#ভালোবাসার_অভিনয়
#Anuridhi_Rahman
#পর্ব ৪১
তৃনা-ডাল এ ছকা দিয়েছে আর তোমার বমি পেয়ে গেলো সেই গন্ধে,,,,এমন শুধু তখন হয় যখন কোনো মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয় আমার সময় ও এমন হয়েছিলো,,,,
পরী-মা আসলে,,,,
তৃনা-পরী আমি তোমাকে কিছু বলবো না আমাকে তুমি সত্যি বলতে পারো,,,,,
পরী আমতা আমতা করে যেই কিছু বলতে যাবে তখনি,,,,
.
.
.
.
.
.
.
.
মামিমা এসে বলল-পরী রেদ এসেছে,,,,তোর সাথে নাকি দরকারি কথা আছে,,,
পরী-তাকে বলে আমি আসছি,,,,
মামিমা চলে যেতেই পরী তার মাকে বলে-হ্যা মা আমি প্রেগন্যান্ট,,,,
তৃনা-দেখ মা আমি ও বিয়ের আগে প্রেগন্যান্ট ছিলাম তখন আমার মাকে আমি আমার পাশে ছিলো না বাট আমি তোর পাশে আছি,,,বেবিটা কার
পরী-মা আমি বিবাহিত আর আমার সন্তান এর বাবা আর কেও না রেদ,,,,বিয়ের খবর টা বাকি কেউ জেনো না যানে,,,,
বলে পরী বেরিয়ে গেলো রুম থেকে রেদ সোফায় বসে আছে সবার সাথে পরী গিয়ে বলল -স্যার কিছু বলবেন,,,,
রেদ পরীকে দেখে উঠে দাড়ালো রেদ পরীর হাত ধরে বলল-নানাজান পরীকে পরীর শশুর বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি পরে কথা হবে আসি,,,,
রেদ পরীর হাত ধরে বেরিয়ে পরলো,,,রেদ এর কতা শুনে সবাই আবাক হয়ে গেলো,,,পরী ও রেদ এর এমন কথায় বেশ অবাক,,,,,
আমিন সাহেব বললেন-বাবা ছেলেটা কী পরীী হাজবেন,,,,
সিদ্দিক সাহেব কিছু বলতে যাবে তার আগে তৃনা বলল- ওদের বেপারে আমাদের ডোকা ঠিক হবে না,,,,ফ্রেস হয়ে আসেন খেতে বসবেন,,,,
আমিন সাহেব স্ত্রী এর কথার পিছনে লুকিয়ে থাকা কারন আর জানতে চাইলো না সবাই ফ্রেস হতে চলে গেলো,,,
তৃনা জানেনা পরে কী হবে বাট সে সব সময় তার মেয়ের পাশে থাকবে,,,
রেদ গাড়ি চালাচ্ছে পরী তার পাশে বসে আছে,,,সে ভাবছে রেদ তখন ও কথা কেনো বলল,,,,
পরী দেখলো রেদ এখন গাড়ির স্পিড বাড়াচ্ছে,,,
পরী-রেদ কী করছো এতো স্পিড এ গাড়ি কেনো চালাচ্ছ এক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে,,,,
রেদ-আমি যা জানতে চাইবো সত্যি সত্যি বলবে,,,,
পরী-কী জানতে চাও,,,,
রেদ-পরী তুমি প্রেগন্যান্ট,,,
রেদ এর কথা শুনে পরী আকাশ থেকে পরলো রেদ কী ভাবে জানলো এটা ভেবে,,,,
রেদ-এন্সার মি
পরী চুপ করে রইলো,,,রেদ আরো স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে,,,
পরী-রেদ স্পিডি কমাও আমার ভয় করছে,,,,
রেদ-প্রশ্নের উওর না পেলে কমবে না স্পিড,,,
পরী দেখলো সমনে একটা খাদ রেদ স্পিড না কমালে গাড়ি ব্রেক ফেল হয়ে খাদ এ পরে যাবে,,,,
পরী চিৎকার করে বলল-হ্যা আমি প্রেগন্যান্ট,,,,,
