#গল্পঃ_ভিলেন
লেখিকাঃ আদিবা ইসলাম আঁখি
পর্বঃ ০২
——————–★★———————-
কেনো এমন হচ্ছে আমার “কে এই মানুষটা” যার জন্য আমার এমন ফিলিংস হচ্ছে……
মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসতেই হঠাৎ কেউ দরজায় নক করলো,,,,
আম্মু: আদিবা …
আমি: আম্মু আমায় একা থাকতে দাও প্লিজজ
আম্মু: সোনা তোর সাথে কথা আছে দরজা টা খোল
আম্মুকে কিছু বলতে যাবো তখনি আব্বু হাজির,,,,
আব্বু: আম্মাজান দরজা টা খোল
আমি: আব্বু প্লিজজ
আব্বু: খুলতে বলছি,,,,
আব্বু কথায় বাধ্য হয়ে দরজাটা খুলতেই আব্বু হাতটা ধরে হাঁটা দিলো,,,,,
আমি: আব্বু কই নিয়ে যাচ্ছো!! আম্মু কি হচ্ছে
কেউ আমার প্রশ্ন উওর দিলো না সোঁজা নিচে নিয়ে আসলো,,,,,
আমি: আব্বু
আব্বু: তোমার মাসুদ আংকেল তার ছেলের বউ হিসেবে নিতে চাই
আমি: কিহহহ
মিঃ মাসুদ: হুমম রে মা কেনো তোর কোন আপত্তি আছে নাকি?
আমি: ওয়েট ওয়েট… আব্বু এসব কি হচ্ছে.. বিয়েটা কি এতোটাই সস্তা.. দেখো আব্বু তোমার কথা মতো সোহম কে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে গেছিলাম কিন্তুু আফসোস এমন ছেলে আমার জন্য নির্বাচন করলে সে আমার কাজিনের সাথে (চোখ বন্ধ করে) যায় হক আব্বু প্লিজ এসব বন্ধ করো আমি এখন বিয়ে করবো না
আম্মু: আদিবা
আমি: ব্যস অনেক হয়েছে এই বিয়ে বিয়ে খেলা,,,,আমি আর পারছি না নিতে সত্যি! হাত জোর করছি বন্ধ করো এসব প্লিজজজজজজজ
কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়লাম!!
___পাপা উনি যখন বিয়ে করতে চাচ্ছেন না তাহলে প্লিজ জোর করো না….
কথা শুনে সামনে দিকে তাকাতেই আবাক হলাম ‘ এটা তো সেই লোকটা যাকে একটু আগে নিচে দেখলাম….
আব্বু: না না বাবা তুমি আমার মেয়েটার কথায় কিছু মনে করো না বিয়ের দিন এতো বড় শক্ট নিতে পারে নি তো তাই,,,,,
লোকটা: কিন্তুু আংকেল উনি তো
আব্বু: আমি বুঝাচ্ছি হুমম
আব্বু এসে আমার পাশে বসে মাথায় হাত রাখলো,,,,
আব্বু: সরি! আম্মাজান আমি বুঝতে পারিনি সোহম এমন হবে অনেক বড় ভুল করেছি ক্ষমা চাচ্ছি তোর কাছে
আমি: ছিঃ ছিঃ আব্বু এসব কি করছো তুমি তো জেনে শুনে কোন ভুল করো নি তাই না
আব্বু: হুমম অনেক বড় মিস্টেক হয়ে গেছে কিন্তুু বিশ্বাস কর এই ছেলেটা সত্যি অনেক ভালো আমি জানি তুই অনেক সুখি হবি….
আম্মু: হুমম সোনা বাবা কিন্তুু ঠিক বলছে….
আব্বু: হুম,,,,,
লোকটার দিকে আর চোখে তাকালাম! কি আছে ওই মুখে যা বার বার আমায় অকর্ষন করে ……
আব্বু: কি হলো আম্মাজান সময় যে পার হয়ে যাচ্ছে
আম্মু দিকে তাকাতেই ইশারা করে সাহস জাগালো,,,,,,
আমি: হ্যাঁ আমি রাজি
মিঃ মাসুদ: আলহামদুলিল্লাহহ
আব্বু: এই তো লক্ষী মেয়ে আমার…
আম্মু: সোনা মেয়ে ( জোরিয়ে ধর…)
মিঃ মাসুদ: তাহলে ভাই সাহেব বিয়েটা শুরু করা যায়
আব্বু: হুমমম!! বাবা এদিকে এসো,,,
চার পাশে খুশিতে বাঁজি ফুঁটছে ,,,,,,,,
কিছুক্ষনের মাঝে বিয়েটা সম্পূর্ন হলো,,,,,,
গাড়িতে দুজনে পাশাপাশি বসে আছি বার বার লোকটার দিকে তাকাচ্ছি
আমি: কি অদ্ভুত মানুষ এতক্ষন হয়ে গেলো একটু রেসপন্স ও নেই….
