেড়ে দিলো,,,,
বাকিটা পরে জানবেন
বিদ্র: কেমন হয়েছে জানাবেন,,,আপনারা পাশে থাকলেই পথ চলা টা সহজ হয়ে যায় ধন্যবাদ আপনাদের সাপোট এর জন্য,,,,,