এটা বলতেই রেদ গাড়ি খুব জোরে ব্রেক কষে আর গাড়িটা ইউ টার্ন নিয়ে নেয়,,,গাড়িটা গুরতে থাকে ৩/৪ বার তারপর থেমে গেলো,,,,,,
পরী ভয়ে চোখ মুখ বুঝে ভয়ে কুকরে আছে,,,, রেদের কপাল একটু কেটে রক্ত পরছে রেদ গাড়ির দরজা খুলে বাইরে এক পা রেখে সিট এই বসে রইলো,,,,
পরী ভয়ের চোট এ চোখ খুলেনি তার মনে হচ্ছে চোখ খুললেই দেখবে সে খাদ এ পরে যাচ্ছে,,,,রেদ ঘুরে পরীর দিকে তাকালো পরীকে এইভাবে বসে থাকতে দেখে রেদ বলল,,,,
রেদ-তুমি প্রেগন্যান্ট এটা বলোনি কেনো,,
রেদ এর গলা শুনে পরী চোখ খুলে তাকালো চারদিক তাকিয়ে দেখলো খাদটার থেকে একটু দূরে গাড়িটা থেমে আছে,,,,রেদ তারদিকে পিট করে বসে রয়েছে,,,,
পরী কিছু না বলে গাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো পরীর মাথাটা ঘুরতে লাগলো গাড়ি এভাবে ঘুরার কারনে এমন লাগছে হয়তো,,,তার উপর মাথার ওপর রোদ এর করা তাপ,,,,,
পরী মাথা ঘুরে পরে যেতে নেয় গাড়ি ধরে নিজেকে সামলায় রেদ ঘুরে দেখে পরী এক হাত দিয়ে গাড়ি ধরে আছে আর একহাত এ মাথা ধরে রেখেছে,,,তাদেকে রেদ তারাতারি পরীর কাছে গেলো,,,,
পরীকে ধরতেই পরী রেদকে একটা থাপ্পড় মেরে দিলে,,,,আর বলল-কী করছিলে হ্যা এখন যদি কিছু হয়ে যেতো,,,,
রেদ-কিছু হয়নি তো,,,
পরী-হয়নি বাট হতে পারতো,,,,আমি সত্যি বলার পর যদি গাড়ির স্পিড কমাতে না পারতে,,,যদি আমার বেবির কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো তখন,,,,
পরী রাগের মাথায় সত্যি বলবে তা রেদ জানে তাই পরীকে রাগানো খুব দরকার তাই রেদ এমন একটা স্টেপ নেয়,,,,
কারন মানুষ রাগের মাথায় কিছু করতে পারুক আর নাই পারুক নিজের অজান্তে সত্যি বলতে পারে,,,,আর এই সুজুক টাই নেয় রেদ,,,,
রেদ-কিছু হয়নি তো এভরিথিক ইজ ফাইন আর মনছি এই ভাবে সত্যি জানতে চাওয়াটা আমার ছোট একটা ভুল হয়েছে,,,,সরি
পরী-হ্যা তোমার কাছে সব কিছু ভুল নেশার ঘোরে আমাকে কাছে টানা★আমার কথা শুনে ভুল শুধরাতে গিয়ে আমাকে বিয়ে করা★আমাকে প্রপোজ করে বাড়িত আমাদের বিয়ের কথা জানাতে চাওয়া★ আর তুমার সবচেয়ে বড় ভুল আমার জিবন বাচানোর জন্য নিজের এতো বড় ক্ষতি করা,,,,
কথা গুলো বলতে বলতে পরী মাটিতে বসে পরে চোখ এর জল আজ লাইন দিয়েছে সব আজি শেষ হয়ে যাবে,,,,,
পরী কাদছে বাট রেদ এখনো দাড়িয়ে তাদেখছে,,,,কিছু বলছে না ক তানা কী বলবে তার জন্য ভাষা খুজে পাচ্ছে না,,,,
পরী-যাকে ভালোবেসেছি তাকেই হাড়িয়েছি,,,আমাদের সন্তান কে হারাতে আমি পারবো না,,,,,মরে যাবো তাহলে,,,
রেদ পরীর সামনে বসে পরলো,,,দুহাত দিয়ে পরী দু গাল এর ধরে সোজা করলো তার মুখ,,,,
রেদ-I am sorry pori I am really sorry,,,,
