মাফিয়া ক্রাশ বর পর্ব-২৬

0
2362

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা :মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ২৬

কিছুক্ষণ পরে খেয়াল এলো জোতি বলেছে রুহিকে বাঁচাতে। রুহির কি হয়েছে ?? কারা রুহিকে নিয়ে গিয়েছে ?? অভিদ দৌড়ে জোতির বাহু ধরে ওকে ঝাঁকিয়ে বলে উঠে
” কি হয়েছে রুহির ?? আমার রুহি কোথায় ?? রুহিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ?? কথা বলছো না কেনো ?? বলো!! ” চিৎকার করে বলতেই রায়হান এসে অভিদকে ধরে। অভিদ রায়হানকে ছাড়িয়ে আবার জোতির দিকে যেতে নিলেই রায়হান আর গার্ড অভিদকে ধরে। অভিদ চিৎকার করে বলে
” বলছো না কেনো ?? রুহি কোথায় বলো !!”

রায়হান অভিদকে জোড় করে চেয়ারে বসিয়ে বলে
” শান্ত হয়ে বস !! চিৎকার করলে জোতি বলবে কি করে ?? আমি বলছি ওকে তুই চুপ করে বসে শোন।” রায়হান অভিদকে বসিয়ে আবার জোতির সামনে যায়। জোতি অভিদের চিৎকার শুনে ভয়ে পেয়ে গিয়েছে তাই জোড়ো সরো হয়ে বসে আছে। রায়হান জোতিকে এক গ্লাস পানি দেয় সামনে। জোতি পানি নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে ফেলে।

এখন যে কথা গুলো বলবে তাতে অনেক সাহস দরকার। নিজের কতো গুলো ভুলের জন্য রুহির আজ এই অবস্থা আর আজকে নিজেরও এমন পরিণতি। অনেক সাহস নিয়ে জোতি বলা শুরু করে
” দেড় মাস আগে আমরা একটা ক্লাবে গয়েছিলাম। আমরা বলতে আমি আর আমার বয়ফ্রেন্ড সিহাব খান। রাতের দিকে আমরা মাতাল অবস্থায় লং ড্রাইভে বেড়িয়ে পড়ি। রেগুলার ড্রিংক করায় আগের থেকেই আমাদের ড্রিংক করার অভ্যাস ছিলো। তাই আমরা ওতোটা ও মাতাল ছিলাম না। তবে লং ড্রাইভে বের হওয়ার পর অন্ধকার রাস্তায় আসতেই সিহাবের ড্রিংক অবস্থায় গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। গাড়ি উল্টাপালটা চালানো শুরু করে। পরে একসময় সিহাব একটা গাড়িকে ধাক্কা মারে। আর সেই গাড়িটা এক্সিডেন্ট করে। সিহাব কিছু দূর সামনে গিয়ে গাড়ি থামায়। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম
” কি হলো গাড়ি থামালে কেনো ?? চলো!!”

সিহাব মাতাল ভাবে ঢলতে ঢলতে বলে
” বেবি তুমি এখনে বসো আমি এখনি আসছি। কেউ একজন এক্সিডেন্ট করেছে আমি দেখলাম। আমি তো একজন মানুষ !! মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে হেল্প না করে বিপদে ফেলে তো আর যেতে পারি না !! আমি এখুনি ওদের যাবো !! আর ওদের নিয়ে আসবো। তুমি একটু ওয়েট করো বেবি।” বলে ঢলতে ঢলতে বেড়িয়ে গেলো। সিহাব যেতেই আমি বিরবির করে বললাম
” নিজেই এক্সিডেন্ট করিয়ে দিলো এখন আবার নিজেই মানুষ হয়ে ওদের হেল্প করতে গয়েছে। হাহ” বলে গাড়িতে হেলান গিয়ে বসলাম।কিছুক্ষণ পরে দেখলাম সিহাব একটা মেয়েকে কোলে করে নিয়ে আসছে। মাতাল অবস্থায় নিজেও চলতে পারছে না আর মেয়েটাকে নিয়েও ভালো করে
হাটতে পারছে না। সিহাব তার পাশের সিটে বসিয়ে দেয় মেয়েটাকে।আমি পেছনের সিটেই বসেছিলাম। মেয়েকে দেখে আমি বিরক্ত হয়ে বললাম
” তুমি না বললে মানুষকে হেল্প করবে তাহলে এই মেয়ে একা কি করছে। গাড়িতে কি মেয়েটা একাই ছিলো ??” সিহাব গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলে
” একটা ছেলে আছে। তবে চেহারা দেখিনি। দেখে কি করবো ?? আমার মেয়ের দরকার তাই মেয়েটাকে দেখে নিয়ে আসলাম।”

