ভালোবাসি প্রিয় পর্ব-৩৯

0
448

#ভালোবাসি_প্রিয়
(রিপোস্ট)
পর্ব_৩৯
©জারিন তামান্না

১’৫ বছর পরে,

দেখুন মি.সিফাত আমরা আমাদের মত চেষ্টা করেছি, এখনো করছি। কিন্তু আল্লাহ না চাইলে তো আর সম্ভব না কিছু। আপনি প্লিজ নিরাশ হবেন না।
_আমার ক্ষেত্রে লাস্ট চান্স কতটুকু ডক্টর?
_দেখুন মি. সিফাত….আপনার এক্সিডেন্টা খুবই ক্রিটিক্যাল ছিল। মেডিসিনগুলোও অনেক স্ট্রং ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে মেজর কোন সার্জারি বা হাই ডোজের মেডিসিনের ইফেক্টের কারণে ফার্টিলাইজেশন পাওয়ার কমে যায়। আপনার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। কিন্তু,আমরা চেষ্টা করছি তো। ট্রিটমেন্ট চলছে। প্লিজ আপনি নিরাশ হবেন না।
_হুম। আজ আসছি ডক্টর।
_মেডিসিনগুলো রেগুলার খাবেন।আর আপনার মিসেস.কেও বলবেন ধৈর্য্য নিয়ে চেষ্টা করে যেতে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।উনি চাইলে সব সম্ভব।
_yeah…sure.. thanks dr.

বিদায় নিয়ে ডক্টরের চেম্বার থেকে বেরিয়ে এলো সিফাত। হাতে থাকা রিপোর্টটা দেখলো আরেকবার। সেখানে স্পষ্ট লেখা, কোনদিন বাবা হতে পারবে না সে। এক্সিডেন্টের পরে দীর্ঘদিন হাই ডোজের মেডিসিন খাওয়ার কারণে তার বাবা হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। তবুও ডাক্তাররা চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট চলছে তার। বিদেশেও ঘুরে এসেছে কয়েকবার। সবার একই কথা। সিফাত সন্তান জন্মদানে অক্ষম।

রুকু ছেলে সন্তানের মা হয়েছে এবারে। তার ছেলে ইয়ান জন্মানোর পর থেকেই পলককে বাচ্চা নেওয়ার জন্য আরও বেশি মানসিক চাপ দিয়ে যাচ্ছিল সিফাতের দাদী। আর পলকেরও মনে হয়েছে তারও বয়স বাড়ছে। ২৫ বছর হয়ে গেছে। এবারে তারও মা হওয়া উচিৎ। তাই বিয়ের ১বছরের মাথায়ই সে সিফাতের কাছে মা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। সিফাতও আপত্তি করেনি। কিন্তু নিয়মিত চেষ্টা করার পরেও যখন পলক গর্ভধারণ করতে পারছিল না, রুকুর কাছেই প্রথম চেক আপ করায় সে। রিপোর্ট নরমাল আসে তার।
এরপর সিফাতও নিজের টেস্ট করায়। আর রিপোর্টে আসে সে কোন দিন বাবা হয়ে পারবে না। বিগত ৮ মাস ধরে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু, ফলাফল শূন্য।

__________________________________

আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে ক্যাপ্টেন।তাই জন্য এমন ভুলভাল বকছেন তখন থেকে।

_আমি ভেবে চিন্তেই বলছি মৃন্ময়ী।

_না,,আপনি মোটেও ভেবে চিন্তে বলছেন না কিছু। আমি মরে গেলেও এইটা হইতে দিবো না। মানে এমন কিছু হইলে আমি মরেই যাবো জাস্ট। আর কে?? হ্যাঁ? কে বলছে যে আমি আপনার সাথে থাকলে কোনদিন মা হইতে পারবো না? আমি মা হবো,,আর সেটাও আপনার সন্তানেরই। আপনার আমার ভালোবাসাকেই আমি আমার গর্ভে ধারণ করবো।
_Be practical, Mrinmoyi. এই সমাজ কোনদিন মানবে না যে সমস্যাটা আমার। সবাই আপনাকে ভুল বুঝবে। আর ডিভোর্সটা আমার তরফ থেকে হলে সবাই ভাববে যে সমস্যা আপনার, তাই আমি ছেড়েছি আপনাকে। যেটা পুরোপুরি ভুল। তাই বলছি ডিভোর্স আপনার তরফ থেকেই হোক।

