ভালোবাসার বর্ষণ পর্ব-০৭

0
247

#ভালোবাসার_বর্ষণ
#নীহারিকা_নুর
#পর্ব_৭

নুরুল ইসলাম তার মতো করে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন আসিফকে খোজার। তিনি গোপনে তার বিশ্বস্ত কলিগদের দ্বারা খোজ করিয়েছেন। কিন্তু আসিফকে কোনভাবেই ট্র্যাক করা পসিবল হয় নি৷ এবার তার মনে হলো বিষয়টা আসিফ এর বাবাকে জানানো দরকার। তিনি তো নিশ্চিন্তে আছেন যে তার ছেলে সিলেট এ আছে। তবে তার ছেলে সিলেটে আদৌ গিয়েছে কিনা সন্দেহ।

নুরুল ইসলাম ঠিক করলেন আমজাদ হকমএর বাসায় গিয়েই আস্তে ধীরে তাকে সবটা বুঝিয়ে বলবেন। ফোনে হয়ত ভালোভাবে বুঝিয়েও বলতে পারবেন না আবার না আমজাদ উল্টো পাল্টা বুঝে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।

নুরুল ইসলামকে বেরিয়ে যেতে দেখে তহমিনা বেগম পেছন পেছন দৌড়ে আসলেন। তহমিনাকে আসতে দেখে থামলেন নুরুল ইসলাম। পেছন ঘুরে তহমিনা বেগমকে সাবধান করলেন আস্তে হাটার জন্য। তারপর জিজ্ঞেস করলেন

– কি ব্যাপার এভাবে ছুটছো কেন। কে আবার তাড়া করতেছে তোমারে৷ এখন আর দৌড়াদৌড়ি করার বয়স আছে বলো৷

নুরুল ইসলাম কি বলল সে কথা কানে তুলল না তহমিনা। সে ব্যাস্ত কন্ঠে জানতে চাইল

– আপনি এই ভর দুপুর বেলা কোথায় চললেন৷ দুটো রাত চোখের পাতা এক করেন নি৷ আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন তো।

– আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না তহমিনা। আমাকে দুই একদিন এর ভিতরেই যেতে হবে উপরমহল থেকে ফোন আসতেছে। তাই যাওয়ার আগে আমজাদ এর সাথে একটু দেখা করে আসি৷

– এই ভর দুপুরেই কেন যাওয়া লাগবে আপনের। এখন কিছু খাইয়া একটু ঘুমাইয়া নেন। সারারাত জার্নি করে আসলেন তারপরও ঘুমালেন না। শরীর খারাপ করলে তখন।

– দেখা করা জরুরি তহমিনা। আমি এসেই ঘুমাব। আর তুমি খাবার রেডি করো আমি আসছি।

আর কথা বাড়ালো না নুরুল ইসলাম। হাটা ধরলেন আমজাদ হকদের বাড়ির উদ্দেশ্য।

আমজাদ গোসলে যাওয়ার জন্য কেবল বাহিরে পা রেখেছিলেন। তাড়াহুড়ো করে নুরুল ইসলামকে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেখে আমজাদ দৌড়ে সেদিকে গেল। নুরুল ইসলাম এর এলোমেলো চুল, ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া চোখ দেখে অবাক হলো আমজাদ। তিনি হাত টেনে নিয়ে বাসার ভিতরে বসালেন নুরুল ইসলামকে। নুরুল ইসলাম তাড়া দিয়ে বললেন এত বসার সময় নেই। জরুরি কথা আছে তাই এসেছি।

– তা কি কথা বল।

– আসিফ কি কালকের পর আর তোকে ফোন দিয়েছিল?

– না দেয় নি। বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করছে হয়ত তাই ফোন দেয় নি। আচ্ছা তুই বারবার ওর কথা কেন জিজ্ঞেস করছিস। একটু ঝেড়ে কাশ তো।

– হুম সেজন্যই আসা। মাথা ঠান্ডা করে আমার কথা শোন। হাইপার হওয়া যাবে না।

– হুম।

এরপর নুরুল ইসলাম সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন। তারপর নুরুল ইসলাম যে পার্সোনালি আসিফকে খোজার চেষ্টা করেছেন সেটাও জানালেন। আসিফ নিখোজ এটা শোনার সাথে সাথে বসা থেকে দাড়িয়ে পড়লেন আমজাদ। নুরুল ইসলাম এর কথা মতে আসিফ ওইসব পাঠিয়েছিল বিয়েদ দিন। তবে আমজাদ তো জানে তার ছেলে কেমন। আর আসিফ কেনই বা এসব করবে।

