মায়ন্তী পর্ব-১৩ এবং শেষ পর্ব

0
393

#মায়ন্তী
#রাইদাহ_উলফাত_আনিতা
#পর্ব_১৩
#অন্তিম_পর্ব_প্রথমাংশ

সকাল ১০ টা।

আজ মায়ন্তী ও রাজীবের এনগেজমেন্ট। সেই উপলক্ষে বাসায় আজ অনুষ্ঠান। সব আত্নীয় স্বজনেরা বাসায় এসে উপস্থিত হয়েছে। নানান রকমের ফুলে সেজে উঠেছে মায়ন্তী’দের বাসা।

রাত ৯ টা মায়ন্তী ও রাজীবের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠান হতে চলেছে! সবাই উপস্থিত শুধু মায়াঙ্ক উপস্থিত নেই।

রাজীবের মা-বাবা বললেন এখন আন্টি বদল করা হোক।

মায়ন্তীর মা-বাবা,কাকু-কাকীমা বললেন মায়াঙ্ক এখনো আসেনি একটু অপেক্ষা করুন।

রাজীব বলে উঠে আর অপেক্ষা করতে হবেনা আন্টি শুরু করে দেন অনুষ্ঠান। মায়াঙ্ক ঠিক সময়েই চলে আসবে।

মায়ন্তীর চোখে পানি। সাদা ল্যাহেঙ্গায় সেজেছে মায়ন্তী। পরী’দের থেকে কম লাগছেনা। কিন্তু পরীর চোখে পানি। তাঁর বুকটা ফেটে যাচ্ছে। তবে মনে কেন জানিনা কোন সুখের আভাস ভেসে আসছে।

এখন সময় মায়ন্তী ও রাজীবের এনগেজমেন্ট এর। অনেকক্ষণ যাবত মায়াঙ্কের জন্য অপেক্ষা করেও যখন মায়াঙ্ক এলো না। তখন সবাই রিং বদলাতে বলল।

রাজিব ও মায়ন্তী একে অপরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মায়ন্তী পাথরের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে। ওর মাঝে নেই কোন অনুভূতি।

মীনাক্ষী ও আয়ুষ্মানের ও ভীষণ মন খারাপ। ওরাও কেউ চায়না এই বিয়ে হোক।

দু’জন নেই এখানে উপস্থিত এক মায়াঙ্ক দুই রুপসা।

মায়ন্তী মনে মনে ভেবে নিয়েছে রাজিব কে হয়তো সত্যি সত্যি বিয়ে করতে হবে।

এবার রাজিবের মা বলে উঠলেন রিং টা হাতে নাও রাজিব কে পড়িয়ে দাও।

আর রাজিব তুই ও রিং হাতে নিয়ে মায়ন্তী পড়ানোর পরে পরিয়ে দিবি।

মায়ন্তী ও রাজিব দুজনই নিশ্চুপ। কারো মুখে কোন কথা নেই। রাজিব কেন জানি অস্থির হয়ে আছে বার বার গেটের দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেন কারো আসার অপেক্ষায় আছে।

কি হলো মায়ন্তী মা রিং টা নাও রাজিব কে পড়িয়ে দাও।

মায়ন্তী কাঁপা কাঁপা হাতে এনগেজমেন্ট এর রিং হাতে নিয়েছে —

মায়ন্তীর মা-বাবা,কাকু-কাকীমা,মীনাক্ষী আয়ুষ্মান চুপচাপ সবাই দাঁড়িয়ে আছে কারো মনে কোন কথা নেই।

তখনি রাজিবের বাবা বলে রাজিব হাত টা বাড়িয়ে দে।

রাজিব একটু একটু করে হাত টা বাড়ায়। মায়ন্তী পড়িয়ে দিতে যাবে হঠাৎ সারা বাড়ি অন্ধকার হয়ে যায়। চারিদিকে কোন আলো নেই।

রাজিব বলে উঠে কই চলে আয় —

বলতেই হঠাৎ লাইটের ফোকাস পড়ে মায়ন্তী সামনে। মায়ন্তী তাকিয়ে দেখে মায়াঙ্ক সামনে দাঁড়িয়ে আছে । মায়ন্তী অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। মায়াঙ্কের হাতে মায়ন্তী রিং পড়িয়ে দিয়েছে।

মীনাক্ষী হঠাৎ করে একটা ছিটি বাঁচিয়ে উঠে সাথে সাথে রাজিব বলে আসল এনগেজমেন্ট শুরু হবে এখন। বলতেই পুনরায় চারিদিক আলোকিত হয়ে উঠে।

মায়াঙ্কের মুখে মুসকি হাসি। মায়ন্তী অবাক চোখে তাকিয়ে আছে মায়াঙ্কের দিকে। এতক্ষণ পুরো অনুষ্ঠান বাড়ি কত শান্ত মনে হচ্ছিল না কোন আনন্দ অনুষ্ঠান হচ্ছে বলে মনে হচ্ছিলো না।

সেই এখন কত আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে পরিবেশ টা।

একমুহূর্তে মায়াঙ্ক হাটু গেড়ে মায়ন্তীর সামনে বসে বলে- মায়ন্তী উইল ইউ মেরি মি!

