ভালোবাসি হয়নি বলা পর্ব-০৬

0
463

ভালোবাসি_হয়নি_বলা

লেখকঃmahin_al_islam
#পর্বঃ06

তারপর আমাকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেধে দিল

আমি আর কোন রকম শব্দ করতে পারতেছি না শুধু উহ আহ শব্দ বের হচ্ছে মুখ দিয়ে

আর গাড়িটা প্রচুর গতিতে চলতেছে মনে হচ্ছে যেকোনো সময় এক্সিডেন্ট হবে

আমার হাত এমন ভাবে বেঁধেছে খুব ব্যথা হচ্ছে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে কান্না করে দিলাম,,

কান্না করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় হচ্ছে না কি করব আমার তো জীবনটাই শেষ আজকের পর হয়ত আমি কালকে সকালেএ সূর্য দেখতে পাবো না ,,, আমি মারা গেলে আমার মা আর ভাই টাকে কে দেখবে ,, এটা মনে পড়তেই আমার বুক ফেটে যাচ্ছে কি হিবে আমার মা আর ভাই এর,,

কিছুক্ষণ পর গাড়িটা দাঁড়ালো

শামীমঃ ভিতরের সবকিছু রেডি আছে,, তুই ভাবীকে নিয়ে আয়

উনিঃ জলদি ভিতরে যা সবাইকে বল কনে এসে গেছে আর কাজি কে বল সবকিছু রেডি করতে

এসব উনারা কি কথাবার্তা বলতেছেন কাজী বিয়ে কোনে আমার তো সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,,

এখানে আবার কার বিয়ে হতে যাচ্ছে আর আমাকে যদি বিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসবে তাহলে এইভাবে বেঁধে তুলে আনতে যাবে কেন

ভালো ভাবে তো আনতে পারত, না, নিশ্চয়ই এখানে কোন রহস্য আছে না হলে আমাকে এইভাবে নিয়ে আসতে যাবে কেন আর ভাইয়াটা পুলিশের ভয় পাচ্ছেন কেন

না আর কিছু ভাবতে পারতেছিনা এসব কি হচ্ছে আমার সাথে একদিকে তো আমার মা আর ভাইয়া টেনশনে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে,

আমাকে গাড়ি থেকে জলদি নামিয়ে উনি উনার ঘাড়ে তুলে নিলেন যেভাবে কিডনাপার রা কাউকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়

আমাকে ঘাড়ে তুলে নিয়ে এত তাড়াতাড়ি তিনি বাড়িটার ভিতরে ঢুকে গেলেন আমার খুব ভয় হচ্ছে আমি খুব লাফালাফি করতেছি কিন্তু কোন প্রকার শব্দ করতে পারতেছি না কারণ আমার মুখ বাঁধা

ভিতরে প্রবেশ করে আমিতো অবাক

কি হতে যাচ্ছে এখানে

আর এসব কি এখানে তো দেখতেছি পুরাই বিয়ের ফাংশন

উফফফ না আর কিছুই ভাবতে পারতেছি না কি হবে আমার সাথে এখানে

উনিঃ কাজি সাহেব আপনি সবকিছু তাড়াতাড়ি শুরু করুন

কাজিঃ আরে বাবা বিয়ে জিনিসটা একটু ধিরে হয় তুমি এত তারা দিচ্ছ কেন

উনিঃ এই শামীমের বাচ্চা তুই কাকে নিয়ে এসেছিস

উনার এই রকম লাগবে তবে আমিতো ভয়ে চুপসে গেলাম কারণ লোকটাকে যখন আমি প্রথম দেখেছিলাম তখন থেকেই ভেবে নিয়েছি এই লোকটা বদমেজাজি আর তার ব্যবহার গুলো তো আমার জানা আছে কি রকম ব্যবহার

শামীমঃ কাজি সাহেব আমরা কিন্তু আপনাকে কন্ট্যাক্ট করে এনেছি আপনি যত তাড়াতাড়ি পারবেন বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করে ওখান থেকে চলে আসবেন

কাজিঃ তাই বলে একটা মেয়েকে এইভাবে তুলে এনে আপনারা বিয়ে করতে পারেন না

উনিঃ ওই কুত্তার বাচ্চা তুই কি আমার হাতে এখানে মরতে চাস নাকি বেঁচে তোর ছেলে-মেয়ের মুখ দেখতে চাস