নুরুল ইসলাম তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেন। কিছু সময় পর একটু শান্ত হয়ে বসলেন আমজাদ হক। নুরুল ইসলাম এর পাশে বসে পড়ে তার হাত দুটো ধরে বলে

– আমার এখন কি করা উচিত বল না ভাই।

– আমার মনে হয় কি একটা মিসিং ডায়েরি লেখানো উচিত। ২৪ ঘন্টা তো অনেক আগেই ওভার।

– হ্যা ভালো কথা বলছিস।




দেখতে দেখতে দুটো দিন কে’টে গেছে। এর মাঝেও কোন খোজ পাওয়া যায়নি আসিফ এর। এদিকে নুরুল ইসলাম এর যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। ওদিকে একটা জটিল কেস পেন্ডিং আছে। এখন না গেলেই নয়। তিনি আমজাদকে বলে গেছেন বেশি কান্নাকা’টি না করতে। নুরুল ইসলাম নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবেন এই সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু বাবা মায়ের মন কি আর তা মানে৷ আসিফ এর মা থেমে থেমে কান্না করেই যাচ্ছে। নুরুল ইসলাম তহমিনাকে বলে যান তাদের যেন দেখে রাখে। কিন্তু তহমিনা তখনি মুখ ঘুড়িয়ে নেয়। মানে সে দেখতে পারবে না। পুরোটা শোনার পরেও তহমিনার মনে হচ্ছে আসিফ এসব ইচ্ছে করে করেছে আর এখন নিজ ইচ্ছায় গা ঢাকা দিয়েছে। নুরুল ইসলাম চেয়েও তহমিনাকে বোঝাতে পারেনি।

নুরুল ইসলাম যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে মেইন রোড অবধি আসলেন। সাথে তহমিনাও আছে। তহমিনা এসেছে তাকে এই অবধি এগিয়ে দেয়ার জন্য। দুজনে কথা বলতেছিল এমন সময় সামনে কিছু পরার শব্দে দুজনে একবার দুজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে সামনে তাকালেন। সামনে কেউ একজন পড়ে আছে। পেছন সাইড দেখে বেশ চেনা মনে হচ্ছে। নুরুল ইসলাম দৌড়ে গিয়ে পড়ে থাকা লোকটাকে উঠে বসতে সাহায্য করে। মুখের দিকে তাকিয়ে আতকে ওঠে নুরুল ইসলাম। এটা তো আর কেউ না এটা আসিফ। কিন্তু চেহারার এ কি দশা হয়েছে। দুই তিনদিন না খাওয়া না ঘুমে শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। তার উপর চেহারারও হয়েছে বেহাল দশা। তার উপর এত দৌড়াদৌড়ি শরীর আর নিতে পারছিল না। তাও টেনে টেনে শরীরটাকে এই অবধি কোনমতে এনেছে। আর পা চলছে না এখানেই পড়ে গেল। তবে ওর লক্ষ্য ছিল আগে নুরুল ইসলাম এর বাসায় যাবে। ভাগ্য সেই নুরুল ইসলাম এর সামনেই ওকে এনে ফেলল। নুরুল ইসলাম আসিফ এর পার্লস চেক করলেন। খুব স্লো বিট করছে। নুরুল ইসলাম আসিফকে কাধে ভর করে দাড়াতে সাহায্য করলেন। তার হাতে থাকা লাগেজটা তহমিনাকে ধরিয়ে দিয়ে বললেন এটা নিয়ে বাসায় যেতে আর আসিফ এর বাবা মাকে নিয়ে যেন হসপিটালে আসে। নুরুল ইসলাম সেখানে থাকা একটি গাড়িকে ডেকে নিয়ে তাতেই আসিফকে সদরে নিয়ে গেল ভালো হসপিটালের উদ্দেশ্য।

আসিফকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। শরীর দুর্বল থাকার কারণে স্যালাইন চলতেছে। তবে এখন জ্ঞান রয়েছে ওর। কথাও বলতে পারে। কেবিনে নার্স আসলে আসিফ নার্সকে ডেকে বলে একটু নুরুল ইসলাম আঙ্কেলকে ডেকে দিবেন প্লিজ। নার্স সম্মতি জানায়। ঔষধ পত্র গুছিয়ে রেখে নার্স বাহিরে আসে। কেবিনের বাহিরে নুরুল ইসলাম, তহমিনা, আসিফ এর বাবা, মা সবাই বসা ছিল। নার্স নুরুল ইসলামকে ভেতরে যেতে বলে। আসিফ দেখা করতে চেয়েছে তাই নুরুল ইসলাম তাড়াতাড়ি করে ভেতরে ঢোকে। তার মনটা সেই বিকেল থেকে আকুপাকু করছে সবটা জানার জন্য। নুরুল ইসলাম ভেতরে ঢুকে আসিফ এর বেড এর পাশের টুল টেনে বসে। আসিফ চোখ বন্ধ করে ছিল। পাশে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ মেলে তাকায় আসিফ। নুরুল ইসলামকে দেখে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।

– আঙ্কেল আপনি এখনো এখানে। ওদিকে আপনাকে এই মুহুর্তে কতটা জরুরি আপনি জানেন?