মায়ন্তী চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে কোন কথা বলছে না।

তোর চুপ থাকার কারণ আমি জানি। আজ তোকে সব বলব। তোকে হারাতে পারবোনারে। তোকে অন্য কারো সাথে দেখা আমার পক্ষে সম্ভব না। ছোট বেলা থেকেই তুই আমার হাতে গড়া,তোর আশেপাশে কোন ছেলেকে আসতে দেইনি,তোর ছোট ছোট আবদার গুলোতে আমি খুব আনন্দ পেতাম। ভালো বেসেই সব পূরণ করতাম। যখন তুই ছোট তখনই জানতে পারি আমাদের মা-বাবা তোদের দুবোনের মাঝে এক বোনের বিয়ে আমার সাথে দিবেন। আমার সেই ছোট্ট মায়ন্তীর মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। তখন থেকেই একটু একটু করে তোর সাথে পথ চলতে থাকি। তারপর কারনে-অকারনে আমাদের বাসায় তোরা আসলি আমরা জয়েন ফ্যামিলি হয়ে উঠলাম। একে একে তুই বেড়ে উঠলি। আমাদের বিয়ের কথা উঠলো জানিস।

তুই তো বাচ্চা কিছুই বুঝতিনা। আসলে আমাদের যে বিয়ে তুই কিভাবে নিয়েছিস জানতাম না। আমি খুব খুশী ছিলাম। তোকে নিয়ে রোজ স্বপ্ন দেখতাম। মনে হতো পৃথিবীর যত সুখ আছে সব পেতে চলেছি আমি।

একে একে এনগেজমেন্ট এর দিন আসলো! তুই কত সুন্দর সেজে ছিলি আমার জন্য। হঠাৎ একটা ঝড় বয়ে আসলো। ফোনে কল এলো মায়াঙ্ক আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হসপিটালে এসে দেখা করেন। আপনার কিছু টেস্টের প্রয়োজন।

জানিস আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম কি হলো আবার। আমি তোকে বলতে আসবো আমি একটু হসপিটাল থেকে আসি। তখনই তুই সারাদিনের ক্লান্তিতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলিস। কাউকে চিন্তায় না ফেলতে চেয়ে আমি না বলেই হসপিটালে চলে যাই। টেস্ট করানে হয় এজন্যই কিছুদিন আগেই আমি রক্ত ডোনেট করেছিলাম। সেই থেকে নাকি কেন সমস্যা হয়েছে। আমার রক্তে নাকি এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে। আমি ভীষণ ভয় পেয়ে যাই। টেস্টে আসে আমার এইডস্ রোগ হয়েছে। আমি কখনোই চাইনি আমার জন্য তোর কোন ক্ষতি হোক। তাই সবাইকে না জানিয়েই তখনি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি সবার থেকে দূরে বিদেশে চলে যাই। জানিস আমার খুব কষ্ট হতো কিন্তু কি জানিস তোর ভবিষ্যৎ আমার জন্য খারাপ হোক তা আমি কখনোই চাইনি।

আমি মীনাক্ষীর বিয়ের কথা শুনে আর নিজেকে আটকাতে পারিনি। এই সুযোগে যদি তোর সাথে একটু দেখা হয়ে যায়। চলে আসি দেশে কিন্তু মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে না জানি কখন আমার জন্য তোর ক্ষতি হয়ে যায়। তোকে সবসময় রাগ দেখিয়ে দূরে সরাতাম। নিজেই তোর সাথে করা ব্যবহারে কষ্ট পেতাম। কিন্তু কিছু করার ছিলনা আমার।

তুই কষ্ট পেতিস জানতাম কিন্তু কিছু করার ছিলনা আমার। হঠাৎ তুই রাজিবের সাথে বিয়ে করতে চাস। এটা আমি জানি আমাকল দেখানোর জন্য। তারপর রাজিব আমাকে বলে সবটা। আমি চাই রাজিব তোকে বিয়ে করুক। কিন্তু না রাজিব কখনো তোকে বিয়ে করতে চায়নি। আমার জন্যই ফাজলামো করত। ও আমাকে খুব করে বলে। ওর কাছে আর না করতে পারিনা। ও বলে পুনরায় টেস্ট করতে।