আমি ভাবলাম সিহাব মজা করে বলছে তাই সিহাবের কথায় বিরক্ত হয়ে বসলাম। পেছন থেকে লুকিং গ্লাসে মেয়েটার দিকে তাকালাম। মেয়েটার দিকে তাকাতেই আমি চমকে গেলাম। মেয়েটা রুহি ছিলো কিছুটা আহত অবস্থায়। মাথা থেকে রক্ত পরছিলো। আমি অবাক হয়ে বললাম
” রুহি এখানে কি করছে ?? এই অবস্থা কেনো ??
অভিদ কোথায় ??”
সিহাব আমার কথা বুঝতে না পেরে বলে
” চেনো নাকি তুমি এই মেয়েকে ??” আমি মাথা মেড়ে বলি
” হ্যা আমার বোন। কিন্তু ওর সাথে তো ওর হাসবেন্ড থাকার কথা।” সিহাব হেসে বলে
” আরে হাসবেন্ড হয়তো এক্সিডেন্ট করেছে ওই ছেলেটা। যাজ্ঞে জ্ঞান না থাকায় আমারই সুবিধা হয়েছে। ” আমি মানে বুঝতে না পেরে বললাম
” কিসের সুবিধা হয়েছে ??” সিহাব মাথা নেড়ে বলে
” না কিছু না ” সিহাব গাড়ি নিয়ে তার ফ্ল্যাটের সামনে আসে। আমি আর সিহাব এখানেই থাকি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে আমি সিহাবের সাথেই থাকতাম। রুহিকে আমরা আমাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে শুয়ে দিলাম পরে রুহির মাথায় ব্যান্ডেজ করে দিলাম। সেদিন আমাদের ফ্লাইট ছিলো। সিহাব বলেছিলো আমাকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে। তারপর বিয়ে করে সেখানেই থাকবে। তো রাত ৩টায় ফ্লাইট ছিলো আমাদের। আর ফ্লাইটের তখনও ৩ ঘন্টা সময় ছিলো। আমি সিহাবকে বারবার বলছিলাম রুহিকে অভিদের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে কিন্তু সিহাব কিছু বলছিলো না।