_বলুক। যার যাআআআআ খুশি বলুক। সবাই যদি আমাকে বাজা মেয়ে বলে শান্তি পায় তো বলুক। দাদী, মা যে যা বলার বলুক। আমার কিচ্ছু যায় আসে না।কিন্তু,,আমি আপনাকে ডিভোর্স দিবো না। না মানে নাআআআ। মরে গেলেও না।

_আজ আপনি বুঝতে পারছেন না মৃন্ময়ী। সেন্টিমেন্টাল হয়ে এসব বলছেন।কিন্তু কয়েক বছর পরে যখন নিজ গর্ভে একটা সন্তান ধারণ করতে না পারার শূন্যতা, কষ্ট আপনাকে কুড়ে কুড়ে খাবে তখন আফসোস করবেন আপনি। আর তখন হয় তো অনেকটাই বেশি দেরি হয়ে যাবে।

_ইয়ানা আমাদের মেয়ে ক্যাপ্টেন। ভুলে গেছেন সেটা? কঠিন গলায় বললো পলক।

_মাতৃত্বই তো একটা মেয়ের আজন্মের সাধনা মৃন্ময়ী। আর আপনি আমার কারণে এই সুখ, এই স্বাদ সব কিছু থেকে বঞ্চিত হবেন , সেটা আমি কি করে হতে দেই?

_আমার লাগবে না ওভাবে মা হওয়া। আমি ইনুর মামণি এটাই যথেষ্ট আমার জন্য।
পলকের এমন জেদে হতাশ হলো সিফাত। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,

_আমি ডিভোর্স পেপার রেডি করতে বলেছি, মৃন্ময়ী । তুমি নিজে থেকে ডিভোর্স না দিলে বা মিউচুয়াল ডিভোর্সে না গেলে আমিই ডিভোর্স দিবো তোমাকে। তারপর যা হওয়ার হবে। কিন্তু,,চোখের সামনে এভাবে তোমার শূন্যকোল আমি দেখতে পারবো না।

_ক্যাপ্টেন…ক্যাপ্টেন…শুনুন! মাথা ঠান্ডা করে আমার কথাটা শুনুন আপনি একবার ।( কাঁদছে পলক)

_আর কিছুই শোনার নেই আমার।আমি তোমাকে ডিভোর্স দিচ্ছি এটাই ফাইনাল। বলেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো সিফাত। ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে যেতেই শুনলো পলক বলছে,
_তোমার জায়গায় যদি আজ আমি হতাম,,,সমস্যাটা আমার হতো,,,নিজ থেকেই কোনদিন মা হওয়ার ক্ষমতা না থাকতো তাহলে কি করতা তুমি? তখন কি ছেড়ে দিতে আমাকে? আরেকটা বিয়ে করতে? প্রচন্ড রাগী গলায় চেঁচিয়ে বললো পলক।

সিফাত বিস্ময়ে হতবিহ্বল! যেই পলক এই ২ বছরে কোনদিন তার সাথে গলা উঁচু করে কথা অবদি বলেনি, সেই মেয়েটা যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করছে আজ। আপনি থেকে তুমিতে নেমে গেছে রাগে। সিফাতকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আবারও চেঁচালো পলক।

_কি হইলো বলো! বিয়ে করতা আরেকটা? করতা না তো। তাহলে আমি থাকলেই বা কি সমস্যা তোমার? নাকি ভাল্লাগতেছেনা এখন আমাকে। নিজের একটা সমস্যার কারণে আমাকে কেন ছেড়ে যাইতে বলতেছো! আমি কি বলছি এরপরেও যে আমার বাচ্চা লাগবে আরও? আর যদি এতই সমস্যা হয় তোমার তো ছেড়ে দাও,আআ…আমি… আমি সুইসাইড করে নিবো। মরে যাবো.. একেবারে দূরে চলে যাবো তোমার থেকে…তারপর তো..

_মৃন্ময়ী!!! ধমকে উঠলো সিফাত। এতক্ষণ বিস্ময়ে হতবিহ্বল হয়ে চুপচাপ পলকের কথা শুনে যাচ্ছিল সিফাত। কিন্তু বারবার মরে যাওয়ার কথা বলায় এবারে আর চুপ থাকতে পারলো না সে। রাগে শরীর কাঁপছে তার।দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে পলকের চুল সহ ঘাড়ের পেছনে ধরে কাছে টেনে নিল তাকে। তারপর, আরও জোরে ধমকে দিয়ে বললো পলককে।

_এইই মেয়ে তোর সমস্যা কি, হ্যাঁ? কথায় কথায় এত মরার নাম নিতেছিস কেন? খুব মরার শখ জাগছে তোর? মরে গিয়ে বেঁচে যাওয়ার ফন্দি করতেছিস তুই? আমার কি হবে তুই মরলে এইটা ভাবিস না?? হ্যাঁ,,তুই ছেড়ে গেলেও করবো না আর বিয়ে? কেন করবো বল? বাবা তো হইতে পারবো না। ভালোওবাসতে পারবো না কাউকে আর। তুই ছাড়া কাউকে চাইও না আমার। বুঝতে পারছিস তুই?