পরী লাফ দিয়ে রেদকে জরিয়ে ধরলো আর বলল-I am also sorry red,,,
রেদ-আমি যখন তোমাকে ভুলে গিয়েছি তাহলে তখন আমার কাছে এসে আমাকে কেন বললে না তুমি আমার পরী আমার ভালোবাসা আমার স্ত্রী,,,, কেন নিজের স্ত্রী অধিকার চাইলে না,,,,
পরী-কীভাবে চাইবো অধিকার,,,আমাদের বিয়ের কথাটা তো তুমি আমি ছাড়া আর কেও জানে না,,,
রেদ-তাই বলে সব কষ্ট একা সয্য করবে,,,,
পরী-উহু এখন আর কোনো কষ্ট নেই এখন আমি সবচাইতে শুখি মানুষ কারন আজ তোমাকে আমি আবার নতুন করে ফিরে পেলাম,,,,
রেদ-আর আমি নতুন করে তোমাদের ২জনকে পেলাম,,,আজ আমিও পরীর মাঝে পরিপূন,,,,
রেদ পরীকে নিয়ে ওভাবেই বসে রইলো কিছুক্ষন একটু পরে পরী বলল-রেদ মাথাটা ঘুরছে বাড়ি যাবো,,,,
রেদ পরীকে কোলে তুলে গাড়িতে বসিয়ে দিলো,,,,তখন পরী দেখলো রেদ এর কপাল কেটে গেছে,,,,
রেদ গাড়িতে উঠতেই পরী রেদ এর হাত ধরে বলে এক মিনিট,,,,বলে পরী রেদ এর কপাল এন্টিসেপ্টিক দিয়ে মুছে একটা বেন্ডেজ লাগিয়ে দিলো,,,,,
রেদ হালক হেশে গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,,তখন পরী নিজের সিট এ হেলান দিয়ে বলল-আচ্ছা তুমি কী করে জানলে আমি প্রেগন্যান্ট
রেদ-নিজের ফোনটা কেবিনে ভুলে এসেছিলে তুমি যখন ফাইল নিয়ে এলে না তখন আমি তোমাক কেবিন এ যাই সেই জায়গায় ফোনটা পাই,,,,
নিলয় নামের একটা ছেলে কল করেছিলো অনেক বার কল করেছে যখন আমি ফোনটা পাই তখন ও কল করছিলো তাই কল রিসিভ করি আর রিসিভ করতেই নিলয় ছেলেটাই আমাকে বলে,,,,,
পরী-নিলয় বলে মানে ও কী করে জানলো আমি প্রেগন্যান্ট আমি তো কাওকে জানাইনি,,,,
রেদ-ও আমাকে বলেছে,,,,
(নিলয়-পরী এতোক্ষন লাগে ফোন তুলতে আচ্ছা এসব ছাড়ো ড.মুক্তা আমার কাছে তোমার কথা জিজ্ঞাস করলেন আর বললে তুমি নাকি প্রেগন্যান্ট এতো বড় একটা কথা তুমি কী করে সবার কাছ থেকে গোপন করলে,,,,,
কী হলো কথা বলছো না কেনো,,,,পরী বলো বেবিটা কার,,,,,পরী পরী)
রেদ-আমি আর কিছু না শুনে কল কেটে দিয়েছি,,,
পরী-ওহ নো রেদ তারাতারি আমার বাড়ি চলো বেপার টা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে আটকাতে হবে,,,,,
রেদ-নিলয় কী কোনো প্রব্লেম করবে বলে মনে করছো,,,,
পরী-ওরে জামাই ও আমার মামাতো বোন এর হাজবেন আর ও যদি বাড়িতে এই কথাটা বলে দেয় তাহলে অনেক বড় প্রব্লেম হবে,,,,
রেদ-চিন্তা করো না কিছু হবে না আমি আছি তো আর থাকবো,,,,,
রেদ পরীকে নিয়ে সোজা পরীর বাড়ি গেলো সেখানে যেয়ে দেখে নিলয় বেল বাজাচ্ছে বাড়ির,,,,পরী ভয় এ শেষ নিলয় এর জন্য নয় রেদ এর কাজ দেখে,,,,,
দরজা খুললেন মামিমা আর,,,,,
বাকিটা শেষ পর্বে জানবেন,,,,,,,