ভালোবাসার বর্ষণ পর্ব-০৬

0
259

#ভালোবাসার_বর্ষণ
#নীহারিকা_নুর
#পর্ব_৬

রাত দুটোর সময় বাড়ির ভিতরে লাইট অন দেখে বেশ অবাক হলো তুরাগ। এরকমটা সচরাচর কোনদিনই দেখা যায় নি। রাত করে বাড়ি ফিরে কোনদিনই মেইন ডোর খোলা পায় না। ওর কাছে এক্সট্রা চাবি আছে তা দিয়েই বাসায় ঢুকতে হয়। তবে এ বিষয়টা রিস্কি। মেইন ডোর দিয়ে ঢুকলে নুরনাহার কীভাবে যেন টের পেয়ে যায়। এত রাত করে বাসায় ফেরায় পরদিন সকালে ঠিক বকা শুনতে হয়। তাই এই পন্থা বাদ দিয়েছে অনেক আগেই। এখন সর্বধা বেলকনি টপকে নিজের রুমে প্রবেশ করতে হয় তুরাগকে। এটাই এখন যাতায়াত এর একমাত্র পন্হা হিসেবে ব্যবহার করে তুরাগ। নিজের বাসায় নিজেকেই এখন চোরের মতো প্রবেশ করতে হয়৷ মায়ের বকা তাও যা শুনতে পারত কিন্তু তার ব্যবসায় বসা নিয়ে, বিয়ে করা নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান শুনতে কান পচে গেছে তাই এখন আর মায়ের সামনেই পড়ে না তুরাগ। তার উপর এখন আবার মাঝে মাঝেই ড্রিংক করে বাসায় ফিরে। যেটার জন্য ওর মা অনেক কষ্ট পায়। মাকেও কষ্ট দিতে মন চায় না তার উপর নিজের কষ্টগুলোকে ধামাচাপা দিতে এর থেকে ভালো পন্থা জানা নেই৷ তাই পরিবারের সবার থেকে বাড়িয়ে নিয়েছে দূরত্ব।

আজ কি এমন স্পেশাল ঘটল যে এত রাত অবধি ড্রইং রুমের লাইট অন৷ তার উপর মেইন ডোরও খোলা রয়েছে মনে হচ্ছে। ওর মা বাবা তো মামুর বাড়িতে গিয়েছিল। সেই পিচ্চিটার বিয়েতে। এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলো কীভাবে। যদি ফিরেও আসে তারপরেও তুরাগ যতটুকু জানে নুরনাহার বেশ স্বাস্থ্য সচেতন। সে কখনোই রাত দশটার উপর জেগে থাকতে চায় না। সন্ধ্যার কিছু সময় পরেই ডিনার কম্পিলিট করে। দশটার দিকে ঘুমাতে চলে যায়। কিন্তু তুরাগ এটা কখনোই বুজল না যে, যে মায়ের সন্তান এতরাত অবধি বাহিরে থাকে সে মায়ের চোখে ঘুম কখনোই ধরা দেয় না।

তুরাগ ঠিক করে আজ আর চোরের মতো বেলকনি টপকে ঢুকবে না৷ মেইন ডোর দিয়েই ঢুকবে। মা বাবা ফিরলে এক নজর তাদেরকেও দেখে যাবে।

মেইন ডোর খোলাই ছিল। তুরাগ খুব ধীরে পা ফেলে ড্রইং রুমের দরজায় উপস্থিত হলো। অতি সন্তর্পণে পা ফেলায় ড্রইং রুমে উপস্থিত দুই রমনীর একজনেও তুরাগ এর উপস্থিতি টের পেল না। তারা তাদের মতো কথায় মত্ত। তুরাগ প্রথমে দেখল ওর মা হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলায় ব্যাস্ত। তারপর তুরাগ এর নজর যায় মায়ের অপজিশন সাইডের সোফায় এক সুন্দরী রমনী বসা। একবার দেখায়ই মুগ্ধ হলো তুরাগ। মেয়েটা তার কোমড় অবধি লম্বা চুলগুলো ছেড়ে রেখেছে। সেগুলো একটুু একটু উড়ছে। মাঝে মাঝে মুখের উপর এসে পড়ছে। হাত দিয়ে তা সরিয়ে দিতে ব্যাস্ত রমনী। মাঝে মাঝে নুরনাহার এর কথা শুনে মুচকি হাসছে মেয়েটা। তার হাসি এতটাই সুন্দর। মনে হচ্ছে কোন অপ্সরী।