_তাহলে আমার কেন লাগবে বাচ্চা? কেন শুধু আপনাকে নিয়ে আপনাকে ভালোবেসে আমি মরণের আগে পর্যন্ত বাঁচতে পারবো না? কেন থাকতে পারবো না আমরা একসাথে? সিফাতের এহেন ধমকে কান্না থেমে গেছে পলকের। কিন্তু,টলমল করছে তার চোখজোড়া।তবুও ভীষণরকম শান্ত গলায় বললো পলক কথাগুলো।
এতক্ষণে সিফাতের খেয়াল হলো সে ঠিক কি আচরণ করছিল পলকের সাথে। পলককে ছেড়ে ঠিক হয়ে দাঁড়ালো সে। ছোট্ট করে বললো, স্যরি।

সিফাত বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই সিফাতের হাত শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো পলক। সিফাত পিছনে ফিরে আস্তে করে তার বুকে মাথা এলিয়ে দিয়ে বললো,

_আপনি নিরাশ কেন হচ্ছেন ক্যাপ্টেন! যে যাই বলুক, আল্লাহর উপর তো কারও কিছু করার ক্ষমতা নেই। আমরা তার কাছেই চাইবো। দুজনে মিলেই চাইবো। আল্লাহ কখনোই এত নিষ্ঠুর নন যে দুজনের একত্রিত দোয়াকে উপেক্ষা করবে। আর যদি করেও তাহলে সেটাই না হয় মেনে নেবো আমরা। তবুও প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেতে বলবেন না আর। আমি তো পারবোনা আপনাকে ছাড়া থাকতে। প্রথম বার আপনার থেকে ৩ রাত দূরে থাকায় একটা স্লিপিং পিল লেগেছিল আমার ঘুমানোর জন্য। কিন্তু,এতগুলো দিন পরে দূরে করে দিলে একটায় কিচ্ছু হবে না,ফুল স্লিপেও কুলাবে না। এমনি এমনিই মরে যাবো আমি। আপনি কেন বুঝতে পারছেন না, ভালোবাসি তো প্রিয়। খুব খুব খুব ভালোবাসি। আর যদি আমাকে কখনো মা হতে হয় তবে সেটা আপনার সন্তানেরই মা হবো আমি।

পলকের এমন কথা আর জেদের কাছে হার মানলো সিফাত। দু হাত দিয়ে খুব শক্ত করে জাপটে ধরলো পলককে। এই মেয়েটাকে সে ভালোবাসে।খুব ভালোবাসে। নিজের অক্ষমতাকে ছাপিয়ে এই মেয়েটাকে নিয়েই বেঁচে থাকতে চায় সে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

এরপর থেকেই শুরু হলো পলক সিফাতের এক নতুন সংগ্রাম।একদিকে ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট আর অন্য দিকে রবের ইবাদত। নামায রোজা দোয়ার পরিমাণ বেড়ে গেল তাদের।রোজ রাতে তাজাজ্জুদে বসে কাঁদে পলক। মসজিদে বসে কাঁদে সিফাতও। রবের কাছে ফরিয়াদ করে একটা সন্তানের জন্য। সিফাত আজকাল পলককে কাছে টানতে চায়না। পলককে কাছে টানতে গেলেই নিজের বাবা না হতে পারার অক্ষমতার কথা মনে পড়ে যায় তার। আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ঠিকভাবে ইন্টিমেট হতে পারে না। হতাশ হয়ে কতবার পলককে একা ফেলে বিছানা ছেড়ে উঠে গেছে হিসাব নেই তার। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সে ভীষণভাবে।কিন্তু, পলকও চেষ্টা ছাড়েনা। একপ্রকার জোর করেই সিফাতকে বাধ্য করে তাকে কাছে টানতে। পলক জানে সে যদি হাল ছেড়ে দেয় একেবারেই ভেঙে পড়বে এই মানুষটা। তাই নিজের কষ্ট হলেও নিয়মিত চেষ্টা করে যায় সে।