হঠাৎ সিহাব আমার কাছে এসে বলে
” আচ্ছা জোতি মেয়েটা তোমার কেমন বোন হয় ??” আমি রেগে রেগে বললাম
” এটা সেই বোন যার জন্য আমি এতো মার খেয়ে তোমার কাছে চলে এসেছিলাম। ওই রুহি!! অভিদ রায়জাদার স্ত্রী।” আমার কথা শোনার পর দেখলান সিহাব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরেই চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। আমার কাছে বসে হাত ধরে বলতে থাকে
” জোতি বেবি তুমি কতো ভালো জানো ?? বিশ্বাস করো আমি ভেবেছিলাম তুমি ওকে পেয়ে কিছু একটা করবে কিন্তু আমাকে ভুল করে দিয়ে তুমি ওকে ওর বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে চাইছো। তোমার কি অভিদ রায়জাদার মারের কথা মনে নেই ?? তুমি এতো সহজে ভুলে গিয়েছো ?? তুমি তো এখন মেঘ না চেইতেই বৃষ্টি পেয়ে গেলে তাহলে সুযোগটাকে হাত ছাড়া করছো কেনো ??”
আমি সিহাবের কথার মানে কিছুই বুঝিনি, জিজ্ঞেসু নজরে তাকালান। সিহাব আমার তাকানোর মানে বুঝে আবার বলে
” আমি বলতে চাইছি যে তুমি যখন রুহিকে পেয়েই গিয়েছো তাহলে একটু শাস্তি তো দিতেই পারো !! এতে তোমার মনের প্রতিশোধের জ্বালা একটু কমতে পারে। তুমি এক কাজ করো রুহিকে আমাদের সাথে নিয়ে চলো। নিউজিল্যান্ডে নিয়ে ওকে কিছুদিনের জন্য লুকিয়ে রাখবে। এতে অভিদ ওকে না পেয়ে পাগলের মতো খুঁজবে আর কষ্ট পাবে। এতে তোমার মনের কষ্ট গুলো কমবে। আর কিছুদিন পরে আমরা রুহিকে আবার এখানে দিয়ে যাবো। তুমি কি বলো !!” সিহাবের কথা শুনে আমার আবার অভিদের আঘাত করা বেল্টের মারের কথা মনে পরে আর আমার মনেও প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠে। আমিও রাজি হয়ে যাই। আমি রাজি হাওয়ায় সিহাব অনেক খুশি হয়। আমি ভেবেছিলাম হয়তো আমার খুশির জন্য খুশি হয়েছে।

জানি না সিহাবে কিভাবে ৩ ঘন্টার মাঝেই রুহির জন্য টিকিট বুক করে নেয়। ফ্লাইটের আগে রুহিকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দেয় সিহাব। আমি কিছু বলতে গিয়েও বলিনি। ফ্লাইটে ওঠার পর হঠাৎ আমার একটু ভয় লাগলো যে অভিদ তো এয়ারপোর্টে আসলে সবই জানতে পারবে যে রুহি কোথায় গিয়েছে। তাই আমি সিহাবকে ভয়ে ভয়ে বলি
” সিহাব রুহিকে না আনলেই ভালো হতো। কভিদ তো সব জানতে পেরে যাবে আর রুহিকে খুঁজে বের করবে আর এবার কিন্তু আমাকে ছাড়বে না। এর চেয়ে রুহিকে না নিয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো।”
সিহাব রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে
” না বেবি আমি সব এভিডেন্স সরিয়ে দিয়েছি। না আমার না তোমার আর না রুহির। আর কোনো দিন কিছুই পাবে না আমাদের।” আমি নিশ্চিন্ত হই সিহাবের কথায়। নিউজিল্যান্ডে পৌছানোর পর রুহিকে আর আমাকে একটা ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। ফ্ল্যাটে আনায় আমি জিজ্ঞেস করি
” তুমি এখানে আমাকে এনেছো কেনো ?? তুমি তো আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাবে তাই না??”
সিহাব তখন হেসে বলে
” আরে বেবি তুমি বুঝতে পারছো না !! রুহি আছে আমাদের সাথে ওকে নিয়ে যদি আমরা বাড়িতে যাই তাহলে আমাদের সন্দেহ করবে আর আমি যদি ওদের সব বলি তাহলে ঝামেলা হতে পারে।
আর ওর সাথে কারোর থাইস প্রয়োজন তাই তোমাকেও এখানে রেখে যাচ্ছি। ” বলে আমাকে আরও কিছু কথা বলে আমাদের দুজনকে সেই ফ্ল্যাটে রেখে যায়।