হঠাৎ তুরাগ এর হুশ হয় সে এটা কি করছে। ছি: তুরাগ ছি: সেইম অন ইউ। তুই কীভাবে একটা মেয়ের দিকে এভাবে তাকাতে পারিস। তোর নিষেধ আছে এটাতে জানিস না। তুরাগ তাড়াতাড়ি নজর অন্য দিকে ফেরালো। মাথা নিচু করেই বাসায় প্রবেশ করলো। ড্রইং রুম ক্রস করে যাওয়ার সময় তরুর নজর পড়ল তুরাগ এর উপর। তরু চোখ দিয়ে ফুপিকে ইশারা করলো পিছনে দেখতে। তরুর দৃষ্টি অনুসরণ করে পিছনে তাকায়। পিছনে তাকিয়ে দেখে তুরাগ চলে যাচ্ছে সেখান থেকে। তারপর তিনি তুরাগকে ডাকলেন এঝানে আসার জন্য। কিন্তু ঘাড়তেড়া তুরাগ সেটা শুনলে তো। সে ঘাড় বেকিয়ে গেল তো গেলই আর একবারও এদিকে ফিরলো না৷ তার মা যে তাকে ডেকেছে এটা যেন সে শুনতেই পায় নি। ছেলের এমন আচরনে কষ্ট পেলেও চুপ করে গেলেন নুরনাহার। এমন আচরনে তিনি অভ্যাস্ত হয়ে গেছেন। তার ছেলেটা তার সাথে কথা বলে না বহুদিন। তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন কথা বলতে কিন্তু কাজে আসে নি। তিনি ছেলের সাথে কথা বলেন, ছেলেকে বকা দেন কিন্তু ছেলে কখনো টুশব্দও করে না। চুপচাপ শুনে তারপর আবার চলে যায় সেখান থেকে। তার করা একটা ভুলের কারণেই ছেলেটা এমন রোবটে পরিণত হয়েছে। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় তখন তিনি এমনটা না করলেও পারতেন।

তুরাগ সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যেতেই নুরনাহার তার দৃষ্টি ঘুরিয়ে তরুর দিকে তাকালেন। তরু বিস্মিত নজরে তখন ফুপির দিকে তাকিয়ে আছে।

– ফুপি তুরাগ ভাইয়া এমন করলো কেন?

নুরনাহার তখনি জবাব দিতে চাইলেন না। তাই কথা ঘুরিয়ে বললেন

– তোর মনে আছে তুরাগ এর কথা। সেই কত বছর আগে দেখেছিলি। এরপর তো আর কখনো ও তোদের বাসায় যায় নি। আর তুই ও তো আসিস নি। তোর মা তো তোকে একঘরে স্বভাবের বানিয়ে দিল।

তরু ফুপির কথা ঘোরানো বুজল। তাই এখন আর ঘাটাতে চাইল না তাকে। তাই ও বলল

– হ্যা ফুপি চিনব না কেন৷ তোমার ছেলে তো একসময় ফেমাস ছিল। তখন তার সব গানের রেকর্ডিং ছিল আমার কাছে। কিন্তু হুট করে কেন নিজের প্রফেশন, নিজের ক্যারিয়ার নিজ হাতে শেষ করে দিল সেটাই তো বুজলাম না। আম্মুকে জিজ্ঞেস করলে বলত সে জানে না। আর বাবাকে কখনো জিজ্ঞেস করার সাহস হয়নি।