যদি বেচে বাসায় ফিরতে চাস তো তাড়াতাড়ি বিয়ের কাজ শুরু কর নয়তো তোকে এখানে পুঁতে ফেলবো

অরে বাবারে এটা দেখি আস্ত একটা ডেবিল
এই লোকটা মনে হয় খুনখারাপি তো সেরা

উফফফ আমি কেন যে ওই কাজটা করতে গেলাম ওই রাতে না হলে আমাকে কখনোই এরকম কিছু সম্মুখীন হতে হতো না #লেখকঃmahin_al_islam

কাজি সাহেব চুপচাপ বিয়ে পড়াতে লাগলাম

কাজিঃ মিয়াজি পাড়া নিবাসী,, মোঃ আবদুস সাত্তারের দ্বিতীয় পত্র,, মোঃ মাহিন আল ইসলাম
এক টাকার দেনমোহর ধার্য করিয়া,, সরকার পাড়া নিবাসী মৃত মোঃ ছলিম মিয়ার প্রথম কন্যা ,, মোছাম্মদ দীপা সুলতানা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হইল,, বলো মা কবুল

আমিঃ চুপ করে আছি কারণ এখনো আমার মুখে কাপড় দিয়ে বাঁধা

কাজিঃ বলো মা কবুল

আমিঃ আমি এত চিৎকার করে বলতে চাই যে আমি এই বিয়ে করতে পারবোনা কিন্তু আমার মুক্ত বাধা শব্দ বের হচ্ছে না

মাহিনঃ কী হলো ভালোই ভালোই কবুল বলবা নাকি আমার আঙুলটা বাকা করতে হবে আবার

শামীমঃ কিরে কেউ এভাবে বিয়ে করে

মাহিনঃ শালা তুই চুপ থাক আমার বিয়ে আমি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে করবো তুই কোন কথা বলবি না চুপচাপ বসে তামাশা দেখ #লেখকঃmahin_al_islam

শামীমঃ আমি এত বিয়ে বাড়িতে গেছি এত বিয়ে দেখছি কোনদিন দেখি নাই যে মেয়ের মুখে কাপড় বাঁধা মেয়ে কথা বলতে পারবে না কিন্তু বিয়ে হবে হাহাহাহহাহাহহা

কাজিঃ তাইতো আমি তো এতোক্ষণ খেয়ালই করি নাই যে মেয়ের মুখে এখনো কাপড় বাঁধা আচ্ছা মিয়া আপনি আপনার বউকে ভালো করে দেখবেন না আপনার জ্ঞান কি সব উধাও হয়ে গেছে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছেন তাই না হাহাহহাহ

সবাই কি হাসাহাসি করতেছে এদিকে আমার কান্না কেউ দেখার মতো কেউ নেই হয়তো এখানে আমি যতই না না বলি না কেন কিছু না কিছু হবে আমাকে বিয়ে করবে আজকে রাতেই

মাহিনঃ উফফফফফ

তারপর আমার মুখ থেকে কাপড়টা সরিয়ে নিলো আর আমি জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলাম কারণ এতক্ষণ থেকে ভালোভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেনি আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো মরেই যেতাম

মাহিনঃ এই মেয়ে এখন সোজাসাপ্টা কবুল বলে দে যদি তোর ভাইয়েরা তোর মায়ের

আমিঃ মানে আপনি এতটা জঘন্য

মাহিনঃ ভালোই ভালোই বলতেছি নয়তো তোর ভাইয়া তোর মা কালকে সকালের সূর্য টা দেখতে পারবে না

আমিঃ ছি একটা মানুষ এতটা খারাপ হতে পারে এতটা জঘন্য হতে পারে আপনাকে না দেখলে হয়তো বুঝতাম না

মাহিনঃ এখন চুপচাপ কবুল বল যত তাড়াতাড়ি কবুল বলবি ততো তোর মা আর ভাইয়ের জন্য মঙ্গল হবে কারন এখন তারা অনেক কষ্টে আছে

আমিঃ মানে কি বলতে চাচ্ছেন আপনি আমার মা আর ভাই ওর যদি কিছু হয় তো আমি আপনাকে মেরে ফেলবো

মাহিনঃ শামীম ভিডিও ফুটেজ ওকে দেখা নয়তো কবুল বলবে না হাহাহা

এসব আমি কি দেখতেছি আমার মা আর ভাইয়া সুন্দর ঘুমিয়ে আছে কার কয়েকজন লোক বন্দুক হাতে তাদের দিকে তাক করে আছে হয়তো আমি কবুল না বললে আমার মা আর ভাই এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে পারবে না