রাতের আগে রুহির জ্ঞান ফিরে। রুহির পাশে আমি বসে ছিলাম। রুহি রুমের চারপাশ দেখে পাশে তাকাতেই আমাকে দেখে অবাক হয়ে যায়।
অবাক হয়ে বলে
” জোতি তুই এখানে কিভাবে এলি ?? আর আমি কোথায় আছি ?? এখানে কি করে এলাম ??”
আমি শয়তানি হেসে রুহিকে থামিয়ে দিয়ে বললাম
” এত প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দেবো কি করে রুহি বেবি ?? একে একে বলি শোন !!আমাদের গাড়ি দিয়ে তোদের এক্সিডেন্ট হয়েছিলো তাই আমার বয়ফ্রেন্ড তোকে বাঁচানোর জন্য তোকে সেখান থেকে এনে আমাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলো। সাথে হয়তো অভিদ ছিলো কিন্তু তাকে আনেনি। আর আমি এতো বড় সুযোগটা কি করে হাতছাড়া করি বল?? তাই ভাবলাম তোকে কয়েকদিন আমাদের কাছে রেখে একটু আদর যত্ন করি !! তারপর নাহয় তোকে আবার তোর অভিদের কাছে দিয়ে আসবো !! ঠিক করেছি না আমরা ??”

রুহি খাট থেকে নেমে গেলো রেগে বলে
” একদম ঠিক করিসনি। অভিদ আমার জন্য চিন্তা করছে। আমি এখনি চলে যাবো এখান থেকে। আমাকে তোর আদর যত্ন করতে হবে না।” বলে এক পা এগোতেই আমি শব্দ করে হেসে দিলাম। হাসতে হাসতে বললাম
” আরে যাবি টা কোথায় ?? এখানে কি তুই তোর অভিদকে খুঁজে পাবি নাকি ?? আমরা এখন নিউজিল্যান্ডে আছি। ওকে ?? আমাদের সাথে তোকে আমরা নিউজিল্যান্ডে নিয়ে এসেছি। এখানেই তোকে থাকতে হবে কয়েকদিন। আর একপা ফ্ল্যাটের বাইরে বের করলে খুব খারাপ হবে আর তুই এখানকার কিছুই চিনিস না। সো, বেশি বাড়াবাড়ি না করে চুপচাপ বসে থাক।” বলে আমি পাশের রুমে এসে পরি। রুহি তার পা জোড়া চালিয়ে জানলার কাছে গেলো। জানলার পর্দা সরিয়ে বাইরের দিকে তাকালো। ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখে বিশ্বাস করলো যে আমি সত্যি কথা বলেছি। রুহি মুখে হাত দিয়ে কেঁদে দিলো। কাঁদতে কাঁদতে বিছানায় এসে বসলো। কিছুক্ষণ পরে আশে পাশে তাকিয়ে ফোন খুঁজতে থাকে কিন্তু পায়নি কারণ আমি আগে থেকেউ সব ফোন সরিয়ে দিয়েছিলাম। সারাদিন রুহি কেঁদেছে। রাত হতেই আমি এসে ওর খাবার দিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পরে আবার এসে দেখি রুহি এখনও এক ফোটাও খাবার খায়নি।