– আচ্ছা বলব তোকে আমি। এখন অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমাতে যা মা। এত রাত জাগা ঠিক নয়।

নুরনাহার বলতে চায়না বলে আর জিজ্ঞেস করল না তরু। সেখান থেকে উঠে দাড়াল। চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল। তারপর পেছন ঘুরে আবার বলে গেল তুমিও ঘুমাতে যাও ফুপি।

– হুম তুই গিয়ে শুয়ে পড়।

তরু নিজের রুমে যেতে যেতে একবার পেছনে ঘুরে তাকাল। আচলের কোন দিয়ে ফুপির চোখ মোছার দৃষ্টি নজর এড়াল না তরুর। তরু মনে মনে হাসল। তার মনে এখন একটা কথাই ঘুরছে। আসলে মানুষ নিজেকে যতটা খুশি দেখানোর চেষ্টা করে সে কি আসলে ততটা খুশি থাকে। এই যে ফুপিকে দেখে কখনো মনে হয়েছে কি যে তারও কোন দুঃখ থাকতে পারে। টাকা, পয়সা কোন কিছুর কমতি নেই। সব সময় হাসি মুখে ঘুরে বেড়ায়। মনে হয় কত সুখে যেন তিনি আছেন। অথচ রাতের আধারে তিনিও চোখের জল মুছছেন। কি অদ্ভুত তাই না। মানুষের হাসি মুখের আড়ালেও যে কতটা কষ্ট লুকানো থাকে সেটা কেবল সেই জানে যে সেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায়।

নিজের ভাবনার মাঝেই নিজের রুমের সামনে এসে গেল তরু। ভেতরে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে এসেই বিছানার মধ্যে বসে পড়ল। এখন আর এক পাও চলা সম্ভব না। ভীষণ ক্লান্ত। এখন একটা ঘুম খুব জরুরি।

তরু নিজের রুমে যেতেই নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে দাড়াল নুর নাহার। উঠে ফ্রিজ থেকে খাবার নিয়ে সেটা গরম করলেন। তারপর একটা প্লেটে তুলে সেটা নিয়ে হাটা ধরলেন তুরাগ এর রুমের উদ্দেশ্য। মনে মনে উপরওয়ালাকে স্মরণ করলেন। আজ যেন অন্তত তার ছেলে তাকে না ফিরিয়ে দেয়। তিনি তুরাগ এর রুমের সামনে এসে দেখলেন ভেতর থেকে রুম লক। তিনি অনেক বার নক করলেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোন সাড়া পাওয়া গেল না। তিনি আবার ডেকে বললেন

– তুরাগ দরজাটা খোল বাবা। এত রাতে কষ্ট করে খাবার গরম করেছি। উঠ না একটু খেয়ে নে। সারাদিন বাহিরে কি না কি খাও কে জানে। এভাবে শরীরে রোগ বাধিয়ে ফেলবি।

এতবার ডাকার পরেও ভেতর থেকে সাড়া এলো না। রুম কি লক করা নাকি শুধু ভেজিয়ে রেখেছে দেখতে লকটা মোচড় দিতেই খুলে যায়। তিনি তো ভেবেছিলেন লক করে দিয়েছে প্রতিদিনের মতো। তিনি দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলেন। কিন্তু তুরাগ ঘুমিয়ে পড়েছে। যে শার্টটা পড়ে এসেছিল তাও খাটের কোনায় পড়ে আছে। পায়ের মোজা গুলো ছড়িয়ে আছে ফ্লোরে। কোনমতে হাত মুখে পানি দিয়ে এসে শুয়ে পড়েছে বিছানার মধ্যে। শীতে কুকড়ে আছে। নুর নাহার সব কিছু গুছিয়ে রাখলেন। এসিটা কমিয়ে দিয়ে একটা পাতলা কম্বল দিয়ে দিলেন। তারপর ছেলের মাথায় একবার হাত বুলিয়ে বেরিয়ে গেলেন৷