এইসব দেখার পর আমি নিস্তব্ধ হয়ে গেছি আমার পুরো দুনিয়াটা যেন ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে এইসব দেখার আগে যদি আমি মরে যেতাম বা আমাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলতেও তাই সহ্য হতো কিন্তু প্রতিনিয়ত ধর্ষণ হতে হতো না ওই পশু টার হাতে আমাকে,,,

মাহিনঃ কবুল বলবি নাকি তোর পুরো ফ্যামিলি কে মেরে ফেলবো

আমি বাধ্য হয়ে কবুল বলেই দিলাম

কবুল বলে দিও কান্না করতে লাগলাম কারণ এখন আমার নিত্য সঙ্গী হবে কান্না প্রতিদিন রাতে ধর্ষণ করবে ওনার ইচ্ছা মত আমাকে ভোগ করবে ছেড়ে দিবে

সংক্ষেপে বিয়েটা সম্পন্ন করে কাজি চলে গেলেন

মাহিনঃ শামীম তুই এখন বাসায় যা আর এই খবরটা কাউকে জানাবি না এখন

তার মানে উনি আমাকে এখানে লুকিয়ে বিয়ে করলেন যাতে যেন প্রতিদিন ধর্ষণ করতে পারে বৈধ ধর্ষণ

শামীমঃ তবে মেয়েটার উপর অতিরিক্ত কিছু করিস না যাতে বেঁচে থেকেও মরার মত থাকতে হয়

মাহিনঃ তুই এখন চুপচাপ চলে যান আর আমি আমার বউকে কিভাবে রাখব কিভাবে দেখব কিভাবে আদর করবো সেটা একান্তই আমার ব্যবহার #লেখকঃmahin_al_islam

শামিমঃ তোর এই বদমেজাজি রাগের কারণে একদিন তোকে পস্তাতে হবে সেই দিনেই শামীম এর কাছে এসে তোকে কান্না করতে হবে দেখে নিস কথাটা মিলিয়ে নিস

মাহিনঃ মাহিনের কখনো এরকম সময় আসবে না হাহাহা

শামীম ভাই আর কোন কথা না বলে চুপচাপ ওখান থেকে চলে গেলেন জানে এখানে কথা বলা তাঁর বৃথা হবে

শামীম ভাই চলে যাওয়ার সাথে সাথে উনি আমার হাত ধরে একটা রুমের দিকে নিয়ে যেতে লাগলেন বুঝতে পারলাম এখন আমাকে ভোগের শিকার হতে হবে,

মাহিনঃ ঠাসসসসসস তোর সাহস কত বড় তুই আমাকে ফোন নাম্বার দিস নাই

আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ফোন নাম্বারের জন্য এতকিছু

মাহিনঃ এখন ফোন নাম্বার না তোকে আমি প্রতিদিন এই ধর্ষণ করব

আমি আর কান্নাটা আটকে রাখতে পারলাম না

মাহিনঃ তোর এই রকম ন্যাকা কান্নার কোন মূল্য আমার কাছে নেই তুই শুধু আমার কাছে ভোগের পণ্য

কথাটা বলে উনি আমার বুক থেকে ওড়নাটা টেনে নিলেন আমি আমার দুই হাত দিয়ে আমার বুক ঢেকে রাখলাম

মাহিনঃ উফফফ কি লজ্জা কি লজ্জা লজ্জাবতী রে তোর লজ্জা আমি বের করতাছি দাঁড়া হাহাহাহহাহা

ওনার মুখ থেকে এরকম নোংরা কথা গুলো আমার কলিজায় কেটে যাচ্ছে উনার প্রতিটা কর্তা যেন আমার গায়ে কাঁটার মত জ্বালা দিতে লাগলো

মাহিনঃ আজকে আমি তোকে সব কিছু খুলে তোর সাথে ডান্স করব হাহাহহা

কথাটা বলে উনি আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল আর আমি পিছিয়ে যেতে লাগলাম আমি কখনোই ভাবতে পারিনি জীবনে এরকম একটা সময় আমার সামনে এসে দাঁড়াবে আর আমি
আমার কান্নাটা চার দেয়ালের মাঝে বন্দী

চলবে,,,,,,,