আমি তাই করি। পুনরায় টেস্ট করে জানতে পারি অন্য কারো রিপোর্ট আমাকে দেওয়া হয়। জানিস আমি কতটা খুশী হয়েছি এটা শুনে। আমি মীনাক্ষী আয়ুষ্মান বাসার সবাইকে বলেছি এই ব্যপার টা তোকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই এত কিছু।।।

আজ রাজিব ও রুপসার এনগেজমেন্ট আর তোর আমার।

মায়ন্তী তিনবছর আগের এই দিনটার কথা করে আজ আমাী হবি তুই। আমাকে বিয়ে করবি?বলে রিং তুলে ধরে মায়ন্তীর সামনে——————

চলবে…………………………

#মায়ন্তী
#রাইদাহ_উলফাত_আনিতা
#পর্ব_১৩
#অন্তিম_পর্ব_শেষাংশ

মায়ন্তী তিনবছর আগের এই দিনটার কথা মনে পড়ে? সেই দিনের মতোই আমার জন্য সেজে উঠবি? আজ আমার হবি তুই। আমাকে বিয়ে করবি? বলে রিং তুলে ধরে মায়ন্তীর সামনে মায়াঙ্ক——————

চারপাশে সবার মনে কত আনন্দ, সবাই এখন বেশ খুশী। সবাই মায়ন্তীর দিকে তাকিয়ে আছে। মায়ন্তী কি বলবে?

মায়ন্তী নিজের পরনের শাড়ি খামচে ধরে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। মুখে কোন কথা নেই। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মায়াঙ্কের দিকে। ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে মায়ন্তীর। কেন কেন এই মানুষ’টা এতটা দিন মায়ন্তীর কাছ থেকে এসব লুকিয়েছে। কেন এতটা পর করে রেখেছিল। মায়ন্তীর কি তাঁকে ছাড়া কোন ভালো হতে পারে? সেই তো মায়ন্তীর সব। শুধু ভালো থাকাটাই দেখে গেছে। সুখে থাকাটা দেখেনি। এত পরিমাণ যে কষ্ট পেয়েছি তাঁর কি মায়া হয়নি একটুও।

মায়ন্তীর চোখে-মুখে কালো মেঘের ছায়া এসে জড়ো হয়েছে! তাঁর সামনে সব কিছু বিরাজমান। কি করবে সে? ও কি পারবে মায়াঙ্ক কে মেনে নিতে?

মায়ন্তী বলনা কিছু! আমার হয়ে যা প্লিজ। আমি আর পারছিনা।

রাজিব এই রাজিব বলনা ওকে। তুই না হলে আজ আমি হয়তো শেষ হয়ে যেতাম। বললা ও কথা বলছে না কেন? আমি যে আর নিতে পারছিনা।

রাজিব কিছু বলতে যাবে তাঁর আগেই হঠাৎ করে মায়ন্তী এসে মায়াঙ্কের কলার ধরে উপরে উঠায়। মায়ন্তীর করা কাজে সবাই কিছুটা অবাক হয়ে যায়। কি করতে চলেছে মায়ন্তী।

আপনার সাহস তো কম নয়! আপনি আমাকে কি ভেবেছেন বলুন তো? আমার জীবনটা নিয়ে শুধু খেলেই গেলেন। আরে যাকে ভালোবাসা যায় তাঁর সাথে মরণ শিকার করাও যায়।

আমি ভালোবাসা,বিয়ে এসব নিয়ে কি বুঝতাম বলুন তো। আপনি তো ছোট বেলা থেকে সব শিখিয়ে এসেছেন। ভালোবাসা, বিয়ে এসব কিছুও আপনার থেকে জানা। ভালোবাসতে শিখেছি আপনার কাছে। স্বপ্ন দেখেছি আপনার সাথে পথ চলার। সেই কিনা আপনি তিনবছর আগে নিজের রোগের দোহাই আমার উপর চাপিয়ে চলে গেছিলেন।

আরে যদি আপনার রোগ ও হতো আমি আপসহীন ভাবে আপনার রোগটাকেই মেনে নিতাম।

বাহ! আপনি এনগেজমেন্ট এর রাতে চলে গেলেন। দীর্ঘ তিনবছর যাবৎ কত যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনো আপনি যোগাযোগ করেন নি আমার সাথে। কেমন কেটেছে আমার বলুন তো। ফিরে এলেন আপুর বিয়েতে। যাই হোক যা নয় তাই ব্যবহার করে গেছেন। কখনো মুখ ফুটে কথা বলিনি। ভালোবাসা বুঝি এমন হয়। একবারও মনে হয়নি আপনার আমি কষ্ট পাচ্ছি কিনা। ছ্যাঁচড়ার মতো আপনার পিছনে পড়ে থাকতাম।

আর আপনি? আপনি আমাকে পাত্তাই দিতেন না। বাহ! বাহ! আজ জানলেন আপনার রোগ নেই তাই আমার কাছে ছুটে এসেছেন? রোগ থাকতে আমার কাছে আসলে ফিরাইতাম?