রাতের অন্ধকার কে’টে গিয়ে ভোরের আলো দেখা দিয়েছে অনেকক্ষণ হলো। কটা বাজছে তা বলা মুশকিল। কাল রাতে দিয়ে যাওয়া খাবার জিদ করে ফিরিয়ে দিয়েছিল আসিফ। এখন ক্ষুধায় পেটের মধ্যে ইদুর দৌড়াচ্ছে মনে হচ্ছে। এখানে পানির একটা বোতল ছাড়া আর কিছুই নেই। উঠে গিয়ে কিছুটা পানি খেয়ে নিল। ভেবেছিল পানি খেলে ক্ষুধা কিছুটা কমবে। কিন্তু হলো তার উল্টো। খালি পেটে পানি খাওয়ার ফলে ক্ষুধা কমল না বরং পেটে চিনচিনে ব্যাথা শুরু হলো। পেট চেপে বসে রইল আসিফ। এমন সময় দরজাটা ক্যাত ক্যাত শব্দ করে খুলে গেল। আসিফ বুজল হয়ত সকালের খাবার নিয়ে এসেছে। ভাবল এখন আর খাবারটা ফেরত দিবে না। মাথা উচু করে দেখার চেষ্টা করল কি খাবার এনেছে। রুটি আর এক পাশে একটু সবজি দেখা যাচ্ছে। সবজিটা দেখে মাথায় একটা বুদ্ধি আসল আসিফ এর। লোকটা খাবারগুলো দূরে রাখা টেবিলে রেখে চলে যেতে নিলে আসিফ ডাকল লোকটাকে।

– এই যে ভাই শুনছেন।

– জ্বি বলুন।

– আপনার নামটা কি। কি নামে ডাকব আপনাকে।

– রাফিন।

– রাফিন ভাই আমি না ওয়াশরুমে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিলাম৷ পায়ে অনেক ব্যাথা। হাটতে পারছি না। আপনি একটু কষ্ট করে খাবারটা এখানে দিয়ে যান।

রাফিন ছেলেটা দ্বিমত পোষণ না করে খাবারটা নিয়ে এগিয়ে এল বেড এর পাশে। খাবার তার হাতে থাকা অবস্থায়ই তরকারির বাটিটা হাতে তুলে নিল আসিফ। রাফিন ভেবেছিল রাতে খায়নি তাই হয়ত বেশি ক্ষুধা লেগেছে তাই কিছু মনে না করে রুটির প্লেটটা রাখতে মাথা নিচু করল। অমনি আসিফ হাতে এক খাবলা সবজি উঠিয়ে মে’রে দিল রাফিন এর দিকে। সবজিটা রান্নার সময় কাচা মরিচ ব্যাবহার করা হয়েছিল। যা চোখ অবধি পৌছাতেই হাতটা অমনি চোখে চলে গেল। ভীষণ জ্বলছে চোখ। আসিফ এক মুহুর্তও দেরী করেনি। সাথে সাথে লোকটার মুখ চেপে ধরল যাতে চেচাতে না পারে। এক হাতে বালিশ এর পাশে থাকা নিজের শার্টটা নিল। সেটাই কাজে লাগাল রাফিন নামক ছেলেটার মুখ বাঁধতে। দুই ওষ্ঠের মাঝখানে শার্ট ঢুকিয়ে মাথার পেছন দিকে গিট্টু দিয়ে দিল। এখন আর ঠোট ও নাড়তে পারবে না আর কথাও বলতে পারবে না। বেডশিট টেনে ছিড়ে ফেলল। তা দিয়ে হাত বাধল, পা বাধল। তারপর পানির বোতল থেকে পানি নিয়ে রাফিন এর চোখে দিল। এতক্ষণে একটু পানি পেয়ে রাফিন এর মনে হতে লাগল মরুভূমিতে এতক্ষণ ছটফট করে থাকা কোন মানুষ একটু পানির সন্ধান পেল। বেশ খানিকটা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করে দিল আসিফ। ও এখান থেকে বের হওয়ার জন্য এমনটা করেছে। তবে একটা লোক কষ্ট পাচ্ছে এটা দেখে মায়া হওয়ায় চোখ পরিস্কার করে দিল। এরপর রাফিন এর চোখের সামনেই ওর মাথার ক্যাপ, মাস্ক সব খুলে নিল। কালো রঙের সানগ্লাসটা নিল। তারপর জুতা, কালো জ্যাকেট একে একে সব খুলে নিল। আসিফ এর পরণে কালো প্যান্টই ছিল। তাই তা আর লাগে নি। শার্টটা গায়ে ঢোকানোর পরে মনে হলো আসিফ এর শার্ট এর সাইজ আর রাফিন এর সাইজ একই। আহ কি সুন্দর লেগে গেছে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে রাফিনকে আসিফ এর জায়গায় বেধে ফেলে রেখে দরজাটা বাহির থেকে বন্ধ করে খালি ট্রেটা নিয়ে বেরিয়ে গেল আসিফ। একটু দূরে আরেকজন গার্ড দাড়ানো ছিল। তিনি এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো

– খেয়েছে?

আসিফ হ্যা সূচক মাথা নাড়ল। তারপর ওই পাশের লোকটা বলল

– এতক্ষণ লাগে। বাপরে। আমি তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। যাক এসেছিস এখন চল।

আসিফ মাস্কের আড়ালে মুচকি হাসল। যাক এই লোকটা যখন চিনতে পারেনি তখন অন্য কেউও পারবে না৷ এতক্ষণ একটা ভয় ছিল এখন আর নেই। আসিফ সেখান থেকে না বেরিয়ে গার্ডদের সাথে মিলে সেখানে কিছুক্ষণ থাকার প্লান করল। কি হচ্ছে এখানে এটা জানা জরুরি এখন। একটু সময় পড়েই একজন গার্ড দৌড়ে এসে জানাল

– স্যার ফোন করেছে। আমাদের সবাইকে এখনি তার ওখানে যেতে হবে। খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আজ মনে হয় ক্লাইন্ট এর কাছে পাঠাবে মুরগি গুলো।

কয়েকজন হো হো করে হেসে দিল। একজন তো বলেই ফেলল

– বাহ রেহান। তুই মুরগি বানিয়ে দিলি মানুষগুলোকে।

– এই বেটা চুপ কর। দেয়ালেরও কান আছে।

আসিফ এর গায়ের লোম কা’টা দিয়ে উঠল। ওর বুঝতে বাকি নেই এরা কিসের সাথে জড়িত। তবু এখান থেকে যাবে না এই মুহুর্তে। এখন সবাই ওকে রাফিন ই ভাবছে। তাই এদের সাথে গিয়ে ওদের ডেরা খুজে বের করতে হবে। এতগুলো জীবন তো কোনভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যায় না। আসিফ নিজেই গিয়ে সেই রুমে তালা লাগিয়ে দেয় যেখানে রাফিন আছে। একজন এসে আসিফ এর পিঠ চাপড়ে বলে

– সাবাশ রাফিন। কাজটা ভালো করেছ। একে তো বিশ্বাস নেই। আমরা নেই সেই সুযোগে যদি পালাত তখন কি বলতাম। এটা ভালো কাজ করেছ।

আসিফ মাথা নেড়ে হ্যা বোঝায়। এরপর ওই কালো পোশাক ধারী লোকগুলোর সাথে আসিফ ও গাড়িতে উঠে পড়ে। জানে জীবনের ঝুঁকি আছে। একবার ধরা পড়লে সব শেষ। তবুও ও যাবে। এতটুকু সাহস না করলে বহু জীবন ধ্বংসের মুখে পড়ে যাবে। আসিফ জানেনা সামনে কি হতে চলেছে।

#চলবে