আমি রুহির কাছে এসে দাঁড়িয়ে রেগে বললাম
” কিরে এখনও খাবার শেষ করিসনি কেনো ?? তাড়াতাড়ি খাবার শেষ কর। খাবার যেন পরে না থাকে।” বলার সাথে সাথে রুহি আমার পায়ে পড়ে গেলো। পা ধরে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকে
” জোতি প্লিজ আমাকে অভিদের কাছে দিয়ে আয়, প্লিজ !! কথা দিচ্ছি অভিদ তোকে আর কিছু করবে না প্লিজ আমাকে বাড়িতে দিয়ে আয় । আমি সারা জীবন তোর প্রতি কৃতজ্ঞত হয়ে থাকবো। আচ্ছা দিয়ে আসতে হবে না আমাকে শুধু একটা ফোন দে আমি অভিদকে ফোন করে বলবো আমাকে এসে নিয়ে যেতে। তাহলে অভিদ তাড়াতাড়ি এসে আমাকে নিয়ে যাবে। তোর ফোনটা দিবি প্লিজ ??” রুহির কথা গুলো শুনেও আমার মন গলেনি। আমি রুহির থেকে পা ছাড়িয়ে বললাম
” একদম এসব ন্যাকামো করবি না। তোর কি মনে হয় !! তোর এইসব কথা শুনে তোকে আমি অভিদের কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবো ?? মাই ফুট !! ,তোকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এখানে আনিনি আমি। আমি যতোদিন না চাইবো ততোদিন কোথাও যেতে পারবি না।” রুহি মাটিতে বসেই কাঁদতে থাকে। আমি আবার রুহিকে বললা
” খাবারটা জলদি খেয়েনে।” রুহি কিছু না বপে কাঁদতে থাকে। আমি রুম থেকে চলে গেলাম কিছুক্ষণ পরে আবার রুহির রুমে আসলাম দেখলাম এখনও খায়নি। এবার আমার রাগ উঠে গেলো আর আমি রুহির সামনে বসে রেগে বললাম
” এখনও খাবার শেষ করিসনি কেনো ?? ভালো ভাবে কথা বলি তাই ভালো লাগে না তাই না ??”
রুহি আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলো
” আমার কাছে আসবি না তুই। আমি খাবো না কিছু।” ধাক্কা দেওয়ায় রেগে গিয়েছিলাম। তাই খাবার হাতে নিয়ে রুহির মুখ চেপে ধরে জোড় করে মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিয়ে খাওয়াতে লাগলাম। জোড় করে খাওয়ানোতে রুহির কাশি উঠে গেলো। টেবিলের পাশ থেকে পানি খেয়ে আমার হাত থেকে প্লেট ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলে
” বলেছি না, খাবো না আমি !! চলে এখান থেকে আমার কাছে আসবি না তুই। আমি আমার অভিদের কাছে যাবো।” বলে কাঁদতে লাগলো। আমি রুমে এসে হাত ধুয়ে আবার রুহির রুমে গেলাম হাতে ইনজেকশন ছিলো। রুহিকে জোড় করে ধরে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করলাম। কিছুক্ষণ পরে রুহি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেলো।

সকালে সিহাব আসলো বললো আমাকে আর রুহিকে কোনো স্পেশাল জায়গায় নিয়ে যাবে। আমি বললাম
” রুহিকে নেওয়ার কি দরকার ?? ওকে এখানেই রেখে যাই। রুহি ঘুমাচ্ছে এখনও।”
সিহাব হেসে বললো
” ওর জন্যই তো যাওয়া। ওকে না নিলে হবে না। মানে ওকে অন্য কোথাও রেখে আসবো। তারপর তোমাকে নিয়ে ঘুরবো। ওকে ?? চলো।” তারপর আমাকে আর রুহিকে নিয়ে বের হয়। অনেক্ষণ পরে একটা জংগলের সামনে এসে গাড়ি থামায়। আমি অবাক হয়ে বললাম
” জংগলের সামনে কেনো আমরা ??”
সিহাব হেসে বলে
” এখানেই কিছু স্পেশাল একটা আছে। চলো” বলে রুহিকে কোলে তুলে যেতে থাকে। সাথে আমি যাচ্ছি। আমার একটু সন্দেহ থাকে সিহাবের কাজে। কিন্তু ওর সাথে না যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই ওর সাথেই গেলাম। গভীর জংগলে যেতে যেতে এই বাড়ির সামনে এসে পৌছাই। আমাদের নিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকে। রুহিকে একটা রুমের রেখে আমাকে নিয়ে একটা রুমে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি অনেক মেয়েকে বেধে রাখা হয়েছে।

আমি অবাক হয়ে সিহাবকে ছেড়ে ওদের দিকে তাকাই। সিহাব পেছন থেকে আমাকে সেখানে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আমি নিচে পরে যাই। আমি সিহাবের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলি
” তুমি আমাকে ধাক্কা দিলে কেনো??” সিহাব শয়তানি হাসি হাসলো।

চলবে…wait for next part….