মায়ন্তী শান্ত হ বোঝার চেষ্টা কর। দেখ আমি চাইনি তোর কোনো ক্ষতি হোক তাই।

চুপ করেন আপনি! আপনার কোন কথা শুনতে চাইনা। আমি দরকার পড়লে সারাজীবন আইবুড়ো থাকবো তবুও আপনাকে বিয়ে করবোনা। আমার নিজ আত্মসম্মান ত্যাগ করে এতদিন অনেক নিচে নেমেছি আর নয়।

মায়ন্তী শোন আমার কথাটা।

নাহহ আপনার কোন কথা আমি শুনবো না বলেই দৌড়ে মায়ন্তী নিজের রুমে চলে যায়। আজ মেয়েটা সব পেয়েও বিষাদ-মনের কারনে কিছুই আপন করতে পারছে না। সবকিছুই দূরে ঠেলে দিতে চাইছে।

বাইরে থেকে এত ডাকাডাকির পরে-ও মায়ন্তী স্পষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেয় সে বিয়ে করবেনা।

মায়াঙ্ক বলে স্যরিরে মায়ন্তী আমার ভুল হয়ে গেছে। না বুঝেই ভুল করে ফেলেছি। আমি বুঝতে পারিনি। তুই আমাকে এতটা ভালোবাসিস। আমি জোড় করব না। তুই আমাকে বিয়ে না করলেও দূর থেকে তুই আমারই থাকবি।

যত স্বপ্ন ছিল সব স্বপ্নই থেকে যাবে রে।

জানিস তোর একটা না বলা কথা আমি জানি-

বলতে চেয়েছিলিস-

আমি বলব না আমার কাছে থেকে যান,আমি বলব আমাকে রেখে দিন না।

আজ আমি বলছি তুই শোন-

মায়ন্তী তোকে বলতে হবে না রেখে দিন। আমি থাকতে চাই তোর কাছে। তোর ভালোবাসার ছোঁয়া পেতে চাই৷ তোর সাথে পথ চলতে চাই। বুড়ো হতে চাই তোর সাথে।

দরজার একদিকে মায়ন্তী আরেকদিকে মায়াঙ্ক বসে কাঁদছে।

দু’জন দু’জনার হয়েও আজ দুজন দু’জনার থেকে অনেক দূরে। মাঝে দেয়াল হিসেবে তৈরি হয়েছে শত অভিমান, অভিযোগ।

———————————————————————————

আজ তিন বছর পরে-ও মায়াঙ্ক-মায়ন্তী একে অপরের থেকে আলাদা।

মায়ন্তী পণ করেছে কখনো বিয়ে করবেনা। মায়াঙ্ক ও আর মায়ন্তীকে জোড় করেনি। এভাবেই সবসময় মায়ন্তীর পাশে থেকেছে। সারাজীবনের জন্য এভাবেই পাশে থাকার জন্য নিজেকে তৈরি করেছে।

মায়ন্তীর মুখ থেকে দু’টো কথা শোনার জন্য কত বাহানা ধরেছে তবুও মায়ন্তী ফিরে দেখেনি কিংবা মুখ ফুটে দুটো কথা বলেনি।

মায়ন্তী ভালো একটা স্কুলে চাকরি পেয়েছে। সারাক্ষণ তাঁর বাচ্চাদের সাথেই কাটে।

মায়াঙ্ক ও মায়ন্তীর আশেপাশে থাকার জন্য একই স্কুলে চাকরি নিয়েছে। দু’জন দু’জনার না হয়েও সবসময়ই কাছাকাছি থাকে।

কিছু ভালোবাসা অপূর্নতায় ও সুন্দর।

এদিকে রাজিব ও রুপসার তিনবছর আগেই বিয়ে হয়েছে। সুখে সংসার করছে দূজনে। ছোট্ট মেয়ে ও হয়েছে একটা।

সব ভালোবাসা পূর্নতা পেলে ভালোবাসার মূল্য কমে যায়।
অপূর্নতাতে ভালোবাসার যে সৌন্দর্যতা আছে। পূর্নতাতে নেই।

মায়াঙ্ক ও মায়ন্তী অপূর্নতাতেই সুখী হোক সারাজীবন।

———————–সমাপ্ত ———————