নুরুল ইসলাম তার কন্ঠের গম্ভীরতা বজায় রেখে বললেন

– কি বলতে চাইছ পরিষ্কার করে বলো। তার আগে এটা জানতে চাই তুমি আমার মেয়ের সাথে এরকমটা কেন করলে? ও তোমার কি ক্ষতি করেছে?

– আঙ্কেল বিলিভ মি এসব কিছু আমি করিনি৷ আমাকে ফা’সানো হয়েছে।

– কি বলতে চাইছো? কে ফা’সিয়েছে তোমাকে?

– ড. আবির আহমেদ এবং তার বাবা।

– হোয়াট…… কি বলতে চাইছ তুমি। তারা তোমাকে কেন ফা’সাবে আর কেনই বা তোমার নাম করে আমার মেয়ের ক্ষতি করালো। তারা যদি বিয়েটা না করতে চাইত সেটা সরাসরি বলে দিলেই তো পারত। এসব কিছু করার মানে কি?

– আমি ভুল কিছু বলছি না আঙ্কেল। আর আপনি শান্ত হয়ে বসেন। একসাথে এত প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দিতে পারব না আমার কথা বলতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।

– ঠিক আছে তুমি আস্তে আস্তে বলো।

– আঙ্কেল ওরা চাইলেই আপনাকে সরাসরি না করে দিতে পারত। কিন্তু ওদের চাওয়া ছিল ভিন্ন।

– কি চাওয়া ছিল?

– আঙ্কেল আপনি এবার বাড়িতে এসে যে কেসটা নিয়ে কথা বলেছিলেন মনে আছে? এই বিয়ের সাথে ওই কেসটা পুরোপুরিভাবে জড়িয়ে আছে। এরকম কাহিনি করে আপনাকে এদিকে আটকে রাখাই ছিল ক্রিমিনালদের মূল ইন্টেনশন। আপনি এদিকে এই চিন্তায় ব্যাস্ত থাকবেন ওদিকে তারা এই সুযোগে তাদের অপরাধ গুলো সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যেতে পারবে।

– তুমি এত কিছু কীভাবে জানলে? আর কেসের ব্যাপারেই বা কীভাবে জানলে?

সেদিন আবির এর সাথে দেখা হওয়া থেকে শুরু করে সবটা খুলে বলল আসিফ। গার্ড এর বেশে আবির এর ডেরায় কীভাবে পৌছেছিল সেটাও বলল।

সেদিন গার্ডদের সাথে আসিফও গিয়েছিল আবির এর দেওয়া ঠিকানায়। ওরা গাড়ি মেইন রাস্তায় রেখে হেটে হেটে অনেক দূরে একটা বিশাল জঙ্গল এর ভিতরে এসেছিল। তখনো রাতের আধার নামেনি তাই ওরা আশপাশে হাটাহাটি করছিল। রাত গভীর হতে ওরা হেটে জঙ্গলের আরো কিছু টা গভীরে ঢোকে। সেখানে একটা জায়গায় শুকনো লতাপাতা স্তুপ করা ছিল। ওদের মধ্যে একজন গিয়ে সেই লতাপাতা গুলো সেখান থেকে সরিয়ে ফেলে। লতাপাতা গুলো সেখান থেকে সরানোর পরে বড় একটা ঢাকনার মতো বেড়িয়ে আসে। দুজন মিলে টেনে সেই ঢাকনাটা সরায়। তার মধ্যে নিচে নেমে যাওয়ার একটা সিড়ি দেখতে পায়। সিনিয়ররা এক এক করে সবাই নেমে যায়। তাদের দেখাদেখি আসিফ ও নামে। শুধুমাত্র দুজন উপরে থেকে যায়। তারা আবার ঢাকনাটা টেনে বন্ধ করে দেয়। ফোনের ফ্লাস অন করে সবাই সেই রাস্তা ধরে এগোতে থাকে। মাটির নিচে এত সুন্দর রাস্তা দেখে অবাক হয়েছিল আসিফ। এতদিন লোকমুখে শুনে আসা আগেরকার দিনের জমিদার বাড়ির সুরঙ্গের কথা মনে পড়ে আসিফ এর। তবে এই সেই সুরঙ্গ যে পথ এখন ক্রিমিনালরা ব্যবহার করে থাকে।
সুরঙ্গ ধরে হাটতে হাটতে ওরা উপরে ওঠার একটা রাস্তা দেখতে পায়। সেটা ধরে সবার সাথে সাথে আসিফ ও উপরে আসে। একটা ঘরের মধ্যে এসে সুরঙ্গটা শেষ হয়েছে। সেখানে দুজন লোক ওদের জন্য অপেক্ষা করতেছিল।