___________________________________

কেটে গেছে আরও কয়েকটা মাস। পলক এখনো কন্সিভ করতে পারেনি।পলক বাড়ির সবার কাছে লুকিয়ে গেছে, সমস্যাটা সিফাতের। সিফাতের কাছে থেকে কথা দিইয়ে নিয়েছে যে যতদিন না ডক্টর ফাইনালি “না” বলছে ততোদিন অন্তত তারাও চেষ্টা ছাড়বে না। বাড়ির কাউকে বলবেও না যে সমস্যাটা ঠিক কি বা কার। কারণ, আমাদের সমাজে স্ত্রী মা হতে অক্ষম এটা মানতে পারলেও স্বামী বাবা হতে অক্ষম এটা মানতে পারে না। একটা মেয়েকে যতটা না তাচ্ছিল্য করে,,কথা শোনায়, একটা ছেলেকে সেভাবে না বললেও তাকে নিয়ে ঠিকই হাসি তামাশা করে। কারণ আমাদের সমাজে একটা ছেলের মূল ক্ষমতাই হচ্ছে তার পুরুষত্ব। এতে কেউ অক্ষম হলে হাসি তামাশার পাত্র হয়ে ওঠে সে সবার চোখে। মেয়েরা নিজেদের জন্য এসব সহ্য করে নিলেও ছেলেদের ইগোতে লেগে যায় খুব সহজেই। সিফাত এমনিতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।তারপর যদি এসব জানাজানি হয় মানুষ কারণটা তো দেখবেই না বরং নিজেদের নিম্নমানের মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনাকে প্রকাশ করে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে সিফাতের স্বাভাবিক জীবন। পলক সেটা চায় না বলেই সেদিন তাকে দিয়ে কথা নিয়ে রেখেছিল। পলকের জেদ,,অনুরোধ আর ভালোবাসার কারণে সিফাতও বাধ্য হয়ে পলকের কথা রেখে চলেছে। ভীষণ ভালোবাসে যে সে মেয়েটাকে। তাই পলকের মুখের দিকে চেয়ে সেও চেষ্টা করে। যদি কোন মিরাকল ঘটে যায়! যদি আল্লাহ মুখ তুলে চায় তাদের দিকে!

পলক নিজেকে ব্যস্ত রাখে অফিস আর সংসারের কাজে। কেউ বাচ্চার কথা জিজ্ঞেস করলেই বলে তার আগে নিজের ক্যারিয়ার পরে বাচ্চা।কিন্তু, নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় বাড়ির লোক ভাবে সমস্যা পলকের।আত্মীয়স্বজনরা ভাবে পলকের মা হওয়ার ইচ্ছাই নেই।আধুনিক মেয়ে সে। তারওপর,চাকরিও করে। নিজের এত সুন্দর ফিগার মেইন্টেইন করার জন্যই বাচ্চা নিতে চায় না। অনেকে তো সরাসরি বলে, মা হওয়ার ক্ষমতা নেই তার। সবাই ভুল বোঝে তাকে। সিফাতকে বাচ্চার কথা জিজ্ঞেস করলেই চুপ হয়ে যায় সে। যারা জানে সিফাত পলককে কতটা ভালোবাসে তারা ভাবে পলকের জন্যই বাবা হতে না পেরেও চুপ থাকে সিফাত।কেউ কেউ তো সিফাতকে মন্ত্রণা দেয় পলককে ডিভোর্স দিয়ে অন্য একটা বিয়ে করতে। বয়স বাড়ছে তার। ৩৫ পেরিয়ে গেছে। ৩৬ চলে..আর কবে বাবা হবে সে! দাদী তো রীতিমত পলকে বাজা মেয়ে বলে। যাচ্ছেতাই বলে কথা শোনায় দিনরাত। সারাও ছেলে সন্তানের মা হয়ে গেছে। কিন্তু, সিফাত এখনো একটা বাচ্চারও বাবা হতে পারলো না। রেহনুমারও আজকাল দাদী হওয়ার ইচ্ছা প্রবল হচ্ছে। শাশুড়ির মত আজকাল সেও এক কথা দু কথা শুনিয়ে দেয় পলককে। কেবল রুকু-দিহান জানে সত্যিটা। রুকু তার কন্টাক্ট ইউজ করে যথাসম্ভব চেষ্টা করছে ভালো ভালো ডক্টর আর ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু, চিকিৎসা বিজ্ঞান যতই উন্নত হোক না কেন,,আল্লাহর ইচ্ছার আগে কারও কিছুই করার সাধ্য থাকে না। তাই, পলকের শূন্যকোলও শূন্যই রয়ে গেছে আজও।

চলবে…