একটু পর গাড়ি টা পার্ক করতেই লোকটা বলে উঠলো,,,
লোক: নেমে পড়েন!! চলে আসছি
আমি: হুমমম,,,,
গাড়ি থেকে নেমেই আবাক হয়ে তাকালাম এটা বাড়ি নাকি রাজপ্রাসাদ
হঠাৎ লোকটা হাতটা ধরে হাঁটা দিলো আমি বেশ আবাক হয়ে লোকটার দিকে তাকলাম,,,,,,
ভিতরে ডুকতেই একটা বয়স্ক মহিলা এসে সামনে দাড়ালো
মিঃ মাসুদ: উনি তোমার শাশুড়ি মা সালাম করো,,,,,
শশুড়িমা কে সালাম করতেই গালে হাত দিয়ে মুচকি হাসলো,,,,
শাশুড়িমাঃ ভারি মিষ্টি,,,,
মিঃ মাসুদ: হুমম একদম লক্ষি….
হঠাৎ একটা মেয়ে দৌড়ে এসে বলতে লাগলো
আশা: কই আমার ভাবি সর তোমরা ” ওয়াও নতুন ভাবি তো মাশআল্লাহ
শাশুড়িমা: হুমম দেখতে হবে না বউমা টা কার
হঠাৎ লোকটে বলে উঠলো,,,,
___ এসব ড্রামা যদি তারাতারি শেষ হতো ভিতরে যেতাম,,,,,,
শাশুড়িমা: উফফ সরি সরি আয় ভিতরে ‘তুমিও এসো,,,
তখনি লোকটা আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে হন হন করে উপরে চলে গেলো,,,,,
মিঃ মাসুদ: কিছু মনে করো না ছেলেটা ওই রকম আর কি বদমেজাজি ,,,,
আমি: কিহহ
মিঃ মাসুদ: না মানে…
আশা: নতুন ভাবি এসব ছাড় এসো ভিতরে,,,,
আমি: কিন্তুু,,,
আশা আমায় নিয়ে ভিতরে ডুকতেই একটা ইয়াং মেয়ে সামনে পড়লো,,,,মেয়েটা অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে পাশ কাঁটিয়ে চলে যেতেই শাশুড়িমা বলে উঠলো,,,,,
শাশুড়িমা: আয়শা দাড়া!!
আয়শা: হুম বল ( ফোন টিপতে মগ্ন)
শাশুড়িমা: বাসায় নতুন বউ আসছে আর তুই কথা না বলেই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছি?
আয়শা: ওফসস সরি আম্মু,,,,,
হঠাৎ মেয়েটা এসে জোরিয়ে ধরলো,,,,
আয়শা: সরি!! ভাবি রিয়েলি সরি
আমি: ইটিস ওকে
আয়শা: এবার শান্তি হয়ছে যত্তসব ড্রামা…..
শাশুড়িমা: আয়শা ( উচ্চ সরে)
মেয়েটা গিয়ে সোফায় বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে দিলো,,,,
কি অদ্ভুত লোকজন এখানে ,,,,,, হে খুদা এ কোথায় এসে পড়লাম সহায় হয়ও,,,,,,
রাত প্রায় ১২:০০ বাজে আশা আমায় একটা রুমে নিয়ে আসলো,,,
আশা: এটা ভাইয়ার রুমম!! এসো
আমিঃ বাহহ রুমটা কত গুছানো ঝকঝকে,,,,, ( মনে মনে)
রুমে ডুকতেই লোকটা ওয়াসরুম থেকে বের হলো,,,,,
আশা: নাও তোমার বউকে দিয়ে গেলাম বাকিটা সামলাও ( মুচকি হেসে)!!!
শুভ রাএী ভাবি
আমি: শুভ রাএী ( মুচকি হেসে)
আশা রুম থেকে চলে গেলো,,,হাত পা কেনো জানি ঠান্ডা হয়ে আসছে….
লোকটা: যান ফ্রেস হয়ে নিন,,,,,
আমি: এ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক আছে,,,,,
লোকটা বেলকুনিতে চলে গেলো আমি ফ্রেস হতে চলে আসলাম,,,,
ফ্রেস হয়ে আয়নার সামনে দাড়ালাম!!!….
হঠাৎ লোকটা কথা শুনে পিছনে তাকিয়ে বেশ চমকে উঠলাম…..
( চলবে)