আসিফ চালাকি করে রাফিন এর ব্যাপারে অনেক কিছুই জেনে নিয়েছিল। রাফিন এখানে নতুন জয়েন করেছিল সেটাও জানতে পেরেছিল। রাফিন এর নতুন জয়েন করাটা আসিফ এর প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে৷ আসিফ ওর পাশে থাকা সিনিয়র রবিন এর কাছে জানতে চাইল এখানে কি হবে এখন?

– এটাই তো সেই জায়গা যেখানে লোকগুলোকে এনে রাখা হয়। রাতে এখানেই অপারেশন করা হয়। তারপর লা’শগুলোকে পাশের নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়৷

– এখানে থাকা লোকগুলো পালিয়ে যেতে পারে না?

– না। ওদের ঘুমন্ত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়৷ গার্ডরা তুলে নিয়ে আসে। আর ওই সুরঙ্গের কথা কেউ জানে না।

– ওহ আচ্ছা।

– হ্যা রাফিন। তুমি তো নতুন তাই জানো না। দেখতে দেখতে সব বুঝে যাবে।

আসিফ মনে মনে বলে সেই সুযোগ আর থাকলে তো। তারপর আসিফ আবার জানতে চায়

– আচ্ছা এই লোকগুলো এখানে কীভাবে আনা হয়?

– তাদেরকে কম খরচে ইতালি নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। ইতালি যাওয়াটা অনেকের ইচ্ছে থাকে। তবে এত টাকা খরচ করে সবাই যেতে পারে না৷ তাই তো গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলোকে কম খরচে ইতালি নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তারপর এখানে এনে চোখ, কিডনি, লিভার ইত্যাদি অঙ্গ রেখে ওদের পেট কে’টে বস্তা ভর্তি করে ডুবিয়ে দেয়া হয়। পে’ট কে’টে দেয়ার ফলে এই লা’শ আর উপরে ভেসে ওঠে না৷

সব কিছু শুনে আসিফ এর গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়। কি ভয়ানক এরা বাপ রে। আসিফ আবার জানতে চায়

– আচ্ছা এদের ফ্যামিলিকে কি জবাব দেয়া হয় তারপর?

– আরে এটাতো সহজ কাজ৷ তাদের জানায় যে কম খরচে যেতে চাইলে সমুদ্র পথ ব্যাবহার করতে হয়। সেখানে মাছের জাহাজে করে যেয়ে বর্ডার এর কাছে গিয়ে মাছের জাহাজ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়৷ সেখান থেকে সমুদ্র সাতরে উঠতে হয়। তাই ফ্যামিলিকে জানায় সমুদ্র সাতরে ইতালি ওঠার আগেই সমুদ্রে ডুবে মা’রা গিয়েছে। আর ফ্যামিলির লোকও বিশ্বাস করে নেয়। তারা কয়েকদিন কান্নাকা’টি করে। কিন্তু লা’শ চেয়েও তো আর পায় না।

এতসব শুনে আসিফ এর ভীষণ খারাপ লাগে। এরা সহজ সরল মানুষ গুলোকে কীভাবে বোকা বানায়।

আসিফকে এভাবে চুপ থাকতে দেখে রবিন ভাবে যে রাফিন হয়ত ভয় পাচ্ছে ( আসিফ রাফিন পরিচয়ে এখানে আছে। তাই কনফিউজড হওয়ার প্রয়োজন নেই)। তাই রবিন আসিফ এর পিঠ চাপড়ে বলে

– আরে কয়েকদিন পরে তুমি ও এই পরিবেশে অভ্যাস্ত হয়ে যাবে৷ ভয় পেও না।

এর মধ্যে ওদের ডাক পড়ায় দুজনেই সেদিকে যায়। যেতে যেতে আসিফ মনে মনে শুকরিয়া জানায় কেননা রাফিন যদি নতুন জয়েন না করত তাহলে হয়ত ওকে রবিন এত সহজে সবটা বলত না আর যদি জিজ্ঞেস করত তাহলেও বিষয়েটা উল্টো দেখাত।

ওদেরকে খাবার সার্ভ করার জন্য ডাকা হয়েছে। সেখানে গিয়ে আসিফ আরো অবাক হয়। প্রত্যেকটা খাবার এর মধ্যে কি যেন মেশানো হচ্ছে।

#চলবে